আষাঢ়ে শ্রাবণের বর্ষণ পর্ব-১৬

0
1999

#আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ
#মাইশাতুল_মিহির

[পর্ব-১৬]

‘কি যেন নাম বললি? লা-মি-য়া…!’

নামটা সুরালো কন্ঠে টান দিয়ে বললো নুরা। দীবা একটু আগে ক্যান্টিনে বসে লামিয়ার সম্পর্কে আবরারের বলা কথা গুলো বলেছে। সম্পূর্ণ কথা শুনে ভাবুক হলো দুজন। রিমি চিন্তিত কন্ঠে বললো, ‘কিন্তু এই নাম কখনো ভাইয়ার কাছে শুনি নি।’

দীবা গালে দুই হাত বসে আছে। চেহারা তার বিবর্ণ। রা*গে শরির রিরি করছে। রিমির কথার প্রত্যত্তরে বলে উঠলো, ‘তোমার ভাই প্রেম করে সেটাকে ঢাক ঢোল পাঠিয়ে বলবে? আশ্চর্য!’

নুরা মাথা ঝাকিয়ে বললো, ‘তাও ঠিক। কিন্তু মেয়েটা কে? আর বড়ো কথা হলো মেয়েটা দেখতে কেমন?’

শেষের কথাটা কিছুটা উৎসাহিত হয়ে বললো নুরা। রা’গে দীবার গা পি’ত্তি জ্ব*লে যাচ্ছে। বিড়বিড় করে বললো, ‘নি’শ্চয় শাঁ*ক*চু*ন্নির মতো দেখতে হবে।’

কথাটা কর্ণগোচর হলো রিমির। দীবার জে’লা’সি দেখে হাল্কা গলা ঝেড়ে মুচকি হেসে নড়েচড়ে বসলো। দীবাকে কুনই দিয়ে মৃদু ধা*ক্কা দিয়ে ভ্রুঁ না’চালো। দীবা বি:র’ক্তিবোধ করে মুখ দিয়ে ‘চ’ জাতিয় উচ্চারণ করলো একবার। ক্যান্টিনে বসে আছে তিনজন। চারপাশে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। কলাহলপূর্ণ পুরো আগ্রাবাদ কলেজ। নুরা পেপসি তে চুমুক দিয়ে বললো, ‘আই থিংক লামিয়া আরব ভাইয়ার গফ হতে পারে।’

তাৎক্ষনাৎ রিমি ধ**মকে উঠলো, ‘পা’গ’ল তুই? ভাইয়ার কোনো গফ টফ নাই।’

নুরা ফা’জ:লামোর স্বরে বললো, ‘গফ না হলে কি লামিয়া কে নিয়ে ড্রাইভে যাবে? ডিটেইলসে বুঝাতে হবে তোমাকে?’

ক্ষু’ন্ন হলো দীবার মন। ক্রো**ধ তার তীব্র থেকে তীব্রতর হলো। দাঁ’তে দাঁত পি*ষে নুরার দিকে কট’মট চোখে তাকালো। দীবার এমন চাহনীতে ভরকে গেলো নুরা। আড় চোখে দীবার দিকে তাকিয়ে ইতস্তত ভাবে বললো, ‘এভাবে ডা**ই’নীর মতো তাকাবি না। আমার হা/র্ট বেচারা ভ*য় পায়।’

রাগ বহিঃপ্রকাশ করতে দীবা টেবিলের সামনে থাকা পানির বোতলে তুলে শ’ব্দ করে টেবিলে রাখলো। রা*গা*ন্বিত কন্ঠে হাল্কা আওয়াজে চেঁ*চি*য়ে বললো, ‘লামিয়া সামিয়া জামিয়া যেই হোক। তাতে আমার কি? যার সাথে ইচ্ছে নাচুক, ঘুরুক, ম**রুক। আমার কিছু না।’

রিমি না’কের কাছে অনামিকা আঙুল এনে বাতাসের গ’ন্ধ শুঁকে বললো, ‘কোথাও একটা পু*ড়া পু*ড়া গন্ধ পাচ্ছি নুরা। তুইও কি পাচ্ছিস?’

নুরাও রিমির সাথে তালে তাল মিলিয়ে বললো, ‘হ্যাঁ পু*ড়’ছে’ পু*ড়’ছে। কোথাও কাঠ পাতা কাগজ পু**ড়’ছে। কোথাও কারোর হৃদয় পু**ড়’ছে।’

দীবা নুরার বাহুতে চি*ম*টি কাটলো। দাঁ’তে দাঁত চি’বি’য়ে বলে উঠলো, ‘অতিরিক্ত কথা না বললে হয় না তোদের?’

রিমি আফসোস সহিত কন্ঠে বললো, ‘আজকালকার দিকে তো আবার সত্যি কথার ভাত নেই। ব্যাপার না।’

হ’তাশ হলো দীবা। বি’ষন্ন মনে সামনে থাকা স্নেকের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকালো। ভালো লাগছে না তার। বিয়েটা যেভাবেই হোক না কেন আবরার তো তার স্বামী। প্রথমে মন না মানলেও পরোক্ষনে আবরার কে নিয়ে সে ভেবেছে। মনের সুপ্ত কোণে অনুভূতি নামক জিনিসটার জায়গা দিয়েছে। আবরারের জন্য এই কয়েকদিনে সফট কর্ণার তৈরি হয়েছে তার। কিন্তু এই লামিয়া কে? উনার গফ? এইজন্যই কি তাহলে বিয়েটা মানে নি তখন? তবে তার অনুভূতি গুলো ফিকে হয়ে গেলো? বি:ষ:ন্নতায় ভার হয়ে এলো দীবার মন। নিস্থব্ধতায় ধুক’ধুকানি শুরু হলো বুকে। ঠোঁট কামড়ে আশেপাশে তাকালো। তীব্র গতিতে তোলপাড় ঝড় ভয়ছে মনে। কা’ন্না গুলো গলায় দলা পাকিয়ে এলো তার। হঠাৎ-ই দীবাকে এভাবে চুপ হয়ে যেতে দেখে আ’ড়ষ্ট হলো রিমি ও নুরা। দীবার ক্ষু’ন্ন মনের কারণ জানে তারা। এবার একটু সিরিয়াস হলো দুজন। রিমি দীবার কাধে এক হাত রেখে চোখের ইশারায় আ’শ্বাস দিলো এমন কিছুই হবে না। প্রত্যত্তুরে দীবা স্মিতি হাসলেও মনকে মানাতে পারছে না। অস্থিরতায় নিয়েই নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলো।
____________________

তিমিরাচ্ছন্ন পরিবেশ গোমট বেধে আছে। অম্বরে কা’লো কাদম্বরীর আনাগোনা। শীতল হাওয়ায় বৃক্ষপত্র নড়বড়ে। বিশাল বারান্দার দরজার সামনে ঝুলানো সাদা পর্দা গুলো বাতাসের তালে তাল মিলিয়ে উড়ছে। কক্ষে থাকা কাঙ্ক্ষিত এসি অফ করে বারান্দার দরজা, জানালা খোলে বিছানায় আসন পেতে বসে আছে অভ্র। বাহির থেকে ভেসে আসা শীতল হাওয়ায় তার সিল্কি চুল উড়ছে। পরনে তার সাদা শার্ট যার হাতা কুনই পর্যন্ত গোটা”নো। ক্লি”ন সেভ করা গালে ডান হাতের তর্জুনী দিয়ে চুলকে ল্যাপটপের স্কিনের দিকে তাকিয়ে আছে। কপালে তার সূক্ষ্ম ভাজ বিদ্যমান। ল্যাপটপের সাদা কি-বোর্ডে আঙুল চালানোর সময় তার কান স’জাগ হয় দরজা খোলার আওয়াজে। বিচলিত না হয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দরজায় দৃষ্টি মেলে তাকালো। আগন্তুক ব্যক্তিটিকে দেখে প্রসন্ন হেসে বললো, ‘আসেন স্যার। আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’

আবরার স্বাভাবিক মুখভঙ্গিতে এগিয়ে অভ্রের সামনে বসলো। মৃদু হেসে বললো, ‘কেন? কোনো জরুরী কাজে?’

‘তেমন কিছু না। একটা আ’র্টি’কেল তৈরি করছিলাম।’

আবরার ব্যস্ততার সাথে ঘাড় বা*কিয়ে ডান থেকে বামে কাত করলো। তারপর বললো, ‘এখানে আসার পর থেকে তোমার তেমন খেয়াল করতে পারি নি। আসলে অনেক দিন পর বাড়িতে এসেছি তো..’

প্রতি উত্তরে নিঃ*শব্দে হাসলো অভ্র। আবরারকে থামিয়ে সন্তুষ্টিসাধক কন্ঠস্বরে বললো, ‘ব্যাপার না ভাই। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনার পরিবারের সবাই মাশাআল্লাহ অনেক ভালো। আমাকে তো নিজের ছেলের মতোই আদর যত্নে রেখেছে। সত্যি বলতে স্যার, আমার তো এখন মনে হচ্ছে এখানে আরো আগে আসা উচিত ছিলো আমার।’

সুপ্রসন্ন হলো আবরারের মন। মুখের হাসি ধরে রেখে শুধাল, ‘এটাকে নিজের বাড়ি ভাবতে পারো। কোনো স*ম*স্যা হলে আমাকে অবশ্যই জানাবে।’

অভ্র সম্মতি সহকারে মাথা দুলালো। অতঃপর অফিসিয়ালি ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে লাগলো দুজন। অভ্র তার তৈরি করা আর্টিকেল আবরারের দিকে এগিয়ে দিলো। আবরার ব্য**স্তভঙিতে সব কিছু রি-চেক করতে লাগলো। খুবই মনোযোগ সহকারে প্রখর করে কি-বোর্ডে নিজের আঙ্গুল চালাচ্ছে আবরার। পরনে থাকা কালো টি-শার্ট বাহিরের হাওয়ায় নড়ছে তার। কিছুসময় পর আকাশের কালো মেঘ বর্ষণ রূপে আ:চঁড়ে পরলো ধরনীতে। অম্বর থেকে তীব্র আওয়াজে বর্জ্র**পাতের ধ্বনি ভেসে আসছে। ক*ম্পিত হতে থাকে পরিবেশ। তখন বাহির থেকে ব:র্জপাতের সাথে সাথে বাড়ির মেয়েদের চিৎ**কারের শব্দও কানে আসলো দুজনের। যান্ত্রিক বস্তুতে ব্যস্ততার সাথে চালিত আঙুল তাৎক্ষনাৎ থেমে গেলো আবরারের। অভ্র তার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো। মেয়েরা এভাবে চেঁ*চা*চ্ছে কেন? হঠাৎ কি হলো? অতঃপর দুজন বি*চলিত হয়ে ঘটনা জানতে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলো দ্রুত পায়ে। রেলিংয়ের কাছাকাছি এসে বাড়ির সামনের বাগানের দৃশ্যপট দেখে অবাক হওয়ার পাশাপাশি মুগ্ধ হলো আবরার অভ্র দুজনই। দীবা, রিমি ও নুরা তিনজন হাতে হাত রেখে বৃষ্টিবিলাশ করছে। আনন্দের সাথে খিলখিল করছে হাসছে তিনজন। বর্জ্র**পাতের সঙ্গে সঙ্গে চেঁ*চি*য়ে উঠছে তারা। কলেজ থেকে যে মাত্রই ফিরেছে সেটা তাদের পরনের ইউনিফর্মই জানান দিচ্ছে। অভ্র ভ্রুঁ জোড়া কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। মেয়েদের চি*ৎকা*রের আওয়াজের প্রতিযোগিতা হলে সেখানে এই মেয়ে তিনজনই সেরা হবে ভেবে নিলো সে। নির্ধিদায় এদের অ*স্কার দেওয়া উচিত। এদের চিৎ*কার বর্জপাতের চেয়েও ক*ঠিন শব্দ যা মানতে বাধ্য হলো অভ্র। কপালে সূক্ষ্ম বিরক্তির ভাজ ফেলে আবরারের দিকে তাকালো। বৃষ্টির ছিটে*ফোঁ*টা এসে দুজনকে ভিজিয়ে দিয়েছে প্রায়। আবরারকে দীবার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হাসতে দেখে অভ্রও নিশব্দে হাসলো। সে নিজেও মন থেকে চায় আবরার যেনো এই সম্পর্ক টা মেনে নেয়। তখন নিশিতা ও রোহানার চেঁ’চা’নোর শব্দে নিচে তাকালো অভ্র। নিশিতা ও রোহানা দুজন ছাতা নিয়ে মেয়ে তিনজনকে আচ্ছা মতো বকাঝকা শুনাচ্ছে। কা’ন ম::লাই দিয়ে তিনজন কে বাড়িতে নিয়ে গেলো তারা। মায়েদের শা:স:ন, আদর ও ভালোবাসা বুঝি এমনি হয়? হয়তো বা! তপ্ত শ্বাস ফেলে রুমে চলে আসলো অভ্র। গায়ের শার্ট হাত দিয়ে ঝেড়ে পানি সরালো। তারপর ল্যাপটপের সামনে বসে আর্টিকেল টা বের করলো। তখুনি চুল ঝা’ড়তে ঝা’ড়তে আবরার রুমে আসলো। বললো, ‘ওদের চেঁ*চা*নো শুনে ভয় পেয়েছিলাম আমি।’

অভ্র ভাবলেশহীন ভাবে বলল, ‘নিঃসন্দেহে ওদের অস্কার দেওয়া যাবে।’ হেসে উঠলো দুজন। আবরার এগিয়ে অভ্রের সামনে বসে আর্টিকেল গুলো দেখতে লাগলো। অফিসিয়াল আলাপে ব্য:স্ত হলো দুজন।
____________________

ফা*য়া*রপ্লেসের সামনে তিনজন জড়সড় হয়ে বসে আছে। দুই হাত একত্রে তালুতে তালু ঘ*র্ষ*ণের মাধ্যমে তাপ তৈরি করে হাত দুটো গালে লাগাচ্ছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টিতে ভিজার কারণে তাদের শরিরের তাপমাত্রা শীতল। বৃষ্টির পানি টাও ছিলো ঠান্ডা। তাই এখন শীত লাগছে তাদের। এই অসহনীয় শীত থেকে বাঁচতে গায়ে পাতলা শাল পেঁচিয়ে বসে আছে ফা*য়া*রপ্লেসের সামনে। নুরা কাঁপাকাঁপা থুতনি প্রসারিত করে বললো, ‘ভাইরে ভাই এইগুলা কি? একটুই তো ভিজলাম তাই এতো শীত লাগার কি আছে?’

রিমি সোফায় হেলান থাকা অবস্থাতেই বললো, ‘আরে অসময়ের বৃষ্টি তাই।’

রিমিকে থামিয়ে নুরা কথা পিঠে বলে উঠলো, ‘আ**জাইরা মার্কা কথা কই পাস তুই? বর্ষাকালে অসময়ের বৃষ্টি পাবি কোথায় থেকে?’

নিজের বো*কা বো*কা কথাতে নিজেই আহাম্মক হলো রিমি। হেসে উঠলো সে। সাথে হাসলো দীবাও। কমলা তাদের তিন জনের জন্য কফি নিয়ে এলো। কফির কাপ এগিয়ে দিয়ে শুধাল, ‘বিস্টিত কিল্লাই বিজন ফরেদ্দে? এহন জ্বর উডিলে ক্যান গরিবিদি?’ (বৃষ্টিতে ভিজার কি দরকার ছিলো? এখন যদি জ্ব*র উঠে?)

দীবা সোফাতে হেলান অবস্থা ছেঁড়ে সোজা হয়ে বসলো। কফিতে চুমুক দিয়ে উত্তর দিলো, ‘কিছু হবে না দাদি।’

কমলা অসন্তুষ্টির সাথে চেহারার অবস্থা বিবর্ণ করে বললো, ‘আ‌ইচ্যে সাইয়্যুম, জ্বর ‌উডিলে তোরার গরত্তুন বাইর অম বন্ধ।’ (আচ্ছা দেখবো। জ্বর উঠলে তোমাদের ঘর থেকে বের হওয়া ব**ন্ধ।)

রিমি নুরা উচ্চ হাসিতে মেতে উঠে কমলার কথায়। কমলাকে তারা সবাই সম্মান করে। কমলার স্বামী এই বাড়ির কাজেই নিয়োজিত ছিলো। সদ্য বিবাহিত জীবনের মাত্র কয়েক মাস পেরুলেই তার স্বামী যক্ষা রু*গে মা**রা যায়। কমলা এতিম ছিলো তাই স্বামী বাড়িতে তার জায়গা হয়নি। তখন আবরারের দাদা তাকে এই বাড়িতে আ**শ্রয় দেয়েছিলো। তখন থেকেই কমলা এই বাড়ি কে তার নিজের বাড়ি মনে করে আগলে রেখেছে। নিজের কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে বাড়ির সন্তান দের। যেমন আদর যত্ন করেছে ঠিক তেমনি বাড়ির ছেলে-মেয়েরাও তাকে সম্মান করে। রিমি তার মুখের হাসি বিরাজমান রেখে বললো, ‘দাদি আমাদের ধ*রে বে*ধে আ**টকে রাখতে পারবে তুমি? বু*ড়ি হয়ে গেছো না!’

দীবা রিমির প্রতিত্তুরে বলে উঠলো, ‘কে বলছে বুড়ি হয়েছে? দাদিকে দেখছোস মাশা’আল্লাহ দিন দিন রুপ গজায় খালি। এখন তো দেখতেছি একটা হ্যান্ডসাম পাত্র খুঁজতে হবে।’

পান খাওয়ার ফলে লাল হয়ে যাওয়া উষ্ঠ জোড়া প্রসারিত করে হাসলো কমলা। খয়েরের রঙে দ*ন্ত তার লাল বর্ণ ধারন করেছে। বয়স পঁয়তাল্লিশ ছুঁই ছুঁই। চেহারায় তার বয়সের ছাপ স্পষ্ট। শরিরের চামড়া কুঁ*চকে গেছে প্রায়। গায়ের রঙ ফর্সা হওয়ায় কুঁ*চকানো চামড়াতে যেনো তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কমলা মুখের হাসি ধরে রেখে বললো, ‘শ*তা*নী জীবনত ন’জা‌ইবু তোরার? বালা অই যাগু‌ই হইদ্দি।’ (শ**য়*তা*নী জীবনেও যাবে না তোমাদের? ভালো হয়ে যাও বলছি।)

বলেই হাসতে হাসতে চলে গেলো কমলা। তখন আরিয়ান আর অভ্র আসলো সেখানে। আরিয়ান সোফায় ধপাস করে বসে সামনের টি-টেবিলে রাখা প্লেট থেকে টোস্ট হাতে নিয়ে কা*ম*ড় বসালো। অভ্র এগিয়ে হাসি মুখে আরিয়ানের পাশে বসতে বসতে বললো, ‘বৃষ্টিবিলাশী কন্যারা! কি খবর আপনাদের?’

চলমান..