আসক্তি২ পর্ব-১১

0
2778

#আসক্তি২
পর্বঃ১১
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম

“হাচ্চুউউ”,সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে পরপর কতোগুলো হেঁচে ওঠে শান।মাথা তুলে চমকে তাকিয়ে পাখি অবাক হয়ে যায়।কপালে ভাঁজ ফেলে ভাবতে থাকে,”কাল রাতেও তো ঠিক ছিলেন উনি আজ হঠাৎ কি…..”
“তুতুমি কি কররো,হাচ্চুউউ, হাচ্চুউউ “,বলতে বলতে শান পাখির সামনে এসে দাঁড়ায়।পাখি টেবিলে নাস্তা সাজাতে সাজাতে বলে, “আগে হেঁচে নিন ভালো করে, তারপর প্রশ্ন করুন”
শান হাতের ভাঁজ করা টিসুতে নাক মুছে বলে,”সর্দি লেগেছে।”

শানের কথায় পাখি মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে সত্যিই সর্দিতে অবস্থা কাহিল শানের।ফর্সা নাকের ডগাটা টকটকে লাল হয়ে গেছে টিসুতে মুছতে মুছতে।লাল লাল চোখ দুটোর দুইকোণা বেয়ে জল গড়াচ্ছে।চোখের পাপড়ি গুলো যেন জলের ভারে নুয়ে পড়তে চাইছে বার বার।শানের সারা শরীরের দিকে ভালো করে পরোখ করে পাখি সংকোচে বলে,”এতো বড় একখান শরীর, তাতে আবার ডাক্তার মানুষ সে কিনা সামান্য সর্দিতে এতো নাজেহাল!”
শান কিছুক্ষন পাখির দিকে ছলছলে চোখে তাকিয়ে থাকে।চোখের পাপড়ি গুলো পরপর কাঁপতেই পাখি জোড়ে ধমক দিয়ে ওঠে।শানের হাঁচি উবে যায় মূহূর্তেই।আটকানো হাঁচিগুলো বাহিরে বের না হতে পেরে নাক চোখ দিয়ে ঝড়ঝড় করে পানি ঝড়তে লাগে।
“করছেন টা কি?খাবার গুলোয় নাকের পানি পরলে কে খাবে? “,রাগি রাগি ভাব নিয়ে বলে পাখি।শান মায়াভরা মুখে বলে,”আমি সর্দি সহ্য করতে পারি না”
“আরেহহ!তো ঔষধ নেন না কিসের জন্যে?”,অবাক হয়ে বলে পাখি।পাখির কথা শেষ হতে না হতে শান শব্দ করে টিসুতে নাক মুছে ফেলে।পাখি ঘৃনাভরা ভঙ্গিতে চোখ মুখ কুঁচকে মাথাটা সামান্য পিছনে নিয়ে যায়।

“এই সামান্য অসুখে যদি ঔষুধের প্রয়োজন পরে তাহলে আর কি বলার!হাচ্চুউউ”
নাক মুছে শান স্বগতোক্তি করে বলে, “বছরে দু একবার এরকম অসুখ বিসুখে মেডিসিনের হেল্প নিতে নেই।শরীর থেকে টক্সিক বের হওয়ার সুযোগ দিতে হয়।হাচ্চুউউ”
“ওকে ওকে সড়ুন।আর বলতে হবে না। আমি বুঝেছি বুঝেছি”,দুই হাত দিয়ে শানকে থামিয়ে দিয়ে বলে পাখি।
“নিন এবার খেয়ে নিন।আমি স্কুলে যাবো”,নাস্তা এগিয়ে দিয়ে এলোমেলো স্বরে বলে পাখি।

“এসব কেন করেছ তুমি?আমি করে নিতাম”,ঠান্ডা স্বরে বলে শান।পাখি মূহূর্তেই ঝনঝনে গলায় জবাব দেয়,”সকাল বাজে ০৮ টা। আমি স্কুলে যাব।”
শান ব্রেডে জেলি লাগাতেই ফোনের ক্ষীণস্বরে স্ক্রীনের দিকে চোখ রাখে।দ্রুত ফোনটা রিসিভ করে।
“আস্সালামু আলাইকুম স্যার।ওকে… আমি তো ই-মেইলে ছুটিটার জন্যে এপ্লাই করেছি স্যার।কাইন্ডলি চেইক ইট ।ওকে স্যার, আমি মেডিসিন নিব ”
কথা শেষ করে শান আরেক দফা হেঁচে নিয়ে ব্রেডটা মুখে দেয়।পাখির বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না শান ছুটি নিয়েছে আজ।
“একটা জিনিস মাথায় ঢুকছে না। একটা এতো সুস্বাস্থ্যবান মানুষ সামান্য সর্দিতে ছুটি পর্যন্ত নিলো।অবশ্য চোখ মুখের যা অবস্থা ছুটিই বেটার”,আনমনে ভেবে পাখি মুচকি হেসে ওঠে।
ওমলেটের কোনা ছিড়তে ছিড়তে শান বলে,”তুমি খাবে না?”
“আমি খেয়ে….. ”
“হাচ্চুউউ ”
পাখি তীক্ষ্ণ চোখে শানের দিকে চেয়ে সোফার উপরে রাখা সাইড ব্যাগটার ফিতা টেনে কাঁধে তুলে নেয়।এরপর সদর দরজা পেরিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

🌸🌸
পাখি স্কুলের ভিতরে পা রেখেই থমকে দাঁড়ায় পরিচিত দুটো হাত দৌড়ে এসে তার কোমর জড়িয়ে ধরে।হকচকিয়ে ওঠে পাখি।মনে হচ্ছিলো এই হাতদুটো তাকে জড়িয়ে ধরবার জন্যেই গেইটের আড়ালে লুকিয়ে ছিলো।কতো পরিচিত এই হাতদুটো!
“বেবি,কেমন আছো সোনা?”,ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে জিজ্ঞেসা করে পাখি।ইনায়াহ্ ফিক করে হেসে বলে,”আমি অনেক গুলা ভালো আছি মুন সাইন।তুমি কেমন আছো?”,
পাখি ইনায়াহ্’কে কোলে তুলে নিয়ে ভিতরে হাঁটা ধরে।হাটঁতে হাঁটতে বলে,”তোমায় ছাড়া কি ভালো থাকা যায় বলো!”,
এরপর দুজনেই ক্লাসের ভিতর ঢুকে পরে।

ক্লাস নেয়ার একফাঁকে রাখি কতোকগুলো হালকা নাস্তা নিয়ে আসে পাখির জন্যে।টিফিন পিরিয়ডে সেগুলো পাখিকে সার্ভ করে দিয়ে খেতে বলে রাখি।দুজনেরই খাওয়ার এক পর্যায়ে হঠাৎ পাখির সারা শরীরে ইচিং ভাব চলে আসে।ধীরেধীরে সেটার মাত্রা এতোটাই বেড়ে যায় যে পুরো শরীরে ফুলে ফুলে ওঠে।পাখির বুঝতে অসুবিধা হয় না তার এলার্জি বেড়ে গেলো।দম ছোট হয়ে আসে তার।
পাখির অবস্থা খারাপের পথে দেখে রাখি ঘাবড়ে গিয়ে বলে,”এসব কিরে?তোর কিসে এমন হলো?”
পাখি নিজেকে খানিকটা শান্ত করে বলে,”পিয়াজি তে কী ডাল ছিলো?”,
“অভিয়াসলি মুশুর ডাল।তারমানে….”,চোখ কপালে তুলে বলে রাখি।

পাখি লাল লাল চোখে চেয়ে বলে,”এই মূহূর্তে গোসল করে মেডিসিন না নিলে আমায় বাঁচানো মুশকিল।আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি।তুই ম্যামকে বলিস।কেমন!”,
রাখি সহমত পোষণ করে পাখিকে বাড়ি যাবার জন্যে তাড়া দেয়।পাখি ইনায়াহ্’র সাথে আরেকবার দেখা করে বাড়ির পথে পা বাড়ায়।

বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই পাখির শ্বাস থেমে আসে।সদর দরজাটা পুরোটাই খোলা।সোফার কাছে শানের শরীরটা নিথর হয়ে পরে আছে।দিগ্বিদিক না ভেবে পাখি দৌঁড়ে গিয়ে শানের পাশে মেঝেতে বসে পরে।
“এই যে শুনছেন?এই যে….”,পাখি বুঝতে পারে না সে কি করবে!এবার কাপাকাপা হাতে শানের বাহুতে হালকা স্পর্শ করতেই পাখি হাত সরিয়ে নেয় শরীরের মাত্রাতিরিক্ত উত্তাপে।ভীষণ ঘাবড়ে যায় পাখি।অজানা আশঙ্কায় নিঃশ্বাস সাথে সাথে পাল্সও চেইক করে নেয় শানের।
“সবই তো ঠিক আছে।তাহলে জ্বরের তাপে সেন্সলেস হয়ে গেছেন!”,ভেবে শানকে পূনরায় ডেকে ওঠে।কিন্তু কোন সাড়া পায় না। শানের হাতটা উঠাতে নিতেই হাফিয়ে ওঠে পাখির শরীর।এদিকে নিজের শরীরের সীমা অতিক্রম করা এলার্জিক সমস্যা টা যেন পাখির শরীরকে আরো বেশি দূর্বল করে দেয়।বিড়বিড় করে আওরায়,”এতো ভারী!বাপ রে বাপ!এখন কাকে ডাকি আমি!”

চট করে উঠে দাঁড়ায়।সদর দরজার বাহিরে এসে মাথা উচিয়ে পাখি এদিক সেদিক তাকায়।
“কেউই তো নেই।এবার!”
পাখি আবারও এদিক ওদিক চোখ বুলাতে বাগানের একদম শেষ মাথায় কোন পুরুষালি গায়ের ফতুয়া দেখতে পায়।দৌড়ে সেদিকে গিয়ে দেখতে পায় বাগানে কাজরত অবস্থায় আব্দুল্লাহ্’কে।দ্রুত তাকে সবটা বলতেই আব্দুল্লাহ্ শুকনো ঢোক গিলে বলে,”শানবাবার সর্দি জ্বরের মাত্রা অনেক বেশি হয় মা।খুব কাহিল করে ফেলে ওকে।”
“চাচা আগে চলুন “,পাখি দ্বিতীয় বারের মতো তাড়া দেয়।

দুজনেই ধরাধরি করে অনেক কষ্টে শানকে ওর ঘর অবধি নিয়ে যায়।বিছানায় শুইয়ে দিয়ে পাখি বলে,”চাচা এবার কী করব?কি মেডিসিন লাগে উনার কিছুই তো জানি না।আর ওনাকে অনেক বেশি দূর্বল লাগছে তো।কি হবে এখন”
পাখির উৎকণ্ঠভাব দেখে রাহেলার সেদিনের কথাগুলো আব্দুল্লাহ্’কে প্রথমবার ভাবতে বাধ্য করে।
“চাচা!কি করব?”,আব্দুল্লাহ্’র হেলদোল না দেখে আবার বলে পাখি।
আব্দুল্লাহ্ শান্তভঙ্গিতে পাখির দিকে চেয়ে বলে,”তুমি শানবাবার কাছে একটু থাকো আমি ফার্মাসিতে বলে ঔষধ নিয়ে আসি”
দূঃচিন্তা ভরা চোখ মুখ নিয়ে পাখি সম্মতি জানিয়ে মাথাটা একটু হালায়।
“চাচা দুইটা এলার্জর ট্যাবলেট আনতে পারবেন!”,অসহায়ের মতো মুখটা করে বলে পাখি।
“আনতেছি মা”,বলেই আব্দুল্লাহ চলে যায়।

এদিকে পাখি শানের ঘরের মেঝেতে পায়চারী করছে আর নিজের শরীর মনের সাথে যুদ্ধ করে চলছে।
“জ্বরে তো মাথায় পানি দিতে হয়।রিলিফ মেলে।সেটা কি করব? “,ভাবতে থাকে পাখি।ব্যাস যে’ই ভাবা সে’ই কাজ।পাখি শানের ওয়াশরুম থেকে বালতি ভরে পানি এনে বিছানার পাশে রাখে।মাথার নিচে বালিশের উপরে মোটা তোয়ালেটা বিছিয়ে খুব কষ্টে শানকে বালিশের উপর নিয়ে আসে।এরপর ঝিরঝির করে মাথায় পানি ঢালতে থাকে।বালতির পানি কয়েকবার পাল্টিয়ে এনে পাখি একই প্রক্রিয়ায় শানের মাথায় ঢালতে থাকে।
গা শিউড়ে কেপে ওঠে শান।পাখি তৎক্ষনাৎ পানি দেয়া বন্ধ করে শানের গায়ে মোটা ব্ল্যাঙ্কেট টা ছড়িয়ে দেয়।

খানিক পরে ধীরেধীরে পিটপিট করে চোখ খোলে শান।রক্তবর্ণ ধারন করা চোখ দুটো পাখির উপর গিয়ে নিবদ্ধ হয়।কিন্তু বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকতে পারে না।চোখের মনি থরথর করে কেপে ওঠে শানের।ব্ল্যাঙ্কেট টা শক্ত করে জড়িয়ে একদম তার ভিতরে ঢুকে পরে শান।
পাখি সন্তর্পনে ব্ল্যাঙ্কেট টা টেনে বলে, “আব্দুল্লাহ্ চাচা মেডিসিন আনতে গেছে।আপনি কিছু খেয়ে মেডিসিন টা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন ”
শান বসে যাওয়া গলায় বলে,”মেডিসিন কেন আনতে গেছে।আমি কি বলেছি একবারও? লাগবে?”,
পাখি বিরক্তি নিয়ে বলে,”আপনি সত্যিই একজন ডাক্তার তো!”,
“কোন সন্দেহ?”,কাপাকাপা গলায় ফিরতি প্রশ্ন করে শান

পাখি কিছু না বলে দ্রুত ঘর থেকে বেড়িয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পরে।ভালো করে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসে।ততোক্ষনে বাহিরে বেড়িয়ে এসে বুঝতে পারে আব্দুল্লাহ্ ঔষধ নিয়ে চলে এসেছে।নিজের এলার্জির ঔষধটা দ্রুত মুখে দিয়ে পাখি শানের রুমে একবার উকি দেয়। দেখে শান তখনো ব্ল্যাঙ্কেটের নিচে। এই সুযোগে রান্নাঘরে গিয়ে শানের জন্যে সামান্য স্যুপ তৈরী করে নেয় পাখি;সাথে কিছু নাস্তার।ট্রে সাজিয়ে শানের ঘরে ঢুকে সেগুলো সাইড টেবিলে রাখে পাখি।এরপর ক্ষীণস্বরে ডাক দেয় শান।

একরাশ বিরক্তি নিয়ে শান চোখ মুখ কুচকে ফুলে।ঘুম জড়ানো অসুস্থ্য কন্ঠে বলে,”কি সমস্যা?”
“উঠুন স্যুপ খেয়ে মেডিসিন খেয়ে নিন”,সংকোচে জড়িয়ে আসা কন্ঠে বলে পাখি।শানের শরীরে সামান্যতম শক্তিটুকুও নেই যে উঠে বসবে।শোয়া অবস্থা থেকেই বলে,”আমি উঠতে পারব না।”
পাখি বিপাকে পরে যায়।কারণ ঘরে সে ছাড়া কেউ নেই।আব্দুল্লাহ ঔষধ দিয়ে কি একটা জরুরী কাজে বাহিরে চলে যায়। পাখি কী করবে ভেবে পায় না;সংকোচে চুপসে যায়। আগপিছ না ভেবে শানকে ধরে উঠানোর চেষ্টা করে।

চমকে চোখের পাতা খুলে শান পাখির দিকে তাকায়।সদ্য গোসল নেয়া এক স্নিগ্ধ নারী।যার গা দিয়ে এখনো সাবানের কড়া সুগন্ধ যায় নি।এই সুগন্ধ বিপরীত মেরুর যেকোন ব্যক্তিত্বকে ঘায়েল করার ক্ষমতা রাখে।
“কি, কি করছো?”,থতমত খেয়ে শান প্রশ্ন করে।আপনাআপনি বিব্রতভাব চলে আসে পাখির চোখে মুখে।চোখ নামিয়ে শান্তস্বরে বলে,”উঠার চেষ্টা করুন।আপনার মেডিসিন নিতে হবে।শরীর অনেক দূর্বল আপনার”
শান পূনরায় চোখ বন্ধ করে আগের মতোই শুয়ে থাকে।পাখির বেশ বিরক্ত লাগছে এবার।
“আপনার সাথে এরকম নাটক করার সময় আমার নাই।উঠুন। আমার কাজ আছে অনেক”

পাখির কথায় শান ধীরেধীরে উঠে আধশোয়া হয়ে বসে বলে,”মেডিসিন গুলো দেখি?”,
“দেখি মানে?আগে কিছু খেতে হবে তারপর মেডিসিন।খালিপেটে মেডিসিন না”,পাখি হন্তদন্ত হয়ে বলে।
শান চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ এনে বলে,”অতিরিক্ত বলো কেন।যা চাইছি দাও”,
পাখি আর কোন কথা না বলে মেডিসিন গুলো এগিয়ে দেয়।শান খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে বলে,”আমিও একজন ডাক্তার। ভুলে যেও না”
এরপর আবার সাইড টেবিলে সেগুলো রেখে দেয় শান।গা কেঁপে কেঁপে উঠছে বার বার।পাখি গরম স্যুপের বাটিটা শানে হাতে দেয়।দূর্বল হাতে সেটা নেয় শান।কাপা কাপা হাতে চামুচের স্যুপটা মুখে দিতেই গড়িয়ে পরে ব্ল্যাঙ্কেটের উপর।দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকায়।
পাখির লাল চোখের দিকে বেশিক্ষন চেয়ে থাকতে পারে না পাখি।দ্রুত চোখ সরিয়ে স্যুপের বাটিটা শানের থেকে নিয়ে চামুচে নাড়াচাড়া করে কিন্তু শানের মুখের সামনে দেয়ার মতো অসাধ্যটা সাধন করতে পারে না।শান বুঝতে পেরে বলে,”হাআআ”
পাখি মাথা তুলে খুব সাবধানে বিব্রত হয়ে শানকে স্যুপটা খাইয়ে দেয়।এরপর সামান্য কিছু নাস্তা খাইয়ে দেয়।

পুরো টা সময় শান স্থীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো পাখির দিকে।যেটা পাখির নজর এড়ায় নি।খাওয়া শেষে শানকে মেডিসিন গুলো ধরিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় পাখি..

চলবে…..