আসক্তি২ পর্ব-২২

0
2725

#আসক্তি২
পর্বঃ২২
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম

মধ্যদুপুরে আহমেদ ম্যানশনে এসে পৌঁছায় শানের গাড়ি।গাড়ি পার্ক করে রেখে শান বাড়িতে ঢোকে।গমগমে ভাব দেখে পাখি কোন কথা বলার সুযোগ পায় না।পিছন পিছন সেও বাড়িতে ঢোকে।রাহেলা বেগম শানকে দেখে নিরাশ হয়।কারণ মনের ভুলে তিনি চেয়েছিলো পাখির আগমন।নিরাশ বদনে বলে,”ফ্রেশ হয়ে নাও বাবা আমি খেতে দেই”
বলেই পাশ কাটতেই পাখি মাথা উচিয়ে রাহেলাকে গাল ভর্তি হাসি উপহার দেয়। অবাক হয়ে রাহেলা এগিয়ে এসে বলে,”তুমি!”
পাখি রাহেলাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারব না আমি। তাই চলে এলাম।”
শান ওদের দুজনের পূনর্মিলন দেখে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উপরে চলে যায়।

“কি করে করলে এসব?শানবাবা তোমায় আনতে চাইলো?”,হরবরিয়ে প্রশ্ন করে রাহেলা বেগম।পাখি রাজ্য জয়ের হাসি মুখে অটল রেখে বলে,”চাচি, আমার নাম পাখি।আর তোমার শানবাবাকে কিভাবে কাবু করতে হয় তা আমি জানি।আগে আগে দেখো হোতা হ্যা কেয়া।”
এরপর ডেভিল হাসি ঠোঁটে রেখে বলে,”আমায় ভালোবাসার কথা যদি তার মুখ থেকে বের না করছি তো আমার নামও পাখি না”।
এক যুগেরও অধিক সময় ধরে যে এক চিন্তার বোঝা রাহেলার মাথায় ছিলো তা আজ নেমে গেলো মূহূর্তেই।
তৃপ্তির হাসি ঠোঁটে রেখে আনমনে বলে,”ম্যাডাম আমাদের কাজ মনে হয় শেষের পথে।এবার দেখার পালা শানবাবা কিভাবে আগের শানে চলে আসে”

“কি চাচি, কি ভাবছো?ক্ষিদে লাগছে খাইতে দেও।কিচ্ছু খাই নি সকাল থেকে”,নাকে কান্না করার ভঙ্গিতে বলে পাখি।পাখির কথায় ভাবনা ভঙ্গ হয় রাহেলার।পাখির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,”নিশ্চই তোমার জিদের কাছে শানবাবার এতোদিনের অহমিকা ভেঙ্গে চুড়মার হবে।তুমিই পারবে সবটা আগের মতো করতে?”
অবাক চোখে তাকিয়ে পাখি বলে,”আচ্ছা চাচি এমন কী কারণ থাকতে পারে তার এমন আচরনের?”
“সবটা জানার সময় এখনো হয় নি মা।সময়ই তোমায় বলে দিবে সবটা”,ঠোঁটের কোনে স্মিত হাসি রেখে বলে রাহেলা বেগম।

🌸🌸
“কি করে ইনায়াহ্ বেবি?”,রিনরিনে কন্ঠে বলতে বলতে পাখি ইনায়াহ্’র ঘরে ঢোকে।মুখ ফিরিয়ে নেয় ইনায়াহ্।থমথমে মুখে বলে ,”তোমরা আমায় ছেড়ে ঘুরতে যেতর পারলে মুন সাইন!জানো, কতোটা মিস করেছি তোমায়”
ইনায়াহ্’র গালে হাত রেখে পাখি উত্তর দেয়,”সরি বেবি,একটা কাজে আটকে গেছিলাম। তাই তোমায় জানানো হয় নি”
ইনায়াহ্ চট করে পাখির গলা জড়িয়ে বলে,”আই মিসড ইউ মুন সাইন”
পাখিও জড়িয়ে নেয় ইনায়াহ্’কে।

এর মাঝে কেটে যায় সাতটা দিন।শান এখন বেশীর ভাগ সময়েই মেডিকেলে কাটায়।বাড়িতে তেমন থাকছে না বললেই চলে।পাখিকে কথা বলার মতো সামান্য সুযোগটুকুও দেয় না।যতোক্ষন বাড়িতে থাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে।

সেদিন সন্ধ্যার দিকে নাবিদকে সাথে করে আনে শান;কি একটা জরূরী কাজে।রাহেলা বেগম সহ পাখি চলে যায় রান্না ঘরে।নাবিদ নাকি রাতে খাবে এখানে।কয়েক পদের খাবার রান্না করে ডায়নিং এ সাজায় পাখি।নাবিদ আড়চোখে তাকায় শানের দিকে।টিপ্পনী কেটে ফিসফিস করে বলে,”তোদের মাঝে সবটা ঠিক আছে তো!”
ভ্রু কুচকে শান জবাব দেয়,”ওর সাথে কি হবে আমার?আর হওয়ারই বা কি আছে”
নাবিদ বেশ ভালোভাবে বুঝেছে এরা দুজনই দুজনকে ভালোবাসে অথচ বলতে পারছে না।এর পিছনে যে শানের দোষ বেশি তাও নাবিদ বুঝতে পারে

ভাবুকের মতো কিছুক্ষন ভেবে পাখির উদ্দেশ্যে বলে,”আপনার নামটা যেন কি?”
খাবার সার্ভ করতে করতে স্মিত হেসে পাখি জবাব দেয়,”জ্বি, আমার নাম পাখি”
“ওয়াও নাইস নেইম”
নাবিদের কথায় শান মাথা তুলে একবার তাকায়।
নাবিদ দেখেও না দেখার ভান করে বলে,”নামের সাথে সাথে মানুষটাও তো অনেক নাইস।সুন্দরী,মায়াবী,মনোহারিণী,হৃদয়হা…..”,
বাকি কথা শেষ করার আগেই শান দ্বিতীয় দফায় তাকায় নাবিদের দিকে।পাখি সেদিকে খেয়াল করে মুখ বাঁকিয়ে মুচকি হেসে বলে,”থ্যাংক ইউ।আপনিও অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারেন”
শান এবার চোয়াল শক্ত করে তাকায় পাখির দিকে।

“আমি নাবিদ, শানের বেষ্ট ফ্রেন্ড “,বলে হাত এগিয়ে দেয় নাবিদ।পাখি সেদিকে চেয়ে শয়তানি হাসি হেসে হাত বাড়াতেই মেঝেতে চামচের ঝনঝন শব্দ চমকে ওঠে।নিচে তাকিয়ে বুঝতে পারে শানের চেয়ারের কাছে চামচ পরে গেছে আর শান শান্ত চাহনীতে চেয়ে আছে পাখির দিকে।নাবিদ বলে ওঠে,”ওহহহো, শানের চামচ গুলো মনে হয় চাইছে না আপনার সাথে আমার ফ্রেন্ডশীপ হোক।”
বলতে বলতে নিজের খাবারে মনোযোগ দেয়।পরপর চোখের পলক ফেলে পাখি এগিয়ে গিয়ে চামচ গুলো তুলে নেয় ।ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্য চামচ এগিয়ে দেয় শানের দিকে।যে ভাবটা কারো রাগের আগুনে ঘি ঢালার জন্যে যথেষ্ঠ। রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে চলে যেতেই নাবিদ গলা উচিয়ে বলে,”আপনার মতোই আপনার রান্নাটাও অনেক বেশিই সুন্দর।মিস পা খি”,

শান ঘুরে তাকায় নাবিদের দিকে।ছোটছোট চোখে চেয়ে বলে,”ফ্লার্টিং গুলো একটু বেশি হচ্ছে না?”
“তো? তুই তো বলেছিস ওর জন্যে নাকি ফিলিংস নাই তোর।তাহলে আমার রাস্তাটা ক্লিয়ার করতে হেল্প কর”,গোসতের টুকরো টা মুখে পুরে বলে নাবিদ।স্বাভাবিক ভঙ্গিতে চেয়ে শান জবাব দেয়,”তাড়াতাড়ি খেয়ে বিদায় হও”
মুচকি মুচকি হেসে নাবিদ বিড়বিড় করে,”এবার তোমার ভাবটা ছুটাব বাছাধন।তোমার চোখেমুখে স্পষ্ট হিংসার ছাপ আমি দেখতে পাচ্ছি”
“কিছু বলার হলে জোড়ে বল”,স্পষ্ট জানায় শান।
নাবিদ থতমত খেয়ে বলে,”কানের পর্দা এতো শার্প!”

রাতের খাওয়া দাওয়ার পর পাখি হাসি মুখে কথা বলে নাবিদের সাথে।হেলে ঢুলে তার এ কথা বলার ধরন শান দূর থেকে পরোখ করছে অনেকক্ষন ধরে।
গলা উচিয়ে বলে,”রাতটা কি এখানে থাকার প্ল্যান করেছিস?তাই হলে বেডরুমে এসে ঘুমাতে পারিস”
নাবিদ মুচকি হেসে বলে,”আসলে সামনের মানুষটার বাচনভঙ্গি এতো সুন্দর যে বাড়ি যেতেই ইচ্ছে করছে না”
স্বগতোক্তি করে এক গাল হেসে নাবিদ বলে,”আচ্ছা ভালো থেকো পাখি।খুব ভালো লাগলো তোমার সাথে পরিচয় হয়ে।আমি কিন্তু মাঝে মাঝেই তোমার রান্না খেতে আসব”
সম্মতি জানিয়ে পাখি বলে,”একদম। মন চাইলেই চলে আসবেন”
শান অবাক হয়ে যায় পাখির এমন আচরন দেখে।

দ্রুত উঠে যায় নিজের ঘরে।মেঝেতে পায়চারি করতে করতে ভাবে, “নাবিদের সাথে এমন কি কথা থাকতে পারে ওর, যে ওভাবে হেসে হেসে বলতে হলো!কেন নাবিদ ওভাবে বললো?এতো প্রশংসা করার কি আছে?”
হাজারটা দূঃচিন্তার মাঝে পাখি দরজায় এসে উপস্থিত হয়।গলায় দুইবার খাঁকারি দিয়ে পানির পট এগিয়ে বলে,”আপনার পানি”
শান সেদিকে ক্রুর চোখে তাকিয়ে থাকে ;কিন্তু কিছু বলে না।শানের কোন প্রতিক্রিয়া না পেয়ে পাখি পা টিপে টিপে ভিতরে ঢুকে সাইড টেবিলে পট টা রেখে পছনে ঘরতেই ধাক্কা লাগে শানের বুকের সাথে।চোখ বন্ধ করে পাখি নিজের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করে।
“উনি তো বিছনার ঐ কোণায় ছিলেন?তারমানে এখানে এসেছেন!”

“নাবিদ কি বললো?”,শানের প্রশ্নে ভাবনায় ছেদ পরে পাখির।শানের হিংসা হিংসা ভাবটা বুঝতেই ঠোঁটের কোণে স্মিত হেসে পাখি পাশ কাটিয়ে চলে আসতে চায়।হাতের কব্জি ধরে শান বলে,”এটিটিউড আমায় দেখাচ্ছো? ”
“কিসের এটিটিউড! আমি রুমে যাবো।ইনায়াহ্ অপেক্ষা করছে”
“করুক “,শান্ত চাহনীতে একরোখা জবাব দেয় শান।
পূনরায় বলে,”কি বলল নাবিদ? ”
পাখি হাতটা ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,”তাতে আপনার কি কাজ?আমার ব্যপারে তো আপনি দায়বদ্ধ নন। তাহলে কে কি বললো, কে কি করলো আমার সাথে সেগুলো আপনার না জানলেও চলবে”
শান দাঁতে দাঁত পিষে আরেকটু কাছে এনে বলে,”যা বলছি তার উত্তর আমার চাই, রাইট নাউ”
“বলব না। কি করবেন?বাড়ি থেকে বার করে দেবেন?তা আর সম্ভব না।কারণ লিগ্যালি এখন আমি আপনার ওয়াইফ”,বলেই শানকে ঠেলে দূরে আসে পাখি।

চাপা রাগে হাতটা পিছনে মুছরে ধরে পাখিকে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে বলে,”নাবিদ ভালো না।প্লে-বয় ও।কি বলেছে বলো এবার”
পাখি অবাক চোখে চেয়ে থাকে শানের চোখের দিকে।ও চোখে নিজের জন্যে গভীর ভালোবাসার চাহনী দেখতে পায় পাখি।আবেশে একটা হাতে শানের গাল ছুঁয়ে বলে,”চোখ কখনো মিথ্যে বলে না ডাক্তার সাহেব।ও চোখে আমার ভালোবাসা জমানো”
পাখির কথায় তৎক্ষনাৎ চোখ সরিয়ে নেয় শান।হাত ছাড়াতে পাখি বলে ওঠে, “উহু, থাকুক না”
শান থমকে গিয়ে নজর এদিক সেদিক করে চোখের ভাষা লুকানোর বৃথা চেষ্টা করে।
“আমার কাছে থাকলে কষ্ট ছাড়া কিছুই পাবে না পাখি।আর তোমার মাঝে এই ছ্যাচরামি স্বভাবটা বেমানান।”,স্বাভাবিক ভাবে বলে শান।
অভিমানী স্বরে পাখি বলে ,”আমি জানি আপনি আমাকে ভালোবাসেন।কোন একটা কারণে আমার থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন।তবে আমার বিশ্বাস একদিন আপনিও আমায় কাছে টেনে নেবেন।আমি আপনাকে ভালোবাসি।এটা ছ্যাচরামি নয় ডাক্তার সাহেব”

“ঘরে যাও।আর নাবিদের সাথে নেক্সট টাইম কথা বলবে না। হেসে হেসে তো নয়ই”
“কেন?আপনার কি তাতে?”
আড়চোখে চেয়ে শান জবাব দেয়,”আমি চাই না তুমি ওর সাথে কোন প্রকার সো কল্ড ফ্রেন্ডশিপে জড়াও”
“দেখলেন তো, আপনার মাঝে আমায় নিয়ে কতোটা পজেসিভনেস”
পাখির দিকে চেয়ে আনমনে বলে শান,”আমি তোমাতে আসক্ত পাখি।পজেসিভনেস টা আগে থেকেই ছিলো ;এখনো বর্তমান।তবে আমি অক্ষম সেই ভালোবাসায় তোমায় জড়াতে”

🌸🌸

আজ শাড়ি পরেছে পাখি।ইচ্ছে শাড়ি পরেই স্কুলে যাবে।রাহেলার কাছ থেকে শাড়িটা নিয়ে নিজেকে রেডি করে পাখি।এরপর ইনায়াহ’কে স্কুলের জন্যে তৈরী করে নিচে নেমে আসে পাখি।ইতোমধ্যে শান টেবিলে বসেছে।সিঁড়িতে পাখিদের আগমনে সেদিকে চোখ ফেলে চোখ ছানাবড়া হয় শানের।কালো রঙ্গের শাড়িটায় পাখিকে দেখতে মোহনীয় লাগছে যেন।নজর সরানো দায় হয়ে পরেছে।ঘোর লাগা চাহনীতে চেয়ে থাকে পাখির দিকে।

পাখি শানের দিকে চেয়ে মুচকি হেসে ওঠে।কানের পিঠে চুলগুলো গুঁজে শানের দিকে তাকাতেই শান চোখ নামিয়ে নেয়।
খাবারে মনোযোগী হয়ে পরে শান।
পাশের চেয়ারটা টেনে ইনায়াহ্’কে বসিয়ে পাখি খাওয়ানো শুরু করে।খেতে খেতে শান বলে, “শাড়ি চেঞ্জ করে জামা পরে আসো”
পাখি অবাক হয়ে বলে,”কেন!”
“বলছি, তাই”
ইনায়াহ্’র মুখে খাবারটা তুলে দিতে দিতে বলে,”আপনি বললেই আমাকে শুনতে হবে কেন?”
শান প্লেটের উপর খট করে চামচ রেখে সামনে চেয়ে থাকে।পাখির দিকে মুখ ঘুরিয়ে পেটের দিকে আঙ্গুল ইশারা করে বলে,”রাস্তার সবাইকে সেডিউস করার ইচ্ছে আছে বুঝি!”
পাখি শানের আঙ্গুলের নিশানা বুঝতে পেরে ভীষণ লজ্জায় পরে যায়।কাপড়ের আঁচলটা টেনে নামায় তড়িৎগতিতে।

শান বুঝতে পারে পাখি কাপড় চেঞ্জ করার মানুষ না।তাই ইচ্ছেকৃত চায়ের কাপটা শাড়ির কুচিতে ফেলে উঠে দাঁড়ায়।হা করে চেয়ে থাকে পাখি।চোখ মুখ কুচকে শানের দিকে কিছু বলতেই শান দ্রুত পা বাড়িয়ে চলে যায় সদর দরজার দিকে।পাখি সেদিকে চেয়ে রাগে জ্বলে পুড়ে যায় ভিতর ভিতর।
“এই লোককে জব্দ করতে যেয়ে বার বার আমিই জব্দ হচ্ছি।তবে যাই হোক সোনার চাঁদ, একদিন এভাবেই সবটা বলাব আপনার মুখ থেকে”,ভেবে পাখি শাড়িটা বদলাবার জন্যে নিজের ঘরে চলে যায়।

🌸🌸
পাখিকে দেখে অবাক হয়ে যায় রাখি।গত দুইদিন না আসার কারণ জানতে চায়।পাখি একে একে সবটা বলে রাখিকে।বিয়ের কথাটা বলতে থমকে যায় পাখি। মনে পড়ে শানকে দেয় কথাটা।থমথমে মুখে রাখি জানতে চায়,”ডাক্তার তোকে নিয়ে আসলো?”
“আসবে না মানে, আনতে বাধ্য করেছি”,বলেই হেসে ওঠে পাখি।

“এখনো কিছু কনফেস করে নি তোর ডাক্তার?”
“উহু, তবে লুকাতেও পারছে না। আমি জানি একদিন সবটা ঠিক হবে।আর সেদিন সবথেকে সুখী মানুষ হবো আমি।”
“তোর ফিলিংস জানিয়েছিস?”,প্রশ্নাতুর চোখে তাকায় রাখি।
পাখি ওর দিকে ঘুরে বলে,”সবটা বলে দিয়েছি;অপেক্ষার ধৈর্য কুলোয় নি।আমি ভালোবাসা দিয়েই তার মনের সকল চাপা কষ্ট ঘুচিয়ে দেব”
“খুব ভালোবাসিস, না?”
“অনেননননকে টা”,টেনে টেনে বলে পাখি।

চলবে…..