#ইতি_তোমার_সুখফুল
#দুখীফুলের_দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#আফসানা_মিমি
#পর্ব_১০
কিছু দ্বিধা কিছ সংকোচ নিয়ে ফুল শুভর ঘরে থাকতে রাজি হলো। দীর্ঘ সময়ের পর শুভর পাশে থাকতে শংকা অনুভব করলো। ফুল, শুভর পাশে শোবার সাথে সাথেই এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল। চার বছর আগে এই মানুষটিই ছিল তার সবকিছু, অথচ এতদিন দূরত্ব তাদের মাঝে এক অদৃশ্য প্রাচীর তুলে দিয়েছে। শুভর তপ্ত কপালে হাত রেখে সে বোঝার চেষ্টা করল জ্বর কতটা বেড়েছে। শুভ গভীর ঘুমে তলিয়ে ছিল, কিন্তু তার কপালের ভাঁজ এবং অস্থির নিশ্বাস ফুলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল।
ফুল আস্তে করে বিছানায় উঠে বসল। শুভর পাশে শোবার জন্য মনকে বুঝিয়ে নিতে চেষ্টা করল। ঘরটি নীরব, কেবল দেয়াল ঘড়ির শব্দ আর শুভর অনিয়মিত শ্বাসের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। শুতে গিয়ে তার কাঁধ শুভর বাহুর সামান্য স্পর্শ করল। এক মুহূর্তে সময় যেন থমকে গেল। ফুল চোখ বন্ধ করল, যেন নিজের অনুভূতিগুলোকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করল।
শুভ হঠাৎ ঘুমের মধ্যে অস্পষ্টভাবে তার নাম বলল, “আমার ফুলবউ”।
শব্দটি এত মৃদু, কিন্তু এত প্রগাঢ় যে ফুলের মনে দীর্ঘদিনের অবদমিত স্মৃতিগুলো জেগে উঠল। শুভর প্রতি তার রাগ, অভিমান, আর ভালোবাসার এক অদ্ভুত মিশেল তাকে অস্থির করে তুলল। সে শুভর দিকে তাকাল, তার মুখটি ক্লান্ত কিন্তু সেই পুরোনো মায়াময় চেহারাটি এখনও রয়ে গেছে।
ফুল আনমনে বলল, “আমি তো আর আগের ফুল নেই। আমি এখন নিজেকে নিজেই চিনতে পারি না, শুভ! আমাকে আরেকটু সময় দাও। নিজেকে সামলে নিতে দাও। আমি নিজেই তোমার কাছে ধরা দিব।”
আনমনে বললেও ফুলের মনে হলো, তার হৃদয় যেন বিপরীত কথা বলছে। শুভর পাশে শুয়ে থাকার সময় এক মুহূর্তের জন্য সে নিজের দুর্বলতাকে ভুলে গেল। এই মুহূর্তে, তারা যেন তাদের অতীতের ছায়ায় এক হয়ে গেল।
সকালবেলা শুভর আগে ফুলের আগে ঘুম ভাঙলো। চোখ খুলতে পারলেও ফুল শরীর নাড়াতে পারল না। নড়াবেই বা কীভাবে? ফুলের সারা শরীরে তো শুভর রাজত্বে। ফুলকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আরামে ঘুমাচ্ছে। ফুল নিজেকে ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে গেল কিন্তু পারল না। শুভর শরীরের তাপমাত্রাও মোটামুটি আছে। ফুলের উঠা প্রয়োজন কিন্তু উঠবে কীভাবে? দেয়াল ঘড়িতে চোখ গেল ফুলের। ঘড়ির কাটা ঠিক নয়টার ঘরে। এতো সময় ফুল ঘুমিয়েছে? ফুল নড়াচড়া করতে চাইলো পারল না। শুভকে ডাকলোও না। ফুল লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে চাচ্ছে না। কি করবে সে? অসুস্থ মানুষটাকে ডাকাও ঠিক হবে না। অগত্যা ফুল এভাবেই শুয়ে থাকলো। মাথা কাত করে শুভকে দেখতে লাগলো। খোঁচা খোঁচা দাড়িতে শুভকে পরিপূর্ণ পুরুষ মনে হলো ফুলের কাছে। ফুলের চোখ গেলো শুভর নিষিদ্ধ অঙ্গের দিকে। যেই অঙ্গের স্পর্শে একজন নারীর সর্বনাশ ডেকে আনে। ফুলের জীবনেও সর্বনাশ এসেছিল। সেই ছোঁয়া অনুভব করে শিহরণ বয়ে গেল ফুলের সারা অঙ্গে। কাঁপুনি দিয়ে উঠলো শরীরে। ফুল তবুও নির্লজ্জের মতো সেদিকেই তাকিয়ে রইলো। গোলাপের পাপড়ির মতো মসৃণ শুভর ঠোঁট জোড়াই ফুলের সর্বনাশ। শুষ্ক ঠোঁট জোড়া দেখে ফুলের নিষিদ্ধ ইচ্ছে জাগলো। ফুলের গলা শুঁকিয়ে আসলো। জিহ্বা তালুর সাথে লেগে গেলো। এ কেমন অস্থিরতা! ফুল ঠোঁট জোড়া শুভর মুখের কাছাকাছি নিয়ে আসলো। এবার শুভর নিঃশ্বাস ফুলের ঠোঁটের উপর বাড়ি খাচ্ছে। ফুল চোখ বন্ধ করে নিলো। তার কম্পনরত ঠোঁটজোড়া শুভর শুষ্ক ঠোঁট ছুঁয়ে দিচ্ছে। দুই ঠোঁটের মধ্যে সামান্য দূরত্ব। ফুলের গোল গোল চোখজোড়া বন্ধ হয়ে আসলো। তারপর! তারপর দুই ঠোঁটের মিলন ঘটলো। ফুলের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে। শুভর ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে শরীর মোচড় দিয়ে উঠেছে। এ কেমন যন্ত্রণা ফুল বুঝতে পারছে না। ফুল ঠোঁট সরিয়ে নিলো। তার ঘন ঘন নিঃশ্বাস জানান দিচ্ছে, কতোটা সে উন্মাদনায় আছে। ফুল নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলো। এতো বছর পর শরীর স্পর্শ পেয়ে ফুলের কথা শুনছেই না যেনো। কিছুক্ষণ পর শুভ নড়েচড়ে উঠলো। ফুল বুঝতে পারলো কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভর ঘুম ভাঙবে। ফুল লজ্জায় পড়তে চাইলো না। চোখজোড়া খিঁচে বন্ধ করে রাখলো।
সত্যি সত্যিই কিছুক্ষণ পর শুভর ঘুম ভাঙলো। নিজের কাছাকাছি ফুলকে দেখতে পেয়ে আকাশের চাঁদ যেনো হাতে পেলো। সে খুব শক্তকরে ফুলকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে রাখলো। কতোক্ষণ জড়িয়ে রাখলো নিজেও জানে না। ফুলের শরীর তখন গলে অসাড় হয়ে আসছিলো। শুভ ফুলকে ছেড়ে সারামুখে চুমু খেলো। প্রথমে শব্দ করে চুমু খেলেও পরবর্তীতে চুমুর গতি ধীরে হতে থাকলো। শুভর একেকটা চুমুতে ফুলের জান যায় যায় অবস্থা। ঘুমের অভিনয় করার কারণে সহ্য করে নিতে হলো। শুভ ফুলের সারামুখে চুমু খেয়ে গলায় নেমে আসলো। ফুলের এবার সহ্য হলো না। শুভর চুলের মুঠো ধরে শুভকে বাঁধা দিল। শুভর নিঃশ্বাস ভারী, ফুলও হাঁপাচ্ছে। ভারী নিঃশ্বাস ফেলে শুভ ফিসফিস করে বলল,” থামালে কেনো? নিজে তো এতক্ষণ ঠিকই আদর করলে।”
ফুল আওয়াজ করলো না। শুভর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে লাগলো। শুভ ফুলকে জাপ্টে নিজের সাথে মিশিয়ে মাতাল সুর বলতে লাগল, “তোমার কাছে একটা সত্যি কথা বলতে চাই। অনেকবার ভেবেছি, কীভাবে বললে তুমি ঠিক বুঝবে। তোমার সামনে এসে শব্দগুলো যেনো হারিয়ে যায়। তবুও আজ বলতে চাই, কারণ এটা আমার হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি। তোমাকে ভালোবাসি, ফুল। এই ভালোবাসা যেনো কোনো সাধারণ কথা নয়, এটা আমার জীবনের প্রতিটা স্পন্দন, প্রতিটা স্বপ্নের রং। তুমি ছাড়া আমার এই জগৎ অসম্পূর্ণ।”
ফুল মোহিত হয়ে শুভর কথা শুনতে থাকলো। শুভর প্রতিটা কথা তার কানে বাজছে। ফুল সরে যেতে নিলেও শুভ ছাড়লো না। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখলো। ফুল কিছুক্ষণ ছটফট করল। শুভর সাথে না পেরে শুভকে আঘাত করতে থাকলো। শুভ মুখ বুজে সহ্য করে নিলো। ফুলের একেকটা আঘাতের বিনিময়ে একেকটা চুমু খেলো। ফুল, শুভর মিষ্টি আদরে নরম হয়ে আসল ক্রমশই। ফুল নিজের সকল অভিমান ভুলে শুভর বুকে পড়ে রইলো। গলা ফাটিয়ে কাঁদতে থাকলো।শুভ ফুলের চোখের পানি ঝড়ে দিতে দিচ্ছে না সাথে সাথে মুছে দিচ্ছে। ফুলের দেহখানা জাপটে ধরে নিজের উপর নিয়ে আসলো। ফুলকে বুকের উপর ফেলে চুলে বিলি কে’টে দিতে থাকলো। ফুল তখনো হেঁচকি তুলে কাঁদছে। শুভ মাথার নিচে দুটো বালিশ দিয়ে আধশোয়া হলো। ফুলকে তখনো ছাড়েনি শুভ। ফুলের চুলে বিলি কে’টে দিয়ে মাথায় চুমু খেলো। ফুলের মাথায় থুতনি রেখে বলতে শুরু করল, “ফুল, আমি জানি, আমি অনেক ভুল করেছি। তোমার ভালোবাসা, তোমার বিশ্বাস, সবকিছু আমি অবহেলা করেছি। কিন্তু আমি সত্যি বলতে চাই, আমি আর কখনো এমন করব না। প্লিজ, আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও। আমি নিজেকে প্রমাণ করব।”
তার কথা শেষ হতে না হতেই, ফুল মাথা উচু করে থাকে। শুভর কণ্ঠ নরম হয়ে আসে, “ফুলবউ, আমি জানি, রাগ করা তোমার অধিকার। কিন্তু তোমার এভাবে দূরে থাকা এটা যেন আমার শ্বাসকেও আটকে দেয়। আমি আর পারছি না। প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করো।”
ফুল ধীরে ধীরে শুভর দিকে তাকায়। তার চোখে রাগের চিহ্ন থাকলেও এক ধরণের নরম অনুভূতি যেন উঁকি দেয়। শুভ তখনো হতাশ হয়ে রয়। করুণ চোখে তাকায় ফুলের দিকে। কণ্ঠস্বর খাদ নামিয়ে বলে,” তোমার অবহেলা থেকে মৃত্যুও শ্রেয়, ফুল!”
ফুল শুভর ঠোঁটের উপর হাত রাখে। ফুলের চোখজোড়ায় ছলছল করে উঠে। শুভ সেই হাতে চুমু খায়। ফুল বলতে শুরু করে,” মৃত্যু যদি সব কিছুর সমাধান হয়, তাহলে তোৃড় আগে আমার মৃত্যু হোক। তোমাকে হারিয়ে জীবন্মৃত হয়ে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভালো।”
শুভ, ফুলের ঠোঁট আঁকড়ে ধরলো। দীর্ঘ সময় ঠোঁটের জগতে বিচরণ করে যখন ফুলকে ছাড়লো, ফুল তখন হাঁপাচ্ছিল। শুভ ফুলের কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল,” আমি মৃত্যু চাই না। তোমার সাথে দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে চাই। তোমার সাথে যুগের পর যুগ বাঁচতে চাই।”
ফুল, শুভর বুকে চুমু খেলো। শুভ চোখ বন্ধ করে বলল,” স্বইচ্ছায় আমাকে কয়টা চুমু খেলে, জানো ফুলবউ?”
ফুল মাথা নাড়ালো। শুভ ফুলের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,” অগণিত।”
ফুল, শুভর বুকে আঘাত করে বসলো। শুভ আহ করে শব্দ করল। ব্যথা পাওয়ার মিথ্যা নাটক করে বলল,” অসুস্থ স্বামীকে এভাবে সেবা করতে হয় বুঝি, ফুলবউ?”
ফুল সরে যেতে চাইলো। শুভ দিল না। ফুলকে নিজের সাথে মিশিয়ে বলল, “তোমাকে একটা কথা বলব, শুনলে হয়তো বুঝবে আমার মনের গভীর ইচ্ছেটা। আমি চাই, তুমি এমনভাবে আমার জীবনের অংশ হয়ে যাও, যেনো প্রতিটা মুহূর্তে আমরা একসঙ্গে পথ চলতে পারি। তোমার সঙ্গে থাকাটা যেনো আমার জীবনের পরিপূর্ণতা হয়ে ওঠে। আমি তোমাকে আজ আপন করে পেতে চাই, সব দায়িত্ব আর ভালোবাসা দিয়ে।”
ফুলের চোখ বড়ো বড়ো হয়ে আসলো। জ্বরে কাবু হয়ে থাকা সাহেবের শরীরে এতো শক্তি আসলো কোথায় থেকে! ফুল, শুভর বুকে চাপ দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো। আশেপাশে তাকিয়ে ওড়না খুঁজলো। পেয়েও গেল। শুভ মুখ ফুলিয়ে বলল,” এক কদম বাহিরে বের হবে না, দুষ্টফুল। আমি কিন্তু ভীষণ রাগ করব।”
ফুল ওড়না গায়ে জড়িয়ে নিল। জানালার পর্দা সরিয়ে নিতেই শুভ পিছন থেকে ফুলকে জড়িয়ে ধরল।
ঘরটা নিঃশব্দ। ফুল জানালার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। শুভ ফুলকপ জড়িয়ে ধরে রেখেছে। শুভর কণ্ঠ ভারী, ভাঙা স্বরে বলল, “ফুল, একটা কথা বলব?”
ফুল চুপ থাকে, কোনো সাড়া দেয় না। শুভ একধাপ এগিয়ে এসে তার কাঁধে হাত রাখে, ” তুমি রাগ করো, সেটা তোমার অধিকার। কিন্তু প্লিজ, আমার মুখের দিকে একবার তাকাও। আমি সত্যি অনেক বড় ভুল করেছি।”
ফুল ধীরে ধীরে কাঁধ ঝটকে শুভর হাত সরিয়ে দেয়, কিন্তু কিছু বলে না। শুভ ব্যাকুল হয়ে পড়ে। ফুলের মান তো ভেঙেই গিয়েছিল তবে কেনো বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। শুভ বলতে শুরু করল, “তুমি জানো, আমি তোমার সামনে সবসময় দুর্বল ছিলাম। আজও তাই। আমি আর পারছি না, ফুল। প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করো।”
শুভ হঠাৎই ফুলকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। তার কণ্ঠ কাঁপতে থাকে, গলা দিয়ে কথা বেরোয় না ঠিকমতো। ফুলের ঘাড়ে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় শুভ। নিচু স্বরে বলতে থাকে,”আমি জানি, আমার ভুলগুলো তোমাকে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি, আর কখনো এমন কিছু হবে না। আমি তোমাকে ভালোবাসি, ফুল। সারা জীবন ভালোবাসব। তুমি প্লিজ আর রাগ করে থেকো না। আমি সত্যি বদলাবো।”
ফুল কিছুক্ষণ স্থির দাঁড়িয়ে থাকে। শুভর শক্ত করে জড়িয়ে ধরা, তার কণ্ঠের অপরাধবোধ আর আন্তরিকতা ধীরে ধীরে ফুলের রাগ গলিয়ে দেয়। নরম স্বরে ফুল বলতে শুরু করে, “তুমি জানো, শুভ। আমি তোমার ওপর যতটা রাগ করি, ঠিক ততটাই ভালোবাসি। কিন্তু তোমার এই ভুলগুলো বারবার সহ্য করা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।”
“আমি জানি, ফুল। আমি সব জানি। আর এ কারণেই আজ নিজেকে শুধরে নিতে চাই। শুধু তোমার জন্য।”
ফুল এবার ধীরে ধীরে শুভর জড়িয়ে থাকা হাত দুটো ধরে। তার গলার স্বর পরিবর্তন এনে বলে, ” ঠিক আছে, শুভ। আমি তোমাকে আরেকটা সুযোগ দিচ্ছি। তবে আমার একটি শর্ত আছে।”
ফুলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরা হাত হঠাৎই আলগা হয়ে গেল। দুজনের চোখে জল, কিন্তু এইবার তা অভিমান ভাঙার আর ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার আনন্দের জল। তবে শুভর মনে কিছু ভয়ের বাসা বাঁধলো। ফুল ঠিক কীসের শর্ত জুড়ে দিবে সেটাই ভাবতে থাকল।
চলবে…………