#উত্তল_তরঙ্গ
#পর্বঃঅন্তিম
#লেখিকাঃদিশা_মনি
নেহা আদালত থেকে বাড়িতে ফিরল। বাড়িতে এসেই নিয়া ও আহিরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। আরাভ নেহার দিকে তাকালো। নেহাকে আজ বড্ড তৃপ্ত লাগছে। এতদিনে সে নিজের ন্যায়বিচার পেল। নিজের মেয়েকেও নিজের কাছে ফিরে এলো। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। আরাভ নেহার কাছে এসে বলে,
“আজ তুই বড্ড খুশি তাই না নেহা? তোর সাথে করা সব অন্যায়ের জন্য ঐ আহির শাস্তি পেয়েছে।”
নেহা বলে,
“হুম, এতদিনে আমার মনে হচ্ছে ঐ ১০ মাস আমি যে নরক যন্ত্রণায় ছিলাম, আমার মেয়েকে ৫ বছর যেভাবে হারিয়ে ব্যথা অনুভব করছিলাম সেই ব্যথার উপশম পেয়ে গেছি।”
আরাভ নেহার খুশি দেখে নিজেও খুশি হয়। এমন সময় বিপাসা চৌধুরী আসেন। তার মুখটা মলিন। তিনি এসেই বলেন,
“আমার কেন জানি না ঐ আহির ছেলেটার জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে রে। মানছি ছেলেটা অনেক অন্যায় করেছে। কিন্তু ওর এই অন্যায়ের পিছনের কারণগুলো আমাকে ভাবাচ্ছে। যদি ওর শৈশবটা এত যন্ত্রণার না হতো তাহলে কি ও এমন করতো?”
আরাভ এগিয়ে এসে বিপাসা চৌধুরীর কাধে হাত দিয়ে বলে,
“অন্যায় অন্যায়ই হয় আম্মু। যদি এভাবে অন্যায়ের পেছনের কারণ দেখানো হয় তাহলে পৃথিবীর সব জেলখানা অর্ধেক এমনিতেই খালি হয়ে যাবে। কেউ একজন ছোট থেকে অনেক কষ্টে বড় হয়েছে, তাই বলে কি তার একটা মানুষকে খু*ন করা, একটা মেয়েকে রে**প করা এসব জায়েজ হয়ে গেল? যদি এমনটাই হতো, তাহলে যখন একটা মেয়ে রে**প হয় বা কোন খু**ন হয় তাহলে আমরা তার ন্যায়বিচার চাই কেন? আমাদের তো উচিৎ অন্যায়কারীর অতীতের কোন কষ্ট আছে কিনা সেটা খুঁজে বের করে তার হয়ে যুক্তি খোঁজা।”
বিপাসা চৌধুরী বলেন,
“তোর কথাটা আমি বুঝতে পারছি আরাভ। তোর আব্বু..ঐ মানুষটা আজ নেই..কবরে শায়িত আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বৈবাহিক জীবনে কখনো আমায় বড় কোন কষ্ট দেন নি। কিন্তু এই বয়সে এসে এমন করুণ এক সত্যের মুখোমুখি হতে হলো আমায় যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। আমার এখন নিজেকেও দোষী মনে হচ্ছে। আমার জন্য বোধহয় আহির ও তার মায়ের জীবনে এমন অন্ধকার নেমে এসেছে।”
“নিজেকে তুমি দোষ দিও না আম্মু। তুমি তো জানতে না আহির ও তার মায়ের ব্যাপারে।”
“হ্যাঁ, কিন্তু পরোক্ষভাবে তো আমিই দোষী। বেচারি নেহাকেও কতো কিছু ভোগ করতে হলো। আচ্ছা, আহিরকে কি একটা সুযোগ দেয়া যেত না? আহির ও নেহার দুটো মেয়ে আছে। ওদের কথা ভেবে হলেও যদি..”
আরাভ বলে ওঠে,
“আম্মু..এসব কি বলছ তুমি?”
এবার নেহাও আর চুপ করে না থেকে বলে ওঠে,
“মাফ করো বড় আম্মু,আমি বুঝি না আমাদের সমাজের মানসিকতা এমন কেন। তুমি একজন নারী হয়েও আমায় এভাবে বলছ যে এই বাচ্চাদুটোর মুখের দিকে তাকিয়ে একজন রে*পিস্টকে মেনে নেব। আচ্ছা, একটু বাস্তবিকভাবে চিন্তা করো তো, এমনটা হলে সেটা সমাজের কাছে কি বার্তা দেবে? এই ধরো কাল একটা ছেলে একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে মেয়েটাকে রে**প করল। তারপর তাকে আটকে রাখল। এরমধ্যে মেয়েটা প্রেগন্যান্ট হলো। তারপর কি সেই মেয়েটার নিজের বাচ্চার দিকে তাকিয়ে ঐ রে*পিস্টকে মেনে নিতে হবে নিজের স্বামী রূপে? যদি এমনটাই হতো তাহলে তো রে*পের মতো মারাত্মক একটা ক্রাইম নর্মালাইজ হয়ে যাবে। যখন যার ইচ্ছা, একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে। তারপর তাকে রে**প করে পেটে একটা বাচ্চা দিয়ে দেবে। তখন সেই বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে মেয়েটাকে ঐ রে*পিস্টের সাথে আজীবন থাকতে হবে। এমনিতেই আমাদের সমাজে ধ*র্ষণের কোন বিচার হয় না, অনেক যায়গায় টাকা দিয়ে মিটমাট করানো হয়। এখানেও তো ব্যাপারটা সেরকম হয়ে যেত।”
বিপাসা চৌধুরী বলেন,
“সবকিছুই আমি বুঝতে পারছি নেহা। কিন্তু সমাজ..সমাজের লোককে কিভাবে থামাবো? তুই নিজের বাকি জীবন দুটো মেয়েকে নিয়ে কিভাবে একা কাটাবি? ওদের কি পিতৃপরিচয়ের প্রয়োজন নেই?”
“কেন বড় আম্মু? এমন তো অনেক বাচ্চা আছে যাদের জন্মের পর তাদের বাবা মারা যায়। তারা কি বাবা ছাড়া মানুষ হয় না? তাহলে আমার মেয়েরা কেন পারবে না? নিয়া তো ছোট থেকে এভাবেই বড় হয়েছে। আর আহিরাও অভ্যস্ত হয়ে যাবে। আর বাকি রইলো সমাজের কথা। সমাজকে আমি পরোয়া করি না। আমরা একবেলা না খেয়ে থাকলে কি সমাজের মানুষ এসে আমাদের খাবার খেতে দেয়?”
“কিন্তু তোর মেয়েরা যে জারজ..”
“এটা ওদের দোষ নয়। এর জন্য দায়ী ঐ আহির। তাই কে কি বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”
“কিন্তু ওরা সমাজে কিভাবে বড় হবে? সবাই যখন ওদের নিয়ে এভাবে কটাক্ষ করবে তখন?”
“প্রয়োজনে আমি আমার মেয়েদের নিয়ে অনেক দূরে যাব। যেখানে কেউ ওদের চিনবে না। ওদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যা করা লাগবে আমি তাই করবো।”
“আর তোর কি হবে? বাকি জীবনটা কি তুই একাই কাটাবি?”
“একা কেন কাটাবো? আমার মেয়েদের নিয়ে আমি বাকি জীবনটা কাটাতে পারব। ওদের মাঝেই আমার সুখ নিহিত।”
★★
৩ মাস পর,
নেহা আহিরা ও নিয়ার স্কুল থেকে টিসি নিয়ে এলো৷ স্কুল থেকে বেরিয়েই সে দীর্ঘ শ্বাস ফেলল। এর মাঝে সে খেয়াল করল আহিরা ও নিয়া দুই বোন একসাথে মিলে দুষ্টুমি করছে। এই কয়দিনে অনেক ভাব হয়ে গেছে তাদের। যদিও মাঝে মাঝে তাদের ঝগড়াও হয়। কারণ দুজনের স্বভাব ভিন্ন। আহিরা রাগী ও নিয়া শান্ত। তখন নেহাকেই তাদের সামলাতে হয়। এরমধ্যেই আহিরা নিয়ার চুল ধরে টান দিলো আর নিয়া কাঁদতে লাগল। তখন নেহা এসে বলল,
“আহিরা, বোনকে সরি বলো। বোনকে এভাবে মারতে নেই।”
আহিরা নেহার সব কথা মেনে নেয়। তাই সাথে সাথে বলল,
“সরি।”
এরপর সে নিয়াকে বললো,
“তোমার বোন তোমায় সরি বলেছে৷ এবার দুই বোন কোলাকুলি করে সব ঝামেলা মিটিয়ে নাও।”
নিয়াও বাধ্য মেয়ের মতো মায়ের কথা মেনে নেয়। নেহা খেয়াল করে কয়েকজন অভিভাবক তার দিকে বাকা চোখে দেখছে। তাদের মনোভাব নেহা জানে। কিন্তু ব্যাপারটা খুব একটা পাত্তা না দিয়ে সে তার মেয়েদের নিয়ে এগোতে থাকে। একটু দূরে যেতেই নেহা এক পার্কের সামনে বিষন্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা শাহরিয়ার কায়সারকে দেখতে পায়। এতদিন পর লোকটাকে দেখবে নেহা তা ভাবে নি৷ লোকটার চেহারা আর আগের মতো নেই৷ মুখটা মলিন, এলোমেলো চেহারা। নেহাকে দেখে শাহরিয়ার মাথা নামিয়ে নিলো লজ্জায়। নেহা অবাক হলো, যেই লোকটার মাথা একসময় দম্ভে উঁচু ছিল আজ প্রথম তাকে মাথা নত অবস্থায় দেখল সে। নেহা গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলো। শাহরিয়ার কায়সারের সম্পর্কে নিউজে দেখেছিল সে। একটা বড় শেয়ার ধসের পর তার কোম্পানি দেউলিয়া হবার পথে। শাহরিয়ার কায়সারের সামনে আসতেই সে নেহাকে বলে,
“নিজের অহংকারের যথাযথ শাস্তি পেয়েছি আমি। একসময় যেই অহংকারে মানুষকে মানুষ মনে করিনি আজ বুঝছি সেই অহংকারই আমার পতনের কারণ। আপনাকেও তো একসময় আমি ভীষণ অপমান করেছিলাম। আপনাকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছিলাম, আপনার পাওয়া চাকরি কেড়ে নিয়েছিলাম। সবকিছুর জন্য ক্ষমা চাইছি। পারলে ক্ষমা করবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারি।”
নেহা স্মিত হেসে বললো,
“যাক, এটা দেখে ভালো লাগল যে আপনি নিজের অন্যায়গুলো উপলব্ধি করতে পারছেন। জানেন তো, এই দুনিয়া বড্ড অপ্রত্যাশিত। কখন কি হয়ে যায় বলা যায়না। আজ যে রাজা কাল সে ফকিরও হতে পারে। তাই কোন সময় অহংকার করা উচিৎ না। আমরা সামান্য মানুষ, সৃষ্টিকর্তা চাইলে নিমেষেই আমাদের সব অহংকার চূর্ণ করতে পারেন।”
“হুম, বুঝতে পারছি।”
“আপনি যদি হৃদয় থেকে সত্যি অনুতপ্ত হন তাহলে আপনার এই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। জীবন কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো। চাইলে ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনরুত্থান ঘটানো সম্ভব। বর্তমান সময়টাকে একটা ছবক হিসেবে নিন। আচ্ছা, চলি ভালো থাকবেন।”
শাহরিয়ার কায়সার নতুন করে ভরসা পায় নেহার কথায়। অতঃপর দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
“আচ্ছা, আপনিও ভালো থাকবেন।”
★★
আহির কারাগার থেকে ইচ্ছা পোষণ করেছে নেহা ও তার মেয়েদের সাথে একবার দেখা করার শেষবারের মতো। নেহা এই আবদার ফেলতে চায় নি। কারণ এমনিতেই সে নিজের মেয়েদের নিয়ে দূরে চলে যাচ্ছে। হাজার হোক, আহিরের অতীত জীবনের জন্য তার প্রতি একটু হলেও দুঃখ হয় নেহার। তাই আর ফেরায় নি এই অনুরোধ। কারাগারের সামনে আহিরা ও নিয়াকে নিয়ে নেহা উপস্থিত হতেই আহির আহিরার দিকে তাকিয়ে বলে,
“প্রিন্সেস, পাপার কাছে এসো।”
আহিরা নেহার দিকে তাকায়। নেহা তাকে যেতে ইশারা করলে আহিরা যায়। আহির নিজের হাত জেলের বাইরে এনে আহিরাকে স্পর্শ করে বলে,
“তুমি ভালো আছ তো?”
“হুম।”
এরপর আহির তাকায় নিয়ার দিকে। এই মেয়েটিকে জন্মের পরই সে ত্যাগ করেছিল। আজ কি তার সাধ্য আছে তাকে কাছে টেনে নেয়ার। আহির দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। অতঃপর নেহার উদ্দ্যেশ্য বলে,
“বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। শুনলাম তুমি ওদের নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছ। তাই আহিরাকে একবার দেখার জন্যই..আর কখনো তোমাদের বিরক্ত করব না। কথা দিলাম আমি।”
নেহা কিছু বলে না। আহির আচমকা নেহার উদ্দ্যেশ্যে বলে,
“জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য তবুও আমি ক্ষমা চাইছি আরো একবার। এর থেকে বেশি আমার কিছু করার নেই। আমি জানি, যেভাবে তোমার জীবন বিনা কারণে আমি নষ্ট করে দিয়েছি তা আর ঠিক করতে পারবো না কিন্তু…”
নেহা বলে,
“যা হবার হয়ে গেছে। সেসব ভেবে আর কোন লাভ নেই। আপনি যদি সত্যি অনুতপ্ত হন তাহলে এই শাস্তিগুলোকে নিজের কর্মফল হিসেবে মেনে নিন। এতে হয়তো আপনার পাপের বোঝা হালকা হবে।”
বলেই সে চলে আসতে নেয় নিজের মেয়েদের দিকে। আহির যত সময় দেখা যায় চেয়ে রয় তাদের পানে। আহিরা যেতে যেতে আরো একবার ফিরে চায় আহিরের দিকে। আহিরের বুক চিরে দীর্ঘ শ্বাস বের হয়। নিজের করা অন্যায়ের জন্য আজ সে সব হারালো। আহিরের ইচ্ছা করছিল আহিরাকে নিজের বুকে টেনে নিতে কিন্তু সেটা আর হলো না। ধীরে ধীরে তারা তিনজন মিলিয়ে যেতে লাগলো। এপর্যায়ে আহির চেচিয়ে কেদে উঠল। আহিরার কথা ভেবে সে বললো,
“আমার প্রিন্সেস..”
অতঃপর নিয়া ও নেহার কথাও তার মনে এলো। আহির ভাবল, আজ যদি সে এত জঘন্য অপরাধ না করতো তাহলে তাকে এই অন্ধকার চার দেয়ালে কাটাতে হতো না। মুক্ত পৃথিবীতে শ্বাস নিতে পারতো সে, একটা সুন্দর পরিবারও হতো তার। কিন্তু সেসব সুযোগ সে নিজেই নষ্ট করেছে। আহির ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ল। তার এই পরিণতিই বুঝিয়ে দেয়, পাপের ফল আমাদের ভোগ করতেই হবে এক না এক সময়।
★★
নেহা ও তার মেয়েদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে এসেছে বিপাসা চৌধুরী ও আরাভ। একটু আগেই তারা এখানে আসার সময় রিনাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে নাতাশার সাথে জড়িত থাকার জন্য। এতদিন মেয়েটা লুকিয়ে ছিল। বিপাসা চৌধুরী সেসব ভেবে বলেন,
“মেয়েটা সবসময় কিরকম নাটক করত! বুঝতেও পারিনি ও এতো ডেঞ্জারাস।”
আরাভ নেহার কাধে হাত দিয়ে বলে,
“আমেরিকায় নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে তোর নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা রইল। আশা করি, অতীতের সব গ্লানি ভুলে নিজের জীবনটা তুই নিজের মতো গুছিয়ে নিতে পারবি।”
নেহা বলে,
“ধন্যবাদ, আরাভ ভাই। এভাবে একজন বন্ধু হয়ে একজন অভিভাবক হয়ে সবসময় আমার পাশে থাকার জন্য। তোমার অবদান আমি কখনো ভুলবো না। আমার জীবনে একমাত্র নায়ক তুমি যে সবসময় আমার পাশে থেকেছ। তুমিও নিজের জীবনটা গুছিয়ে নিও।”
আরাভ বিনিময়ে মেকি হাসে। ফ্লাইটের সময় হয়ে যায়। নেহা তার দুই হাতে তার দুই মেয়েকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। নিয়া যেতে যেতে আরাভকে বলে,
“ভালো থেকো মামা, আর মাঝে মাঝে চলে এসো আমাদের সাথে দেখা করতে।”
“আচ্ছা, নিয়ামনি। তুমি যখন বলছ আমি যাবো।”
আহিরা বলে,
“আমিও বলছি।”
“বাহ, তাহলে তো যেতে হবেই।”
বিপাসা চৌধুরী নেহাকে বলে,
“সাবধানে যাস। খেয়াল রাখিস নিজের আর নিজের মেয়েদের।”
সময়ের সাথে সাথে তিনজনেই বিদায় নেয়। বিমান আকাশে উড়াল দেয়। আরাভ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। বিপাসা চৌধুরী আকাশকে বলেন,
“তুই কি আদৌ নিজের জীবন সাজাতে পারবি আরাভ?”
“জানি না, তবে নেহার সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন জানাই। ও যা চায় তাই হোক। ওর সব সিদ্ধান্তেই আমি ওর পাশে আছি।”
★★
নিজের মেয়েদেরকে নিয়ে আমেরিকায় পা রাখলো নেহা। তার এক নতুন জীবন শুরু হবে এখানে। যা একান্তই তার শুধু তার। জীবনের উত্তল তরঙ্গে ভেসে আজ যেন তার জীবনে নতুন সূর্যদয়ের পালা।
✨ সমাপ্ত ✨
[সমাপ্তিটা আমি শিক্ষণীয়ই রেখেছি। পাপের ফল ভোগ–এটাই গল্পের বার্তা হওয়া উচিৎ। পাপকে নর্মালাইজ করা নয়। তবুও যাদের দয়া দেখাতে মন চায়, তাহলে আশেপাশে তাকিয়ে দেখুন অনেক মানুষ আছে যারা কোন অন্যায় না করেও শাস্তি পাচ্ছে তাদের দয়া দেখান। আহিরের মতো পাপীদের জন্য নয়। পাপের শাস্তি পেতেই হবে। এছাড়া অনেকের আপত্তি থাকতে পারে, নেহা কেন একা রইলো। কারণ নেহা এভাবেই সুন্দর। তাই ওকে এভাবেই রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন গল্প নিয়ে ফিরছি। ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ। সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন ❤️]