উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব-২৩

0
180

#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব২৩
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

উষ্ণ সকালে স্নিগ্ধ বাতাসের ছোঁয়া। মন মাতানো বেলি ফুলের সুবাস পুরো ব্যালকনি জুড়ে। সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে মনটা নিমিষেই ফুরফুরে হয়ে গেল। হাতে এক কাপ কফি নিয়ে সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করছি। পরিবেশটা বেশ সুন্দর লাগছে। কফি শেষ করে টেবিলে বসে পড়লাম। সবে সকাল সাড়ে ছয়টা বাজে। কিছু পড়া বাকি রয়ে গেছে তাই বই নিয়ে বসলাম। এক মনে পড়ছি এমন সময় ফোনে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। পড়ায় ব্যাঘাট ঘটায় মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। এই সকাল বেলা কোন মহান ব্যক্তি ম্যাসেজ দিলো? দেখার জন্য হাত বাড়িয়ে ফোন নিয়ে স্ক্ৰীনে খেয়াল করতেই সামনে ভেসে এলো কারো বার্তা,
“রৌদ্রময়ীকে রৌদ্রজ্জল দিনের শুভেচ্ছা”

ম্যাসেজটা দেখে ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো। আদ্র ভাই পারেও। মাঝে মাঝেই সকাল বিকেল যেকোনো সময় তার পক্ষ থেকে এমন ছোটো ছোটো বার্তা আসে। যেগুলো ছোটো হলেও আমার মন ভালো করার ওষুধ। মাথায় আদ্র ভাইকে জ্বালানোর বুদ্ধি এলো। যেই ভাবা সেই কাজ।
“শুভ সকাল আদ্র ভাই”

টাইপ করে পাঠিয়ে দিলাম। আদ্র ভাইয়ের রিয়াকশন দেখার জন্য বসে আছি। মুহূর্তের ব্যাবধানে ওপাশ থেকে রিপ্লাই এলো,
“দিলি তো সকাল সকাল মুডের বারোটা বাজিয়ে? বারবার ভাই ডেকে আহত করার চেয়ে একেবারে আঙ্কেল ডেকে নিহত করে দে”

আদ্র ভাই যে খেপেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। মিশন কমপ্লিট। তাকে জ্বালাতে না পারলে আমার যেন শান্তি লাগে না। এইযে তিনি রাগ করবে মুখ ফুলাবে বিষয়টা আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগে । আমার সকল জ্বালাতন, সকল আবদার, সকল অধিকার যেন এই মানুষটারে জন্যই রাখা। তাকে ছাড়া ইদানিং আমি অচল। মনে পড়ে গেল সেদিনের কথা। আদ্র ভাইয়ের কলার ধরে বলেছিলাম,
“তুমি আমার মানে আমার। শুধুই আমার। অন্য কেউ তোমার দিকে নজর দিলে তার চোখ তুলে ফেলবো”

আদ্র ভাই বিস্মিত নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। উনার চাহনি বলে দিচ্ছে উনি কতটা অবাক হয়েছে। হয়তো ভাবতে পারেনি আমি এতটা রেগে যাবো। নিজেকে সামলে আমার চোখে চোখ রেখে বলল,
“আমি তো সেই কবে নিজেকে রৌদ্রময়ীরে নামে লিখে দিয়েছি। এখন শুধু তার আধিপত্য বিস্তারের অপেক্ষা”

আদ্র ভাইয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। উনার চোখের দিকে তাকালেই ইচ্ছে করে এই মানুষটার ঝিল সম আঁখিতে ডুবে যাই। হারিয়ে যাই তার ভালোবাসারে শহরে। এভাবে কতক্ষন দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি তার ঠিক নেই। হটাৎ আদ্র ভাইয়ের ফোন বেজে উঠতেই দুজনের হুস ফিরলো। নিজেকে আদ্র ভাইয়ের এতটা কাছে দেখে চমকে গেলাম। ছিটকে দূরে সরে এলাম। আদ্র ভাই ও কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছে সেটা তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আদ্র ভাই নিজেকে সামলে ফোন রিসিভ করে কথা বলা শুরু করলো। একটু আগে রাগের মাথায় আদ্র ভাইয়ের এতটা কাছে গেলেও এখন লজ্জা লাগছে। লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলাম। আদ্র ভাই কল কেটে গাড়ি স্টার্ট দিলেন। গাড়িতে পিনপতন নীরবতা।
“তাকে রাগলে এতটা সুন্দর লাগে জানলে আমি আরো আগেই তাকে রাগাতাম। তার রাগের ধরণটাও যেন আলাদা। এইযে রাগলে তার গাল আর নাকে ডগা লাল হয়ে যায়। তখন তাকে পুরা রাগিনী লাগে। তার চোখের সেকি তেজ। সেই তেজের অনলে পুরো আমি ছারখার হয়ে যেতে চাই বারবার। মানুষ তার হাসি মুখের প্রেমে পড়ে,আমি তো তার রাগী চেহারার প্রেমেও পড়ি, তাও বড্ড বাজে ভাবে। এখন আমার কি হবে বলতো রৌদ্রময়ী?”

উনি যে ইচ্ছে করে আমায় লজ্জা দিতে চাচ্ছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি। এখন তার কথার জবাব দেওয়া মানে হলো নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা। তাই চুপ থাকাই শ্রেয়। বাকিটা রাস্তা নীরবেই কেটে গেল। বাড়িতে ঢুকে ড্রয়িং প্রবেশ করতেই সেই মানুষটার দেখা। ইভান ভাই ড্রয়িং রুমে বসে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কারো অপেক্ষা করছে। তার থেকে মুখ ঘুরিয়ে পিছনে তাকালাম। আদ্র ভাইয়ের হাস্যজ্জ্বল মুখ দেখে ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো। ইভান ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছেন। মনে মনে বললাম,
“খেলা তো মাত্র শুরু মিস্টার ইফরান খান ইভান। আপনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে যদি ছারখার না করেছি তো আমার নামও রোদ না”
——-

ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। আকাশে থালার ন্যায় মস্ত বড় চাঁদ। আকাশে তাঁরার অস্তিত্ব থাকলেও চাঁদটা যেন আকাশের সকল সৌন্দর্য কেড়ে নিয়েছে। তেমনই আমার জীবনের সকল সুখ যেন একটা মানুষকে ঘিরে। সেই মানুষটার নাম হলো ‘আদীব চৌধুরী আদ্র’। তার নামের মাঝেও যেন একরাশ মুগ্ধতা, স্নিগ্ধতা আর ভালোবাসা ঘিরে আছে। আমি এক মনে তার শহরে বিচরণ করায় ব্যাস্ত এমন সময় পাশে এসে কেউ দাঁড়ালো। আমার সেদিকে খেয়াল নেই।
“কার শহরে ডুবে আছিস শুনি?”

ঘোরের মাঝেই জবাব দিলাম,
“আদ্র নামক মানুষটার শহরে”

“সত্যিই?”

ধ্যান ভাঙলো এবার। হুস ফিরতেই পাশে তাকিয়ে আদ্র ভাইকে দেখে লজ্জা পেলাম। আমি কি ভুলভাল কথা বলার জন্য আর মানুষ পাইনা? ওনার সামনেই কেন আমায় এমন আবোল তাবোল বকতে হয়। এরপর লজ্জা পেতে হয়। এখন কি বলবো? ইচ্ছে করছে নিজের মাথায় নিজেই একটা বারি দেই। ধুর ভাল লাগে না।
“রৌদ্রময়ী যে আদ্রের শহরে পুরোপুরি ডুবেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই”

কি বলবো খুঁজে পাচ্ছি না। কথা ঘুরাতে আদ্র ভাইকে বললাম,
“আদ্র ভাই দেখো চাঁদটা কতো সুন্দর না?”

“আমার ব্যক্তিগত চাঁদের কাছে এটা কিছুই না”

দুজন এক মনে গল্প করছি। আমি বক করে চলেছি আর আদ্র ভাই গালে হাত রেখে মন দিয়ে শুনছে। গল্প করতে করতে কখন যে সময় পেরিয়ে গেল দুজনের খেয়াল নেই। কথার এক পর্যায়ে বললাম,
“তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ”

“ধন্যবাদ কেন?”

“আজকে এতো সুন্দর একটা সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য”

“উপহারের বদলে উপহার দিতে হয় জানিস না?”

“কিন্তু আমার কাছে তো কিছু নেই”

“কে বলেছে তোর কাছে কিছু নেই? তোর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা আছে”

“কি সেটা?”

“আস্ত তুমি”

“মানে?”

“আস্ত তুমি’টাই যে আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান উপহার”

এই মানুষটা সব সময় আমায় মুগ্ধ করে তার কথা দ্বারা। বিমোহিত করে তার আচরণ দ্বারা। তার কথার বিপরীতে কিছু বলার মতো খুঁজে পাচ্ছি না। আদ্র ভাই নিজ উদ্যোগে পুনরায় কথা বলা শুরু করলেন। দুজনে ডুবে আছি গল্পের শহরে। রাত তখন একটা বেজে বারো মিনিট। আদ্র ভাই বললো,
“কালকে আমি চলে যাবো। সাবধানে থাকবি। নিজের খেয়াল রাখবি”

উনার চলে যাওয়ার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। চোখ গুলো ছলছল করে উঠলো। আদ্র ভাই গালে হাত রেখে আদুরে কণ্ঠে বলল,
“মন খারাপ করছিস কেন? ইচ্ছে করলেই ফোন দিবি আমি চলে আসবো তোর কাছে”

“আমি তোমায় অনেক মিস করবো আদ্র ভাই”

চোখ বেয়ে কয়েক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো। আদ্র ভাই আলতো হাতে সেগুলো মুছে নিলেন। কপালে ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিয়ে উষ্ণ আলিঙ্গনে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলেন আমায়। কানের সাথে মুখ মিশয়ে ফিসফিস করে বলল,
“আমার রৌদ্রময়ী তো এতটা অবুঝ নয়? এতটা অবুঝ হলে চলে?”

আমি কিছু বললাম না। আদ্র ভাইয়ের যাওয়ার কথা শুনে মনের মাঝে শুন্যতা জেগে উঠলো। মিশে রইলাম আদ্র ভাইয়ের বুকে। কিছু সময় পর আদ্র ভাই নিজের থেকে আমায় ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
“এখন দেখছি তুই আর আমায় শান্তিতে থাকতেও দিবি না। দাঁড়া তোর একটা ব্যবস্থা করতেই হচ্ছে। আম্মুকে বলে তার ছেলের বউ ঘরে তোলার ব্যবস্থা করতেই হবে। যদিও এখনো আমার বিয়ের বয়স হয়নি তবে তোর জন্য আর সিঙ্গেল থাকা যাবে না, এটা বুজতে পারছি। ওয়েট কর শীঘ্রই তোকে আমার মনের কুঠুরিতে বন্দি করার ব্যাবস্থা করছি”

আদ্র ভাইয়ের কথায় তার বুকে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে তার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে চলে এলাম। পিছন থেকে আদ্র ভাইয়ের উচ্চস্বরে হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এক দৌড়ে নিজের রুমে এসে দরজার দিলাম। হার্ট অসম্ভব গীতিতে লাফাচ্ছে। লজ্জায় মুখ ঢেকে নিলাম।

পরেরদিন সকালে আদ্র ভাই চলে গেলেন। আমি নিশ্চল চোখে তাকিয়ে আছি তার যাওয়ার দিকে। মানুষটা দিন দিন আমায় তার প্রতি দুর্বল করে দিচ্ছে। তাকে ছাড়া এখন কিছুই ভালো লাগে না।তার অনুপস্থিতিতে সকল কিছু শুন্য শুন্য লাগে।
——

মেডিকেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আজকে ইভা আসেনি শুভ ভাইয়ের এমার্জেন্সি অপারেশন আছে তাই তিনি পরে যাবেন। বাড়ি থেকে গাড়ি আসার কথা সেই জন্য দাঁড়িয়ে আছি। পাশে তিথির ননস্টপ বকবক করেই চলেছে। একটু পর সামনে এসে থামলো একটা গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে এলো ইভান ভাই। ওনাকে দেখে মেজাজ টা বিগড়ে গেল। আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে বলল,
“গাড়িতে ওঠ”

ওনাকে দেখে আমার বিরক্তির শেষ নেই। একে যতই এড়িয়ে চলতে চাচ্ছি তিনি যেন ততই সামনে এসে হাজির হচ্ছেন। কয়েকদিন যাবত ইভান ভাইকে ইগনোর করে চলেছি। ইভান ভাইকে দেখে তিথি ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলো,
“এটা কে রে?”

“আমার কাজিন। ইভার ভাই”

“তোর এতো সুন্দর কাজিন আছে আগে বলবি না”

“গরু ,ছাগলকে নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছে আমার নেই”

“এতো সুন্দর একটা ছেলেকে গরু, ছাগলের সাথে তুলনা করছিস?”

বিরবির করে বললাম,
“তিনি এর চেয়েও নিকৃষ্ট”

“কিছু বললি?”

“তোর যদি ইচ্ছে হয় গলায় ঝুলে পড়তে পারিস”

“সত্যি বলছিস?”

“হ্যাঁ”

তিথি আমার কথা শুনে এগিয়ে গেল। ইভান ভাইয়ের সাথে নিজ থেকে কথা বলা শুরু করলো ইভান ভাই ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলতেও পারছে না। ওরা কথা বলায় ব্যাস্ত আমি ওদের রেখে হেঁটে সামনে এগিয়ে এলাম। কোনো মতেই আমি ইভান ভাইয়ের সাথে যাবো না। কিছুদূর আসতেই একটা গাড়ি এসে সামনে থামলো। সামনের মানুষটাকে দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠলো। উঠে বসলাম তার পাশের সিটে।
“তুমি একদম ঠিক টাইমে এসেছো। কোথাও নিয়ে চলো তো? মন ভালো নেই”

আদ্র ভাই কিছ বললেন না। গাড়ি ড্রাইভ করার মন দিলেন। কাছের একটা সুন্দর রিসোর্ট আছে। আদ্র ভাই আমাকে সেখানে নিয়ে এলেন। দুজন মিলে সময়টা সুন্দর কাটলো। আদ্র ভাই আমায় বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলেন।
“বাড়িতে এসো?”

“না। জরুরি মিটিং আছে যেতে হবে আমায়”

“তুমি আগে বলবে না তোমার মিটিং আছে। তাহলে আজকে না গেলেই হতো”

“রৌদ্রময়ীর জন্য আমার অফুরন্ত সময়। তুই বাড়িতে যা রাতে কথা হবে”

বিকেল বেলা ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। বাড়িটা ইদানিং কেমন মনমরা হয়ে রয়েছে। সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া হয়না অনেক দিন। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। হটাৎ হাওয়ার বেগে কেউ এসে হাত মুচড়ে ধরলো। সামনের মানুষটাকে দেখে মেজাজ সপ্তম আকাশে উঠে গেল।
“আদ্রর সাথে এতো কিসের ভাব তোর? আমি যে গাড়ি নিয়ে গেলাম আমায় চোখে পড়েনি? আমায় ফেলে আদ্রর সাথে চলে গেলি। আমায় এতো ইগনোর করছিস কেন? কি সমস্যা তোর?”

হাতে ঘুরিয়ে তার হাত মুচড়ে ধরে বললাম,
“আপনি আমায় এসব কথা জিজ্ঞেস করার কে? আপনার কোনো অধিকার নেই আমায় এগুলো জিজ্ঞেস করার। আর আপনি ভালো করেই জানেন আপনাকে ইগনোর করার কারণ। আবারো বলছি দূরে থাকবেন আমার থেকে, নাহয় ভালো হবে না”

“আমি তো ক্ষমা চাচ্ছি। আমায় কি ক্ষমা করা যায়না? আমার তোকে চাই”

“ভুলের ক্ষমা হয় অন্যায়ের নয়। আর আপনার হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। সাবধান করে দিচ্ছি এরপর আপনাকে আমার সামনে দেখলে ভালো হবে না। আপনি আপনার মতো থাকুন আমায় আমার মতো থাকতে দিন। ফের আমার জীবনে আসতে চাইলে ধ্বংস হয়ে যাবেন”

“ধ্বংস হলে হব। তবুও আমার তোকে চাই”

ইভান ভাইয়ের হাতে ঝাড়া দিয়ে ফেলে চলে এলাম। আর কিছুক্ষণ ওনার ইডিয়েট মার্কা কথা শুনলে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যেত। কি থেকে কি করে বসতাম তার ঠিক নেই। বড় বড় নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করলাম। ফোনের ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম আদ্র ভাইয়ের নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এসেছে।
“না থেকেও কেউ কেউ থেকে যায়!
অভিমানে, আক্ষেপে,অপেক্ষায় কখনো পরিচিত পারফিউমের ঘ্রাণে, কিংবা ফেলে যাওয়া ডাক নামে!

থেকে যায় প্ৰিয় কবিতায়, বিষণ্ণ গানের লাইনে, বিকেলের শুন্যতায় কিংবা ঘোর লাগানো একাকিত্বে!

মাঝে রাতে অশ্রু হারায় বুকেরগভীরে তীব্র ব্যাথায়,
আর সবশেষে আমার মতো রৌদ্রময়ীর ভালোবাসারে পরশে আগলে নেওয়ারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়”

চলবে।