#একি_বন্ধনে_জড়ালে_গো_বন্ধু
#তৃতীয়_পার্ট
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া
বিয়ের ছয় দিন কেটে গিয়েছে । পুষ্পি এর মাঝে একবার বাড়িতেও গিয়েছিল। একা যায়নি, বউভাতের পর সবাই মিলে গিয়েছিল। এই পাঁচ দিনে অনেক অনেক পরিবর্তন হয়েছে মেয়েটার জীবনে। কত কত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে! সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে শাহরিয়ারের সামনে। মানুষটার ঠোঁটকাটা স্বভাব, লজ্জায় ফেলে দেয় প্রায়শই। সেদিন সকালের কথাই ধরা যাক?
সেদিন সকালে শাহরিয়ারের আত্মচিৎকারে ঘুম ভাঙে ওর। ও চোখ মেলে চাইতেই বলে, “পুষ্প তুমি আমার এত কাছে এসে ঘুমাচ্ছ কেন?”
পুষ্পি হকচকিয়ে উঠে বসল। মানুষটা কাছে এসে বলল, “বাই এনি চান্স তুমি কি…..”
কথা অসম্পূর্ণ রেখে খুব দুষ্টু দুষ্টু হাসল।
পুষ্পি দূরে সরে বলল, “এই না, ছিঃ!”
সে তার জগৎ বিখ্যাত বিদঘুটে হাসিটা দিতে এক মূহুর্ত দেরি করল না।
পুষ্পির এই ছয় দিনে বেশ কয়েকবার মনে হয়েছে, লোকটা কি মাস্টারি করতে করতে পাগল হয়ে যাচ্ছে নাকি? নচেৎ দিনে-দুপুরে এমন চিৎকার করে ওর এত সুন্দর ঘুম ভাঙানোর কোনো মানে হয়? তার উপর আবার এমন আবল-তাবল কথা!
মুনমুনের সাথেও খুব সুন্দর একটা বন্ডিং গড়ে উঠেছে। মেয়েটার মনে যে একটু একটু প্রেম প্রেম হাওয়া বইছে সে ব্যাপারেও সে অবগত হয়েছে।
একদিন একটা কাচের শোপিস এনে বলল, “ভাবী? এটা সুন্দর না দেখ? এটা মিয়াদ দিয়েছে। দেখ, এখানে ‘এম’ লেটার লেখা আছে। ‘এম’ আমাদের দুজনের নামের ফার্স্ট লেটার। দিজ ইজ সো সুইট। খুব পছন্দ হয়েছে এটা আমার।”
হরবর করে একগাদা সুনামও করল বৈ কি!
পুষ্পি বলল, “ও কি তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড?”
মুনমুন মুখের হাসি বিস্তৃত করে বলল,”হ্যাঁ। খুব প্রিয় ফ্রেন্ড!”
এরপর একটু থেমে পুষ্পিকে জিজ্ঞেস করল,”আচ্ছা তোমার কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড নাই?”
পুষ্পির কিঞ্চিৎ মন খারাপ হলো। খানিকক্ষণ চুপ থেকে বলল, “না।”
ওর সত্যি কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড নাই, যাকে মন উজার করে সব বলা যায়। সর্বদা এমন ঘরকুনো হয়ে থেকেছে যে, ওর রাজ্যে ও ব্যতিত খুব অল্প সংখ্যক মানুষের আগমন ঘটেছে। জীবনে এই কুড়িটা বসন্তে এসে বোধহয় কিঞ্চিৎ বৈচিত্র্য দেখা দিয়েছে। নচেৎ তার জীবন ছিল গতিহীন, ছন্দহীন, পানসে জীবন! আপন তেমন কেউই ছিল না, ওই এক নানু ছাড়া। এক খালা তারও বিয়ে হয়ে গিয়েছিল সেই ছোটবেলায়। খালা তাকে ভালোবাসে, সে তা বোঝে কিন্তু সখ্যতা তেমন গড়ে উঠতে পারেনি। ওই এক নানু ছাড়া কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারে না। কেউ নেই অমন! এমনকি বাবা থেকেও নাই! এত অভিমানী দূরত্ব তাদের! আচ্ছা তবে কি নানু-ই তার বেস্ট ফ্রেন্ড? হ্যাঁ, তাই তো!
নানুর কথা মনে পড়তেই পুনরায় পুষ্পির মনটা হুহু করে উঠল। ওর এই অসুস্থ নানুটাকে ওর মতো করে কে দেখভাল করবে এখন!
.
আছড়ের আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে চারদিক থেকে। সূর্যের তাপ নেতিয়ে আসছে। আলোটা চোখে ঝিলমিলে কমলা রঙ ছোঁয়ায়। পুষ্পি ওযু করে নামাজ পড়ে নিল।
শাহরিয়ার বাসায় নেই৷ কই কে জানে? এত বড় বাসা অথচ মানুষ এত কম! পুষ্পি শাশুড়ির সাথে গল্প করতে ড্রয়িং রুমে এলো। এসে দেখতে পেল পাশের বাসার এক আন্টি বসে বসে গল্প করছিল। তিনি বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ‘আমিনার মা’ হিসেবে সমাদৃত। পুষ্পিকে দেখতে পেয়ে তার মন বাসনা পূর্ণ হওয়ার দোর খুলে গেল। যেন এতক্ষণ তিনি এই সুবর্ণ সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন।
তিনি উৎফুল্ল হয়ে বললেন, “আরে নতুন বউ যে! আসো আসো। তোমায় নিয়েই কথা বলছিলাম। কেমন লাগছে বলো নতুন সংসার।”
পুষ্পির সুন্দর গুন গুলির একটি হলো সে বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে সর্বদা হাসি মুখে কথা বলে। সে তার স্বভাবতই হাসিমুখ রেখে বলল, “আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।”
আমিনার মা যেন এত অল্পে তুষ্ট হলেন না। আরো কথা যেন তিনি নববধূর মুখে শুনতে চাচ্ছেন।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন যাবত একত্রে উঠাবসা করে আসা সাবেরী খাতুন যেন তার মনের তেষ্ঠা টের পেলেন। মৃদু হেসে বললেন, “আমার বউমাটা বাকপটু না। অল্পভাষী বউ আমার৷”
আমিনার মা কিঞ্চিৎ খোঁচার সুরে বললেন, “তা মেয়ের কি শুধু বাক্যবিনিময়ে সল্পতা নাকি বাদবাকি সব দিকেই? বাবার বাড়ি থেকে কী কী এনেছ বউমা?”
পুষ্পির মন একদমই শক্ত না, খুব নরম মন। সেই সাথে আবেগপ্রবণও। এইযে এই অল্প কথাতেও কান্না পেয়ে যাচ্ছে!
সাবেরী খাতুন ব্যাপারটা লক্ষ্য করল। তিনি একজন মমতাময়ী মা। নিজ বাচ্চাদের আগলে রাখার সুনিপুণ দক্ষতা তার আছে। আমিনার মার প্রশ্নের জবাবটাও দিল চমৎকার ভাবে। সুন্দর হেসে বলল, “আস্ত একটা রত্ন নিয়ে এসেছি ঘরে! আর কি চাচ্ছেন ভাবী? এমন রত্নের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু কি আছে এ জগতে?”
আমিনার মায়ের মুখে কুলুপ এঁটে দেয়ার জন্য এই দুটো লাইনই যথেষ্ট ছিল। সাবেরী খাতুন যে তার সদ্য সংসারী বউয়ের ঢাল হয়ে দাঁড়াবে তা যেন বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেনি তিনি। এমনকি পুষ্পি নিজেও ভাবতে পারেনি এমন উত্তর আসবে তার শাশুড়ী মায়ের মুখ থেকে! এমন করে উচ্চ স্থানে বসাবে তাকে! চোখ জোড়া যেন এবার আরো দু’ধাপ এগিয়ে টলমল করে উঠল।
আমিনার মা আর কথা আগানোর উপায় খুঁজে পেল না। আর অপদস্ত হতে চায় না বলেই হয়তো আপসে চলে গেল কোনোমতে।
আমিনার মা যেতেই সাবেরী খাতুন আওয়াজ করে হেসে ফেলল। পুষ্পিকে হাতের ইশারায় কাছে টেনে বলল, “কাছে এসে বস মা।”
পুষ্পি কাছে গিয়ে বসল। চোখ ছলছল।
সাবেরী খাতুন, পুষ্পির মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,”কথায় কথায় এমন কেঁদে ফেলিস কেন? মেয়ে মানুষদের শক্ত হতে হয়। যেন লোহার আঘাতেও না মোচকে যায়। আমি তো জানি তুই অনেক আলাদা। এত কঠিন পরিস্থিতি মানিয়ে এসেছিস সেই ছোট্ট বয়স থেকে, তোর কী এত কাঁদুকাঁদু স্বভাবের হলে চলে? বাজে কথার জবাব দিতে হয় শক্ত কথায়। এতে দোষের কিছু হয় না। বরং সবসময় চুপচাপ সবকিছু মেনে নেয়াটাই অন্যায়৷ এতে দোষী লোকগুলো অন্যায় কথা বলতে, অন্যায় কাজ করতে সুযোগ পায়। বুঝেছিস? মনে থাকবে আমার কথা?”
পুষ্পি দুবার মাথা নাড়ায়। আনন্দে ভরে ওঠে ওর মন। এত মমতা এই মানুষটার প্রত্যেকটা শব্দে! কতবছর পর মনে করতে পারছে না, তবে বেশ অনেক বছর পর পুষ্পির মুখে একটা মায়াময় শব্দ উচ্চারিত হল, “মা! আমি আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরি?”
এতক্ষন যাবত মন শক্ত রাখতে বলা মানুষটার মনই এবার গলে জল হয়ে গেল। ছলছল চোখে, দু’হাতে জড়িয়ে ধরে বলল, “পাগলী মেয়ে একটা।”
এত সুন্দর দৃশ্য পৃথিবীতে খুব কম সময় আসে। এমন মায়া পৃথিবীর প্রত্যেক সম্পর্কের মাঝে কাম্য।
শাশুড়ী-বউ এর এই আবেগ ঘন মূহুর্তে হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠল। সাবেরী খাতুন পুষ্পিকে ছেড়ে দিয়ে বলল, “যাও, শাহরিয়ার এলো বোধহয়।”
পুষ্পি স্মিত হেসে দরজা খুলতে গেল। এবং দরজা খুলে দিতে খানিক চমকে গেল। একগুচ্ছ কিশোর-কিশোরী হাতে ফুল আর গিফট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এদের মধ্য থেকে খুব মিষ্টি দেখতে একটা মেয়ে বলল, “আসসালামু আলাইকুম! আমি লাবন্য। আপনিই তো স্যারের বউ তাই না? খুব সুন্দর দেখতে আপনি। আমরা একটু জ্বালাতে এসেছি। স্যার কি আছেন বাসায়?”
পুষ্পি খুব চমৎকার হেসে বলল, “না নেই। ভেতরে আসো তোমরা। এক্ষুণি চলে আসবে।”
সবাই সব ফুলগুলো পুষ্পির হাতে দিল৷ পুষ্পি ওদের কান্ড দেখে অবাক না হয়ে পারল না।
মুনমুনও রুম থেকে বেড়িয়ে এসেছে ততক্ষণে। নিজের বন্ধুবান্ধব দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠল। তবে সে প্রথমেই জানতে চাইল, “মিয়াদ আসেনি?”
একজন জবাব দিল, “ওর পেট খারাপ।”
বাকিরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল।
মুনমুন বলল, “বেয়াদপ! হাসছিস কেন? ছেলেটা অসুস্থ আর তোরা হাসিঠাট্টা করছিস! খারাপের চূড়ান্ত!”
আরেকজন বলল, “ইশশ! আসছেরে মানব দরদী৷ দরদ যে কেন, তা আর ফাঁস না করলাম।”
এবার সবাই মিটিমিটি হাসল।
পুষ্পি সরবত বানাতে বানাতে তাদের খুনসুটি দেখল দূর থেকে। চঞ্চল বাচ্চাগুলো!
তবে এদের মাঝে ব্যতিক্রম লাবণ্য। সে চুপচাপ বসে আছে এক কোনায়। গম্ভীর মুখ। কী যেন অজানা দুঃখ তার। আশেপাশের সবকিছু দেখছে খুঁটিয়ে খুৃঁটিয়ে। চোখ ভর্তি আক্ষেপ।
পুষ্পি যখন শরবত দিতে গেল, তখন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল পুষ্পির দিকে।
পুষ্পি ভাবল, সাথের বন্ধুবান্ধব সব এত উৎফুল্ল। এইটুকু এক মেয়ে তার কিসের এত দুঃখ? কি ভাবছে সে?
চঞ্চল বাচ্চাগুলো থেকে একজন বলল,”চল চল, চলে যাই স্যার আসার আগেই। নাহয় আবার বকাঝকা শুরু করে দিবে।”
আরেকজন বলল, “আরে ধুর, নতুন মানুষের সামনে কি বকাঝকা করবে নাকি! প্র্যাস্টিজের একটা ব্যাপার-স্যাপার আছে না?”
এ কথা শুনে পুষ্পি হেসে ফেলল। বলল, “তোমাদের স্যার খুব রাগী নাকি?”
মুনমুন বলল, “কি বলো ভাবী! রাগী মানে! রাগীর হেডমাস্টার। তুমি তো কিছুই দেখনি এখনও। দেখলে বুঝতা! এক ধমকে পুরো ক্লাস চুপ হয়ে যায়! এবার বোঝ কেমন রাগী।”
লাবণ্য বলল, “সুযোগ পেয়ে অমন ভালো মানুষটার নামে একগাদা নালিশ করে যাচ্ছিস! তোরা একেকটা মস্ত বড়ো ফাজিল হয়েছিস।”
আরেক বিচ্ছু ফোরন কেটে বলল, “ওরে আমার ভালো মানুষটারে! বলবো নাকি ম্যামকে, ভালো মানুষির আসল কারণ?”
লাবণ্য দ্রুত মুখ চেপে ধরে বলল, “চুপ, একদম চুপ।”
উচ্ছ্বসিত প্রাণগুলো মাগরিবের একটু আগে আগে চলে গেল। হৈ-হুল্লোড়ে মজে থাকা ঘরটা পুরো নিশ্চুপ হয়ে গেল। পুষ্পি সময়গুলো খুব উপভোগ করেছে। কিন্তু ছেলেমেয়েগুলো যাওয়ার পর পুষ্পি এমন একটা চিরকুট পেয়েছে যা তাকে বিস্মিত করেছে! উঁকি দিল এক প্রশ্ন, “কে দিল এই চিরকুট?”
শাহরিয়ার বাড়িতে এলো মাগরিবের অনেক পর। পুষ্পি তখন নিজের আর শাহরিয়ারে কিছু জামাকাপড় ভাজ করছিল। শাহরিয়ার প্রথমে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কাশি দিল। পুষ্পি একবার ঘুরে তাকিয়ে শাহরিয়ারকে দেখল। তারপর আবার নিজের কাজ করতে লাগল।
মানুষটার ভ্রু কুঁচকে এলো। এত বড়ো অসম্মান! সে এসেছে দেখার পরও এমন করে অগ্রাহ্য! শার্ট পরিবর্তন করতে করতে বলল, “তোমার ‘স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য’ টাইপ কিছু বই পড়া উচিৎ। এমন ভাবে অগ্রাহ্য করছো যে, হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছে। এমন জানলে ডাক্তারি পড়তাম, যেন হৃদয় ভেঙে গেলেও জোড়াতালি দিয়ে শেলাই করতে পারতাম।”
পুষ্পির খুব হাসি পেল। মানুষটা এমন পাগল!
আর ছাত্রছাত্রীরা বলে, এ নাকি আবার রাগী! পুষ্পির ভারী অবিশ্বাস হয়।
এরপর আর ঘুমানোর আগ অব্দি তাদের খুব বেশি বাক্যবিনিময় হয়নি।
রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে দুজন রুমে আসে। এরমাঝে পুষ্পি চিরকুটটা এমন কায়দা করে রাখে, যেন শাহরিয়ার ঘুমাতে গেলেই দেখতে পায়।
হলোও তাই।
শাহরিয়ার যখন শুতে গেল তখন তার নজরে পড়ল চিরকুটটা। গোটাগোটা অক্ষরে লেখা, “স্যার, আপনার নতুন জীবন সুন্দর হোক, সুখের হোক। আমার মন আধারে ছেঁয়ে যাক, দুঃখে ভেসে যাক, তাতেও আমার আফসোস নেই। আপনি আমার প্রিয় ছিলেন, আছেন, থকবেন।”
ছোট্ট একটা চিরকুট কিন্তু অনেককিছু বলতে চাওয়ার আকুতি। এগুলো ফ্যাসিনেইশন। শাহরিয়ার মৃদু হাসে। সে জানে কাজটা কার। বাচ্চা বাচ্চা মেয়েগুলোর মাথায় ভূত!
পুষ্পি ততক্ষণে এসে শুয়ে পড়েছে। শাহরিয়ার ডাকল, “পুষ্প?”
পুষ্পি ছোট্ট করে জবাব দিল, “হুহ!”
“আমি তোমাকে পছন্দ করতে শুরু করেছি। নিজের স্বামীকে আঁচলে বাঁধ।”
পুষ্পি বোধহয় জীবনে প্রথমবার কারো অবাধ্য হলো। কাটকাট কন্ঠে বলল, “পারবো না।”
মানুষটা অবাধ্যকেও বাধ্য করতে জানে। পুষ্পিকে টেনে একেবারে নিজের সাথে করে নিল। হাত দিয়ে হাত আটকে বলল, “পারবা না মানে? পারতেই হবে। একশবার পারবা, হাজারবার পারবা। পারতে তুমি বাধ্য। আমি তোমার বাধ্য করা স্বামী!”
এরপর রাতটা বদলে গেল, বাধ্যবাধকতায়! নিশুতিচাঁদটা উঁকি দিল এক কপোত-কপোতীর ভালোবাসার আঙিনায়।
(চলবে)……