এক আকাশ রুদ্ধশ্বাস পর্ব-০৪

0
1
এক আকাশ রুদ্ধশ্বাস" পর্ব- ১ (নূর নাফিসা)

#এক_আকাশ_রুদ্ধশ্বাস
#পর্ব- ৪
(নূর নাফিসা)
.
.
গত রাত থেকে এই পরিবারের চোখেও ঘুম নেই। শাবাব বিয়ে করতে গেছে, তা কেবল রুনা-ই জানতো। আর তা জানার পর থেকে স্ত্রীর উপর রাগ হয়ে আছেন শামসু মোল্লা। উপর দিক থেকে রাগ দেখাচ্ছেন। ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যাচ্ছিলেন৷ শুনেছেন নিয়াজীর ছেলেপুলেরা হাতে স্ট্যাম্প, দা নিয়ে টহল দিচ্ছে পুরো গ্রাম; দেখেছেন বড় ছেলে তানভীর রাতেও কেমন হুমকি ধামকি দিয়ে গেলো বাড়ি এসে৷ বুকের ভেতরের অবস্থা তখন থেকেই নাজেহাল হয়ে রইলো৷ তার ছেলেটা বুঝি গেলো! নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলো! কেন পালাতে গেলি, অন্যের চোখের মণি নিয়ে? তুইও যে কারো রত্ন, সেটা কী একবার ভাবলি না?

শামসু নিজেও ক্ষিপ্ত বেগে আত্মীয়ের বাড়ি বাড়ি তালাস করে চলেছিলো। এই রাত তার জন্য কী বার্তা নিয়ে আসে, ভেবে কুলাতে পারেনি। তাদের দলবলের হাতে যা অস্ত্র দেখলো, রাগের মাথায় নির্দয়ভাবে যদি সত্যি সত্যিই তা চালনা করে থাকে; এই রত্ন পোষা বুকের ভিটা ছারখার হয়ে যাবে। যা কখনোই কাম্য নয়। তাই অস্থির হয়ে ছোটাছুটি করছিলো আর মালিকের নিকট প্রার্থনা করছিলো, তিনি তো সর্বদ্রষ্টা; ছেলেটাকে যেন আত্মীয়ের বাড়িই মিলিয়ে দেন। সে যেন মেয়েটাকে নিয়াজীর কাছে ফিরিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে নিজের সাথে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। গম্ভীর পরিস্থিতিটা যেন শান্তভাবে আপোষ মিটিয়ে দেয়। কিন্তু রাতের ক্লান্তি নির্ভয় করতে পারেনি তাকে। সময় গড়ালো, মনের অস্থিরতা দিকবিদিকশুন্য হয়ে পড়লো। ছেলেটার কী হলো? রাত তো কেটে গেলো! আর এখন সকাল হতেই আবার এলো নিয়াজীর ছোট ছেলে। হুটহাট ঘরে ঢুকে ধুমধাম চলাচলে খাটের নিচ, ঘরের আনাচেকানাচেতে সব উলটপালট করে তাদের খুঁজে গেলো। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি না পেয়ে তার একমাত্র মেয়ে শামীমাকে তুলে নিয়ে গেলো। বাবা মা সামনে থেকে কিছুই করতে পারল না। বাবার বুকে ব্যথা উঠে গেলো উচ্চ রক্তচাপে। তাদের সাথে তাই জোরাজোরি করতে পারলো না। দিশেহারা মা কোনদিকে ছুটবে, সিদ্ধান্তই নিতে পারল না পাগলপ্রায় হয়ে। মেয়েটা চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলো, সে যাবে না। মেয়েকে রেখে স্বামীর দিকে ছুটে একবার, স্বামীকে রেখে আবার মেয়ের দিকে। সৈকতের এক কথা, তার বোনকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের মেয়ে নিয়ে আসবে। সে বোন পাবে না, তো মেয়েকেও আর পাবে না। তারাও উপলব্ধি করুক, স্বজন হারানোর বেদনা!

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে শামসু ছুটে এসেছে নিয়াজীর বাড়ি। টিনচালায় গড়া বারান্দাযুক্ত একতলা বাড়ি। ঘর আছে বেশ কয়েকটি। তিনদিক ঘেরাও হওয়ায় উঠুনে দাঁড়ালে দেখতে অনেকটা জমিদার বাড়ির অন্দরমহলের মতোই মনে হয়। পার্থক্য শুধু তলা আর চালার দিক থেকে। সামনে আছে অবিভক্ত লম্বাটে বারান্দা। লোহার গড়নে খাঁচার মতো করে রাখা। গোছানো, দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। অথচ মনগুলো কী ভয়ানক নির্দয়, পাষাণ! যদিও এর আগে এমন ধারণা তাদের প্রতি আর আনা হয়নি। তবে ক্ষমতা ও ক্ষিপ্ততা সম্পর্কে অজানা নয়। পুরো বাড়ি নিরব। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। বারান্দার গেট খোলা। ঘরের দরজা দেখাচ্ছে বন্ধ। তবুও শামসু বারান্দার গেটে কড়া নাড়ে। লোহার গেটে টনটন আওয়াজ তুলেও ভাঙা গলায় ডাকাডাকি করে।

“কেউ নাই ঘরে? বাড়িতে কেউ আছেন?”

তার ডাকাডাকি আর কড়া নাড়ায় ঘরের দরজা খুললো। একজন যুবতী বেরিয়ে এসেছে বাইরে। কোলে তিন বছর বয়সী বাচ্চা আছে। কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। মেয়েটিকে আগে দেখেছে বলে মনে পড়ে না শামসুর। তবে আন্দাজ করে তানভীরের বউ হবে। এ বাড়ির পুত্রবধূকেই কেবল সে চিনে না। বাকিরা সবাই পূর্ব পরিচিত। শামসুর ভাঙা গলাটা কেমন কান্না ভঙ্গিমা প্রকাশ করে নীলার কাছে।

“মাগো, আমার মেয়েটা কোথায়? মেয়েটা কোথায়? ওকে ছেড়ে দিতে বলো, মা।”

নীলার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে আছে শামসুর অস্পষ্ট কান্না দেখে। মুখে কোনো শব্দ নেই। শামসু ভেবেছে, এ ব্যাপারে জ্ঞাত নয় নীলা। তাই আবার বলে,

“সৈকত জেদ করে আমার মেয়েটাকে তুলে এনেছে। তার কী দোষ, বলো? ওরা কোথায়? নিয়াজ ভাই কোথায়?”

নীলা কথার থেকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে তার ভাবভঙ্গিমায়। লোকটার জন্য খারাপ লাগছে তার। আবার নিজ পরিবারের জন্যও খারাপ লাগছে। ননদিনীকে পাগলের মতো খুঁজছে বাপ ভাইয়েরা। কে বেশি দোষী, তা ভেবে ঠাহর করতে পারছে না। মলিন মুখে ছোট করে জবাব দিলো,

“তারা বাড়ি নেই। আব্বা হয়তো থানায় গেছেন।”

ভঙ্গুর বেশে শামসু নিয়াজীর উঠুন ছেড়ে গেলো। তার মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে গেলো? শামসু দৃষ্টি সীমা অতিক্রম করে যেতেই নীলা দৃষ্টি ফিরিয়ে সৈকতের ঘরের বন্ধ দরজায় তাকায়। শ্বশুর আব্বা বাড়ি না থাকলেও এই অসহায় পিতার মেয়েটা বাড়িতেই আছে। ওই ঘরটায় আছে। হয়তো খুব চিৎকার করতে চাইছে৷ কিন্তু চিৎকার করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। কেবলই চাপা পড়ে আছে আঁধারের গহীনে। মেয়ের চাপা আর্তচিৎকারই হয়তো বাবার হৃদয়কে ডেকে এনেছে৷ যদিও বাবা শূন্য এসে শূন্যই চলে গেছে।

থেমে থেমে বাস চলছে। বাসের শেষ সিটে শাবাব বসে বসে কাঁপছে। সম্পূর্ণ শরীর বিষিয়ে জ্বর নেমে গেছে। নওরিনের ভয় হচ্ছে। তীব্র ভয়। তার কি করণীয়, বুঝতে পারছে না। গায়ের ওড়নাটা পর্যন্ত জড়িয়ে দিলো শাবাবকে। তবুও বারবার সিটে হেলে চোখ বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রতিবারই আৎকে উঠে নওরিন। স্বস্তিতে চোখটাও বুজে নিতে দেয় না, ভয়ে। ডেকে তুলে নেয় চটজলদি করে। পাশের সিটের লোক মাঝে মাঝে এদিক ফিরে তাকায় তার আৎকে উঠা গলা শুনে। গলার স্বর তখন আরও নিচুতে নিয়ে আসে নওরিন। পিঠের কাঁচা সেলাইগুলো হয়তো ঠিকমতো হেলে থাকতেও দিচ্ছে না মানুষটাকে। শাবাব উঠে বসে বলে,

“ঘুমাইনি। ঠিক আছি।”

কতটা ঠিক, বুঝে উঠতে অক্ষম নয় সে। নিজের হাত তো ফাঁকা, শাবাবের কাছে অর্থ কেমন আছে; তা-ও জানা নেই। তাকে হসপিটালে ভর্তি করানো দরকার মনে হচ্ছে। দেহে রক্তশূন্যতার আভাস আছে বলে ডাক্তার তখন জানিয়েছে। থাকতেই পারে, যা রক্ত ঝরে গেলো এতোটা সময় ধরে! স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার আগে হসপিটালের জন্য বললো নওরিন।

“আমরা নাহয় একটা দিন পরে যাই রানি নগরে। আপনার হসপিটালে যাওয়া অতি জরুরী।”

“ডাক্তার দেখিয়ে এসেছি, আর কোনো কথাই বলো না। এখান থেকে যাওয়াটাই বেশি জরুরী।”

“জ্বরে কাঁপছেন। আপনি বাঁচবেন কী করে এভাবে ছুটে।”

“আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে কতভাবেই বাঁচা সম্ভব।”

“অসুস্থতায় হেয়ালি করবেন না। প্লিজ চলুন। আপনার অবস্থা ভালো দেখাচ্ছে না।”

শাবাব কোনো কথা রাখলো না বিপরীতে। অগ্রাহ্যের সাথে টিকিটের জন্য এগিয়ে গেলো। বারোটায় ট্রেন ছাড়বে। খুবই কম সময় বাকি। স্টেশনে ভীড় না থাকলেও যারা তার মতো শেষ সময়ের যাত্রী, তাড়া নিয়ে টিকিট কাটতে ব্যস্ত হয়েছে প্রত্যেকে। পকেটের চিন্তা শাবাবের মাথায়ও আছে। হসপিটালে সময় ও অর্থ নষ্ট করলে চলবে না। একান্ত সময়গুলো কেবল নওরিনকে দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো। এইযে, অগ্রাহ্য করে সরে এলো; মনের সাথে যুদ্ধ করেই এলো। চোখের গহীনে, মুখের গহীনে বিষণ্ণতা চেপে রেখেই এলো। ইচ্ছে করছিলো প্রিয়তমাকে বুকের পাটায় পিষে রেখে জিজ্ঞেস করুক,

“এতো চিন্তা কেন করছো আমায় নিয়ে?”

ইচ্ছে করছিলো সর্বশক্তিতে জড়িয়ে ধরে আর্তচিৎকার করুক,

“অবস্থা সত্যিই ভালো যাচ্ছে না, নওরিন। মারা যাচ্ছি মনে হচ্ছে। আমি সত্যিই জানি না, আমার কী হবে। তবে ক্লান্ত হয়ে গেছি, মন জানান দিচ্ছে। শরীরের ব্যথাটুকু যদি ময়লার মতো ডাস্টবিনে নিংড়ে ফেলে দেওয়া যেতো! কিংবা সিরিজে তুলে একটু কমিয়ে নেওয়া যেতো!”

হাতে টিকিট নিয়েও ভাবনা থেকে সরতে পারছে না শাবাব। এইযে চলে এলো, থাকার ব্যবস্থারই কোনো নিশ্চয়তা নেই। তা-ও নাহয় কোথাও কোনোভাবে করে নেওয়া যাবে। দেয়াল খোলা ছাউনির নিচেও রাত কাটিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু বাকিসব? খাবে কী? চলবে কী করে? সে তো একা নয়। নওরিনকে কীভাবে রাখবে? অন্নবস্ত্রের কোনো ব্যবস্থাই তো নিয়ে আসেনি সঙ্গে। এক কাপড়ে, ভুখা পেটে দিন চলবে? এ জীবনের গন্তব্য কী হবে, কিছুই বুঝতে পারছে না। অথচ গ্রাম ছাড়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত এসব নিয়ে ভাবেনি। জীবনকে যতটা সহজ ভেবে ছুটে এসেছিলো, ততটা সহজতর পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দৃষ্টি সম্মুখে। চিন্তামগ্ন থেকে সে নওরিনের কাছে এগিয়ে আসে। গলায় খুসখুস ধরেছে। কাশি দিতেই নওরিনের ভাঙা মনটা আবার ভাঙে। আলতো করে পিঠে হাত রাখে। জোরপূর্বক কিছু বলতেও পারছে না। তবুও আরেকবার বিড়বিড় করে,

“হসপিটাল যাওয়াটা জরুরী।”

শাবাব তার হাতটা ধরে ট্রেনের দিকে এগোতে এগোতে বলে,

“জীবনে টাকার খুব দরকার আছে নওরিন। এই যেমন, আজ আমার অনেক টাকা থাকলে হয়তো এভাবে পথে দৌড়ানো লাগতো না। একটু সম্মান আর টাকা হলে, তোমার বাবাকেও হয়তো মানিয়ে নেওয়া যেত সহজে।”

নওরিনের অসম্ভব রকম মন খারাপ হলো। তার সন্দেহও ঠিক হলো। সে আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলো, পর্যাপ্ত টাকা নেই শাবাবের পকেটে। দুর্দিনে সম্পদও সঙ্গ ছেড়ে দেয়। এইযে, পায়ে দুই জোড়া নূপুর নিয়ে পথে নেমেছিলো। পথ শেষ হওয়ার আগে নূপুর হারিয়ে গেলো। তা থাকলেও তো সাধতে পারতো, গয়নার দোকানে দিয়ে কিছু টাকা সংগ্রহের জন্য। যে এক জোড়া টিকে আছে, তা কি বলবে বিক্রির জন্য? শ্বাশুড়ি শখ করে পাঠিয়েছে, শাবাব নিজ হাতে তাকে পরিয়েছে; বিক্রির কথা বললে নিশ্চিত ভীষণ কষ্ট পাবে। তাই আর বলা হলো না তার। চুপচাপ হেঁটে গেলো শাবাবের সাথে। ট্রেনে উঠে সিট খুঁজে নওরিনকে বসালো শাবাব। আবারও কাশি উঠছে। তাই বললো,

“বসো, পানি নিয়ে আসি।”

“আমিও আসি সাথে?”

শাবাব মুচকি হেসে বলে,

“এর জন্যও আসতে হবে?”

নওরিন প্রত্যুত্তর করলো না। তবে হাসিটা প্রাণে গিয়ে লাগলো। শাবাব তার মাথায় আদরের হাত রেখে বললো,

“বসো, এখান থেকেই নিয়ে আসবো। তোমার আসতে হবে না। তুমি কিছু খাবে?”

“না।”

“কোনো আচার, ভর্তা?”

“কিছু না।”

“ঠিক আছে।”

জড়িয়ে দেওয়া ওড়নাটা দেহ থেকে সরিয়ে নওরিনের কোলে দিয়ে গেলো শাবাব। নওরিন আশপাশ তাকিয়ে সহযাত্রীদের দেখে। সমস্ত অপরিচিতের ভীড়ে সে একাকী বসে। ঠিক ভীড় নয়, সিট ফাঁকাও আছে। তবে মুখগুলো সব অপরিচিত।
এরইমধ্যে জানালার বাইরে থেকে ছোট বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে আসে। ওদিকে ঘুরে তাকায় নওরিন। ছোঁলা ওয়ালীর কোলে বাচ্চা, খুব বিরক্ত করছে বুঝি। ঠাস ঠুস দুইটা চড় লাগিয়ে দিলো বিরক্তির যন্ত্রণায়!

নওরিনের একটু খারাপ লাগলো৷ তাদের ঘরে কী আদরে বাচ্চা লালিত হয়ে থাকে। ভাইয়ের ছেলেটা বাড়ির সকলের চোখের মণি। বাতাসে একটু কান্নার শব্দ ভাসলেই সকলে খোঁজ করতে চলে আসে, কেন কাঁদছে। অথচ এ-ও জীবন। কঠিন জীবন। আশপাশে কত মানুষ হাঁটছে, তবুও কেউ জানতে আসছে না; বাচ্চাটা কেন কাঁদে? মা এসেছে জীবিকা নির্বাহে। এইতো, নিজে মেরে আবার নিজেই মমতায় ঘিরে রাখে। বুকে জড়িয়ে পিঠে হাত চাপড়াচ্ছে পরম আদরে৷ তবুও কান্না থেমে আসুক। আসছেও ধীরে ধীরে। নওরিন কিছুটা সময় তাদের মা-বাচ্চাকেই দেখে। হঠাৎ মনে হলো পাশে কেউ বসেছে। পাশ ফিরে তাকানোর আগেই মনটা কেমন নিশ্চিত হয়ে গেলো, শাবাব নয়। অপরিচিত কেউ বুঝি সিট দখল নিতে এসেছে। কিন্তু পাশ ফিরে সুপরিচিতের দেখা পেয়ে নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম! বড়ো ভাইজান এসে বসেছে পাশে! কোনো উত্তেজনা নেই, কোনো কথা নেই। খুব শান্তশিষ্ট মেজাজে ভদ্রতার সাথে বসেছে বোনের পাশে। যে সরল ভঙ্গি নওরিনের হৃদয়পুরের দুনিয়াটাই তিরতির করে কাঁপিয়ে তুলেছে ভয়ানকভাবে!

চলবে…

[ভুল হলে ভুল ধরুন, পড়ুন ও মন্তব্য করুন…❤️]