এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা পর্ব-২০+২১

0
1678

#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
২০.
#WriterঃMousumi_Akter

পূবালি হাওয়াতে চুল গুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে, কখনো নিজের চোখে মুখে তো কখনো বিহান ভাই এর চোখে মুখে।মনের মাঝে ভীষণ ভালো এক অনুভুতি কাজ করছে। এই মুহুর্তে একটাই গান মনে পড়ছে এই পথ যদি না শেষ না তবে কেমন হতো তুমি বলোতো।কিন্তু উনাকে বলা যাবে না।উনার মনে এক মুখে আরেক।আমি কখনোই আর উনাকে কিছুই বলবো না।

বাইকে বসে থাকতে থাকতে কোমর ব্যাথা হয়ে গেলো আমার তবুও পথ ফুরাচ্ছিলো না।এত স্লো কোনো মানুষ বাইক চালায়৷ বাবাহ!এর চেয়ে হেঁটে গেলে আরো অনেক আগেই যেতে পারতাম।খুবই বিরক্তি শুরু হয়ে গেলো আমার।এমনি তে সব কিছুতে ধৈর্য কম আমার।

সামনে দিয়ে যাওয়া একটা লোককে ডেকে বললাম,”এই যে কাকু আপনার সাইকেলে আমাকে একটু লিফট দিবেন।”

লোকটি উত্তর দিলো,,” কেনো দিদি আপনি তো বাইকে যাচ্ছেন কোনো অসুবিধা হয়েছে নাকি।”

“হ্যাঁ আমাকে একটু দ্রুত যেতে হবে তাই আপনার কাছে লিফট চাইছি দিবেন।”

“লোকটি যেনো আশ্চর্য বনে গিয়ে বললো বাইক ছেড়ে কেউ বাই সাইকেলে দ্রুত যাওয়ার জন্য লিফট চায়।আগে তো দেখি নি এই প্রথম দেখলাম।”

“বিহান হুট করেই বাইক দাঁড় করিয়ে বললেন,ভাই আপনি যান শি ইজ ড্যামন ম্যাড মানে রিসেন্টলি পাবনা ফেরতে।তার কথায় কান দিলে আপনি ও পাগল হয়ে যাবেন।”

“লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,কি বলেন দেখে তো তেমন মনে হচ্ছে না।খুব অবাক লাগছে।”

বিহান ভাই বলেন,আমার ও খুব অবাক লাগছে কেউ কাকু ডাকলে তাকে কেউ দিদি ডাকে।লোকটা বোধহয় লজ্জা পেয়ে গিয়েছে রে।

বিহান ভাই উনাকে যেতে বলে আমার দিকে তাকালেন। আমার চোখ মুখের সাথে লেপ্টে থাকা চুল গুলো সরিয়ে কানের সাথে গুজে দিলেন।আমি ফুঁসে উঠে বললাম,’আমাকে আবার পাগল বললেন।’

‘ উনি হেলমেট টা খুলে চুল একটু হাত দিয়ে ঠিক করে মাথা একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন,পাগলি ছাড়া কি তুই।তুই এমনি পাগলি এই পাগলি পাগলি স্বভাব গুলা দিয়ে মানুষ কে পাগল বানিয়ে ফেলতে পারিস।ছেলেদের হার্ট এ ইনফেকশন করতে পারিস।রাস্তা ফুরিয়ে যাবে তাই আস্তে ধীরে চাল্লাচ্ছি। ‘

উনার এই কঠিন কথা বুঝবো না জানি।চুল গুলো উড়ছিলো বলে খোপা করতে গেলাম। বিহান ভাই বললেন,খোলা চুল ই থাক।বাইকের আয়নাতে খোলা চুলে তোকে আরো সুন্দর লাগছে। এলো কেশে ঝড়ের বেশে হার্ট এট্যাক এর লক্ষণ আছে পিচ্চি।

উনি আবার বাইক চালানো শুরু করলেন।খুলনা শহরে ঢুকতেই একটা ফুলের গলি দেখলাম। যেখানে শুধু ফুল আর ফুল।এক ভাবে তাকিয়ে রইলাম বেলি ফুলের মালার দিকে।যা আমার প্রাণ কাড়ে সব সময়।সাদা ফুল মানেই আমার কাছে মুগ্ধ করার মতো কিছু।ইস আম্মু বা শুভ ভাইয়া থাকলে আমি বলতে পারলাম একটা ফুলের মালা কিনে দাও।দুঃখী দুঃখী মন নিয়ে বাইকে বসে রইলাম।হঠাত দেখি বিহান ভাই বেলি ফুলের দোকানের কাছে গিয়ে বাইক টা দাঁড় করালেন খুব অবাক হলাম আমি উনি এখানে বাইক দাঁড় করালেন কেনো?

আমি কিছু না বলে চুপ হয়ে বসে রইলাম।দেখি উনি করেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

“দোকানদার কে প্রশ্ন করলেন ফুলের মালা গুলোর প্রাইজ কত?”

“দোকান দার বললো ২০০ করে?”

“বিহান ভাই বললেন মাত্র ২০০”

“দোকান দার আবার উত্তর দিলেন এটা তাই কেউ দিতে চায় না।”

“বিহান ভাই বললেন ‘এই ফুলের দাম অমূল্য হওয়া উচিত ছিলো। কেননা এই ফুল পছন্দকারিনী মহিলা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর মহিলা।এই ফুলের মালা যার গলায় যাবে সেই গলা অমূল্য দামী।এই ফুলের গাজরা যার চুলে যাবে সেই চুলের মোহে আকৃষ্ট আমি।”

“দোকানদার বললো,আজ ই বাসায় গিয়ে বউ কে একটা ফুলের মালা দিয়ে বলবো? ”

“বিহান ভাই বললেন কি বলবেন?”

“ওই যে আপনি যা বললেন তাই।”

পাশ থেকে একজন মহিলা বলে উঠলো,তোমার মতো কিপ্টার সাথে বিয়ে হয়ে জীবনে কিছুই পেলাম না।বাবা বিদেশী টাকাওয়ালা দেখে বিয়ে দিয়েছে এমন বুইড়া তুমি না আছে কোনো রোমান্টিকতা।দেখো ওই ভাই টা তার বউ কে কত ভালবাসে।বউ টা বাইকে চুপ হয়ে বসে আছে আর উনার হজবেন্ড কি সুন্দর উনার বর্ণনা দিচ্ছেন।

আমি মহিলাটির দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিলাম।মানুষ কত টা ভালবাসার পাগল তাইনা।?বিহান ভাই কি তাহলে পারফেক্ট মানুষ দের মাঝেই পড়েন।আমি যেখানে অসহ্য মানুষ বলে ভাবি সেখানে কেউ উনার মতো মানুষ পাওয়ার জন্য আফসোস করছে।

বিহান ভাই আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললেন, দেখ উনি তোকে আমার বউ ভাবছে।তুই রেগে গেলি না যে।

আমি বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললাম,ওই মহিলাকে উনি বলছেন কেনো?এটা আমি আপনাকে বলি।এই উনি ডাক টা শুধুই আমার।একান্ত ব্যাক্তিগত আমার কাছে।

বিহান ভাই এর চোখে মুখে রাগের কোনো চিহ্ন নেই।বেলি ফুলের মালা নিজেই আমার গলায় পরিয়ে দিলেন।সাথে সুন্দর একটা গাজরা ও দিলেন।গাজরা পরানোর সময় উনার হাতের আলতো স্পর্শ ঘাড়ে লাগতেই শিউরে উঠলাম আমি।এমন শিহরণ আগে কখনো অনুভব হয় নি।বিহান ভাই কে বললাম,, আমি মনে মনে এটা চাইছিলাম কিভাবে বুঝলেন।বিহান ভাই নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে বললেন,,বাইকের আয়নায় দেখছিলাম তোর নজর কোনদিকে।এখান চুপটি মেরে দাঁড়া কোথাও যাবি না কিন্তু।দেখা গেলো পুচকি মানুষ আবাফ হারিয়ে যাবি।একদম ই কোথাও যাবি না।দোকানদার কে আমাকে দেখিয়ে বললো,ভাই এই পিচ্চি টাকে একটু দেখে রাখবেন তো।আমি জাস্ট ২ মিনিটে আসছি।আমি কি এতই ছোট একটা লোক কে পর্যন্ত দেখিয়ে গেলো আমি যেনো হারিয়ে না যায়।এগুলা মেনে নেওয়া যায়।

আমার হঠাত খেয়াল হলো একটা মেয়ে আমার দিকে ভয়ানক অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।কারণ কি?কিছুই বুঝলাম না।কে এই মেয়ে ফুলের দোকানে ফুলের অর্ডার করতে এসছে।মেয়েটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর কিন্তু তার চোখে মুখে ভীষণ রাগ।মনে হচ্ছে এক্ষুণি আমাকে গিলে ফেলবে।মেয়েটির চাহনি তে বেশ ভয় ই লাগছে আমার।মেয়েটির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমার দিকে। কি অদ্ভুত ব্যাপার।আমার সন্দেহ ঠিক হলো।

“আমাকে সরাসরি প্রশ্ন করলো এই মেয়ে নাম কি তোমার?”

“জ্বী দিয়া।”

“তোমার মাথায় ফুল পরিয়ে দিচ্ছিলো ছেলেটা কে?”

“জ্বী উনি মানে?”

“কি ব্যাপার এত উনি উনি করছো কেনো?”

“আমি তো উনাকে উনি ই ডাকি।”

“নেক্সট থেকে আর উনি ডকবা না।মেয়েরা উনি ডাকে তার ভালবাসার মানুষ কে।লজ্জায় নাম বলতে পারে না তাই।নেক্সট আর উনি ডাকবা না।কে হয় উনি তোমার?”

“আমার মামাতো ভাই?”

“সম্পর্ক টা ভাই বোনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখো সেটাই উত্তম হবে।”

“আপনি কে বলুন তো এমন উদ্ভট কথা বলছেন।আর উনাকে নিয়ে আপনার এত মাথাব্যাথা কেনো?”

“তুমিই সেই দিয়া তাইনা?বিহানের পিচ্চি।তোমাকে দেখার অনেক শখ ছিলো। ”

“সরি! বুঝলাম না আপনার কথা।”

“এরই মাঝে বিহান ভাই উপস্হিত।বিহান ভাই কে দেখে বিহান ভাই এর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম।উঁকি দিয়ে বললাম দেখুন না বিহান ভাই উনি কেমন করছেন। কে উনি?”

“বিহান ভাই মেয়েটির দিকে রাগান্বিত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে বললেন,, হোয়াট দ্যা হেল।ভুলেও পিচ্চির সাথে বাজে বিহ্যাভ এর ট্রাই করবি না।পিচ্চি টা মনে হয় ভয় পেয়েছে।”

“আমি বিহান ভাই কে বললাম,কে উনি?আর ওই মেয়ে আমার সাথে এমন ব্যবহার কেনো করলো।এর কইফত দিতেই হবে।”

“বিহান ভাই আমাকে জোরপূর্বক বাইকে উঠিয়ে বলেন,,মেয়েটি পাবনা থেকে এসছে।কোনো মেন্টাল হবে হয়তো।আর তুই পুচকি মানুষ এত কিছু সিরিয়াস নিস ক্যানো?কোথায় রাস্তায় কে কি বললো সেটা নিয়ে পড়ে আছিস।”

“বিহান ভাই কে বললাম,আজ কয়জন কে পাগল বানালেন বিহান ভাই।”

“একদম চুপ হয়ে বসে থাক তো।এত কথা বললে,গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে।এমনি তোর জন্য ২ লিটার তেল বেশী খরচ হচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে তেলের টাকা আর ভাড়ার টাকা দিবি।”

“আমি কি সেধে আপনার বাইকে উঠছি যে ভাড়ার টাকা দিবো।”

“এগুলা তো দিবিই সাথে আমার লিপের যে বারোটা বাজাইছিস তার সুধ আসল দিবি।”

“কিভাবে দিবো শুনি?”

“সেটা আমি আদায় করে নিতে পারবো?তুই কি ভেবেছিস আমি ভুলে গিয়েছি দেখ না কি করি তোকে।”

এই পড়লাম আবার চিন্তায় আবার কি করবেন উনি। কিন্তু মেয়েটা কে ছিলো। মেয়েটা তো বিহান ভাই কে চিনে।বিহান ভাই এড়িয়ে গেলো কেনো?মেয়েটা বিহান ভাই এর পরিচিত।কি লুকালেন উনি বুঝলাম নাতো।উনার কাছে জানতে চাইলেও বলবে না আমাকে।

বিভা আপুদের বাসায় পৌছে গেলাম।আম্মু রা আগেই পৌছে গিয়েছে।আপু সব খাবারের আয়োজন করছে সবাই খেলেও বিহান ভাই খেতে পারছে না কারণ কেউ জানে না।খাবে কিভাবে আমাকে পাগল বলাতে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছি।।

বিহান ভাই বিভোর ভাই কে বললেন,হোয়াট অজ ইওর ফিলিংস বিভোর।বাসে তো একবার খেয়েছিস এখন আবার খাচ্ছিস বাহ ভাই বাহ।

বিভোর ভাই মুখে কথা না বলেই উনার বিরক্তি প্রকাশ করলেন।

বিভা আপু বিহান ভাই খাবার না খাওয়ায় আস্ক করলে বললো তার ঠোঁটে কামড় লেগেছে।সবার খাওয়া হলে নাকি বলবে কিভাবে কামড় লেগেছে।আমার দিকে তাকিয়ে বললো দিয়া বলবো নাকি।

“ওহ মাই গড! মান সম্মান যা আছে সব শেষ।উনার দ্বারা কিছুই সম্ভব নয়। সবাইকে বলেও দিতে পারে।”

“উনার ফোনে মেসেজ করলাম না প্লিজ বিহান ভাই।কাউকে বইলেন না কিছু।”

“না বলবো না বাট আমার শর্ত আছে মেনে নিলে রাজি আছি।”

“এক বাক্য মেনে নিলাম উনার শর্ত।”

বাইক নিয়ে সবার আগে পৌছে গেলাম আমি আর বিহান ভাই।মাত্র সন্ধ্যা নেমেছে ধরনীতে।সূর্য মামা কেবল ই ডুব দিয়েছে পশ্চিম আকাশে।সূর্যের ললাট রূপ এখনো আকাশে ছড়িয়ে আছে।খুব বেশী মেঘ নেই তবে এই অসময়ে মনে হচ্ছে এক্ষুণি বৃষ্টি নামবে।ভাবতে ভাবতেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু।যে বৃষ্টিতে প্রচুর ভিজলাম আমি।কারণ আমি যে প্রচুর বৃষ্টিবিলাসী।বৃষ্টি দেখলে আমার পাগলামি ভীষণ ভাবে বেড়ে যায় এটা বিহান ভাই ও জানেন।বিহান ভাই দের বাড়িতে পৌছে ভরা সন্ধ্যায় এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা পেলাম।ছাদে গিয়ে আকাশে দু’হাত মেলে দিয়ে নিজের মন মতো ভিজলাম। বৃষ্টি হলেই ময়ূরের মতো পেখম মেলে নাচতে ইচ্ছা করে আমার।যেটা আমি সব সময় করে থাকি।ভিজতে ভিজতে দেখি বিহান ভাই ছাদে এসে দাঁড়ালেন।

বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললাম,

“কি হয়েছে বিহান ভাই বকবেন ভিজেছি বলে। ”

“উহু আমিও ভিজবো।তুই সব সময় ভিজতে ভালবাসিস ভাবছি এখন থেকে আমিও অভ্যাস করবো”

বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে প্রচুর হাসছিলাম আমি।আমি বুঝে গেছিলাম আজ কিছুতেই বকবেন না আমায়।

বিহান ভাই ধীরে ধীরে আমার কাছে চলে আসেন।উনাকে আজ অনেক চেঞ্জ লাগছে।সেই রাগি রাগি ভাব মোটেও নেই।

“কি কিছু বলবেন বিহান ভাই!

“হুম বলবো।”

“কি বলবেন।”

“তুই বুঝিস না কি বলতে চাই আমি।”

“না নাতো”

“তখন যেটা করেছিস সেইম কাজ টা আমিও করলে বুঝবি পিচ্চি।একজন হার্টের ডাক্তার কে হার্টের রুগি বানিয়ে ফেলেছো তুমি।”

বিহান ভাই আমার কাছে এসে এক হাত আমার ডান গালে আরেক হাত মাথার পেছনে দিয়ে অন্য রকম চাওনি তে আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন।

অজান্তে লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে গেলো আমার।উনি আলতো পরশে ওষ্টর সাথে ওষ্ট মেলালেন।জাস্ট স্পর্শ করেই ছেড়ে দিলেন।সেটা এক সেকেন্ড থেকে দুই সেকেন্ড হবে।

মনে হলো সমস্ত শরীরে বিদ্যুত চমকে উঠলো।আমি চোখ বড় বড় করে তাকালাম উনার দিকে।

উনি নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে বলেন,বোঝে না সে বোঝে না পিচ্চি কে বুঝাতে আমার এত আয়োজন।পিচ্চি তাও বোঝে না কিছু।

উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,তখনের শোধ নিলেন তাইনা।কিন্তু আমি তো ব্যাথা দিয়েছিলাম।কামড়ে ব্যাথা পেয়েছিলেন আমাকে ব্যাথা দিলেন না ক্যানো?

উনি হালকা হেসে বললেন,কারন হলো…
বলেই গান শুরু করলেন,,,

Dua bhi lage na mujhe
Dawa bhi lage na mujhe
Jabse dil ko mere tu laga hai

Neend raaton ki meri
Chaahat baaton ki mari
Chain ko mere toone yun thaga hai

Jab saansein baroon main band
Aankhein karun main
Nazar tu yaar aaya kar

Dil ko karaar aaya
Tujhpe hai pyar aaya
Pehli pehli baar aaya
Oh yaara

Dil ko karaar aaya
Tujhpe hai pyar aaya
Pehli pehli baar aaya

Oh yaara
Har roz puchhein yeh hawayein
Hum to bata ke haare
Kyun zikar tera karte hain
Humse taare

Har roz poochhein yeh hawayein
Hum to bata ke haare
Kyun zikra tera karte hain
Humse taare

Ab is se hain tere in

Hothon pe mere izhaar aaya yaara
Dil ko karar aaya
Tujhpe hai pyar aaya
Pehli pehli baar aaya
Oh yaara…

চলবে

#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
২১.
#WriterঃMousumi_Akter

জন্মদিন মানেই বিশেষ একটি দিন।সে দিন টা যদি আবার হয় প্রিয় জনের তাহলে সেই দিন টা বিশেষ এর থেকেও বিশেষ হয়।আজ রাত বারোটা বাজলেই বিহান ভাই এর জন্মদিন।কিন্তু উনি তো এলেন না।এই দিনে উনাকে সামনে থেকে উইশ করতে মন চাইছে আমার।কিন্তু কোথায় পাবো এখন উনাকে।সারাদিন ইউটিউব দেখে কেকে বানানো ভিডিও দেখেছি আর কেক ও বানিয়েছি।অত টা সুন্দর না হলেও খারাপ হয় নি।কেক এর উপর শুভ জন্মদিন বিহান ভাই লিখে রেখেছি।রুমময় পায়চারী করছি ফোন নিয়ে। উনাকে কি এখন ফোন দিবো।ফোন দিতেও ভয় লাগছে দেখা গেলো অনেক গুলা বকাঝকা শুরু করলো।

বিভোর ভাই,রিয়া,শুভ ভাইয়া,তিয়াস ভাইয়া,তোহা আপু সবাই মিলে প্লান করেছে বিহান ভাই এর জন্মদিন সেলিব্রেশন করবে পদ্মবিলে গিয়ে।নড়াইলের ইছামতি বিলে এ সময়ে প্রচন্ড পদ্ম ফুল ফোটে।প্রকৃতির এক মনোরম দৃশ্য শুধু দেখতেই ইচ্ছা করে।কেউ ফোন দিয়ে সে মানুষ টাকে পায় নি।কেউ তাকে বলে নি তার জন্মদিন বলে আসতে বলা হয়েছে সবাই চাইছিলো সে আসলে একটা সারপ্রাইজ দিবে মানে বিশাল আকারের সারপ্রাইজ।কিন্তু সে মানুষ বেপাত্তা।

মামি আমাকে বলছিলো দিয়া তুই একটু বলে দেখ না।তুই বললে আসতে পারে।অথচ এরা কেউ জানেই না সে আমাকে সব থেকে বেশী বকবে।সবাই তাকে ফোন দিলেও আমি ফোন দেই নি তাকে।ইচ্ছা করেই দেয় নি মন চাইছিলো সে নিজে থেকে আসুক।এত দিন হয়ে গিয়েছে তার আমাকে একবার ও দেখতে ইচ্ছা হয় নি।মনে মনে হাজার খানিক অভিমান জমা করে বসে রইলাম।

ঘড়িতে রাত বাজে এগারো টা ছাপ্পান্ন তার নাম্বার টা ডায়াল করলাম।দুইবার রিং হতেই ফোনের ওপাশ থেকে বলে উঠলো, ‘কি রে এত বার ফোন দিচ্ছিস কেনো?’কন্ঠে তার রাগ স্পষ্ট ছিলো।আচ্ছা মধ্যরাতে কারো প্রেমিকা ফোন দিলে এমন ব্যবহার করে কেউ।

‘উনার এমন কথা শুনে মন টা খারাপ হয়ে গেলো আমার।দুঃখি দুঃখি মন নিয়ে বললাম কোথায় আপনি?’

‘তোর বাবা আর শ্বশুরের আমার জন্য বরাদ্দ করা বিল্ডিং এ। ‘

‘মানে। ‘

‘মানে মাঝ রাতে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছিস কোথায় আমি?আমি কোথায় থাকার কথা জানিস না তুই।’

‘জানলেও কি মানুষ প্রশ্ন করে না।ফোন দিয়ে কি মানুষ জানতে চায় না কুশলাদী।’

‘আমি এখন আজাইরা প্যাচাল এর মুডে নেই দিয়া।আর ফোনে অযাযিত প্রশ্ন করা আমি পছন্দ করি না।আমার সময়ের অনেক দাম।সো যা বলার দ্রুত বল। আই এম সো ফেড আপ’

‘আজ আপনার জন্মদিন না তাই ফোন দিয়েছিলাম।’

‘হুম জন্মদিন তাতে কি হয়েছে।প্রতিটা মানুষের একটা জন্মের দিন থাকে। তাই আমার ও আছে।এটা নিয়ে বলার কি আছে। ‘

‘এখন কয়টা বাজে বিহান ভাই।’

‘দাঁতে দাঁত চেপে বললেন ‘আমাকে বিরক্ত করতে ফোন দিয়েছিস এই মাঝ রাতে।তুই জানিস কত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছি আমি।এনি ওয়ে বারোটা বাজে এখন।’

‘শুভ জন্মদিন বিহান ভাই।বলেই ফোন টা রেখে দিলাম।’

মনের মাঝে একরাশ কষ্ট জমা হলো।কিন্তু অতটা সরিয়াসলি নিলাম না।আমি জানি উনি রেগে গেলে একমাত্র আমার সাথেই রাগ দেখান বেশী।আমার সাথে রাগ দেখাতে নাকি উনার ভালো লাগে।তাই এটাকে ভালবাসা বলেই গ্রহন করে নিয়েছি।এইরাগের পরেই উনি ভীষণ ঠান্ডা হয়ে যান।আমার অভিমান ভাঙাতে কত দুষ্টুমি করেন।

“প্রেমে পড়েছে এ মন
প্রেমে পড়েছে
অচেনা এক মানুষ আমায় ভালবেসেছে
সে যেনো আমায় ডাকে
দেখিনা কোথাও তাকে
ভালবাসায় জড়িয়ে সে আমায় নিয়েছে।”
দোলনায় দোল খেতে খেতে গান টা গাইছি আমি।

দুই সুপারি গাছে দড়ি বেঁধে বাচ্চারা দোল খাচ্ছে।বিশেষ করে দোলনা টা আয়রার জন্য ই বানানো।আয়রা কে উঠিয়ে দিয়ে দোলনায় দোল খাচ্ছি আমি।আর গুন গুন করে গান গাইছি।রিয়া পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছে আমায়।দোল খেতে খেতে আনমনে তাকে ভাবছি।সেদিন এর সেই বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যার কথাটা।মন টা সেদিন সেই যে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে আর ফিরে আসে নি।আজ দুই মাস হয়ে গিয়েছে সেই মানুষ টার দেখা নেই।সেই যে দু’মাস আগে গিয়েছে আর কোনো খোজ নেই।

-আচ্ছা মানুষ টা এমন কেনো আমাকে ডিরেক্ট বলতে পারে না যে সে আমাকে ভালবাসে।তার আচরণে এটাই বোঝা যায় যে আমাকে ভালবাসে। কিন্তু মুখ ফুটে তো বলে না। আচ্ছা উনার কি ভাল লাগে আমাকে এই দো’টানায় রাখতে।এবার আসলে আমি নিজেই বলবো আমার মনের কথা।আজ যে তার জন্মদিন সেই খেয়াল কি তার আছে।কাল রাতে যা তা ভাবে আমাকে অপমান করেছেন।কি জানি ঢাকায় গিয়ে প্রেয়সী কে পেয়ে হয়তো আমাকে আর সহ্য করতে পারছে না।

-হঠাত দেখি রিয়ার কোনো সাড়াশব্দ নেই।আমি যে রিয়াকে ডেকেই যাচ্ছি কোনো পাত্তা নেই।হঠাত মনে হলো আমার কাঁধে কারো হাত।হাত টা রিয়ার বলে মনে হচ্ছে না।অথচ দোল দিয়েই যচ্ছে।পেছনে তাকিয়ে দেখেই চমকে গেলাম আমি।এ কি বিহান ভাই উনি।

-পরনে ব্লু জিন্স গায়ে এশ কালার শার্ট ঘাড়ে ব্যাগ ঝোলানো।উনি কি কেবল ই এসছেন।উনাকে দেখেই দৌড় মারার প্লান করলাম।এক নিমিষেই আমার কচি হাত উনার শক্ত হাত দিয়ে আটকে ফেললেন।ছড়ানোর বৃথা চেষ্টা করলাম লাভ হলো না।উনার দিকে রাগি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে বললাম ছাড়ুন আগে ছাড়ুন বলছি।আপনি কোন সাহসে আমার হাত ধরেছেন।আমার মুখে এমন কথা শুনে বিহান ভাই রিতীমত অবাক হয়ে গেলেন।”ভ্রু কুচকে বললেন,আয় হায় পুচকি বলে কি। তোর হাত ধরতে সাহসের প্রয়োজন হলো ঠিক কবে থেকে দিয়া।”

“আপনি আমার হাত ছাড়ুন আগে নইলে কিন্তু খুব খারাপ হবে।”

“এই রাজাকারের বংশধর, আয়রা কে দোলনা থেকে নামিয়ে তুই দোল খাচ্ছিস কেনো?বাচ্চারা হলো ফুলের মতো তুই তাদের সাথে অন্যায় করছিস এগুলা ঠিক না।শুনেছি রাজাকার দের সাথে মিশে তোর দাদা অনেক শিশু অত্যাচার করেছে।”

“শিশু অত্যাচার করেছে মানে।”

“মানে তোর দাদী একটা পুচকি ছিলো তাকে বিয়ে করে জোর জবরদস্হী রোমান্স করতো তোর দাদা এটাও তো এক প্রকার অত্যাচার তাইনা?”

“তবুও আমার দাদা ভাল মানুষ ছিলো।মানুষের মতো রাক্ষস ছিলো না।”

“আমি যদি তোর দাদাকে ফলো করি তাহলে আমার শ্বশুরের মেয়ে আমাকে বলবে আমি আস্ত একটা চরিত্রহীন।”

“আপনার এসব আজেবাজে কথা শোনার মুড নেই।এসছেন বাড়ি যান এখানে কি?”

“তোদের বংশে দেখছি সব গুন ই আছে।জামাই এর উপর ও অত্যাচার করে।।না মানে এ বাড়িতে জামাই এলে কি তাড়িয়ে দেওয়া হয়।এই নিউজ আজ ফেসবুকে লাইভে গিয়ে ভাইরাল করবো যাতে এ রাজাকার বংশে কেউ বিয়েই না করে।”

“খবরদার বলে দিচ্ছি আর একবার ও বাংশ তুলে কথা বলবেন না আপনি।”

“-আরে শোন না দিয়া কাল কি হয়েছিলো,হুট করেই খুব মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো।সারাদিন অপেক্ষা করেছি কেউ একজন ফোন দিয়ে আমায় ডাকুক আজ তোমার জন্মদিন তোমাকে দেখতে চাই।তুমি এসো।তোমাকে অনেক দিন দেখি না।কিন্তু সে আশা তো পূরণ ই হলো না।বাট হাজার টা কল এসছে আর সবাই জন্মদিন উইশ করেছে।সিরিয়াসলি বলছি দিয়া আমার একদম ই ভাল লাগছিলো না ওই নির্দিষ্ট একটা মানুষের কল ছাড়া।যত মানুষ কল দিয়েছে আমি বার বার ভেবেছি এই বুঝি তার ফোন কিন্ত তার ফোন ই আর আসে নি।অবশেষে ম্যাডামের কল পেয়েছিলাম সে সকালে ফোন দিতে পারতো তাহলে আমি গতকাল ই চলে আসতাম।কিন্তু সে দিন গড়িয়ে গিয়ে রাতে ফোন দিয়েছে।আমি তো আর রোবট না তখন ই চলে আসবো।তখন আসার জন্য ছটফট করছিলাম আসতে পারছিলাম না বলে আরো রাগ হচ্ছিলো। বুঝিস না ক্যান পুচকি।জানিস দিয়া নির্দিষ্ট কারো মায়ায় আটকে গেলে আর বের হওয়া যায় না।উফফ তার ওই পিচ্চি মুখে শুভ জন্মদিন শুনেই সব রাগ মাটি হয়ে গেছিলো।”

উনার মুখপানে তাকিয়ে ছিলাম আমি।যতবার আমাকে বকা দিয়েছে ততবার ই গভীর ভালবাসার উদাহরণ দেখিয়ে গিয়েছে।বিহান ভাই এর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম আমি।যাওয়ার সময় আমার হাতে দিয়ে গেলেন এক প্যাকেট ডংডং চিপস।

প্রতিবছর ই কাজিন দের জন্মদিনে আমরা কয়েকজন কাজিন মিলেই সেলিব্রেশন করি।দুই একজন ফ্রেন্ড সার্কাল থাকে।

মামি বিরিয়ানি রান্না করছে,পায়েস রান্না করেছে,কয়েক রকমের পিঠা বানিয়েছে হাতে হাতে সাহায্য করছে বিভোর ভাই এর আম্মু।আমরা ছাদে অনেক গুলা বেলুন দিয়ে সাজিয়ে ফেললাম।আজ বিহান ভাই এর দেওয়া সেই শাড়ি চুড়ি গাজরা পরেছি।বিহান ভাই ও আজ ব্লু পাঞ্জাবী পরেছেন।উফফ উনাকে জাস্ট অসাধারণ লাগছে।

ছাদে শুরু হয়েছে আমাদের কাজিন দের আড্ডা।তোহা আপুর দৃষ্টি সোজা বিহান ভাই এর দিকে।কি জানি কত ভোল্টেজ এর ক্রাশ খাচ্ছে।মনে মনে ভীষণ রাগ হচ্ছে আমার।তোহা আপু বিহান ভাই কে বলে উঠলো,বিহান ভাই কাল কতবার কল করলাম রিসিভ করেন কেনো?’

‘বিহান ভাই অবাক হয়ে বললেন কোন নাম্বার তোমার?তোহা আপু আরো আশ্চর্য বনে গিয়ে বললো,বিহান ভাই আমার নাম্বার সেভ করেন নি আপনি।বিহান ভাই এর কথায় স্পষ্ট ক্লিয়ার সে তোহা আপুর নাম্বার ই সেভ রাখে নি।এমন কি সে কোনো মেয়ের নাম্বার ই সেভ রাখে না।’

এমন সময় মেহু আপু বলে উঠলো, বিহান ভাই তোহা কিন্তু আপনার নাম্বার মাই ক্রাশ দিয়ে সেভ রেখেছে।

বিহান ভাই ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলেন ক্রাশ মানে ছেলেদের চোখ দিয়ে ধর্ষণ করা। ছিঃতোহা ছিঃ এই ছিলো তোমার মনে।আমার বউ জানলে তো মহা সমস্যা।

বিহান ভাই সব সময় এমন আধ্যাতিক কথায় বলে থাকেন।বিভোর ভাই বলে উঠলেন রিয়া আমার নাম্বার কি দিয়ে সেভ রেখেছো বাচপান কা পেয়ার।

রিয়া হেসে দিয়ে বললো বাচপান কা দুশমন।আপনি আর তিয়াশ ভাই আমার ইজ্জত রাখলেন না।ক্লাসের কাউকে প্রপোজ করতে বাদ দিয়েছেন শুনি।

বিহান ভাই বলে উঠলেন রিয়া তোমাদের ক্লাসের বাচ্চাদের ও এই বুইড়া খাটাস মফিজ রা প্রপোজ করে।এরা কিন্তু জীবনে দাঁত ব্রাশ করে না সাবধান।আমার যত বিবাহিত বান্ধবী সবাই কে এরা প্রপোজ করেছে।আমি ইজ্জতের ভয়ে বলি না যে তারা আমার ভাই হয়।প্রেজটিজ বলে কিছুই থাকবে না।তিয়াস ভাই বললো,বিহান ভাই তাহলে কি বলেন আমাদের কথা। বলি হবে কোনো নাপিত টাপিত কিছু।

রিয়া বলে উঠলো,ঠিক ই বলেছেন বিহান ভাই ব্রাশ করে না।আগের দিন বিভোর ভাই এর মুখের বিশ্রি গন্ধে আমি বাসে উনার গা ভরে বমি করে দিয়েছিলাম।

রিয়া আর বিহান ভাই এর কথায় সবাই হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছিলো।

“মেহু আপু বললো বিহান ভাই আমরা এতবার আসতে বললাম আসলেন।হুট করেই এলেন যে।।”

“আসতাম ই না তোমাদের ভাবি রাত বারোটায় ফোন দিয়ে বললো আমাকে অনেকদিন দেখে না।তার মুখের কথা কি আমি ফেলতে পারি।সে যখন ই ফোন দিয়েছে বিহানের মন এখানে হাজির।”

“তাহলে বিহান ভাই ভাবি কি নড়াইল এর ই।”

“সেটা বলা যাবে না।হতেও পারে।”

“আপনি ভাবির কথার এত গুরুত্ব দেন।তাহলে তো আপনি ভাবিকে মারাত্মক ভালবাসেন।আপনার শ্বশুর মনে করেন ভিলেন হয়ে দাঁড়ালো বললো অমুক চৌধুরীর মেয়ের যোগ্য না তুমি যেমন সিনেমায় রাজিব বলে।তখন কি করবেন?”

“সিনেমায় শুধু চৌধুরী না খাঁন ও থাকে।”

আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে মৃদু হাসি নিয়ে বললেন,”সেই জন্যই তো ডাক্তারি পড়া আমার।বলবো শ্বশুর মশাই আপনার মেয়ের অবস্থা ভালো না। আই সি ইউ তে আছে আপনার জামাই কে ছাড়া বাঁচবে না।আমার হাতে তুলে দিন।”

উনার কথা শুনে আমি বাকরুদ্ধ হলাম।এই মানুষ টার মাথায় এত সুন্দর সুন্দর আইডিয়া কিভাবে আসে।

চলবে,,