এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা পর্ব-৩২+৩৩

0
1359

#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
৩২
#WriterঃMousumi_Akter

প্রকৃতির প্রচন্ডে তান্ডবে উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছি আমরা দুজন সদ্য বিবাহিত নব দম্পতি।উথাল পাথাল বাতাসে আমার গাড় লাল জরজেট ওড়ণা উড়ে গিয়ে উনার মুখে ছেয়ে গেলো।প্রচন্ড বাতাসে উনার সিল্ক চুল গুলো উড়ছে আমার সামনে এই মুহুর্তে যেনো পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে। বিদ্যুৎ এর আলোকরশ্মি মিনিটে মিনিটে জ্বলে উঠছে, সেই আলোতে উনার মুখে ছেয়ে থাকা আমার ওড়ণা টা চকচক করছে।ঝোড়ো হাওয়া,ঠান্ডা প্রকৃতি এমনিতেই প্রেমিক হৃদয়ে ভালবাসার বাসনা সৃষ্টি করে সেখানে ওনার জীবনের একমাত্র নারী যাকে সদ্য বিয়ে করেছে সে সামনে দাঁড়িয়ে সেই মুহুর্তে উনার মনে প্রেমের নেশা অতিরিক্ত ভাবে উনাকে মাতাল করবে এটাই স্বাভাবিক।নেশাক্ত নয়নে এগোচ্ছিলেন আমার দিকে।আমি লজ্জা ভয় দুটো মিলিয়ে একাকার করে ফেলছিলাম।উনার দিকে তাকাতেই পারছিলাম না।যেমন উথাল পাথাল ঝড় তেমন বৃষ্টি এক মিনিটেই ভিজে একাকার হয়ে গেলাম।উনি এক পা দু পা করে এগিয়েই আসছেন।ভেজা শরীরে উনার দিকে হাত বাড়ালাম উনার দিকে ওড়না টা নেওয়ার জন্য উনি ওড়না টা এক হাতে পেচিয়ে প্রচন্ড ঝুম বৃষ্টিতে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলেন।লজ্জায় মরি মরি অবস্থা, চোখ কোনো ভাবেই খুলতে পারলাম না।মনে মনে এটাই বললাম এই বৃষ্টি বার বার সর্বনাশ করে আমার।যত বার বৃষ্টিতে উনার মুখোমুখি হয়েছি ততবার ই কিছু না কিছু ঘটেছে।প্রচন্ড জোরে বজ্রপাত হওয়াতে ভয়ে মাথা উনার বুকে মিশিয়ে জড়সড় হয়ে রইলাম।কি অদ্ভুত শিহরন উনার এই নেশাক্ত স্পর্শ তে।নেশার কিছু না খাইয়ে একটু স্পর্শ করে কিভাবে একটা মানুষের শরীরে নেশা ধরিয়ে দেওয়া যায় সেটা বোধ হয় উনিই ভালো জানেন।

কুড়ে ঘরের ছনের চালের ছাউনি দিয়ে কি সুন্দর পানি ঝরে পড়ছে।চারদিকে দিঘীতে পানির ঝরণা বয়ে চলেছে।উনি কোলে তুলে নিয়ে ছাউনির নিচে গেলেন।প্রায় বিষ মিনিট হয়ে গিয়েছে কারো মুখে কোনো কথা নেই নিরবে দুজন দুজন কে অনুভব করছি।অপলক নয়নে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে, উনার চোখের পলক ই পড়ছে না।তার কিছুক্ষণ পরেই বিহান ভাই আমাকে উনার কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে বললেন,,এত লজ্জা কেনো পাচ্ছো দিয়া।
উনার মুখে আমার নাম সহ তুমি সম্বোধন শুনে অবাক করা নয়নে তাকিয়ে রইলাম।ভেজা গায়ের সাথে লেপ্টে যাওয়া শার্টে বুকে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন উনি আর স্নিগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।এই চাওনি আর এই তুমি সম্বোধন দিয়া ডাকে কি এটাই বুঝালো তুমি আমার অর্ধাঙ্গিনী।

“এভাবে নেশাক্ত নয়নে তাকিয়ে আছো কেনো দিয়া?হয় আমাকে তোমার খুব কাছাকাছি আসতে দাও নয়তো কিল মি প্লিজ!উনার কথা আরো লজায় ফেললো আমায়।”

“আপনি তো আমাকে কখনো তুমি বলার সময় দিয়া বলেন না।”

“এখনের তোমাতে আমার বউকে খুজে পাচ্ছি দিয়া।আর বউ কে নাম ধরে তুমি বলে ডাকলেই আদর আদর মিষ্টি মিষ্টি ভাব থাকে।”

“লজ্জায় চিবুক নামলো আবার ও আমার।”

“তোমাকে ওই মহিলা কি বললো দিয়া।আজ ফুলসজ্জা আমাদের।”

“ফুলছাড়া ফুলসজ্জা কিভাবে শুনি।”

“ফুল আনলে ফুলসজ্জা করবে?”

“হ্যাঁ ফুলের বিছানায় সুয়ে থাকবো ফুলের সজ্জা হবে।”

“সাথে তোমার হজবেন্ড থাকলে তো অনেক কিছু হবে।”

“বার বার লজ্জা দিচ্ছেন কেনো শুনি?আপনি আমার হজবেন্ড এটা ভাবতেই লজ্জা লাগছে খুব।”

“এটা তো হওয়ার ই ছিলো ।এই কিশোর মনের ভালবাসা তুমি কি বুঝবে পিচ্চি।”

“এই বৃষ্টির সব দোষ। আপনার কিশোর মনে আমার আনাগোনা এই বৃষ্টি ই সৃষ্টি করেছে।”

“বৃষ্টি আমার জন্য অনেক লাকি।এই বৃষ্টি আমাকে দিয়েছে প্রথম প্রেমের অনুভূতি,, এই বৃষ্টি আমাকে দিয়েছে প্রেমিকাকে মনের কথা জানানোর সুযোগ।এই বৃষ্টি আমায় দিয়েছে তোমায় বউ বানিয়ে সোহাগ রাতে বৃষ্টিবিলাস করার সুযোগ।”

কপালে চুম্বন করে বললেন,
হে বৃষ্টিবিলাসী পিচ্চি,
তোমার বৃষ্টি বিলাসে কেনো আমাকে ভেজালে।আমাকে না ভেজালে তো তোমার প্রেমের অনলে পুড়তাম না।বার বার বৃষ্টি কন্যা রূপে আমার সামনে কেনো এসে আমাকে তোমার মনের মেঘ হতে বাধ্য করো।

দিঘিতে অনেক লাল লাল শাপলা ফুল ফুটেছে।বিহান ভাই কত গুলা লাল শাপলা এক ঝটকায় তুলে আনলেন।ফুল গুলো ঘরের মধ্যে ফেলে আমার কাছাকাছি এসে দাঁড়ালেন।

হটাত মেঘের গর্জনে ছিটকে গিয়ে উনার বুকে পড়লাম।প্রচন্ড ঠন্ডায় কাঁপছি।উনাকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরলাম।কি হচ্ছিলো কিছুই জানিনা।মানুষ টা কখন ঠোঁটের খুব কাছাকাছি এসেছে জানিনা।ওষ্টের সাথে ওষ্ট মিলিয়ে মাদক নেশার মতো লেগে ছিলেন।প্রতিটা আদরের স্পর্শ ভীষণ ভাল লাগছিলো আমার।কখন ঝড় বৃষ্টি থেমেছে জানিনা।কত সময় পার হয়ে গিয়েছে তাও জানিনা।বেডের উপর লাল শাপলার পাপড়ির ছড়াছড়ি। বুঝতে বাকি রইলো না শাপলা দিয়েই ফুল সজ্জার খাট সাজিয়েছেন। হঠাত খেয়াল হলো গলায় ঠোঁট ডুবিয়ে সুয়ে আছেন বিহান ভাই আমাকে জড়িয়ে নিয়ে।বিছানায় কখন এসছি কিছুই জানিনা।এই ভেজা কাপড় নিয়ে বিছানায়।কখন বৃষ্টি থেমেছে আকাশ আবার পরিষ্কার,,আবার চাঁদ তারা ফুটেছে।আজ কি সত্যি দিন আর রাত টা আমাদের জন্য ছিলো।আমার বিয়ে,বৃষ্টি বিলাশ, উনার সাথে ফুলসজ্জা,আবার চাঁদনি রাত।ভীষণ লজ্জা লাগছে উনাকে মুখ দেখাবো কিভাবে।

বিহান এর ফোনে ফোন আসাতে বিরক্ত হয়ে বলেন,,ফোন মাই ফুট কোন ডাফার এমন টাইমে বিরক্ত করে।

“বার বার কল আসাতে রিসিভ করে বললেন,কি হয়েছে ভাই ”

“কি করিস ভাই?”

“ফুলসজ্জা করছি”

“বিয়ে করলি কখন।”

“দুই ঘন্টা আগে করেছি।”

“নাইস জোকস বাট তুইও পারিস।না মানে ফুলসজ্জা।”

“টাইমলি সব পারি।রাখ ফোন।”

কল টা কার ছিলো জানিনা।প্রশ্ন ও করি নি।আমি এক ঝটকায় বিছানা ছেড়ে উঠলাম।ভেজা কাপড়ে ঠান্ডা জমে গেছে শরীরে।আমার সাথে উনিও উঠলেন।

“বিহান ভাই উনার ব্যাগ থেকে লং একটা শার্ট বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,এটা পর ঠান্ডা লেগে যাবে।”

“নিচে কি পরবো?প্লাজু বা সালোয়ার টাইপ কিছু কই পাবো।”

“আন্ডারওয়্যার পরবি আমার।”

“কিহ!আমি ওসব পরতে যাবো কেনো?আর ওড়না ও নেই।কি ফাজিল ছেলে ভাবা যায়।”

“আগে এটা পরে নে।থ্রি কোয়ার্টার দিচ্ছি। পিচ্চি মেয়ের আবার ওড়না লাগে।যা দেখার তাতো দেখেই ফেলেছি।আমি উনার কথা লজ্জায় বাকশক্তি হারালাম।”

“ওনার সাদা শার্ট পরে নিলাম।হাঁটু অবধি পড়েছে আমার।ওই ছয় ফিট মানুষের সামনে আমি আসলেই পিচ্চি।কি অসভ্য একভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কাজুবাজু ভাবে বললাম।এভাবে তাকিয়ে থাকলে পরবো কিভাবে।”

উনি ঘরের বাইরে গেলে আমি থ্রি কোয়ার্টার পরে নিলাম।

“বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে উনি ফিরে এলেন।আমাকে বললেন চোখ অফ কর তো।”

“অবাক হয়ে বললাম কেনো?”

“আহা!কর না।”

“চোখ অফ করে বললাম,বলুন কি?”

“হাতে কি যেনো একটা পরিয়ে দিয়ে বললেন হ্যাপি ফুলসজ্জা পিচ্চি বউ।”

আমি চোখ খুলে অবাক হয়ে যায়।হাতে চিক চিক করছে একটা রিং।রিং টা ঘাস আর ঘাস ফুল দিয়ে বানানো।প্রকৃতির বানানো জিনিস এতটা সুন্দর হয়।আমি খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম।

উনি বললন,বাসর রাতে কিছু দিতে হয়।এখানে দামি জিনিস নেই দেওয়ার মতো।তাই এই প্রকৃতি থেকে নেওয়া জিনিস দিয়ে ফুলসজ্জার গিফট বানিয়ে ফেললাম।আমি যে অনেক খুশি হয়েছি উনি আমার চোখ দেখেই বুঝে গেলেন।

ব্যাগ থেকে ড্রেস নিয়ে নিজেও চেঞ্জ করে নিলেন।ছেলেটার ঢাকা যাওয়া আসার ব্যাগ টা ভাজ্ঞিস ছিলো।

চলবে,,

#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
৩৩.
#writerঃMousumi_Akter

ধুলাময়লা ধুয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।দিঘীর পাড়ে কয়েকটুকরো কাঠে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি আমরা দুজনে।দুইটা গাছের মাঝ বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দুই সাইডের দুইটা গাছে হেলান দিয়ে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি দুজনে।দুজনের চোখের দৃষ্টি দুজনের দিকেই আছে।দিঘীতে অনেক লাল লাল শাপলা ফুটে রয়েছে বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে শাপলা গুলো গোসল করে তাদের রুপ যেনো আরো বহুগুন বেড়ে গিয়েছে।পানির ভিতরে কাঠে জ্বালানো আগুন এর প্রতিচ্ছবি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।আমার পূর্ণ দৃষ্টি পানিতে দেখে বিহান ভাই বললেন,সদ্য বিবাহিত এই ছেলেটার প্রতি এতটা অবহেলা কেনো মিসেস বিহান।

কথাটা শুনেই একঝটকায় উনার দিকে তাকালাম।উনি আমাকে মিসেস বিহান ডাককছেন।এই ডাকটা এতটা মিষ্টি না হলেও তো পারতো।উনার মুখের প্রতিটা কথা এত কআকর্ষিত করে কেনো আমাকে? মুখের উপরে পানিতে দলা ধরা কয়েক গোছা চুল এসে পড়েছে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে বললাম কিসের অবহেলা হলো বুঝলাম নাতো।

শ্বশুরের এই জামাই কে রেখে তার মেয়ে পানির দিকে তাকিয়ে আছে।এখন তো আমার ওই দিঘির বুকে শাপলা পাতার জল হতে ইচ্ছা করছে।তাহলে এই বাহানায় যদি সে একটু আমায় দেখতো।

কিছুটা লাজুকতা ঠোঁটের কোনে একটু হাসি নিয়ে বললাম,,তাকেই তো দেখছি।জলের বুকে তাকে এতটা সুন্দর না লাগলেও পারতো।ওই শাপলা পাতার নিচে আগুনের কুন্ডলির পাশে গাছে হেলান দিয়ে বসে থাকা এক যুবক কে দেখছি।ওই ছেলেটা এত সুন্দর কেনো বলতে পারেন?আল্লাহ কি সব সৌন্দর্য ওই ছেলেটার মাঝেই দিয়েছেন।এই সুন্দর ছেলেটাকে ছোট বেলা থেকে দেখে দেখে মুগ্ধ আমি।কওই ছেলেটাকে বলে দিন তার জন্যই শ্বশুরের মেয়ে তার জামাই কে কষ্ট দিচ্ছে।

বিহান ভাই নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে একটা নেশাক্ত হাসি দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।উনার ও পরণে সাদা শার্ট, পরনে কালো জিন্স। মাথার চুল একটু পিছনে উজিয়ে দিয়ে নিজের শার্ট এর হাতা গোটাতে গোটাতে আমার দিকে এগিয়ে এলেন।আমার দুই বাহুতে হাত দিয়ে আমাকে দাঁড় করালেন।আমার কপালের উপর এসে পড়া চুল গুলো উনার হাত দিয়ে আমার কানে গুজে দিলেন।শার্টের হাতা অনেক বড় আমার হাত ঢেকে গিয়েছে উনি আমার পরা শার্টের হাতা ভাজ দিতে লাগলেন।দুই হাতা ই ভাজ করে কনুই এর নিচ পর্যন্ত রাখলেন।এরপর যেটা করলেন হটাত বুক এ দুরুম দুরুম সাউন্ড শুরু হল।উনি শার্টের গলার কাছের প্রথম বোতাম টা খুলে দিলেন আমার।বোতাম খুলে এদিক ওদিক কোনো খেয়াল নেই উনার গলার দিকে তাকিয়ে আছেন একভাবে।হাত গলাতেই আছে এখনো আমি উনার হাত গলায় আমার হাত দিয়ে একটু চেপে ধরে বললাম কি করছেন।

বউ কে মানুষ যা করে তাই করছি।?

এসব কি বলছেন।

পিচ্চি মানুষ কোথায় গলা এটে দম বন্ধ হয়ে যাবে বুঝতেও পারবা না।একটা বোতাম খোলা থাকলে কিছুটা দম নিতে পারবা ভাল ভাবে ঠিক আছে পুচকি।

ওহ আমি ভেবেছি…..

যা ভেবেছো সেটা করবো বলেই কোমর চেপে ধরলেন।উনার থেকে ছুটে পালালাম।কুড়ের ভেতরে গিয়ে ভেজা কাপড় গুলো আনলাম।উনাকে বললাম এগুলা শুকাতে হবে না।

বিহান ভাই বললেন তোকে এইভাবে ভাল লাগছে দেখতে।

আমি কি এইভাবে পিকনিকে যাবো।

ওইযে দুই টা গাছে রশি বাধা আছে ওখানে মেলে দে।

তাকিয়ে দেখি সত্যি রশি বাধা আছে।

এগিয়ে গিয়ে দেখি খানিক টা উচুতে নাগাল পাচ্ছি না।উনাকে ডাকলাম বিহান ভাই এগিয়ে আসুন না নাগাল পাচ্ছি নাতো।আপনি একটু মেলে দিন।

বিহান ভাই এগিয়ে এসে বললেন আমি আকতোকে উচু করে ধরছি তুই মেলে দে।

উনি আমায় উচু করে ধরলেন আর আমি কাপড় গুলো মেলতে লাগলাম।হঠাত পেটে সুরসুরি অনুভব হলো।উচু হওয়াতে শার্ট খানিক উপরে উঠে নাভি বের হয়ে গিয়েছে।এত সময় কি নাভি দেখছিলেন।উনার দিকে আমি তাকাতেই পেটে গভীর ভাবে চুমু দিলেন।সুরসুরি তে লাফিয়ে উঠাতে নিচে নামিয়ে দিলেন।

এই ছেলেটা এমন অসভ্য কবে হলো।সুযোগ পেলেই এসব করছে

কাপড়ের পানি শুকালে আগুনে দিয়ে শুকালাম। এতক্ষণ বিভোর ভাই লম্বা এক ঘুম দিয়েছেন।
কোন ভোর রাত্রে আমরা রওনা হলাম্বার। দিঘির এই আন্টি খিচুড়ি রান্না করেছিলেন সাথে ডিম ভাজি।আরাম করে খেয়ে বাইকে বেরিয়ে পড়লাম।বিহান ভাই এর কাধে হাত দিয়ে উন্মুক্ত গ্রামের রাস্তা দিয়ে চললাম।

অবশেষে আমাদের গন্তব্য স্হানে পৌছালাম। মাত্রই বোধহয় রান্না শুরু হয়েছে।কারণ বৃষ্টির জন্য রান্না শুরু করতে পারেনি এত সময়।

রিয়া বললো কাজ করার ভয়ে পিছনে পিছনে থেকেছিলি তাইতো দিয়া।

তোহা আপু বললো বিহান ভাই এত লেট করলেন কেনো?ভীষণ মিস করছিলাম।

বিভোর ভাই বলেন কেনো

সেটা বিহান ভাই জানেন।

বিহান ভাই বলেন

নাউজুবিল্লাহ আপা কি জানি আমি।

আপা বলেই চোখ বড় বড় করলো তোহা ভআপু।এই আপা ডাক শুনে মাথা ঘুরে কাজের গেলো যেনো।

বিভোর ভাই বললেন এই আপা ডাক শুনে চোখ কপালে কেনো তোহা।

তাই বলে আপা ডাকবে।আপা ডাক নিষিদ্ধ বিহান ভাই এর জন্য।

বিহান আন্টি ডাকবি এখন থেকে।তোহা মনে হয় এটায় চাচ্ছে।

মোটেও না আমি এটা চাইছি না।বিহান ভাই জানেন সব।

কতোহা মাফ চাই আপা।সদ্য বিবাহিত যুবক আমি।এগুলা বলে আমার সংসারে আগুন লাগিও না।

রিয়া বলে উঠলো বিহান ভাই তাহলে তোহা আপুর স্টোক হবে এটা নিশ্চিত।

বিভোর ভাই বললেন,রিয়া আমি বিয়ে করলে কি স্টোক হবে তোমার।

আপনি ঠিক কতজন কে বিয়ে করবেন একটু বলবেন বিভোর ভাই।যতজন কে প্রস্তাব দিয়েছেন বাবাহ।ভাবতেই নোবেল ছুড়তে মন চাই আমার।

তুমি একটু পাত্তা দাও না বলে ছেলেটা আজ আমের অভাবে জুস খাচ্ছে।

আমের অভাবে জুস? এটার মানে কি?

মানে তোমার অভাবে অন্যর কাছে যাচ্ছি।

ছিঃছিঃ আপনি এত বড় চরিত্রহীন কেনো বিভোর ভাই।।ভাবতেই গা গোলাচ্ছে।বিয়ের পর ও এই অভ্যাস থেকে যাবে তাইনা?

আরে না রিয়া ভুল বুঝছো।ওইটা এমনি বলেছি বিলিভ মি।বিলিভ হয় না তাইনা।এইযে তিয়াস এর চোখ ছুয়ে বলছি।এইবার তো বিলিভ করো।

তিয়াস ভাই ছিটকে গিয়ে পড়ে বললেন,বিভোর ভাই ভাল হয়ে যান।আর আসে কত করবেন এসব ভন্ডামি।আমার খালাতো বোন কে তাই প্রপোজ করেছেন।এখন আপনার মিথা ঢাকতে আমার চোখের বলিদান দিতে হবে তাইতো।নিজে তো এমনি সব মেয়ে ক নিচ্ছেন তাতে আমাদের অন্ধ বানাচ্ছেন।যাতে বাকি যা মেয়ে আছে তারাও আপনার হয়।কয়টা লাগে শুনি।

তিয়াস আমি যায় করি তোর মতো তো আর মহিলাদের পিছে ঘুরি না।তোর জন্য পাড়ায় ককোনো বিবাহিত মহিলারা নিরাপদ নয়।

ভাই আর কত বাঁশ দিবেন।

চলবে,,