#এক_মুঠো_কাঠগোলাপ🤍
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম🤍
#পর্ব:২৭ [স্পেশাল_পর্ব]
——–“এই যে মিস ঘুমকুমারী আর কতক্ষণ ঘুমাবে আমরা তো চলে এসেছি…
“তানজুর ঘুমন্ত ফেসের দিকে তাকিয়ে কথাটা বলে উঠল রিয়াদ’!!কিছুক্ষন আগেই তাঁরা পৌঁছে ছে তাঁদের গন্তব্যে’!!কিন্তু পৌঁছাতে পৌঁছাতে তানজু ঘুমিয়ে পড়ে গাড়িতেই’!!তাই তো ডাকা তাকে’!!রিয়াদ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল তানজুর মুখের দিকে’!!এক অদ্ভুত মায়া কাজ করছে তার ভিতর’!!রিয়াদ মুচকি হেঁসে তানজুর কপালে কাছে থাকা চুলগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিল’!!তারপর আবারো বলে উঠলঃ
——–“এই যে মিস লাউডস্পিকার আর কত ঘুমাবে….
“ঘুমের মাঝখানে কারো ডাক শুনে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালাম আমি’!!পরক্ষণেই সামনে রিয়াদকে হাসতে দেখে মনে পরে গেল আমার আমি তো রিয়াদের সাথে এসেছি’!!কিছুটা ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে উঠলাম আমিঃ
——–“আমরা চলে এসেছি….
——–“জ্বী মহারানী অনেক আগেই শুধু আপনার ঘুমের জন্যই গাড়ি থেকে বের হতে পারছি না….
——–“ওহ সরি,আসলে আমার না এই গাড়িতে উঠলেই ঘুম পায় তাই আর কি….
——–“হুম হইছে আর কিছু বলতে হবে না এখন চল তাড়াতাড়ি…..
——–“হুম চল….
“এই বলে গাড়ি থেকে নেমে পরলাম আমি’!!গাড়ি থেকে নামতেই আমি অবাক’!!কারন আমরা এক মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি’!!যার আশেপাশে কিছু নেই বললেই চলে’!!এরই মাঝে রিয়াদ গাড়িটাকে একটা গাছের আড়ালে রেখে চলে আসলো আমার সামনে’!!উনি আসতেই আমি অবাক হয়ে বললামঃ
——–“এটা কি হলো আমরা মাঝরাস্তায় কেন?
——–“কারন এখান থেকে আমরা হেঁটে যাবো…
——-“ওহ,কিন্তু কোথায় যাচ্ছি আমরা….
——-“গেলেই দেখতে পাবে….
“বলেই রিয়াদ মুচকি হেঁসে তার হাত আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
——–“তাহলে যাওয়া যাক লাউডস্পিকার…..
“বিনিময়ে আমিও আর কথা না বারিয়ে মুচকি হেঁসে আমার হাত এগিয়ে দিয়ে বললামঃ
——–“ওঁকে টিউবলাইট….
“হাসলো রিয়াদ’!!তারপর একে অপরের হাত ধরে হাঁটা শুরু করল রিয়াদ আর তানজু”!!
.
.
.
“বিভিন্ন গ্রামীন রাস্তা পেরিয়ে হেঁটে চলেছে রিয়াদ আর তানজু’!!রাস্তার চারপাশে রয়েছে সবুজ সবুজ গাছ পালা সাথে বড় বড় সবুজ সবুজ মাঠঘাট,,চারিপাশ দিয়ে ঠান্ডা শীতল মেশানো বাতাস বয়ে চলছে’!!পরিবেশটা এক কথায় বলতে গেলে ওসাম’!!ধীরে ধীরে রাস্তার পরিবেশ পাল্টে যেতে লাগলো’!!আস্তে আস্তে রাস্তার চারপাশে একটা দুটো ফুলের পাপড়ি দেখা গেল’!!ধীরে ধীরে পাপড়ির সংখ্যা বাড়তে লাগলো সাথে ফুলের মিষ্টি গন্ধ আসতে লাগলো’!!রাস্তাটা এতটাই সুন্দর যে বার বার দেখে যেতেই ইচ্ছে করছে আমার’!!আমি খুশি মনে রিয়াদকে বলে উঠলামঃ
——-“এটা কোন জায়গা এত সুন্দর কেন আর ফুলের গন্ধটাও খুব সুন্দর….
“রিয়াদ মুচকি হেঁসে উওর দিলঃ
——-“আছে একটা জায়গা, আর সুন্দর এটা তো কেবল শুরু প্রিয়সী সামনে গেলে তুমি আরো চমকে যাবে…
——–“কেন কি আছে সামনে…
——–“গেলেই দেখতে পাবে….
“বিভিন্ন আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে হাঁটছি আমরা’!!যত সামনে এগোচ্ছে ততই যেন ফুলের গন্ধের রেশ বেড়েই চলেছে, সাথে রাস্তা জুড়ে থাকা রং-বেরঙের ফুলের পাপড়ি’!!এক কথায় বলতে গেলে জাস্ট অসাধারণ…🌸
“এভাবেই বেশকিছুক্ষন হাঁটার পর…
“হর্ঠাৎই রিয়াদ আমার চোখ রুমাল দিয়ে বেঁধে দিল’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি অবাক হয়ে বললামঃ
——–“এটা কি হলো….
——–“চলই না গেলেই দেখতে পাবে….
———“আমি না তোমার কান্ড কারখানা কিছুই বুঝতে পারছি না….
——–“আরে চলই না গেলেই বুঝতে পারবে….
“হর্ঠাৎই মনে হলো আমি সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে যাচ্ছি’!!এতে আমি বেশ অবাক হয়ে বললামঃ
——–“কি হলো মনে হচ্ছে ঘাসের উপর দিয়ে যাচ্ছি….
——–“কারন আমরা সত্যি ঘাসের উপর দিয়ে যাচ্ছি লাউডস্পিকার…
——–“আমরা কোথায় যাচ্ছি বলো না….
———“আরে এই তো সেখানেই যাচ্ছি গেলেই তো দেখতে পাবে তুমি….
“এই ধরনের নানা বক বক করতে করতে এগোচ্ছি আমরা’!!
–“যেটাই বলছি তার বদলে রিয়াদ শুধু বলছে “গেলেই দেখতে পাবে”!!
”রিয়াদের কাজ আর কথা কোনোটাই বুঝতে পারছি না আমি’!!হর্ঠাৎই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পরলো রিয়াদ’!!সাথে আমিও দাঁড়িয়ে পরলাম’!!হর্ঠাৎ দাঁড়িয়ে পরাতে আমি অবাক হয়ে বললামঃ
———“কি হলো থেমে গেলে যে….
“রিয়াদ তানজুর কথা শুনে তানজুর কানের কাছে তার মুখ নিয়ে বললোঃ
——–“আমরা চলে এসেছি “প্রিয়সী”….
“হুট করে রিয়াদের কন্ঠ কানের কাছে বাজতেই হাল্কা কেঁপে উঠলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ
———“চলে যখন এসেছি তাহলে এবার চোখ খুলতে পারি কি….
——–“অবশ্যই মাই “প্রিয়সী”……
“রিয়াদের কথা শুনে আস্তে আস্তে রুমাল খুলে চোখ মেলে তাকালাম আমি’!!শুরুতে একটু অন্ধকার দেখলেও পরক্ষণেই সবটা পরিষ্কার দেখতে লাগলাম আমি’!!সামনের দিকে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!কারন আমার সামনেই আমায় ঘিরে ধরে আছে রঙ বেরঙের কাঠগোলাপের গাছ,,ছোট বড় অসংখ্য কাঠগোলাপের গাছ সাথে গাছ ভর্তি করা কাঠগোলাপ ফুল,আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি পুরো পরিবেশটার দিকে যেন এক স্বপ্নে ঘেরা দুনিয়া,,আমি অপলক ভাবে তাকিয়ে আছি গাছগুলোর দিকে,,পুরো জায়গাটা জুড়েই রয়েছে শুধু কাঠগোলাপ, শুধু কাঠগোলাপ, শুধুই কাঠগোলাপ, রঙ বেরঙের কাঠগোলাপ,, সব চেয়ে সুন্দর যে গাছটা সেটা আমার কাছ থেকে কয়েক কদম দূরেই একটা বড় সাদা রঙের কাঠগোলাপের গাছ, গাছটার চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাঠগোলাপের পাপড়ি,পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছি আমি,যেন পুরোটাই স্বপ্নের মনে হচ্ছে,,নিচের দিকে তাকাতেই দেখলাম রঙ বেরঙের কাঠগোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি করা একটা সুন্দর রাস্তা,আমি বুঝে গেছি রিয়াদই এটা তৈরি করেছে,আমি অবাক চোখ নিয়ে তাকালাম রিয়াদের দিকে’!!রিয়াদের দিকে তাকাতেই রিয়াদ চোখের ইশারায় বললোঃ
——-“চল এর উপর দিয়ে….
“আমি রিয়াদের চোখের ইশারা বুঝতে পেরে বেশি কিছু না ভেবে রাস্তাটি অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে লাগলাম সামনে’!!কাঠগোলাপের মাতাল করা গন্ধে মন হয়ে যাচ্ছে পুরোই ফুড়ফুড়ে সাথে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে’!
“বেশকিছুদূর হাঁটার পর থেমে গেলাম আমি’!!কারন কাঠগোলাপের রাস্তা এখানেই শেষ’!!আচমকাই মাথায় গোল করে কিছু একটা আঁটকে দিল রিয়াদ’!!আমি বুঝে গেছি এটাও কাঠগোলাপের তৈরি’!!এক অদ্ভুত মুগ্ধতা এসে গ্রাস করলো আমায়’!!এর মাঝে হাল্কা বাতাসে মাথার উপরে থাকা সাদা রঙের কাঠগোলাপের গাছ থেকে কাঠগোলাপ ফুলের পাপড়ি এসে পরলো গায়ে’!!আবারো গ্রাস করলো আমায় এক অদ্ভুত অনুভূতিতে,সাথে একরাশ ভালো লাগায়!হর্ঠাৎ চোখ গেল আমার সামনে আমার থেকে মাএ দু কদম দূরেই সাদা রঙের কাঠগোলাপ দিয়ে বড় বড় করে লেখা আই লাভ ইউ মাই লাউডস্পিকার…..
“জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছি আমি’!!এমন কিছু একটা করতে পারে রিয়াদ এটা একদমই কল্পনার বাহিরে ছিল আমার’!!আমি জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি!খুশিতে কথা বন্ধ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে….
“হর্ঠাৎই পিছনে রিয়াদ বসে পরলো নিচে’!!আমি হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম রিয়াদের দিকে’!!রিয়াদ তার হাতে “এক_মুঠো_কাঠগোলাপ”🤍 নিয়ে বলতে শুরু করলঃ……
——”তোমার সাথে আমার প্রথম দেখাই হয়েছিল এই এক_মুঠো_কাঠগোলাপ🤍 ফুলের মাঝে,তোমার সেই সাদা রঙের শাড়ি,সাথে হাতে “এক_মুঠো_কাঠগোলাপ”🤍এই দুটোই তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিল আমায়,তোমার মায়াবী মুখ, নেশালো চোখ, মাতাল করা হাসি সবকিছুই একরাশ মুগ্ধতায় আঁটকে দিয়েছিল আমায়’!!তাই তো ভেবে রেখেছি যেদিন তোমায় মনের সব কথা গুছিয়ে বলতে পারবো আমি, সেদিনই তোমায় নিয়ে আসবো এই কাঠগোলাপের ভিড়ে’!!আজকে তোমায় আমি বলতে চাই প্রিয়সী এই কাঠগোলাপদের সাক্ষী রেখে তোমায় যে বড্ড ভালোবাসি আমি…
——-“will you marry me..
“বলেই “এক মুঠো কাঠগোলাপ” এগিয়ে দিল রিয়াদ তানজুর দিকে’!!
..
রিয়াদের কাজ আর রিয়াদের বলা কথাগুলো শুনে একরাশ ভালো-লাগা, একরাশ মুগ্ধতা সাথে অদ্ভুত ফিলিংস বয়ে চলছে হৃদয়ে,আমার কল্পনারও বাহিরে ছিল এসব,রিয়াদ আমায় এত ভালোবাসে, আসলেই আমি খুব লাকি রিয়াদের মতো একজন আমায় ভালোবাসে’!!আমি প্রচন্ড বেগে খুশি হয়ে মুচকি হেঁসে আমার হাত এগিয়ে দিয়ে “এক মুঠো কাঠগোলাপ” হাতে নিলাম’!!তারপর মাথা নাড়িয়ে বলে উঠলাম তাকেঃ
——-“yes,i will marry you….
“রিয়াদ আমার কথা শুনে খুশি মনে উঠে দাঁড়ালো’!!রিয়াদ উঠে দাঁড়াতেই আমি প্রচন্ড বেগে খুশি হয়ে লাফ মেরে রিয়াদকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলামঃ
——–“এওতো এওতো থ্যাংকু জামাই আমায় এত বড় সারপ্রাইজ আর এত সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য….
“মুচকি হাসলো রিয়াদ’!!তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরল রিয়াদ তানজুকে আর তানজু রিয়াদকে’!!
“এক গভীর ভালো লাগা আর ভালোবাসা মিশে রয়েছে দুজনের মাঝে’!! খোলা আকাশের নিচে আর অসংখ্য কাঠগোলাপের মাঝখানে দাঁড়িয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে রিয়াদ-তানজু’!!যেখানে আছে শুধু ভালোবাসা, ভালোবাসা, শুরুই ভালোবাসা’!!
“আর ওদের ভালোবাসার সাক্ষী হিসেবে রইলো,ওদের ঘিরে ধরে থাকা এই অসংখ্য কাঠগোলাপ আর মস্ত বড় আকাশ…🌸🌸
__________________________________________
_______________________
“একটা সুন্দর ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আফরিন আর অপূর্ব’!!এটা নতুন কিছু নয় কারন প্রায় আফরিন অপূর্ব ঘুরতে আসে এখানে’!!এঁকে অপরের হাত ধরে সামনে এগিয়ে চলছে আফরিন আর অপূর্ব’!!মন মাতাল করা ঠান্ডা বাতাসে আফরিনের চুলগুলো উড়ছে খুব’!!সাথে আফরিনের মুখে এসে বারি খাচ্ছে বার বার’!! আফরিন তার হাত দিয়ে বার বার চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছে!বিষয়টা অপূর্বের কাছে অসাধারণ লাগছে’!!এমনিতেই ভালোবাসার মানুষ তো যেমনই থাকে তেমনি ভালো লাগে’!!তেমনি অপূর্বের কাছেও আফরিন যেমন আর যেভাবে আছে তেমনই ভালো লাগছে’!!অপলকভাবে তাকিয়ে আছে অপূর্ব আফরিনের দিকে’!!অপূর্বের এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলে উঠল আফরিনঃ
——–“কি হলো তুমি ওইভাবে তাকিয়ে কি দেখছো…
——–“তোমাকে দেখছি…
——–“আগে দেখোনি বুঝি…
——-“দেখেছি তো…
——-“তাহলে…
——–“অন্যদিনের চেয়ে আজকে তোমায় স্পেশাল লাগছে…
——–“হু….
——–“আরে সত্যি বলছি…
——–“হইছে হইছে আর পাম দিতে হবে না…
“বলেই ব্রিজের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে পরলো আফরিন’!!আর অপূর্ব আফরিনের পাশে দাঁড়িয়ে বললোঃ
——-“তোমার আমার ফিলিংসগুলোকে পাম মনে হচ্ছে…..
“হাসলো আফরিন’!!তারপর বললো সেঃ
——–“ধুর পাগল আমি তো মজা করছিলাম….
“হাসলো অপূর্ব’!!তারপর সে বললোঃ
——–“জানি তো পাগলী…
“এমন সময় একটা ছোট্ট বাচ্চা তার দু হাতে দু মুঠো কাঠগোলাপ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল অপূর্ব আর আফরিনের পাশ দিয়ে’!!আফরিন ছেলেটির হাতে ফুলগুলো দেখে বললোঃ
——-“সুন্দর না….
——-“হুম খুব কিন্তু তোমার থেকে নয়…
“আফরিন অপূর্বকে ভেংচি কেটে গেল ছেলেটির কাছে তারপর বললোঃ
———“তুমি এই ফুলগুলো কোথায় পেলে…
“ছেলেটি হেঁসে বললোঃ
———“ওই আমগো বাসার সামনে আছে একটা গাছ সেখান থেকে…
——–“ওহ খুব সুন্দর….
———“বিক্রি করবে…..(অপূর্ব)
“অপূর্বের কথা শুনে ছেলেটি বলে উঠলঃ
——–“বেচুম না তবে আমার এই এক হাতের কাঠগোলাপ দিতে পারি আমনে গো…
——–“ঠিক আছে আমার তাতেই চলবে…(অপূর্ব)
“ছেলেটাও আর কথা না বারিয়ে “এক মুঠো কাঠগোলাপ” এগিয়ে দিলো অপূর্বের দিকে’!!অপূর্ব খুশি মনে কাঠগোলাপগুলো নিয়ে বললোঃ
——–“সব দিলে না কেন?
———“আসলে আমনের মতো আমারো একটা গার্লফ্রেন্ড আছে তারে দিমু ভাইয়া…
“ছেলেটার কথা শুনে অপূর্ব হাসবে না কি করবে বুঝতে পারছে না’!!অপূর্ব হাল্কা হেঁসে বললোঃ
———“আমার মতো মানে…
———“ওই যে আমনে আর এই আফায়….
“হাসলো আফরিন তারপর বললো সেঃ
———“তোমার ও গার্লফ্রেন্ড আছে…
———“হ আছে ওর জন্যই তো নিয়া যাচ্ছি এই কাঠগোলাপ গুলো….
“অপূর্ব হেঁসে বললোঃ
———“কোথায় আছে তোমার গার্লফ্রেন্ড…..
“ছেলেটি হাতের ইশারায় ওই সামনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
———“ওই যে ব্রিজের নিচে…
“আফরিন হেঁসে বললোঃ
——–“ঠিক আছে তাড়াতাড়ি যাও না হলে রাগ করবে তোমার গার্লফ্রেন্ড….
——–“আর বইলেন না আফা গার্লফ্রেন্ড খালি খালি রাগ করে…
——–“ওমা কেন?
——–“বলুম নে পরে আফা,আসলে গার্লফ্রেন্ড আমার রাগ করে ওই ব্রিজের নিচে দাঁড়াইয়া আছে,আর ওর রাগ ভাঙগোনের লাইগাই এডি নিয়া যাইতাছি….
“ছেলেটির কথা শুনে অপূর্ব আর আফরিন হেঁসে বললোঃ
——–“ঠিক আছে তাড়াতাড়ি যাও না হলে আরো রাগ করবে…
——–“ঠিক কইছেন আমি তাইলে যাই…
——–“ঠিক আছে যাও…
“তারপর ছেলেটি চলে গেল’!!ছেলেটি যেতেই আফরিন আর অপূর্ব উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল’!!হর্ঠাৎই অপূর্ব তার হাতে থাকা “এক মুঠো কাঠগোলাপ” গুলো আফরিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
——–এই “এক মুঠো কাঠগোলাপ” শুধুই তোমার জন্য….
“আফরিন হেঁসে কাঠগোলাপ গুলো নিজের হাতে নিয়ে বললোঃ
——–“থ্যাংক ইউ…
“তারপর আবারো দুজন দুজনের হাত ধরে হাঁটতে শুরু করল’!!হর্ঠাৎই অপূর্ব বলে উঠলঃ
——–“বিয়ে করবে আমায়….
“আচমকা অপূর্বের মুখে এমন কথা শুনে আফরিন অবাক হয়ে বললোঃ
——–“কি…..
“অপূর্ব হর্ঠাৎই আফরিনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরল’!!তারপর পকেট থেকে একটা সুন্দর আংটি বের করে আফরিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
———“will you marry me….?
“অপূর্বের কথা শুনে আফরিন তো মহা খুশি’!!আফরিন খুশি মনে তার হাত অপূর্বের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
———” Yes i will marry you….!
“আফরিনের কথা শুনে অপূর্ব আর দেরি না করে আফরিনের আঙুলে পরিয়ে দিল আংটি টি’!!তারপর খুশি মনে জড়িয়ে ধরল দুজন দুজনকে…
“একে বলে ভালোবাসার পূর্ণতা!আর ওদের এই ভালোবাসার পূর্ণতার সাক্ষী হিসেবে রইলো এই মস্ত বড় আকাশ,শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস,সাথে এই মস্ত বড় নদী,আর আফরিনের হাতে থাকা “এক মুঠো কাঠগোলাপ”…🌸
_________________________
“ফুটন্ত কাঠগোলাপদের মাঝখানে শুকনো ঘাসের উপর শুয়ে আছে রিয়াদ আর তানজু’!!তাদের মাথার উপর আছে সেই বড় সাদা রঙের কাঠগোলাপ গাছ’!!অপলকভাবে তাকিয়ে আছি আমি গাছটার দিকে’!!যেন চোখই সরছে না’!!হর্ঠাৎই রিয়াদ আমার হাতের আঙুলে একটা আংটি পরিয়ে দিয়ে বললোঃ
——–“এটা তোমার জন্য সব সময় হাতে দিয়ে থাকবে কিন্তু….
“আমিও মুচকি হেঁসে বললামঃ
———“ঠিক আছে প্রিয়,কিন্তু..
“রিয়াদ অবাক হয়ে বললোঃ
——–“কিন্তু কি…
——–“তুমি আমার জন্য এতকিছু করলে আমি তো কিছুই করতে পারলাম না….
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ তানজুর গাল ধরে বললঃ
———“আমার জন্য তো তুমি যথেষ্ট “প্রিয়সী”…..
“রিয়াদের কথা শুনে কি বলবো বুঝতে পারছি না’!!আমি খুশি হয়ে বলে উঠলামঃ
———“তুমি আমায় এতো ভালোবাসো কেন?
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ শুন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
———“কেন বাসি আমিও জানি না প্রিয়সী,কিন্তু খুব বাসি কখনো ছেড়ে যাবে না কিন্তু আমায়….
———“কখনো যাবো না…..
——–“সত্যি তো….
——–“হুম প্রিয়….
“তানজুর কথা শুনে খুশি হয়ে তানজুর হাত মুঠো করে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নেয় রিয়াদ’!!তারপর এক প্রশান্তির নিশ্বাস ফেলে তাকিয়ে থাকে রিয়াদ খোলা আকাশের দিকে…
“হয়তো কিছু বলছে সে….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..