#এলো_প্রেমের_মৌসুম
#লেখনীতে – #Kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ০৪
রাতের খাবার শেষে মেঘের বোন আরিশের সঙ্গে গল্প করছিলো, মেঘ লক্ষ্য করলো আরিশ ওর সঙ্গে যতোই রূক্ষ আচরণ করুক কিন্তু বাড়ির লোকের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করছে। মেঘ ভেবেছিলো আরিশ বুঝি ওর মতো ওর বাড়ির লোকদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করবে, কিন্তু তেমন হয়নি। এটা দেখে কিছুটা স্বস্তি পেলো মেয়েটা, এরই মাঝে জামাল সাহেব মেয়েকে ঘরে ডাকলেন। বাবার ডাক শুনে ঘরে যেতেই মেঘের হাতে টাকা দিলেন জামাল সাহেব সাহেব, মেঘ কিছুটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো…
‘এটা কিসের টাকা?’
‘তোর সেমিস্টার ফির কথা আমাকে জানাসনি, এতো চিন্তার মধ্যে আমারও তোর পরীক্ষার কথা খেয়াল ছিলো না। টাকাটা নিশ্চয়ই তুই নিজের কাছ থেকে দিয়েছিস?’
‘ ইটস ওকে, আব্বু। আমার এখন টাকা লাগবেনা, তুমি রেখে দাও আর যদি ভবিষ্যতে লাগে তবে আমি চেয়ে নেবো’
‘না, টাকা তুই রাখ। মেয়ের জোর করে বিয়ে দিয়েছি বলে তার প্রতি থাকা দায়িত্বগুলোও ঝেড়ে ফেলে দিয়েছি এটা ভাবিস না। তোর প্রতি বাবা হিসেবে আমার এখনও যা দায়িত্ব আছে সবই পালন করবো। এই টাকাটা তুই রাখ’
বাবার জোরাজুরিতে মেঘ আর টাকা রাখতে আপত্তি করলো না, কিছুক্ষণ পর ওরা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। জ্যামে আটকে পড়েছে ওরা, ভ্যাপসা গরমে মেঘের ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে। গাড়ির এসি চালু থাকার পরও ভালো লাগছে না। মেঘ এসি বন্ধ করতে বলে জানালা খুলে দিলো। কিছু সময় দুজনের মাঝেই নীরবতা, হঠাৎ মেঘ বললো…
‘ থ্যাংক ইউ!’
‘ কিসের জন্যে?’
‘ আমার মা বাবা আর বোনের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার জন্যে।নভেবেছিলাম আমাকে পছন্দ করো না, হয়তো তাদেরও…’
‘আমাকে কি মনে হয় তোমার? তোমার রাগ আমি তাদের ওপর ঝারবো? আই অ্যাম নট অ্যা কিড! তাছাড়া তোমার বোনকে আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। সি ইজ অ্যা সুইট গার্ল, একদমই তোমার মত নয়’
‘হুম, হবার কথাও নয়। আমাদের দুজনের মাঝে বিস্তর পার্থক্য আছে, ছোটো থেকেই ওর সকল বিষয়ে অনেক কনফিডেন্স যা আমার একদমই নেই। পড়াশুনায়ও আমার থেকে অনেক ভালো মাইশা’
‘ তুমি জানো তোমাকে অপছন্দ করার একটা কারণ কি? তোমার কনফিডেন্স লেভেল অনেক কম, প্রতিবার প্রেজেন্টেশনে তুমি তালগোল পাকিয়ে ফেলো। এতগুলো প্রেজেন্টেশন গেলো তাও তোমার ভয় কাটেনি’
‘ আই নো’
মেঘ আর কথা বাড়ালো না, জানালার বাইরে তাকিয়ে আনমনে ভাবতে লাগলো লাস্ট সেমিস্টারের প্রেজেন্টেশনের ঘটনা। বাড়ি থেকে ফুল কনফিডেন্স নিয়েই এসেছিলো কিন্তু সাবমিট করতে গিয়েই যেনো সব উল্টোপাল্টা হয়ে গেলো। সেবার স্যারের কাছে অনেক বকা খেয়েছিলো আর নাম্বারও ছিলো অনেক কম যার প্রভাব পড়েছিলো ওর ইয়ার সিজিপিএতে। সেসব কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো মেঘ…বাসায় আসতে আসতে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে, কিন্তু রেহানা বেগম জেগে ছিলেন। মেঘ বাড়িতে এসেই পিঠার বক্সটা ওনার হাতে দিয়ে বলেন…
‘আম্মু আপনাদের জন্যে পিঠা পাঠিয়েছে’
‘ আবার এগুলো আনতে গেলে কেনো! তোমরাই খেয়ে আসতে পারতে। ওনারা সবাই ভালো আছেন তো?’
‘ জ্বি আলহামদুলিল্লাহ’
‘ তুমি আজ থেকে এলেই পারতে মেঘনা, আরিশ তোকে না বললাম ওকে বলিস থাকার ইচ্ছে হলে থেকে আসতে’
‘সামনে আমাদের পরীক্ষা আম্মু, এখন ও বাড়িতে থেকে কি করবে? ওর সব বইখাতা তো এখানে। এর থেকে এখানে বসে পড়ুক, কাজে আসবে’
‘একদিন থেকে এলে কি এমন পড়ায় ক্ষতি হয়ে যেতো?’
‘ ও কতোটা নড়বড়ে ছাত্রী তা তোমার জানা নেই আম্মু, পরীক্ষার আগে যতো সময় পড়ায় ব্যয় করবে ততোই ওর জন্যে উত্তম’
আরিশ কথাগুলো বলেই চলে গেলো, ওর কথা শুনে মেঘ ভীষণ অপমানিতবোধ করলো। খারাপ ছাত্রী হলেও কেউ কখনো এভাবে বলেনি, এমনকি ওর মা বাবাও নয়। ছেলের কথার ধরন দেখে অবাক হলেন রেহানা বেগম, এভাবে তো আরিশ আগে কারো সঙ্গে কথা বলতো না!
‘এই ছেলের মুখ ইদানিং খুব চলছে দেখছি, যাই হোক। মেঘনা তুমিও যাও, ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নাও। আজকেই পড়া শুরু করতে হবে না, কাল থেকে পড়ো’
‘ জ্বি!’
রুমে এসে ফ্রেশ হয়েই বইখাতা বের করলো মেঘ, যদিও অনেক ক্লান্ত লাগছে কিন্তু কিছুটা পড়ে রাখলে নিজেরই লাভ হবে। আরিশ বারান্দায় বসে ওর বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও কলে নিজের শ্বশুরবাড়ির জামাই আদরের গল্প শোনাচ্ছিল। কিছুক্ষণ কথা বলার পর রুমে এসে দেখে মেঘ পড়তে বসেছে…
‘বাহ! আমার একটা কথাতেই এতো ইফেক্ট পড়েছে যে এসেই পড়া শুরু করে দিয়েছো?’
‘ তুমি না বললেও আমি এসে পড়তে বসতাম, আমার পরীক্ষায় খাতায় তো আর তুমি গিয়ে লিখে দিয়ে আসবে না। আমাকেই লিখতে হবে’
‘ দ্যাটস ট্রু, বাই দ্যা ওয়ে এটা নিহানের নোটস তাইনা?’
‘ তুমি কিভাবে জানলে?’
‘ নিহান যেভাবে ক্যান্টিনে বসে তোমার সঙ্গে নোটস আদান প্রদান করে, তাতে আমি কেনো অনেকেই জানে’
‘ তাতে খুব দোষ হয়ে গেছে নাকি?’
‘ না, তবে নিহানের তোমার প্রতি এই এক্সট্রা কেয়ার দেখে ক্লাসে রিউমার উঠেছে তোমাদের নামে’
‘ কিসের রিউমার?’
আরিশ উত্তর দিলো না, বরং টেবিলে থাকা নিহানের নোটস পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। মেঘ উত্তর না পেয়ে আবারো প্রশ্ন করলো…
‘ আরিশ, কিসের রিউমারের কথা বলছো একটু পরিষ্কার করে বলবে? আমি বুঝলাম না’
‘ না বুঝলে আর বুঝতে হবেনা, দেখি তো নিহানের নোটস তৈরির ধরন কেমন। স্যারের কাছে ওর রাইটিং স্টাইলের অনেক প্রশংসা শুনেছি’
‘ টপিক চেঞ্জ করো না, আমার প্রশ্নের উত্তর আগে দাও। মাত্র কি বললে তুমি?’
‘ আমার এখন বলার মুড নেই’
আরিশ টেবিল থেকে নোটসটা ঝট করে নিজের হাতে তুলে নিলো, মেঘও ওর পেছনে হাঁটতে শুরু করলো আর বারবার প্রশ্ন করতে লাগলো। আরিশ যেনো ওর কথায় কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না, এক পর্যায়ে মেঘ ওর হাত থেকে নোটস ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু আরিশ কি এতো সহজে ফেরত দেওয়ার মানুষ? এক পর্যায়ে ওটা ফেরত নেওয়ার জন্যে আরিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি লেগে যায় আর এক পর্যায়ে দুজনেই মাটিতে পড়ে যায় আর বেডের কোণায় লেগে মেঘের হাত ছড়ে যায়! ফ্লোরে বসে পড়ে মেঘ, হাতটা উঁচু করে দেখে লম্বা হয়ে ছড়ে গেছে অনেকটা, আরিশও ফ্লোরে বসে পড়ে।
‘ আর ইউ ওকে?’
মেঘ ক্ষতস্থানে আলতো করে হাত বুলিয়ে বলে…
‘ আমাকে দেখে ঠিক মনে হচ্ছে? দেখো কতখানি ব্যথা পেয়েছি, এখন এটায় পানি লাগলেই জ্বলবে’
ছলছল চোখে আরিশের দিকে তাকায় মেঘ..
‘আমার দিকে এইভাবে তাকাচ্ছ কেনো? আমি তোমাকে ব্যথা দিয়েছি নাকি?’
‘ ভালোভাবে দিয়ে দিলে কি হতো? রাতের বেলা আঘাত পেয়ে বসলাম ‘
‘ তুমি টানাটানি কেনো করছিলে? আমি নিজে থেকেই দিয়ে দিতাম’
‘ তুমি দিতে না, পরে দেখা গেলো আমার ওপর জেদ দেখিয়ে এটা ছিঁড়ে ফেলে দিতে। ক্ষতি তখন আমার না আরেকজনের হতো’
‘ ওয়াও! আমাকে তোমার এতোটা ভা’য়ো’লে’ন্ট মনে হয় নাকি? আর ভালোই দেখছি নিহানের সাপোর্টার হয়ে কথা বলছো। তোমাকে একটা নোটস দিয়েছে মানে এই না যে তুমি এক্সামে টপ করবে’
মেঘ নিচে পড়ে থাকা নোটসগুলো তুলে উঠে দাড়িয়ে ঝাঁঝালো স্বরে বললো…
‘ টপ করার ইচ্ছে আমার নেই, আর তোমার মতো টপার হওয়ার দরকারও নেই আমার। যা আছি তাতেই আলহামদুলিল্লাহ!’
ভ্রু কুঁচকে তাকালো আরিশ, এক ঝটকায় ফ্লোর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কৌতূহলী কণ্ঠে প্রশ্ন করলো…
‘ আমার মতো হতে চাও না মানে? হোয়াট ডু ইউ মিন?’
‘ তোমার মতো হওয়ার ইচ্ছে নেই আমার, বোঝার হলে বুঝে নাও। না বুঝলে আর বুঝতে হবেনা, আমি এক্সপ্লেইন করতে পারবো না’
মেঘ ওয়াশরুমে গিয়ে হাতটা পানি দিয়ে ধুয়ে এসে আবারো পড়ার টেবিলে বসলো, এদিকে আরিশ এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। ওর মতো হতে চায় না বলে মেঘ কি বোঝাতে চাইলো তা ভেবে পাচ্ছেনা!
___________________________________
আরিশের মা টেবিলে সকালের নাস্তা সাজাচ্ছিলো, মেঘ তৈরি হয়ে এসে গেছে। আরিশ ও আনিশাও এলো কিছুক্ষণের মধ্যে, তখন মেঘ চেয়ার টেনে আনিশার পাশে বসলো। ছোটো একটা ব্যাগ আনিশার হাতে দিয়ে বললো…
‘ গত রাতে আমি আর তোমার ভাইয়া তো মার্কেটে গেছিলাম, ভাবলাম তোমার জন্যে কিছু আনি। কিন্তু তোমার কি পছন্দ আমি তো জানিনা, তাই নিজের পছন্দমত একটা ছোটো উপহার এনেছি ‘
‘ ওয়াও! তুমি আমার জন্যে গিফট এনেছো! সো সুইট অফ ইউ’
আনিশা ব্যাগটা খুলে দেখলো ভেতরে একটা সফট টয়েজ, ছোটো একটা পান্ডা! আনিশা বেশ খুশি হয় এটা দেখে…
‘কি কিউট হয়েছে এটা! থ্যাংক ইউ আপু!’
মেঘকে আপু বলতেই রেহানা বেগম ধমক দিয়ে বললেন..
‘ এ্যাই, ও তোর কিসের আপু হয়?’
‘ সরি আম্মু, আসলে ভাবী বলার অভ্যাস এখনও হয়নি তো। থ্যাংক ইউ ভাবী, সফট টয়েজ জাতীয় সব জিনিসই আমার অনেক ভালো লাগে’
‘ যাক, পছন্দ হয়েছে তোমার!’
আনিশা পান্ডাটা উচুঁ করে আরিশকে দেখিয়ে বলে…
‘ দেখ, দেখেছিস এটা? ভাবী মাত্র একদিন হলো আমাদের বাড়িতে এসেছে আর তাতেই আমাকে গিফট দিলো আর তুই? জন্মদিনের গিফটটাও আমার তোর কাছে চেয়ে নিতে হয়’
‘ তুই এখনও বাচ্চা আছিস নাকি? আর যেসব বাচ্চাদের জিনিস তোর পছন্দ ওগুলো আমি এনে দিতে পারবো না। ভালো কিছু যেদিন চাইবি সেদিন অবশ্যই এনে দেবো’
‘ তোকে আর লাগবে না, এখন থেকে আমার কিছু চাওয়ার থাকলে ভাবীর কাছেই চাইবো’
‘অনেক হয়েছে, বাকি কথা পরে বলিস। এবার শান্ত মতো সবাই খেয়ে নে। অনেক বেলা হয়ে গেছে’
‘ বাবা আসবে না?’
‘ তোর বাবা খেয়ে আজকে আগেই বেরিয়ে গেছে, এখন শুধু আমরা খাবো’
ওরা সবাই খেয়ে নেয়, এরপর ভার্সিটি যাওয়ার জন্যে মেঘ আরিশ দুজনেই বের হয়। আরিশ বাইকে বসেই মেঘকে বলে…
‘ তুমি গত রাতে যেনো কি বলছিলে? আমার মতো হতে চাও না? হাজার চেষ্টা করলেও হতে পারবে না’
‘বলেছি তো দরকার নেই, তুমিই তোমার মতো থাকো’
মেঘ আরিশের পেছনে বসলো, ওকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আরিশের নেই কিন্তু বাড়ি থেকে একা বেরোলে মায়ের হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আবার বকাও শুনতে হবে আর মেঘের জন্যে বাড়ির লোকের কাছে বেইজ্জত হওয়ার ইচ্ছে নেই ওর।
‘মনে করে, আমাকে আধা রাস্তায় গিয়ে নামিয়ে দিও’
‘পারলে তোমাকে এখানেই রেখে যেতাম’
‘রেখে যাও, আমি মানা করেছি নাকি?’
‘ আমার কাছে তোমাকে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই দেখে মজা নিচ্ছো? যেতে দাও কয়েকদিন, তারপর দেখবে’
‘ কি করবে?’
‘ সময় হলেই দেখবে’
আরিশের কিছু কথার মানে বুঝে উঠতে পারে না মেঘ, অবশ্য বোঝানোর মতো করে আরিশ বলেও না। সবকিছুতেই যেনো একটা রহস্য রেখে যায়! আজকে মেঘের সেই ক্লাসমেট এসেছে, যার সঙ্গে ওর বন্ধুত্ত্ব। ভ্রমণ পিপাসু তিশা ফ্যামিলির সঙ্গে বেড়াতে গেছিলো তাই এক সপ্তাহ ভার্সিটিতে আসেনি, আজ এলো। ওকে পেয়ে মেঘ যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছে, এ কয়দিন একা একা বড্ড খারাপ সময় কেটেছে ওর। তিশাকে মেঘ ওর বিয়ের কথাটা জানিয়েছিলো কিন্তু হাসবেন্ড কে সেটা বলেনি , ব্যস! এসে থেকে মেঘকে এই নিয়েই মেয়েটা নানান প্রশ্ন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছে…
‘ কীরে ভাই, আমাকে ডিটেইলস না বললে বুঝবো কিভাবে বলতো?’
‘ কি ডিটেলস জানতে চাস তুই? বিয়ে হয়ে গেছে গেছে আমার, আই অ্যাম অ্যা ম্যারেড ওমেন নাও। দ্যাটস ইট!’
‘ এহ! বললেই হলো নাকি? আরো কতকিছু জানার আছে আমার, আর বড় কথা হলো তোর বরের ছবিটাই তো এখনও দেখলাম না। বিয়ের ছবি দেখা’
‘ ছবি? উম্ম! সেটা তো ক্যামেরায় আছে, আমি আমার ফোনে এখনও নেইনি। জানিসই তো ঘরোয়াভাবে বিয়ে হয়েছে। হুট করে হয়ে গেছে তাই আর ওসব…’
‘ কি বলিস! আচ্ছা, জলদিই ছবিগুলো কালেক্ট করে আমাকে দিবি বুঝেছিস? দুলাভাইকে দেখবো না আমি?’
‘ আচ্ছা দেবো’
আপাতত তিশাকে থামানোর জন্যে ওর কথায় সায় দিলো মেঘ, ভুলেও ক্লাসের কেউ যদি জানে আরিশ ওর হাসবেন্ড তাহলে আরিশ এলাহী কান্ড করে বসবে। ক্লাস শেষে ওরা আজ ঠিক করলো ফুচকা খাবে, তো মেঘ ওর বান্ধবীকে ফুচকার দোকানের কাছে যেতে বলে মেঘ ওয়াশরুমে আসে। ওয়াশরুমের ভেতরে ঢুকে দাঁড়াতেই ওখানে কারো ছায়া দেখে চমকে উঠলো মেঘ!
চলবে…
[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন…!!]