এ তুমি কেমন তুমি পর্ব-১৩

0
469

#এ_তুমি_কেমন_তুমি
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্ব-১৩

“মা-বাবা সবসময় সন্তানের ভালো চায় এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু ভালো চাইতে গিয়ে অনেক সময় সন্তানের চরম ক্ষতি করে ফেলে বাবা-মা। তখন আফসোস আর কান্না ছাড়া কিছুই করার থাকে না। তোমাকে আমার কিছুই বলার নেই মা। তাই এভাবে চলে আসতে বাধ্য হলাম।”

চিরকুট পড়ে রাগে ফুসফুস করছে লাবণি। সে চেয়েছিল অনুর আগেই ভালো পাত্রের সাথে লিজার বিয়েটা দিতে। লিজা কখন বাসা থেকে বের হয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি। ছেলের বাড়ির মানুষ এ নিয়ে কথা শুনাতে চাইলে ছেলে বাঁধা দিলো আর নিজের পরিবার নিয়ে চলে গেলো। এদিকে লিজা নিজের ফ্রেন্ডের ফ্ল্যাটে বসে আছে।

“কিছু বল ইয়ার। এভাবে বসে থাকলে বুঝবো কীভাবে কী হয়েছে?”

তুলির কথায় লিজা তাকালো তার দিকে, “তুই তো একাই থাকিস। আমি যদি তোর সাথে থাকি তোর কোনো প্রবলেম আছে?”

তুলি অবাক কণ্ঠে বললো, “তোর ফ্যামিলি আর এত বড় বাড়ি রেখে তুই এখানে কেনো থাকবি?”

লিজা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে সব কথা খোলে বললো। সব শুনে তুলি অনেকটাই অবাক হলো।

“আন্টি এমন করছে কেনো?”

“অনু আপু আমাদের ফ্যামিলির প্রথম মেয়ে। তাই ছোটবেলা থেকেই সবার চোখের মণি ছিলো। তারপর আমার জন্মের পর সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমার মা সবসময় চাইতো আমি সবার কাছে ফাস্ট প্রায়োরিটি পাই। তেমনই চলেছে বছর দুয়েক কিন্তু তারপর তানিশার জন্ম। ছোটবেলায় আমার সাথে অনু আপুর তুলনা করে সবাই যখন বলতো আমি সুন্দরী, অনু আপু কালো। এসব শুনে মা খুশী হতো। কিন্তু পরবর্তীতে তানিশা আমার থেকেও সুন্দরী হয়েছে এটা মা মানতে পারছিল না। আমার সাথে অনু আপুর তুলনায় মা খুশী হলেও তানিশার সাথে আমার তুলনায় সবসময়ই বিরক্ত হতেন। ছোটবেলা থেকে এসব বিষয় বেশ খেয়াল করেছি। মায়ের এসব আচরণ বরাবরই অপছন্দ ছিলো আমার। অনেকবার অনেকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, এতে মায়ের বকা আর মার খেতে হয়েছে। একসময় বুঝতে পারলাম আমার মা পরিবর্তন হওয়ার মানুষ নয়। তাই এড়িয়ে যেতাম এসব বিষয়। কিন্তু এবার মা একদম সহ্যের সীমা পার করছে। বিয়ে কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়, এর উপর আমার পুরোটা জীবন নির্ভর করছে। মায়ের জেদের জন্য একবার অপমানিত হয়েছি এবার নিজের জীবন নষ্ট করতে পারবো না। বাবা এসবের বাইরে থাকে, তাকে মানিয়ে নেওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে আমার মায়ের। তাই বাকি পড়াশোনা এখান থেকেই করতে চাই আমি। বাবাকে কোনোভাবে বুঝিয়ে নিবো। মায়ের সাথে আপাতত কোনো ঝামেলা করতে চাইছি না আমি। আমি একটু দূরে থাকলে যদি তার জেদ কমে।”

তুলি মুচকি হেসে বললো, “তোর যতদিন ইচ্ছে এখানে থাক। আমারই একটু সুবিধা হবে। এতবড় ফ্ল্যাটে একা থাকতে ভয় লাগে। ভাইয়া আমার জন্য যেতেই চায়নি, তার ক্যারিয়ারের প্রশ্ন তাই আমিই জোর করে পাঠিয়েছি। এখন যদি জানে আমি একা থাকছি না খুব খুশী হবে।”

২০.
একটা পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবে জয়েন করেছে অনু। মাস্টার্স করছে আর পাশাপাশি এই জব নিয়েছে। বাড়িতে এখনো সেভাবে জানায়নি। অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়ালো রিকশার জন্য। পত্রিকার অফিসটা একটু ভেতর দিকে, নিরিবিলি জায়গা অনেকটা। এই জন্য অনুর এই অফিসটা এতো ভালোলাগে। পত্রিকাটা ছোট আর খুব বেশি জনপ্রিয়ও নয় তাই অফিসটাও ছোট আর সদস্য সংখ্যাও কম। তবে প্রত্যেকের চোখে আছে স্বপ্ন ছোঁয়ার অদম্য উচ্ছাস। অনু আর কণা একসাথে কাজ করছে। কণা অনুর সাথেই অনার্স করেছে। কণার মাধ্যমেই অনু এই পত্রিকার সম্পর্কে জেনেছে। পত্রিকার মালিক শখের বশেই শুরু করেছে এটা। তাই নতুন সব ছেলেমেয়েদের সুযোগ দিয়েছে।

অনুর পাশে কণা এসে দাঁড়ালো, “অয়ন ভাইয়ার খোঁজ জানিস কিছু?”

অনু তাকালো কণার দিকে। চোখের সামনে ভেসে উঠলো প্রায় মাস চার আগের এক দিনের কথা। ফাইনাল এক্সাম শেষে অনু তখন দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় ফারহানের পাশে বসে থাকে। তেমনই এক বিকেলে অয়নের কল আসে। কল রিসিভ করে ফারহানের বেলকনিতে চলে যায় অনু।

“আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, কেমন আছেন?”

ওপাশ থেকে উত্তর এলো, “ওয়ালাইকুম আসসালাম ধুলাবালি। ভালো মন নিয়েই কলটা করেছিলাম কিন্তু তোমার কথা শুনে ভালো থাকতে পারলাম না।”

অনু অবাক হলো, “কেনো ভাইয়া আমি আবার কী বললাম?”

অয়ন দুঃখী গলায় বললো, “প্রয়োজনে তালপাতার সিপাহি বলো কিছু মনে করবো না। তবু দয়া করে ভাইয়া বলো না।”

“আপনি আমার ভার্সিটির সিনিয়র, আপনাকে ভাইয়া বলবো না তো কী বলবো?”

“সুন্দরী মেয়েদের মুখে ভাইয়া ডাক শুনতে কার ভালো লাগে বলো তো?”

কপাল কুঁচকে গেলো অনুর, “আপনি কী আমার সাথে ফ্লাট করার চেষ্টা করছেন?”

“আমার ঘাড়ে ক’টা মাথা আছে তোমার সাথে ফ্লাট করবো? একটা অনুরোধ করার জন্য কল দিয়েছিলাম। রাখবে কিনা সেটা তোমার ব্যাপার।”

অনু সিরিয়াস কণ্ঠে প্রশ্ন করলো, “কী অনুরোধ?”

মলিন হাসলো অয়ন, “ভয় পেও না। এমন কিছু বলবো না যেটা করা তোমার জন্য ক্ষতিকর।”

“না না তেমন কিছু না। বলুন না কী অনুরোধ?”

“আগামীকাল সন্ধ্যায় আমার ফ্লাইট। চলে যাচ্ছি প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে আর কখনো ফেরা হবে কিনা সেটাও জানি না। এই দেশে আমার আপন বলতে কেউ নেই অনামিকা।”

চমকে উঠলো অনু। এই প্রথম অয়নের মুখে নিজের ভালো নাম শুনলো। অয়নের গলাটাও কেমন ভারী ভারী লাগছে। মনে হচ্ছে কান্না আঁটকে কথা বলছে।

অয়ন একটু দম নিয়ে বললো, “অনু আমি আমার দেশটাকে খুব ভালোবাসি কিন্তু এখানে থাকা আমার জন্য আর সম্ভব হলো না। বাধ্য হয়ে চলে যেতে হচ্ছে আমাকে। কিন্তু বিশ্বাস করো আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্যও কেউ নেই।”

অনুর চোখে কখন পানি চলে এসেছে অনু বুঝতেই পারেনি। অয়ন নামটা অনুর কাছে এক দুর্ভেদ্য রহস্য। অয়নকে অনু কখনো মন খারাপ করে থাকতে দেখেনি। সবসময় ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে থাকতো। তবে হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখতো অন্য এক গল্প, যেটা কেউ জানে না। অনু মাঝে মাঝে বুঝতে পারতো কিছুটা তবে পুরোটা না। অয়নের অনেক ফ্রেন্ড আছে তবু বলছে বিদায় দেওয়ার জন্য কেউ নেই। এই কথাটাও অনুর কাছে আরো এক রহস্য।

“তুমি কী একটু আসবে আমাকে বিদায় দিতে?”

কিছু তো ছিলো অয়নের বলায়। অনু না করা তো দূর সেটা চিন্তাও করতে পারলো না। বিনা দ্বিধায় রাজি হয়ে গেলো। পরদিন অনু তানিশাকে সাথে নিয়ে চলে যায় অয়নকে বিদায় দিতে। সৌজন্যমূলক কথা ছাড়া একটি কথাও বলেনি অয়ন। তবে সেদিন অয়নের মুখের সেই মিথ্যা হাসিটা ছিল না।

যাওয়ার আগে অনুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো, “তুমি দেখতে অনেকটা আমার মায়ের মতো। তোমার মুখটা দেখলে অদ্ভুত এক শান্তি পেতাম। সেই শান্তিটা নিয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলাম। তোমাকে অনেক জ্বালিয়েছি তার জন্য ক্ষমা চাইবো না কারণ সেটা ইচ্ছাকৃত ছিল।”

অনু মলিন হাসলো অয়নের কথা শুনে। অয়নের চলে যাওয়ায় অদ্ভুতভাবে কষ্ট হচ্ছে অনুর। অয়ন নামটা তার জীবনে এক রহস্য হয়েই থেকে যাবে?

“স্বার্থের আপন আর সুসময়ে বন্ধু না চাইতেই অনেক পাবে। তাদের কখনো হৃদয়ে জায়গা দিও না। হৃদয় পুড়িয়ে ছাই করতে সময় নেয় না তারা। ভালো থেকো প্রিয়।”

অয়ন চলে গেলো সামনের দিকে। অনু পেছন থেকে শুধু দেখে গেলো। অয়ন একবারের জন্যও পিছু ফিরেনি। যেনো চলে যাওয়ার ভীষণ তাড়া।

“কথা বলছিস না কেনো অনু?”

কণার কথায় অতীত বিচরণ থেকে বের হয়ে এলো অনু। সেদিনের পর অয়নের আর কোন খোঁজ পায়নি অনু। সমস্ত অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তার নামের একাউন্ট গুলো রীতিমতো গায়েব হয়ে গেছে। যেনো মানুষটাই গায়েব হয়ে গেছে।

অনু দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, “অয়ন ভাইয়ার আর কোনো খোঁজ পায়নি আমি।”

কণার মুখটা মলিন হয়ে গেলো, “অয়ন ভাইয়া মানুষটা একটা রহস্য। তার কোনো ফ্রেন্ড’স তার সম্পর্কে তেমন কিছু জানতো না। তার ফ্যামিলি সম্পর্কে কিছুই জানে না কেউ। সবাই এটাই জানে তার মা নেই কিন্তু বাবার কথা কখনো উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি।”

অনু বললো, “বাদ দে। আমাদের চারপাশে কত মানুষ আছে। ক’জনকে আমরা জানি, সবাই তো আর খোলা বইয়ের মতো হয় না। কেউ কেউ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে।”

কথা বলতে বলতে অনেকটা হেঁটে চলে এসেছে অনু আর কণা। হঠাৎই তাদের সামনে একটা গাড়ি এসে থামলো। দু’জনেই তাকালো গাড়ির দিকে। অফিসের ফর্মাল পোশাকে ড্রাইভিং সীট থেকে বের হয়ে এলো ফারহান। তা দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো অনু।

ফারহান অনুর সামনে এসে দাঁড়িয়ে কণাকে সালাম জানালে কণা থতমত খেয়ে সালামের উত্তর দিলো।

ফারহান এবার আশপাশটা দেখে অনুকে বললো, “তুই এখানে কী করছিস?”

অনু আমতা আমতা করে বললো, “আমি তো ভার্সিটি গিয়েছিলাম?”

ফারহান সন্দেহের সৃষ্টিতে তাকালো অনু দিকে, “তোর ভার্সিটি তো এদিকে না।”

অনুর বিষয়টা খেয়াল হলে নিজেকেই মনে মনে গালি দিলো, “না মানে।”

“তুই কী কিছু লুকাতে চাইছিস অনামিকা?”

অনু শুকনো ঢোক গিলে বললো, “কী লুকাবো?”

“তুই এদিকে কোথায় গিয়েছিলি সেটা বলতে পারছিস না কেনো?”

অনু নিজেকে সামলে নিয়ে দৃঢ় গলায় বললো, “আপনি কী আমাকে সন্দেহ করছেন?”

“অনামিকা আমি তোকে সন্দেহ করছি না। শুধু জানতে চাইছি এদিকে কোথায় গিয়েছিলি?”

“কণার একটা পার্সোনাল কাজ ছিলো তাই ওর সাথে এসেছিলাম।”

“এটা প্রথমেই বলে দিলে হত। এখন চল আমি তোকে বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি।”

অনু কণার দিকে তাকালো, “না আমাদের কাজ শেষ হয়নি।”

ফারহান কিছু বলবে তার আগেই কণা বললো, “বাকিটা আমি করে নিতে পারবো। তুই বরং ভাইয়ার সাথে চলে যা।”

ফারহান মুচকি হেসে বললো, “ধন্যবাদ ছোট আপু।”

অনুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফারহান হাত ধরে টেনে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। নিজেও এসে ড্রাইভিং সীটে বসে পড়লো।

“আপনি আবার ড্রাইভ করছেন কেনো? আপনার জন্য না ড্রাইভার রেখে দিয়েছে আঙ্কেল।”

“গাড়িতে বসে থাকলে নিজেকে প্রতিবন্ধী মনে হয়। ড্রাইভার রাখতে ভালো লাগে না আমার। নিজের সব কাজ নিজে করতে বেশি ভালো লাগে। একটা ভয় ছিলো সেটা কেটে গেছে।”

অনু এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ফারহানের দিকে, “এভাবে কী দেখছিস? মনে হচ্ছে জীবনে প্রথমবার দেখেছিস আমাকে।”

“সেটা বললে খুব একটা ভুল হবে না। আচ্ছা একটা কথা বলুন তো।”

“কী কথা?”

“আপনার মাথাটা সত্যি ঠিক হয়েছে তো? নাকি এখনো দু-একটা তার ছেঁড়া আছে?”

ফারহান কটমটে চোখে তাকালো অনুর দিকে আর তা দেখে অনু শুকনো ঢোক গিলে বললো, “না মানে হয়েছে কী? আমি এক্সিডেন্টের আগের ফারহান আর এখনকার ফারহান দু’জনের মিল পাচ্ছি না।”

ফারহানের দৃষ্টি মলিন হলো, “আর পাঁচ বছর আগের ফারহান? সেই ফারহানের সাথে মিল পাচ্ছিস এই ফারহানের?”

অনু মাথা নেড়ে বললো, “সেটা অবশ্য পাচ্ছি কিন্তু?”

ফারহান ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ দিলো, “মাঝের পাঁচটা বছর ভুলে যা। ভুলে যা মাঝের সময়ের ঐ ফারহানকে।”

অনু তাকিয়ে রইলো ফারহানের দিকে। অনুরও এখন অজানা নয় ফারহানের হঠাৎ পরিবর্তন হতে থাকার কারণ। মাঝের সেই সময়টাতে ফারহান অনেক আঘাত দিয়েছে তাকে। অনু দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে সামনে তাকালো।

“আরে আরে আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি? এটা তো বাড়ির রাস্তা না।”

ফারহান মুচকি হাসলো, “আমরা বাড়িতে যাচ্ছি না তাই এটা বাড়ির রাস্তা না।”

অবাক হলো অনু, “বাড়িতে না গেলে কোথায় যাচ্ছি?”

“সেটা গেলেই দেখতে পাবি, এখন চুপচাপ দেখতে থাক।”

“বাড়িতে চিন্তা করবে তো। এভাবে না বলে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?”

“কেউ চিন্তা করবে না। আমি মামাকে বলে তবেই তোকে নিয়ে এসেছি। তোকে আনার জন্য তোর ভার্সিটি যাচ্ছিলাম অফিস থেকে আর পথেই দেখা হয়ে গেলো।”

রসগোল্লার মতো চোখে তাকালো অনু, “বাবা অনুমতি দিয়ে দিলো?”

“তুই আমাকে বিশ্বাস নাই করতে পারিস কিন্তু মামা আমাকে বিশ্বাস করে।”

“এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা আসছে কোথা থেকে?”

“তুই আমাকে বিশ্বাস করতে পারছিস না বলেই বারবার পশ্ন করছিস আর ভয় পাচ্ছিস। তুই কী ভাবছিস আমি তোর ক্ষতি করবো?”

“আমি এসব কখন বললাম?”

“বলতে হবে কেনো? তুই বুঝিয়ে দিচ্ছিস তুই আমাকে বিশ্বাস করতে পারছিস না।”

অনু কিছু না বলে কাঁদো কাঁদো ফেসে তাকিয়ে রইলো ফারহানের দিকে। ফারহান কোন উত্তর না পেয়ে অনুর দিকে তাকালো। অনু এমন ফেস দেখে উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো। অনু মন্ত্র মুগ্ধের মতো দেখতে লাগলো ফারহানের হাসি। শেষ কবে ফারহান এভাবে হেসেছে অনু বলতে পারবে না।

চলবে,,,