ওঁগো বঁধু পর্ব-২১

0
3

#ওঁগো_বঁধু

পর্ব ২১

#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা

পায়ের সামনে পড়ে থাকা ভাঙ্গা কাঁচের টুকরাগুলো তুলে নিলো নির্ভানা। এসব কাজে তার অভ্যাস আছে, কিন্তু রাফসানের রাগের তীব্রতা দেখে তার শরীর কাঁপছে। যদি তার সাথে আবার রাগারাগি করে! কিন্তু না, রাফসান তার বেডে ধপ করে বসে গেলো। কনুইয়ের উপর রাখা হস্তদ্বয় দিয়ে মুখ আবৃত করলো সে। ওদিকে নির্ভানা ভাঙ্গা কাঁচের টুকরাগুলো সাবধানে রেখে দিলো বাকেটে।

কিন্তু একি? লাল কি গড়িয়ে আসছে সাদা ফ্লোর বরাবর? রাফসানের পা যে কেটে গেছে বেশ ক্ষাণিকটা!

নির্ভানা দ্বীধা দ্বন্দ ভুলে স্যাভলন আর তুলো হাতে পায়ের র’ক্ত মুছে দিতে যেতেই রাফসান গর্জে উঠলো,

” ডোন্ট টাচ! হাউ ডেয়ার ইউ টু টাচ মি…ব্লাডি…”

রাফসান রাগে গজগজ করছে।

গজগজ করতে করতে বলছে,

” ব্লাডি হেল, টাকা দেবে না আমায়! ব্লাডি.. ফকিরকে কোটি টাকা দান করতে পারে আর নিজের ছেলে চাইলেই যত দোষ, যত বাহানা! ”

এবার নির্ভানা দেখতে পেলো, তার চোখ কিছুটা লাল হয়ে গেছে। ফর্সা গাল ও চোয়ালও র’ক্তবর্ণ, মাথা ঘামছে , সে ঘাম চোয়াল গড়িয়ে যাচ্ছে। সে রিমোটে জোরে চাপ দিয়ে এসির শীতলতা বাড়িয়ে দিলো। তারপর সেই রিমোট জোরে ফিকে মারলো। কোথাও সেটা পড়ে ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেলো। নির্ভানা নিরবে পর্যবেক্ষণ করছে স্বামিকে। কিছু বলে যে বুঝাবে, সে সাহসও যোগাতে পারছে না।

তারপরো সাহস যুগিয়ে রাফসানের দিকে একটা বাক্য ছুঁড়ে দিলো,
” আপনি চিন্তা করবেন না, বাবা আপনাকে….”

বাক্যটা রাফসান তাকে শেষ করতে দিলো না।
উলটো কটাকট স্বরে গটগট করে বললো,

” দেখো মেয়ে, আমি তোমার সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না, আমার বাবাকে আমি চিনি। সে কোন লেভেলের জেদি তা আমি জানি। আমি মূলত তোমার সাথে কোনো বিষয়েই কথা বলতে চাই না। তোমার সাথে আমি কোনো খারাপ আচরন করতে চাই না, তবে তুমি যদি এভাবে যেচে পড়ে কথা বলতে আসো, তাহলে ভীষণভাবে অপমানিত হবে বলে দিচ্ছি!”

নির্ভানা বিনিত স্বরে অনুনয় করে বললো,

” আপনার পা গড়িয়ে র’ক্ত পড়ছে, ওটা পরিস্কার করতে তো দিন অন্ততঃ !”

রাফসান পুনরায় গর্জে উঠলো,

” আমি নিজেই এনাফ ওটা ক্লিন করার জন্য! প্লিজ আমাকে আর দয়া দেখাতে হবে না তোমার, প্লিজ…”

নির্ভানা নিজেকে সংযত করলো।

সে রাফসানকে একা ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। ভাবলো, কিচেনে গিয়ে রাফসানের পছন্দের কিছু রান্না করে আনা যাক। দাদী এতদিনে নির্ভানাকে রাফসানের পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে এ টু জেড জানিয়েছে।

অন্যদিকে ব্রেকফাস্ট করেই এ বাড়ির সবাই বাড়ির বাহিরে, যে যার কাজে।

দাদা দাদীর সাথে ভিড়িও কলে কথা বলে নিলো নির্ভানা। দাদা দাদী তাকে অনেক বেশি মিস করছে।

সরিষার তেলে পেঁয়াজ কুঁচি হালকা বাদামী করে ভেজে, তার মধ্যে অন্যান্য মশলা সহ বাটা সরিষা কষিয়ে তার মধ্যে ইলিশ মাছের টুকরাগুলো ছেড়ে দিতেই চমৎকার এক ঘ্রাণ বের হলো।

নির্ভানা নিজেই সব মশলা তরতাজা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছে।

তরকারী কষাতে সে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলো।

হঠাৎই কে জানি পেছন থেকে এসে নির্ভানার দু চোখ আটকে দিলো তার নিজের করতল দিয়ে।
বেশ শক্ত করে আষ্টেপৃষ্টে ধরে রাখলো নির্ভানার চোখ।

নির্ভানা এটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। সে ভয়ার্ত স্বরে বলতে লাগলো,

” কে? কে? আরেহ! আমার তরকারী পুড়ে যাবে তো.. আরে তামান্না কে দেখো তো, চোখ গলে গেলো যে! ”

তামান্নারো কোনো সাড়া নেই। নির্ভানা হাত দিয়ে ছাড়ানোর চেষ্ঠা করলো কিন্তু চোখ পেছন থেকে চোখ ধরে রাখা ব্যক্তি নিশ্চুপ।

” রুহ.. রুহ..রুহ…” নির্ভানা তোতলাতে লাগলো।

এবার চোখ ধরে রাখা মানুষটা অটঠাসি দিয়ে উঠলো,

” হা হা হা! তোতলাচ্ছো কেনো ভাবি? ঠিকই তো ধরেছো, আমি রুহ! ইউর রুহ বেইব..! ”

রুহশান নির্ভানার চোখ খুলতেই নির্ভানা দ্রুত তরকারীর প্যানের ঢাকনা খুলে পানি ঢেলে দিলো। লজ্জাস্নাত স্বরে বললো,

” আমি পারফিউমের ঘ্রাণেই বুঝতে পেরেছি, এটা তুমি! এত কড়া ঘ্রাণ! কিন্তু আমার তরকারি তো পুড়েই যাচ্ছিলো প্রায়”

নির্ভানা লাজুক স্বরে একমাত্র দেবরকে বললো এটা।

” বাহ! তোমার স্মেলিং সেন্স তো অসাধারন ভাবি? পারফিউমের গন্ধও চিনে রেখেছো! তবে আমারও স্মেলিং সেন্স অনেক ভালো, একদম কুকুরের মতো, তাইতো সরিষা ইলিশের ঘ্রাণে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। ভেবেছিলাম একটানা বিশ ঘন্টা ঘুমাবো। এক্কেবারে ডিপ স্লিপে ছিলাম, তার মধ্যেই যখন হনহন করে নাকে এই সরিষা ইলিশের ঘ্রাণ এলো, তখন আমি কন্ট্রোললেস হয়ে গেলাম। আর স্মেল শুঁকে শুঁকে চলে এলাম সরাসরি কিচেনে। আর যা ভেবেছিলাম তাই ই! আনএক্সপেক্টবল! তুমিই রান্না করছো এসব, তাও আমার জন্য! আচ্ছা তুমি জানলে কিভাবে যে, আমার ফেবারিট ফুড সরিষা ইলিশ? ”

নির্ভানা বলে উঠলো,

” আসলে তোমার ভাইয়ারো ফেবারিট…”

রুহশান অভিমানী স্বরে বলে উঠলো,

” ওহহহ! ভাইয়ার ফেবারিট বলেই বুঝি! আমার পছন্দ অপছন্দের খেয়াল আর কে রাখে? ”

নির্ভানা একটা খুন্তি দিয়ে তরকারি নাড়তে নাড়তে বললো,

” না না, তোমার কি কি ফেবারিট সেগুলোর লিস্টও দাও, আমি সেগুলো রেঁধেও খাওয়াবো তোমাকে। যদি বিদেশি কোনো আইটেম হয়, তাহলে ইউ টিউব দেখে হলেও শিখে তারপর রেঁধেই খাওয়াবো!”

রুহশান নিজের জিহবার জল নিয়ন্ত্রণ করতে করতে বললো,

” বিদেশি খাবার বহুত খেলাম, দেখতে চরম ডিলিশাচ! কিন্তু টেস্ট নেই। এই এই! দেখো তো, শরিষা ইলিশ সেদ্ধ হয়েছে কিনা, আধাসেদ্ধ হলেও একটা দাও তো আমাকে খেয়ে মন জুড়াই। ব্রিটেনে তো আর ইলিশ পাওয়া যায় না, ওখানে শুধু স্যামন আর স্যামন। এই স্যামন খেয়ে খেয়ে আমার মন শুধু করতো কেমন আর কেমন!”

রুহশানের কথা শুনে নির্ভানা হাসলো।

” আচ্ছা, তোমার নাম কি নির্ভানা নাকি? আমি ভাই সারেন্ডার! আমি এত কঠিন নাম উচ্চারন করতে পারবো না। আমি তোমাকে ভাবিও বলতে পারবো না। আমি শুধু তোমাকে নিভ বলে ডাকবো। পিচ্চি একটা মেয়ে তুমি আমার ভাবি হও কেমনে? আচ্ছা তোমার বয়স কতো?

নির্ভানা লজ্জালাল হয়ে গেলো বয়স জিজ্ঞেস করায়। কি উত্তর করবে সে এই প্রশ্নের?

লজ্জাকাতুর হয়ে বললো,

” ঊনিশ!”

রুহশান এবার লাফাতে লাফাতে বললো,

” আচ্ছা নিভ, তোমার ‘জ’ তো ভি শেইপ করা। বেশির ভাগ বাঙ্গালী মেয়েদের জ তো ভি নয় বরং ইউ বা ও শেইপ। আচ্ছা, তুমি কি সার্জারি করেছো? এত সুন্দর তোমার সব শেইপ! ”

শেইপ শব্দটা শুনে নির্ভানা চমকে উঠলো। সে নিজের ওড়না ও কাপড় ঠিক আছে কিনা তা আরেকবার দেখে নিলো। নাহ সব ঠিক আছে। তাহলে এই বেয়াদব ছেলেটা সব দেখলো কিভাবে? আর এত্ত কথা বলে এই ছেলে! নির্ভানার মাথা ধরে যাচ্ছিলো। সে ওদিকে চিন্তায় আছে রাফসানের পা দিয়ে র’ক্ত পড়ছে সেটার।

এসব ভাবতে ভাবতেই নির্ভানা রুহশানের দিকে তাকালো। রুহশান তার দিকে তাকিয়ে হাসছে। একমাত্র এই ই একমাত্র ব্যক্তি যে তার সাথে কোনো অভিনয় করছে না। তাছাড়া বাড়ির সবাই শ্বসুর রায়হানের সামনে তাকে যে আদরের এক্টিং করছে সবার চোখে মুখেই ফুটে উঠছে। তবে রুহশান একটু দুষ্টু ও লুচো টাইপের হলেও তার মধ্যে কোনো অভিনয় নেই।

নির্ভানা দেবরের আর্জিতে তার জন্য এক জগ লাচ্ছি বানালো। রুহশান নাচতে নাচতে এক বাটি সরিষা ইলিশ আর এক গ্লাস লাচ্ছি নিয়ে রুমে চলে গেলো। আর দুপুরে কি কি খাবে তার একটা লম্বা লিস্ট দিয়ে গেলো নির্ভানাকে। নির্ভানাও এক গ্লাস লাচ্ছি নিয়ে সে তার রুমে প্রবেশ করতে গেলো। জানে রাফসান এটা খাবে না এখন। তবেও আশা নিয়ে এক গ্লাস নিয়ে গেলো রাফসানের জন্য। তবে ভয় হচ্ছিলো রুমে ঢুকতে। এতক্ষণে রাফসানের রাগ কমলো কিনা কে জানে?

ভীত পায়ে রুমে ঢুকে দেখে শায়লা এসেছে কক্ষে। দুজনে চুপিসারে আলাপ আলোচনা করছে।
নির্ভানা নিরবে ওয়ারড্রবের পেছনে লুকিয়ে গেলো।
মা ছেলের পাশে শান্ত ভঙ্গিতে বসে আছে পাশাপাশি। নির্ভানা যে এসে দাঁড়িয়েছে তা তাদের দুজনের একজনো দেখেনি বুঝেনি।

রাফসান তার মা’কে বলছে,

” তোমরা সবাই যে যার মতো বাইরে থাকো। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। আর আমি? এভাবে আর কতদিন বেকার বসে থাকবো? আমি যেনো বন্দি একটা, হ্যান্ডকাফ পড়ে ঘরে বসে আছি, দিনের পর দিন। না আছে জব, না বাইরে যাওয়ার মুখ আছে, না বন্ধুদের সাথে মেশার মুখ আছে!”

শায়লা ছেলের কাঁধে হাত রাখলেন,

” প্লিজ কয়েকদিন ধৈর্য্য ধরো, ঐ ভিখারীর মেয়ের সাথে ধৈর্য্য ধরে একটু পলাইটলি বিহেভ করো, দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে।

রাফসান জোর গলায় বলে উঠলো,

” আমি এই রুমের ভেতর কিংবা বাইরে কোনো স্থানেই ওর সাথে আর পলাইট বিহেভ আর করতে পারবো না, ইমপসেবল! আমি আর ওকে টলারেট করতে পারছি নাহ মা! ”

রাফসানের মুখের এই কথাগুলো নির্ভানার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো।

এরই মধ্যে শায়লা পুনরায় বলে উঠলো,

” তুমি জানো না, তোমার বাবা কতটা ক্লেভার! টাকাটা আদায় হলেই তোমাকে আর ইনোসেন্ট সাজতে হবে না। তারপর সব ফিনিশ। আর জানো না তো, তোমার ক্লেভার বাবা ছেলের রুমেও সিসি ক্যামেরা লাগায়, কি হচ্ছে তা দেখার জন্য। সো প্লিজ রাতে লাইট অফ করে ঘুমাবে! তোমরা দুজন দু জায়গায় ঘুমাচ্ছো তা দেখলে বিপদ হতে পারে!”

রাফসান একথা শুনে রাগে ফুঁসে উঠলো,

” হোয়াট দ্যা ফা* এই ঘরেও সিসি ক্যামেরা! বাইরেও থাকা যাবে না, ঘরেও থাকা যাবে না। ব্লাডি হেল আমাই যাবো কোথায়?”

শায়লা ছেলের দু গাল করতলে চেপে ধরে বললেন,

” জিততে হলে ধৈর্য্য তোমাকে ধরতেই হবে, আর ড্রামাও চালু রাখতে হবে!

তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বের হয়ে গেলো হনহন করে। নির্ভানা এবার সামনে বেরিয়ে এলো। নিজের কাপড় চোপড় সব গুছাতে লাগলো। রাফসান হাঁটতে পারছে না। সে ঠাঁ ই বসে চেঁচিয়েই বললো,

” কাপড় চোপড় নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?”

নির্ভানার চোখে জল, সে ভাঙ্গা কন্ঠে বললো,

” আমি তো আপনার দাসী হয়েই থাকতে চেয়েছিলাম, স্ত্রীর অধিকার কখন চাইলাম? এই রুমে আমাকে আর আপনার সহ্য করতে হবে না। আমি বরং সারভেন্টদের ঘরেই ঘুমাই গিয়ে। বিশ্বাস করেন আমি কোনো মাইন্ড করবো না। প্লিজ আপনি তবুও শান্তিতে থাকুন। আমার জন্য আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে হবে না!”

নির্ভানা বেরিয়ে যেতে উদ্যত হতেই রাফসান তার কাটা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে এসে এক হাতে নির্ভানাকে ধরে জোর করে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে রাগী স্বরে বললো,

” কোথাও যাবে না তুমি, এখানেই থাকবে, ইটস মাই অর্ডার!”

নির্ভানা বসে রইলো।

রাফসান হাতের যেখানে স্পর্শ করেছে সেখানে আঙ্গুলের দাগ পড়ে গেছে তার।

রাফসান টিভি চালিয়ে দেখতে শুরু করলো।

এমন সময় দরজায় কড়া পড়লো।

রাফসান গেইট খুললো। রুহশান এসেছে। সে এসেই রাফসানকে ” গুড মর্নিং জানালো!” এদিকে বেলা বারোটা।

রাফসানের মেজাজ যে চটে আছে তা রুহশান স্পষ্ট বুজতে পারলো। কিন্তু সেদিকে তার তোয়াক্কা নেই। সে এসেছে নির্ভানার কাছে।

রুহশানের হাতের বাটিটা সে চুপচাপ বিছানায় বসে থাকা নির্ভানার হাতে রেখে বললো,

” বাটি খালি করে ফেলেছি, সব খেয়ে। এখন নতুন আইটেম দাও নিভ!”

নির্ভানা মুখ ভার ধরে রেখেই বললো,

” রান্না হয়নি তো!”

” রান্না হয়নি তো তুমি এখানে কি করছো? ওওও বুঝেছি, ভাইয়া ছাড়ছে না তোমাকে! আচ্ছা ব্যাপার না, আমি তোমাকে ভাইয়ার থেকে চেয়েই নিচ্ছি! ”

বলেই সে রাফসানকে করজোরে বলতে লাগলো,

” ব্রো প্লিজ, তোমার এই শেইফ বউটাকে একদিনের জন্য আমাকে ধার দাও!”

একথা শুনে রাফসান ছোটোভাইয়ের দিকে চোখ কটমট করে চাইলো।

রুহশান এসবের তোয়াক্কা না করে পুনরায় রেলগাড়ীর ন্যায় বলা শুরু করলো,

” আরে বোকা ভাই আমার! তোমার বউ তোমারই থাকবে, ডোন্ট ওরি। শুধু একদিনের জন্য ওর হাত দুটো ধার দাও। ওর হাতে যাদু আছে। এত মজার রান্না কিভাবে করে ও। প্লিজ আজ যে লিস্ট টা আমি ওকে দিয়েছি, সেই আইটেম গুলো প্লিজ রান্না করে খাওয়াতে দাও। না হলে মরেও আমি শান্তি পাবো না। ভূত হয়ে তোমাদের জ্বালাবো রান্না খাওয়ার জন্য!”

ভাইয়ের এমন অবাক করা ড্রামাটিক কথাবার্তায় রাফসান হাসলো। নির্ভানাও না হেসে পারলো না। অত:পর চললো কিচেনের দিকে।

(চলবে)