ওগো বিদেশিনী পর্ব-০২

0
171

#ওগো_বিদেশিনী
#পর্ব_২
#সারিকা_হোসাইন

——–
সারা দিনের লম্বা ফ্রেস ঘুমের পর নিজের কর্মক্ষেত্রে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছে ফ্লাইট ক্যাপ্টেন মাহাদ চৌধুরী।

কাবার্ড থেকে সাদা রঙের ইউনিফর্ম বের করে গায়ে জড়ালো।
নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী এপুলেট ব্যাজ লাগিয়ে নিলো কাঁধে।
মাথার উপরে লম্বা চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করে ডার্ক নেভি ব্লু রঙের কোট গায়ে পরে গোল্ডেন উইংস ব্যাজ হুক দিয়ে বুক পকেটে আটকে নিলো।
গলার টাই টা ঠিক করে চোখে কালো সানগ্লাস লাগিয়ে পিকড ক্যাপ হাতে নিয়ে নিজের জন্য বরাদ্দকৃত ট্রলি ব্যাগ নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলো।

“কয় দিনের জন্য যাচ্ছিস”?
উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইলেন মাহাদের মা মিসেস মিতালি চৌধুরী।

ঘড়ি পড়তে পড়তে মাহাদ বলে উঠলো
“তিন দিনের জন্য,”

তপ্ত নিঃশাস ছাড়লেন মিতালি চৌধুরী।

ছেলে যতক্ষন বাড়ির বাইরে থাকে মিসেস মিতালি শান্তিতে নিঃশাস নিতে পারেন না।
তিনি কখনো চাননি তার ছেলে পাইলট হোক।
কিন্তু ছেলের এক জেদ সে বিমান চালাবেই।

অবশ্য মাহাদ কেনো পাইলট হতে চেয়েছে এটা মিসেস মিতালি খুব ভালো করেই জানেন।

ছেলের ইচ্ছেকে তিনি প্রাধান্য দেন ,কিন্তু সারাক্ষন বিভিন্ন শঙ্কায় থাকতে থাকতে দিনে দিনে ডিপ্রেসড হয়ে যাচ্ছেন।
এই বুঝি ছেলের খারাপ খবর কানে এলো।

ছেলে যখন দেশের বাইরে থাকে তখন টেলিফোন এর কল গুলো তিনি কখনোই রিসিভ করেন না।

তার ছেলে এই দুনিয়ায় বেঁচে নেই বা প্লেন ক্র্যাশ করেছে ,এই ধরনের খবর কখনোই তিনি নিজ কানে শুনতে পারবেন না।

মিতালি চৌধুরীর ধ্যান ভাঙলো মাহাদের গমগমে সুরে
“মা আমি যাচ্ছি,আমার বউকে সুযোগ বুঝে একটু দেখে এসো”

বলেই কালো রোদ চশমাটা তর্জনী আঙুলের সহায়তায় নাকের কাছে এনে চোখ টিপে ফিচেল হেসে আবার চোখে পড়ে শিস বাজাতে বাজাতে গটগট করে বেরিয়ে গেলো।

মাহাদকে দেখেই ড্রাইভার টুটুল গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করে মাহাদের সামনে এসে দাড়ালো।

মাহাদ তার লাগেজ গাড়ির ডিকি তে তুলে গাড়িতে গিয়ে বসে পকেট থেকে ফোন বের করলো।
ডায়াল করলো কাঙ্খিত একটি নম্বর।

রিং হতেই দ্রুত রিসিভ হলো কল।

“আমার বউটা কি করছে এখন?

ওপাশ থেকে কিছু একটা উত্তর দিতেই প্রশস্ত হলো মাহাদের ঠোঁট।

ফোন কেটে ড্রাইভার টুটুলের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো

“স্পিড একশোতে তুলো টুটুল,একদম চাচা শশুরের গেটের সামনে গিয়ে গাড়ি থামাবে ”

বলেই চক্ষু মুদে গাড়ির সিটে হেলান দিলো মাহাদ ।

মিনিট দশেক পরেই টুটুল গাড়ির ব্রেক কষলো।

সোজা হয়ে বসলো মাহাদ।
গাড়ির কালো গ্লাস নামিয়ে বিশাল বড় গেটের ফোকর দিয়ে দেখতে পেলো দুটি মেয়ে গার্ডেনে পানি দিচ্ছে তার সুযোগ পেয়ে দুজন দুজনকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
দুটি মেয়েই হেসে হেসে লাজুক লতার ন্যায় ঢলে পড়ছে।
সেখানে একটি মেয়ে মাহাদের ভালোবাসার মানুষ।
যাকে এক পলক না দেখলে মাহাদের দুনিয়া উলট পালট লাগে।

মাহাদ প্রতিদিন এই বাসার সামনে পাঁচ মিনিট দাঁড়ায়,এটা টুটুলের মুখস্ত।ঘড়ি ধরে মিনিট পাঁচ শেষ হতেই টুটুল গাড়ি স্টার্ট দিলো।

গাড়ির স্পিড বাড়াতেই মাহাদ বলে উঠলো
“ইউ টার্ন নাও টুটুল।বউকে আরেকটু দেখতে ইচ্ছে করছে”

“স্যার আপনার ফ্লাইটের আর চল্লিশ মিনিট বাকী আছে” বলে উঠলো টুটুল।

“সে আমি বুঝে নেবো, তুমি আমার বউয়ের কাছে চলো”

অগত্যা টুটুল ইউ টার্ন নিয়ে আবার নাফিজ হাসানের বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করালো।

গাড়ির গ্লাস সামান্য নীচে নামিয়ে মাহাদ আরো পাঁচ মিনিট সেই অনিন্দ্য হাসি উপভোগ করলো।
এর পর বুক চাপড়াতে চাপড়াতে বলে উঠলো
“মরে যাবো টুটুল আর বাঁচবো না এই নশ্বর পৃথিবীতে”.

টুটুল স্মিত হাসে।

মাহাদ হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ওর্ডার এর স্বরে বলে উঠে

” স্পিড বাড়াও টুটুল,দশ মিনিটের ভেতর এয়ারপোর্ট থাকা চাই।”

গাড়ির স্টিয়ারিং এ মাথা বাড়ি দিলো টুটুল।

“এই লোক তাকে নির্ঘাত একদিন কেস খাওয়াবে।”

স্কেলেটরে পা চেপে স্টিয়ারিং ঘুরালো টুটুল।হুহু করে বাড়তে থাকলো স্পিড।

এয়ারপোর্ট আসতেই মাহাদ ইউনিফর্ম ঠিক করে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো।টুটুল দ্রুত লাগেজ বের করে মহাদকে দিয়ে বলে উঠলো

“সাবধানে যাবেন স্যার,”

টুটুলের কাঁধ চাপড়ে এয়ারপোর্ট এর ভেতরে ঢুকে গেলো মাহাদ।।

ফ্লাইট ডিপার্চার এ এসে তার পাসপোর্ট ভিসা দেখে নিলো,ব্রেথ এনালাইসিস করে ফ্লাইট শিডিউল দেখে চলে গেলো জেট ব্রিজ এ প্লেনে উঠার উদ্দেশ্যে।

“কি ব্যাপার ক্যাপ্টেন মাহাদ খুব খুশি লাগছে আজকে?
কাহিনী কি?
বলেই ভ্রু উঁচু করে মাহাদের দিকে তাকালো সহকারী পাইলট ক্যাপ্টেন মর্তুজা মাহতিম।

“বউকে আজ খুব খুশি দেখেছি ডুড ,এজন্য ভালো লাগছে”

বলেই এভিওনিক্স সুইচ,ফিউল পাম্প,ফিউল সিলেক্টর,এটিসি কমিউনিকেশন সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে অপেক্ষা করতে লাগলো প্লেন টেইক অফ এর এনাউন্স এর জন্য।

মিনিট দশেক পরেই রেডিও যোগাযোগ এর মাধ্যমে টেইক অফ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।

মাহাদ থ্রোটল টেনে ফিউল সিলেক্ট করে স্টার্ট ইঞ্জিন চেপে ধরলো।

ককপিট ডানে বামে ঘুরিয়ে ইও পজিশনে বিমান উড্ডয়নের জন্য এটিসি রেডিও তে জানিয়ে দিলো

―দিস ইজ দা ক্যাপ্টেন স্পিকিং,উই আর ক্লিয়ার্ড ফর টেইক- অফ।

――――――
সকাল সাতটা বেজে পনেরো মিনিট,বাইরে টুপটুপ শব্দে হালকা বৃষ্টি পরে যাচ্ছে।
একটু শীত শীত অনুভূত হচ্ছে।ক্যামেলিয়া পায়ের কাছের কাঁথা টা টেনে নাকে মুখে জড়িয়ে শুয়ে পড়লো।

চোখ বন্ধ করতেই ভেসে উঠলো আর্ট গ্যালারির সেই ছেলেটির মুখায়ব।
ক্যামেলিয়ার বারবার মনে হচ্ছে সে কোথাও দেখেছে এই লোককে।

কিন্তু কোথায় দেখেছে??

ঘুম ভাঙার পর মস্তিষ্ক একদম ফাঁকা লাগে।মনে হয় মাথা ঘিলু শূন্য।কিছুই চিন্তা করা যায় না।কিছু মনেও পরে না।

তাই আর মাথা না খাটিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে চাইলো।
কিন্তু অক্ষি পল্লবে ঘুম ধরা দিলো না।

হঠাৎই বাবা মায়ের কথা মনে পড়তেই নেত্র বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো।
এমনই অভাগী সে,বাবা মা দুজন কেই হারিয়েছে।
ছোট বেলায় বেশ চঞ্চল আর দুরন্ত ছিলো ক্যামেলিয়া।
কিন্তু পরিস্থিতির কারনে দিনে দিনে অনেকটাই ইন্ট্রোভার্ট এ পরিণত হয়েছে।
সে চাইলেই অবলীলায় কিছুই বলতে পারেনা কাউকে,কিন্তু বলতে ইচ্ছে করে।
কোথাও কিছু একটা আছে যা তার মনের কথা উজাড় করতে বাধা দেয়।

নিজের কষ্ট গুলোও কারো কাছে ঠিক ভাবে বুঝিয়ে শেয়ার করতে পারে না সে।
এজন্য চুপচাপ থাকাই শ্রেয় মনে হয় তার কাছে।

সে চাইলেও এখানে বেশিদিন থাকতে পারবে না।সে এদেশের নাগরিক নয়।
এখানে পারমন্যান্ট থাকতে হলে তাকে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।
বিয়ে করতে হবে কোনো এক এদেশী ছেলেকে।

এদিকে সময়ও খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
ভিসা জটিলতার জন্য নব্বই দিনের অনুমোদন পেয়েছে সে।

ওখানে ফিরে গিয়ে একা একা কোথায় কি করবে সে?

হঠাৎই নাজনীন সুলতানার গলার আওয়াজ পাওয়া গেলো

ক্যামেলিয়ার কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলো
“অনেক বেলা হয়েছে খিচুড়ি আর গরুর কালা ভুনা করেছি”
খাবি?

ক্যামেলিয়া উঠে বসে মাথা উপর নিচ করে সায় জানায় সে খাবে।

মশলাদার খাবার তার অনেক পছন্দ।
সে মশলাদার খাবার খুবই কম পরিমাণে খেয়েছে এটুকু জীবনে।
সুইজারল্যান্ডের রান্না খুবই মাইল্ড মশলার।বিভিন্ন হার্বস আর কিছু গুঁড়া মশলার সহযোগে ইজি রান্না করা হয় ওখানে।

আর বাংলাদেশে বিভিন্ন স্পাইস এর সমন্বয়ে রান্না হয় মশলাদার খাবার।যা খেতে অনেক মজা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য একটু ক্ষতিকর।

সবসময় ক্ষতিকে প্রাধান্য দিলে আত্মাকে কষ্ট দেয়া হবে।

এখানে ক্যামেলিয়া যে কদিন আছে সে কোনোভাবেই তার আত্মাকে কষ্ট দিতে রাজি না।

নাজনীন সুলতানা কে মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হতে চলে গেলো ক্যামেলিয়া।

লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডাইনিং টেবিলে খাবার গুছাতে চলে গেলেন নাজনীন সুলতানা।

মেয়েটির নীল চক্ষু দুটিতে রাজ্যের মায়া।
মেয়েটা কিছুদিন পর চলে গেলে কিভাবে থাকবেন তিনি?

আর মাহাদের সাথে বিয়ের বিষয়ে কিভাবে কথা বলবেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না।
বিদেশে বড় হওয়া মেয়ে এদেশের ছেলেকে হুট করে বিয়েই বা করতে রাজি হবে কিভাবে?

নিজের সকল ভাবনাকে দূরে ঠেলে ডাইনিং রুমে আসতেই বাসার ল্যান্ড লাইনে ফোন বেজে উঠলো।

দ্রুত দৌড়ে গিয়ে ফোন রিসিভ করতেই মাহাদের মা মিসেস মিতালি বলে উঠলো

―দুপুরে তোদের বাসায় যাবো,মাহাদ পই পই করে বলে গিয়েছে একবার মেয়েটাকে দেখে আসতে।

মিসেস নাজনীন এদিক সেদিক তাকিয়ে বলে উঠলো
―মেয়েটার সাথে তো এখনো কিছুই কথা বলতে পারিনি আপা।

“তোর বলতে হবে না,এখনই প্রেসার দেবার দরকার নেই।আমাদের এতো তাড়া নেই।মেয়েটা আরেকটু বড় হোক।

ক্যামেলিয়াকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখে মিসেস নাজনীন বলে উঠলো
“ঠিক আছে বড় আপা দুপুরে বাকি কথা হবে,এখন রাখছি
বলেই লাইন কেটে দিলেন।

*******
খাবার টেবিলে সকলেই বসে আছেন।হঠাৎই বৃদ্ধ আশফিক হাসান ক্যামেলিয়ার উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন―

“দাদু ভাই কয়েক দিন ধরে তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।

একটু ইতস্তত করে ক্যামেলিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে ফেললেন

“তুমি কি আমাদের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করবে?”

ক্যামেলিয়া খাওয়া বাদ দিয়ে মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ মৌন রইলো
এরপর বলে উঠলো
―আমি আসলে বিয়ে নিয়ে এখনো কিছুই ভাবিনি দাদু।
আর হুট করে একজন চেনাজানা হীন মানুষের অধীন হতে আমার একটু সমস্যা হবে।
আমার সমস্যাটা আমি আসলে কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারছি না।
এজন্য আমি দুঃখিত।
বলেই আবার মাথা নিচু করে ফেলে ক্যামেলিয়া।

হঠাৎই রিজভী আশফিক হাসানের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করলো আর কিছু না বলতে।

সকলেই চুপচাপ খেয়ে যার যার কর্মস্থলে যাবার জন্য বাড়ি ত্যাগ করলো।

ঘরে বসে বসে কিছুই ভালো লাগছে না ক্যামেলিয়ার।
তাই সে ঠিক করেছে টুসীর সাথে কোথাও একটা ঘুরতে যাবে।

ঘুরতে গেলেও আরেক বিপদ।
মানুষ কেমন জানি নজরে তাকে দেখে যারপরনাই সে একটু বিব্রত হয়।

তবুও ঘরে বসে থাকার চাইতে যতদিন এখানে আছে ততদিন এদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করলে মন্দ হয়না।

টুসীকে বলে কয়ে বাইরে যাবার জন্য রাজি করালো ক্যামেলিয়া।

একটা লং শার্ট আর জিন্স পরে হালকা কোঁকড়া চুল গুলো কাঁধের দুই পাশে ফেলে দিলো।গলায় একটা স্কার্ফ ঝুলিয়ে ঠোঁটে ন্যুড কালারের লিপস্টিক লাগিয়ে টুসীর মেকআপ বক্স থেকে কালো কাজল নিয়ে চোখে মোটা করে লাগিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখলো।

“উহু মোটেও তাকে বাঙালি লাগছে না,উল্টো উদ্ভট লাগছে”
ভাবতেই টিস্যু দিয়ে মুছতে উদ্দত হলো।

টুসি দৌড়ে এসে ক্যামেলিয়ার হাত খাবলে ধরে বলে উঠলো

“ভুলেও এই কাজ করিস না রে বইন,তুই কাজল মুছে ফেললে আমি আমার সুযোগ লুটতে পারবো না ”
বলেই হাত জোড় করে ক্যামেলিয়ার দিকে অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকলো টুসি।

ক্যামেলিয়া টুসীর কথার আগা মাথা কিছুই না বুঝে বোকার মতো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলো।

টুসি নিজের সাজ কমপ্লিট করে বলে উঠলো
“আয় একটা সেলফি তুলি”!
বলেই ক্যামেলিয়া কে টেনে তার সাথে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে কয়েকটা ছবি তুলে হো হো করে হেসে উঠলো।

এই মুহূর্তে টুসীকে দুনিয়ার সেরা বেক্কল মনে হচ্ছে ক্যামেলিয়ার কাছে।
হঠাৎই টুসি বলে উঠলো
“তুই বের হ,আমি আসছি
বলেই ঠোঁট টিপে হাসলো।

――———
টানা আট ঘণ্টা ডিউটি করে কেবলই হোটেলে এসে ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করে শুয়েছে মাহাদ।
অমনি হোয়াটস এপ এর মেসেজ টোন বেজে উঠলো।

বিরক্তি নিয়ে ফোন সাইলেন্ট করতে গিয়ে স্ক্রিনে দেখতে পেলো টুসীর মেসেজ।

আগ্রহ নিয়ে মেসেজ ওপেন করতেই ঘুম ছুটে পালালো নেত্র থেকে।

এ কি সর্বনাশ করেছে টুসি!
ঘুম ফেলে এখনই ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে বাংলাদেশে।

হায় ,এই নীল নয়না তো তাকে সাংঘাতিক বেকাবু করেছে।
নির্ঘাত এই বিদেশিনী নীল চোখের অথাও সমুদ্রে তাকে ডুবিয়ে মারবে।

দ্রুত বিয়ের কাজ সারতে হবে দেখা যাচ্ছে।হুমম”

মাহাদ ফোনের স্ক্রিনে আবার দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো।

কাজল দেয়া নীল নয়নার ছবিতে অজস্র চুমু খেলো সে।

চুমু খেয়ে ফোনটা বুকে নিয়ে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমালো।

#চলবে