#ঔজ্জ্বল্যের_আলোক_প্রহর
#পর্বঃ৮
#লিখাঃতাসফিয়া_তাসনিম
~তোমার চোখে আকাশ আমার
চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা
ভেতর থেকে বলছে হৃদয়
তুমি আমার প্রিয়তমা
তোমার চোখে আকাশ আমার
চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা
ভেতর থেকে বলছে হৃদয়
তুমি আমার প্রিয়তমা~
একমনে কানে ইয়ারফোন গুঁজে গানটা শুনছিলো শাহরিয়ার। শুনতে শুনতেই যেন গানের পঙক্তিগুলোর মাঝে হারিয়ে গেলো সে। মন ভীষণ উদাস হয়ে উঠলো ধীরে ধীরে।
আপনমনে বিষন্ন সুরে বিড়বিড় করলো,
“I’m feeling her absence, ……just a bit.”
শেষ কথাটা যেন নিজেকেই শোনালো, যেন আশ্বস্ত হতে চাইলো।
সেদিনের ঝগড়ার পর কেটে গেছে তিনটে দিন। এখন পর্যন্ত অনুশোচনা তার পিছু ছাড়ছে না। শাহরিয়ার মানে সে ভুল করেছে। ঈর্ষা, ক্ষোভ সব মিলিয়ে তার হুঁশ জ্ঞান ছিলো না। তাই কী বলতে কী বলে ফেলেছে নিজেও খেয়াল করেনি। নিজের প্রতিই রাগ হচ্ছে প্রতি মূহুর্তে তার। কিন্তু সে-ই বা কী করতো? কোন ব্যাটার মুরোদ আছে বউয়ের হাত অন্য পুরুষ ধরছে এই দৃশ্য বরদাস্ত করার? সেজন্যই তো সে সেদিন ও’ভাবে রিয়েক্ট করে বসেছিলো!
আচ্ছা জ্যোতির কথামতো সত্যিই কি তার সাইক্রিয়াটিস্ট দেখানো উচিত? সে কি সত্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু তা কী করে হয়? পাগল কি বুঝতে পারে সে পাগলামি করছে?
শাহরিয়ার মনের দহনে অস্থির হয়ে বেলকনিতে এলো। ইদানীং এই জায়গাটায় তার দিনের অনেকটা সময় কাটে। হয়তো ভালোলাগার পাশাপাশি স্মৃতির রোমন্থনও চলে…..
বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার সৌম্য সান্নিধ্যে এখন প্রায় প্রতিদিনই সিক্ত হয় ধরনী-দেহ।
পোস্ট ল্যাম্পের ম্লান আলো রাত্রির ঘন অন্ধকারে ক্ষীণ আশ্রয় খুঁজে নিলেও তা কেমন যেন আরও গভীরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিপাশ জুড়ে। সেই অন্তরালে নিঃশব্দে ঝরে পড়ছে বৃষ্টির সূক্ষ্ম ধারা, যেন আকাশও নিঃশ্বাস ফেলছে নীরবে।
বিষন্ন বিষাদগ্রস্ত এক পরিবেশ, ঠিক যেরকম এই মূহুর্তে ডুবে আছে শাহরিয়ারের মন নিঃশব্দ ছন্দহীন এক বিষাদে।
শাহরিয়ার অজান্তেই অস্ফুট স্বরে আওড়িয়ে উঠলো,
“~ভেতর থেকে বলছে হৃদয়
তুমি আমার~ প্রিয়তমা~”
________________°_______________
পরদিন সকালে রত্না কিচেনে কাজ করছিলেন। এরমধ্যেই জ্যোতি এসে কয়েকবার ঘুরঘুর করে গেলো।
মাকে সবজি কাটতে দেখে নিজে এগিয়ে এসে সবজি কাটার বায়না ধরলো।
রত্নাও বাঁধা দিলেন না। তিনি জ্যোতিকে কাটাকুটির দায়িত্ব দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
জ্যোতি সবজি কাটতে কাটতে আড়চোখে মাকে দেখে নিতে লাগলো।
একপর্যায়ে গলার স্বর খানিকটা নামিয়ে বললো,
“আম্মু, খালামনিরা কবে যাবে?”
রত্না সন্দিহান হয়ে মেয়েকে দেখলেন,
“কেনো? ওদের যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে তোর কী সমস্যা?”
“আরে না, এমনি।… আসলে খালামনিকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু নওশাদ আছে দেখে একটু অদ্ভুত লাগে।”
রত্না কাজ থামিয়ে কিচেনের দেয়ালে লাগোয়া তাকে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলেন মেয়েকে, তারপর কঠোর কন্ঠে বললেন,
“নওশাদ ভাইয়া বলবি!”
জ্যোতি বিব্রত হলো ভীষণ।
“ভাইয়া বলিনি? ভাইয়াই তো বলি সবসময়। ভুলে মনে হয় বলিনি।”
রত্না উদ্বিগ্ন হলেন। জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করলেন সোজাসাপটা,
“কী হয়েছে তোর? নওশাদ কিছু বলেছে?”
জ্যোতি অসংলগ্ন ভাবে বলতে থাকে,
“কী বলবে? কিছু বলেনি। আসলে যখন তখন সামনাসামনি পড়ে যাই। আমার অকোয়ার্ড লাগে খুব।”
একটু থেমে আবার বলে,
“তাছাড়া….. উনার হাবভাবও আমার ভালো লাগে না!”
রত্নার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো। এমনিতেই উনি নিজ উদ্যোগে জ্যোতিকে নওশাদের মুখোমুখি হওয়া থেকে দূরে রাখছেন। খাওয়ার টেবিলে পর্যন্ত জ্যোতিকে বসতে দেননা। জ্যোতির কামরায় খাবার বেড়ে দিয়ে আসেন।
কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছে না এসব যথেষ্ট হচ্ছে।
মুক্তার মনে তো অন্য কিছুই ঘুরছে এটা প্রথমদিনই মুক্তার কথায় টের পেয়েছেন। নওশাদও যে একই চিন্তাধারা লালন করে চলছে এটা বুঝার জন্য বড় মাপের জ্ঞানী হওয়া লাগে না।
________________°_____________
“কার সাথে কথা বলছিস?”
অরোরা আচমকা কারো কথা শুনে চমকে পিছনে ফিরলো। ভাইকে দেখে কয়েকটা হার্টবিট যেন মিস করে গেলো মূহুর্তেই। কন্ঠ আপ্রাণ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বললো,
“ফ্রেন্ডের সাথে, ভাইয়া!”
শাহরিয়ার ভ্রু কুঁচকে বললো,
“ফ্রেন্ডের সাথে? তাহলে এতো ফুসুরফাসুর করে কথা বলার কী আছে?”
অরোরার গায়ে ইতোমধ্যে কাঁপা-কাঁপি ধরে গিয়েছে। কিন্তু আলোর প্রাচুর্যের অভাবে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না তার কম্পমান অবয়ব।
“ভাইয়া আমি ফ্রেন্ডদের সাথে এভাবেই কথা বলি, এরকম ঠান্ডা স্বরে। বিশ্বাস না হলে দেখো?”
বলেই নিজের কল লিস্ট বাড়িয়ে দিলো। শাহরিয়ার আড়চোখে দেখলো সবার উপরে “কেয়া” নামটা উঠা।
তারপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বোনকে পরখ করে নিলো জহুরি চোখে।
“আর বাসায় তো কথা বলার সময় বাজ ফেলিস! বহুরূপী কোথাকার!”
শাহরিয়ার খেঁকিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
অরোরাও যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো। বড় জোর বাঁচা বেঁচেছে সে আজ! একটুর জন্য ধরা পড়েনি।
__________________°_______________
বিকেলে জ্যোতি কাপড় ভাজ করছিলো। ফোনের রিংটোন বাজতেই ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো শাহরিয়ার নাম জ্বলছে।
সেদিনের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত শাহরিয়ার একবারও কল করেনি। এজন্য জ্যোতির রাগটাও এখনও বহাল তবিয়তেই আছে।
ধরবে না ধরবে না করেও শেষ মূহুর্তে ধরলো কলটা সে। ফোন রিসিভ করে চুপচাপ কানে ঠেকিয়ে রাখলো কোনো কথা না বলে।
শাহরিয়ারও চুপ থেকে অপেক্ষা করলো জ্যোতির কথা বলার। কিন্তু সে কিছু বলছে না দেখে নিজেই জিজ্ঞেস করলো,
“কেমন আছো? শরীরের কন্ডিশন কী এখন?”
“ভালো! আপনি আমার হালচাল জানার জন্যই কল দিয়েছেন এখন?”
শাহরিয়ার চুপ মেরে গেলো। কিছুক্ষণ মৌন থেকে বললো,
“আসলে তোমার কাছে অ্যাপোলোজাইস করার ছিলো। সেদিন সারাদিন যা হয়েছে তার পুরোটার জন্যই আমি দুঃখিত। আসলে সারাদিনের ঝামেলার কারণে মাথা ঠিক ছিলো না আমার।”
“সারাদিন ঝামেলাও তো সে-ই আপনিই করলেন। আপনি সবসময় পরিস্থিতি এমন ঘোলাটে করবেন তারপর ক্ষমা চাইবেন, আর অপরপক্ষও আগের সব ভুলে অনায়াসে আপনাকে ক্ষমা করে দিবে, তাই তো? এটা কি মগের মুল্লুক?”
আশ্চর্য হলেও সত্যি জ্যোতির এতো কটাক্ষের পরেও আজকে শাহরিয়ার শান্ত রইলো। কোনোরকম হম্বিতম্বি ছাড়াই জ্যোতির ভৎসনা শুনে গেলো।
“কিছু বলছেন না কেনো?”
“তুমি বলো, আমি শুনছি। এমনিতেও দোষ আমারই।”
জ্যোতি অবাক হলো শাহরিয়ারের এমন শান্ত কন্ঠ শুনে। তাদের মধ্যে ঝামেলার শুরু হওয়ার পর থেকে শাহরিয়ারের এমন শান্ত স্বর সে শুনেইনি ধরতে গেলে।
জ্যোতি নিজের ভাবনা নিজের মধ্যে রেখেই বললো,
“আমার আর কিছু বলার নেই। আপনি ফোন রাখতে পারেন।”
“স্যরি এক্সেপ্ট করেছো?”
জ্যোতি কাঠকাঠ গলায় উত্তর দিলো,
“না!”
শাহরিয়ার চুপ করে গেলো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বললো,
“তোমার শরীরে অবস্থা কী এখন?”
“বলেছি তো, ভালো।”
“আচ্ছা ফোন রাখছি আমি। তুমি বিরক্ত হচ্ছো।”
পরক্ষণেই আবার কৌতুক করে বললো,
“আচ্ছা শুনো শুনো, তুমি বলেছিলে সাইক্রিয়াটিস্ট দেখাতে। তাহলে একদিন আমার সাথে চলো দেখাতে।”
“আপনি দেখাবেন, আমি কেনো যাবো সাথে?”
“তোমাকে ডাক্তার দেখাতে আমি নিয়ে যেতে পারলে তুমি আমাকে নিয়ে যেতে পারবে না? আচ্ছা সেলফিশ তো তুমি!”
জ্যোতি ভড়কে গিয়ে বললো,
“আপনি মজা করছেন? আমি তো ভেবেছি সত্যি সত্যি সাইক্রিয়াটিস্ট দেখানোর কথা বলেছেন!”
শাহরিয়ার একটু কঠোর কন্ঠে বললো,
“তো তোমার কী মনে হয়? আমি কি পাগল? যে সাইক্রিয়াটিস্ট দেখাবো? এমন উদ্ভট কথা আর বলবে না!”
“মনোরোগ বিশেজ্ঞ পাগলরা দেখায় এ কথা আপনাকে কে বলেছে? শরীরের রোগ হলে সারানোর জন্য ডাক্তার দেখানো যায় আর মনের রোগ সারানোর জন্য মনের ডাক্তারের কাছে গেলেই দোষ? আপনার এঙ্গার ইস্যু আছে, এটাও একটা মনের রোগ। যাইহোক, আপনি রাখুন ফোন। আপনি যে শোধরাবার নন সেটা আমি জানি।… আর…. এত ঘন ঘন ফোন করবেন না।”
শাহরিয়ার বিস্মিত হয়ে বললো,
“আমি ঘন ঘন ফোন কখন করলাম, আশ্চর্য! চারদিন পর আজকে করলাম।”
“ওই একই।”
“তো আমি আমার বউ বাচ্চার খোঁজ নিতে কল করতে পারবো না?”
জ্যোতি কঠোর কন্ঠে বললো,
“বউও বাচ্চা হওয়া পর্যন্তই আছে! আপনি কি পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুলে গেছেন? সবকিছু এতো নরমাল না এটা ভুলে গেলে চলবে না।”
“আল্লাহ হাফেজ!”
শাহরিয়ার ফোন রেখে দিলো। বারবার তাকে সব মনে করানোর চাকরি নিয়ে বসেছে যেনো মেয়েটা! একটা দিন একটু স্বাভাবিক ফোনালাপ চলে না তাদের! হয় এ রাগারাগি করে নয়তো ও রাগারাগি করে! মা হয়তো ঠিকই বলে, আসলেই তাদের মিসম্যাচ হয়েছে!
বেলকনির সামনের একটা জারুল গাছ আছে। গাছে এখনও বেশ কয়েকটা বেগুনিরঙা ফুল অবশিষ্ট আছে।
জারুল গাছটার ডালপালায় কয়েকটি শ্যামা পাখি বসে আছে, তারা ক্ষণে ক্ষণে ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াচ্ছে আর আপন সুরে কিচিরমিচির করে গান গাইছে।
শাহরিয়ার খুব মনোযোগ দিয়ে দৃশ্যটা পর্যবেক্ষণ করলো। আহ! এই পাখিদের জীবনেই তো শান্তি! যখন যা মন চায় করতে পারে!
________________°_______________
শাহরিয়ার ফোন রাখার পর থেকে জ্যোতি অন্যমনস্ক হয়ে আছে। তাদের সম্পর্কটা মোটেও স্বাভাবিক নেই, কোনোকালে ছিলোও না। তাই তিক্ততা আরও বাড়ানোর থেকে সময় থাকতে সরে যাওয়াই শ্রেয়।
কিন্তু এই সময়ে এসে শাহরিয়ারের হাবভাবে একটু বদল কি দেখা যাচ্ছে? মনে হচ্ছে যেন জ্যোতির একটু পরোয়া করতে শুরু করেছে লোকটা? কিন্তু জ্যোতির এসবে এখন আর কিছুই যায় আসে না৷ আব্বুও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এখন পিছু হটার অবকাশ বা ইচ্ছে, কোনটাই জ্যোতির নেই।
সুতরাং অযথা কথা বলে বলে মনে বিভ্রান্তি তৈরির কোনো প্রয়োজন নেই!
জ্যোতি তার হালকা স্ফীত উদরে মৃদু পরশ বুলায়। তার নিজের বলতে এই একটা প্রাণই আছে। জ্যোতি তার বাচ্চাকে কখনো তার বাবার অভাব বুঝতে দিবে না। একা হাতেই বড় করবে। ছোট্ট একজীবন, এতে জ্যোতির চাওয়া পাওয়াও খুব সীমিত।
আব্বুর সাথে অনেকদিন ঠিকঠাক সময় কাটানো হয় না। আগে খাবার সময় কথা হতো, কিন্তু এখন তো জ্যোতি নিজের ঘরেই খায় একা। আম্মুর সাথেও খালামনি থাকে বেশিরভাগ সময়, এজন্য আম্মুর সাথেও খুব একটা কথা হয় না তার। পারতপক্ষে সে মুক্তার সামনে পড়তে চায় না। আগে বাগানে যাও টুকটাক যেতো, সেদিনের পর সেটাও বাদ দিয়েছে, পাছে নওশাদের সামনে পড়ে। লোকটা কেমন যেন, বেশরমের মতো তাকিয়ে থাকে। জ্যোতি বিব্রতবোধ করে ভীষণ তার চাহুনি দেখে। এজন্য এখন বেশিরভাগ সময় নিজের কক্ষেই কাটায় সে।
____________________°___________________
মাহিরা কিচেনে শাশুড়ীকে সাহায্য করছিলো। রুবিনা কাজ করতে করতে জিজ্ঞেস করলেন,
“মহসিনকে কিছু খাওয়াইছো?”
“হুম, খাইয়েছি।”
“তোমার জন্য চালতার আচারসহ আরো কয়েক পদের আচার আনাইছিলাম আমার জালের থেকে। ফ্রীজে আছে। বের করে করে খাইয়ো।”
মাহিরা খুশি হয়ে গেলো।
“আরিব্বাস! থ্যাংক ইউ আম্মু!”
বলেই শাশুড়ীকে জড়িয়ে ধরলো কাজ ফেলে। রুবিনা হেসে বললেন,
“হয়েছে হয়েছে, আর মাখন লাগানো লাগবে না। কাজ করো।”
মাহিরাও হেসে ফেললো। কাজে মনোনিবেশ করলো পুনরায়। হঠাৎই মনে পড়লো জ্যোতি ভাবীর কথা। ভাবীও চালতার আচার অনেক পছন্দ করে। তারউপর প্রেগন্যান্সির সময় আচার জাতীয় জিনিস খেতেও অনেক ইচ্ছে করে।
“আম্মু বেশি করে এনেছেন কি?”
“হ্যাঁ, বেশি করেই আনাইছি। জানি তুমি পছন্দ করো।”
মাহিরা উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো,
“আম্মু জানেন, মাঝে মধ্যে আমার আপনাকে জড়ায় ধরে গালে টুক্কুস টাক্কুস করে কয়টা চুমু খেতে ইচ্ছে করে!”
রুবিনা মুখ টিপে হাসলেন পুত্রবধূর উচ্ছ্বসিত কথা শুনে।
মাহিরা মনে মনে ফন্দি আঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো কীভাবে ভাবীর কাছে আচার পৌঁছে দিবে!
#চলবে……?