#কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ অতঃপর প্রেম
পর্ব-চার
মায়া দুপুরের খাবার খেয়ে দুটোর সময় রেডী হওয়ার জন্য রুমে আসে। ইরা আজও কলেজে যায়নি। ওকে নিয়ে মায়ার খুব চিন্তা হচ্ছে। ওর চলাফেরাটা খুব একটা সুবিধার নয়। মেয়ে বন্ধুর থেকে ওর ছেলে বন্ধু বেশী। খেয়ে এসে ইরা বিছানায় একটু শুয়েছে। হঠাৎ শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বাথরুমে গিয়ে হড়হড় করে বমি করে দেয়। যা খেয়েছে সব বের করে দেয়। মায়াও দৌড়ে গিয়ে ইরাকে ধরে রাখে। যদি আবার মাথা ঘুরে পড়ে যায়? কিন্তু মায়ার খুব টেনশন হতে থাকে। বমি করা শেষ হলে ইরাকে নিয়ে এসে বিছানায় শুইয়ে দেয়। এরপর বাথরুমে সেভলন মিশিয়ে পানি ঢেলে দেয়। তা,না হলে গন্ধ ছড়াবে। নাহ্ আর অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। কালকেই ইরাকে ও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে।
এদিকে আবার ওকে চারটার মধ্যে বনানীতে পৌঁছাতে হবে। হাত মুখ ধুয়ে ঘরে এসে ক্লসেট থেকে লক্ষনৌ স্টিচের সাদা কালো সুতির সালোয়ার কামিজ বের করে পরে নিলো। মাথায় কালো রঙের হেজাব পরে ওড়নাটা দিয়ে পুরো শরীর ভালো করে ঢেকে নিলো। চোখে কাজল পড়লো আর ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক লাগালো। মায়াকে রেডী হতে দেখে ইরা জিজ্ঞাসা করে,
—-আপু এই দুপুর বেলা সাজুগুজু করে কোথায় যাচ্ছিস?
—-,একটা ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি। দোয়া করিস যা হয় তা যেন ভালোর জন্য হয়।
মায়া এরপর ইরার কাছে এসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
—ইনশাআল্লাহ, চিন্তা করিস না, কাল তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
মায়া ওর মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দুটোর সময় বাসা থেকে বেরিয়ে একটা সিএনজি নিয়ে বনানী কবর স্থানের দিকে রওয়ানা দেয়। আজকেও আকাশটা মেঘলা করেছে। রাস্তায় বেশ জ্যাম। সংসারের যাঁতাকলে পড়ে ও আজ যে সিদ্ধান্ত নিয়ে বের হয়েছে তার ভবিষ্যত কি হবে ও জানে না। কিংবা জানতেও চায় না। কারণ বর্তমানের চাহিদাটাই ওর কাছে এখন প্রকট হয়ে পড়েছে। এই চুক্তির বিয়েতে রাজী হতে ও আজ ছুটে চলেছে। নিজেকে কতটা ছোটো মনে হচ্ছে তা শুধু ঐ জানে। তবে মানুষরুপী বিভিন্ন দানবের লোলুপ উল্লাসের শিকার হওয়ার থেকে এই চুক্তির বিয়েটাকে তার একরকম মন্দের ভালো মনে হয়। মায়া তো জানে ওর এই জীবনটা নিঃসঙ্গ পথিকের মতো। এখানে কন্টক মোড়ানো পথে ওকে একলায় হেঁটে যেতে হবে। পা দুটো রক্তাক্ত হবে সেখানে মলম লাগানোর কেউ থাকবে না। কিংবা প্রখর রোদ্রতাপে কখনও হাঁটতে হবে। রবিকরের প্রখর আলোয় হয়তো মাথার তালু ফেটে যাবে কিন্ত ছাতা ধরার মানুষ পাবে না। কারণ ওর জীবনের এই যুদ্ধটা ওর একার। কালকের ঘটনা ওকে এখনো তাড়িত করে ফিরছে। আজকে আবার ললাটে কি লেখা আছে ও জানে না। ফোনটা বেজে উঠলো। মোবারক মিয়া ফোন দিয়েছে। যদিও নাম্বার সেইভ করা নেই তবে শেষের তিনটা অক্ষর মায়া মনে রেখেছে। ৩৯৪, সে কারনেই বুঝতে পারলো মোবারক মিয়া ফোন দিয়েছে। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো,
—-ম্যাম আপনি এখন কোথায় আছেন?
—-কালশীতে আছি,চিন্তা করবেন না। আমি সময় মতো চলে আসবো।
মায়া ঠিক চারটা বাজার দশ মিনিট আগে ঐ অফিসটাতে পৌঁছে যায়। দশ মিনিট ওয়েটিং রুমে এসির বাতাস খেয়ে আবীর চৌধুরী কাছে সাক্ষাতকার দিতে কাঁচের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
—-আসতে পারি?
—-yes,
কাঁচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই মায়ার দিকে আবীরের দৃষ্টি আটকে গেল। প্রথম দেখাতেই আবীরের হৃদয়ে ভালোলাগা বিরাজ করতে লাগলো। সাদা রঙের জমিনে কালো সুতো দিয়ে হাতের কাজ করা কামিজ গায়ে জড়িয়েছে। কালো রঙের জমিনে সাদা সুতো দিয়ে হাতের কাজ করা দোপাট্টা দিয়ে মাথায় কাপড় দিয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছে। কালো রঙের সালোয়ার আর পায়ে স্লিপার। চোখদুটো বেশ ভাসা ভাসা। তাতে কাজলের প্রলেপ এঁকেছে। শ্বেত শুভ্রতায় এক ধরণের পবিত্রতা মেয়েটার সাড়া অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। ও যে অসম্ভব সুন্দরী এতে কোনো সন্দেহ নেই। ছিপছিপে গড়ন বেশ লম্বা। তবে দেহের সৌন্দর্যের থেকে মুখের শিশুসুলভ সারল্য আবীরকে মুগ্ধ করেছে বেশী। মেয়েটার চেহারার মধ্যে এক ধরণের দুঃখ বোধ লুকিয়ে আছে। সেদিকে তাকিয়ে আবীরের মনে হলো,”আচ্ছা মেয়েটার দুঃখ কি ওর দুঃখ কষ্টের থেকে বেশী?”তবে মেয়েটার কন্ঠস্বর বেশ পরিচিত মনে হলো।
মায়া খুব অস্বস্তি বোধ করছে। করারই কথা,অপরিচিত একজন পুরুষলোক যদি এভাবে তাকিয়ে থাকে তাহলে অস্বস্তি হওয়ারই কথা। বলতেই হবে, মানুষটা দেখতে আকর্ষনীয়। জিম করা পেটানো শরীর, বেশ লম্বা, মাথার চুলগুলো পরিপাটি করে আচড়ানো চোখে রিমলেজ চশমা। পুরো অবয়বে আভিজাত্যের দ্যুতি ছড়িয়ে আছে। পরনে কালো ব্লেজারের সাথে ফেডেড ব্লুডেনিম, বয়স তিরিশের উপর হবে। মানুষটার চোখ দুটো অদ্ভূত সুন্দর। এক ধরণের সম্মোহনি শক্তি রয়েছে। একপলক তাকিয়ে থাকলে ঐ চোখের নেশায় যে কেউ পরে যাবে। উনার শরীর থেকে পারফিউমের মিষ্টি সুবাস রুমটাতে ছড়িয়ে পড়ছে। সুবাসটা বেশ পরিচিত। মায়া গলা খাকারি দিয়ে রিনরিনে কন্ঠে বলে,
—আমি মায়াবতী।
আবীর মায়াবতী নামটা শুনে মনে মনে বলে, নামের সার্থকতা আছে বটে। এরপর মায়ার দিকে তাকিয়ে নিজের সামনের সোফাটার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলে,
—বসুন,
মায়া নিজের আসন গ্রহন করে রুমের চারপাশটায় একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। ঝা চকচকে ফার্নিচার দিয়ে সাজানো। ফাইভস্টার হোটেলের ভিআইপি রুম বললেও কম বলা হবে। এতো বিত্ত বৈভবের মাঝেও একরাশ শুন্যতা আর এক আকাশ সমান কষ্ট নিয়ে আবীরের বসবাস। ওর জীবনের পরিস্থিতি ওকে ঘর সংসারে আকৃষ্ট করেনি। তাইতো চৌত্রিশ বসন্ত পার হয়ে গেলেও বিয়ের প্রতি ওর কোনো আকর্ষণ জন্মায়নি। তবে এই বৃদ্ধ মানুষটার কথা ও ফেলতে পারেনি। যেই মানুষটা আজ তিরিশ বছর ধরে এই সম্পত্তিটা আগলে রেখেছে। নীলাম্বরী কোম্পানীকে ঐ মানুষটা আন্তজার্তিক কোম্পানীতে পরিনত করেছে। ভীষণ আল্লাহভীরু মানুষ। সৃষ্টিকর্তার উপর অগাধ বিশ্বাস সততা আর কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই কোম্পানী।
অফিসের পিয়নটা দুকাপ কফি টেবিলে দিয়ে গেল। আবীর এক কাপ হাতে নিয়ে মায়াকে আর এক কাপ নিতে বললো। মায়ারও একটু ক্লান্ত লাগছিলো। শরীরটাকে সচল রাখতে মায়া কফির কাপে চুমুক দেয়। আবীর এক সিপ নিয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
—-আপনি চুক্তিপত্রটা ভালো করে পড়েছেন।
—-পড়েছি,
—-সই করতে আপত্তি নেইতো?
—-আমার কিছু কথা ছিলো।
—-বলুন, আমারো কিছু কথা আছে। আপনার বলা শেষ হলে আমি বলবো।
—-আমি বলতে চাইছিলাম,আপনি যেহেতু দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজে না গিয়ে স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করতে পারেন। এরপর যতদিন ইচ্ছা আপনি বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেন। যেদিন মনে হবে এই বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া দরকার সেদিনই মুক্ত হয়ে যাবেন। তাছাড়া——
মায়ার কথা শুনে আবীর মনে মনে বললো,
“মেয়ে তো হেব্বি সেয়ানা।” তারপর কারণটা আবীর জানতে চাইলো।
—-তাছাড়া—–কি?
—-আপনি তো অর্ধেক দেন মোহর ডিল সই হওয়ার সাথে সাথে দিয়ে দিবেন। আর বাকীটা—–
—-আমার দাদী জিনাতুন্নেসার মৃত্যুর পর।
—-এক্সাক্টলি,মানে হায়াত মৌত এর কথা তো আমরা কেউই বলতে পারবো না,তাই না?
—-আসলে আপনাকে আমি বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি দাদীর কারণে। ডাক্তার বলেছে দাদীর আয়ু মাত্র একবছর। উনার কোলন ক্যান্সার ধরা পড়েছে। আমার বিয়ে ঘর সংসার এসব ভালো লাগে না। শুধু দাদীর কথা রাখতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা,না হলে দাদী আমাকে কোনো সম্পত্তি দিবে না। সব ট্রাস্ট করে দিবে।
মায়া মনে মনে বললো,দাদীর কথা রাখতে উনি বিয়ে করতে রাজী হয়েছেন। আবার ক’দিন পর বলবেন,দাদীর কথা রাখতে বাচ্চা পয়দা করবেন। সুতরাং ও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ এ ও যাবে না। বেটাতো ওকে বিয়ে করে শত কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নিবে। তাহলে ওকে বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়? এমন তো নয় হাড়হাভাতে। বিয়ে করে বউয়ের খরচ যোগাতে পারবে না।
মায়াকে নিরব থাকতে দেখে আবীর বললো,
—-আপনি কি আমার কথা বুঝতে পারছেন?
—-না পারার তো কিছু নেই। আপনি তো হিব্রু ভাষায় কথা বলছেন না। খাঁটি বাংলা ভাষায় বলছেন। তারপরও আমি ভাবছি অনেক সময় মিরাকেল ঘটে যায়। মানে আপনার দাদী যদি না মারা যান।
আবীর একটু চটে গিয়ে বলে,
—–আচ্ছা,আপনি তো জেনেই এসেছেন এটা চুক্তির বিয়ে তাহলে এতো মাথা বকাচ্ছেন কেন? সই করলে করুন না হলে রাস্তা মাপুন। ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না।
মায়া খুব অপমানিত বোধ করলো। ও সটান করে সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
—-আপনি জানতে চেয়েছিলেন আমার কিছু বলার আছে কিনা? যা বলার ছিলো বলেছি। যদি আপনি মানেন তাহলে আমি সই করবো। না হলে সম্ভব নয়। আসছি।
একথা বলেই মায়া রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মোবারক মিয়া মায়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-একটু বসুন,বৃষ্টিটা কমে গেলে একটা সিএনজি ডেকে দিবো।
এমনসময় মোবারক মিয়াকে আবীর চৌধুরী ডেকে পাঠালো। কাঁচে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই আবীর বললো,
—-এতো হেব্বি সেয়ানা। কন্ট্রাক্ট বিয়েতে উনি রাজী নন।
—-উনি কি বলেছে স্যার?
—-দেনমোহর দিয়ে যেহেতু বিয়ে হবে সে কারনে কন্ট্রাক্ট বিয়ে করে কি লাভ? বরং স্বাভাবিকভাবে বিয়ে হলে আমার যতদিন ইচ্ছা সংসার করবো। আর মন না চাইলে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
মোবারক কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
—-স্যার, যদি অভয় দেন তাহলে একটা কথা বলতে পারি?
—-হ্যা বলো,
—-উনি কিন্তু কথাটা খারাপ বলেনি। দাদীমা কবে মারা যাবেন তার তো দিনক্ষণ ঠিক নাই। সে কারণে স্বাভাবিকভাবে বিয়ে হলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। আর এর আগে যদি দাদীমা মারা যান আপনিও তাকে তৎক্ষণাত ডিভোর্স দিয়ে দিবেন। ইতিমধ্যে খোঁজ নিয়ে দেখেছি উনাদের পরিবার খুব ভদ্র। চার ভাইবোনের মধ্যে উনি সবার বড়। বাবা শয্যাশায়ী। মা গৃহিনী। সুতরাং আপনার জন্য কোনো বিপদের কারণ হবে না। মাথার উপর শক্ত পোক্ত অভিভাবক নেই। যখন ইচ্ছা তখন ডিভোর্স দিলে কারো কাছে জবাবদিহিতার প্রয়োজন নেই।
কথাগুলো আবীর চৌধুরীর পছন্দ হলো। উনি মোবারক মিয়াকে দেখতে বললেন,”মায়া চলে গিয়েছে কিনা।”
মোবারক মিয়া মাথা নাড়িয়ে বললেন,
—-যায়নি। বৃষ্টি হচ্ছে বলে উনাকে বসিয়ে রেখেছি।
ওদিকে মায়াও একটু বিপাকে পড়ে গেল। ভেবেছিলো আবীর চৌধুরীকে বুঝিয়ে ও যদি স্বাভাবিক বিয়েতে রাজী করাতে পারতো তাহলে এককালীন অনেকগুলো টাকা হাতে পেতো। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। বৃষ্টিটা ধরে আসাতে অফিস থেকে বেরিয়ে উবার কল করলো আর মনে মনে বললো,
—-এমনি হাতে একদম টাকা পয়সা নাই তার উপর এক গাদা টাকা উবারে খরচ হয়ে গেলো। ওদিকে ইরাটা কেন যেন আজ দুদিন ধরে বার বার বমি করছে। ওকে ডাক্তার দেখাতে হবে। বাবার ওষুধ কিনতে হবে। রুবেলের এসএসসির ফর্ম ফিলাপের টাকা দিতে হবে। নোবেলের তিনমাসের স্কুলের বেতন বাকি আছে। না দিতে পারলে টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারবে না। কি যে করবে মায়া কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। নিজেকে খুব অসহায় লাগছিলো।
এমন সময় পিছনদিকে কে যেন ডাকলো।
—-মায়া ম্যাম, একটু দাঁড়ান।
মায়া পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে আবীর চৌধুরীর অ্যাসিসট্যান্ট মোবারক মিয়া । মনে মনে মায়া একটু বিরক্ত হয়। উবার চলে এসেছে। আর উনিইবা কেন এভাবে রাস্তায় চিৎকার করে ওকে ডাকছে। ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
—-এভাবে মাঝরাস্তায় আমার নাম ধরে চেচাচ্ছেন কেন?
—-সরি ম্যাম,স্যার আপনাকে ডাকছেন। প্লিজ একটু আসুন।
—-আমার উবার চলে এসেছে।
—-সমস্যা নাই। আমি ড্রাইভার সাহেবের সাথে কথা বলে নিচ্ছি। আপনি একটু অফিস যান। মনে হয় ভালো কিছু একটা হবে।
চলবে