#কন্ট্রোললেস
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ৩৪ ]
ভালো সময়রা অদ্ভুত নিয়মে ছুটে চলে যায় এতটাই তাড়াতাড়ি ছুটে বেড়ায় বারবার মনে হয় চোখের পলকে পেরিয়েছে সময়।বন্ধুত্ব শব্দটা যেমন নিগূঢ় তেমনি সম্পর্কটাও মধুর।এই মধুর সম্পর্কে কেউ বা হুল ফোটানোর অপেক্ষায় থাকে আবার কেউ কেউ নিঃস্বার্থে সাহায্যের হাত বাড়ায়।এই যে আরশাদ সে দেখতে চায় তার প্রতিষ্ঠিত বন্ধুকে একটা ছেলের জীবনে সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ বেকারত্ব ঘুচে যাওয়া।তার চাওয়াটা পূর্ণ হয়েছে সবাই উজ্জ্বলকে কম বেশি সাহায্য করেছে সবাই সমান তালে পরিশ্রম করেছে আরশাদ তার সামর্থ অনুযায়ী করেছে।এদিক থেকে উজ্জ্বল নিজেকে বড্ড ভাগ্যবান ভাবে এমন বন্ধ কয়জনে পায়?সিয়াম দিপু তারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী সব করেছে,মনোবল দিয়েছে প্রতিটা কাজে নানান ভাবে সাহায্য করেছে বন্ধুরা যদি পাশে না থাকতো উজ্জ্বলের এই জার্নিটা বড্ড কঠিন হতো।
আরশাদের উজ্জ্বলের বাড়িতে থাকা হলো পাঁচ দিন এই পাঁচটা দিন চোখের পলকে কেটে গেল ভালো সময়টা অতিদ্রুত চলে যায় কেন?উজ্জ্বলের পরিবার অতিথি আপ্যায়নে কোন ত্রুটি রাখেনি এতটা আন্তরিক এই পরিবারের সদস্যগুলো।খুশবু নার্গিসকে আলতো হাতে জড়িয়ে ধরল এই মানুষটা এতটা ভালোবাসা দিয়েছে তা কখনো ভোলা যাবে না।
” আন্টি আপনি ভীষণ ভালো একদম আমার মায়ের মতো।”
” আবার আসবে কিন্তু আমরা তোমাদের অপেক্ষা থাকব।”
” জি আসব।”
রুমু মনটা খারাপ করে দাঁড়িয়ে যেন এক্ষুনি অভিযোগ ছুড়বে খুশবুর উপর,কেন তারা চলে যাচ্ছে আরেকটু থেকে গেলে হতো না?
” রুমু তুমি মন খারাপ করছো কেন?আমাদের তো যোগাযোগ হবেই।”
” আরকটা দিন থেকে গেলে হতো না?”
” আমরা আবার আসব মন খারাপ করে না।”
খুশবু বিদায় জানিয়ে গাড়ি চড়ে বসল।আরশাদ শেষ মুহূর্তে জড়িয়ে ধরল উজ্জ্বলকে,
” যেভাবে সব শুরু করেছিস সেভাবেই হাল চালিয়ে যাবি একদম ছেড়ে যাবি না।”
” আমি চেষ্টা করে যাব।”
” অলদা বেস্ট।আসছি ভালো থাকিস।”
আরশাদ গাড়ি চড়ে বসল যতটা আনন্দ নিয়ে এসেছে ততটাই বিস্বাদ ঢেলে চলে যাচ্ছে।গাড়ি চলতে শুরু করেছে তার গতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত গাড়িটা দেখা যায় ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত তাকিয়ে রইল সকলে।এই দুটো মানুষ মায়ার সুতো বেঁধে দিয়ে গেল মাত্র অল্প দিনে।
.
ইদানীং শরীরটা বড্ড খারাপ যাচ্ছে তার উপর পরিবারের ভাঙনের ভয় বাসা বেঁধে সৈয়দ ইসমাইলের মনে।একমাত্র ছেলে বিগড়ে গেছে বাবাকে শ্রদ্ধা তো দূরের কথা মান্যই করে না।যে মায়ের কথায় ভালো মন্দের বিচার করতো না আজকাল সেই মাকেই মান্য করছে না।আনিকাকে ডিভোর্স দেবে বলে খুব বেশি ঝামেলা করছে এমন ঝামেলা আর কতদিন মানা যায়?
পরিবারটার এমন বিধ্বস্ত রূপ আর যে মানা যায় না।আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগের কথা যখন সৈয়দ ইসমাইলের বাবা মা জীবিত ছিলেন তখন দুই ভাইর সংসারে না ছিল দুরত্ব না ছিল ঝগড়া বিবাদের সাহস।উজ্জ্বলের দাদা-দাদি ভীষণ রাগি ছিলেন হাতের মুঠোয় পুরে রেখেছেন গোটা সংসারটাকে।দুই ছেলের আলাদা সংসার হওয়া শর্তেও সংসারের যেকোন সিদ্ধান্তে উজ্জ্বলের দাদা দাদিকে সবার আগে জানানো হতো এবং তাদের দিক থেকে অনুমতি পেলেই সেই কাজ বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হতো।এভাবেই নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্য শাসনে সংসারটাকে জোড়ায় রেখেছিলেন তারা কিন্তু মানুষ মরণশীল আজীবন তো বেঁচে থাকে না।চোখের পলকে অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে উজ্জ্বলের দাদা দাদি মারা গেলেন।তার পরেই সংসারে অনাসৃষ্টি শুরু হলো বিশেষ করে রুমুর মা রাবেয়া তিনি সর্বদা চেয়েছেন সংসারটা নিজের দাপটে রাখতে একি আদৌ সম্ভব!ওয়ারিশে পাওয়া সম্পত্তিগুলো নিয়েও তার ছিল মন কষাকষি।সম্পত্তির জেরে তাদের ঝগড়া ঝামেলা তীব্র রূপ ধারণ করে।প্রথম পর্যায়ে উজ্জ্বলের বাবা মা এসবে জড়াতে চাননি কিন্তু দিনের পর দিন ব্যাপারটা এতদূর গড়িয়ে যায় তারাও আর চুপ থাকতে পারেনি।
রুমুর মামাদের সাহায্যে জাল দলিল বানিয়ে রাবেয়া দখলদারিতে লেগে পড়ে।
একদিন এসব নিয়ে ঝামেলার মাঝেই রাশেদ চাকুর সাহায্যে সৈয়দ শামসুলের পিঠে পোঁচ দেয়।আকস্মিক ঘটনায় দুই দলের পালটা পালটি মারপিঠ শুরু হয় দুই দলেই লোক ছিল।কতজন যে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তার হিসাব নেই পুলিশ আসে ঝামেলা মিটমাট করতে চায় কিন্তু এসব আজও মিটমাট হয়নি।রুমুর মামারা টাকার বলে পুলিশের মুখ বন্ধ রাখে দুই ভাইয়ের মাঝে সৃষ্টি হয় বিস্তার ফাটল।
এক নারীর প্রলোভনে দুই ভাইয়ের মাঝে বিস্তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।এই দূরত্ব ঘুচাতে চায় উজ্জ্বল সেই সাথে পেতে চায় যার জন্য কৈশোরে জন্মেছে এক বিস্তার অনুভূতি।অল্প বয়স থেকেই রুমুর প্রতি যত্নশীল উজ্জ্বল এই যে এক ধারণের টান কাজ করে এই টানের নাম দেওয়া হয়নি কিংবা উজ্জ্বল জানেই না এর নাম কি।সময়ের সাথে সাথে উজ্জ্বল সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে রুমুকেই সে বিয়ে করবে এবং দুই ভাইয়ের সম্পর্ক পুনরায় জোড়া লাগাবে।
চায়ের কাপে তৃপ্তির চুমুক দিয়ে সৈয়দ শামসুল তাকালেন ভাইয়ের দিকে।
” কিছু বলবে?হঠাৎ এত জরুরি তলব?”
” আমার সংসারের অবস্থা আশা করি কম বেশি তুমি জানো।আজ বাদে কাল যদি মরে যাই আমার ছেলে সব সম্পদ নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেবে।আমার ছেলেটার উপর এক বিন্দু পরিমান ভরসা আমার নেই।”
সৈয়দ ইসমাইল থামলেন।হতাশার শ্বাস ছেড়ে পুনরায় বলেন,
” রাশেদ ইদানীং আনিকাকে তালাক দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে যে মেয়ে এই জানোয়ারটাকে ভালোবেসে বাড়ি ঘর ছাড়ল সেই মেয়েটার এমন দুর্দশা আমি মানতে পারছি না।আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবিত অবস্থায় আমার সব সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করব।”
” উত্তম সিদ্ধান্ত।তা হঠাৎ আমাকে ডাকলে কেন?”
” ভাইজান রেগে থাকবেন না অতীতে যা হয়েছে তা নিয়ে আমি লজ্জিত হাজারবার বলেছি আবারো বলছি।তুমি ছাড়া আমাকে কে সাহায্য করবে ভাইজান?”
” তোমার কি সাহায্য চাই?”
” আমার সম্পদের একভাগ আমি এতিমখানায় দান করব।”
” উত্তম সিদ্ধান্ত।”
” বাকি যা আছে তা রুমুর নামে আনিকার নামে স্ত্রীর নামে এবং রাশেদের নামে ভাগ করে দেব।আমার যে তোমার সাহায্য চাই।”
” ঠিক আছে আমি তোমায় সাহায্য করব
তবে আবার দেখো আমার ছেলের সংসারে এসব নিয়ে রাশেদ কোন ঝামেলা করে।ওরা ভালো আছে ভালো থাকতে দাও।”
” আমি কি চাইব না আমার মেয়ে ভালো থাকুক?”
সেদিনের কথা এতটুকুতেই সমাপ্ত হয়।তারপর দুইভাই মিলে সম্পত্তি ভাগে যাবতীয় কাজে লেগে পড়ে
সেদিনের পর কেটে গেল কয়েকমাস।আজ রৌদ্র ঝলমল একটি দিন।রান্নাঘরের যাবতীয় কাজ শেষে আনিকা রুমুর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিল আজ তারা বিকালে ঘুরতে যাবে।আনিকা যে রুমুর সাথে বের হবে এই ব্যাপারটা নিয়ে রাশেদের নিশ্চয়ই বিরোধীতা থাকবে কিন্তু এসব নিয়ে এখন আর মাথা ব্যথা নেই আনিকার।জীবন চলছে উদ্দেশ্যহীন যা হবার হবে এই তো চলছে চলার মতো।
হঠাৎ রাশেদ এবং তার মায়ের চিৎকার চেচামেচি বাড়লো ইদানীং মা ছেলের ঝগড়া লেগেই থাকে।আনিকা প্রথম প্রথম পাত্তা না দিলেও পরবর্তীতে আর বসে থাকতে পারল না ছুটে গেল বসার ঘরে।
” আম্মা আমি বিয়া যখন করব বলছি তখন করবোই।ওই আনিকারে আমি তালাক দিব।”
” খবরদার রাশেদ তুই যদি আনিকারে তালাক দেস তাহলে তোরে আমি ত্যাজ্যপুত্র করব।আমার কোন ছেলে নাই।”
” আম্মা বাড়াবাড়ি কইর না।আনিকার চেয়েও ময়না হাজারগুন বেশি সুন্দরী।”
” আনিকার মতো কেউ তোরে ভালোবাসবে না।এই সংসারকে আগলাই রাখবে না।রাশেদ আমার আব্বা মাথা ঠান্ডা কর তুই ভালো হয়ে যা এমন করিস না বাপ।তুই আমার একমাত্র ছেলে আজকাল আমার আফসোস জাগে উজ্জ্বলের মতো তুই কেন হইলি না।”
” উজ্জ্বল!ওও এখন উজ্জ্বল তোমার চোখে ভালো!”
” ভালো মন্দ না।তাকে দেখ কীভাবে সব..”
” চুপ করো।আব্বারে বলবা সম্পত্তি ভাগ করতে আমার সম্পত্তি আমারে দিতে বলবা।আমি আমার বউ নিয়ে আলাদা হবো।”
” তোর বউ মানে?”
” ময়না।ময়নাই হবে আমার বউ।”
” জানোয়ার তোর গলা কা ই ট্টা ফেলবো আরেকবার যদি সম্পত্তির কথা মুখে আনিস।”
” গলা কা ট বা?আমার কথা মতো না চললে ভবিষ্যতে কপালে ভাতও জুটবে না।আব্বার সব সম্পত্তি আমার হবে আমার।এই সম্পত্তির ভাগ আমি কাউকে দিব না।”
” তোর যতটা অধিকার রুমুরো ততটাই অধিকার।”
“রুমু!রুমু সম্পত্তির কানা কড়িও পাবে না।সব হবে রাশেদের,এই সৈয়দ বংশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হব আমি।”
রাশেদ দাঁতে দাঁত চেপে বেরিয়ে গেল।রাগে থরথরে কাঁপছে তার শরীর।আনিকা দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে দেখছে সব।এই ছেলেটাকে সে ভালোবেসেছিল!রাশেদ তো এমন ছিল না,আনিকার এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ার আগে টলটলে চোখ দেখলে যে ছেলে সব উত্তাল করে ছাড়তো সেই ছেলে এখন আনিকাকে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে কাঁদায়।ভালোবাসার রঙ পালটায় কেন?কেন তার স্থিতি নেই?
মাত্রই ঘরে প্রবেশ করলেন সৈয়দ ইসমাইল।এই ঘরে ঝগড়া তর্কাতর্কি এখন নিত্যদিনের কাজ তাই এসবে তিনি গা লাগালেন না।চুপচাপ চলে গেলেন বিশ্রাম নিতে।বাইরের ঝুট ঝামেলা শেষে নীড়ে ফেরা হয় একটু শান্তির উদ্দেশ্যে সেই নীড়েই যদি শান্তি না থাকে তবে মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ বিধস্ত হতে হয়।রাবেয়া কাঁদতে কাঁদতে সৈয়দ ইসমাইলের নিকট উপস্থিত হলেন,
” ছেলেটার কিছু একটা ব্যবস্থা করেন।এই ছেলে তো মানসিক ভাবে ঠিক নাই।জন্তু হয়ে গেছে জন্তু।”
” ছেলের এই অবস্থার জন্য দায়ী কে?তোমার অতিরিক্ত লোভ,লালসা হিংসা সব কিছুতেই ছেলেটাকে জড়িয়ে আজ এতদূর এনেছো।”
” আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি।আজ বলল সম্পত্তি সব তার।সে নাকি সম্পত্তি তার নামে লিখে নেবে।”
ইসমাইল বিগলিত হাসলেন।
” সম্পত্তি আরো আগেই আমি ভাগাভাগি করে ফেলেছি।যার যা প্রাপ্য সে তাই পাবে।তবে তোমার অমানুষ ছেলে কিছুই পাবে না।যতদিন না সে নিজের ভুলে অনুতপ্ত হচ্ছে ততদিন সে কিছুই পাবে না।”
” এসব তুমি করলে কখন?”
” কয়েক মাস আগেই।”
” একদম যথাযথ কাজ করেছো।এবার দেখবো ময়নাকে কি করে বিয়ে করে।”
ইসমাইল তাচ্ছিল্য হাসলেন।কিছুটা টিপ্পনী কেটে বলেন,
” আশ্চর্য ছেলের পক্ষ নেবে না?হঠাৎ বিপক্ষে গেলে কেন?ছেলের পক্ষ নিয়ে অনেক তো কাহিনী রটালে শেষ পর্যায়ে আমার একমাত্র মেয়েটাকেও ছাড়লে না।”
রাবেয়া প্রত্যুত্তর করার আগে হিংস্র রূপ ধারণ করে রুমে প্রবেশ করে রাশেদ।তার রক্তিম ভয়াবহ চাহনিতে কলিজা কেঁপে উঠল রাবেয়ার।
” বাইরে থেকে আমি সব শুনেছি সব।”
রাশেদের শান্ত স্বর রাবেয়ার ভয় বাড়াল।
তবুও তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,
” তোর আব্বা বেশ করেছে।তোর মতো ছেলেকে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া দরকার।”
” এসব কথা বলে লাভ নেই।আজকে এই মুহুর্তে আমি ময়নাকে বিয়ে করব।”
” তুই কর সাহস থাকলে আমার লাশের উপর দিয়ে ময়নাকে নিয়ে আসবি।”
মা ছেলের ঝগড়া পুনরায় বাড়ল।ইসমাইল কিছুই বললেন না তিনি চুপচাপ তাকিয়ে রইলেন এসব যেন হওয়ারি ছিল।আনিকা চোখ মুখ শক্ত হয়ে আসে জীবনের সমীকরণে আজ সে ব্যর্থ।আজ যা হবার হবে।ঝগড়ার মাঝে উপস্থিত হয় সে এবং দৃঢ় স্বরে বলে,
” রাশেদ আমি আপনারে ছাড়ব না।তালাক দিলেও যাব না।”
” খা*** কি বললি!ছাড়বি না মানে?তোরে এক্ষুনি তালাক দিব।”
রাশেদ মুখ দিয়ে তালাক উচ্চারণ করার আগে রাবেয়া কষিয়ে চড় মা র ল।এই প্রথম রাবেয়া ছেলের গায়ে হাত তুলেছেন ইসমাইল এবং আনিকা দুজনেই অবাক হয়।রাশেদ হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে উঠে আনিকার চুলের গোছা টেনে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
” মা** তোর কেউ নাই।তোরে আজ খুন কইরা লা শ মাটিতে পুতামু।তোর লা শ কেউ খুঁজতেও আসবো না।”
রাশেদ রান্না ঘরের দিকে যায় এবং দা হাতে নিয়ে ফিরে আসে।এবার প্রচন্ড ভয় পান ইসমাইল।এই ছেলের হুশ জ্ঞান নেই কি থেকে কি করবে কে জানে।রাবেয়া রাশেদের হাত ধরে দা ছিনিয়ে নিতে চায় কিন্তু রাশেদের শক্তির সাথে তিনি কিছুতেই পেরে উঠলেন না।
” রাশেদ দা ছাড় আনিকারে মা রা র আগে আমারে মা র।”
” তোমারে মারমু আনিকারেও মারমু এই বাড়ি এই সম্পদ সব আমার।সব আমার আর ময়নার।তার আগে এই খা** মারমু।”
রাশেদ আনিকার দিকে কোপ দিতেই আনিকাকে সরিয়ে দিয়ে এগিয়ে যান রাবেয়া ততক্ষণাৎ কোপ লেগে যায় রাবেয়ার মাথায়।এবং দা’টা এতটাই শক্তপোক্ত ভাবে মাথায় গেঁথে যায় দা তোলার আর সাহস করেনি রাশেদ।
চলবে….