কাননে ফুটিল ফুল পর্ব-১০

0
175

বি:দ্র: মানসিকভাবে রক্ষণশীল পাঠকদের এই পর্বটি এড়িয়ে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

কাননে ফুটিল ফুল — ১০ (১৫৬০+ শব্দ)

সাব্বিরের কথায় জ্যোতি আর নৈশী মুখ টিপে হেসে ফেলল। সারজিম নির্বিকার বসে আছে একপাশে। আন্দালিবের মনে মনে প্রচন্ড রাগ হলেও ওদের সাথে হেসে উড়িয়ে দিল ব্যাপারটা।

একটা সময় পর্যন্ত সাব্বির প্রচন্ড সম্মান করত আন্দালিবকে। বলতে গেলে নিজের ভাই আর আন্দালিবের মধ্যে পার্থক্য করেনি কখনও। কিন্তু এখন বিশেষ করে সেদিন ওভাবে নৈশীকে ডেকে নিয়ে প্রপোজ করার পরে এবং আন্দালিবের পরবর্তী কার্যকলাপ দেখার পরে সেই সম্মানটা এখন আর আসে না।

সাব্বিরের কথাতেই আড্ডায় কিছুটা ভাটা পড়ল বোধহয়। এরমধ্যে উঠে দাঁড়াল নৈশী,
“অনেক রাত হলো, আমি আসলে খুব টায়ার্ড। এখন ঘুমাতে যাবো। ইউ গাইজ প্লিজ ক্যারি অন। জ্যোতি, এত রাতে আর বাড়ি যেতে হবে না। তুমি আজ আমার সাথেই থেকে যাও।”

“ওকে, আপু।”

আন্দালিবও উঠে দাঁড়াল এবার৷ যার জন্য এখানে আসা সেই যখন চলে যাচ্ছে তারমানে থাকার আর কোনো মানে হয় না।
“আমিও উঠছি তাহলে৷”
মনের কথা মানুষ কানে শুনতে পায় না। ওরাও তাই সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে আন্দালিবের মনে মনে উচ্চারণ করা বিশ্রী গালিগুলো শুনতে পেল না। এখনও ধৈর্য ধরে আছে আন্দালিব। কিন্তু এতকিছুর পরেও যদি নৈশী বিয়েতে রাজি না হয় তাহলে বাধ্য হয়ে নিজের স্বরূপে ফিরে আসতে হবে। মনে মনে নানান ছক কষে বাসার বাইরে পা রাখল আন্দালিব।

১২.
লাল বেনারসি পরে বসে আছে নৈশী৷ চারদিকে উল্লাস, “বর এসেছে…।” নৈশীর বুকের ভেতরটা ঢিপঢিপ করে উঠল৷ আন্দালিব এসে গেছে। ও উঠে দাঁড়িয়ে জানালার পাশ থেকে উঁকি দিল নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে দেখার জন্য৷ বাইরে তাকিয়েই চমকে গেল ও। আন্দালিব কোথায়? বরবেশে তো বসে আছে সারজিম।..

নৈশী একলাফে উঠে বসল বিছানায়। এত জীবন্ত স্বপ্ন, মনে হচ্ছিল যেন একেবারে বাস্তব। এত বছর পর সারজিম কেন আবার স্বপ্নে এলো? তাহলে কি সেই টিনেজার্স বয়সের ইনফ্যাচুয়েশন এখনও রয়ে গেছে? নাকি সেটা ইনফ্যাচুয়েশনের চেয়ে বেশি কিছু ছিল। একটা সময় ছিল যখন সারজিম এভাবেই স্বপ্নে আসত। কত বয়স ছিল তখন? চৌদ্দ কিংবা পনের হবে হয়তো। সাব্বির আর খালামনির সাথে গল্প হতো রোজ। কথায় কথায় মাঝেমধ্যে সারজিমের নামটা উঠে আসত। সারজিমের সাথে কথা বলার, ওর কন্ঠস্বর শোনার অদম্য একটা ইচ্ছে তৈরি হয়েছিল নৈশীর মনে তখন থেকেই। এই ইচ্ছেটাই কেমন জানি একটা ভালোলাগায় বদলে গেল। মাঝেমধ্যেই স্বপ্নে আসতে শুরু করল সারজিম। এরমধ্যে কয়েকটা বছর কাটল, নৈশীর মধ্যে ম্যাচুরিটি এলো আস্তে আস্তে। যেহেতু সারজিম তখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে তাই নিজের মতো করেই একটা ব্যাখ্যা দাড় করালো নৈশী। সারজিমের প্রতি ওর অনুভূতি শুধুই একটা কিশোরী বয়সের আবেগ। এতদিন এটাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে এসেছে ও। অথচ আজ আবার স্বপ্নটা দেখার পর সব কেমন ওলটপালট লাগছে।

বিছানা ছেড়ে উঠে ব্যালকনির দিকে এগিয়ে গেল নৈশী। সেই বিকালে ভাতঘুম দিয়েছিল ও। এরমধ্যে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতও নেমে এলো। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির তেজে সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছে না স্পষ্ট৷ শীত দরজায় কড়া নাড়ছে, অথচ এই অসময়ে বৃষ্টি। কি যে সুন্দর একটা পরিবেশ। মন স্থির থাকলে নৈশী হয়তো প্রিয় কোনো কবিতার দুলাইন আওড়ে নিত এখন আপনমনে। কিন্তু ওর মন মেজাজ এখন যথেষ্ট বিক্ষিপ্ত। একে তো আন্দালিব সম্পর্কে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি এখনও। তারুপর আবার সারজিমের নাম ধরে একটা পোকা মস্তিষ্কে কুটকুট করে চলেছে অবিরত। খুব বেশি কিছু ভাবার আর সময় পেল না নৈশী। তার আগেই মোবাইলের রিঙটোন ভেসে এলো ওর কানে।

নৈশী রুমের মধ্যে গিয়ে মোবাইল হাতে নিল। আননোন নাম্বার। রিসিভ করে সালাম দিতেই লোকটা সালামের জবাব দিল। তারপর বলল,
“চিনতে পারছেন আমাকে? সেই যে দোকানদার। বলেছিলেন সাদা স্টিকার লাগানো গাড়িটা এলে যেন আপনাকে জানাই। গাড়িটা সম্ভবত অনেকক্ষন আগেই এসে থেমেছে রাস্তার অপজিটে। এতক্ষন বেশি বৃষ্টি হওয়ায় স্পষ্ট খেয়াল করিনি। এইমাত্র দেখার পর আপনাকে জানালাম।”

নৈশী তড়িঘড়ি করে বলল, “অনেক অনেক ধন্যবাদ আঙ্কেল।”

ফোন রেখে চট করে খাটের উপর থেকে ওড়না টেনে নিল নৈশী। আফরোজা বেগর রুমের সামনে এসে বলল, “আমি একটু বের হচ্ছি খালামনি৷ ফিরে এসে তোমাকে বিস্তারিত বলব।”

আফরোজা বেগম কিছু বলতে যাবেন তার আগেই ও বের হয়ে গেল বাসা থেকে। রায়হানদের বাসার সামনে গিয়ে মনে হলো, অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। এখন বাসার মধ্যে ঢুকবে কীভাবে? বেল বাজাতে গেলে তো আন্দালিব সতর্ক হয়ে যাবে। আনমনে দরজার হাত রাখল নৈশী এবং অবাক হয়ে খেয়াল করল দরজা লক করা হয়নি। ভাগ্য আজ সুপ্রসন্ন বলতে হবে৷

নৈশীর সামনে অনেক বড় একটা তিক্ত, নোংরা সত্যি উন্মোচিত হবে বলেই বোধহয় দরজা আনলকড ছিল। কে জানে, হয়তো তাড়াহুড়ায় ভালো করে দরজা লক করা হয়নি, অথবা হতে পারে দরজা লক করা খুব একটা জরুরি মনে করেনি। এই ঝড়বৃষ্টির মধ্যে এত রাতে কেই বা আসবে? কিংবা দুজনের শরিরী ক্ষুধা মেটানোর তাড়া এতটাই বেশি ছিল যে ওদিকে খেয়াল করার সময়ই পায়নি।

অবশেষে সেই সত্যিটার একেবারে মুখোমুখি দাঁড়াল নৈশী। মনে মনে যেটা ভেবেছিল সেটাই তবে সত্যি ছিল! বেডরুমে খাটের উপরে যে দুজন আনুষ আদিম বুনো উল্লাসে মেতেছে এদের দুজনকেই নৈশী চেনে। একজন আন্দালিব, সেই আন্দালিব যে তার দিনরাত এক করে দিচ্ছে নৈশীকে পাওয়ার জন্য। যে আন্দালিব বলেছিল, তার জীবনে নৈশীই প্রথম নারী এবং নৈশীই হবে শেষ। অথচ এখন কত সুন্দর সে অবগাহন করছে অন্য কোনো নারীর গভীরতায়। এতো গেল আন্দালিবের অধ্যায়। কিন্তু রুবিনা ভাবি! সেও তো কোনো পুরুষের পরম আরাধনার প্রাপ্তি। সে কীভাবে পারল রায়হান ভাইয়ের মতো একজন মানুষকে এত বিশ্রীভাবে ঠকাতে?

জ্যোতির কাছে সবই শুনেছিল নৈশী। রুবিনা কখনও মা হতে পারবে না জেনেও রায়হান কী যত্নে আগলে রেখেছিল তাকে। একমাত্র ছেলে হওয়ায় রায়হানের বাবা মাও চেয়েছিল বংশ রক্ষার্থে রায়হানের দ্বিতীয় বিয়ে দিতে। কিন্তু শুধু রুবিনা কষ্ট পাবে বলে রায়হান রাজি হয়নি কখনও। গত দুবছর যাবত রাগ করে রায়হানের বাবা-মা যোগাযোগ করে না ওর সাথে। তবুও রায়হান টলেনি। এত সম্মান, এত ভালোবাসার এই তবে প্রতিদান।

ঘেন্নায় গা গুলিয়ে উঠল নৈশীর। কিছুক্ষন এই দৃশ্য চোখের সামনে দেখার পর আর সহ্য করতে পারল না ও। যেমন নিঃশব্দে বাসার ভেতরে ঢুকেছিল ঠিক সেভাবেই বের হয়ে গেল৷ নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকা দুজন মানুষ তৃতীয় ব্যক্তির আগমনটুকু আঁচও করতে পারল না।

সত্যিই, বাহ্যিকভাবে দেখলে চারপাশের মানুষগুলোকে কত সুন্দর মনে হয়। কিন্তু তাদের ভেতরের রূপটা কতই না কুৎসিত হয়। আন্দালিবের মতো সদা হাস্যোজ্জ্বল একটা ছেলে যে এমন হতে পারে সেটা কি কেউ কল্পনাও করতে পারবে? রুবিনা ভাবির এই কদর্য চরিত্রের কথাই বা কে বিশ্বাস করবে!

নৈশী বাসায় ফিরল কাকভেজা হয়ে৷ দরজা খুলে আফরোজা বেগম ওকে ভেজা অবস্থায় দেখে ধমকে উঠলেন,
“কি শুরু করেছিস বলতো? এভাবে কাউকে না জানিয়ে হুট করে বেরিয়ে গেলি। সাথে ছাতা আছে অথচ এসেছিস ভিজে ভিজে।”

ও বাসা থেকে নৈশী বের হয়ে এসেছিল ঘোরের মধ্যে। ছাতা খোলার কথা মাথাতেই ছিল না। খালার কথাও কানে তুলল না ও। ভেজা অবস্থাতেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল আফরোজা বেগমকে। এবার তিনি নরম হলেন কিছুটা,
“কী হয়েছে রে তোর? মন খারাপ?”

“একদমই না। বরং ভালো লাগছে। বিশ্রীভাবে ফেঁসে যেতে যেতেও বেঁচে গেলাম খালামনি। আল্লাহ আমাকে অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন। খারাপ যেটুকু লাগছে, সেটা নিজের জন্য নয়, আরেকজনের জন্য।” আরেকজন শব্দটা বলতেই নৈশীর মনে রায়হানের হাসিখুশি মুখটা ভেসে উঠল। বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস।

“কী বলছিস? তোর কথার আগামাথা তো কিছুই বুঝতে পারছি না। কী সব বলছিস?”

“সব বুঝবে, কয়েকটাদিন সময় দাও। হাতের পুতুলটাকে আরও কিছুদিন নাচাই। তারপর সব বলব।”

রুমে ফিরে চেঞ্জ করে বিছানায় আরাম করে বসল নৈশী। ওর মনে হচ্ছিল, হঠাৎ করে অনেক বড় একটা বোঝা নেমে গেল মাথার উপর থেকে। আন্দালিবের এই রূপটা চোখের সামনে না এলে, অনেককিছুই অজানা থেকে যেত। এই চরিত্রহীন লম্পটটা ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। এসব ভাবতেও গা ঘিনঘিন করছিল নৈশীর। আন্দালিব যে অন্যায়টা ওর সাথে করতে যাচ্ছিল সেটা মনে করে নৈশীর ক্রোধ বাড়ছিল। আন্দালিবকে একটা উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছিল না নৈশী। আপাতত নাহয় দেখা যাক আন্দালিব কতদূর যেতে পারে।

আন্দালিবের সাথে নৈশীর আবার দেখা হলো দুদিন পর। আন্দালিবই ফোন করে দেখা করতে চাইল, নৈশী রাজি হয়ে গেল। কাছাকাছি একটা কফিশপে বসল ওরা। আন্দালিব বোধহয় কিছুটা অধৈর্য হয়ে পড়ছে, ওর কন্ঠস্বর শুনে অন্তত তাই মনে হলো নৈশীর,
“নৈশী, আর কত অপেক্ষা করাবে আমাকে বলো তো? আর কত জানা বাকি আমার সম্পর্কে?”

“হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? এত জলদি ধৈর্যহারা হয়ে গেলেন? কিছুদিন আগেও না বললেন, আমার জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করবেন।”

“একদমই ধৈর্যহারা হইনি। তবে তোমাকে পেতে ব্যকুল হয়ে আছি। আমার বাসাটা তুমি না যাওয়া অব্দি পূর্ণতা পাচ্ছে না।”

“সে তো এতদিনও আমি ছিলাম না আপনার বাসায়। এনিওয়ে, গত রবিবার যেদি প্রচুর বৃষ্টি হলো, সেদিন সন্ধ্যার পরে আপনি কোথায় ছিলেন?”

প্রশ্নটা শুনে আন্দালিব যে ঘাবড়ে গেছে প্রচন্ড সেটা ওর চেহারা দেখেই বোঝা গেল। যদিও নিজেকে স্মুদলি সামলে নিল ও,
“বাসাতেই ছিলাম৷ কেন বলো তো?”
“না, হঠাৎ করে সেদিন মনে হলো আপনি আসেপাশে কোথাও আছেন। মিস করছিলাম খুব, সেজন্যই মনে হচ্ছিল বোধহয়।”

“দেখেছ তো, মনে মনে তুমি আমাকে ঠিক মিস করতে শুরু করেছ। এখন মুখ ফুটে শুধু হ্যাঁ বলে দাও। তোমাকে কথা দিচ্ছি, দরকার পড়লে তোমার জন্য ব্রুশেটা রান্না করা শিখব।”

আন্দালিবের কদর্য চেহারাটা চোখের সামনে না দেখলে হয়তো আজকের আন্দালিবের করা এই রসিকতাটুকুতে মন থেক হেসে ফেলত নৈশী। কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়৷

নৈশী বলল, “আপনাকে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না আন্দালিব ভাই। খুব শীঘ্রই সারপ্রাইজ পেতে চলেছেন আপনি। চাইলে আমাকে এর জন্য অগ্রিম কংগ্রাচুলেট করে রাখতে পারেন।”

আন্দালিব প্রসারিত হেসে বলল, “ওকে, কংগ্রাচুলেশনস নৈশী। সারপ্রাইজটা পাওয়ার জন্য আমি খুব এক্সাইটেড হয়ে থাকব।”

নৈশী হাসল শব্দ করে। আন্দালিব মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখল তা। চোখাচোখি হলো দুজনের। আজ আরও একটা ব্যাপার খোলাসা হয়ে গেল নৈশীর কাছে। প্রশ্নটা নৈশীর মনে অনেক আগেও একবার এসেছিল। সারজিমদের বাসা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দরজার সামনে গিয়েও আবার পিছন ফিরে নৈশীর দিকে তাকিয়েছিল আন্দালিব। নৈশী দেখছিল একজোড়া চোখ মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। কিন্তু মুগ্ধতার সাথে আরও কিছু ছিল ওই চোখে। সেটা কী ছিল, সেদিন না বুঝতে পারলেও আজ নৈশীর কাছে স্পষ্ট সবটা। আন্দালিবের চোখে মুগ্ধতার পাশাপাশি ছিল লোভ। নোংরা চাহনি দিয়ে সে স্ক্যান করছিল নৈশীকে। এবং এই কাজটা সে এতটাই ধূর্ততার সাথে করছিল যে খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন না করলে বোঝার উপায় নেই। সেদিন আন্দালিবের চরিত্রের এই জঘন্য রূপটা সম্পর্কে নৈশী জানত না বলেই ব্যাপারটা ভালোভাবে ধরতে পারেনি। কিন্তু আজ আন্দালিবের প্রত্যেকটা মুভমেন্ট নজরবন্দি করা পর নৈশীর বোধগম্য হলো সবটা৷ এই যে আন্দালিব কফিমগ হাতে তুলে নিচ্ছে, সানগ্লাসটা একটু নাড়াচাড়া করছে, আঙুল দিয়ে কিছুক্ষন পরপর চুকে ব্যাকব্রাশ করছে, এসব করতে করতেই ওর চোখ ঘুড়ে বেড়াচ্ছে নৈশীর শরীরের নিষিদ্ধ স্থানগুলোতে। বিষয়টা বোঝার সাথে সাথেই নৈশী উঠে দাঁড়াল।
“আন্দালিব ভাই, অনেকটা সময় হয়ে গেছে। এবার আমাদের ফেরা উচিৎ।”

বাসায় ফিরে কতক্ষন ঝিম মেরে বিছানায় বসে থাকল নৈশী। আন্দালিবের সাথে দেখা করতে যাওয়াটা ভুলই হয়ে গেল বোধহয়। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিল ও, যত দ্রুত সম্ভব আন্দালিবের চ্যাপ্টারটা ক্লোজ করতে হবে।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)