কুন্দ ফুলের মালা পর্ব-০৮

0
16

#কুন্দ_ফুলের_মালা
#পর্ব-৮
একতা হাউজিং সোসাইটির চার নাম্বার রোডের ছত্রিশ নাম্বার বাসায় অনেক দিন পর আকাশ কে দেখা গেল। গেটে দাঁড়ানো কেয়ারটেকার তাকে ভালো করেই চিনে। তাই কোনো প্রশ্ন করলো না, এমনকি এন্ট্রি খাতায় কিছু লিখতেও হলো না। এফ সিক্স ফ্ল্যাটে তার আসা যাওয়া বহু বছরের। আকাশ লিফটে উঠে ঘড়ি দেখলো। একটা বাজতে চলেছে এখন। চৈতীকে বলে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। কী কাজ, কোথায় কাজ এসব প্রশ্ন করেছে চৈতী। মেয়েটা বয়সে ছোট হলেও বেশ পাকা ও চালাক। আকাশ মাঝেমধ্যে বিরক্তবোধ করে চৈতীর খবরদারীতে। মফস্বলের মেয়েরা সাধারনত এতো চালাক হয় না, তবে বড়লোকের আদুরে মেয়ে ডমিনেটিং স্বভাব খানিকটা থাকবে স্বাভাবিক।

এফ সিক্স ফ্ল্যাটে এসে কলিংবেল বাজালো। দরজা খুলে দিলো বছর পয়ত্রিশের অনিন্দিতা। অনিন্দিতার পুরো নাম অনিন্দিতা সাহা। স্বামী ইতালি প্রবাসী। ছেলে অপূর্ব ও মেয়ে অনিলাকে নিয়ে এখানে থাকে।

অনিন্দিতা জায়গা ছেড়ে দিয়ে প্রশ্ন করলো,

“বউ সামলে আসতে পারলে? ”

আকাশ আক্ষেপের সুরে বলল,

“আরে বালের বউ, বালের বিয়ে। ”

“এতো ক্ষেপে যাচ্ছ কেন? বউ আদর করে না বুঝি?”

আকাশ সোফায় বসে পড়লো। অনিন্দিতা লেবু, ট্যাং দিয়ে একটা ঠান্ডা শরবত বানিয়ে রেখেছিল। আকাশের হাতে দিতে দিতে বলল,

“এতো স্ট্রেস কিসের তোমার? বউ তো এখনো নতুন। সেখানে না মজে এখানে এলে যে?”

আকাশ এক টানে শরবত শেষ করে বলল,

“অপূর্ব কোথায়? ”

“কোচিং এ গেল। পাঁচটায় কোচিং শেষ করে একাডেমিতে যাবে। সাতটার আগে ফিরবে না। ”

“যাক নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। ”

অনিন্দিতা মিটিমিটি হাসলো। চুলায় রান্না চাপিয়েছে। অনিন্দিতার হাতের কাতলা মাছের প্রিপারেশন টা আকাশের আবার খুব পছন্দ। নারকেল দিয়ে কচুর লতি, বাদামের ভর্তা, চিংড়ি ভুনা গুলো আগেই করে রেখেছে। মাছ হয়ে গেলেই টেবিলে খাবার দিয়ে দিবে। অনিন্দিতা চুলার আঁচ কমিয়ে আকাশের পাশে এসে গা ঘেঁষে বসলো। অনিলাকে পাঠিয়েছে মাসির কাছে। আকাশ ধাতস্থ হয়ে বলল,

“ঝিলমিল বিয়ে করেছে।”

“বাহ! ভালো খবর তো। মিষ্টি নিয়ে আসবে না!”

“বালের খবর। হৃদয়কে বিয়ে করেছে।”

“ওমা কী বলো!”

“হ্যাঁ। নিশ্চয়ই আমার অগোচরে হৃদয়ের সঙ্গে প্রেম করে বেরিয়েছে। শালীকে দেখলে বোঝা যায় না যে ভাজা মাছ টা উল্টে খেতে জানে!”

অনিন্দিতা হাসলো। বলল,

“সেটা তো তোমায় দেখলেও বোঝার উপায় নেই। তবুও ভাজা মাছ উল্টে, পাল্টে খাচ্ছ তো। ”

আকাশ জবাব দিলো না। জমানো রাগ উগরে দিতে পেরে শান্তি পাচ্ছে।

“ঝিলমিল আমার ব্যাপার কিছু বলেছে?”

অনিন্দিতার প্রশ্নে আকাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

“না। ওই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ কিছু জানেনা। তবে হৃদয় আমাকে থ্রেট দিয়েছে যেন ঝিলমিলের আশেপাশে না থাকি। নাহলে…

“নাহলে বলে দিবে সবাইকে?”

“হুম।”

“ভয় পাচ্ছ?”

আকাশের জবাব দিতে সময় লাগছে। ভয় ও পাচ্ছে ঠিকই তবে সেটা হৃদয়কে। ঝিলমিল একা হলে একটা কিছু বলে ঠিক সামলে নিতো।

“ভয় পেলে এখানে আসা বন্ধ করো।”

আকাশ অনিন্দিতার দিকে তাকালো। অনিন্দিতা মিটিমিটি হাসছে। সে নিজেও জানে আকাশ এখানে আসা বন্ধ করতে পারবে না। দেশ ছেড়ে চলে গিয়েও যে অনিন্দিতাকে ভুলতে পারে নি সে দেশে থেকে পঞ্চাশ টাকা ভাড়ার দূরত্বে একতা হাউজিং এর এই ফ্ল্যাটে মধুর কিছু সময় কাটানোর লোভ ভুলতে পারবে না।

আকাশের সঙ্গে অনিন্দিতার পরিচয় যখন হয়েছিল তখন ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। রাহুল নামে ওর এক বন্ধু ছিলো। সে একদিন আকাশ কে বলল, ওর একটা টিউশনি আছে। বাচ্চাটা ইংলিশ মিডিয়ামের। ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট, ফাইভে পড়ছে। একটু সমস্যার কারণে টিউশনিটা ছাড়তে হবে। আকাশ পড়াবে কী না৷ আকাশ টাকার অংক টা দেখলো। বারো হাজার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন এক ঘন্টা করে সময় দিতে হবে। টাকা, পয়সার ক্রাইসিস ওর ছিলো না। বাবার দেয়া কার্ড আছে ওর কাছে। ইচ্ছেমতো খরচ করা যায়। তবুও মাস শেষে বাবা হিসাবের খাতা মিলিয়ে দেখেন কতো খরচ হলো। ছেলের জন্য বাড়তি সচেতনতা ছাড়া অন্য উদ্দেশ্য সম্ভবত তার ছিলো না। আকাশ ভাবলো টিউশনি টা নিবে ও। বয়স কম, আত্মঅহংকারও আছে। পড়াশোনার পাশাপাশি রোজগার আছে ব্যাপার টা শুনলে অনেকে সমীহের চোখে দেখবে। এক্সট্রা খাতির পাওয়া যাবে সকলের চোখে।

আকাশ পড়াতে এলো অপূর্ব কে। প্রথম দিন পড়িয়ে বুঝলো ছেলেটা পড়াশোনায় ভালো। খুব বেশী পরিশ্রম লাগছে না পড়াতে। মাস খানেকের মধ্যে অপূর্ব’র প্রিয় টিচার থেকে অনিন্দিতার প্রিয় পাত্রও হয়ে উঠলো। অনিন্দিতা এগিয়ে এসে গল্প করে, মুখরোচক খাবার বানিয়ে রাখে। ফোন নাম্বার আদান প্রদান এর পর বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়। আকাশের জীবনে তখন ঝিলমিল আছে। একজন গুনমুগ্ধ প্রেমিকা থাকা স্বত্তেও আকাশ ধীরে ধীরে অনিন্দিতায় মুগ্ধ হয়। অনিন্দিতার স্মার্ট চলাফেরা, কথাবার্তায় আটকে যায়। ভালো লাগে তার সঙ্গে গল্প করতে। অনিন্দিতা যত কাছে আসে, ঝিলমিল ততো দূরে যেতে থাকে আকাশের মন থেকে। বোকা ঝিলমিল বুঝতে পারে না। নিজের পড়াশোনা, ক্যারিয়ারে ব্যস্ত হয়ে যায়, ভাবে আকাশও ব্যস্ত তার পড়াশোনা নিয়ে। আকাশ অবশ্য চালাকি করে, ঝিলমিল কে বুঝতে দেয় না কিছু। দেখা হলে একই রকম এটেনশন দেয়, কনসার্ন দেখায়। আই লাভ ইউ লিখে টেক্সট করে ঝিলমিল কেও শান্ত রাখে। কিন্তু সকলের অগোচরে অনিন্দিতার সঙ্গে জড়ায় এক নিষিদ্ধ সম্পর্কে। যে সম্পর্কে সবকিছু থাকে, থাকে না শুধু কমিটমেন্ট। দুটো বাচ্চাসহ অনিন্দিতা কে কল্পনা করতে পারেনা নিজের জীবনে সরাসরি ঠাই দিতে। আবার পারে না ছেড়েও দিতে। অনিন্দিতাও জানে ঝিলমিলের কথা। আপত্তি নেই আকাশের প্রেমিকাকে নিয়ে। একটা বোকা, সরল প্রেমিকা থাকুক ওর জীবনে। বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসারও করুক কিন্তু অনিন্দিতার চাহিদাটুকু মিটাক।

সম্পর্ক চলছিল এভাবে। হঠাৎ একদিন ছন্দপতন হলো। আকাশের পজেসিভ নেচারের সঙ্গে পরিচিত হলো অনিন্দিতা। তবে সেটা ওর জন্য না, ঝিলমিলের জন্য। ঝিলমিল কে অন্য কেউ ডিস্টার্ব করছে শুধুমাত্র সেই কারণে আকাশ এক সপ্তাহ এলো না। সপ্তাহ খানেক পর এলেও মুখে শুধু ঝিলমিলের নাম। অনিন্দিতার মনে ভীতি তৈরী হলো। আকাশ ও’কে ছেড়ে দিতে পারে সেটা ভাবতে চায় না। সুদর্শন ছেলেটার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্ত টুকু দারুণ ভাবে উপভোগ করে। পুরোপুরি তাকে পাওয়া সম্ভবও না, কারণ অনেক বাঁধা আছে। ঝিলমিল কে বিয়ে করার পর আকাশের যদি অনিন্দিতার মোহ কেটে যায়! সেই প্রথম ও ভয় পেল। কিন্তু বুঝতে দিলো না আকাশ কে। মাঝেমধ্যে বলে ফেলতো যে ওদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নেই। আকাশের বিয়ে হলে ও ভুলে যাবে অনিন্দিতাকে। আকাশ সেসব উড়িয়ে দিতো। একটা সময়ে গিয়ে ওরও মন খারাপ হতো। অনিন্দিতা সবসময়ই বলতো,

” ঝিলমিল কে বিয়ে করলে তুমি আমাকে ভুলে যাবে দেখো। ”

“না ভুলব না।”

“ভুলে যাবে কারণ তুমি ঝিলমিল কে ভালোবাসো।”

আকাশ গভীর চোখে তাকায়। অনিন্দিতার কাছে আসলে ও অন্যরকম হয়ে যায়। মন ভালো হয়ে যায়। অনিন্দিতাকে না বলতেই সব বুঝে যায়। এতো যত্ন করে, এতো ভালোবাসে। না, না অনিন্দিতাকে ও হারাতে পারবে না। আকাশ দৃঢ় গলায় বলে,

“তোমাকে ভুলে থাকা! অসম্ভব!”

“যদি একজনকে বেছে নিতে বলা হয়?”

আকাশ দ্বিধায় পড়ে যায়। পরমুহূর্তেই জবাব দেয়,

“তুমি। ”

অনিন্দিতা হাসে। আকাশের গালে চুমু খেয়ে বলে,

“সামাজিক ভাবে আমরা এক হতে তো পারব না। তবে আমি চাই তোমার একটা ভালো বিয়ে হোক। ভালো বউ আসুক, বাচ্চাকাচ্চা হোক। তোমার ভালোই হোক সবসময়। ”

আকাশ খুশি হয়। এরপর সিডনিতে স্কলারশিপ হয়ে যায়। অনিন্দিতা মন খারাপ করে। তার মন আরও খারাপ হয় যখন শোনে ঝিলমিল কে আংটি পরিয়ে যাচ্ছে। অনিন্দিতা স্বাভাবিক গলায় প্রশ্ন করে,

“এসেই বিয়ে করে ফেলবে?”

“হ্যাঁ। ”

“তোমার পরিবার রাজী তো। ”

“যা আমি চাই, ওরা তাতেই রাজী।”

“শিওর? দেখো মা, বাবার মনে কষ্ট দিও না। তুমি বলেছিলে যে তোমার বাবা কষ্ট পেয়েছিলেন নিজের অবস্থানের চেয়ে নিচের কাউকে পছন্দ করছ।”

“আরেহ বাদ দাও ওসব। ঝিলমিল ভালো মেয়ে। ও আমাকে ভালো বোঝে। আমার অবাধ্য হয় না।”

আকাশ চলে যায়। অনিন্দিতার সঙ্গে কথা হয় কলে। ভীষণ ব্যস্ত আকাশ কে ফোনকলে দুজনকে সময় দেয়া সম্ভব না। স্বাভাবিক ভাবেই অনিন্দিতার মনে হয় ঝিলমিল বেশী সময় নিচ্ছে। অদেখা ঝিলমিল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে অনিন্দিতার কাছে। ওর বিয়ে হয়েছিল ষোলো বছরে। আঠারোতে জন্ম হলো অপূর্ব’র। এরপর পড়াশোনা বন্ধ, সংসার সামলেছে। যে বয়সে স্বামীসোহাগে মত্ত থাকার কথা সেই বয়সে বাচ্চা, শ্বশুর শাশুড়ী, সংসার সামলে হাপিয়ে উঠেছিল রীতিমতো। অপূর্বকে স্কুলে দেয়ার সুবাদে আলাদা বাসায় উঠে যা একটু স্বস্তি পেয়েছিল। ঝিলমিল সুন্দরী, ইউনিভার্সিটিতে পড়া শিক্ষিত মেয়ে। ছলাকলা না জানলেও স্বামীকে কিভাবে বেঁধে রাখতে হবে সেটুকু নিশ্চয়ই জেনে থাকবে।

অনিন্দিতা সরাসরি আকাশের কানে বিষ মন্ত্র ঢালল না। কৌশল অবলম্বন করলো। নিজের অসুস্থতার অজুহাতে বাচ্চাদের রেখে সিডনিতে গেল। আকাশ খুব খুশি হলো। যে কয়টা দিন ছিলো আকাশ ব্যস্ত ছিলো অনিন্দিতায়। ঝিলমিল কে একরকম এড়িয়ে গেল। সেই সময়ে অনিন্দিতা আকাশের মায়ের কথাবার্তায় বুঝে গেল তারা আকাশকে দ্বিতীয় বার ভাবার কথা বলছেন। তারা পাত্রী দেখতে চান। অনিন্দিতা বলল,

“একটা পরামর্শ শুনবে?”

“বলো।”

“তুমি বাবা, মায়ের পছন্দে বিয়ে করে নাও। তারা যেটা বলেন সেটা কিন্তু ঠিক। সোশ্যাল স্ট্যাটাস বলেও একটা ব্যাপার আছে। তুমি যেমন ব্রিলিয়ান্ট, তোমার বিয়ে যদি তেমন নাহয় তাহলে দেখবে মন ছোট লাগবে। বন্ধুদের আড্ডায় যখন দেখবে বড়লোক শ্বশুর বাড়ির গল্প করছে তখন খারাপ লাগবে। এদিকে তোমার মা কষ্ট পাবেন যে তিনি একমাত্র ছেলের বউ পছন্দ মতো পেলেন না। ”

“সেটা সম্ভব না। পাড়ায় আমার মান সম্মান যাবে। ”

“কেন? ঝিলমিলের সঙ্গে সব হয়ে গেছে তোমার? ”

“না, না ও একটু রক্ষনশীল। এসব ব্যাপার চিন্তাও করতে পারে না বিয়ের আগে।”

“বাব্বাহ! এসব মেয়েরা বিয়ের পর আসল রুপ দেখায়। ঠিক আঁচলে বেঁধে ফেলবে। আমি তো এখনই তোমার ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। ”

“কী ভবিষ্যৎ? ”

“ঝিলমিল কে বিয়ে করলে আমাকে ছাড়তে হবে। ”

“ধুর। ঝিলমিল জানবে না কিছু। ”

“এখন যে তোমার প্রেমিকা, সে বিয়ের পর বউ হবে। সে সব বুঝে ফেলবে। তুমি যদি এরেঞ্জ ম্যারেজ করো তাহলে ভালো এজন্য যে সে তোমাকে বিয়ের পর জানবে। যতটুকু তাকে জানাবে ততটুকুই জানতে পারবে। কিন্তু ঝিলমিল এতো বছরে অনেক কিছুই আগে থেকে জেনে গেছে। তাকে ফাঁকি দেয়া সম্ভব না।”

আকাশ এই ব্যাপার টা মাথায় নিলো। অনিন্দিতা দেশে ফেরার পর পর ই আকাশ চৈতীকে দেখতে চাইলো। রাহেলাও সুন্দরভাবে সবকিছু পরিকল্পনা করে ফেললেন। তবে আকাশের দ্বিধা তখনও কাটে নি। চারপাশের এতো নেতিবাচক কথাবার্তায় মন ঘুরে গেল অনেকটা। কিন্তু ঝিলমিল কে সরাসরি জানালো না কিছু। শুধু এড়িয়ে যাচ্ছিলো কারণ ছাড়া। কল, মেসেজ কমিয়ে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে ঝিলমিলের সঙ্গে অহেতুক রাগ দেখানোও বাড়ছিল।

আকাশের জীবনের গোপন একটা অধ্যায় আছে। পড়াশোনায় ভালো, ভদ্র, অমায়িক, সুদর্শন আকাশের মুখের আড়ালে কুৎসিত মুখোশ টা ঝিলমিলের নজরে এসেছিল। সেটা আকাশের জন্য অকল্পনীয় ব্যাপার বটে। ও কখনো কল্পনাও করেনি অনিন্দিতার বাসার ড্রইং রুমে ওর মুখোমুখি ঝিলমিল এসে কখনো দাঁড়াবে আর ওর সত্যিটা জেনে যাবে৷ ঝিলমিল সেদিন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ও নিজে কিছু না বললেও অদৃশ্য থাপ্পড় দুই গালে অনুভব করেছিল।

চলবে…..