কুন্দ ফুলের মালা পর্ব-১৭

0
15

#কুন্দ_ফুলের_মালা
#পর্ব-১৭
আকাশ ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করেছে। চৈতীর সঙ্গে এখন সম্পর্ক ভালোর দিকে হলেও আকাশ সব ঘটনায় ভালোই বিরক্ত। চৈতীর আবার ইদানীং মাখামাখি রকমের প্রেম দেখা যাচ্ছে ওর জন্য। ঘরে যতক্ষন থাকে, গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে। প্রতি সপ্তাহে ঘুরতে বেরোতে হয়। থাইল্যান্ডে দশ দিন হানিমুন সেড়ে আসলেও আকাশের চৈতীকে খুব বিরক্ত লাগে। কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো খুব ইরিটেটিংও। যেকোনো একটা টপিক পেলে সেটা চুইংগামের মতো টেনে লম্বা করে। সরি বলে যে ঝগড়া দশ মিনিটে শেষ করা যায় সেটা দশ ঘন্টায় নিয়ে যায়। আজকাল চৈতীর আবার নতুন নতুন রেসিপি করার শখ হয়েছে। আকাশ এতে অবশ্য খুশি, কাজে ব্যস্ত থাকলে ঝগড়া, ঝামেলা কম হবে।

এদিকে রাহেলা চৈতীকে এক্সট্রা খাতির করেন না, স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। চৈতীর তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না, শ্বশুর, শাশুড়ী, ননদ কে নিয়ে ওর মাথাব্যথা নেই তেমন। ওর মাথা ব্যথা শুরু হয় আকাশ কে নিয়ে। শাশুড়ীর প্রায় কাজেই আজকাল দোষ ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত। দুদিন আগে আকাশ দুপুরে বাসায় ছিলো। রাহেলা পাটায় বেটে কয়েক রকম ঝাল ঝাল ভর্তা করলেন আকাশের জন্য স্পেশাল ভাবে। আকাশ ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করে। চৈতী খাবার টেবিলে ভর্তা দেখেই বলল,

“এগুলো কে খাবে? ভর্তা আমি খাই না।”

রাহেলা রুক্ষ স্বরে বললেন,

“তোমার জন্য করিনি। মাংস আছে আলু দিয়ে রান্না করা, তুমি সেটা খেও। ”

মাংস টা আগের রাতের রান্না। চৈতী মুখ ভার হলো। বলল,

“এতো ঝাল খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে৷ আকাশের তো শুনলাম গ্যাসের প্রবলেম হচ্ছে। ”

“ওর চিনি জাতীয় খাবারে সমস্যা। পুডিং, পায়েশ এগুলো সয় না পেটে।”

আকাশ কে দেখা গেল ভর্তা দেখে চেহারা বেশ উজ্জ্বল হলো। খুব আরাম করে খেল দুপুরের খাবার। চৈতীর বিষয় টা পছন্দ হলো না।

রাতে আবার রাহেলা চালের আটার রুটি করলেন সঙ্গে হাঁসের মাংস। মাংসে তেল ভাসছে দেখে চৈতী আবারও বলল,

“এতো তেল খেলে পার্মানেন্ট ঠিকানা হসপিটাল হবে। ”

“মাংসে একটু তেল না হলে খাওয়া যায়। একেক জায়গার রান্না তো একেক রকম ই হবে। তোমাদের এলাকায় সব খাবারে নারকেল খায়, আমরা তো সেটা খেতে পারি না। ”

রাহেলার ঠেস দেয়া কথা চৈতীর পছন্দ হলো না। ও রাতে কিছু খেল না। আকাশ জিজ্ঞেস করলো,

“রাতে খেলে না যে?”

চৈতী ঝাঁঝের সুরে বলল,

“তোমার জন্য রান্না করছে তুমি পেট ভরে খাও। আমার চিন্তা করতে হবে না। ”

আকাশ কথা বাড়ালো না। কথা বাড়ালে ঝগড়ায় রুপ নিবে।

এভাবেই চলছিল ওদের দাম্পত্য জীবন। চৈতী রাহেলাকে যেটুকু বা সহ্য করতে পারে ইশিকাকে মোটেও দেখতে পারে না। দুজনে একসঙ্গে দুটো কথা বলতে গেলে চৈতীর কথায় সূক্ষ্ম অপমানবোধ থাকে। নিজেকে বড় করে দেখানোর ব্যাপার টাও প্রবল।

ভাইয়ের বউ নিয়ে ইশিকার শখের শেষ ছিলো না। একই রকম জামা কিনবে, সাজবে, বেড়াতে যাবে সব প্ল্যান এখন দু:স্বপ্ন। ইশিকা মা’কে দু:খ করে মনের কথা জানিয়েছিল। রাহেলা মেয়ের দু:খের কথা আকাশকে জানাতে গেলে ও বলল,

“আম্মু ইশিকাকে বলো চৈতীর থেকে দূরে থাকতে। ইশিকা খুব ঝামেলা করছে আমার লাইফে। ওর কারণে ঝিলমিলের ব্যাপার টা চৈতীর কানে এসেছে। ”

রাহেলা ছেলের কথায় বিরক্ত হলেন। বললেন,

“একি কথা? একটা বোন তোমার। এমন ভাবে বলছ কেন? ”

“বলছি কারণ আমি একটু শান্তি চাই। এখনো অবধি যা কিছু ঘটেছে তাতে মানসিক ভাবে আমি খুব বিপর্যস্ত। ”

রাহেলা কেঁদে ফেললেন। যে ছেলে আম্মুর সঙ্গে চোখ তুলে কথা বলতে ভয় পেত, সংকোচ করতো সে এখন প্রতিনিয়ত খারাপ আচরণ করছে।

এদিকে চৈতী ইনিয়ে বিনিয়ে আলাদা হবার কথা বলছে। মফস্বলে থাকা স্বত্তেও মিঠাপুকুর লেনের পরিবেশ ওর ভালো লাগছে না। একটা সুন্দর ফ্ল্যাটে সংসার সাজানোর ইচ্ছা প্রকাশ করছে। আকাশ বুঝতে পেরেও চুপচাপ থাকছে। ফ্ল্যাটে যেতে চায় না ও। ফ্ল্যাটে গেলে ওর স্বাধীনতা পুরোপুরি নষ্ট হবে। এখন তাও মিথ্যে বলে, কাজের অজুহাতে এদিক সেদিক যেতে পারে। কিন্তু তখন ওর জীবনের রিমোট টা চৈতী নিজ হাতে নিয়ে কন্ট্রোল করতে থাকবে।

***
ঝিলমিলের পরীক্ষা শেষ হলো। আজ ওদের বাসায় এসেছে। মা অনেক দিন ধরে মেয়ে, জামাইকে একবেলা খাওয়ানোর জন্য অস্থির হচ্ছেন। ঝিলমিল তাই আগেই চলে এলো। রিহানও সেমিস্টার ফাইনাল দিয়ে বাসায় এসেছে তাই ও রাতে এখানে খাবে। ঝিলমিল জাহানারাকে বলেছিল আসতে। তিনি ওর সঙ্গে আসেন নি, রাতে আসবে একবারে।

আসমা রান্নার ফাঁকে ফাঁকে মেয়ের সাথে গল্প করছিলেন।

“তোর শাশুড়ী তো তোকে ভালোবাসে দেখলাম। ”

ঝিলমিল আচার খেতে খেতে জবাব দিলো,

“হ্যাঁ। উনি ভালোই। দেখতেই রাগী লাগে। ”

“হৃদয়ও অনেক ভালো। ”

ঝিলমিল জবাব দিলো না। আসমা মেয়ের দিকে তাকালেন। চোখ, মুখে লেগে থাকা হাসিটা তাকে নিশ্চিন্ত করে। মেয়ে মুখে কিছু না বললেও বোঝা যায়, মায়েরা এই ব্যাপার সহজে বুঝতে পারেন। ঝিলমিল জিজ্ঞেস করলো,

“তোমরা আর বাসা পাল্টাবে না?”

“না। ”

“কেন?”

আসমা জবাব দিলেন না। ঝিলমিলের বাবা জানিয়েছেন এখানেই থাকবে। এখনো যে লোকে ঝিলমিলের ব্যাপারে ভালো কিছু বলছে এমন না। কেউ কেউ সুযোগ পেলেই বলে ফেলে যে হৃদয়ের সঙ্গে গোপনে ঝিলমিলের সম্পর্ক ছিলো বলেই আকাশ বিয়ে করে নি। ওই বাড়ির লোকজন পাড়ায় ডাক ঢোল না পিটালেও অনেক কে বলেছেন। বলুক সেটা, মেয়ের বিয়ে হয়েছে ভালো আছে বাদবাকি আর কোনো কিছুই টেনশনের কারণ নয়।

জাহানারা, রিহান আর মোল্লা সাহেব সন্ধেবেলায় এলেন। বাসায় উৎসবমুখর পরিবেশ। টুটুল বুয়েটে চান্স পেয়ে গেছে সেই খবরও পাওয়া গেল আজ। সবার খুশি বাড়তি হলো। জাহানারা ঝিলমিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। একতলার সাথীরা বাসা ছেড়ে দিছে। বদমায়েশ মহিলাকে আগে অনেকবার নোটিশ দিয়েও কাজ হয় নি, ঠিকই স্বামী এসে মোল্লা সাহেব কে ভুজুংভাজুং বুঝিয়ে ম্যানেজ করে ফেলতেন। লিটনের ঘটনার পর মেয়ে নিয়ে পাড়া ছাড়া হচ্ছেন। আসমা ঝিলমিল কে বললেন,

“হৃদয় তো ঠিকই বলে, তুমি ঝগড়া করে ওনার আরও প্রিয় হয়েছিস। ”

সেদিনের ঝগড়া নিয়ে হৃদয় ও’কে এখনো ক্ষ্যাপায়। শাশুড়ীর কাছ থেকে একটা শাড়ি পেল উপলক্ষ্য ছাড়াই। হৃদয় সেটা দেখে বলল, ঝগড়া করে জিতেছ। রেখে দাও নাতি নাতনিকে দেখাতে পারবে।

***
বিকেলে আকাশ বেরিয়েছে, আনাসের দোকানের কাছে আসতেই ঝিলমিল কে দেখলো। এই কয় মাসে এই প্রথম দেখলো। হৃদয় রা মিঠাপুকুর লেনের অন্যদিকে থাকে বলে সচরাচর দেখা হয় না, শুধু মেইন রোডের দিকেই দেখা হওয়া সম্ভব। ঝিলমিল দাঁড়িয়ে ছিলো, হৃদয় ক্লাবঘরের ওইদিক থেকে বাইক নিয়ে এলো। ঝিলমিল বাইকে উঠে বসলো, বাইক চলে গেল মেইন রোডের দিকে। ব্যাস এইটুকুই দেখা, আকাশ তাকাতে পারছিল না ভালো করে। আনাস ভাইয়ের দোকানে এই সময় ভীড় নেই, সন্ধ্যের আগে মানুষজন ব্যস্ত থাকে। আকাশ এক কাপ চা অর্ডার করলো। ওর যাবার কথা একতা হাউজিং এর দিকে। অনিন্দিতাও এখন ওর মানসিক অশান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই অনিন্দিতার ফ্ল্যাটে দিনের পর দিন ছুটে গেছে মানসিক শান্তি খুঁজতে। বেশ অনেক দিন পর গিয়েছিল একদিন অনিন্দিতার ফ্ল্যাটে। অনিন্দিতা অস্থির করে তুলেছিল, তাই সেদিন সুযোগ পেয়ে যাওয়া। সেখানে সেদিন একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলো। সন্ধ্যের আগে অপূর্ব’র ফেরার কথা না থাকলেও সেদিন ফিরে এলো এবং আকাশকে দেখে সিনক্রিয়েট শুরু করলো। অনিন্দিতা শান্ত গলায় বলেছিল,

“বাবু স্যার তো তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে। ”

অপূর্ব বিশ্বাস করে নি। আকাশের দিকে ছুড়ে মেরেছে পানির গ্লাস। আকাশ সরে যাওয়ায় রক্ষা পেয়েছিল। হঠাৎ বাচ্চা ছেলেটা আকাশের উদ্দেশ্যে বলল,

“এই শু*য়ারের বাচ্চাকে যেতে বলো নাহলে আমি আমার হাত কেটে ফেলব।”

আকাশ একই সঙ্গে লজ্জিত ও স্তম্ভিত হলো। কু*ত্তার বাচ্চা, শু*য়ারের বাচ্চা গালিগুলো এই বয়সে একের পর এক হজম করতে হচ্ছে! আকাশ সেদিন বেরিয়ে তো আসলোই পাঁচ দিনে অনিন্দিতার কল, টেক্সট এর জবাব দিলো না। বাচ্চা একটা ছেলে যাকে ও বড় হতে দেখেছে তার মুখে এই ধরনের গালি রীতিমতো ট্রমাটাইজ করে ফেলল৷ অনিন্দিতার চাপ্টার টা ওর লাইফে গোপন যেমন তেমন অবৈধ বটে। এই অধ্যায় টা লোক জানাজানি হলে জীবনে যা ঘটবে সেটা সুখকর হবার চান্স তো নেই উল্টো মান, সম্মান সব যাবে। এই প্রথম আকাশ ভয় পেল। অপূর্ব ও’কে পছন্দ যে করতো না একটা সময়ের পর সেটা ও বুঝতে পেরেছিল তবে এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হবে ভাবে নি। প্রায় মাস খানিক পর অনিন্দিতার কান্নাকাটি ওর মন নরম করেছে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজ যাবে। চৈতীর সঙ্গে খুটখাট লেগেই থাকে, এদিকে অনিন্দিতার কাছেও শান্তি নেই। ভালো চাকরি, ভালো অপরচুনিটি সব কিছু থাকা স্বত্তেও মানসিক শান্তি ওর জীবনে এক ফোঁটা নেই।

আকাশের চোখে ভাসছে একটু আগের দৃশ্যটা। নিজের মন কে যা কিছু ভেবে বুঝ দিক, ও ঝিলমিল কে জানে। শান্ত স্বভাবের ঝিলমিলের পক্ষে এক সঙ্গে দুজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা অসম্ভব। তবুও ওরা বিয়ে করে ভালো আছে ভাবতেই কেমন খটকা লাগে! আরও দু:খ হয় হৃদয়ের জিতে যাওয়া দেখে। ঝিলমিল কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ছুড়ে ফেললেও হৃদয়ের জিতে যাওয়ায় এখন খুব দামী মনে হচ্ছে। ঝিলমিলের সঙ্গে ওর গভীর কিছু ছিলো না, হৃদয় তো সেটা এখন জানতে পেরেছে। মুখে না বললেও আকাশ কল্পনায় দেখে হৃদয় ও’কে হাসতে হাসতে বলছে এতো দামী কিছু তোর হতে পারে না। তোর আসল জায়গা বে*শ্যার কাছে।

আকাশ একটা ব্যাপার ভুল জানতো। বড় হবার সুবিধা হিসেবে ইমোশন কন্ট্রোল করার ক্ষমতা থাকে। সেটা ভুল। ঝিলমিলের কথা ওর প্রায় ই মনে পড়ে। ওদের প্রেমের শুরু, ঝিলমিলের চোখের সেই মুগ্ধতা। সেই সঙ্গে চট করে মনে পড়ে যায় অনিন্দিতার বাসায় ঝিলমিলের হতবিহ্বল মুখ।

ঝিলমিল ওর দূর্বলতা জেনেও কখনো মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন না করে এক ধরনের করুনা করেছে। যদিও অনিন্দিতার কথা সত্যি যে ঝিলমিল কিছু প্রমাণ করতে পারতো না। হৃদয়ের কাছেও যদি প্রমাণ থাকতো তবে ও শুধু থ্রেটেই থেমে থাকতো না। তবুও এটা তো সত্যি যে ওরা আসলে আকাশকে করুনা করেছে।

আনাস ভাই চায়ের কাপ দেবার সময় বলল,

“এতো কী ভাবেন ভাই?”

“কই কিছু না।”

“চারবার ডাকলাম, শুনেন নাই!”

আকাশ চায়ের কাপ হাতে নিলো। ঠিক তখনই ও’কে চমকে দিয়ে আনাস ভাই বলল,

“কই যাবেন? বড় মাঠের ওইদিকে? ”

প্রশ্নটা এমন ভাবে এসে বিধলো যে আকাশ হতবিহ্বল হয়ে গেল। চায়ের কাপ টা ছুড়ে ফেলে বেরিয়ে গেল বিল না দিয়ে।

আকাশ সারাপথে একটা কথাই ভাবছে। আনাস ভাই যদি জানে তাহলে তো আরও অনেকে জানে। হৃদয় তার দলবল সব! ঝিলমিলও তো কাউকে না কাউকে বলেছে।

না ও এই পাড়ায় আর থাকবে না। চৈতীর কথা মেনে নিয়ে দূরে যাবে। এতো দিন নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থেকে ভুল করেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার অনিন্দিতার কথা শুনে ও ভুল করলো।

***
অনিন্দিতার পরনে গোলাপি রঙের নাইটি। পোশাক টা এতো পাতলা যে অন্ত:র্বাসের রঙটা স্পষ্ট বোঝা যায়। আকাশ স্থির চোখে তাকিয়ে আছে। বোধহয় আজ ই একতা হাউজিং এ ওর শেষ আসা। ওর জীবনের সমস্ত মানসিক অশান্তির কারণ এই মহিলা। সেদিন রাহুল ও’কে ধরিয়ে দিয়ে নিজে নিস্তার পেয়েছিল বোধহয়। এক্ষুনি কথাটা মাথায় এলো। অনিন্দিতা আসলে একটা গভীর চোরাবালি। যেখানে ও আটকে গেছে, কিন্তু পথ খুঁজে বেরোতে হবে।

আকাশের অপলক তাকিয়ে থাকাকে অনিন্দিতা অন্যকিছু ভেবে লাজুক স্বরে প্রশ্ন করলো,

“কেমন লাগছে আমাকে? ”

আকাশের মন মস্তিষ্কে অসংখ্য কথা কিলবিল করছে। ও নিজের মধ্যে নেই। অন্য জগতে হারিয়ে গেছে। অনিন্দিতা দ্বিতীয় বার একই প্রশ্ন করলে ও খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল,

“পা*ক্কা বে*শ্যার মতো। ”

আকাশ নিজেও জানেনা ও কী বলেছে। অনিন্দিতা হতভম্ব ও স্তব্ধ হয়ে গেল।

চলবে….