গোধুলির শেষ বিকেলে তুমি আমি পর্ব-১১

0
222

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব১১
#Raiha_Zubair_Ripti

পুরো রাত টা রুয়াত,শাফায়াত, সাদমান হসপিটালে কাটিয়ে দিয়েছে। ভোরের আলো ফুটতেই রজনী চোখ পিটি পিটি করে তাকায়। নিজের রুম ছেড়ে অচেনা রুমের দেওয়াল দেখে ডানে বামে তাকায়। সে হসপিটালে! মুখের অক্সিজেন মাক্স ডান হাত দিয়ে খুলে লম্বা শ্বাস টেনে পায়ের দিকটায় তাকাতেই দেখে রুয়াত তার পায়ের কাছে বেডে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। রাত টা তাহলে তার পাশেই ছিলো মেয়েটা। রজনী দরজার পানে তাকালো যদি পরিবারের কারো দেখা মেলে সেজন্য। কিন্তু নাহ্ দরজা চাপানো। স্বচ্ছ কাঁচের দরজা দিয়ে কারো ছায়া টাও অব্দি দেখা যাচ্ছে না। রজনীর তেষ্টা পেলো। বেডের পাশে পানির জগ খালি দেখে আস্তে করে রুয়াত কে ডাকে-
-“ রুয়াত।
রুয়াত নড়েচড়ে উঠে। রজনী আবার ডাকতেই রুয়াত চোখ মেলে তাকায়। বোনের জ্ঞান ফিরেছে! রুয়াত চোখ কচলে নিলো। নাহ্ সত্যি বোনের জ্ঞান ফিরেছে। রজনীর দিকে এগিয়ে এসে বলে-
-“ কিছু লাগবে আপা? এনে দিব কিছু?
রজনী উপর নিচ মাথা ঝাকায়।
-“ একটু পানি এনে দিবি? বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।
রুয়াত সাইডে থাকা জগ টা খালি দেখে জগ টা নিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসলো। চোখ আঁটকে গেলো কেবিন থেকে কিছুটা দূরে বেঞ্চে সাদমান কে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে। রুয়াত ডেকে উঠলো সাদমান কে।
-“ ভাইয়া শুনছেন।
সাদমান চোখ মেলে তাকালো। রুয়াত কে সামনে দেখে বিচলিত কন্ঠে বলল-
-“ মিস সিনিয়র ঠিক আছে রুয়াত?
রুয়াত ইশারায় আস্বস্ত করে। সাদমানের বিচলিত মন শান্ত হয়।
-“ জ্ঞান ফিরেছে আপুর। আপনি গিয়ে একটু বসবেন? আমি পানি আনতে যাব। আপুর পানি তেষ্টা পেয়েছে।
সাদমান ডানে মাথা নাড়ালো।
-“ আচ্ছা যাও। আমি মিস সিনিয়রের কাছে আছি।

রুয়াত চলে গেলো। সাদমান এলোমেলো পায়ে রজনীর কেবিনের দিকে হাঁটা লাগালো। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখ গেলো বেডে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকার রজনীর উপর। সবাইকে নাস্তানাবুদ করে মেয়েটা কি শান্তিতে চোখ বন্ধ করে আছে। সাদমান দরজা টা হাল্কা চাপিয়ে দিয়ে রজনীর বেডের পাশে রাখা টুলে বসলো। কিয়ৎ ক্ষন বসে থেকেও রজনী কে চোখ মেলতে না দেখে সাদমান আকুতি ভরা কন্ঠে বলে উঠল-
-“ চোখ মেলে তাকাবেন একটু মিস সিনিয়র?
হঠাৎ পুরুষালি কন্ঠ শুনে চোখ মেলে তাকালো রজনী। সাদমান বসে আছে। পলকহীন দৃষ্টি তার দিকেই নিবন্ধ। সে টেরই পায় নি সাদমান কেবিনে এসেছে।
সাদমানের বক্ষপটে মধ্য রাত থেকে বইতে থাকা অশান্ত ঝড় মুহূর্তে শান্ত হয়ে গেলো। সাদমান মুখে হাসি ফুটালো। এই হাসিতে নেই কোনো প্রাণ।

-“ ভীষণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন রাতে মিস সিনিয়র, আমাদের সবাই কে। এমন টা কেউ করে?
প্রতিত্তোরে রজনী হাসলো। এখন শরীর মন অসুস্থ না থাকলে শব্দ করে হাসতো।
-“ ভয় কেনো পাবেন আপনি? মৃ’ত্যু টা নিশ্চিত হয়ে গেলে দুনিয়া থেকে কমে যেতো এক পাপিষ্ঠর হায়াত।
সাদমন রেগে উঠলো। মেয়েটা নিজেকে পাপিষ্ঠ কেনো বলছে? সে কি পাপ করেছে যে নিজেকে পাপিষ্ঠ বলবে। সাদমান গলায় কাঠিন্য ভাব এনে বলল-
-“ নিজেকে পাপিষ্ঠ কেনো ভাবছে? খুব কি আহামরি বড় পাপ করে ফেলেছেন?
-” হুমম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাপ কাজ টা আমি করেছি আমার বাবা মা কে কষ্ট দিয়ে। বাবা মা কে কষ্ট দেওয়া ব্যাক্তি পৃথিবীর সব চেয়ে জঘন্য পাপি। বুঝলেন?
-“ যে পাপ করার পর অনুতপ্ত হয় সে কি করে পাপি থাকে মিস সিনিয়র? ভালোবাসা তো ভুল নয় মিস সিনিয়র। ভুল টা হচ্ছে ভুল মানুষ কে ভালোবাসা। আপনি ভুল মানুষ কে ভালোবেসে ঠকে গেছেন।
রজনী হাসলো। অমায়িক সেই হাসি।
-“ সব জানা শেষ তাহলে?
-“ পুরোপুরি জানার সুযোগ হয় নি এখনও।
-“ বেশি জানতে আসবেন না সাদমান। তাহলে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন আগ্নেয়গিরি লাভার তাপে।
-“ এখনই ভয় দেখাচ্ছেন?
-“ না সতর্কতা করলাম। কারণ এই পৃথিবীতে ভালোবাসা এক আপদমস্তক ভন্ডামি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
-“ সবার ভালোবাসা এক পাল্লায় মাপা টা কি ঠিক মিস সিনিয়র?
-“ জানি ঠিক না। কিন্তু না মেপেও পারলাম না। ভালোবাসা হচ্ছে একটা লটারি যা সবার ভাগ্যে থাকে না। এই লটারির বিজয়ী হতে হলে ভাগ্য লাগে। যা খুব কম মানুষেরই হয়ে থাকে। এই ভালোবাসা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে কি জেনেছিলেন জানেন?
-“ কি?
-“ পৃথিবীর ৮০% মানুষই ভুল মানুষ কে ভালেবেসে ঠকে যায়। যাদের পাবে না ঘটনাক্রমে তাদেরই ভালোবেসে ফেলে। কি অদ্ভুত বিষয় টা তাই না? ভাগ্যে যদি নাই থাকে তাহলে অনুভূতি গুলো কেনো তাদের ঘিরেই জন্মায়?
-“ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ টা একটু বেশিই থাকে। পাবে না জানে তবুও বোকার মতোই তারা কেনো তাদের ভালোবেসে কষ্ট পেতে যায়?
-“ আর যারা পেয়েও হারিয়ে ফেলে তাদের কে নিয়ে কি বলবেন? এ পৃথিবীতে না পাওয়ার চেয়ে পেয়ে হারানোর ব্যাথাটা তীব্র।
-“ আপনি বেশ গুছিয়ে কথা বলতে জানেন।
-“ বয়স তো কম হলো না আমার।
-“ খুব বেশি ডিফারেন্ট না আপনার আর আমার বয়সের।

রুয়াত পানির জগ নিয়ে কেবিনে প্রবেশ করলো। রজনী প্রতিত্তোরে কিছু বললো না। রুয়াত গ্লাসে পানি ঢেলে বোন কে খাইয়ে দিলো। ফুপি কে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে রুয়াত যে রজনীর জ্ঞান ফিরেছে। রুয়াতের মা জ্ঞান হারানোর ঘন্টা খানেক পরেই জ্ঞান ফিরেছে। কি আশ্চর্য এক পরিবার তার রোগব্যাধি দিয়ে ভরা। রুয়াতের নজরে আসলো সে শাফায়াত কে দেখছে না। সাদমানের দিকে তাকিয়ে নিচু গলায় বলল-
-“ ভাইয়া স্যার কোথায়?
-“ ব্রো তোমার বাবার সাথে।
বাবা কথা তুলতেই রুয়াত জানতে চায়-
-“ বাবা কোথায়?
-“ হসপিটালের নিচে চায়ের দোকানে। লোকটা কেমন ভেঙে গেছে রুয়াত। কাল ওভাবে কথাটা বলা ঠিক হয় নি তোমার।
রজনী চট করে বলে উঠল-
-“ তুই কি বলছিস আব্বু কে?
-“ তেমন কিছু না। সাদমান ভাইয়া আপনি একটু উনাকে ফোন দিয়ে বলবেন সকালের খাবার টা হোটেল থেকে নিয়ে আসতে।
-“ এটা নিয়ে টেনশন করো না। আমি ব্রো কে বলে দিয়েছি।

শাফায়াত হাতে খাবার নিয়ে কেবিনে ঢুকে। রুয়াতের হাতে দিয়ে বাহিরে এসে বেঞ্চে বসে কবির শিকদার এর পাশে। ডক্টর উমর রজনীর জ্ঞান ফেরার কথা শুনে রজনী কে দেখতে চলে আসে। রুয়াত রজনী কে খাইয়ে দিচ্ছে। উমর কে দেখে রজনী স্মিত হাসে৷ এই হাসিটা উমরের গা জ্বালিয়ে দিলো। এমন একটা কাণ্ড ঘটানোর পর হাসি আসে কি করে এই মেয়ের? রাগী গলায়ই বলে উঠল-
-“ এতো বড় কাণ্ড ঘটানোর পর আবার হাসছেন!
-“ তাহলে কি কাঁদবো?ওকে নেক্সট নেক্সট কাঁদবো।
-“ তারমানে আবার এমন কিছু হতে পারে তারই ঈঙ্গিত দিলেন?
রজনী খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। সাদমান তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে উমরের দিকে। এতো কথা কিসের রজনীর সাথে? দেখতে এসেছে চুপচাপ দেখে চলে যাবে। মিস সিনিয়র হাসবে নাকি কাঁদবে সেটাও সে ঠিক করে দিবে?

শাফায়াত কবির শিকদার এর দিকে তাকালেন। মানুষটা যতই নিজেকে শক্ত দেখাক না কেনো সে যে ভেতর থেকে একদম ভেঙে গেছে তা গভীর ভাবে তাকিয়ে থাকলেই বুঝা যাবে। ডক্টর উমর যাওয়ার সময় বলে গেছে দুপুরে নিয়ে যেতে পারবে রজনী কে বাসায়। কবির শিকদার এখনও রজনী কে দেখতে যায় নি। শাফায়াত কেবিনে যাওয়ার কথা বললে সে নীরব থাকে। শাফায়াত ও জোর করে না।

———————

দুপুরে সূর্যের তেজস্বী টা ঠিক মাথার উপরে। হসপিটাল থেকে বের হতেই বোঝা গেলো গরম কাকে বলে। এক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই শরীর পুড়ে উঠবে। এমন কাঠফাটা রোদে রজনী কে নিয়ে বাড়ি ফিরলো রুয়াত রা। রুয়াতের মা ড্রয়িং রুমে বসে অপেক্ষা করছিলো রজনীর। মেয়েকে দেখেই ছুটে আসলো। শূন্য বুকটা এখন পূর্ণ হলো।

কবির শিকদার সোজা নিজের রুমে চলে গেছে। রুয়াত শাফায়াত কে নিয়ে নিজের রুমে আসলো। কাল থেকে অনেক খাটাখাটুনি করেছে লোকটা। রুয়াত আলমারি থেকে ড্রেস বের করে শাফায়াত এর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল-
-“ ফ্রেশ হয়ে আসুন। ভালে লাগবে। আমি খাবার টা রুমে নিয়ে আসছি।
শাফায়াত ওয়াশরুমে চলে গেলো। রুয়াত নিচে এসে খাবার নিয়ে গেলো প্লেটে করে। রুয়াতের ফুপি সাদমানের খাবার সাজিয়েছে টেবিলে। সাদমান ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলো।

রুয়াত শাফায়াতের অপেক্ষায় বসে আছে। লোকটা বের হলে সে ওয়াশরুমে ঢুকবে। শাফায়াত বের হতেই রুয়াত খাবার টা খেতে বলে ওয়াশরুমে চলে যায়। শাফায়াত ভেজা টাওয়াল টা বেলকনি তে মেলে খাবার খেতে শুরু করে।
রুয়াত ঝটপট করে গোসল সেরে বের হয়। শাফায়াতের এখনও খাওয়া শেষ হয় নি। মুখে খাবার নিয়ে মাথা উঁচু করে তাকাতেই চোখ স্থীর হয়ে যায়। পড়নে গেলাপি রঙের সেলোয়ার-কামিজ, মাথার ভেজা চুল,চুলের পানিতে জামা খানিক টা ভিজে লেপ্টে আছে শরীরে। গায়ে ওড়না টা না থাকায় বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। রুয়াতের শাফায়াত এর দিকে খেয়াল নেই সে টাওয়াল টা বেলকনি তে মেলে দিয়ে সোফা থেকে ওড়না নিয়ে শাফায়াত এর দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ আজ ও বাড়ি যাবেন?
শাফায়াত হুঁশে ফিরলো। মুখ আবার গম্ভীরতায় ছেয়ে গেলো।
-“ আমাকে ফিরতে হবে। আপনি বরং থাকুন। আমি কাল এসে নিয়ে যাব।
রুয়াত ঘুরে তাকালো।
-“ আজ তাহলে যাওয়ার কি দরকার৷ কাল ই না হয় যাওয়া যাবে একসাথে।
-“ আমার ভার্সিটিতে ক্লাস আছে।
-“ আমার ও আছে। কাল এখান থেকে দুজনে এক সাথে ভার্সিটি গিয়ে ক্লাস করে বাসায় চলে যাব।
শাফায়াত কিছু বললো না।

রাতের ডিনার শেষে রুয়াত এসেছে বোনের রুমে। বোন কে খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে তারপর ঘুমাতে যাবে। শাফায়াত রুয়াতের রুমে আছে। সাদমান এসেছে রুয়াতের সাথে। রজনী কে আরেকবার দেখে চলে যাবে ঘুমাতে।
রুয়াত রজনী কে খাবার টা খাইয়ে ঔষধের পাতা থেকে ঔষধ টা বের করে মুখের সামনে ধরতেই রজনীর মনটা বিষিয়ে গেলো।

ইদানীং মাঝেমধ্যে নিজের জন্য বড্ড মায়া হয় রজনীর। সুন্দর ফুলের মতো জীবনটা কে নিয়ে তার কত অযত্ন। অনায়াসে নিজের হাতে নষ্ট করে ফেলছে জীবনটাকে। যতটা ভালো থাকার কথা ছিল এই বয়সটাতে, ঠিক যেন তার থেকেও খারাপ থাকার পথে সে। যে চোখে স্বপ্ন দেখার কথা, সেই চোখ দিয়ে ক্রমাগত চোখের জল ফেলছে রাত-বিরেতে । যেই ঠোঁটে হাসি লেগে থাকার কথা, সেই ঠোঁটে রাজ্যের সব বিষন্নতার দখল৷ কি ছোট্ট এক ঔষধ তারমধ্যেই কি না রয়েছে স্বস্তি! আচ্ছা একটানা কয়েক দিন এই ঔষধ না খেলে মৃত্যু টা অনিবার্য তাই না?
রুয়াত রজনী কে ঔষধের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলে-
-“ ঔষধ টা খাও আপা।
রজনী ঔষধ টা খেয়ে নিলো। রুয়াত চলে গেলো রুম থেকে। সাদমান কে এখনও যেতে না দেখে রজনী বলে উঠে-
-“ এ রুমে থাকার প্ল্যান এঁটেছেন নাকি?
সাদমান মুচকি হাসলো।
-“ খুব কি মন্দ হবে এমন প্ল্যান মনে আঁটলে?
-“ জেনেশুনে আগুনে ঝাপ কেনো দিবেন? ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন।
-“ ইংরেজিতে একটা কথা আছে জানেন তো ‘You only live once’। ল্যাটিনে আছে ‘Carpe Diem’ অর্থাৎ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে এখনকার মুহুর্ত ভালো করে বেঁচে থাকো। হিন্দি দুইটা মুভির নাম আছে ‘কাল হো না হো’ আর ‘জিন্দেগী না মিলেগি দোবারা’। জেমসের গান আছে ‘হতেও পারে এই দেখা শেষ দেখা, হতেও পারে এই গানই শেষ গান’। সবগুলা একই বার্তা দেয় কালকে কী হবে কেউ জানে না, ভবিষ্যতে কী আসবে কেউ বলতে পারবে না। তাহলে শুধু শুধু কেনো ভবিষ্যৎ কে নিয়ে ভাবতে যাব? সেটা ক্রমানুসারে একাই আসবে। তাই বলে কি আমি বর্তমান টা কে ভবিষ্যতের উপর ছেড়ে দিব? নো ওয়ে আমার বর্তমান টাকে আমি নিজ হাতে সাজিয়ে তুলবো।

রজনী কাঁথা টা টেনে নিলো। ভালোমতো শুয়ে বলল-
-“ বাহ্ খুব বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটাঘাটি করেন নাকি? অন্যের লেখা কে কপি করে চালিয়ে দিলেন?
-“ কপি! এই ধরুন আই লাভ ইউ
কথা টা শুনে ত্বরিত গতিতে সাদমানের দিকে দৃষ্টি পাত করলো রজনী। সাদমান রজনীর চাহনি দেখে বলল- “ রিলাক্স পুরো কথাটা শুনুন। আই লাভ ইউ এই শব্দ টা নিশ্চয়ই একজন মানুষ সৃষ্টি করেছে। তার ই সৃষ্টি করা শব্দ টা কি সে একাই ইউজ করেছে? তার সৃষ্টি করা এই শব্দ টা তো পৃথিবীর সকল মানুষ ইউজ করছে তাই বলে কি সবাই কপি করছে? বানায়, লিখে একজন কিন্তু সেই লিখাটা, শব্দ টার ব্যাবহারকারী হয় বিশ্বের সকল মানুষ৷
-“ আচ্ছা মেনে নিলাম। ঔষধের প্রভাবে ঘুম পাচ্ছে। যাওয়ার সময় লাইট টা বন্ধ করে দরজা টা চাপিয়ে দিয়ে যাইয়েন।
সাদমান উঠে দাঁড়ালো। লাইট বন্ধ করে দরজা চাপিয়ে দেওয়ার আগে রজনী কে বলে উঠল-
-“ শুভ রাত্রি মিস সিনিয়র।
রজনী তাকালো কি তাকালো না সেটা বুঝতে পারলো না সাদমান। দরজাটা চাপিয়ে চলে গেলো।

#চলবে?