গোধূলির শেষ প্রণয় পর্ব-৩৩+৩৪

0
8

#গোধূলির_শেষ_প্রণয়
#লেখনিতে_ছনিয়া_তাবাচ্ছুম_অনি
#পর্ব_৩৩

উত্তপ্ত দুপুর। তাঁর ভিতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক। বিষন্ন মনে হেঁটে চলেছে। কোনো দিকে তার খেয়াল নেই। নিজের মতো হেঁটে চলছে তো চলছেই। দুই দিন যাবত প্রেয়সীর সাথে কথা হয় না তার। সেজন্য মন টা ব্যাকুল হয়ে আছে তার জন্য। একবার কথা বলার জন্য ছটফট করছে।

দেখতে দেখতে সময় পার হয়ে যাচ্ছে। দিন পেরিয়ে রাত, রাত পেরিয়ে দিন। এভাবেই সপ্তাহ পেড়িয়ে মাস মাস পেড়িয়ে বছর। এভাবেই চলছে মানুষের জীবন। দেখতে দেখতে দুই দুইটা মাস কেটে গেছে। তাদের রিলেশনের তিনমাস চলছে। বাট দুদিন আগে থেকে প্রেয়সীর সাথে কথা হয় না যুবকের। মনটা বড্ড খারাপ। সেজন্য কাঠফাটা রোদেও তাঁর কিছু হচ্ছে না। হেঁটে যাবার পথে ফোনের শব্দে ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসে যুবকটা। ফোনের স্কিনে তাকাতেই ঠোঁটে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসি। সময় ব্যায় না করেই তীব্র গতিতে কল রিসিভ করে। ফোন কানে তুলতেই ভেসে আসে সুরেলা কণ্ঠ। মধুর মায়াময় কন্ঠ। যে কন্ঠ শুনে সারাজীবন পাড় করে দিতে পারবে। ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে আসে,,

” কেমন আছিস মিরাজ ভাইয়া। ভাইয়া ডাক শুনে মাথা গরম হয়ে যায় মিরাজের। একে তো দুইদিন কথা হয় না তার পরেও এখন ফাজলামি করে ভাইয়া ডাকছে। তেজি গলায় বলে,,

” খবরদার তানুবিবি আমাকে ভাইয়া বলবি না। ভাইয়া বললে কল কেটে দেব বেয়াদপ। মিরাজের কথা শুনে তানশি ঝড়ের বেগে বলে,

” প্লিজ জান্সস কল টা কেটো না। তুমি কল কাটলে আমি শেষ হয়ে যাব ন্যাকা স্বরে বলে।

” নাটক কম করো পিও।

” এই আমি নাটক করছি হ্যাঁ। ফোন রাখ কথা বলব না তোর সাথে। আর ফোন দেব না বাই বলে কল কেটে দিতে গেলে মিরাজের কথায় থেমে যায়। মিরাজ নরম গলায় বলে,

” তানশি কল কাটিস না। তোর সাথে আমার অনেক কথা আছে। এই দুইটা দিন আমার উপর দিয়ে কি গেছে তুই জানিস। আমার দম বন্ধ লাগতো সব কিছু। সারাদিন বিষন্নতায় কাটতো।
মিরাজের কথায় হৃদয় জুড়ে প্রশান্তি বয়ে যায়। ঠোঁটে তার লাজুক হাসি। দু’জনে কিছুক্ষণ কথা বলে কল কেটে দেয়।

কথা শেষ করে মিরাজ জোরে নিঃশ্বাস নেয়।আকাশের দিকে তাকিয়ে রয় কিছুক্ষণ। মনে পরে যায় কয়েক মাস আগের কথা। নিজের মনের কথা বলতে পারছিল না মিরাজ। তখন তার মানহা আপু কে সব খুলে বলে। তারপর মানহা’র সাহায্য নিয়ে তানশি কে নিজের মনের কথা বলে।








আবরার দুপুরেই অফিস থেকে বাসায় আসছে। আবরারের পিএ ইশান কে বুঝিয়ে দিয়ে আসছে। অফিসে তেমন কাজ না থাকাই চলে আসছে। সবে মাত্র গোসল করে ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়েছে আবরার । বেলকনিতে টাওয়াল টা নেড়ে দিয়ে রুমে এসে শার্ট গায়ে জড়িয়েছে । মানহা রুমে এসে আবরারের ভেজা চুল শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে দেয়। আবরার স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রয়। তার ভালোই লাগছে। বউ তার কেয়ারিং আছে ভেবে বাঁকা হাসে।

আবরার কে হাসতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকায়। ইশারায় জিজ্ঞেস করে হাসছো কেন? আবরার কিছু বলার আগেই ফোন বাজার শব্দে ফোনের কাছে চলে যায়। ফোন রিসিভ করে বলে,,

” আসসালামু আলাইকুম আম্মু। কেমন আছো তুমি? ফোনের ওপাশ থেকে তানিয়া বেগম বলেন,

” এই তো মা আছি তোদের দোয়ায়। জামাই বাবাজি কেমন আছে? মানহা আড়চোখে তাকিয়ে বলে,,

” সে ভালো আছে মা। বাবা কেমন আছে আর বাড়ির সবাই ভালো আছে তো?

” হ্যাঁ সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। তোকে একটা কথা বলার জন্য ফোন দিছিলাম মা।

” কি কথা মা, বলো?

” তোর নানু জামাই কে দেখতে চাই। তার তো শহরে আসা মতো অবস্থা নেই সেজন্য তোদেরকে নিয়ে গ্রামে যেতে বলছে। জামাইয়ের কাছে শোন কবে যেতে পারবে।

” আচ্ছা তুমি তোমার জামাইয়ের সাথে কথা বলে দেখো সে কি বলে,

আবরারের দিকে ফোন এগিয়ে দিয়ে কথা বলতে বলে। আবরার ফোন কানে নিয়ে শাশুড়ী মায়ের সাথে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে। তানিয়া বেগম দু এক কথা বলে গ্রামে যাওয়ার কথা বলেন। তার নানি শাশুড়ী তাকে দেখতে চেয়েছে। আবরার কিছুক্ষণ চুপ থেকে ভেবে বলে,,

” জ্বি আম্মু। আপনারা দিন ঠিক করে আমাকে বলুন। আমি সেদিন মানহা কে নিয়ে আপনাদের সাথে যাবো ইনশা আল্লাহ।

” আচ্ছা বাবা তাহলে কালকেই চলো।

“কালই

” হ্যাঁ কেন তোমার কি অফিসের ঝামেলা আছে।

” না আম্মু। আচ্ছা সমস্যা নেই যাবানে। আরও কিছুক্ষণ কথা বলে কল কেটে দেয়।

মানহা কে জানায় কালকে তারা গ্রামে যাচ্ছে। গ্রামে যাওয়ার কথা শুনে হাসি ফুটে ওঠে মানহা’র মুখে। গ্রামের পরিবেশ তার খুব ভালো লাগে। গত কয়েক বছর গ্রামে যাওয়া হয়নি। আবরার কে জিজ্ঞেস করে, বাসার সবাই যেতে দেবে তো? আবরার আস্বস্ত করে বলে, টেনশন করো না যেতে দেবে। মানহা আনন্দে আবরার কে জড়িয়ে ধরে। বউয়ের মুখে হাসি দেখে মনটা জুড়িয়ে যায় আবরার। সেও পরম যত্নে আগলে নেয় নিজের বুক পিঞ্জিরায়।






রাতে খাবার টেবিলে খাবার খাচ্ছে সবাই। মানহা সবাইকে হাতে হাতে এগিয়ে দিচ্ছে। নিজ হাতে সব কিছু রান্না করছে নিজে। শাশুড়ি মা কে কিছুতে হাত দিতে দে য় নি। নিজে এক হাতে করেছে। মানহা কে খেতে বসতে বললে বলে, সবার খাওয়া শেষ হলে সে খাবে। হালিমা বেগম কে জোর করে টেবিলে বসিয়েছেন। তিনি মানহা কে ছাড়া খাবেন না বলছিলেন কিন্তু মানহা জোর করে প্লেটে ভাত মাছ মাংশ দিয়েছে। খাবার এক পর্যায়ে আবরার বলে,,

” সবাইকে আমার একটা কথা বলার ছিল। সবাই খাওয়া বাদ দিয়ে আবরারের পানে তাকায়। আবরার খাবার প্লেটে চোখ রেখে বলে,

” আমার শাশুড়ী মা ফোন করছিল। আমাকে নাকি নানি শাশুড়ী দেখতে চেয়েছে সেজন্য কয়েকদিনের জন্য গ্রামে যেতে হবে।।

” সে তো ভালো কথা যেও। বউমার ও ভালো লাগবে সাথে তোমাদের ঘুরাঘুরিও হয়ে যাবে। কি বলো হালিমা? ( আনোয়ার হোসেন)

” হ্যাঁ। সবার সাথে কিছুদিন কাটালে ভালো লাগবে।

” হ্যাঁ কাল সকালে রওনা দিবে বলছে। সেজন্য তোমাদের কে বললাম। তোমরা কি বলো?

” আমাদের কোনো সমস্যা নেই দাদু ভাই। তোমাদের নতুন নতুন বিবাহ হইছে। তোমরা এখন পর্যন্ত কোথাও যাও নি। আর তুমি তো আগে কখনো গ্রামে যাওনি। সেখানে গেলে অবশ্যই তোমার ভালো লাগবে।

” জ্বি দাদু।

সবার খাওয়া শেষ হলে মানহা নিজে খেয়ে সব কিছু গুছিয়ে রেখে রুমে যায়। অনেক রাত হয়েছে এবার ঘুমোনোর প্রয়োজন তাঁর। আবরার ল্যাপটপে কাজ করছে তার নাকি ঘুমাতে দেড়ি হবে।

মানহা ঘাপটি মেরে কম্বলের নিচে শুয়ে আছে। চোখে ঘুম থাকলেও ঘুমাতে পারছে না। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আবরার কাজ ফেলে বিছানায় আসে। সে জানে তার বুকে মাথা না রাখলে বউয়ের ঘুম হবে না। আবরার কে দেখে মুচকি হাসে মানহা। একে অপর কে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে পাড়ি জমায়।

চলবে ইনশা আল্লাহ

#গোধূলির_শেষ_প্রণয়
#লেখনিতে_ছনিয়া_তাবাচ্ছুম_অনি
#পর্ব_৩৪

সকাল দশটা। আবরার আর মানহা দুজনে খান ভিলায় এসেছে। এখান থেকে যাঁরা যারা যাবে তাদেরকে নিয়ে রওনা দেবে গ্রামের উদ্দেশ্য। মানহা’র মা অয়ন মিরাজ নিরা যাবে। আর তাঁরা দু’জনে মোট ছয় জন যাবে। আবরার বাসা থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে আসছে আর সেটা করেই তার গ্রামে যাবে। আবরার গাড়ি ড্রাইভ করবে আর মানহা তার পাশে। ভিতরে অয়ন মিরাজ নিরা তানিয়া বেগম বসেছেন। সব কিছু রেডি করে আবরার গাড়ি স্টার্ট দেয়। আবরার গাড়ি নিয়ে সোজা বাজারে নিয়ে থামায়। সেখান থেকে যাবতীয় মিষ্টি সামগ্রী ফলমূল যা যা লাগে সব নিজে কেনে। অয়ন কিনতে গেলে নিষেধ করে। অয়ন মিষ্টির প্যাকেট গুলো নিয়ে গাড়ির পিছনে রেখে নিজের সিটে বসে পরে।

আবরার ফের গাড়ি স্টার্ট দেয়। নিরা এই প্রথম গ্রামে যাচ্ছে সে খুব এক্সাইটেড। তারা দুই ভাই বোন আগে কখনো গ্রামে যায়নি। গ্রামে তাদের কোনো আত্মীয় নেয়। ছোট বেলা থেকেই তাদের ঢাকা শহরে বেড়ে ওঠা।

গাড়ির ভিতরে শাশুড়ী মা থাকায় আবরার চুপচাপ গাড়ি ড্রাইভ করছে। পিছন থেকে মিরাজ বলে,

” দুলাভাই একটা ডিজে গান প্লে করুন তো। পরিবেশ টা জমে উঠেছে না। যদি —

আর বলতে পারল না। আবরার রাগি দৃষ্টিতে তাকায়। ইশারায় শাশুড়ী কে দেখায়। শাশুড়ী মা থাকলে ডিজে গান বাজানো যায়। মিরাজ বিষয় টা বুঝতে পেরে বোকা হেসে বলে,,

” না না ভাই থাক। আমি গান শুনব না বলে ফোনের ভিতর ঢুকে যায়। হঠাৎ মিরাজের কথায় তারপর গান শুনবে না সবটা সবার মাথার উপর দিয়ে গেলো। বিষয়টা কেউ আমলে নেয় না।

সারা পথ আনন্দ উল্লাস করতে করতে আসে তারা।

______

দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা জার্নি করে পৌঁছে যায় গ্রামে। গুগুল ম্যাপ দেখে দেখে গাড়ি ড্রাইভ করছে আবরার। সব মিলিয়ে আবরারের খুব কষ্ট হয়েছে। এতটা পথ এক হাতে ড্রাইভ করা চারটে খানি কথা না। অয়ন করতে চাইছিল বাট আবরার মানা করছে।

তাদের ভাগ্য ভালো বিধায় গাড়ি নিয়ে সোজা গ্রামে ঢুকতে পারছে। মাগুরা শহর থেকে টানা এক ঘন্টা সময় লাগে গ্রামে আসতে। গ্রামের সুরু আকাবাকা রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসছে।

ইটের সলিং করা রাস্তায় হালকা ঝাকুনি খেতে হয় সকলের। তানিয়া বেগমের কথা অনুযায়ী গাড়ি থামায় আবরার। তানিয়া বেগম বলেন,তারা চলে এসেছে।

গাড়ির শব্দ শুনে পাড়া প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন দেখতে। এত বড় গাড়ি দেখে অনেকেই অবাক হন। এত বড় গাড়ি আগে কখনো এই গ্রামে দেখেনি তারা। মানহা’র মামাতো ভাই রায়ান ছুটে আসে তাদের কাছে। রায়ান ফুপির সাথে কুশল বিনিময় করে মানহা’র’ কাছে যায়। একে একে সবার সাথে কথা বলে। আবরার আর অয়ন রায়ানের হাতে কিছু মিষ্টির প্যাকেট দেয়। আর অয়নের হাতে কিছু। কারণ মিষ্টি ফল গুলো একা নেওয়া সম্ভব নয়।

রায়ান সবাইকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। তানিয়া বেগম সবার আগে ভিতরে যান। তানিয়া বেগমের মা জোবেদা বেগম চেয়ারে বসে ছিলেন। মেয়ে কে দেখে লাঠিতে ভর দিয়ে উঠে দাড়ান। মা কে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন তিনি। কত দিন পর মায়ের ছোয়া পেয়েছেন তিনি। আবেগ উৎফুল্ল হয়ে কান্না করে দেন। বাড়ির ভিতরে এত মানুষ দেখে তার ভাইয়ের বউ এগিয়ে আসেন। মানহা’র’ তিন মামা। দু’জন গ্রামে থাকেন আর একজন দেশের বাইরে থাকেন। তার স্ত্রী সন্তান সবাই গ্রামে থাকে। বড় মামার এক ছেলে এক মেয়ে। মেজো মামার একটাই ছেলে। আর ছোট মামার দুই মেয়ে।

নতুন জামাই কে সবাই সাদরে গ্রহণ করে। সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় তানিয়া বেগম । মানহা’র বড় মামি ফাহিমা সবাইকে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ঘরে পাঠিয়ে দেয়। অনেক পথ জার্নি করেছে সবাই।

_________

মানহা’র মামা বাড়ি টা একতলা ছাদ বিশিষ্ট। বাড়িটা অনেকটা জায়গা নিয়ে তৈরি করেছেন মানহা’র নানা মমিন সাহেব। অনেকটা শখের বসে তৈরি করলেও বেশিদিন বাড়িটায় থাকতে পারেন নি। তার আগেই চলে গেছেন পরপারে।

বাড়িটায় আটটা রুম আছে । বাড়ির ভিতরে নেই কোনো ড্রয়িংরুম। বাসার ভিতরে দুইটা বাথরুম। বাইটে টিনের রান্নাঘর, গোসলখানা বাথরুম সব এক সাইডে।

মানহা আর নিরা গোসল খাানা থেকে হাত মুখ ধুয়ে রুমে যায়। তারপর সবাইকে দুপুরের খাবার খেতে ডাকে। ডাইনিং টেবিলে খাবার রাখে। নতুন জামাই আসবে বলে কোনো তার কমতি রাখেন নি মানহা’র বড় মামা মতিয়ার সাহেব। বিভিন্ন পদের খাবার রান্না করেছেন বাড়ির গিন্নি রা। খাওয়া শেষ করে যে যার রুমে বিশ্রাম নিতে যায়।

_____

মানহা বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পরে। মানহা আবার বেশি জার্নি করতে পারে না। সেজন্য ঘুমিয়ে পরছে। আবরারের মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। গ্রামের পরিবেশের সাথে মানান সই না বলে অস্বস্তি ফিল হচ্ছে। সে জন্য রুম থেকে বের হয়।

মানহা’র ঘুম ভাঙে সন্ধ্যা ছয়টায়। বিছানা থেকে দ্রুত উঠে কয়টা বেজে দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তার। রুম থেকে বেড়িয়ে সবাইকে খোঁজে বাট কাউকে পায় না। পরে মেজো মামি কে জিজ্ঞেস করে,,

” মেজো মামি সবাই কোথায়? কাউকে দেখছি না তো।

” সবাই ছাদে। তুই ঘুমাচ্ছিলি বলে জামাই বাবা ডাকতে নিষেধ করছে রায়ান কে। সেজন্য ডাকেনি। মেজো মামি’র কথায় খানিকটা লজ্জা পায়। আবরারের উপর তার রাগ হয়। সবার সামনে কেন বলতে গেল সে?

সেখান থেকে সোজা ছাদে যায়। দেখে ছাদে মাদুর পেতে গল্পের আসর জমিয়েছে। মানহা গিয়ে সবার মাঝে ধপ করে বসে পরে। মানহা’র কান্ডে সকলে হেসে ওঠে। মানহা ঠোঁট উল্টে সবার দিকে তাকায়। মানহা’র তাকানো দেখে সবাই চুপ হয়ে যায়।

অনেক রাত অব্দি তার গল্প করে। গ্রামে রাত বলতে নয়টা দশটা। এটাই তাদের কাছে অনেক রাত মনে হয় । যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কাল কে তারা সবাই মিলে গ্রামে ঘুরতে বের হবে।

চলবে ইনশা আল্লাহ

[ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]