#গল্পঃ_গোপনে |১১|
#লেখাঃ_অনন্য_শফিক
—
নাঈম জেবার কথা শুনলো না।দারোগাদের অতো কোমল মনের হলে চলে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আসামীদের প্রতি রুষ্ট না হলে রাগ না দেখালে আসামীরা নিজেরাই তাকে নিয়ে চোর পুলিশ খেলবে!
নাঈম জেবার ফোন চেক করলো।জেবা রাগে হাঁসফাঁস করছে। চিৎকার চেঁচামেচি করছে।রাগ দেখিয়ে বলছে,এর পরিণাম ভয়াবহ হবে। সে সহজে ছেড়ে দিবে না নাঈমকে।
নাঈম বিরক্তি নিয়ে মহিলা পুলিশদের বললো,’ এই মেয়েকে সেলে আটকে রেখে এসো তো।মাথা খেয়ে ফেলতেছে চিল্লাফাল্লা করে।’
মহিলা পুলিশ দুজন মিলে জেবাকে টেনে হিঁচড়ে
নিয়ে গেল সেলের দিকে।
নাঈম খানিক সময় ওর মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলো। তারপর বললো,’ ভয়াবহ অবস্থা! কি নোংরা মেয়ে রে। এমনিতে তো আর চিল্লাচিল্লি করতেছে না!’
আমি বললাম,’ কি আছে মোবাইলে?’
নাঈম বললো,’ নানান লোকের সঙ্গে ওসবের ভিডিও। ছিঃ ছিঃ!’
আমি কিছু বললাম না। চুপ করে রইলাম।
নাঈম বললো,’ এসবের মূলে কে আছে জানিস?’
আমি বললাম,’ কে? আশফাক সুমন তাই না?’
নাঈম বললো,’ উঁহু। আশফাক সুমন ওদের একজন ক্লায়েন্ট মাত্র।এর মূলে শুধুমাত্র একজন।তোর ওয়াইফ।তোর শানু।’
আমি কথা বলতে পারলাম না। দীর্ঘ সময় ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
নাঈম বললো,’ সব জানতে পারবি এবার। সবকিছু।জেবা সব বলবে।যা জিজ্ঞেস করবো ঠিক তাই বলবে।’
আমি বললাম,’ জেবাও কি শানুর মতোই? বড় অপরাধী?’
নাঈম বললো,’ নাহ। সে শানুর একজন কর্মচারী মাত্র।জেবার মতো এরকম অনেক কর্মচারী শানুর আছে। আমার ধারণা, দেখতে মিষ্টি এবং অসহায় এরকম মেয়েদের শিকার বানিয়ে শানু এসব করায়।জেবাও এরকমই। তার মায়ের চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল।বিপদে পড়েই হয়তো এদিকে গিয়েছে। আচ্ছা কথা বলে দেখি ওর সাথে।দেখি কি তথ্য বেরিয়ে আসে।’
আমি বললাম,’ আচ্ছা।’
আমি দূরে দাঁড়িয়ে রইলাম।নাঈম ওর সঙ্গে কথা বলতে গেল।
নাঈম সেলের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই জেবা উঠে দাঁড়ালো।মাথা নত করে রেখেছে। হয়তো লজ্জায়।
নাঈম বললো,’ এই পথে কেন গেলেন আপনি? ‘
জেবা চুপ করে থাকে। কথা বলে না।
নাঈম ওকে ধারালো গলায় বললো,’ আপনি চুপ করে থাকলে ফেঁসে যাবেন জেবা! সব দোষ আপনার কাঁধে চাপা পড়বে। আপনার ফোনে অসংখ্য প্রমাণ আছে আপনাকে ফাঁসাবার মতো। আপনি সত্যটা বলুন। বেঁচে যাবেন। আপনার বাঁচা প্রয়োজন।ঘরের মেয়ের ঘরে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। আপনি না থাকলে আপনার মায়ের চিকিৎসা কিভাবে হবে? কে দেখবে তাকে?’
জেবা কাঁদছে। তার চোখ থেকে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে তার ফর্সা গালের দু পাশে।মেয়েটি দেখতে ভীষণ সুন্দর।কেন যে এই পথে পা বাড়ালো!
নাঈম বললো,’ দেরি করাবেন না আমায়। বলুন।’
জেবা ভেজা তুলতুলে গলায় বললো,’ আমি অসহায়। আমার আর কিছুই করার ছিল না। আপনি তো আমার মাকে দেখেছেন। আমি আগে এসবের সঙ্গে ছিলাম না। স্বামীর সংসার করতাম। জব করতাম। সুন্দর জীবন ছিল আমার।’
নাঈম বললো,’ তারপর? কি এমন ঘটলো আপনার সঙ্গে যে আপনি এই পথে পা বাড়িয়ে দিলেন?’
জেবা সরাসরি উত্তর না দিয়ে বললো,’ হুট করেই আমার মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়লো।তাও খারাপ একটা স্টেজে এসে।আমি ছাড়া মায়ের আর কেউ নাই!’
নাঈম বললো,’ তারপর।’
জেবা চুপ করে রইলো। তারপর বললো,’ মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম।ডাক্তার বললো, বাঁচবে না মা। এরপর আরেক ডাক্তারের কাছে গেলাম।ওখানেও বললো, বাঁচলেও খুব বেশিদিন না। অবস্থা সুবিধার না। এরপর তৃতীয় একজন ডাক্তার দেখালাম। তিনি আশ্বাস দিলেন। বললেন, দেশে কিছু হবে না। এখানকার চিকিৎসা ভালো না। সিঙ্গাপুর নিয়ে গেলে আশা রাখা যায়।
আমি জানতে চাইলাম, কতো টাকা খরচ হবে।
ডাক্তার টাকার পরিমাণ যা বললেন, তা শুনে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেল। এতো টাকা আমি দেখিওনি কখনো একসাথে!
কিন্তু শত হোক, নিজের মা তো।আমি জানি মা আমায় কতো কষ্ট করে , কতো সংগ্রাম করে বড় করেছেন। আমার চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় মা মারা যাবেন এটা ভাবতেই পারতাম না!
অফিসের কমবেশি সবাই জানতো, আমার মায়ের এই অবস্থার কথা।সবাই জানতো, মাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার কথা ডাক্তার বলেছেন।
আমি হন্যে হয়ে টাকার জন্য দৌড়াচ্ছিলাম। কিন্তু এমনি এমনি তো আর কেউ কাউকে টাকা দিবে না!
আমার আত্মীয়-স্বজনদের কারোর থেকেও কোনো রকম সাহায্য আমি পাইনি।
আমি যখন এমন খারাপ অবস্থা পাড় করছি ঠিক এই সময়েই আমায় নিজের ঘরে ডেকে নেন অফিসের বস আশফাক সুমন। তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেন, মায়ের কি অবস্থা। চিকিৎসা হচ্ছে কি না।
আমি তার কাছে সবকিছু খুলে বললাম।’
এইটুকু বলে আবার থামলো জেবা।
নাঈমও স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
এরপর জেবা নিজ থেকেই আবার বলতে শুরু করলো। বললো,’ আমি উনার কাছে বললাম, চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে হবে। অনেক টাকার প্রয়োজন মায়ের।টাকার জোগাড় হচ্ছে না। আমি উনার সামনে অসহায়ের মতো কেঁদেছিলাম।উনি বলেছিলেন, আল্লাহ ব্যবস্থা করবে।আমি যেন আশাহত না হই। এর দুদিন পরেই শানু আমায় কল করে।সে বলে, আমার সঙ্গে তার জরুরি কথা আছে।আমি যেন অফিসে না গিয়ে বাসায় থাকি। সে আমার বাসায় আসবে আমার সঙ্গে দেখা করতে।কথা বলতে।আর বলে, এই বিষয়ে আর কেউ যেন কিছু না জানে। শিহাব ভাইকেও কিছু বলতে নিষেধ করে।’
নাঈম বললো,’ তারপর কি হলো বলুন।’
জেবা বললো,’ শানু এসে মাকে দেখলো। মায়ের অবস্থা সম্পর্কে আমার সঙ্গে আলাপ করলো। তারপর বললো, টাকার জোগাড় হবে।যতো টাকা প্রয়োজন হয় সে আমায় দিবে।আমি অবাক হলাম। বললাম, এতো টাকা আপনি কোথায় পাবেন? আর আমায় বা দিবেন কেন?
শানু বললো, টাকা কোথায় পাবো এটা আমার বিষয়। আর তোমায় এমনি এমনি টাকা আমি দিবো না।
আমি তাকে বললাম, এমনি এমনি দিবেন না তো কিভাবে দিবেন? কি করলে দিবেন?
শানু বললো, এর আগে তুমি ভাবো। খুব ভালো করে ভেবে দেখো, তোমার মাকে তুমি বাঁচাতে চাও কি না?
আমি বললাম, আমি বাঁচাতে চাই। যেকোনো মূল্যে।
শানু তখন ওই কথাটা বললো । বললো, জগতে ফর্সা রঙের অনেক দাম জেবা।আর চেহারা সুরত দেখার মতো হলে তো কথায়ই নেই। তোমার কাছে অভিজাত শ্রেণীর পুরুষ লোকেরা আসবে। তাদের তুমি স্যাটিসফাইড করবা।এর বেশি কিছু না!
শুনে আমার এতো রাগ লেগেছিল!
এক রকম অপমান করেই শানুকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। খারাপ মেয়ে। নষ্ট মেয়ে। চরিত্রহীন।যা যতো বকা আমি জানতাম সব বলেই ওকে বকেছিলাম।ও এসবে কিছু মনে করেনি।দমে যায়নি সে।শানু যাবার সময় বলে গেল, সময় নেও জেবা। লম্বা সময় নেও।যদি কোনদিন মনে হয়, টাকা প্রয়োজন তোমার।যদি মনে হয়, চরিত্র রক্ষার চেয়ে মায়ের জীবন তোমার কাছে বেশি মূল্যের। তবে তুমি আমায় নক করতে পারো। আমার দরজা তোমার জন্য সব সময়ই খোলা থাকবে!
শানু চলে গেল।আমি সেদিন রাতেই দু রাকাত নফল নামাজ পড়লাম। আল্লার কাছে এই শয়তানের হাত থেকে মুক্তি চাইলাম।
কিন্তু মুক্তি আমার মিললো না।এর সপ্তাহ খানিক পর মায়ের অবস্থা আরো খারাপ স্টেজে গেল। তার এই অবস্থা দেখে আমার দুনিয়া উলটপালট হয়ে গেল।আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না।আমি শানুর সঙ্গে যোগাযোগ করলাম।আমি নিজেকে বিকিয়ে দিলাম ভিন্ন পুরুষদের কাছে।’
বলে জেবা হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলো।
নাঈম হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল একপাশে।আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ।জেবার প্রতি আমার দরদ কাজ করা ঠিক না। তবুও নিজের মায়ের কথা মনে পড়লো। কিছু কিছু পরিস্থিতি মানুষকে বিবেকহীন করে তুলে।পাপ কি পূণ্য তা তাদের ভুলিয়ে দেয় পরিস্থিতি। কিন্তু আল্লাহ তো বিপদের মাধ্যমে তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় ধৈর্য্য ধরে।অসৎ পথে না গিয়ে।জেবা হয়তো টিকতে পারেনি এই পরীক্ষায়!
নাঈম বললো,’ জেবা, কাঁদলে কি হবে বলুন!
লাভ হবে না কাঁদলে। আচ্ছা আপনার স্বামীর সম্পর্কে কি বলেছিলেন মানুষের কাছে? সে খারাপ লোক।নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া শিহাবের কাছে বলেছিলেন আপনার বস বড় ক্রিমিনাল।আর তার সহচর আপনার স্বামী?’
জেবা কান্না থামিয়ে ওড়না দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললো ,’ মিথ্যে বলেছিলাম আমি। আসলে আমার স্বামী বুঝে ফেলেছিল, আমি খারাপ পথে পা দিয়েছি।এটা বোঝবার পর সে আমায় ডিভোর্স দিয়ে দেয়।’
নাঈম বললো,’ আচ্ছা আপনি এবার আশফাক সুমন সম্পর্কে বলেন। আপনি কতোটা জানেন তার বিষয়ে? ‘
জেবা বললো ,’ তার কাছেই আমায় প্রথম পাঠিয়েছিল শানু।প্রথম পাপটা তার সঙ্গেই করি আমি। আমার মনে হয়েছিল শানুকে সেই জানিয়েছিল আমি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। মায়ের চিকিৎসার টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।এ থেকে আমার মনে হয়েছে আশফাক সুমনের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই তার পরিচয় আছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না তার সম্পর্কে!’
নাঈম বললো,’ আশফাক সুমনের সঙ্গে আপনার আলাদা কোন সম্পর্ক গড়ে উঠেনি? যোগাযোগ হয় না?’
জেবা বললো,’ এই সুযোগ নাই। শানুর ইচ্ছে মতোই সব হয়।’
নাঈম বললো,’ তাহলে শানু সাধারণ কেউ না তাই তো?’
জেবা বললো,’ আমি সব বলেছি।আর কি জানতে চান? আমি একটা টাকাও ওর থেকে এখনও পাইনি।
রাগে ছটফট করতে লাগলো জেবা। পাগলের মতো আচরণ করছে।
‘ কেন পাননি?’
নাঈম জিজ্ঞেস করলো।জেবা বললো,’ সে বলেছিল, আমার হাতে টাকা দিবে না।সে নিজেই ব্যবস্থা করে মাকে আর আমাকে সিঙ্গাপুর পাঠাবে। তার দায়িত্বে পাসপোর্ট করিয়েছে। ভিসার জন্য সেই কাজ করছে। আপনি সব নষ্ট করে দিলেন। আমার মায়ের চিকিৎসা আপনার জন্য হবে না। আমার মায়ের কিছু হলে সারা জীবন আপনাকে আমি দায়ী করে যাবো।’
ভীষণ রাগে কথাগুলো বললো জেবা।
নাঈম রাগ করলো না। সে বুঝিয়ে বললো।বললো,’ জেবা, আপনি যেভাবে মায়ের চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন এটা কি হালাল কোন পথ আপনি বলুন? আল্লাহ তো সব জানেন।সব দেখছেন। মৃত্যুর পর আল্লাহকে কি জবাব দিবেন? তাছাড়া আপনার মা যদি কোনভাবে জানতে পারে আপনি এইসব করে তার চিকিৎসা করিয়েছেন তখন তিনি নিজের জীবনকে নিজে ঘেন্না করবেন না বলুন?’
জেবা কিছু বললো না। চুপ হয়ে গেল।
নাঈম বললো, ‘ অনেক কথা হলো। বিকেলে আবার কথা হবে। থাকুন।দেখি আপনার বোধ ফিরে আসে কি না! ‘
বলে সে বেরিয়ে এলো।
আমরা গিয়ে বসলাম থানার সামনের একটা চায়ের স্টলে।নাঈম সিগারেট নিয়ে ধরালো।দু টান দিয়ে ধুয়ো ছেড়ে সে বললো,’ জেবার প্রতি তোর খুব দরদ লাগছে তাই না? তোর চোখ তো দেখছি জলে ছলছল করছে একেবারে!’
আমি বললাম,’ মজা করিস না।ও যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে তুই যদি এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতি তবে কি করতি?’
নাঈম বললো,’ বৈধ পথে যা করা যাই ঠিক তাই করতাম। তুই কি নবী ইব্রাহিম আঃ এর বিষয়ে জানিস না? তিনি আল্লাহর হুকুমে তার প্রিয় সন্তান কলিজার টুকরা ছেলে ইসমাইল আঃ কে কুরবানী করতে রাজি হয়েছিলেন। আল্লাহর দিকে তাকিয়ে, আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য। এছাড়া আমাদের নবী, সাহাবারা কি কম পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন? তখন তারা কি অসৎ পথে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করেছিলেন? করেননি।সৎ পথে কি করা যায় সেই চেষ্টা করেছেন। ধৈর্য্য ধরেছেন। আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থেকেছেন। সৎ পথে যে থাকে সেই সঠিক মানুষ। দয়া যদি দেখাতে হয় তবে সঠিক মানুষদের প্রতি দয়া দেখাবে। ভুল পথে যারা যায় তাদের প্রতি না।জেবার কাজকে আমি কখনোই সমর্থন করবো না।যা নোংরামি তা সব সময়ই সব ভাবেই আমার কাছে নোংরামি।’
আমি আর কিছু বললাম না। শুধু শুনলাম।
বিকেল বেলা নাঈম আবার জেবার কাছে গেল।বললো,’ এবার বলুন, শানু কোথায় আছে? তার ঠিকানা বলুন। ভুল কোন তথ্য দিবেন না দয়া করে।শানুকে পেলে আপনি সত্যি সত্যি মুক্তি পাবেন।’
জেবা বললো,’ আমায় মুক্তি দিন আর না দিন আমার আর শানুর থেকে সাহায্য পাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।আমি ভুল করেছি। এখন আমার ভুল ভেঙেছে। এই নোংরা টাকায় , কলঙ্কিত টাকায় আমার মায়ের চিকিৎসা আমি করাবো না।শানু কোথায় আছে তা বলতে আমার আর কোন আপত্তি নাই।আমি বলবো।’
নাঈম বললো,’ বলুন তবে।’
জেবা একবার আমার দিকে চোখ তুলে তাকালো। তার চোখে মুখে অনুশোচনার ছাপ স্পষ্ট। সে আমার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বললো,’ শানু তার বাবার বাড়িতেই আছে। ওখানেই থাকে।তার বাবা,সৎ মা আর সৎ ভাইয়ের সঙ্গে থাকে।’
‘
#চলবে
#গোপনে