#গোপনে_রাঙানো_প্রেম
#হুযাইফা_মাইশা
—সূচনা পর্ব
থানায় কেউ বিবাহ প্রস্তাব দিতে পারে, এটা জানা ছিলনা স্রোতের। এমন বিব্রতকর পরস্থিতিতে ঠিক কি করা যায়, স্রোতের তাও জানা নেই। মেয়েটা ভ্যাবলার মত দাঁড়িয়ে রইল কিয়ৎক্ষণ। হাত দু’টো একসঙ্গে ঘষল বার কয়েক। সামনে থাকা ভদ্রলোক বেশ হাস্যজ্বল মুখে তাকিয়ে। এসেছিলেন রিপোর্টে লিখাতে, এই মেয়েটিকে মনে ধরে গেল। নিজের ছোট ছেলের জন্য তো এমন মেয়েই খুঁজছিলেন। তাই তিনি মেয়ের নাম-ডাক জিজ্ঞেস করেই বলে বসলেন বিবাহের কথা। এ-ও সম্ভব? মিনিট দশ এক এর দেখা মেয়েকে কেউ পুত্রবধূ বানাতে চাইবে? নিশ্চয়ই লোকটার মাথায় সমস্যা। স্রোত ঠোঁট চেপে তা-ই ভাবল। ভদ্রলোক বোধহয় আশা করেছেন স্রোত এক্ষুনিই ‘ হ্যাঁ’ বলবে। বলবে, জ্বি আংকেল, কবুল। লোকটির চেহারায় তা-ই মনে হচ্ছে। এসব ভাবনায় স্রোতের হাসি পেল। হেসেও ফেলল শব্দ করে। ভদ্রলোক তাতে বিশেষ অবাক হলেন না।
থানাটা বড়ই। ভেতরের ইন্সপেক্টরের কেবিন বোধহয়। তিনি ভীষণ ব্যস্ত। তাই তাদের এখানে অপেক্ষায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। স্রোত অবশ্য বসেনি। এখানে এত কনস্টেবলদের যাতায়াত! যদিও তাদের কারোরই ধ্যান এদিকে নেই।
খানিক পর একজন এল, বলল সিনিয়র ইন্সপেক্টর তাদের ভেতরে যেতে বলেছেন। তাদের সমস্যা কী, সেখানেই শোনা হবে।
ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ালেন রয়ে-সয়ে। বললেন,
“ চলো, মা।”
ভীষণ আদুরে ডাক। স্রোতের পছন্দ হলো বেশ। লোকটার মাথায় সমস্যা থাকলেও ভীষণ মিশুক বোধহয়। স্রোত আগে আগে চলল।
ইন্সপেক্টর কোথায় কে জানে,তার চেয়ার তো খালি। স্রোত চটপট সামনের একটা চেয়ারে বসল। অন্যপাশে বসলেন সেই ভদ্রলোক। ইন্সপেক্টরকে না দেখে স্রোত বিরক্ত হলেও বিরক্ত হলেন না সেই ভদ্রলোক। নিজ থেকেই বললেন,
“ আমার দুই ছেলে, বুঝলে! বড়টার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোটটার জন্য পাত্রী দেখছি। তোমাকে মনে ধরেছে। তুমি যেন কিসে পড়?”
“ জ্বী আংকেল, অনার্স ফাইনাল ইয়ার।”
“ বাহ, দারুণ। তোমার বাবা কি করেন?”
“ আমার বাবা?”
“ হ্যাঁ।”
“ উনি একটু আধটু পলিটিক্স করেন। কিন্তু তা গ্রামে।”
ভদ্রলোক দমে গেলেন বোধহয়। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আত্মীয়তা? মুখ কুঁচকালেন তিনি। স্রোতের তা পছন্দ না হলেও সে মিষ্টি করে হাসল। সোজা তাকিয়ে বলল,
“ তাছাড়া, আমি বিবাহিত! আংকেল। আবার আপনার ছেলেকে কীভাবে বিয়ে করব?”
এমন আশ্চর্যজনক বাক্যে সমাপ্তি ঘটল তাদের কনভারসেশনের। এ প্রসঙ্গের ইতি ঘটার আরেকটি কারণও বের হলো বটে, ইতিমধ্যে সিনিয়র ইন্সপেক্টর এসে সামনে বসেছেন। স্রোত আর ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ানোর পূর্বেই ইন্সপেক্টর বললেন,
“ বসুন, বসুন।”
স্রোত সরাসরি তার দিকে তাকাল। ভেবেছিল ইন্সপেক্টর ভুড়ি ওয়ালা, টাক মাথার কোনো লোক। সিনিয়র ইন্সপেক্টর- পদবিতে তো সিনিয়ররাই বসে। এ ধারণা থেকেই তার ভেবে বসা, লোকটা ওরকম হবে। তবে না! ঘটল সম্পূর্ণ বিপরীতটাই। সামনে বসা মানুষটা যুবক। দেখতে তো তা-ই মনে হচ্ছে। গায়ে পুলিশি পোশাক। সুদর্শনই বটে। যাক গে, সেসব ভেবে স্রোতের কাজ কি!
“ তা, বলুন! আপনাদের দুজনের কি সমস্যা?”
গম্ভীর স্বর। হাতে অযথাই সে কলম তুলে নিল। আবার রেখেও দিল খানিক বাদে। স্রোতের পাশে বসা ভদ্রলোক হরহর করে বলা শুরু করলেন,
“ আমার জমিজমা সংক্রান্ত একটু সমস্যা হয়েছে..”
ভদ্রলোক নিজের সমস্যা খুলে বললেন। স্রোত সেসবে কানও দিলনা। ঘুরেফিরে একসময় তার চোখ গেল টেবিলের এক পাশে। কালো একটা মোটা নেমপ্লেট। গোটা-গোটা অক্ষরে লেখা “নায়ীব ইয়াকীন” এরপর তার চঞ্চল চোখ ছুটল ইন্সপেক্টরের ড্রেসের নেমপ্লেটে। ছোট্ট করে লেখা “ইয়াকীন”। সে এক ভ্রু কপালে তুলল। নায়ীব নামটা তো বেশি সুন্দর, ইউনিক। সেটা কেনো সেখানে ঠাই পেলনা?
ভাবনার মধ্যেই দেখা গেল, ভদ্রলোকের কথা শেষ হয়েছে। তিনি উঠে গেলেন। যাওয়ার আগে স্রোতের দিকে বাঁকা চোখে তাকালেন। স্রোত মিষ্টি হেসে বলল,
“ ভালো থাকবেন আংকেল। আবার দেখা হবে।”
সে নড়েচড়ে বসে সামনে তাকাতেই দেখল ‘নায়ীব ইয়াকীন’ নামের মানুষটি তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। সে মুখ খুলার পূর্বেই সে প্রশ্ন ছুঁড়ে,
“ আপনি উনার সঙ্গে আসেন নি?”
“ জ্বী, না। আমি উনাকে চিনিনা।”
তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে নায়ীব। বলে,
“ বলুন কি সমস্যা।”
“ আমার ফোন চু রি হয়েছে। সাথে পার্সও।”
“ এই রিপোর্ট তো বাইরে কনস্টেবলদের কাছে লেখালেই পারতেন। চু-রি, টুরির খবর সেখানেই লেখা হয় সাধারণত।”
“ জ্বী, জানি। তবে আমার মনে হয়েছে সিনিয়র ইন্সপেক্টর কাউকে জানানো উচিত। নাহলে কেউ এত আমলে নিবেনা। পার্সে আমার আইডিকার্ড আর কিছু ক্যাশ টাকা ছিল। টাকা না ফেরত এলেও আইডি কার্ডটা প্রয়োজন খুব। আর ফোনটাও অতিব জরুরী।”
এক নিঃশ্বাসে কথা বলে থামে স্রোত। কথা তার শেষ। এখন অপেক্ষা নায়ীবের প্রত্যুত্তরের। সে তাকিয়ে রয়। নায়ীব খানিক্ষণ বাদে আচমকাই হেলে বসে সামনের দিকে। দু হাত টেবিলে রেখে সামান্য হেসে বলে,
“ আপনার কেন মনে হল আমিই এই বিষয়টা বেশি আমলে নিব?”
থতমত খেল স্রোত। গম্ভীর চোখে তাকাল। উত্তর সাজিয়ে বলল,
“ আপনাদের কাজই তো তাই।”
“ কনস্টেবলরাও পুলিশ। বাইরে রিপোর্ট লিখিয়ে যান, যা যা প্রশ্ন করবে সঠিক অ্যান্সার দিন। বাকিটা আমাদের উপর।”
স্রোত ব্যাগ হাতে নিয়ে উঠে পড়ল। ‘ধন্যবাদ’ দিতে গিয়েও দিলনা। লোকটা তো তার কোনো উপকারই করলনা। এর চেয়ে ভালো কনস্টেবল কাউকে ধন্যবাদ দিবে। করলও তাই। বাইরে এসে রিপোর্ট লিখাল। নাম্বারটাও দিয়ে এল। এখন যাবে সিম তুলতে। নতুন একটা ফোন তো কিনতেই হবে। কে জানে, চো র হয়তো এতদিনে ফোন বিক্রি করে ফেলেছে! বড্ড হতাশা নিয়ে থানা থেকে বেরোলো ও।
… …
নায়ীব অনেক্ষণ পর ফ্রি হয়েছে। আজকে এত কেস,রিপোর্ট আসছে! সে রীতিমতো বিরক্ত। হাঁপিয়ে উঠেছে। তার উপর দিনটা কেমন উত্তপ্ত যেন। নীল শার্টটার উপরের একটা বাটন খুলে সে হেলে বসল। টেবিলের ওপর রাখা ছোট্ট বাটনে চাপ দিতেই অদ্ভুত এলার্ম শোনা গেল। মিনিটের মাথায় ছুটে এল এক কনস্টেবল। নায়ীব চোখ বন্ধ করে বলল,
“ এক কাপ চা হবে?”
“ জ্বী, স্যার। আমি বলছি, পাঠিয়ে দিবে।”
খানিক্ষণ পর সে-ই চা নিয়ে এল। যদিও এ কাজ তার নয়। নায়ীব সোজা হয়ে বসল। চায়ে চুমুক দেয়ার পূর্বে জিজ্ঞেস করল,
“ কিছু বলবে,জিহাদ?”
“ স্যার, একটু আগে যে মেয়েটা এসে রিপোর্ট লেখাল চুরির, রীতিমতো থ্রেট দিয়েছে স্যার। দুদিনের ভেতরই নাকি তার ফোন,পার্স লাগবে।”
নায়ীব আশ্চর্য হলো বেশ। মেয়েটাকে দেখে তো নম্র লাগল। এ মেয়ে থ্রেট দিয়ে গেছে! অবিশ্বাস্য! পরক্ষণে নায়ীবের মনে পড়ল, সে মানুষ চিনতে বড্ড আনাড়ি! নাক-মুখ কুঁচকে সে চায়ে ফের চুমুক দিল। জিহাদ এখনও দাঁড়িয়ে। নায়ীব অকারণেই তাকে বসতে বলল। চা পান করার ফাঁকে প্রশ্ন করল,
“ কি কি ডিটেইলস রাখলে?”
“ ঠিকানা নিয়েছি স্যার। বাসে উঠেছিল,ভার্সিটির সামনে থেকে। নামার পর খেয়াল হয়েছে পার্সও নেই,ফোনও নেই। আর একটা ছেলে দৌঁড়ে যাচ্ছে। সে-ই চো-র।”
“ চেহারা দেখেছে?”
“ তা-তো বলেনি, স্যার।”
“ তুমি জিজ্ঞেস করবেনা?” রুঢ় স্বর। স্যার হঠাৎই কঠিন গলায় কথা বলে। জিহাদেরই দোষ। এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সে ভুলল কিকরে!
সে কাচুমাচু মুখে বলল,
“ জেনে নিব, স্যার।”
“ জেনে আমাকে জানাও। একটা কাজও তোমাকে দিয়ে ঠিকঠাক মত হয়না, জিহাদ। যাও এখন।”
জিহাদ নম্র ভাবে উঠে চলে এল। স্যার প্রত্যেকবারই বলেন তাকে দিয়ে কাজ ঠিকঠাক মত হয়না। মানুষ মাত্রই তো ভুল! সে কি রোবট নাকি! গম্ভীর মুখে নিজের ডেস্কে এসে বসল জিহাদ। খাতা বের করে মেয়েটার নাম্বার বের করল। চটপটে হাতে কল লাগাল।
স্রোত সিম তুলেছে। কম দামি একটা ফোনও কিনেছে কয়দিন চলার জন্য। পুরোনোটা ফেরত পেলেই এটার কাজ শেষ। সিম ভরতেই প্রথম কল অপরিচিত নাম্বার থেকে আসছে দেখে বেশ বিচলিত হলো সে। তারপর রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে শোনা গেল পুরুষালী একটি গলা,
“ আমি থানা থেকে বলছি, আপনি কি স্রোতশ্রী বিনতে সাঈম?”
“জ্বি, আমার পার্স আর ফোন পেয়েছেন?”
চঞ্চল গলা। জিহাদ খানিকটা বিরক্ত হল। এই ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে কি আসমান থেকে চো রকে ধরবে নাকি তারা!
“ না, আমাদের একটা তথ্য লাগবে। আপনি কি চো রকে দেখেছেন?চেহারা মনে আছে?”
খানিক্ষণ বাদে স্রোত জবাব দেয়,
“ জ্বি, আছে।”
“ থানায় এসে স্কেচ বানালে আমরা কাজ শুরু করব।”
“ তো এটা আগে বললে..”— বাক্যটি সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন! বিক্ষিপ্ত মেজাজে ফোনের দিকে তাকাল স্রোত। ইচ্ছে তো করছে এই কল দাতাকে গিয়ে কেলিয়ে আসতে! আফসোস! তা অসম্ভব। বিড়বিড় করতে করতে আবার উল্টো পথ ধরল স্রোত। এখন আবার থানায় যেতে হবে! দ্বিগুণ ভাড়া! হোস্টেলে ফিরতেও আজ দেরী হবে!
দিনটাই যেন অসহ্যকর!
… …
সন্ধ্যা সন্ধ্যা রব। নায়ীব আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়ায়। বাইরে থেকে বেশ উচ্চস্বরে কিছু কণ্ঠ ভেসে আসছে। মেয়েলি একটা কণ্ঠ নায়ীবের নিকট পরিচিত ঠেকল বলে সে বেরিয়ে এল। পা জোড়া থামাল এরপর। তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে দেখল, স্কেচ আর্টিস্টের কপালের ঘাম ছুটছে। পাশে একটি মেয়ে দাঁড়ানো। সে-ও বিরক্ত। জিহাদও প্রচন্ড গম্ভীর। বাকি কনস্টেবলরা তাদের কাজে ব্যস্ত।
মেয়েটা আর্টিস্টের কাজে বিরক্ত। সে বলছে এক, আর্টিস্ট আঁকছে আরেক। চো রের চেহারা থোড়াই এমন! শেষমেশ আর্টিস্ট হাল ছাড়ল। স্রোত দীর্ঘশ্বাস ফেলে আওড়ালো,
“ বাজে আর্টিস্ট!”
জিহাদ আর্টিস্টকে বলল,
“ ভাই আপনি চলে যান।”
“ আর ম্যাডাম, আপনিও আসুন। চো রের খবর পেলে অবশ্যই জানাব।”
স্রোত তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল জিহাদের দিকে। কিছু বলার পূর্বেই আগমন হলো আরেক পক্ষের।
নায়ীব বেশ রাশভারি গলায় বলল,
“ আপনি একটু আমার সঙ্গে আসুন।”
নায়ীব পিছু ঘুরে নিজের ডেস্কের দিকে পা বাড়াল।
“ আমি?”— স্রোতের আশ্চর্য হওয়া দেখে জিহাদই জবাব দিল,
“ যান,স্যার ডাকছে।”
স্রোত পা বাড়াল। দরজার পাশটায় গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“ আসব?”
“ আসুন।”
স্রোত চঞ্চল পায়ে এগিয়ে এসে বসেই পড়ল। ব্যথায় পা টনটন করছে। নায়ীব সেসবে পাত্তা দিলনা অবশ্য। জিজ্ঞেস করল,
“ আপনার নাম?”
“জ্বি?”
স্রোত অবাক হল বেশ। পরক্ষণে চটপট উত্তর দিল,
“ জ্বি, আমার নাম স্রোতশ্রী।”
“ মিসেস.স্রোতশ্রী, পুলিশের কিছু গাইডলাইনস আছে। কাজের ধারা আছে। আমরা আমাদের মত কাজ করি। কাজ করতে সময় প্রয়োজন। দু এক ঘন্টার ভেতর তো আমরা সাহায্য করতে পারবনা। তাই ভালো হবে, আমাদের সময় দিলে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটাই চেষ্টা করি।”
গম্ভীর স্বর। বোঝাই গেল মানুষটা স্রোতের উপর চরম বিরক্ত। স্রোতের তাতে যায় আসেনা। তার দরকার ফোন আর পার্স! কত মহামূল্যবান সেগুলো! সে খানিকটা নিভে আসা গলায় বলল,
“ বুঝতে পেরেছি, তবে আপনারা আমাকে ভোগান্তিতে ফেললেন। কত্তদূর থেকে আবার আসতে হয়েছে স্কেচের জন্য। অথচ আর্টিস্ট ঠিকঠাক মত তার কাজই করতে পারলনা।” সে বড্ড হতাশ, কণ্ঠেই বোঝা গেল।
নায়ীব দম ফেলে বলে,
“ দুঃখিত,মিসেস স্রোতশ্রী। আমরা চেষ্টা করছি। খুব শীঘ্রই আপনি আপনার জিনিস পেয়ে যাবেন। এবার আসতে পারেন।”
স্রোত উঠে দাঁড়ায়। দরজার পাশটায় গিয়ে একবার ফিরে তাকাল। ছোট-ছোট চোখে দেখে নিল নায়ীবকে। অসন্তোষ নাকি বোঝা গেল না। তবে সেকেন্ড খানিকের মাথায় নায়ীবের কানে ভেসে এল সেই রিনরিনে গলার স্বর,
“ আমি মিসেস নই। শুধু মিস.।”
নায়ীব ক্লান্ত হয়ে চোখ বন্ধ করেছিল। কণ্ঠ শুনে ফট করে চোখ খুলতেই দেখল মেয়েটি নেই। সেকেন্ডের মাথায় গায়েব! স্ট্রেঞ্জ!
চলবে.