গ্যারাকলে জোৎস্নারাত পর্ব-১০ এবং শেষ পর্ব

0
665

#গ্যারাকলে_জোৎস্নারাত
#লেখিকা_সিনথিয়া_জাহান
#পর্বঃ১০ (এন্ডিং পর্ব)

বিয়ের পর নতুন দুই দম্পতি সিদ্দিকী পরিবারে চলে এসেছে ৷ গত পরশুও যে বাড়ি শুনশান নিরবতায় ছেঁয়ে গিয়েছিল সেই বাড়ি আজ হাসি, খুশিতে গমগম করছে ৷ নিলয় সোফায় বসে আছে ৷ কিছুক্ষণ আগে জোবায়ের সিদ্দিকীর সাথে বাগানে খোশগল্পে মেতে ছিল ৷ গুরবাজ সম্ভবত রুমে কিছু কাজ করছে ৷ পুলিশের তো আর এক মুহূর্তের জন্য রেস্ট নেই ৷

নিলয় চুপচাপ বসে ফোন চালাচ্ছিল ৷ এমন সময় জিম সেদিকে চলে আসল ৷ কিন্তু নিলয়ের দিকে নজর যেতেই ও উল্টো ঘুরে যেতে ধরল ৷ তা দেখে নিলয় ভ্রু কুঁচকে বলল,,,

এই যে শালাবাবু কোথায় পালাচ্ছ? আমার কাছে চলে আসো ৷

জিম অনিচ্ছা সত্ত্বেও দুলাভাইয়ের পাশে গিয়ে বসে পড়ল ৷ তবে ও গুটিশুটি মেরে মাথা নিচু করে বসে থাকল ৷ ওর অবস্থা দেখে নিলয় না হেসে পারল না ৷ ও ব্যঙ্গ করে বলতে লাগল,,,

তোমার বোনও তো মনে হয় না আমার সামনে এতোটা লজ্জা পায় যতটা তুমি পাচ্ছ!

জিম বিরবির করে বলল,,,পাচ্ছি কি আর সাধে? বাবা তো একপ্রকার আপনার সাথে আমার বিয়েই দিয়ে দিয়েছিল তাই লজ্জাই লাগে সামনাসামনি আসতে ৷

বিরবির করে বলায় নিলয় কিছুই শুনতে পেল না তাই ও কপাল কুঁচকে বলতে লাগল,,,

কি শালাবাবু কি ফুসুরফুসুর করছো? কোনোভাবে মনে মনে আমাকে গা**লি দিচ্ছ না তো?

জিম তৎক্ষণাৎ বলে উঠল,,না ৷ ভুল ভাবছেন ৷ নিজের প্রিয়তম কে কেউ গা*লি দিতে পারে?

শেষের কথাটা জিম বিরবির করে বলল ৷ ফলে নিলয় এর বোধগম্য হলো না ৷ তাই ও বলতে লাগল,,,

এই তো আবারও গা**লি দিচ্ছ আমাকে! তোমরা দুই ভাইবোন দেখি আমার পিছনে না পড়লে শান্তি পাও না ৷ রাতের মতো এতো ভদ্র মেয়ের ভাইবোন তোমরা কিভাবে হলে?

জিম বসা থেকে উঠে বলল,,,সেটা আব্বু ভালো বলতে পারবে ৷

কথাটা বলেই জিম বুলেট ট্রেনের গতিতে জায়গা ত্যাগ করল ৷ নিলয় কিছু বলার সুযোগও পেল না ৷ একটু পর সিড়ি বেয়ে জোৎস্না নেমে আসল না মানে ওটা রাতও হতে পারে ৷ তবুও নিলয় ওকে নিজেরটা ভেবে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরেকজন নামতে লাগল ৷ দুজনের পড়নেই একই পোশাক আর মুখের এক্সপ্রেশনও একরকম লাগছে আজ ৷ নিলয় দারুন ফ্যাসাদে পড়ে গেল , গুরবাজও নেই যে যার থেকে সুলটি বুলটি দিয়ে কথা বের করবে ৷

নিলয় সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত জোৎস্না ইচ্ছা করেই এমন করেছে ওকে পরীক্ষা করার জন্য ৷ ও সবই বোঝে কিন্তু নিজের বউকে চিনতে পারে না এটাই সমস্যা ৷ একজন রান্নাঘরে চলে গেল , অবশ্য রান্নাঘরের সব ড্রয়িংরুম থেকে স্পষ্ট দেখা যায় ৷ অন্যদিকে আরেকজন ওর থেকে দূরের এক সোফায় বসে ফোন চালাতে লাগল ৷

নিলয় সিউর ফোনে ব্যস্ত থাকা ব্যক্তিটা জোৎস্না আর রান্নাঘরে থাকা মেয়েটা রাত ৷ এতে কোনো সন্দেহ নেই তবুও নিলয় কোনোপ্রকার রিস্ক নিতে চায় না ৷ তাই নিজের মাথা থেকে দারুন এক বুদ্ধি বের করল ৷ সেই বুদ্ধি মোতাবেক ও শব্দ করতে করতে নিজের পকেট থেকে কয়েকটা আপেল বের করল ৷ ওগুলো ও নিজের সুরক্ষার জন্যই রেখেছিল ৷

নিলয় আপেলে একটা কামড় দেওয়ার ন্যানো সেকেন্ড এর মধ্যে রান্নাঘরে থাকা মেয়েটা দৌঁড়ে এসে ওর হাত থেকে আপেলগুলো কেড়ে নিয়ে গপাগপ খেতে লাগল ৷ নিলয় হতভম্ভ হয়ে গেল ৷ ওর আত্মবিশ্বাসী ধারনা যে এভাবে উল্টে গিয়ে পাল্টে যাবে সেটা কে জানত!

রাত ফোন থেকে মনোযোগ সরিয়ে জোৎস্নার অবস্থা দেখে আহাম্মক হয়ে কিছুক্ষণ ওকে দেখার পর হাসতে লাগল ৷ নিলয় নিজের হতভম্ভ ভাব খানিকটা কাটিয়ে বলতে লাগল,,

আশ্চর্য আমার খাদকবতী রান্নাঘরে কি করছিল?

জোৎস্না আপেল খেতে খেতে বলতে লাগল,, আপনার জন্য নিজের হাতে কফি বানাচ্ছিলাম ৷

নিলয় খাদকবতীর থেকে নজর সরিয়ে হাসতে থাকা রাতের দিকে তাকিয়ে বলল,,,

তুমি আমার সাথে একটাও কথা বললে না কেন?

রাত হাসি থামিয়ে বলল,,, আমার কোনো দোষ নেই ভাইয়া ৷ জোৎস্নাই আমাকে এমন টা করতে বলেছিল ৷

জোৎস্না গপাগপ আপেল খেতে খেতে বলল,,, এটা কিন্তু চিটিং টিউবলাইট! আপনি এভাবে আপেলের ফায়দা তুলতে পারেন না ৷

তো তুমিও এভাবে জমজের ফায়দা তুলতে পারো না!

আমি মেয়ে, আমি তুলতে পারব ৷ আপনি পারবেন না ৷ দুলা ব্রো তো দেখলেই চিনতে পারে তাহলে আপনাকে কেন আপেলের থেকে সাহায্য নিতে হবে?

গুরবাজের প্রসঙ্গ আসতেই রাত লজ্জা পেয়ে গেল ৷ ওদের কিভাবে বলবে যে গুরবাজ ওকে সবসময় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে?

নিলয় বলতে লাগল,,, আপেল নিজে থেকে সাহায্য করতে চেয়েছিল তাই মানা করতে পারিনি ৷

জোৎস্না খাওয়া বাদ দিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলতে লাগল,,,বাজে কথা বলে পার পেয়ে যাবেন ভেবেছেন?

আরে বাবা আমি তোমার দুলা ব্রোর মতো এতো সুক্ষ্ম দর্শী হলে পুলিশের চাকরিই করতাম ঠিক আছে? তা বাদেও তোমাকে চিনতে পারাটাই তো আসল ব্যাপার ৷ এখন সেটা আমি কিভাবে করি করি ৷

জোৎস্না কিছু বলল না কারন নিলয়ের কথায় লজিক তো আছেই ৷ তাই ও কফি বানানোর ছল দেখিয়ে কেটে পড়ল ৷ অন্যদিকে রাত ওদের কান্ড বেশ ইনজয় করছিল কিন্তু ফোনে একটা মেসেজ এসে ওর মনোযোগ বিঘ্নিত করল ৷ গুরবাজ লিখেছে,

রুমে আসো রাত সিদ্দিকী ৷ জরুরী দরকার ৷

রাত তৎক্ষণাৎ উপরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল ৷ ও চলে যেতেই নিলয় রান্নাঘরে চলে গেল ৷ অবশ্য আসার আগে ভালোভাবে দেখে নিল আশেপাশে কেউ আছে কিনা ৷ কেউ নেই তাই ও নির্দ্বিধায় জোৎস্নাকে গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরল ৷ হঠাৎ এমন স্পর্শে জোৎস্না চমকে উঠল, ব্যস্ত কন্ঠে বলতে লাগল,,,

কি করছেন? কেউ দেখে ফেলবে ৷

নিলয় জোৎস্নার ঘাড়ে চুমু খেয়ে বলল,, কেউ নেই ৷

জোৎস্না তবুও বাধা দিতে লাগল ৷ কিন্তু নিলয় নাছোড় বান্দা ৷ ও ছাড়ল না বরং জোৎস্নাকে নিজের দিকে ঘোরাল ৷ একটু আগের খাদকবতী আর ঝগড়ুটে জোৎস্না এখন লজ্জায় কেমন মিইয়ে গেছে! নিলয় সেই লাজুক লতাকে আরেকটু লজ্জা দেওয়ার জন্য ওর ওষ্ঠপুটে চুম্মন করতে লাগল ৷

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

কোনো জরুরী দরকার আছে ভেবে রাত চট জলদি চলে এসেছে ৷ কিন্তু আসার সাথেই বুঝল ও মারাত্মক ভুল করে ফেলেছে ৷ ও রুমে প্রবেশ করতেই গুরবাজ দরজা বন্ধ করে দিয়ে রাতকে জরিয়ে ধরল ৷ রাত অস্ফুট স্বরে বলল,,,

এই ছিল জরুরী দরকার?

হু ৷ অনেক জরুরি দরকার ৷ বউশূণ্যতায় ভুগছিলাম আমি!

রাত নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে গুরবাজ নিজে থেকে ওকে ছাড়িয়ে দিল তবে নিজের হাতের মুষ্টি থেকে মুক্তি দিল না ৷ ও গভীর নজরে রাতের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে ওর ওষ্ঠের দিকে নিজের ওষ্ঠ নিয়ে যেতে লাগল ৷ পরিশেষে ওষ্ঠদ্বয় মিলিত হয়ে গেল ৷ বেশ কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে রাত লজ্জায় লাল হয়ে গেল ৷ ও কাটকাট গলায় বলতে লাগল,,,

আপনি পুলিশও না, আপনি মানুষও না ৷ আপনি হচ্ছেন নির্লজ্জ!

গুরবাজ ঠোঁট মুছছিল ৷ বউয়ের কথা শুনে জোরে জোরে হাসতে লাগল ৷ সেই হাসির দিকে তাকিয়ে রাত বরাবরের মতো মুগ্ধ হয়ে গেল ৷এই লোকটাকে হাসলে অনেক সুন্দর লাগে ৷ রাত নিজের মুগ্ধতা কাটিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলতে লাগল,,,

ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ আর আপনি একই কোয়ালিটির ৷ হাসান মাহমুদও বিয়ের আগে হাসত না কিন্তু বিয়ের পরদিন থেকেই হাসা শুরু করে দিয়েছে ৷

গুরবাজ হাসি থামিয়ে বলল,,তোমার নজর সবদিকেই আছে দেখছি!

থাকবে না কেন? হাসান মাহমুদ প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান কষ্ট পাবে জন্য হাসত না আর আপনি সময়ের অভাবে হাসতেন না ৷ কিন্তু দুজনেই ভুয়া ৷ আসলে আপনাদের বউ পাওয়ার কুরকুরি উঠেছিল তাই হাসতেন না ৷ না হেসে পরিবারকে বোঝাতেন যে আমাকে বউ দাও ৷

গুরবাজ জোরে হেসে ফেলল ৷ বউয়ের থেকে প্রথম বার এতো এতো কথা শুনে নিজের হাসি আটকাতে পারল না ও ৷

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

কয়েক বছর অতিক্রম হয়ে গেছে ৷ জোৎস্নারাতের সংসার বেশ ভালোভাবেই কেটেছে এবং কাটছে ৷ ওহ হ্যাঁ ওদের দু বোনের কোল আলো করে দুটো মিষ্টি মিষ্টি মেয়ে এসেছে ৷ অবাক করা বিষয় ওদের বাচ্চারা একই দিনে পৃথিবীতে পদার্পণ করেছে ৷ নিলয় আর জোৎস্নার মেয়ের নাম নূর মাহমুদ ৷ অন্যদিকে রাত আর গুরবাজের মেয়ের নাম গুঞ্জন মেহতাব ৷

আজ দু বছরের ছোট্ট ছোট্ট গুঞ্জন আর নুর নিজেদের নানু বাড়িতে এসেছে বাবা মা কে সাথে নিয়ে ৷ ওরা নানার কোলে আধিপত্য গড়ে তুলল আসার সাথে সাথেই ৷ জোবায়ের সিদ্দিকী দুজনকে দুই কোলে নিয়ে বলতে লাগলেন,,,

আমার সোনামণি রা কত বড় হয়ে গেছে! আমার নিলয় আর গুরবাজ মামনি এখন হাঁটা শিখেছে ৷

ছোট বাচ্চা দুটো নানার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হাসতে লাগল ৷ তবে বাচ্চাদের বাবা মায়ের কটমট নজর থেকে বাঁচতে পারলেন না জোবায়ের সিদ্দিকী ৷ সবার হয়ে জোৎস্না কঠিন গলায় বলতে লাগল,,,

বাবা! ওদের মুখে কি কোনোপ্রকার দাঁড়ি চোখে পড়ছে তোমার? দুলা ব্রো আর উনার ফটোকপি কি তোমার কোলে চড়ে আছে?

জোবায়ের সিদ্দিকী থতমত খেয়ে গেলেন ৷ উনি নাতনি দের নিয়ে বাগানের দিকে চলে গেলেন সবার এমন কুটিল দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য ৷ ওদিকে ১৫ বছরের জিম মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলতে লাগল,,,

যাক বাবা! আমার নাম নেয়নি এবার ৷ নয়তো সম্পর্ক এক পলকে উল্টেপাল্টে যেত!

নিজের স্বস্তি লুকিয়ে জিম বোন আর বোন জামাইয়ের সাথে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলল ৷ অতঃপর সকলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য উপরে চলে গেল ৷ ওরা চলে যাওয়ার অনেকক্ষন পর নূর আর গুঞ্জন গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে ড্রয়িংরুমে চলে আসল ৷ দু বোনে চাইনিজ ভাষায় নিজেদের সাথে কথা বলছে যেটা বোঝার ক্ষমতা স্বয়ং চাইনিজদেরও নেই ৷

নিজেদের মধ্যে জরুরী কথাবার্তা অব্যাহত রেখে ওরা আধো আধো বুলিয়ে বলতে লাগল,,,

মামম মা , মামম মা ৷

অনেকবার ডাকার পরও জবাব না পেয়ে দু বোন নিজেদের মধ্যে শলা পরামর্শ করে ডাক পরিবর্তন করে বলতে লাগল,,,

বাবব বা ৷

একটু পর গুরবাজ আর নিলয় নিচে নেমে আসল ৷ হাসিমুখে নিজেদের মেয়েদের কোলে তুলে নিয়ে ওদের নরম নরম গালে টপাটপ চুমু খেতে লাগল ৷ আর বাচ্চা দুটো খিলখিল করে হাসতে লাগল ৷ বাবার থেকে আদর পাওয়ার মাঝেই ওদের মাম্মারাও চলে আসল ৷ কিন্তু জোৎস্না রাতের একই পোশাক পড়া দেখে ওদের বাবাদের ভ্রু কুঁচকে গেল ৷ নিলয় বিরবির করে বলতে লাগল,,,

নিজের বাড়িতে আসলেই আমাকে কনফিউজ করা শুরু করে দেয় এই খাদকবতী!

তবে জোৎস্নারাত নিজেরাও নিজেদের দেখে অবাক হয়ে গেল ৷ কাকতালীয়ভাবে ওদের পোশাক মিলে গেছে আজকে ৷ মায়েদের দেখতেই গুঞ্জন আর নূর ওদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল ৷ ওরা গিয়ে নিজেদের মেয়েকে কোলে তুলে নিল ৷ তবে হুট করে নূর পিছনে রাতকে দেখে ক্ষণকাল চুপ করে থেকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,,,

মামম মা ৷

রাত প্রথম দফায় অবাক হলেও বুঝে গেল নূর ওকে জোৎস্না ভাবছে ৷ এদিকে গুঞ্জনও একই ভুল করে জোৎস্নাকে নিজের মাম্মা ভাবছে ৷ ওরা কোল পরিবর্তন না করায় নূর আর গুঞ্জন কান্না শুরু করে দিল ৷ তাই চট জলদি রাত জোৎস্নার মেয়েকে আর জোৎস্না রাতের মেয়েকে কোলে তুলে নিল ৷ একটু পর আবারও দ্বিতীয় জনের দিকে নজর গেলে ওরা কোল পরিবর্তন করার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দিল ৷ এভাবে ননস্টপ কোল পাল্টাপাল্টি চলতেই থাকল ৷

জোৎস্নারাত ক্লান্ত হয়ে গেল এসব করতে করতে কিন্তু অবুঝ বাচ্চারা এখনও কনফিউজনে ভুগছে আর কোল পরিবর্তন করে চলেছে ৷ ওদের অবস্থা দেখে গুরবাজ আর নিলয় বহু কষ্টে হাসি আটকে রেখেছে ৷ এক পর্যায়ে ওরা দুজন জোরে হেসে ফেলে বলল,,,

গ্যারাকলে জোৎস্নারাত!

~~সমাপ্ত~~~