#_ঘর_কুটুম_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_৩_
নিস্তব্ধতার মাঝেও ঘড়ির টিকটিক শব্দ ভেসে আসছে। অরুনিমার ছোট্ট ফ্লাটে সেই শব্দ ছড়িয়ে পড়ছে। ছিমছাম ফ্লাট, কোনো বাড়াবাড়ি রকমের সাজসজ্জা নেই। তবে বেশ কয়েকটা বুক-শেল্ফ আছে। বিছানার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক গুলো পরীক্ষার খাতা। মাঝে বসে আছে অরুনিমা। চোখে চশমা, হাতে লাল কালী, কপাল হালকা কুঁচকানো। একটা খাতা দেখছে মনোযোগ দিয়ে। কলমের ক্যাপে আলতো করে ছুঁয়ে দিচ্ছে ঠোট। সে এমন শিক্ষিকা, যে ছাত্র ছাত্রীদের মার্কিংয়ের সময় কখনো আবেগ বা আলসেমিকে প্রশ্রয় দেয় না। প্রতিটি উত্তরপত্রে যেমন যত্ন করে ছাত্র লিখেছে, অরুনিমাও ঠিক ততোটাই মনোযোগ দিয়ে দেখে। কারোর প্রাপ্য নাম্বার থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না, এইটাই তার নীতি।
পিঠে হালকা ব্যাথা অনুভব করে অরুনিমা। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে দেওয়ালের ঘড়িতে সকাল ৮টা। সময় হয়ে গেছে। কলেজ যেতে হবে। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে খাতা গুছিয়ে নেয় সে। গোসল সেরে, নিজের মতো একটা সহজ প্রাতরাশ তৈরি করে। ডিম সিদ্ধ, পাউরুটি জ্যাম, চা। খেতে খেতে একটু ফোনে নিউজ দেখে সে। খাওয়া শেষ করে হালকা সবুজ রঙের সালোয়ার কামিজ পরে, ভেজা চুল গুলো পিঠের উপর ছেড়ে দেয়। চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক লাগায়। অরুনিমাকে দেখে কেউ বলবে না সে একজন কলেজ শিক্ষিকা, ভার্সিটি স্টুডেন্টই বলবে। সব কিছু গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে।
রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছে অরুনিমা। বাস স্টপ সামনেই। সেখান থেকে বাসে উঠবে। কিন্তু, হঠাৎ পথের মোড় ঘুরতেই চোখ আটকে যায় এক অস্বাভাবিক দৃশ্যে। একটা সাদা গাড়ি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে আছে। ভাঙা কাচ আশেপাশে ছড়িয়ে আছে। মানুষের ভিড় জমেছে। কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছে, ছবি তুলছে, কেউ দাড়িয়ে কৌতুহলে তাকিয়ে আছে। অরুনিমা থমকে দাড়ায়। গাড়ির ভেতর একজনের অস্ত্বিত্ব বোঝা যাচ্ছে। ভিড়ের মধ্যে গর্জে ওঠে অরুনিমা,
–” একজন মানুষ এক্সিডেন্ট করে পড়ে আছে। আর আপনারা সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছন?”
একজন মধ্যবয়সী লোক ঠোট কুঁচকে বলে,
–” ম্যাডাম, এইসবে পুলিশ কেস হয়। রিস্ক আছে।”
অরুনিমা চোখে আগুন নিয়ে বলে,
–” রিস্ক? আপনারা রিস্কের ভয় দেখেন? আর সেখানে একজন মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আপনারা মানুষ তো? এইভাবে যদি আপনাদের ভাই, ছেলে বা স্বামী থাকতো? তখনও কি রিস্কের ভয়ে দাড়িয়ে থাকতেন এইভাবে?”
চারপাশ চুপচাপ। কারোর মুখে কথা নেই। অরুনিমা গাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। গাড়ির কাচ চাপ দিয়ে সরিয়ে সে ভেতরে তাকায়। একটা যুবক। কপালের জখম থেকে রক্ত গড়িয়ে মুখে মেখে আছে। অরুনিমার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। সে হাত বাড়িয়ে শ্বাস পরীক্ষা করে। জীবিত। কয়েকজন সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। যুবকটিকে গাড়ি থেকে বের করে সবাই মিলে। রক্তের জন্য মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। অরুনিমা সেই অচেনা যুবকটিকে সাথে করে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
…
হাসপাতালের করিডোরটা নিস্তব্ধ। যেন গলার ভেতর আটকে থাকা দীর্গশ্বাসের মতো। মাঝে মাঝে কোথাও দুরে একটা স্ট্রেচার গড়িয়ে যাওয়ার শব্দ, কখনো বা নার্সদের পদচারণার শব্দ, আবার কখনো গলা চেপে ধরা কান্নার গুঞ্জন ভেসে আসে। এই অদ্ভুত পরিবেশের মাঝখানে এক কোণে নিঃশব্দে বসে আছে অরুনিমা।
অরুনিমার ঠিক সামনে একটা দরজা। যার ভেতর চিকিৎসা চলছে সেই অচেনা যুবকের। যার নাম টুকুও জানে না সে। হাসপাতালে রোগীর পরিচয় জানতে চাইলে নিজের বন্ধু বলে পরিচয় দিয়েছে অরুনিমা। মিথ্যা বলেছে ঠিকই, কিন্তু এমন একটা অবস্থায় মিথ্যার দায় নিতে তার দ্বিধা হয়নি। অবশ্য কেউ কিছু বলেনি। এক্সিডেন্ট কেস, তাই চিকিৎসা দ্রুত শুরু হয়েছিলো। হাত গুটিয়ে বসে আছে অরুনিমা। পায়ের পাতাগুলো বার বার মেঝেতে আঘাত করে যাচ্ছে অস্থিরতায়। লোকটার কাছে কোন ফোনও পায়নি। হয়তো দূর্ঘটনার সময় কোথাও পড়ে গেছে। এমনকি লোকটাও মুখও ভালো করে দেখেনি সে। র*ক্তে ঢেকে ছিলো সব।
আজ আর কলেজ যাওয়া হয়নি অরুনিমার। নিজেই ফোন করে ছুটি নিয়েছে। বিবেকের গলায় একরকম বাঁধা পড়ে আছে। এই অবস্থায় কাউকে ফেলে রেখে যাওয়া সম্ভব না। সময় গড়িয়ে কিছুক্ষণ পর একজন ডাক্তার বেরিয়ে এলেন। অরুনিমা দ্রুত উঠে এগিয়ে যায় তার দিকে। ব্যস্ত কন্ঠে বলে,
–” ডক্টর! পেশেন্টের কি অবস্থা?”
–” এখনো জ্ঞান ফেরেনি। মাথায় আঘাত পেয়েছে। হাতেও একটু ফ্রাকচার হয়েছে। উনার পরিবাড থেকে এখনো কেউ আসেনি?”
প্রশ্নটা শুনে চুপ করে যায় অরুনিমা। কী উত্তর দেবে সে? সে তো কিছুই জানে না। না পরিচয়, না নাম, না পরিবার সম্পর্কে। অল্প সময় চুপ করে থেকে ধীরে বললো,
–” আসলে, ওনার পরিবারকে এখনো জানায়নি আমি। এখন জানাবো।”
–” আচ্ছা! আপনার বন্ধুর ফিরে আসবে কিছু সময়ের মধ্যে। তখন আপনি চাইলে দেখা করে আসতে পারবেন।”
–” ঠিক আছে।”
মৃদু স্বরে জবাব দেয় অরুনিমা।
ডক্টর চলে যায়। অরুনিমা আবার গিয়ে করিডোরের চেয়ারে বসে। সময় গড়াতে থাকে। কাচঘেরা জানালার দিকে তাকায়। বাইরে গাড়ি চলাচল করছে, মানুষ চলাচল করছে, সব কিছুই যেন অন্য জগতের দৃশ্য। বেশ কিছুক্ষণ পর একজন নার্স এসে বলে,
–” ম্যাম! পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে। আপনি চাইলে এখন কেবিনে যেতে পারেন।”
অরুনিমা উঠে দাড়ায়। আস্তে করে কেবিনের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে। ঝকঝকে আলোয় ভরে থাকা কেবিন রুম। কেবিনের ভেতরটা ঠান্ডা, পরিচ্ছন্ন। দেওয়ালের পাশে ইনফিউশান স্ট্যান্ড, একপাশে মনিটর, বিছানার পাশে একটা মেশিন, যেটা ধীরে ধীরে হৃৎস্পন্দন পরিমাপ করছে। আর ঠিক মাঝখানে শুয়ে আছে সেই যুবক। চোখ বন্ধ, কপালে ব্যান্ডেজ। বুকের উপর রাখা হাতেও ব্যান্ডেজ। নিঃশ্বাসের উঠানামা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
অরুনিমার চোখ আটকে যায় ছেলেটার মুখে। এই প্রথমবার স্পষ্ট দেখছে তাকে। একদম মসৃণ তক, যেখানে এক্সিডেন্টের দাগ দেখা যায়। একদম ধবধবে ফরসা। এতো সুদর্শন ছেলেটি। ঠোঁট জোড়া হালকা কালচে গোলাপি। চুলগুলো হালকা বাদামি, ঢেউ খেলানো চুল ব্যান্ডেজের উপর ছড়িয়ে আছে এলোমেলো ভাবে। চোখ বন্ধ, তবুও চোখের পাপড়ি গুলো এতো ঘন আর লম্বা যেন নজর কাড়ে। এতো সুন্দর চোখের পাপড়ি একটা ছেলেরও হয়? বিদেশি নাকি ছেলেটা? না তাতো মনে হচ্ছে না। চেহারায় বাঙালি ভাব আছে। হতে পারে বাঙালি ছেলে বিদেশে থাকে বা বাবা মায়ের কেউ একজন বিদেশি।
অরুনিমা বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। সে কখনো কোনো ছেলেকে এতো খুঁটিয়ে দেখেনি আগে। নিজেকে নিজেই চিনতে পারে না এই মুহুর্তে। মনে হয় না, সে একজন কলেজ শিক্ষিকা। মনে হয়, যেন এক কিশোরী ভীষন কৌতুহল নিয়ে এক রহস্যময় মানুষকে দেখছে। সুদর্শন, এই শব্দটা এতোদিন শুধু বইয়ের পাতায় পড়া ছিলো। আজ যেন সেইটা চোখের সামনে। এতো সুন্দর ছেলে হয়? নিজের কল্পনার সীমা দেখে নিজেই হেসে ফেলে অরুনিমা। একটা মুখ দেখে মুহুর্তে এতো গবেষনা করে ফেলেছে সে। পরমুহূর্তেই নিজেকে তিরস্কার করে মাথা নাড়ে। মুহুর্তেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে সে।
অরুনিমা ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে বেডসাইডে রাখা চেয়ারে গিয়ে বসে। চেয়ারটা হালকা শব্দ করে উঠে। ঠিক তখনি ছেলেটা আস্তে করে চোখ মেলে তাকায়। প্রথমে চোখে ধাঁধা লাগে যেন, তারপর ধীরে ধীরে দৃষ্টি স্পষ্ট হয়। অরুনিমার দিকে তাকায় সে। কিছু সময় তাকিয়ে থাকে। ভ্রু কুচকে যায় তার, যেন কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করছে। অরুনিমার মনে হয়, এই চোখের মতো সুন্দর চোখ কোনো পুরুষের দেখছে কিনা সন্দেহ। ছেলেটি ধীরে বলে ওঠে,
–” আপনি কে?”
অরুনিমা হালকা কন্ঠে বললো,
–” আমি অরুনিমা! অরুনিমা শেখ। আপনি আমাকে চিনবেন না। যদিও আমিও আপনাকে চিনি না। আপনি রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে পড়েছিলেন। আমি আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।”
ছেলেটা ঘাড় ঘোরাতে গিয়ে ব্যাথায় চোখ মুখ কুচকিয়ে ফেলে। অরুনিমা তাড়াতাড়ি বলে,
–” কি হলো? ব্যাথা পাচ্ছেন?”
ছেলেটা একবার চোখ বন্ধ করে কিছুটা সময় নেয় নিজেকে সামলাতে। তারপর চোখ খুলে আবার তাকায় অরুনিমার দিকে। কিছু সময় চুপ করে থেকে বলে ওঠে,
–” ধন্যবাদ। কিন্তু, ওরা তো বললো, আমার বন্ধু আমাকে নিয়ে এসেছে।”
অরুনিমা একটা নিঃশ্বাস ফেলে। নিচু গলায় বললো,
–” মাফ করবেন। আমি বলেছিলাম, আপনি আমার বন্ধু। কারন, পরিচয় ছাড়া কেউ ভর্তি করছিলো না। আর আমিও আপনার নাম, ঠিকানা কিছুই জানি না। তখন সময় নষ্ট করার মতো অবস্থাও ছিলো না। তাই মিথ্যা বলতে হয়েছে।”
ছেলেটি একটু হেসে বলে,
–” সমস্যা নেই। বরং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অরুনিমাও হালকা হাসে। জবাব দেয়,
–” আপনার পরিবারের কারো নাম্বার যদি দেন, তাহলে আমি যোগাযোগ করতে পারি।”
ছেলেটা হালকা রসিক সুরে বলে,
–” আপনি আমার নামটা জানতে চাইলেন না?”
প্রশ্নটা অরুনিমাকে একটু অপ্রস্তুত করে দেয়। সে হালকা হকচকিয়ে যায়। চোখ সরিয়ে ফেলে। তারপর নিচু স্বরে নিজের ঠোঁট কামড়িয়ে চুপ করে থাকে। ছেলেটি অরুনিমার এমন প্রতিক্রিয়ায় হালকা হাসে। তারপর বলে,
–” আমি আরাভ খান। আমি বাংলাদেশে থাকি না। জন্ম লন্ডনে, আর ওখানেই বেড়ে উঠা। আমি এডাল্ট হওয়ার পর বাবা মা বাংলাদেশে পার্মানেন্টলি চলে আসেন। আমি মাঝে মাঝে দেশে আসি। বেশ কিছুদিন থাকি, তারপর আবার চলে যায়। বাংলাদেশ ও লন্ডন দুই জায়গায় আমাদের বিজনেস আছে। আমি লন্ডনেরটা দেখি আর বাবা চাচ্চু এখানেরটা দেখে। আমি আজ সকালে বাংলাদেশে ল্যান্ড করেছি। এইবার কাউকে না জানিয়ে এসেছি, সারপ্রাইজ দিবো জন্য। কিন্তু এরকম ভাবে এক্সিডেন্ট হয়ে গেলো। কেউ জানেও না আমি দেশে ফিরেছি।”
কথাগুলো বলে হালকা হাসে আরাভ। অরুনিমা সহানুভূতির কন্ঠে বললো,
–” ইশশশ! যাই হোক, আপনি এখন সুস্থ আছেন, এটাই আলহামদুলিল্লাহ। আপনার ফোনটা মনে হয় এক্সিডেন্টের সময় কোথাও পড়ে গেছে। আপনি চাইলে আমার ফোন থেকে আপনার পরিবারকে খবর দিতে পারেন।”
আরাভ ধন্যবাদ জানিয়ে ফোনটা নিয়ে কল করে। দুই মিনিটে কথা বলা শেষ করে ফোনটা অরুনিমাকে ফিরিয়ে দেয়। আরাভ স্বাভাবিক ভাবে বললো,
–” আপনি কি করেন?”
অরুনিমা হালকা হেসে বলে,
–” আমি একজন কলেজ শিক্ষিকা।”
আরাভ যেন বিস্ময়ে চোখ বড় করে ফেলে। কয়েক সেকেন্ড থেমে পুরো মুখে অবিশ্বাসের ছাপ এনে বললো,
–” সিরিয়াসলি? নাকি মজা করছেন?”
অরুনিমা এবার হেসে ফেলে।
–” মজা কেন করবো? সত্যি বলছি।”
–” আপনাকে দেখে আমি কোনো ভার্সিটির স্টুডেন্ট মনে করেছিলাম।”
অরুনিমা এবার একটু লজ্জা পায়। আরাভ একটু সতর্ক গলায় জিজ্ঞেস করে,
–” আপনি কি ম্যারিড?”
–” নাহ!”
আরাভ যেন কথাটা শুনে একটু হাসে। তারপর বলে,
–” আমার জন্য আপনার কলেজ মিস হয়ে গেলো না তো?”
–” সমস্যা নেই।”
সংক্ষিপ্ত জবাব দেয় অরুনিমা।
আরও কিছুক্ষণ কথা বার্তা চলে। বেশ স্বাভাবিক আর সহজ সরল আলাপ। অচেনা হলেও একধরনের অদ্ভুত হয়েছে দুইজনের মাঝে। অবশেষে অরুনিমা চেয়ার থেকে উঠে দাড়ায়।
–” আপনার ফ্যামিলি হয়তো এখনি চলে আসবে। আমি এখন আসি?”
আরাভ মৃদু গলায় বলে,
–” ইয়াহ, শিওর! আর কতক্ষণ আটকে রাখবো আপনাকে। আর হ্যা, থ্যাংকিউ।”
অরুনিমা হেসে জবাব দেয়,
–” মাই প্লেজার! ভালো থাকবেন। নিজের খেয়াল রাখবেন।”
অরুনিমা কেবিন থেকে বের হয়ে যায়। আরাভ তাকিয়ে দেখে তার চলে যাওয়া। পেছনে এলোমেলো চুল আর হালকা সবুজ সালোয়ার কামিজে সেই শ্যামলা নারী যেন তার চোখে স্থির হয়ে যায়। দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও তার চোখ সেখানেই আটকে থাকে। নিজে নিজে ফিসফিস করে বলে ওঠে,
–” শ্যামাবতী!”
#_চলবে_ইনশাআল্লাহ_🌹