ঘর কুটুম পর্ব-০৪

0
4

#_ঘর_কুটুম_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_৪_

হাসপাতালের কেবিনে নরম আলো। কাঁচের জানালা দিয়ে চাঁদের আলো দেখা যায়। কেবিনের বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে আরাভ। কপালে, হাতে, ব্যান্ডেজ, মুখে একটু কাটা দাগও আছে। তবুও সেই পুরুষত্বপূর্ন শান্ত সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। চোখ বন্ধ করে থাকলেও আরাভ ঘুমোচ্ছে না। চোখের পেছনে মস্তিষ্কের প্রতিটি কোণে একটা মুখ ঘুরপাক খাচ্ছে। শ্যামা বর্নের সেই মুখ। চশমা পরূ দুটি চোখ, ঠোঁটে মৃদু হাসি, আর সেই কন্ঠ। কন্ঠটা এতো মায়াবী যেন, মনে হয় কেউ বাঁশি বাজিয়ে মনকে টেনে নিচ্ছে কোথাও।

মেয়েটার কন্ঠে যেন অজানা জাদু আছে। শুদ্ধ বাংলা কিন্তু উচ্চারণে যেন কোথাও নরম সুর। পাখির মতো মিষ্টি সেই গলার স্বর এখনও কানে বাজছে আরাভের। চোখ খুলে তাকায় আরাভ। বেডের পাশেই চেয়ারে বসে আছে তার মা মিসেস.আহিয়া। ফল কেটে প্লেটে রাখছেন। তার ধবধবে ফরসা মুখটা লাল হয়ে আছে। হয়তো কান্না করার জন্য। আরাভ কিছু সময় তাকিয়ে থাকে মায়ের দিকে৷ মৃদু স্বরে বলে,
–” আম্মু!”

মিসেস.আহিয়া মুখ না তুলেই জবাব দেন,
–” হুম!”

–” তুমি এখনো আমার উপর রেগে আছো?”

ফল কাটতে কাটতে হালকা বিরতি দিয়ে বলে মিসেস.আহিয়া,
–” না!”

আরাভ বুঝতে পারে তার মা কতোটা অভিমান জমা করে ফেলেছে। ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড ভয় পেয়েছে, ছেলেকে হারিয়ে ফেলার। এভাবে না জানিয়ে দেশে আসার জন্য বেশি কথাও শুনতে হয়েছে তাকে। আরাভ কিছুক্ষণ চুপ করে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। কী আশ্চর্য এই সম্পর্ক, মা আর ছেলের মাঝে কোনো কথা না বলেও শত শব্দের আদান প্রদান হয়ে যায়। এর মাঝেই দুম করে আরাভ বলে ওঠে,
–” আম্মু! আমি আগামীকাল বাসায় যেতে চাই।”

মিসেস.আহিয়া থেমে যায়। চোখ তুলে তাকায় ছেলের দিকে। শীতল কণ্ঠে বললো,
–” আগামীকাল তোমাকে ডাক্তার ডিসচার্জ দিবে না, আরাভ!”

–” প্লিজ, আম্মু!”

–” ডাক্তার বলেছে, মাথার স্ক্যানটা পুরোপুরি ক্লিয়ার না। দুদিন থাকতে বলেছে। কী দরকার তাড়াহুড়োর?”

–” প্লিজ, আম্মু! যেভাবে হোক, আমাকে বাসায় নিয়ে চলো। বাসা থেকে ট্রিটমেন্ট হওয়া যাবে। এখানে থাকলে আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে।”

মিসেস.আহিয়া ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে। ব্যান্ডেজ পরহিত নিজের আদরের ছেলেকে দেখে বুকের ভেতর ছিঁড়ে যাচ্ছে তার। আরাভ আবার কাতর কন্ঠে বলে,
–” প্লিজ, আম্মু! নিয়ে চলো না।”

মিসেস.আহিয়া ফলের প্লেটটা ছেলের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
–” আগামীকাল আসুক, তখন দেখা যাবে। এখন এই ফল গুলো শেষ করো।”

আরাভ প্লেট থেকে একটা আপেলের টুকরো নিয়ে মুখে দেয়। মিষ্টি স্বাদ জিভে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু, তাতেও মনের মধ্যে আলোড়ন থেমে থাকে না। আবারও চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই দৃশ্য, হাসপাতালের কেবিনে প্রথম চোখ মেলে দেখেছিলো যে মেয়েটিকে। চশমার কাঁচের ভেতর থেকে উঁকি দেওয়া চোখ দুটি ভয়ংকর শান্ত। এমন শান্ত চোখ সচরাচর দেখা যায় না। আর তার সেই সুরেলা কন্ঠস্বর। আহ! হালকা হাসে আরাভ। এমন তো কখনো হয়নি। জীবনে অনেক নারীর দেখা মেলেছে তার। ইউনিভার্সিটি লাইফ, বিজনেস এরিয়া, বিদেশের হাই সোসাইটির নারীর অভাব ছিলো না তার জীবনে। কিন্তু, কেউ তার মনে এমন অস্থিরতা ছড়াতে পারেনি কখনো।

একটা অপরিচিত মেয়ে। যার সঙ্গে দেখা হয়েছে কিছুক্ষণ মাত্র। অথচ সেই মেয়েটা বার বার ফিরে আসছে আরাভের মনে। আরাভ গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নেয়। দেহে ব্যাথা, কিন্তু মনের মধ্যে চলছে ব্যাখ্যাতীত এক আলোড়ন। নিজেই নিজেকে বলে ওঠে,
–” এই মেয়ে তো বিপদে ফেলে দিলো।”

রেস্টুরেন্টের একটা ছিমছাম কোণায় বাচ্চাদের খেলার জায়গা। রঙিন খেলনা গুলোয় মেতে আছে ছোট্ট তিতলি। হেসে হেসে দৌড়াচ্ছে সে। দোলনায় বসছে, কখনো স্লাইডে। তিতলির থেকে কিছুটা দুরে, কাচের জানালার পাশে একটা টেবিলে বসে আছে তিনজন নারী, তিন বান্ধবী, ছোয়া, অরুনিমা আর রুপন্তি। প্রাইমারি স্কুলের সেই বন্ধুত্ব এখনো অটুট। সময় পাল্টেছে, জীবনের চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু সম্পর্কের ভিত ভাঙেনি। নিয়মিত দেখা না হলেও, ফোনে, বার্তায় কিংবা সুযোগ পেলেই কফির কাপে চুমুক দিয়ে নিজেদের জীবনকে একটু ঝেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা।

তিনজনই তিনজনের জীবন সম্পর্কে অবগত। কিছু লুকায়িত নেই তাদের মাঝে। টেবিলে তিন কাপ কফি, পাশে রাখা হালকা স্নাক্স। রুপন্তি অরুনিমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,
–” তুই আজ এতো অন্যমনস্ক কেন?”

অরুনিমা মুখ ঘুরিয়ে জানালার বাইরে তাকায়। নির্বিকার ভাবে বলে,
–” কিছু না।”

ছোয়ার মুখটা গম্ভীর। সে নিজের সমস্যায় এতোটাই গুটিয়ে গেছে যে, অন্যের ব্যথার জায়গায় ঠিকঠাক মন দিতে পারছে না। ছোয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
–” আমি নিজেই বুঝতে পারছি না, কি করবো। মাথায় কিছুই আসে না আমার।”

অরুনিমার ভ্রু কুচকিয়ে যায়। কন্ঠে অনুরণন শোনা যায়,
–” কেন সহ্য করে পড়ে আছিস তুই ওখানে? আর কতোকাল এইভাবে চলবে? সরি টু সে, তোর হাসবেন্ড একজন স্বার্থপর মানুষ। যে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবছে, তোকে নিয়ে না। তুই সব কিছুই স্যাকরিফাইস করছিস। কিন্তু, ফিডব্যাক কি পাচ্ছিস?”

ছোয়া চুপ থাকে। মুখ নিচু করে বসে থাকে নিঃশব্দে। অরুনিমার কথায় যুক্তি থাকে। যুক্তির বীপরিতে তর্ক করার সাহস হয় না কারোর। রুপন্তি একটু আলগোছে বলে,
–” ওর কথা বাদ দে। তুই বল, অরু তুই বিয়ে কবে করবি? বয়স তো কম হলো না। এইবার অন্তত ব্যাপারটা নিয়ে তোর ভাবা উচিত।”

অরুনিমার ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি মেখে জবাব দেয়,
–” তোরা তো দুজনেই বিয়ে করেছিস। তোরা কি পেয়েছিস?”

রুপন্তিও চুপ করে যায়। অরুনিমার কন্ঠে কষ্ট আছে, সাথে বাস্তবতাও আছে।
–” ছোয়া অ্যারেন্জ ম্যারেজ করলো। এখন নিজের কোনো সমস্যা না থাকা সত্বেও বন্ধ্যা হওয়ার তকমা নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে। তুই লাভ ম্যারেজ করেছিস। আমি নিজের চোখে দেখেছি, কুশান ভাই তোর জন্য কতো পাগল ছিলো। তাতে কি হয়েছে? বিয়ে করলি, একটা ফুটফুটে বাচ্চা হলো তোদের। একটা পরিপূর্ণ সংসার। তবুও তুই কি সুখী? দিনের পর দিন তোর বর তোকে অবহেলা করছে। নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। নিজের মতো করে জীবন চালাচ্ছে। শেষ পরিনতিটা কোথায়? এইসব দেখে এখন আর বিয়ে করার ইচ্ছেটা আমার আসে না।”

ছোয়া মুখ তুলে তাকায়। আস্তে করে বলে,
–” রুপন্তি! সেইদিন তুই বলছিলি, কুশান ভাইয়ের সাথে সেপারেশন হয়ে যাবি। তুই কি সত্যিই এইটা নিয়ে ভাবছিস?”

রুপন্তির চোখে জল চিকচিক করে উঠে। কিছু বলে না। অরুনিমা ধীরে বলে ওঠে,
–” রুপন্তি! আমি তোর ব্যাক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছি না। কিন্তু, একটা কথা বলি, তুই যদি আলাদা হওয়ার কথা ভাবিস, আগে তিতলির কথা ভাবিস। বাব-মা আলাদা হয়ে গেলে একটা বাচ্চা কতোটা কষ্ট পায়, সেই কষ্ট আমি প্রতিদিন বয়ে বেড়ায়। কতো শত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় সেইটা প্রত্যক্ষ প্রমান। আমি এইযে বিয়ে করি না। কেন জানিস? আমার বাবা- মা আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে, বিয়ে মানে ভয়, অনিশ্চয়তা, ভাঙন। তারা আমাকে বুঝিয়েছে, বিয়ে মানেই বিচ্ছেদ, সম্পর্ক মানেই ত্যাগ। আমি তো ছোটবেলা থেকেই বাবা মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা দেখেছি। জানিস, রোজ কান্না করতাম। মায়ের কাছে থাকলে বাবাকে মনে পড়তো, আর বাবার কাছে থাকলে মাকে। সমাজ আমাকে বলতো, তুই ভাগ হয়ে গেছিস। সবাই আমাকে প্রশ্ন করতো, হ্যারে তোর বাবা মা আলাদা থাকে। মা যখন আরেকটা বিয়ে করলো, তখন সবাই বলতো, তোর মা নাকি আবার বিয়ে করেছে। যন্ত্রণা হতো আমার একার। আজ তোরা আলাদা হবি, হয়তো ভালো থাকবি। কিন্তু তিতলি? সে না পারবে বাবাকে আকড়ে ধরতে আর না পারবে মাকে জড়িয়ে থাকতে।ওর জীবনের সবচেয়ে বড় পূর্নতা কে পূরণ করবে?”

চারিদিকে এক অদ্ভুত নীরবতা ছড়িয়ে পড়ে। তিন বান্ধবী যখন এক জায়গায় হয়, ভেতরের দোটানা গুলো হয়তো সমাধান পায় না, কিন্তু বলা হয়ে গেলে হালকা লাগে। অনেকটা চাপ নেমে যায় বুক থেকে। রুপন্তি চুপচাপ তাকিয়ে থাকে তিতলির দিকে। যে এখন খেলায় ব্যস্ত। রুপন্তি আস্তে করে বলে,
–” মেয়েটার জন্যই এখনও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু, কখনো কখনো সব কিছুর সহ্য সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বড় কথা, কুশানের এমন হয়ে যাওয়ার পেছনে আমি কোনো কারনই খুঁজে পাচ্ছি না। বাপের বাড়িও কিছু বলতে পারি না। নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি। কিছু বলতে গেলেই বলে, নিজে পছন্দ করে গিয়েছো, এখন এতো অভিযোগ কেন? উফ! সব সময় মনে হয় সব কিছুর মাঝে আমি একা।”

এই মুহুর্তে হঠাৎ ছোয়া টেবিল ছেড়ে উঠে দাড়ায়। রুপন্তি আর অরুনিমা চুপচাপ তাকিয়ে থাকে ওর দিকে। ছোয়া এগিয়ে যায় প্লেগ্রাউন্ডের দিকে। তিতলি খেলার ফাঁকে ছোয়াকে দেখে। মিষ্টি একটা হাসি ছড়িয়ে পড়ে ওর মুখে। আনন্দে ছোট্ট দুটো পা দৌড় দেয় ছোয়ার দিকে। ছোয়া হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে তার সামনে। তিতলির চুল এলোমেলো হয়ে আছে। চোখে একরাশ মায়া। ছোয়া তিতলির কপালে, গালে চুমু একে দেয়। তিতলি খিলখিলিয়ে হেসে বলে,
–” আন্টি! তুমি কি আমার সাথে খেলবে?”

ছোয়া হাসে। চোখে জল না আসার প্রানপন চেষ্টা চালাচ্ছে। মোলায়েম সুরে বললো,
–” হুম! খেলবো তো মা।”

–” তাহলে আসো।”

তিতলি খুশিতে ছোয়ার হাত ধরে টান দেয়। ছোয়া কিছু না বলে ছোট্ট মেয়েটার হাত ধরে এগিয়ে যায়। সে সত্যি সত্যি তিতলির সাথে খেলায় মেতে উঠে। মাঝে মাঝে তিতলির সাথে তাল মিলিয়ে হেসে উঠে শিশুর মতো। যেন, মুহুর্তের জন্য হলেও সমস্ত দায়িত্ব, সমস্ত যন্ত্রণার বোঝা নামিয়ে রেখেছে সে। দুর থেকে চুপচাপ এতো সময় ধরে এই দৃশ্য দেখছে অরুনিমা আর রুপন্তি। ওরা মন ভরে দেখছে, ছোয়ার হাসি মুখ। যেন মুহুর্তের মাঝে বদলে গেলো ছোয়া। ভেতরে ভেতরে ছোয়া যে কতোখানি শূন্য সেইটা তার এই দৃশ্য দেখেই বোঝা যায়। কোনো মেয়ে মা হতে না পারার ব্যাথা প্রতিদিন কিভাবে তাকে ধ্বংস করে, সেটা শুধু ঐ মেয়েই জানে। কোন মেয়ে মা হতে চায় না? প্রতিটা মেয়েই চায় তার কোল জুড়ে সন্তান আসুক। রুপন্তি ধীরে বলে,
–” মনে আছে, অরু? আমাদের ছোটবেলার সেই দিন গুলো। যদিও তুই ছোট বেলা থেকে বাবা মায়ের বিচ্ছেদ যন্ত্রণা ভোগ করছিস, তার মাঝেও আমাদের কতো আনন্দ ছিলো। কতো রঙিন ছিলো আমাদের দুনিয়া।”

–” আমার জীবনের ছন্দ তো এক জায়গায় আটকে আছে। কিন্তু, তোদের জীবন কতো সুন্দর ছিলো এক সময়। কেন যে সময় এতো দ্রুত বদলে গেলো, বুঝতেই পারলাম না।”

রুপন্তি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
–” কী এমন ক্ষতি হতো, বল? যদি আংকেল আন্টি আলাদা না হতো, তোর একটা পূর্ন পরিবার থাকতো, তোর সুন্দর একটা জীবন হতো। তুই তখন এই বিয়ে নামক শব্দটাকে ভয় পেতি না। ছোয়ার যদি একটা সন্তান আসতো কোলে, তাহলে সমাজের এই নিকৃষ্ট কলঙ্ক ওকে ছুতো না। আর যদি সন্তান নাও হয়, যদি এই অপবাদ গুলো থেকে সে মুক্তি পেতো। আর কুশান যদি সেই বিয়ের প্রথম বছরের মতো থাকতো। ভালোবাসায়, যত্নে, আগ্রহে ভরা। তাহলে, সংসারটা আজও একটা স্বপ্নের মতো থাকতো। কী সুন্দর হতো আমাদের জীবন গুলো!”

অরুনিমা হালকা মাথা নেড়ে বলে ওঠে,
–” জানি। কিন্তু, রুপন্তি! একবার ভেবে দেখ, এই পৃথিবীর সব মানুষই কোনো না কোনো যন্ত্রণায় ডুবে আছে। সব দিক দিয়ে কেউ পরিপূর্ণ না। সবটা একসাথে কখনোই পাওয়া সম্ভব না। সব সময় কিছু না কিছু অপূর্ন থেকে যায়।”

রুপন্তি চুপ করে থাকে কিছু সময়। তারপর শান্ত গলায় বলে,
–” ঠিক বলেছিস, এক জীবনে সব পরিপূর্ণতা মেলে না। একটা না একটা দিক অপূর্ণ থেকেই যায়।”

তারা দু’জনেই তাকিয়ে থাকে ছোয়া আর তিতলির দিকে। একটা মা হতে না পারা মেয়ের ভেতরে যখন একটা সন্তানের জন্য অপার মমতা জমে থাকে। তখন সে কেবল নারী থাকে না। সে হয়ে উঠে এক নিঃশব্দ আত্নত্যাগ। ছোয়ার মুখে তখন একরাশ প্রশান্তি। তিতলি তাকে জড়িয়ে ধরেছে, হাসছে। সময় যেন থমকে গেছে। তিতলি শুধু রুপন্তির মেয়ে নয়, সে যেন ছোয়ারও মা হওয়ার অপ্রাপ্ত স্বপ্নের ক্ষনিক বাস্তবতা।

#_চলবে_ইনশাআল্লাহ_🌹