ঘর কুটুম পর্ব-১১

0
85

#_ঘর_কুটুম_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_১১_

ডাক্তারের রুমে বসে আছে কুশান, রুপন্তি আর অরুনিমা। রুমের ভেতর বাতাস যেন ভারি হয়ে আছে। ডাক্তারের হাতে রয়েছে অনেকগুলো টেস্ট রিপোর্ট। তিতলির অসুস্থতা নিয়ে সবার মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া স্পষ্ট। ডাক্তার বেশ সময় নিয়ে রিপোর্ট গুলো দেখে। চশমাটা খুলে একপাশে রেখে কুশানের দিকে তাকায় ডক্টর। তারপর গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
–” মি.রহমান! আপনার মেয়ের ব্লাডে ইনফেকশন ধরা পড়েছে।”

রুপন্তি পাশে বসা অরুনিমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে। তার চোখের কোনা দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। কান্নার আওয়াজ চেপে রাখতে পারে না, ফুপিয়ে উঠে সে। কুশান একবার তাকায় রুপন্তির দিকে। তার মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। ডক্টর হালকা সুরে বলে ওঠে,
–” ডোন্ট প্যানিক, মিসেস.রহমান! শক্ত হোন।”

কুশান কন্ঠটা শক্ত করার চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। গলায় কাঁপন লেগেই থাকে।
–” ডক্টর! এখন সলিউশন কি?”

–” আমরা তিতলিকে স্পেশাল কেয়ার ইউনিটে রেখেছি। ওর শরীরে যে ইনফেকশনটা পাওয়া গেছে, সেটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশ সিরিয়াস হতে পারে। তাই ওকে আমরা ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষনে রাখছি। ইনশাআল্লাহ! সুস্থ হয়ে যাবে।”

কুশান বলে,
–” এমন হওয়ার কারন কি ডক্টর?”

–” মি.রহমান! আজকাল আমাদের আশেপাশের পরিবেশ কতোটা অস্বাস্থ্যকর তা নিশ্চয় আপনার অজানা নয়। খাবারে ভেজাল, আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন, শিশুদের দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সব মিলিয়ে এইসব ইনফেকশন এখন অনেক বেশি কমোন হয়ে গেছে।”

রুপন্তির কন্ঠে অসহায় প্রার্থনার সুর,
–” ডক্টর! আমার মেয়ের কিছু হবে না তো? ও তো খুব ছোট। ও সুস্থ হয়ে উঠবে তো?”

ডক্টরের মুখটা নরম হয়ে আসে। চশমা পরে আবার ফাইলের পাতায় চোখ রাখে। তারপর বলে,
–” মিসেস.রহমান! আপনি শান্ত থাকুন। প্রোপার ট্রিটমেন্টে ঠিক হয়ে যাবে। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। তিনি চাইলেই সম্ভব।”

কুশান আস্তে করে বলে ওঠে,
–” ডক্টর! প্লিজ টাকার চিন্তা করবেন না। যতো টাকা লাগে আমি দিবো। আপনি শুধু আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে দিন।”

ডক্টর হালকা হাসে।
–” মি.রহমান! সুস্থতা টাকায় কেনা যায় না। আর সুস্থ করার মালিক আমি না। আমি তো কেবল মাত্র একটা মাধ্যম। আমার পক্ষে যতোটুকু করা সম্ভব, সবই আমি করবো। ইনশাআল্লাহ ও সুস্থ হবে।”

রুপন্তি আকুল কন্ঠে বলে ওঠে,
–” আমি আমার মেয়ের কাছে যেতে চাই, ডক্টর।”

ডক্টর মাথা নাড়ায়।
–” এখনি সম্ভব না, মিসেস.রহমান! ও ঘুমিয়ে আছে। ওর পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন। সময় মতো আপনাদের দেখা করতে দেওয়া হবে। আমি নিজেই জানাবো। একটু ধৈর্য্য ধরুন।”

কথা শেষ করে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসে কুশান, অরুনিমা, রুপন্তি। রুপন্তির চোখ লাল হয়ে আছে কান্নায়। অরুনিমা তাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে, ধীরে ধীরে পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। অরুনিমা আজ কলেজ থেকে ছুটি নিয়েছে। করিডোরে এসে দাড়াতেই একজন নার্স এগিয়ে আসে। হাতে একটা স্লিপ। কশানের সামনে দাড়িয়ে বলে,
–” মি.রহমান! দয়া করে বিল গুলো পেমেন্ট করে দিবেন। আর এই ওষুধ গুলো এনে দিন প্লিজ!”

কুশান স্লিপটা হাতে নিয়ে বললো,
–” ঠিক আছে!”

কুশানের চোখটা আবার রুপন্তির দিকে যায়। রুপন্তি তখনো অরুনিমার কাঁধে মাথা গুঁজে অঝোরে কাঁদছে। সেই কান্না যেন এক বুক ভেঙে আসা আর্তনাদ। কুশান চোখ সরিয়ে নেয়। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে। তারপর পা বাড়ায় বিল পেমেন্টের কাউন্টারের দিকে।

শিশির অফিসে। ডেস্কের উপর ছড়ানো কাগজপত্র আর ল্যাপটপ স্ক্রিনে চোখ আটকে রয়েছে তার। এমন সময় মোবাইল বেজে উঠে শিশিরের। ফোন হাতে তুলে দেখে মায়ের কল। শিশিরের কপালে হালকা ভাজ পড়ে। এই সময় সচরাচর মা কল করে না। কোনো সমস্যা হয়নি তো আবার। ফোন রিসিভ করেই শিশির বলে ওঠে,
–” মা! এই সময়ে কল করেছো। সব ঠিক আছে তো?”

ওপাশ থেকে আনজিলা বেগমের বিরক্ত গলা,
–” সব ঠিক তো বটেই। দুইদিন অফিস কামাই করে বউয়ের সেবা করলি। সকালে আমাকেও বললি, তোর বউকে দিয়ে যেন কাজ না করাই। আর সেই বউ আজ সেজেগুজে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গেছে। বাহ! ভালোই শুরু করেছিস তোরা।”

শিশির মুহুর্তেই ভ্রু কুচকে ফেলে।
–” ছোয়া ঘুরতে গেছে মানে?”

–” হ্যা! একেবারে সাজ সাজ রং মাখা মুখে ড্যাং ড্যাং করে বেরিয়ে গেলো। আর তুই আমাকে অর্ডার করিস, তোর বউকে দিয়ে যেন কাজ না করায়।”

শিশির একটু চুপ থেকে বললো,
–” মা! আমি তোমাকে অর্ডার করিনি। আমি শুধু বলেছি, ছোয়ার শরীর ভালো না। ওর বিশ্রামের প্রয়োজন।”

–” তোর বউযে ঘুরতে চলে গেলো সেই বেলা কি হবে? ওদিকে আমার মেয়ে দুইদিনের জন্য বাপের বাড়ি এসেছে। একটু আরাম করবে, সেই সুযোগও পাচ্ছে না। সারাদিন বাড়ির কাজ আর তোর বউয়ের সেবা করছে।”

শিশির চোখ বন্ধ করে বলে,
–” আচ্ছা! রাখো। আমি দেখছি।”

কথা শেষ করে কল কেটে দেয় শিশির। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চেয়ারে হেলান দেয় শিশির। মায়ের বলা কথাগুলো তার মাথায় ঘুরছে। ছোয়া এই অবস্থায় ঘুরতে গেছে? কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না শিশিরের। মনটা এলোমেলো হয়ে গেলো মুহুর্তেই। সত্যিটা জানতে ফোন করে ছোয়াকে। ওপাশে রিং হতেই ছোয়া রিসিভ করে,
–” হ্যা! বলো।”

শিশির শুনতে পায় ফোনের পেছনে গাড়ির শব্দ, হর্ন, রাস্তার কোলাহল। কপালে আরও গভীর ভাজ পড়ে তার।
–” তুমি কোথায়?”

–” হসপিটালে যাচ্ছি।”

–” হসপিটাল?”

–” হ্যা! রুপন্তির বাচ্চা খুব অসুস্থ। হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। তুমি তো জানো, আমি ওকে কতোটা ভালোবাসি। আমি না যেয়ে থাকতে পারছি না।”

শিশির ধীরে জিজ্ঞেস করে,
–” মাকে বলে গেছো, তুমি?”

ছোয়ার মুখে এক মুহুর্তের নিঃশব্দতা। মনে পড়ে যায়, তার শাশুড়ীর বলা সেই কটু কথা গুলো। কিন্তু, শান্ত স্বরে বলে,
–” হ্যা! বলেছিলাম।”

শিশির অবাক হয়।
–” তাহলে, মা বলছে কেন, তুমি সেজেগুজে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গেছো?”

ছোয়ার মুখে রাগ, অপমান, আর বিষাদ ছায়া ভেসে উঠে।
–” তোমার মাকে আমি বলেছিলাম। কিন্তু, ওনি বললেন, নিজের গর্ভে কিছু ধরতে পারো না, আর অন্যের বাচ্চা দেখতে যাচ্ছো। লজ্জা করে না? আমি তো তাকে আর আসল সত্যিটা বলতে পারলাম না, আমার গর্ভে কিছু ধরতে না পারার জন্য দায়ী আমি না। রাখছি!”

কলটা কেটে দেয় ছোয়া। শিশির ধীরে ধীরে ফোনটা টেবিলের উপর রেখে দেয়। দৃষ্টি স্থির। বুকের মধ্যে যেন এক বিষাক্ত গুমোট হাওয়া জমে আছে। চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। এক যন্ত্রণার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সন্তানের এই অশান্তিটা সবচেয়ে গভীর অশান্তি।

রাত ৮টা ৩০মিনিট!!
হাসপাতালের করিডোরে ছড়িয়ে থাকা নিস্তব্ধতার ভেতর বসে আছে রুপন্তি। তার চোখে রাজ্যের ক্লান্তি, দেহে অবসাদ, মনে অশান্তির ঝড়। তবুও চোখ দুটো চঞ্চল হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে একটুখানি আশার আলো। পাশে বসে আছে নিশ্চুপ কুশান। সারাদিনের ধকল, রাতভর জেগে থাকা, ক্লান্তি আর দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট ওর চোখেমুখে। রুপন্তির কাছে একসময় এই মানুষটা ছিলো ওর সবচেয়ে নির্ভরতার জায়গা। কিন্তু এখন? এখন সেই মানুষটাই পাশে বসে, কিন্তু রুপন্তি অনুভব করছে এক অদৃশ্য প্রাচীর। যেন এক অপরিচিত, ঠান্ডা, নিষ্ঠুর ছায়ার পাশে বসে আছে সে। কুশানের দিকে সরাসরি তাকাচ্ছে না রুপন্তি। চোখে চোখে যুদ্ধের ঘোষনা না থাকলেও, দুরত্ব স্পষ্ট।

ছোয়া আজ সারাদিন রুপন্তির পাশে ছিলো। শরীরটা দূর্বল, চোখে মুখে অসুস্থতা স্পষ্ট, এক প্রকার আত্মিক ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছে সে। রাতটা থাকতে চেয়েছিলো, কিন্তু রুপন্তি দেয়নি থাকতে। সন্ধ্যায় শিশির এসেছিলো হসপিটালে। শিশিরের সাথে ছোয়াকে পাঠিয়ে দিয়েছে রুপন্তি। অরুনিমাকেও পাঠিয়ে দিয়েছে রুপন্তি। গতকাল সারা রাত জাগনা ছিলো অরুনিমা, আজকের কলেজও ছুটি নিয়েছিলো। আগামীকাল তাকে অবশ্যই কলেজ যাওয়া লাগবে। তাই তাকে এক প্রকার জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছে রুপন্তি। তিতলির সাথে বিকালে মাত্র পাঁচ মিনিট দেখা করার সুযোগ মিলেছিলো। মেয়েটা তখনও ঘুমিয়ে। কিন্তু, ঐ পাঁচ মিনিটেই এক পৃথিবী আশার আলো খুঁজে নিয়েছিলো রুপন্তি।

কুশান বাসায় গিয়েছিলো দিনে। রুপন্তির জন্য কাপড় এনেছে, নিজেও ফ্রেশ হয়ে এসেছে। তবে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা নেই বললেই চলে। যেন গলার শব্দগুলোও হারিয়ে গেছে সম্পর্কের ফাটলে। রুপন্তির চোখে কুশানের প্রতি একরাশ তীব্র ঘৃ*ণা, বিরক্তি, ক্ষো*ভ, খেলা করছিলো। কুশান অবশ্য সেইটা ঠিকই টের পাচ্ছে। কিন্তু, বলার মতো কিছুই নেই তার কাছে। হঠাৎ কুশানের ফোন বেজে উঠে। সে ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখে, আবার আড়চোখে তাকায় রুপন্তির দিকে। তারপর চুপচাপ উঠে করিডোর পেরিয়ে হাসপাতালের বাইরে এসে দাড়ায়। কল ব্যাক করতেই ওপাশ থেকে ফুঁসতে থাকা নারীকন্ঠ,
–” এইটা কি, কুশান? টাইমলি আসলে না কেন? তুমি জানো, আমি রেডি হয়ে বসেছিলাম? ইনফ্যাক্ট আমি এখনো রেডি হয়ে বসে আছি।”

কুশানের কন্ঠ চাপা,
–” ফারজানা! আমার বাচ্চা হসপিটালে ভর্তি। খুব অসুস্থ। আমার পক্ষে আসা সম্ভব না এখন।”

ফারজানা হালকা উচ্চস্বরে বলে,
–” মানে? আজ তো আমাদের শপিংয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। সারাদিন একটা কলও করলে না। আমি তো ভেবেছিলাম, তুমি হয়তো অফিসে বিজি। আর যদি যেতেই না পারো, একটা ম্যাসেজ তো আমাকে দিতে পারতে। আমি যে রেডি হয়ে বসে আছি, তার বেলা?”

কুশান রেগে বললো,
–” তুমি বুঝতে পারছো না, আমার বাচ্চা অসুস্থ?”

ফারজানা কটাক্ষে ঠোঁট বাকায়,
–” হঠাৎ বাচ্চার উপর এতো মায়া কোথা থেকে আসলো, কুশান?”

কুশান দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে,
–” হোয়াট ডু ইউ মিন? তুমি তো বিয়ে করোনি, সন্তান হয়নি। বুঝবে কিভাবে, একটা সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কেমন হয়?”

ফারজানা এবার গর্জে ওঠে,
–” বাহ! ভালো কথা। এতোই যখন স্ত্রী, সন্তানের প্রতি দরদ, তাহলে আমার কাছে আসো কেন? আমার শরীর নিয়ে এতো কাম*ড়াকাম*ড়ি কিসের জন্য? নিজের চাহিদা মেটাতে তো ঠিকই আমার কাছে ছুটে আসো। বাচ্চার প্রতি এতো ভালোবাসা হলে, বিছানায় অন্য মেয়ের সাথে কেন আসো, কুশান?”

কুশান এবার বিস্ফোরিত,
–” মুখ সামলিয়ে কথা বলো, ফারজানা! তুমিও তো আমাকে বার বার কাছে টেনেছো। আমার স্পেসটা তো তুমিও ব্যবহার করেছো। এমনি এমনি তো আর তুমি আমাকে কাছে টেনে নাওনি। আজ তুমি যে লাক্সারিয়াস লাইফ স্টাইলে চলছো, তা কি এমনি এমনি আসে? কতোখানি খরচ তোমার পেছনে যায়, তা কি ভুলে যাচ্ছো? আমি না থাকলে তো, তুমি দশ জায়গায় জাল ফেলতে।”

ফারজানা থম ধরা গলায় বলে,
–” এইভাবে অপমান করছো, আমাকে? আমি তো তোমাকে মিস করছিলাম, কুশান! আমি ভালোবাসি তোমাকে। আর তুমি কি ভাবো, আমি টাকার জন্য বিক্রি হয়ে গেছি তোমার কাছে? নিজের সমস্ত সময়, অনুভব, দেহ, সব দিয়েছি। আর সেই তুমি আমাকে এইভাবে অপমান করছো?”

কুশান কিছু সময় চুপ করে থাকে। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফোলে নিজেকে সামলে বলে,
–” শোনো, আমি তোমার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি চাইলে, শপিং করে আসতে পারো।”

–” লাগবে না আমার তোমার টাকা।”

কল কেটে দেয় ফারজানা। কুশান কিছু সময় ফোনের দিকে চেয়ে থাকে। কোনো অনুভুতি নেই মুখে। তারপর অন্য একটা নাম্বারে কল করে কুশান। কল রিসিভ হতেই বলে,
–” ফারজানার একাউন্টে এক লাখ টাকা পাঠিয়ে দাও।”

–” ওকে, স্যার!”

কল কাটে কুশান। আশেপাশে একবার চোখ বুলায়। হাসপাতালের আলো অন্ধকার মিলিয়ে এক অদ্ভুত চেহারা। এক হাত দিয়ে মুখ ডলে নেয় কুশান। তারপর নিঃশব্দে ফিরে আসে হাসপাতালের করিডোরে। যেখানে বসে আছে এক বিধ্বস্ত মা। আর এক ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের অতল অন্ধকার।

#_চলবে_ইনশাআল্লাহ_🌹