চায়ের কাপেই জমুক প্রেম পর্ব-০৭

0
158

#চায়ের_কাপেই_জমুক_প্রেম (পর্ব ৭)
সায়লা সুলতানা লাকী

মৃদুল অপেক্ষা করছিল অর্নি ও উর্মির জন্য ওই ক্যাফেটেরিয়ায় বসে। দূর থেকে উর্মিকে দেখে নিজেই উঠে গেল ওদের এগিয়ে আনতে। গেইটের কাছে যেতেই ওরা দুইবোন ঢুকল ভেতরে।
— আসসালামু আলাইকুম আপু…
— ওয়ালাইকুম আস সালাম, বলেই অর্নি ফিক করে হেসে ফেলল। এরপর বলল– আপনার মুখে আপু শুনে হাসি আটকে রাখতে পারলাম না স্যরি, আচ্ছা আপনিই তো মিস্টার মৃদুল, যে আমাকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন।
— জি আমিই, আমিই মৃদুল।
— আপু তুমি হাসলে কেন? তুমি তো জানো, উনি তোমাকে আপু বলে ডাকে। তাহলে এমন ঢং করলে কেন? অহেতুক মানুষটাকে…..
— হিশশশশশ, কাম ডাউন। এটা অফিস ক্যাথেটেরিয়া। নো হাঙ্গামা মিস উর্মি।

মৃদুলের কথায় উর্মি চুপ হয়ে গেল। কিন্তু অর্নির ঠোঁটে চাপা হাসি দেখে রাগে গজগজ করে ওকে ঠেলে ভেতরে ঢুকতে চাইলে মৃদুল আবার ওকে মাঝপথে আটকে দিল।
— মিস উর্মি আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আপনি এখন এখানে থাকবেন না। আপনি সোজা চলে যাবেন ক্লাসে। আপনার একটা ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস আছে, এ্যাম আই রাইট?
— হুমম, তো!
— তো আপনি এখন ক্লাসে যাবেন। আমি একা অর্নি আপুর সাথে কথা বলব। আপনি থাকছেন না এখানে। হ্যা অবশ্যই ক্লাস শেষে এসে জয়েন করতে পারেন আমাদের সাথে। ততক্ষণে আশা করি…
— অসহ্য একটা মানুষ আপনি, থাকেন আপনি আপনার…..।
আর কিছু বলল না, বেরিয়ে গেল ক্লাসের জন্য।
এরপর মৃদুল অর্নিকে নিয়ে নিদিষ্ট টেবিলে এসে বসল।
— বাব্বাহ! আপনি দেখছি আমার বোনকে বেশ চাপের উপর রাখেন।
— হা হা হা, কি যে বলেন আপনি।
— সেদিন ওই বেশে আপনাদের মাঝে না গেলে কিন্তু আমার সাথেই আপনার বিয়েটা হয়ে যেত। কি বলেন ঠিক না?
— না হত না। অন্য কোনো কারণে হলেও বিয়েটা হত না। কারণ আপনার সাথে আমার….
— কথা ঘোরাচ্ছেন, বেশ চালাক আপনি। আমার বোকা বোনটাকে নাকে দাঁড়ি লাগিয়ে খুব নাচাচ্ছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা পাচ্ছেন।
— আপনি সব কিছু বেশ জটিল করে দেখেন। সহজ করে দেখলে কিন্তু জীবনটা সহজই হয়।
— না হয় না, জীবন কখনোই সহজ না। সহজ ভাবনাকারীদের জন্য এই জটিল পৃথিবী না।
— এমন ধারনা পোষণ কেন করছেন জানতে পারি?
— আমাকে এখানে কেন ডেকেছেন সেই প্রসংগে কথা বলি।
— জি সে কথা বলতেই তো এত কিছু…..
— তবে তাই বলেন, আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর নেওয়ার দরকার কী?
— হা হা হা, স্যরি ডোন্ট মাইন্ড। জিজ্ঞেস করব না, আপনি কেমন আছেন। তবে এটা জিজ্ঞেস করব সব জেনেও চুপ আছেন। আসলে আপনি চাচ্ছেনটা কী?
— মানে? মানে কী? আমি কি জানি? কোথায় চুপ করে আছি? চুপ করে থাকলে তো এতদিনে আপনার ঘরের বৌ হয়ে বসে থাকতাম।
— উত্তেজিত হবেন না আপু। কাম ডাউন।
— আবোলতাবোল প্রশ্ন করবেন, আবার বলবেন কাম ডাউন। ফাইজলামি পেয়েছেন…
— আন্টিকে ফয়সাল ভাইয়ের মা সম্পর্কে সব কিছু ক্লিয়ার করে বলছেন না কেন? আপনি ছাড়া আর কেউ নেই যে এই বিষয়টা ঠান্ডা মাথায় সুন্দর করে গুছিয়ে আপনার আম্মুকে বুঝিয়ে বলতে পারে।
— মাত্থা খারাপ? আমি? আমি বলব এসব কথা? এত বড় রিস্ক নিব কেন আমি?
— কিসের এত ভয় আপনার।
— বুঝেন না? খুব তো সিঙ্কিং সিঙ্কিং ড্রিংকিং ওয়াটার…..
— ইয়ে মানে আপনি…
— এত ইয়ে ইয়ে করার দরকার নেই। আপনি যে উর্মির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তা আমি বুঝি। যে ভালোবাসতে জানে সে অন্যের ভালোবাসার কদরও করতে জানে।
— আপনি জানেন?
— মানে? আমি কি আপনাকে বারণ করেছি আমার বোনের প্রেমে ডুববেন না। কারণে অকারনে প্রেমে পড়া বারণ বলেছি কি?।
— ফয়সাল ভাইয়ের মা-ও কিন্তু কাউকে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন। তার ভালোবাসাটার কদর কেন করছেন না? একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মানে ওই মহিলার ভালোবাসাটা কেন দেখছেন না?
— আজব! তার ভালোবাসাটা কী সঙ্গতিপূর্ণ ? সেটা কী আমাদের মতো? উনি যেই পজিশনে ছিলেন ওখানে কী এই রিলেশন যায়?
— পার্থক্য কোথায়?
— উনি একজন মা, সদ্য বিধবা এক নারী। তার উপর তখন একটা সংসারের বিশাল দায়িত্ব ওই সংসারের বড় বৌ হিসেবে। তার একটা ছেলে রয়েছে। তার তখন প্রধান ফোকাস হওয়া উচিৎ ছিল ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা। কিন্তু তিনি করলেন কী? নিজে সবার অন্তরালে গিয়ে বাহিরের এক লোকের সাথে চুটিয়ে প্রেম করে বিয়ে করে ভেগে গেলেন। সেই কাহিনী বুঝিয়ে বলব আমি বাসায়? তাহলে আর এই জীবনে ফয়সালকে পাওয়া হবে না। এমন বিবেকহীন মায়ের ছেলের কাছে কেউ মেয়ে দিবে?
— ভালোবাসার যে নিদিষ্ট কোন বয়স আছে, পাত্র আছে তা আমি আজই জানলাম। তবে হ্যা ফয়সাল ভাইয়ের মা যদি পরকীয়া করতেন তবে হয়ত কখনোই তাকে আমি সাপোর্ট করতাম না। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি একা ছিলেন। চারপাশের দায়িত্ব তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে নিঃস্ব করে ফেলছিল। সারাদিন কাজের শেষে গভীর রাতটা তার জন্য ভয়ংকর কষ্টের…..
— উফফ এসব শোনাতে আমাকে ডেকেছেন? এক বিধবা নারীর প্রেম কাহিনি…..
— উঁহু। ওমম…… এই আপনি মিস অর্নি বিয়ের আগে আপনার বয়ফ্রেন্ড ফয়সাল সাহেবের ফ্ল্যাটে ঠিক কত বার গিয়েছেন বলুন তো? একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে একজন সুপুরুষের বাসায় এভাবে একা একা গিয়ে সারাদিন কাটানো, এটাকে কীভাবে দেখছেন আপনি? বাবা মায়ের বিশ্বাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভার্সিটির নাম করে সারাদিন……। কখনো কী ভেবেছেন এসব জানলে যে কেউ চোখ বন্ধ করে বলবে মেয়েটা বিয়ের আগেই রুমডেট করেছে বহুবার তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে…
ভেবেছেন কী কখনো এগুলো আপনার করাটা ঠিক ছিলো কী না? এগুলো ধর্মীয় দিক দিয়ে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো কি না?
— অসম্ভব, এসব কি বলছেন আপনি? আমি যখন গিয়েছি তখন ফয়সাল বাসায় থাকতো না। আমি যেতাম রান্না করতে। ওর খাওয়া দাওয়ায় খুব প্রবলেম হচ্ছিল সে সময়ে। আপনি না জেনে কি সব আবোল তাবোল বলছেন, ছি!
— কেন, ফয়সাল সাহেব থাকতে একদিনও যাননি? যেদিন ফয়সাল সাহেব বার্থডে কেক কাটল, সেদিনও না? তারপর ওই ফ্ল্যাটের খোলা বারান্দায় বৃষ্টিতে ভেজেননি শরতের শাড়ি পরে…. তারপর….
— মানে? মানে এতসব কথা আপনাকে কে বলেছে? ফয়সাল বলেছে? অসহ্য লাগছে সব! কি হচ্ছে এগুলো?
— না ফয়সাল সাহেব বলেননি। আমি নিজ উদ্যোগেই জেনেছি। দেখেছে তো অনেকেই, তারাই বেশ উৎফুল্লের সাথে রংচঙ মাখিয়ে জানিয়েছে। এসব খবর একটু টোকা দিলেই জানা যায়।
— অসভ্য একটা লোক আপনি। কারো প্রাইভেট লাইফ নিয়ে গোয়েন্দাগিরি করতে লজ্জা করল না আপনার ? এটা যে অন্যায় তা জানেন না?
— না লজ্জা করেনি। আর ন্যায় অন্যায়ের তফাৎ খুঁজতেই এগুলো জেনেছি। আপনি যার বৈধ অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সেই আপনি কতটা শুদ্ধ তা জানার জন্য খুঁজেছি। কারণ আমার চোখে তখন একজন ত্রিশ বছর বয়সী বিধবা মহিলার প্রতি হওয়া অন্যায়টুকুই ভেসে বেড়িয়েছে। তার ভালোবাসা এবং তার বিয়েটা যে তার অধিকার তা অন্যায়কারীদের দেখানোটাকেই মূখ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। এবং এই মহিলার সাথে হওয়া অন্যায়গুলো অন্যদের একটু দেখাতে গিয়ে কিছু অন্যায় করতে হলে তা করেছি…. বলতে পারেন অন্ধ ব্যাক্তিদের নিজেদের কর্মকাণ্ড আয়নায় দেখাতেই এসব খোঁজ নিয়েছি। তখন আর অন্যায়বোধ কাজ করেনি। বরং…
— মানে কি বলতে চাচ্ছেন? আমি অবৈধ কোনো কাজ করেছি? শুনে রাখেন, আমার আর ফয়সালের সম্পর্কে কোনো পাপ নেই …..
— হিশশশ। আপনি বিয়ের আগে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে মাখামাখি করবেন আর তাকে জায়েজ বলবেন, সমাজ তা চোখ বন্ধ করে মেনে নিবে, তাই না? আপনি বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বৃষ্টি বিলাস করবেন বিয়ে আগে, এটা ধর্মীয় …. আচ্ছা থাক এখানে ধর্মকে না টানি। শুধু বলব তা সামাজিক রীতি রেওয়াজ মেনে নেবে কী? এসব আপনার দাদি চাচা চাচিরা সহজেই মেনে নেবে তো? যদি নেয় তবে আর তা লুকিয়ে করছেন কেন?
— জাস্ট স্টপ। প্লিজ আর নিচে নামবেন না। আপনি একটা অসভ্য লোক। কারো পারসোনাল লাইফ নিয়ে এত সব ঘাটাঘাটি…
— একবার ভাবেন তো, আপনার এইসব অপকর্ম যদি কেউ জানে তবে আপনাকে কী চোখে দেখবে? যেমনটা আপনি ফয়সাল ভাইয়ের মাকে দেখছেন ঠিক ওইটুকু সম্মানও কিন্তু পাবেন না। কারণ তিনি আপনাদের মতো মেলামেশা করেননি। বিয়ে করে তার একাকী জীবনের অবসান করেছিলেন মাত্র।
— অপকর্ম বলছেন কেন? অন্যায় কিছু আমি করিনি তা আবারও বলছি। আমি ফয়সালকে ভালোবাসি…..

— আয়নায় নিজের রূপটা দেখেও বলছেন? আপনি দেখছি প্রচন্ড রকমের একজন ভন্ড মানুষ। নিজের বেলায় সব জায়েজ, সব কিছুর পজিটিভ যুক্তি খাঁড়া করাচ্ছেন আর অন্যের বেলায়…ফয়সাল সাহেবের মাও কাউকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। এখানে বয়স দেখলেও খুব বেশি পার্থক্য পাবেন না দু’জনের মধ্যে। আর মনের কথা যদি বলেন তবে আপনার মনও আপনার অবাধ্য আর তারটাও তার অবাধ্য ছিল।
— আমারটা আর ফয়সালের মায়েরটা এক না। উনি সমাজের চোখে ঘৃণিত কাজ করেছেন।
— ভিন্ন কোথায়? আমি তো দুইজন নারীর প্রেম কাহিনিকেই দেখছি।
আচ্ছা সমাজ যা ভাবছে, আপনিও কি তাই ভাবছেন? ও মাই গড! আপনি মনে প্রানে তাকে এতটা ঘৃণিত ভাবলে, বিয়ের পর তাকে সাথে নিয়ে ফয়সাল ভাইয়ের সাথে সংসার করবেন কীভাবে? তবে কী তাকে আবারো ছেলেকে ছেড়ে একা হতে হবে? আবারও শাস্তি……
— আজব?
— হুমম, ওই বিধবা মহিলার আসলে বিয়ে করা উচিৎ হয়নি, ওনার উচিৎ ছিল আপনার মতো ওই ভদ্রলোকের ফ্ল্যাটে গিয়ে টাইম স্পেন্ড করার। এতে তার একাকিত্ব ঘুচত। সবার চোখের আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকত তা ঠিক ছিল সমাজের জন্য । ছেলে আছে তাই তার সকল চাহিদা, তার মনকে কবর দিয়ে দিত তার স্বামীর সাথে তবে ঠিক হত। আমার তো মনে হয় সতীদাহ প্রথাটাই ঠিক ছিল। একজন নারীর স্বামী শেষ তো তার জীবনও শেষ। না কি আপনি এবং আপনারা চাইবেন সেই নারী বেঁচে থাকবে শুধু তার সন্তানও শ্বশুর বাড়ির দায়িত্ব পালন করার জন্য? ওই নারীর নারীত্বকে, মনকে, তার আমিত্বকে এক সাথে জড়ো করে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে বেঁচে থাকবে।
ও কে, থেংকস আমার ডাকে আসার জন্য। অনেক কথা বলে ফেললাম। এবার আমি উঠব। আমার অফিসে যেতে হবে। ভালো থাকবেন। ভন্ড স্বার্থপররা সবসময় ভালোই থাকে। যারা শুধু নিজের জন্য ভাবে, নিজের ভালো করতে জানে তাদের অবশ্য কোনো শুভকামনার দরকার হয় না।বলে আর দাঁড়ালো না মৃদুল, বেরিয়ে গেল ক্যাফেটেরিয়া থেকে।
অর্নি কিছু একটা বলতে চেয়েছিল কিন্তু মুখ খোলার আগেই দেখল মৃদুল বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। এরপর বাকিটা শুধু চেয়ে থেকে দেখতে দেখতেই শেষ।

মৃদুলের শেষ কথাগুলো তীরের মতো বিঁধল ওর বুকে। কেন যেনো ওর শরীর কাঁপতে লাগল, একটু পর খেয়াল করল চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে । এতটা আঘাত সইতে কষ্ট হচ্ছে। তাই টেবিলেই কিছুক্ষণ বসে থাকল মাথা নিচু করে। এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে উর্মির জন্য অপেক্ষা না করে অর্নি ক্যাফেটেরিয়া থেকে বেরিয়ে এল। ও বুঝতে পারছে গা এখনও রাগে থরথর করে কাঁপছে । কি করবে তা আগে ভেবে ঠিক করল, এখন ফয়সালের অফিসে যাবে, ওকে পুরো বিষয়টা জানাবে। মোবাইলটা বের করে ফয়সালকে কল করতে গিয়ে দেখল উর্মি একটা রিকশা নিয়ে এসে ওকে ডাকছে রিকশায় উঠার জন্য। ঠিক এখনই উর্মিকে আসতে হল? আর কিছু ভাবতে পারল না। বাধ্য হয়ে রিকশায় উঠে বসল। কেন যেন এখন অর্নি ফুঁপিয়ে কাঁদছে। উর্মি তা টের পেয়ে কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই কানে ইয়ারফোন গুঁজে দিল মৃদুলের কথা মতো।

বাসায় ফিরে অর্নি নিজের রুমে ঢুকে সেই যে বারান্দায় গিয়ে বসল আর রুমে ঢুকল না। দুপুরে কিছু খেলোও না।
মৃদুল ক্যাফেটেরিয়া থেকে বেরিয়েই উর্মিকে কল করে রিকশা নিয়ে আসতে বলেছিল। সাথে ওর বোনকে একটু গ্যাপ দিতেও বলেছিল। তাই উর্মি নিজ থেকে ওকে আর কিছু জিজ্ঞেস করছে না। সামনে গিয়ে ওকে বিরক্তও করছে না। থাকুক ও ওর মতো কিছু সময় একা।
কিন্তু ওর আর মৃদুলের মধ্যে কী কথা হয়েছিল তা জানার একটা চাপা আগ্রহ কাজ করছে ভেতরে যা এই মুহুর্তে কাউকে বলতে পারছে না।

ওর মা এসে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছে ওকে বিষয়টা কী তা জানতে কিন্তু উর্মি নিজেও কিছু বলতে পারেনি আর অর্নিকেও জিজ্ঞেস করতে দেয়নি।

চলবে