#চায়ের_কাপেই_জমুক_প্রেম (পর্ব ৮)
সায়লা সুলতানা লাকী
অর্নি সারারাত ভেবেছে, মৃদুলের দেখানো আয়নায় নিজেকে দেখে একসময় লজ্জায় নিজেই দুই হাত দিয়ে চেহারা ঢেকেছে। ফয়সালের মা’কে নিয়ে ভাবতে গিয়ে নিজের উপর লজ্জিত হয়েছে বারবার। কেন ও আগে এমন করে ভাবেনি, একজন মানুষ হিসেবে তারো জীবন নিয়ে আলাদা ভাবনা থাকতে পারে তা কেন মৃদুলের কথায় ওর বুঝতে হল? তবে কী নিজে অন্ধ সেজে ফয়সালের দেখানো পথেই হেঁটেছিল এতদিন ?
মৃদুল ওকে স্বার্থপর, ভন্ড যা কিছু বলেছে তা ও এই পরিস্থিতিতে অস্বীকার করতে পারছে না যদিও ও দোষারোপগুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। ও তো এমন ছিলো না, তবে আজ কেন….। এতদিন ও তাই করেছে যেমনটা ফয়সাল ওকে ভাবতে শিখিয়েছে।
ভাবতেই পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিল। ফয়সাল ওকে ভুল পথ দেখালেই ও কেন ভুল পথে হাঁটবে। ওর কী কোনো জ্ঞান বুদ্ধি নেই? নেই কোনো বিবেক বিবেচনা বোধ? শুধু শুধু ফয়সালের উপর দোষ ও কেন দিবে? ও নিজেও তো ফয়সালকে ওর ভুলটুকু দেখাতে পারতো যদি সবটা নিজের বিবেক দিয়ে বিচার করতো।
রাতের সময়টা কেটেছে নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ করে। সকাল হতেই মনটা অস্থির হয়ে উঠল মৃদুলকে জানানোর জন্য যে ও আসলে ভন্ড না, স্বার্থপর না। ও কেবল ভালোবেসে ফয়সালের তালে তাল রেখে চলেছে এতটা পথ। মৃদুলের সাথে ওর আরেকবার দেখা হওয়া জরুরি। ওর নিজের কিছু কথা ওকে বলা উচিত। কিন্তু কীভাবে দেখা করবে? ও নিজেই ওর মায়ের সাথে এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে কিন্তু তার আগে মৃদুলের সাথে ওর কিছু কথা বলা দরকার। এটা ভাবতেই ও ছুটল উর্মির কাছে। উর্মি তখনো ঘুমায়। পাশে ওর মোবাইলটা দেখে যেই ওটা নিতে গেল তখনই বুঝল উর্মি ইয়ারফোন কানে গুঁজে রেখেছে। টান লাগতেই ও চোখ মেলে তাকাল।
— কি হল? তুমি আমার মোবাইল নিচ্ছো কেন?
— মৃদুলের নাম্বারটা নিতে।
— মৃদুলের নাম্বার দিয়ে তুমি কী করবে? ওর সাথে তোমার আবার কীসের কথা?
— সেটা তোকে বলব কেন? এটা সম্পূর্ণ আমার আর মৃদুলের ব্যাপার।
— মানে? এই আপু সাবধান! তুমি কী আবার…
— সাবধান মানে?
— মানে বোঝো না? ফয়সাল ভাইকে বাদ দিয়ে আবার নতুন কিছু ভাবছো না কি? মৃদুল কিন্তু তোমাকে অপছন্দ করে। জীবনো তোমাকে বিয়ে করবে না । বলেছে এখনো নাকি ওর এমন খারাপ দিন আসেনি…
— তুই এত হাইপার হচ্ছিস কেন? আমি কী করব না করব তা তুই ডিসাইড করবি? বেশি পাকনামি করিস না। নাম্বার দে।
— না দিবো না। তোমাকে আমি একরত্তি বিশ্বাস করি না।
বলে উর্মি মোবাইল হাতে লাফিয়ে উঠে বিছানা ছাড়ল।
— মৃদুলের সাথে আমার কথা বলা খুব জরুরি, আরেকবার দেখা করিয়ে দে, বোন না আমার লক্ষীসোনা!
— তোমার লক্ষণ ভালো ঠেকছে না। ডাল মে কুচ কালা হ্যা।
বলে ও রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
একটু ফাঁক পেয়ে দৌড়ে ছাদে উঠে এল। এরপর মৃদুলকে একটা কল দিল। দুটো রিং বাজতেই রিসিভ হল।
— হ্যালো। গুড মর্নিং..
— বেড মর্নিং, আপু আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে কেন?
— তা আমি কী করে বলব?
— আপনি জানবেন না তো কী ফয়সাল ভাই জানবে? কী এমন কথা বলেছেন আপনি আপুকে?
—- আপুর সাথে যে কথা হবে আমার তা তো আমি আপনাকে বলব না। তাই তো আপনাকে ওখানে থাকতে দেইনি। তাহলে আর প্রশ্ন করছেন কেন?
— আজব তো! আপু আরেকবার আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছে….
— এক মনিট! আপু চাইলে আপনার কী সমস্যা ?
— আমার সমস্যা…. না মানে.. আমি কারণটা জানতে…
—- আচ্ছা হয়েছে, এই সকালে মাথা গরম না করাই ভালো। আমি এখন রেডি হব। হাতে সময় কম। যদি আপনার সময় থাকে তবে..
— আমি চায়ের দোকানে থাকব। আজ আমি চা খাওয়াবো। আপনার সাথে লেনদেন চুকিয়ে দিব। আর ঝামেলা ভালো লাগছে না আমার।
— ও..কে, চা খেতে খেতেই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলব। ডান। বাই।
মৃদুল কলটা কাটলেও উর্মির মনে আর শান্তি ফিরল না। অর্নি হঠাৎ মৃদুলের ব্যাপারে এতটা আগ্রহী হয়ে পড়ল কেন? এটা কীসের লক্ষণ? তবে কী…..
আর ভাবতে পারল না ওর চোখ ছলছল করে উঠল। মৃদুল যার সাথে খুশি কথা বলুক, মিশুক ওর তাতে কী? ও কী আর মৃদুলকে ভালোবাসে? না মৃদুল ওকে ভালোবাসে? কিন্তু এসবের পরও কেন ওর মন এত অস্থির হচ্ছে। আজব সব অনুভূতি খেলে যাচ্ছে ওর মনে। মনে হচ্ছে মৃদুল বুঝি খুব দূরে কোথাও সরে যাচ্ছে ওর থেকে যেখান থেকে আর মৃদুলকে দেখা যাবে না।
বাসা থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত আর অর্নির সাথে কোনো কথা বলল না। মোবাইলটাও হাত ছাড়া করল না। ওয়াসরুমে যখন চেঞ্জিং এর জন্য গেল তখনও সাথেই রাখল।
বেরোনের আগে খেয়াল করল অর্নিকে বেশ শান্ত। কী যেন খুব ভাবছে ও। এতদিন যে অস্থিরতা ওর ভেতর উর্মি খেয়াল করেছিল আজ তা আর দেখল না। বোনটার এমন পরিবর্তন ওকে আরও বেশি ভাবিয়ে তুলল।
চা ওয়ালা মামা উর্মিকে দেখেই একগাল হেসে বলল–
— খালাম্মায় অনেকদিন পর আইলেন, শরীর ভালানি? আমার চায়েরে কী ভুইল্যা গেলেন?
— জি মামা ভালো। আপনি ভালো আছেন? আসলে এদিকটায় আসা হয় না, সময় পাই না।
— মামায় আইছিলো, আবার ফিরা গেছে। কইছে আবার আইব।
এবারের কথায় উর্মি বেশ বিরক্ত হল। এই লোকের এত কথা বলার কী আছে? একটু বেশিই গায়ে পরে কথা বলছে বলে মনে হল ওর। তাই আর জবাব দিলো না। চায়ের অর্ডার দিতে গিয়ে জানল মৃদুল বিল সহ অর্ডার আগেই করে গেছে। এতে ওর মেজাজ গেল আরো খারাপ হয়ে। লোকটা এত বেশি স্মার্ট সাজে কেন? আজ আসুক দুইচারটা কথা না শোনালেই না। দরকার হলে চাওয়ালা মামার সামনে বসেই শোনাবে, এতে যদি মামা বিটকেল মার্কা হাসি হাসে ওকে দেখে তাও ও সহ্য করে নিবে।
মৃদুল একটু সময় হাতে নিয়েই এল। আজ ও উর্মিকে নিয়ে লাঞ্চ করতে যাবে। আজ সেই জন্যই একটু গুছিয়ে এসেছে। ডার্ক মেরুন কালারের টিশার্ট আর জিন্স পরেছে যাতে ওকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে। বোঝার উপায় নেই যে ভদ্রলোক কোনো অফিস থেকে বেরিয়ে এসেছে। মনে হচ্ছে সে কোনো ডেটিংয়ে যাচ্ছে। একটু ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে বার কয়েক আপাদমস্তক চেয়ে দেখল উর্মি। কিছু বলবে তার আগেই চা নিয়ে ওর পাশে বসে বলল
— এমন লুকিয়ে কী দেখছেন? আমাকে আগে দেখেননি?
— আপনি সত্যি সত্যিই এখন অফিস থেকে এলেন?
— হুমম।
— মনে হচ্ছে…
— আজ একটা পাত্রী দেখতে যাবো অফিস আওয়ার শেষে। যাবেন না কি আমাকে সঙ্গ দিতে।
— পাত্রী দেখতে? মাসে কয়টা পাত্রী দেখেন? বিয়ের জন্য এত তাড়া আপনার? বিয়ে পাগল একটা লোক বটে আপনি।
— হা হাহা, “বিয়ে পাগল” শুনতে যেন কেমন লাগছে। ইয়ে মানে ভালো কোনো শব্দ নেই ভাণ্ডারে।
— না নেই, আজ আপনি আমাকে ডেকেছেন। আমাকে সময় দিবেন। তা না আপনি এখন যাচ্ছেন পাত্রী দেখতে। আপনি কী ধরনের মানুষ বলেন তো!
— আপনি তো আর আমার পুরো সময়টা নিবেন না। তাহলে আর এটা নিয়ে এত ভাবনার কি আছে। আপনি যদি পুরো সময় পাশে থাকেন তবে নয়ত…
— যা ইচ্ছে তাই করেন গিয়ে। আমার দায় ঠেকেছে আপনার পাশে থাকার জন্য।
— রেগে তো লাল টমেটো হয়ে গেছেন। এবার শান্ত হয়ে জলদি চা শেষ করেন, এরপর বেরোতে হবে।
— মানে? কোথায় বেরোবেন?
— ফয়সাল ভাই এসেছিলেন। এখানে চা খেতে খেতে কথা হল। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। বসের কল পেয়ে চলে গিয়েছিলাম। বলেছি একসাথে লাঞ্চ করব। ইমার্জেন্সি কথা আছে তার সাথে।
এতক্ষণ মৃদুলের উপর যে রাগ জমে ছিল তা এই মুহুর্তে আর অনুভব হচ্ছে না। ফয়সালের নাম শুনে মনে হল ও যা ভাবছে তা ভুল। আসলে মৃদুল…
ভাবনায় ছেদ পড়ল মৃদুলের মোবাইলের রিংটোনে।
মৃদুল উঠে গেল কথা বলতে। একটু পর এসে বলল,
— চা শেষ হলে উঠেন।
— আজ আমি বিল দিবো বলেছিলাম।
— মামা ভাংতি দিতে পারেনি তাই আরও কিছুদিন এখানে চা খেতে পারেন । পরে না হয় শোধ দিয়েন সব এক সাথে।
উর্মি আর কথা বাড়ায় না। ওর সাথে দোকান থেকে বেরিয়ে আসে।
আজ আর মৃদুলের পিছে বাইকে চড়তে কোনো আপত্তি করেনি। চুপচাপ উঠে বসতেই মৃদুল বাইক টান দিল।
রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই দেখল ফয়সাল বসে আছে কোনার এক টেবিলে। ওদের দুজনকে আসতে দেখে নিজে উঠে দাঁড়ালো
— আরে ভাই, দাঁড়াচ্ছেন কেন? বসেন। আমরা দুজনই আপনার ছোট।
— বাট আজ তোমরা আমার গেস্ট। গেস্টদের অনারে..
— আমরা গেস্ট? মানে? বলে উর্মি একটু কপাল কুঁচকে মৃদুলের দিকে তাকালো।
মৃদুল ইশারায় ওকে কিছু বলতে নিষেধ করে চেয়ার এগিয়ে দিল উর্মিকে বসতে। এরপর নিজেও পাশের চেয়ার টেনে বসল।
— কেমন আছো উর্মি? তোমাদের দুজনকে একসাথে দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। তোমাদের চায়ের…
— প্লিজ অন্য কিছু মিন করবেন না। আমি অভ্যস্ত না।
— হা হা হা, ঠিক। তুমি অভ্যস্ত না। বলে মৃদুলের দিকে তাকাল। আর ওরা দুজনই হা হা হা করে হেসে উঠল।
উর্মির এখন প্রচন্ড রাগ করার কথা কিন্তু আজ কেন যেনো রাগ করে চলে যেতে ইচ্ছে করছে না। বরং ওদের পাশে বসে ওদের ইমার্জেন্সি কথাগুলো শুনতে ইচ্ছে করছে।
হঠাৎ ফয়সাল বেশ মুড নিয়ে বলল
— বুঝলে মৃদুল ওদের দুই বোনের মধ্যে একটা কমন বিষয় হল, দুজনেরই মাথা গরম। যে কেউ চাইলেই চট করে ওদের রাগিয়ে তুলতে পারে।
— বাদ দেন ভাই। আর সমস্যা বাড়িয়েন না। খাওয়াবেন যখন তখন শান্তিতে খেতে দিন। বলতে বলতেই ওয়েটার খাবার সার্ভ করে দিল। ফয়সাল আগেই অর্ডার করে দিয়েছিল।
খেতে খেতেই মৃদুল শুরু করল–
—- ভাই, অর্নি আপুর দাদি কিন্তু পুরোনো দিনের মানুষ। উনি যৌথ পরিবারে বিশ্বাসী। পরিবারকেন্দ্রীক মন মানসিকতার মানুষকে খুশি করতে হলে আপনাকে আবার চেষ্টা করা উচিৎ হবে নিজের পুরো পরিবারকে একত্রিত করার।
— সেটা তো পরের কথা। আগে উনি আমার আম্মুর…
— এই বিষয়ে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে ভাই।
— হুমম বল..
— আন্টিকে আপনি… না থাক প্রশ্নটা অন্য দিন করব। আজ ঠিক উপযুক্ত সময় না।
— কেন আমি সামনে আছি বলে? উঠে যাবো না কি?
উর্মি এবারও ভ্রু কুঁচকে প্রশ্নটা করল।
— আরে না, এমন কেন ভাবছেন?
— তাহলে প্রশ্নটা করতে গিয়ে থামলেন কেন?
— সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে। ধরেন আপনি সিঁড়ি বাইতে গেলে যদি কখনো স্টেপ মিস করেন তবে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
— মাফ চাই, আপনার সাথে যুক্তিতর্কে যেতে চাই না। জানেন তো অসহ্য একটা মানুষ আপনি?
— মৃদুল তুমি খুব সিস্টেমিক ওয়েতে চলো। প্রতিটা কাজই কী এভাবে আগাও?
— ডিসিপ্লিনটা রক্তে মেশা। আব্বু সিলেট ক্যাডেট, আমি কুমিল্লা…
— হা হা হা, হয়েছে হয়েছে ভাই। তুমি শুধু বলো এখন আমাকে কী করতে হবে। আমি শুধু অর্নিকে বিয়ে করতে চাই কোনো রকম লুকোচুরি ছাড়াই। চাই তারা আমার পরিবারকে জেনেই অর্নিকে আমার হাতে তুলে দিক। আমার আম্মু যেমনই হোক, তবুও আমার মা। তাকে কেউ ছোট করে দেখুক তা আমি চাই না। আমি মেনে নিয়েছি সবটা..
— প্লিজ ভাই বাবা মায়ের বিষয়টাতে মেনে নিয়েছি কথাটা বলবেন না। কেমন যেনো মনে হয় করুণা করা হয়েছে। কোনো সন্তান তার বাবা মাকে করুণা করছে এটা বড় বেমানান। আন্টির সম্মানের সাথে আপনার সম্মানও জড়িত। আপনি মেনে নিয়েছেন বলবেন না। আপনি শুধু তার মাতৃত্বের অধিকারটুকু ফিরিয়ে দিয়েছেন যা এই বিশ বছর কেড়ে নিয়েছিলেন।
— মৃদুল…
— ভাই থাক এই বিষয়ে অন্য আরেকদিন কথা বলি। আজ আপনি শুধু আমি যা যা চেয়েছি তা দিন। আমি সময় মতো আপনার সাথে আবার যোগাযোগ করব।
— কিন্তু বুঝলাম না তুমি এগুলো দিয়ে কী করবে?
— বিশ্বাস রাখেন ভাই। আমিও চাই অর্নি আপুর বিয়েটা আপনার সাথে হয়ে যাক। আপু খুব মানসিক যন্ত্রণায় আছে।
— কিন্তু….
— কোনো কিন্তু না আপনি এখন কথা না গিলে খাবার শেষ করেন। আমাদের অলমোস্ট খাওয়া শেষ, আর আপনি এখনো নাড়াচাড়া করছেন।
উর্মিকে থামিয়ে দিল। এখন আর কোনো প্রশ্ন উঠুক তা আপাতত মৃদুল চাচ্ছে না।
— মৃদুল তুমি পারবে তো?
— চেষ্টা করতে দোষ কী?
বলে একটু মুচকি হাসল ফয়সালের দিকে চেয়ে ।
উর্মি ওদের কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারল না। সমস্যা হল ও কিছু না বুঝলে ওর আম্মুকে গিয়ে বলবে কী তাই ভাবছে এখন।
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে মৃদুল আর উর্মি আবার ফিরে এল উর্মির ক্যাম্পাসে। ওকে নামিয়ে দিয়ে বাইকটা সামনে টানতে গিয়ে আস্তে করে বলল
— আচ্ছা আগামীকাল দাদিকে নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় আসতে পারবেন?
— দাদিকে নিয়ে কেন? অসম্ভব? এসব কী ধরনের চাওয়া?
— না মানে বলতে পারেন, সামনাসামনি আরেকবার বলাৎকার হতে ইচ্ছে করল।
— অসভ্য একটা! মুখে লাগাম দিন প্লিজ। দাদিকে নিয়ে এসব কথা বড় বিরক্তিকর।
— বড় বিরক্তিকর… আপনার দাদিকে বলতে পারেন না উনি যেন …
— এই আপনি যান, যানতো! আপনার লাঞ্চ টাইম শেষ।
— জি ধন্যবাদ, আগামীকাল দাদিকে চাই আমার, মনে থাকে যেনো। দাদি ইজ বেটার দেন…., আই লাভ দাদি…
বলে আর দাঁড়ালো না, সোজা সামনে ছুটে গেল ভটভটভট শব্দ তুলে।
চলবে