চৈতির ডাইরি পর্ব-০৫

0
74

#চৈতির_ডাইরি
কলমে : #ফারহানা_কবীর_মানাল
পার্ট -৫

তুলি হকচকিয়ে গেল। এ মেয়ের মাথায় নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে। সুস্থ মানুষের পক্ষে নিজেকে আ’ঘা’ত করা সম্ভব নয়। নববীর হাত থেকে ক্রমাগত র’ক্ত পড়ছে। সে র’ক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে না। বরং ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে। তুলির মাথা ঘুরতে লাগলো। র’ক্ত দেখলে তার শরীর ঝিমঝিম করে, হাত পা অবশ হয়ে যায়। হঠাৎ নিজেকে খুব অসহায় এবং ক্লান্ত মনে হয়। তুলি একটু কেঁপে উঠল, পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে নববীর বাহু ধরে টান দিয়ে তীক্ষ্ণ গলায় বলল, “এসব পাগলামোর মানে কি? কি করছ তুমি?”

নববী শান্ত গলায় বলল, “মানসিক যন্ত্রণাকে শারিরীক যন্ত্রণা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করছি। অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।”

“এসব কেন করছ নববী? তালেবের সাথে কি কিছু হয়েছে? দেখি, তোমার হাতটা দেখি। ইসস কতটা কে’টে গেছে। পা’গ’ল হয়ে গেলে নাকি?”

“তুমি আমায় চৈতি নামে ডাকতে পারো।”

তুলি চমকে উঠলো। নিজেকে স্বাভাবিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে করতে বলল, “কেন? এই নামে ডাকব কেন?”

“আমি জানি ডাইরিটা তোমার কাছে আছে। সত্যি বলতে আমি নিজেই ওইটা তোমায় দিয়েছি।”

“কেন দিয়েছ? আমাকে এসব জানিয়ে তোমার কি লাভ?”

“লাভ ক্ষতির হিসাব করিনি। এই পৃথিবীতে অন্তত একজন মানুষ থাকুক। যে আমার ব্যাপারে সবটা জানবে। আমার হারিয়ে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারবে।”

“এসব পরে জানলেও হবে। তুমি এদিকে এসো। হাত থেকে র’ক্ত পড়ছে। র’ক্ত বন্ধ করা জরুরি।”

নববী বাধ্য মেয়ের মতো ছাঁদ থেকে নেমে আসলো। তার চোখ-মুখ জ্বলজ্বল করছে। ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি। তুলি ঘরে ঢুকে ফাস্টএইড বক্স বের করলো। কাটা জায়গা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেস করে দিলো। অসম্ভব কোমল গলায় বলল, “তুমি এসব কেন করছ? কি চাও তুমি?”

“আমি ম’র’তে চাই। শান্তিতে ঘুমাতে চাই। অনেকদিন শান্তির ঘুম ঘুমানো হয় না। হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়।”

“কেন ম’র’তে চাও তুমি?”

“তুমি জানো না কেন? ডাইরি পড়া শেষ হয়নি?”

তুলি মাথা নাড়লো। মৃদু গলায় বলল, “কিছুটা পড়েছি। শেষ হয়নি।”

“ওহ! আচ্ছা।”

“কি হয়েছে? সবকিছু কি আমায় খুলে বলা যায়?”

“কি শুনতে চাও তুমি? আমার জীবন সিনেমা থেকেও অতিরঞ্জিত। সিরিয়ালের থেকেও প্যাঁচানো। নাটক থেকেও হাস্যকর। এখানে কোন সুখ নেই, শান্তি নেই, সম্ভাবনা নেই।”

“সবার জীবনেই সমস্যা থাকে। কিছু কম কিছু বেশি। জীবন নিয়ে হতাশ হবার কিছু নেই।”

“মোটিভেশান দেওয়া সহজ। মেনে নেওয়া খুব কঠিন।”

“এ কথা সত্য। তাই বলে তুমি নিজেকে শেষ করে দিবে?”

“কি করব আমি? আমি যে খুব বড় ভুল করে ফেলেছি। এই ভুলের যে মাশুল হয় না।”

“কি ভুল করছ?”

“প্রথম থেকে বলি, ওইদিন যখন আমি বাড়ি পৌঁছাই ততক্ষণে নববী আপা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আপার পোশাক এলোমেলো হয়ে ছিল। শরীরে আঁচড়ের দাগ। বাবা বললেন- কেউ হয়তো ওর শ্লীলতাহানি করেছে। তারপর খু’ন করে রেখে গেছে।

মা খুব কাঁদছিলেন। ভেজা গলায় বললেন, ” তুমি এখনও দাঁড়িয়ে আছো কেন? পুলিশে খবর দাও।” বাবা রাজি হলেন না। সামনের মাসে তার নিবার্চন। এক্ষুণি এসব নিয়ে লোকজন জানাজানি হলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমি বলার মতো ভাষা খুঁজে পাইনি। একজন বাবা কিভাবে নিজের মেয়ের থেকে সামান্য রাজনীতিকে গুরুত্ব দিতে পারে! শত অবিশ্বাসের পরও বাবা নিজের কথা রাখলেন। রাতের আঁধারে আপাকে মাটিতে পুঁ’তে ফেলা হলো।

সে রাতে ঘুমাতে পারিনি। কাঁদতে পারিনি। ইচ্ছে করছিল নিজেকে শে’ষ করে ফেলি। তা-ও পারিনি। পাহাড় সমান ক্ষোভ বুকে মাঝে ক’ব’র দিয়েছি। সেদিক সকালে বিষন্ন মনে বাড়ির ভেতর ঘুরছিলাম। কিছু ভালো লাগছিল না। নববী আপার সাথে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। দু’জনে মিলে দেয়ালে আকিঁবুকিঁ করেছি, পুকুরে সাঁতার কেটেছি, গভীর রাতে পছন্দের পুরুষ নিয়ে আলাপ করেছি। মা’য়ের বকা শুনেছি। খাবার কাড়াকাড়ি করেছি। আপা খুব হিংসা করতাম। ও বাবা মা’য়ের কাছে থাকতে পারত। বেশি আদুরে। মাঝেমধ্যে খুব কঠিন কথা শোনাতাম। আপা রাগ করত না। হয়তো আমার অবস্থা বুঝতো। ভাবতেই চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। আনমনে অনেক কিছু চিন্তা করছিলাম। হঠাৎ নজর পড়ল সদর দরজার ওপরে। একটা সিসি ক্যামেরা লাগানো। মায়ের কাছে শুনলাম বাবা লাগিয়েছে। ফুটেজ দেখলাম। সেখানেই তালেবের দেখা পাই। সে বাড়িতে ঢোকার সময় বেশ চুপিচুপি চোরের মতো করে ঢুকেছে, অথচ বেরিয়ে যাওয়ার সময় খুব তাড়াহুড়োয় ছিল। আগে-পরে তালেবের কথা শুনলেও কখনো ছবি দেখা হয়নি। আপা দেখাতে চাইত না। অবশ্য ওদের সম্পর্ক খুব বেশি দিনের ছিল না। তড়িঘড়ি করে আপার মোবাইল চেক করলাম। তালেবের সাথে আপার অনেক কথা হয়েছে। কিছু নিষিদ্ধ আলাপ চোখে পড়ল। বুঝতে বাকি রইলো না এই কাজ কার। সিদ্ধান্ত নিলাম আমি নিজেই ওকে ওর পাপের শা’স্তি দেব। পুলিশের ওপর ভরসা করলে নানান রকমের ছেঁড়া কাঁটা হবে। বাবাকে বলেও কোন লাভ হত না। তার রাজনৈতিক নেশার কাছে আত্মীয় স্বজন মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল।
ভাগ্যের কি অদ্ভুত পরিহাস! পরেরদিনই তালেব আমাদের বাড়িতে আসলো। ঠিক করলাম আপার জায়গায় আমি ওকে বিয়ে করব। ওর জীবনকে তিলেতিলে শে’ষ করে ফেলব। বাবাকে আমার পরিকল্পনার কথা বললাম। অদ্ভুতভাবে বাবা খুব সহজে রাজি হয়ে গেলেন। মা অমত করেছিলেন কিন্তু লাভ হয়নি। আমাদের বিয়ে হলো। তালেব বারবার প্রশ্ন করছিল -কেন এমন করছি? কি সমস্যা? ওর কথার কোন জবাব দিইনি। কি-ই বা বলতাম আমি!
এরপর এই বাড়িতে আসি। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে তালেব আমার সাথে কথা বলত না। সবসময় অভিমানী মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতো। লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের পানি ফেলতো। অবশ্য এসব আমার ওপর কোন প্রভাব ফেলত না। আমি তো শুধু ওকে কষ্ট দিতে চাইতাম। এই পরিবারের ভাঙন চাইতাম। নানান উপায়ে তালেবকে কষ্ট দিয়েছি। মা বাবাকে ওর বিষয়ে ভুল বুঝিয়েছি। আশিক ভাইয়ের সাথে তোমার সম্পর্ক নষ্ট করতে চেয়েছি। বড় ভাবীর চরিত্রে দাগ দিয়েছি। আমি কখনও নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। কখনোই না।”

তুলি চৈতির হাত ওপর হাত রাখলো। তরল গলায় বলল, “তুমি তোমার পরিকল্পনায় চলছিল। হঠাৎ এমন বদল ঘটলো কেন?”

“গতকাল সন্ধ্যায় তালেব সাথে ঝগড়া করেছিলাম। ঝগড়া এক পর্যায়ে ও রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। তবে ওর মোবাইলটা নিয়ে যায়নি।”

“তাতে কি হলো? কি পেয়েছ মোবাইলে?”

“ওর মোবাইলে একটা কল রেকর্ড পেয়েছি। ওই কলে নববী আপার সাথে তালেবের শেষবার কথা হয়েছিল।”

“কি কথা?”

“নববী আপা বলছিল-খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। নাক-মুখ থেকে র’ক্ত পড়ছে। আমি আর বাঁচব না। আমার সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে। খুব চুলকাচ্ছে। তালেব বলছিল- সে খুব দ্রুত ডাক্তার নিয়ে আসবে। চিন্তা না করতে। ওদের এসব কথা শোনার পরই আমি তোমার কাছে এসেছিলাম। সবকিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগে আশিক ভাই তোমাকে ডেকে নিয়ে গেল। আমি তোমাদের পিছুপিছু গিয়েছিল। আশিক ভাইয়ের কথাও শুনেছি। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ভুল বুঝে দু’টো জীবন নষ্ট করে দিলাম। আমাদের বাড়ির পাশের এক ভাবী আমায় বলেছিল- নববী তোর রোগ কমেছে, এখনও কি শরীর জ্বলে আর চুলকায়? আমি তাকে ভালো মন্দ কিছু বলিনি।”

“তোমার সেই ভাবী জানত না যে তোমরা জমজ?”

“ছোট বেলাতেই আমি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছিলাম। এই বাড়িতে খুব একটা আসা হতো না। মা বাবাও আমার ব্যাপারে কাউকে বিশেষ কিছু বলতেন না। যারা আমার কথা জানত, তারা জানত আমি বিদেশ থাকি। চেহারা হুবহু মিল হওয়ার কেউ ধরতে পারতো না। ”

“তাহলে নববীর সাথে দেখা হতো কিভাবে? তোমাদের এতো স্মৃতি?”

” বেশিরভাগ সময় নানু বাড়িতে দেখা হতো। মোবাইলে কথাবার্তা চলতো।”

তুলি তীক্ষ্ণ চোখে চৈতির দিকে তাকালো। মেয়েটার কথাগুলো খুব একটা বিশ্বাস হচ্ছে না, আবার ঠিক অবিশ্বাসও করতে পারছে না। মা বাবা এমন হতে পারে নাকি? দীর্ঘ সময় বিদেশ থাকলেও প্রতিবেশীরা জানে না এমন হয় নাকি? চৈতি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। তুলি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,”নিজেকে শান্ত করো। আমরা অতীত বদলাতে পারি না। তবে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সাজাতে পারি।”

“আর কিছুই সাজানোর নেই। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি তালেবের সামনে দাঁড়াতে পারব না। ওর চোখে চোখ রেখে সত্য বলতে পারব না। আমি হেরে গেছি, ভীষণ বাজে ভাবে হেরে গেছি।”

সূর্য ডুবে গেছে। চারদিকে অন্ধকার। খোলা জানালা দিয়ে চাঁদের আলো ঢুকছে। মেঝেতে সরল ধরনের নকশা তৈরি হয়েছে। চৈতি চোখ মুছে উঠে দাঁড়ালো। তার পা কাঁপছে। হাঁটতে পারছে না। মনে হচ্ছে এক্ষুনি মাটিতে লুটিয়ে পড়বে।

তালেব নদীর পাড়ে একটা বটগাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে। কিছুক্ষণ আগে বন্ধুদের সাথে বিশেষ কিছু খেয়েছে। ধীরে ধীরে নেশায় বুদ হয়ে যাচ্ছে। বটগাছের চারপাশে ঝোপঝাড়ের মতো। চারদিকে মশা ভনভন করছে। মাঝেমধ্যেই তার শরীরে কামড় বসাচ্ছে। তালেব অলস ভঙ্গিতে হাত নাড়ালো। বিষন্ন গলায় বলল, “তোরা কি আমার শরীরে সব র’ক্ত চুসে নিতে পারিস? মুক্তি দিতে পারিস এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে থেকে?”
কথাগুলো বলে সে নিজের মনে হাসলো। এমন জীবন তো সে চায়নি। যাকে ভালোবেসে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিতে পারত। সে-ই ওর জীবনে কলঙ্কের দাগ দিয়েছে। সমাজের সামনে অপমানিত করছে। এ কেমন ভালোবাসা!

তালেব পকেটে হাত ঢুকিয়ে সিগারেটের প্যাকেট বের করল। দিয়াশলাই কাঠি ধরিয়ে সিগারেট জ্বালালো। ঠোঁটের মাঝে রেখে লম্বা টান দিতে দিতে বলল, ” এ আ’গু’নও আমার মনকে শান্ত করতে পারে না! গোটা পৃথিবীর কোথাও কি কোন শান্তি নেই?”

“শান্তি থাকবে কেন? এই পৃথিবীতেও অনেক শান্তি আছে। শুধু তাকে খুঁজে পেতে হয়। মন থেকে শান্তির কাছে যেতে হয়।”

তালেব চমকে পিছন ফিরে তাকালো। এ যে নববী! কাঁপা গলায় বলল, “তুমি এখানে কেন এসেছ? এই জায়গার ঠিকানা কোথায় পেলে? কে দিয়েছে?”

নববী খুব সুন্দর করে হাসলো। অসম্ভব কোমল গলায় বলল, “প্রিয় মানুষের ঠিকানা খুঁজে পেতে হয় না। তারা যে হৃদয়মাঝে থাকে।”

“কি বলতে চাও তুমি?”

“বলতে চাই- আমি কোন মানুষ নই। আমি যে তোমার হৃদয়ের কম্পন! তোমার হৃদয়ের স্পন্দন! এক মুহুর্তের জন্যও আমি তোমার থেকে আলাদা হই না।”

” আমি তোমার কথা বুঝতে পারছি না।”

“সে আমার কথা বাদ দাও। তুমি তো শান্তির খোঁজ করছিলে। তোমার কি শান্তি চাই?”

তালেব শরীরের ভর ছেড়ে দিলো। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে উত্তেজিত গলায় বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ, চাই। খুব করে চাই। একটু শান্তি চাই। তুমি জানো বেশিরভাগ রাতে আমার ঘুম আসে না। বিছানায় শুয়ে ছটফট করি। আচ্ছা কোথায় গেলে শান্তি পাওয়া যায়?”

নববী তালেবের কাছে এগিয়ে গেল। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, ” পরিপূর্ণ মানসিক শান্তি একমাত্র আল্লাহর দিকেই রয়েছে।”
[সূরা আর রাদ : ২৮]

“কিভাবে এই শান্তির কাছে যাব?”

“তোমায় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। গোসল সেরে নামাজ পড়তে হবে, খানিকক্ষণ কুরআন তেলওয়াত করে মনকে শান্ত করতে হবে। দুনিয়ার সুখের চিন্তা বাদ দিয়ে পরকালের কথা ভাবতে হবে। তবেই তুমি প্রকৃত শান্তির খোঁজ পাবে। এটাই শান্তি! সত্যিকারের শান্তি! এ ছাড়া বাকি সবকিছু মরিচীকার মতো! ক্ষনস্থায়ী!”

তালেব অবশ গলায় বলল, “কে তুমি? আমায় এসব কথা বলছ কেন? তুমি তো নববী নও।”

“ঠিক বলেছ তুমি। আমি নববী নই। আমি তোমার মস্তিস্ক। হারিয়ে যাওয়া বিবেক। যাকে তুমি ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চাও। সিগারেটের ধোঁয়ায় যাকে নিস্তেজ করে দিতে চাও। আমি সে।”

“আমি তোমাকে নববীর মতো দেখছি কেন?”

“এটাকে বলে হ্যালুসিনেশন। তুমি তোমার চারপাশে নববীকে চাও। সেজন্যই আমাকে নববীর মতো লাগছে।”

কথপোকথন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো না। তালেব অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে রইলো।

চলবে