চোখের তারা তুই পর্ব-১২

0
193

#চোখের_তারা_তুই
#পর্ব ১২
#লেখিকাঃতাইয়েবা_বিন_কেয়া

রাতে খাবার খেয়ে ফারিশ রুমে যায় যখন ঘুমাতে যাবে তখন সোফার দিকে চোখ যায়। আজ সোফা ফাঁকা কারণ আঁধার রুমে নাই। ফারিশ মনে মনে টেনশন করে আর বলে আঁধার নিশ্চিত ঘুমিয়ে পড়েছে অবশ্যই ওর নিরব স্যার ওর অনেক কেয়ার করে এতখন না ঘুমালে বকা দিবে। আঁধার আশা করি ছয়মাস পরে যখন তুমি চলে যাবে তখন নিরব স্যারের মতো কোনো ভালো মানুষ তোমার জীবনে আসবে।

আঁধার রাতে সবার সাথে আড্ডা দিয়ে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ে সকালে ঘুম ভেঙে যায় গ্রামে যেতে হবে। তাই সবাই বাহিরে যায় সেখানে নিরব স্যার সবাইকে ডাক দেয়

” শোন সবাই এই গ্রামে আমরা এসেছি গ্রামে মানুষ যারা অনেকে অসুস্থ তারা উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে দূরে। আবার অনেক মানুষ রোগী কিন্তু তারা সঠিক কি রোগ হয়েছে সেই বিষয়ে জানে না আমরা তাদের চেক-আপ করব এবং তাদের রোগ সম্পর্ক নিয়ে অবগত করব”। তাই আমাদের সবাইকে দুটো দলে ভাগ হয়ে যেতে হবে যাতে গ্রামে প্রতেক মানুষ সঠিক চিকিৎসা সেবা পায় “।

সবাই নীরব স্যারের কথা শুনে খুশি হয়ে সবাই দুই টিমে ভাগ হয়ে যায়।

নীরব চাই আঁধার তার সাথে থাকুক কারণ আঁধার তার কাছে থাকলে সে তার সাথে সময় কাটাতে পারবে৷ তাই নীরব বলে

” আমার এই কাজের জন্য একজন সহযোগী লাগবে তাই আঁধার হবে আমার কাজের সহযোগী। আর আঁধার নতুন তাই ওকে সব কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে তাই আঁধার আমার সহযোগী। আঁধার তোমার কোনো সমস্যা আছে?

সবাই নিরব স্যারের কথা শুনছে আঁধার ও শুনে কিন্তু নিরব স্যারের সহযোগী হতে হবে। আঁধার চাই নীরব স্যার থেকে দূরে থাকতে কারণ সে মনে করে নিরব স্যার তার প্রতি একটু দূর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্যার যখন বলে দিয়েছে তাকে সহযোগী হতে হবে।আঁধার একটু হাসি দিয়ে বলে

” স্যার আমার কি সমস্যা থাকবে আপনি যখন বললেন তাহলে আমি রাজি। আর স্যার আমি নতুন আপনার সাথে থাকলে অনেক বিষয় শিখতে পারব এই আশা করি “।

নীরব কথা শুনে খুশি হয়ে যায় সে মনে মনে ভাবে আঁধার নিশ্চয়ই ওকে পছন্দ করে তাই যেতে রাজি হয়ে গেছে। নীরব বলে

” ওকে সবাই রেডি হয়ে যাও গ্রামে যেতে হবে “।

ফারিশ সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে যায় আর রেডি হয়ে যায় কারণ তাকে সকাল সকাল বের হতে হবে। গ্রামের রাস্তা অনেক দূরে নিচে নেমে দেখে বাড়ির সবাই খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছে

” ভালো হয়েছে তোমরা সবাই এখানে আসলে আমি গ্রামের জন্য বের হবো এমনি অনেক লেট হয়ে গেছে। আর কালকে বা পরশু মধ্যে ফিরে আসবো আশা করি “।

বড় আব্বু বলে

” আচ্ছা ঠিক আছে তুই যাহ কিন্তু সাথে কাউকে নিয়ে যাহ আর কিছু বডিগার্ড নিয়ে যেতে হবে। রাজনীতিতে শএুর অভাব নাই তাই কেয়ারফুল থাকতে হবে “।

” তুমি টেনশন করো না বড় আব্বু আমি ফাহিমকে নিয়ে যাবে আর বডিগার্ড যাবে আমার সাথে৷ আর গ্রামে মোবাইল নেট থাকবে না তাই ফোন দিলে ধরতে পারব না তোমরা টেনশন করবে না “।

” আচ্ছা ঠিক আছে তুই এখন নাস্তা খেয়ে যায় “।

বাড়ির সবাই নাস্তা করে ফারিশ গ্রামের জন্য রওনা দেয়

হঠাৎ পুলিশ ফরিদ সেই অপরিচিত লোককে ফোন করে

” স্যার ফারিষ ফারহান চৌধুরী গ্রামের জন্য বের হয়ে গেছে আপনি যদি বলেন তাকে রাস্তায় শেষ করে দেয় “।

” আরে পুলিশ এতো তাড়াতাড়ি কেনো ফারিশ সাথে বডিগার্ড থাকবে তখন কিছু করা যাবে না। একবার গ্রামে যেতে দাও যখন কেউ থাকবে না তখন হামলা হবে কাল এই ফারিশ মারা যাবে ওহ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন শান্তি নেই আমার মনে । একবার ফারিশ মরে গেলে সব আমার “।

আঁধার গ্রামে এসে কাজ করতে থাকে নীরব স্যারকে সাহায্য করতে থাকে। গ্রামের মানুষের সাথে বেশ ভালো কথা হয়েছে তার সবাই ওর ভালো ব্যবহার জন্য খুব পছন্দ করছে।

নীরব নিজের কাজ রেখে আঁধারের কাছে আসে

” সে আঁধার যে কাজ দিয়েছি সেটা শেষ করতে পারলে গ্রামের সবাই তোমাকে অনেক পছন্দ করছে। খুব ভালো এই জন্য তোমাকে এতো পছন্দ করি আমি “।

নীরব স্যারের সব কথা বেশ ভালো বলেছে কিন্তু আঁধারকে পছন্দ করে মানে। আঁধার জিজ্ঞেস করে

” স্যার আপনি আমাকে পছন্দ করেন মানে। ঠিক বুঝতে পারি নাই “।

নীরব মুখ ফসকে কি বলে ফেলেছে সেটা বুঝতে পারে সে পরিস্থিতি নরমাল করতে চেষ্টা করে

” আসলে আঁধার তুমি ছাএী হিসাবে অনেক ভালো আর সবার সাথে এতো ভালো ব্যবহার করো। তাই একজন ভালো মানুষ হিসাবে তোমাকে পছন্দ করি “।

” ওহ স্যার সরি আমি অন্য কিছু ভেবেছি “।

” আচ্ছা কেউ কি তোমাকে পছন্দ করতে পারে না মানে তোমার প্রেমে পড়েত পারে। তুমি যথেষ্ট সুন্দরী আঁধার “।

নীরব স্যারে কথা শুনে আঁধার একটু ভাবে স্যার আমার প্রতি সত্যি মনে হয় দূর্বল হয়ে পড়েছে। স্যারকে পুরো সত্যি বলতে পারব না কিন্তু ঠকাতে পারব না। তাই আঁধার বলে

” স্যার প্রেমে পড়লে ছ্যাঁকা খেতে হবে কারণ আমি অন্য কাভকে পছন্দ করি। সো আমি কারো সাথে প্রেম করতে পারব নান”।

আঁধারের কথা শুনে নিরব নিজের কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে আঁধার অন্য কাউকে পছন্দ করে মানে।

#চলবে