#ছদ্মবেশে_লুকানো_ভালোবাসা
#মৌমি_দত্ত
#পর্ব_১৬
ড্রয়িং রুমে মাথা চেপে ধরে বসে আছে আফিম। লজ্জায় মাথা তুলে তাকাতেও অস্বস্তি হচ্ছে তার। ড্রয়িং রুমে উপস্থিত আছে দীপ,, আফরা,, জোসেফ আর লাবিবা। আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ বাসায় এসে আফিম ইনায়াতের জন্য যে পাগলামি শুরু করেছিলো। তা শেষ করতে ডাক্তার এনে ইঞ্জেকশন দিতে হয়েছে আফিমকে ঘুমের। পাক্কা ৫ ঘন্টার ঘুমের পর এখন এই এতো রাতে ঘুম থেকে উঠেছে আফিম। উঠেই নিচে এসে মাথা চেপে ধরে বসে আছে। আফিম আড়চোখে একবার তাকালো সবার দিকে। সবাই খুব সিরিয়াস মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। আফিম চোখ নামিয়ে ফেললো। এখন নিজেরই লজ্জা লাগছে তখনের করা ব্যবহারের জন্য।
– স্যার!! আপনি শিউর আপনি ইনায়াত স্যারকে ভালোবাসেন??
দীপের অমন একটা প্রশ্নে লাবিবা আর জোসেফও মাথা নাড়িয়ে তাল মেলালো। আফিম দাঁত কটমট করে তাকালো দীপের দিকে।
– এটা কেমন প্রশ্ন দীপ??
– না মানে ভাইয়া!! তুই তো কখনো ভালো বাসা নিয়ে কথা বলা বা কিছু ফিল করার কথা জানাসনি। তাই দীপও কনফিউশান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তুই আসলেই ভালোবাসিস তো?? নাকি??
আফরার বলার ভঙ্গিমায় বিরক্ত হলো আফিম। মাথা চেপে ধরেই বসে রইলো।
সবাই একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে হো হো করে হেসে উঠলো। আফিম মাথা তুলে বোকার মতো তাকিয়ে রইলো। কিই বা আর করবে সে?? এরা তো সবাই প্ল্যান করে পঁচাচ্ছে আফিমকে। এটা কি মাসুম আফিম জানে?? জোসেফ উঠে আফিমের পাশে এসে বসলো,,
– মাই ডিয়ার সান!! ভালো যখন বেসেছো তখন ছোট ছোট বিষয় জেলাস ফিল না করে নিজের কারিশমা দেখাও।
লাবিবা বললো,,
– ইনায়াত কেন বুঝবে যে তুমি ওকে ভালোবাসো?? কখনো তেমন কোন হিন্টস তো দাওনি ওকে আফিম।
– আর হিন্টস দিলেই যে ভাবী ধেই ধেই করে নাচতে নাচতে তোকে ভালোবাসবে তা কেন ভাবছিস ভাইয়া?? আফটার অল সেও আমার উড বি ভাবী,, একটু পার্টে থাকবে।
দীপ দাঁত কেলিয়ে বললো,,
– স্যার!! আপাতত রেডি সিনেমার ” ঢিংকা চিকা ” গানটা নিজের জীবন বানিয়ে ফেলুন। ১২ দিনে ১২ ভাবে তাকে ভালোবাসা উপলব্ধি করান। পরে আমার স্টেজে এসে যখন পৌছাবেন তখন নাহয় ” এ কি হলো ” গানটা সেট করবেন রিংটোন।
আফিম চোখ রাঙ্গিয়ে সবার দিকে তাকালো। দীপ চলে গেলো রান্নাঘরে। আফরা সেল্ফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
– আফিম?? নিজের ভালোবাসার উপর যদি বিশ্বাস থেকে থাকে,,, তাহলে এগিয়ে যাও।
লাবিবা এতোটুকু বলেই চলে গেলেন ডাইনিংয়ের খাবার বাড়ার দিকটা দেখতে। জোসেফ আর আফরাও চলে এলো উঠে। আফিম একা বসে রইলো সোফায়।
– না,, সবাই ঠিকই বলছে। আমার কারিশমা দেখাতেই হবে তোমাকে মিস ইনায়াত!!
আফিম বাঁকা হেসে উঠে পড়লো। খিদে পেয়েছে তার খুব।
খাওয়াদাওয়া শেষে রুমে এসে আফরা চুল আঁচড়াচ্ছিলো। তখনই হারিয়ে গেলো আবারও সেই ছেলেটার খেয়ালে। ট্রিপে থাকাকালীন সময়ে একটা রোড এক্সিডেন্ট থেকে তাকে বাঁচিয়েছিলো দি স্পন্দন আজাদ।
কিছু একটা ভেবে ফেসবুকে স্পন্দন আজাদের নাম লিখে সার্চ করতেই তার প্রোফাইলটা পেয়ে গেলো। স্পন্দন আজাদের প্রোফাইলে ঢুকার আগেই একটা পোস্টে চোখ আটকে গেলো আফরার।
” বিবাহিত স্পন্দন আজাদ!! সবার থেকে লুকিয়ে স্ত্রীর সাথে মাঝরাস্তায় ভালোই উপভোগ করছেন নিজের দিন “।
খবরটা দেখেই কিছুক্ষন মূর্তীর মতো বসে রইলো আফরা। চুলের খাঁজে আটকে থাকা চিরুনি নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লো কম্বল দিয়ে নাক মুখ ঢেকে।
.
.
তাহজিব ক্লান্ত শরীর নিয়ে নিজের রুমে ঢুকেই বিরক্ত হলো খুব। অন্যদিনের মতো ঘরটা সাজানো নেই। কোনমতে হাতাহাতি করে নিজের টাওয়েল খুঁজে ফ্রেশ হয়ে এলো তাহজিব। প্রতিদিনের মতো কেও কফি নিয়েও দাঁড়িয়ে নেই। তাহজিব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিচে এলো ডিনার করতে। কিন্তু খাবার দেখে খাওয়ার ইচ্ছে চলে গেলো। আর একা খেতে একদমই ভালো লাগছে না তার। তাহজিব না খেয়েই নিজের রুমে চলে যাচ্ছিলো। তখনই দেখলো আসিফ এক কোণায় দাঁড়িয়ে হাসছে তাহজিবের দিকে তাকিয়ে। তাহজিবের ভ্রু কুঁচকে এলো।
– হাসছো কেন আসিফ??
– স্যার!! আপনার ইনায়াতের খোঁজ তো পেয়েই গেছি। ধরে আনি??
আসিফের বলার ধরন পছন্দ হলো না তাহজিবের। বিরক্তি নিয়ে আসিফের দিকে তাকালো
– ওটা নিয়ে আমি ভাববো। তুমি না!!
ধুপাধুপ পা ফেলে চলে গেলো তাহজিব নিজের রুমে। খাটে শুয়েই অস্বস্তি জেঁকে ধরলো তাহজিবকে। কিছু একটা নেই। কিন্তু কি?? রুহি?? তাহলে কি সে একদিন যেতে না যেতেই রুহিকে মিস করতে শুরু করলো??
নিজের উপর নিজে বিরক্ত হলো তাহজিব। খাটের উপরেই বসে কিছুক্ষন হাতের আঙ্গুল গুনলো। কিন্তু ঘুম এলো না। এই রাত নিঃসন্দেহে অনেক যন্ত্রনাময় আর দীর্ঘ হবে তার জন্য তা জানা হয়ে গেছে তাহজিবের।
.
.
স্পন্দন বসে বসে আকাশের দিকে একমনে কি যেন দেখছিলো। তখনই দৌড়ে এলো কামাল।
– স্যার!! আপনাকে নিয়ে আবারও এক পেপার ফলস নিউজ স্প্রেড করেছে।
– কি নিউজ??
কোন ভাবনা ছাড়াই আকাশের দিকে চোখ রেখে বললো স্পন্দন।
– ঐদিন আপনি একটা মেয়েকে বাঁচিয়েছিলেন না?? ওই সময়ের অস্পষ্ট একটা ছবি তুলে লিখেছে ” বিবাহিত স্পন্দন আজাদ সবার থেকে লুকিয়ে স্ত্রীর সাথে মাঝরাস্তায় ভালোই উপভোগ করছেন নিজের দিন “।
স্পন্দন বাঁকা হাসলো। নিজের অজান্তে খুব ভালো লাগলো ” বিবাহিত স্পন্দন আজাদ ” কথাটা শুনেই।
– কামাল?? তুমি বিয়ে করেছো??
হঠাৎ এমন প্রশ্নে হকচকিয়ে গেলো কামাল। হালকা লজ্জা নিয়েই বললো।
– স্যার!! করবো। এখন না।
– আমারও একটা বিয়ে করা উচিত,, তাই না কামাল?? আফটার অল আমার বোনুকে নিয়ে এলে তার খেয়াল রাখতে একটা ভাবী তো দরকার।
কামাল কি বুঝলো সে নিজেও জানেনা। তবুও বেক্কলের মতো মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানালো। স্পন্দন মৃদু হেসে বললো,,
– নিউজটা ভাইরাল করে দাও কামাল। তোমার ভাবীর চোখে যেন অবশ্যই পড়ে। আর হ্যাঁ,, তোমার ভাবী কে,, কিসে পড়ে,, কোথায় থাকে সব ডিটেইলস খুঁজে বের করো।
কামাল হা হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো স্পন্দনের দিকে।
– স্যার!! ভাবী কে??
এতোক্ষনের ভালো মুড বিগড়ে গেলো স্পন্দনের। একটা মানুষ এতো বেক্কল কিভাবে হয় তা বুঝতে পারছে না স্পন্দন।
– আমি কোন মেয়েকে বাঁচিয়েছি??
– ঐ মেয়েকে!!
– আর তোমার বলা ” ঐ মেয়ে ” হবে আমার বৌ,, তোমার ভাবী!!
কামাল কিছুক্ষন পিটিপিটি করে তাকিয়ে রইলো। পরক্ষনেই সবগুলো দাঁত দেখিয়ে হেসে বললো,,
– কালকের মধ্যেই পেয়ে যাবেন স্যার।
এই বলেই কামাল খুশী খুশী বের হয়ে এলো রুম থেকে।
.
.
জনাথন মুলার বাংলাদেশে ল্যান্ড করলো সবেমাত্র। নিজের পুরানো এক ফ্রেন্ডের অনুরোধ রাখতে এসেছে জন এই দেশে। তার ফ্রেন্ড তাকে জানিয়েছে জনের পছন্দের মতোই কিছু জন পাবে যদি তার ফ্রেন্ডের একটা কাজ করে দেয়। জন রাজি হয়েছে। এখন সে হোটেলে যাচ্ছে গাড়ি ভাড়া করে। তার বন্ধুর সাথে দেখা করবার সময় এখনো হয়নি।
মাফিয়া হিসেবে কুখ্যাত নাম জনাথন মুলার বিদেশি একজন মাফিয়া। যতো খারাপ কাজ আছে সে সব করে। টাকার জন্য মাফিয়া লাইফের একটা সময়ে নিজের বৌ ও মেয়েকে বেঁচে দিয়েছে বলেও শোনা গেছে তার সম্পর্কে। এতোটাই জঘন্য সে। কিন্তু বাংলাদেশে কেন এলো সে?? কোন বিপদের সতর্কবার্তা নিয়ে?? নাকি সম্পূর্ন নিজের স্বার্থের জন্য??
.
.
রুহি বসে আছে ছাদে। ফোনে তাহজিবের কিছু ছবি দেখছে সে মন দিয়ে। তাহজিবকে নিয়ে চিন্তা করবে না ভেবেও চিন্তা হচ্ছে তার খুব। নিজেকে কড়া কিছু কথা শুনিয়ে গান ছেড়ে দিলো। তখনই কল এলো আসিফের। এতো রাতে আসিফের কল দেখে বুক কেঁপে উঠলো রুহির। কাঁপা কাঁপা হাতে কলটা রিসিভ করে কানে লাগিয়ে নিলো রুহি,,
– হ্যালো!!
– কি হয়েছে বোন?? তোর স্বর এমন শোনাচ্ছে কেন??
– সব ঠিক আছে ভাইয়া?? এতো রাতে কল করেছো??
– সব ঠিক আছে। কেন এতো চিন্তা করিস বল তো?? আচ্ছা শুন,, আমি পরিচিত একজনের সাথে সব কথা বলে নিয়েছি। সব কিছু রেডি হতে নাকি ৭ দিন লাগবে। আরো দেরি হয়,, তবে মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখিয়েছি। তাই ৭ দিন পরেই আমরা চলে যেতে পারবো।
রুহি চুপ করে রইলো। চলে যেতে হবে ভাবলেই তার বুক চাপ খাচ্ছে। তাহজিব আর ইনায়াত ভালো থাকবে বলে নিজেকে বুঝ দিয়ে আঘাত করছে রুহি বারবার।
– তুমি খেয়েছো?? উনি ঘুমিয়েছেন??
আসিফ চুপ হয়ে গেলো। তাহজিবের রুমে উঁকি সে মেরে এসেছে। তাহজিব যে বাচ্চাদের মতো আঙ্গুল গুণছে ঘুম আসবার জন্য। তা রুহিকে বলতে চায় না সে। রুহিকে বিদেশ নিতেই হবে। কেননা একেবারে দূরে না গেলে তাহজিব রুহির মূল্য বুঝবে না। আসিফ গলা পরিষ্কার করে বললো,,
– হ্যাঁ,, নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। তুইও খেয়ে ঘুমা বোন। বাই
আসিফ দ্রুত ফোন কেটে দিলো। নাহয় রুহি আরো একটা প্রশ্ন করে ফাঁসিয়ে দিতো তাকে। আর ফোনের এই প্রান্তে রুহি অবাক হলো। তাহজিব ঘুমাচ্ছে বিষয়টা শুনে মনে তার নিষিদ্ধ ইচ্ছে ডানা ঝাঁপটাচ্ছে বারবার।
– সে তো ঘুম। একবার দেখে আসবো??
নিজের সাথে যুদ্ধ করবার পর রুহি উঠে দাঁড়ালো। সে তাহজিবের বাসায় যাবে।
.
.
তাহজিব বিরক্তি নিয়ে চোখ বন্ধ করে পড়েছিলো খাটে। বুকের উপর ভারী কিছুর অস্তিত্ব নেই বলেই যে তার বিরক্ত লাগছে তা রাতের এই ১২ টায় সে বুঝতে পেরেছে। তাই ঘুমের আশায় চোখ বন্ধ করে মূর্তীর মতো পরে রইলো নিশ্চুপ। তখনই ব্যালকনিতে ধুপ করে আওয়াজ হলো। এই আওয়াজটা শুনে বুকে ধাক্কা লাগলো তাহজিবের। এই আওয়াজটা খুব করে চেনা তার। তাহজিব নড়লো না। সেভাবেই পড়ে রইলো। রুহি পা চিপে চিপে রুমের ভিতরে এসে দেখলো তাহজিব শুয়ে আছে। রুহির মুখে হাসি ফুঁটলো। টানা দশটা দিন এই মানুষটার আশপাশ জুড়ে থেকেছে সে। আজ কতো কষ্টে যে নিজেকে আটকেছে তাহজিবের কাছে আসা থেকে তা নিজেই জানে। রুহি ধীর পায়ে এগিয়ে এলো তাহজিবের কাছে। বিছানায় বসেই তাহজিবের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
– প্রকৃতির নিয়মগুলো এমনই হয়। তুমি ইনায়াত আপুকে ভালোবাসে,, অথচ সে পাগলী আপু বুঝছে না। আর আমি তোমাকে ভালোবাসি। অথচ তুমিও তা বুঝছো না।
ফিসফিসিয়ে বললো রুহি তাহজিবের দিকে তাকিয়ে। তাহজিবের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো রুহি নিঃশব্দে।
– ভালোবাসি তোমাকে অনেক। আল্লাহ করুক!! আমি যেন না ফিরি সুস্থ হয়ে বিদেশ থেকে। তুমি ছাড়া জীবনের থেকে মৃত্যু অনেক ভালো।
তাহজিবের বুক কেঁপে উঠলো অজানা আশংকায়। সত্যিই কি ফিরবে না এই মেয়েটা?? তাহজিব ঘুমের ভাণ করেই শক্ত করে রুহিকে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে। রুহি চুপ করে পড়ে রইলো সেভাবেই তাহজিবের বুকে।
– নাটক কেন করলে ঘুমানোর??
বেশ অনেকটা সময় পর রুহি প্রশ্ন করলো। তাহজিব রুহিকে নিজের সাথেই জড়িয়ে রাখলো।
– আমি ভালো মানুষ না রুহি। একটা মেয়ে হয়ে আমার রুমে পড়ে থাকতে মন কাঁপে না তোমার?? তুমি তো বাচ্চা না।
রুহি মাথা তুলে চোখ বন্ধ করে রাখা তাহজিবের দিকে তাকালো। তাহজিব চিৎ হয়ে শুয়ে রুহিকে নিজের বুকের সাথে ধরে আছে। রুহি মৃদু হেসে তাহজিবের কপালে চুমু খেয়ে উঠে যেতে চাইছিলো। কিন্তু তাহজিব চোখ না খুলেই হাত ধরে আটকে দিলো।
– আমি যদি বলি,, আমি তোমাকে এখনো ভালোবাসি না। তাহলে কি তুমি চলে যাবে রুহি?? আমি যদি বলি তোমাকে চিরজীবনের জন্য আটকাতে চাইনা,,, শুধু আর কটাদিন রাতগুলো আমার বুকেই কাটাও। তাহলে কি থাকবে না তুমি??
তাহজিবের মুখে এই কথা শুনে বিষ্ময় নিয়ে ফিরে তাকালো রুহি। তাহজিবের মুখে এটুকুও তো সে কখনো আশা করেনি। হোক সে কিছুদিনের অতিথি,, তবুও তাহজিব তো তাকে মনের দ্বার খুলে ডেকেছে। রুহি নিঃশব্দে আবারও এসে শুয়ে পড়লো তাহজিবের বুকের উপর। তাহজিবের চোখ এখনো খুললো না। তবে মুখে ফুঁটলো হাসি।
– প্রশ্ন করেছো আমি ভয় পাইনা কেন এক ছেলের ঘরে থাকতে। উত্তর এটুকুই দেবো যে,,, তুমি আমাকে কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কখনো আমায় তুমি নিজের অজান্তেও স্পর্শ করো। তাহলে তা হবে আমার কাছে তোমার অজান্তেই তোমার দেওয়া বিশেষ এক উপহার। আমি ধরে নেবো তোমার ঐ স্পর্শও আল্লাহর মর্জি ছিলো।
তাহজিব চোখ খুলে ফেললো। এতো কেন ভালোবাসে মেয়েটা তাকে?? ভাবতে ভাবতেই রুহিকে আরেকটু খানি নিজের সাথে জড়িয়ে গায়ে কম্বল টেনে নিলো তাহজিব। এখন তার ঘুম নির্দ্বিধায় ভালো হবে।
তাহজিব আর আফিম এতো গাধা কেন ভাই?? ভালোবাসা বুঝতে আর ভালোবাসতে এতো টাইম লাগে কেন?? লেখিকা হয়েই আমি রেগে যাচ্ছি। পাঠক / পাঠিকাদের কি অবস্থা??
চলবে,,,