#জোছনায়_ঘর_তোর_আমার
#পর্ব৬
#মহুয়া_আমরিন_বিন্দু
সময়ের সীমারেখা যে কখন পাড় হয়ে যায় বুঝা বড় মুসকিল। এইতো সেদিন কলেজে উঠলো সবাই,যেনো চোখের পলকেই সময়টা কেটে গেলো, এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে পুষ্পিতাদের বন্ধুদের সাথে সেই সোনালী সময় টা যেনো চোখ বন্ধ করলেও এখনো চোখের পাতায় ভেসে উঠে।পুষ্পিতার বাবা তার সাথে এসেছে,শেলিনা বেগম মেয়েকে বিদায় দিয়ে স্কুলে গেছেন।পুষ্পিতা একটু পর আসলো তিশা,পাপড়ি,জেসি,তিশার সাথে এলো তিহান সাথেই দেখা মিললো রাহাদের।পুষ্পিতা দেখেও দেখলো না যেনো,লোকটার জ্বালা’তন কিছুটা কমেছে পরীক্ষা আসার পর থেকে তেমন জ্বালা”য়নি।পুষ্পিতা একবার আঁড়চোখে তাকাতেই চোখ মার’লো রাহাদ।
পুষ্পিতা অবাক হয় কি করে একটা মানুষ দুইটা বছর পেছন পেছন ঘুরতে পারে!কি পেয়েছে এই ছেলে, কোনো কথা যদি কানে তুলতো তাও বললে লাভ হতো।
পাপড়ি,জেসি ভিতরে গেলো পুষ্পিতার বাবা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে বললেন। দুপুরে এসে নিয়ে যাবে বললো,পুষ্পিতা বললো–,,আসা লাগবে না পাপড়ির সাথে চলে যাবো।
পুষ্পিতা ভিতরে যাওয়ার আগে তার পাশে তিশা দাড়ালো মুহুর্তে পাশে কিছুটা দূরে হাঁটলো রাহাদ।কন্ঠ খাদে নামিয়ে বললো–,,বড়দের দোয়া না নিয়েই পরীক্ষা দিতে চলে যাচ্ছো পুষ্প কানন এটা কিন্তু ঠিক না!
পুষ্পিতা বিরক্তি নিয়ে বললো–,,যাদের থেকে দোয়া নেওয়ার নিয়েছি আপনার এতো ভাবতে হবে না।
–,,নিজের ভবিষ্যত জামাইয়ের থেকে নেওয়াটা উচিত ছিলো তোমার!
পুষ্পিতা রাগী চোখে তাকালো,রাহাদ হেসে বললো–,,আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে, পরীক্ষার আগে আমার উপর রাগ করার দরকার নেই । গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো বলে এসেছি।
–,,শোনার প্রয়োজন মনে করি না!
–,,তুমি কি চাও এখানেই ঝা’মেলা করি?যদি না চাও চুপচাপ শোনো।
পুষ্পিতা রাগে দুঃখে চুপ রইলো।রাহাদ বললো–,,তিনটায় আমার কুমিল্লা স্টেডিয়ামে খেলা আছে,এটার পর আরো একটা সিলেকশন হবে বাছাই করে জাতীয় দলে খেলোয়ার নেওয়া হবে!আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন শশী আমি চাই আমার ভালো ম’ন্দ সব কিছুতে তুমি থাকো,আমার জিত হার সব কিছু তোমার সাথে ভাগ করে নিতে চাই।আমি ক্যাম্প থেকে এখানে এসেছি শুধু মাত্র তোমাকে একটা নজর দেখবো বলে,আর কথাটা জানানোর ছিলো।জানি না কোনো দিন আমার প্রেমে পড়বে কিনা?তোমার হৃদয় আমাকে ভালোবাসবে কি না?তবুও আমি অপেক্ষা করতে চাই।কিছুদিন তোমাকে আর জ্বালা’নো হবে না ব্যস্ত থাকবো,আমি জানি তুমি না চাইতেও অপেক্ষা করো তবুও স্বীকার করবে না।ভাঙ্গবে কিন্তু মচকাবে না!তাই আগ বাড়িয়েই বলছি মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দাও, রাহাদ সিকদার থেকে তোমার মুক্তি নেই!যতই পালাই পালাই করো না কেনো,দিন শেষে তোমার শান্তির নীড় হিসেবে শুধু রাহাদের ভালোবাসায় মুড়ানো একান্ত তোমার জন্য রাখা বুকটাই খুঁজে পাবে।
পুষ্পিতা কয়েক পল তাকিয়ে থেকে ভিতরে যেতে নিলে রাহাদ ডেকে বললো–,,এই শোনো!
পুষ্পিতা পিছু ফিরে তাকালো, রাহাদ আদুরে মিষ্টি কন্ঠে বলে উঠে–,,অনেক মিস করবো জান!
পুষ্পিতা আনমনেই হেসে উঠে,আজ সেই হাসি রাহাদের দৃষ্টি অগোচর হয় না।তার বুঝতে বাকি নেই মেয়েটাও তার কথা ভাবে, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য দেয়াল দাঁড় করিয়ে রেখেছে মাঝে।কিসের এতো ভয় মেয়েটার,রাহাদ কি পারবে না নিজের ভালোবাসাকে রক্ষা করতে এতোটাও কি অযোগ্য ভাবে মেয়েটা তাকে!
পুষ্পিতা পরীক্ষা হলে বসে বার বার রাহাদের কথা মাথায় আসলেও এবার সে পরীক্ষার বিষয় নিয়ে মনোযোগী হলো।না হয় দেখা যাবে খাতায় উল্টো পাল্টা কিছু একটা লিখে দিয়েছে।ছেলেটা পারলে সারা দিন মস্তিষ্কে ঘুরে!এ যেনো এক নিদারুণ য”ন্ত্রণা।
******
পুষ্পিতার নানা বাড়ি অন্য শহরে, কোন সুবাদে যে মা বাবার বিয়েটা হলো এটাই ভেবে পায় না পুষ্পিতা, এতো দূরে নানা বাড়ি হলে কি মজা থাকে চাইলেই তো যাওয়া যায় না!ঈশিতা আপু অনেক বার কল দিয়েছে তাকে মাকেও রাজি করিয়ে নিয়েছে পরীক্ষা টা শেষ হতেই যেনো পুষ্পিতা কে তার কাছে পাঠায় কিছু দিন বেড়িয়ে আসলো,মন টা ভালো লাগবে,পরে তো আবার এডমিশন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
শেলিনা বেগম না করলেও শেষে বড় মেয়ের কাছে হার মেনে রাজি হলো । আগের বার যা হলো ঈশিতার দেবরটার তো হাত পা মচকে যা তা অবস্থা হয়েছিল, ছেলেটা যে কিভাবে ব্যাথা পেয়েছে তা তো শুধু পুষ্পিতা জনে।বাকিরা মনে করেছিলো নেহাৎ একটা দুর্ঘট’না!
ফোঁস করে একটা শ্বাস ছেড়ে পরীক্ষার হল থেকে বের হলো পুষ্পিতা, আগেই বের হয়েছে বাকিরা আজ শুধুই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছিলো।মানুষের আনাগোনা কম।
জেসি, পাপড়ি এসেই পুষ্পিতা কে জড়িয়ে ধরলো,জেসি খুবই হাসিখুশি মেয়ে সহজে মেয়েটা ইমোশনাল হয় না।
কিন্তু আজ?হয়তো অনুভূতিরা বেশ বেপরোয়া হলো
মেয়েটা প্রিয় বান্ধবীদের ধরে রেখেই কেঁদে ফেললো।
অশ্রুসিক্ত হলো বাকিদের চোখও কতোদিনের পথ চলা তাদের তবুও তো মনে হয় ওই তো কিছু দিন আগেই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো,এতো সহজে কেটে গেলো বারোটা বছর!বন্ধুত্ব নামক সম্পর্ক টা এমন, যত দূরেই থাকা হোক না কেনো দেখা হলে মনে হয় কালও তো দেখা হয়েছিলো,কেটে যায় বছর মাস তবুও যেনো বন্ধুদের শরীরের সেই আপন আপন গ্রান টা লেগে থাকে মন মস্তিষ্কে।পরিবারের পর সবচেয়ে বেশি আপন হয় বন্ধু, অনেকের ক্ষেত্রে তো বন্ধুরাই সব।তাদের সাথে আর দেখা হবে না ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হবে না,ক্লাস ফাঁকি দেওয়া হবে না।শিক্ষকদের বকুনি খেয়েও খিল খিল করে হাসার মতো কেউ থাকবে না।পরিক্ষায় ফেইল করার পরও যাদের কাছে গর্ভ করে বলা যায়, নিজের সবচেয়ে কুৎ’সিত কিংবা সুন্দর রূপ,অনুভূতি যাদের কাছে বিনা দ্বিধায় প্রকাশ করা যায় তারা সত্যিই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও থাকে মন ও আত্মার এক গভীর সম্পর্ক!
কিছু সময় পর আসলো তিশা,সে ও সবাইকে একবার একবার জড়িয়ে ধরলো। বিদায় নিয়ে চলে গেলো যে যার গন্তব্যে। ব্যবহারিক পরীক্ষা গুলো হলেই যেনো কিছু টা স্বস্তি!
————
তিশার রুমে আসলো রাহাদ,কিছুক্ষণ পূর্বেই সে বাড়ি ফিরেছে দীর্ঘ দুই মাস পর।এসেই সবার সাথে দেখা করে কল করেছিলো পুষ্পিতা কে, কিন্তু মেয়েটা কি করলো,কল টা রিসিভই করলো না, ম্যাসেজ গুলা দেখলো না অথচ তাকে অনলাইন দেখাচ্ছে,মোবাইল চালানো একদম ছুটিয়ে দিতো সামনে পেলে।বেয়া’দব মেয়ে,এতো জ্বালা’নো না একবার শুধু নিজের করে পাক রাহাদ, চড়ি’য়ে ঠিক করবে এই ঘাড়ত্যাড়া মেয়েটাকে।
তিশাকে একরকম হুকুম করলো রাহাদ—,,তোর ভাবি কে কল কর এক্ষুনি!
তিশা একবার বললো–,,ভাবি!
রাহাদের রাগী দৃষ্টিতে তাকানো দেখে বললো–,,করছি করছি।
এর মধ্যে রুমে আসলো তিহান।এসেই তিশাকে একটা ঠেস মে’রে পাশে বসলো।তিশা ফোন দেওয়ার পর পরই পুষ্পিতা রিসিভ করলো,রাহাদ এক টানে ফোনটা নিজের আয়ত্তে নিয়ে কানে ধরলো,গটগট পায়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
তিশা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে তিহান মিটি মিটি হাসছে আর তিশার কানে কানে বললো–,,কবে যে আমার প্রেম টা হবে!
পুষ্পিতার সাথে যে কেউ আছে বেশ বুঝা যাচ্ছে, রাহাদ চুপ রইলো,ওপাশ থেকে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে–,,আরে পুষ্প দেখাও না কে কল দিয়েছে,বয়ফ্রেন্ড বুঝি?বেয়াই কে দেখানো যাবে না বুঝি!
রাগে কপাল ফুলে উঠলো রাহাদের, কথা শোনা যাচ্ছে, তার মানে কতো কাছে বসে আছে এই রতন তার শশীর!মেয়েটা কি তাকে মে’রেই শান্ত হবে নাকি?কতো করে বললো–,,দূরে থাকবে না,উল্টোটাই করতে ভালো লাগে মনে হয়!
রাহাদ গমগমে কন্ঠে বললো–,,ওর থেকে দূরে বসো শশী!
যদি এই বেহায়া টাকে একবার সামনে পাই না,পিস পিস করে কু”ত্তা দিয়ে খাওয়াবো, আই মিন ইট শশী পরে তোকে মে’রে নিজেকে মারবো,তবুও অন্যের সংস্পর্শে তোকে আমি সহ্য করতে পারবো না!
কথাটা কর্ণপাত হতেই শশী ভয়ে ঢোক গিললো, বসা থেকে লাফিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো,কিছুক্ষণ পূর্বেই কল রিসিভ করেনি শশী তো ভেবেছে ছেলাটার হয়তো আক্কেল হয়েছে তাই একবারের বেশি কল দেয়নি!
শশী কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো–,,আপনি!
রাহাদ দাঁতে দাঁত চেপে বললে–,,তো কি রতন কে এক্সপেক্ট করতেছিলে তুমি?ওই বাড়িতে কোন সাহসে গিয়েছিস তুই?আগের বার রতন টাকে বাঁচিয়ে রাখাই উচিত হয়নি আমার।এই মুহুর্তে আসবো আমি ঢাকা ওটাকে তুলে নিয়ে পরে,,!
শশী ভয় পেয়েছে প্রচুর সত্যি রাহাদ যা ভয়ান’ক খু’ন করতেও যদি হাত না কাঁপে!
–,,এমন টা করবেন না প্লিজ।আপুর জোড়াজুড়ি তে এসেছি,কালই বাড়ি ফিরে আসবো,তবুও রতন ভাইয়ার কিছু করবেন না!
–,,বিয়ে করবি আমায়!
পর পর চমকালো পুষ্পিতা,সোজা বিয়ে করতে বলছে,পা’গল হয়ে গেলো না তো।
–,,কি সব বলছেন?
–,,আমার তোকে চাই মানে চাই,কথাটা মাথায় গেঁথে নে,আর বিয়ের জন্য যত তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হবে পারবে ততোই ভালো।আমার ফোন রিসিভ না করার দুঃসাহস যদি দেখিয়েছো তো,,বাড়ি এসে
–,,কি,,,কি!করবেন?
রাহাদ হেসে বললো–,,চুমু খাবো!
শশী কি বলবে বুঝতে পারলো না।কি অদ্ভুত মানুষের পাল্লায় পড়লো।মাঝেমধ্যে তো ওর হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে মন চায়।
রাহাদ বলে উঠলো–,,কাল দুপুরের মধ্যে যেনো বাড়িতে দেখি আমি।
–,,আপনি দেখবেন মানে?
–,,তা তোমার না জানলেও হবে।রাখছি তবে রতন থেকে গুনে গুনে দশ হাত দূরে থাকবে।মা”ল টাকে এক ফোঁটাও বিশ্বাস করি না আমি!
রাহাদ ফোন রাখতেই স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লো পুষ্পিতা,বারান্দার গ্রিলে মাথা রেখে চোখ বুঝলো। হঠাৎ কেউ কাঁধে হাত রাখতেই হকচকিয়ে তাকালো,রতন কে দেখে মেজাজ বিগড়ে গেলো,এটার জন্য এতো কথা শোনা লাগলো।
পুষ্পিতা বিরক্তি নিয়ে বললো–,,নাম ধরেও তো ডাকতে পারেন,এভাবে হুটহাট ছুঁয়ে দেওয়া পছন্দ না আমার।ভবিষ্যতে এমন ভুল করলে আপনার জন্য ও হয়তো ভালো হবে না।
বলেই চলে গেলো পুষ্পিতা,রতন হা হয়ে তাকিয়ে মেয়েটা হুট করেই রেগে গেলো কেনো?হয়তো ধরাটা উচিত হয়নি,পরে স্যরি বলে নিবে।
——
সকাল না হতেই পুষ্পিতা বাড়ি ফিরার জন্য বায়না শুরু করছে, ঈশিতা উপায় না পেয়ে,রাঈমার বাবাকে পাঠালো পুষ্পিতা কে দিয়ে আসতে বোনটাও না তার মর্জি পরিবর্তন করে বসে।অগত্যা রাজি হলো রতনও অবাক কে ছিলো ফোন কলের পেছনে?কি এমন হলো মেয়েটা কাল থেকেই কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে!এখন বাড়ি ফিরতে চাচ্ছে।কথা বলার সুযোগ হলো না আর মেয়েটা অবশেষে চলেই গেলো!
রাহাদ নিজের মায়ের রুমে গিয়ে বসলো।ছেলেকে দেখে হাসলেন মনিরা বেগম।
রাহাদ মায়ের কোলে শুয়ে বললো–,,বউমাকে কবে দেখবে বলো?
–,,দেখাতে চাচ্ছিস অবশেষে চাঁদ মুখ!
–,,কি করবো বলো?তোমার বউমার বড্ড বার বেড়েছে।পাখির, খাঁচায় বন্দি হওয়ার সময় হয়েছে বেশিই উড়ে ফেলেছে অন্যের আকাশে!
–,,হুম বুঝলাম,আগে বল তোকে ভালোবাসে এটা কি স্বীকার করেছে?
–,,না!
–,,তাহলে?জোর করে কিছু হয় না রাহাদ।তোকে আগেও বলেছি আমি।
–,,ও আমাকে ভালোবাসে মা,শুধু ওর বাবা মায়ের ভয়ে বলতে চায় না!তুমি ওসব নিয়ে ভেবো না।বলো কতোদিন বান্ধবী কে দেখতে যাও না?
–,,কে শেলিনা?
–,,হুম!
–,,সত্যিই বলেছিস,শেলিনার ও কাজ শেষ হয় না আমার ও বাড়ি থেকে বের হওয়া হয় না কতো দিন দেখা হয়নি বল এতো কাছে থেকেও।
–,,তাহলে কালকেই বিকালে যাও বান্ধবী কে দেখে আসো সাথে নিজের বউমা কে!
মনিরা বেগম অবাক হয়ে বললো–,,শেলিনার মেয়ে পুষ্প!
রাহাদ হাসলো, মনিরা বেগম ছেলের কপালে চুমু দিয়ে বললো–,,শেলিনার মেয়ে, নিঃসন্দেহে উত্তম পছন্দ!আমার বে”ড বয় এতো বড় একটা ভালো কাজ করলো কিভাবে?
রাহাদ বললো–,,বে’ড বয় তো বে’ড ই থাকে মা।তোমাকে না জানিয়েও বিয়ে করে ফেলতে পারি,আগে আগে বলে রাখছি পরে কিন্তু আবার এসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ হবে না।আমি কোনো মতেই আমার বউ কে ছেড়ে থাকতে পারবো না!
মনিরা বেগম ছেলেকে আলতো চাপড় মে’রে বললো –,,একটু তো শরম রাখ বদমা’ইশ!
রাহাদ উঠে বসে বললো–,,মা, তুমি কি দাদী হতে চাও না নাকি?এতো লজ্জা শরম নিয়ে বউ পালবো কেমনে?দেখা গেলো বাসর রাতেই বউ আমার পালিয়ে গেলো!
বাহিরে খট করে শব্দ হওয়ায় মনোযোগ সরে গেলো রাহাদ ও মনিরা বেগমের।
রাহাদ দ্রুত উঠে গিয়ে দরজায় দাঁড়ালো, কিছু মুহুর্ত পরই তার ঠোঁটে সুক্ষ্ম হাসি ফুটে উঠলো।
চলবে,,