#জোছনায়_ঘর_তোর_আমার
#শেষ_পর্ব
#মহুয়া_আমরিন_বিন্দু
এক মাস হতে চললো রাহাদ পুষ্পিতা কি তোকে বলেছে সে তোকে ভালোবাসে?ওর চালচলনে কি মনে হয় ও তোর সাথে খুশি?
রাহাদ নিজের মায়ের করা প্রশ্নে চুপ রইলো,সে নিজেও বুঝতে পারছে না পুষ্পিতা আসলে কি ভাবছে ওর সম্পর্কে। মেয়েটা ওর সাথে এখন অনেকটাই সহজ হয়েছে কিন্তু ভালোবাসা?রাহাদ কে চুপ থাকতে দেখে মনিরা বেগম বললো–,,শোন একটা কাজ কর।
–,,কি কাজ করবো?
–,,তুই এমন কিছু করবি যাতে পুষ্পিতা স্বীকার করে সে তোকে ভালোবাসে,ওর মনের অনুভূতি যাতে ও বুঝতে পারে। ওর থেকে দূরে যা দেখ ও তোকে কতোটা মনে করে।তোর কমতি আদোও ওকে ভাবায় কিনা?
–,,মা পরে দেখা যাবে মেয়েটা আবার আমাকে ভুল বুঝবে তার থেকে ভালো চুপ থাকি সময় হলে নিজ থেকেই বলবে।
মনিরা বেগম বিরক্তি নিয়ে বললো–,,গা’ধা মেয়েরা সহজে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না,আর পুষ্পিতা চাপা স্বভাবের, মেয়েটার বুক ফা’টবে তবু মুখ ফুটে কিছু বলবে না!
–,,কি করতে বলছো?
–,,না বলে কিছু দিনের জন্য দূরে চলে যা বাকিটা আমি সামলে নিচ্ছি।
–,,শশী কষ্ট পাবে মা!
–,,একটু কষ্ট দিয়ে যদি সারাজীবনের জন্য সুখ পাওয়া যায় তো সাময়িক কষ্টই ভালো!
–,,খেলার জন্য এমনিতেই তিনদিনের জন্য বাড়ির বাহিরে থাকতে হতো আমায়।তোমার কথায় যদি হিতে বিপরীত হয় তো তুমি সামলাবে বলে দিচ্ছি,আমি বউ ছাড়া থাকতে পারবো না পরে!
মনিরা বেগম ফোন কে’টে দিলেন বেশ’রম ছেলে জন্ম দিয়েছেন একটা সারাদিন বিয়ে বিয়ে করতো এখন বউ বউ করছে।মুখে কিছুটা লাগাম টানবে তো হতচ্ছাড়া!
————
পুষ্পিতা ভার্সিটি থেকে ফিরে এসে রাহাদ কে ডাকলো,পুরো বাসাতে কারো সারাশব্দ পাওয়া গেলো না, পুষ্পিতা নিজ মনেই ভাবলো, কোনো কাজ তো ছিলো না আজ,আর কোথাও দুই মিনিটের জন্য গেলেও তো চিরকুট দিয়ে যায়,না হয় ম্যাসেজ দিয়ে জানায়।
পুষ্পিতা সব জায়গায় খুঁজলো কোনো কাগজের টুকরা মিললো না,মোবাইল অন করলো না সেখানেও কোনো হদিস পাওয়া গেলো না।খারা’প কিছু চিন্তা করলো না পুষ্পিতা হয়তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ পড়ে গেছে তাই না বলে চলে গেছে।সময় করে ফোন করবে না হয় ঠিক চলে আসবে!
পুষ্পিতা খাবার টেবিলের সামনে দাড়িয়ে পড়লো,সব কিছু গুছানো আছে সকালে যেভাবে রেখেছিলো,ছোট্ট টেবিলটায় বসে দুজন খাবার খেয়েছে এতোদিন,ছোট ছোট কতো মুহূর্ত!রাহাদ খেয়েছে তো?কেনো যেনো খেতে ইচ্ছে হলো না পুষ্পিতার।রাহাদ আসলে একবারে খাবে ভেবে নিলো রুমে গিয়ে গা এলিয়ে দিলো বিছানায়।
আবছা অন্ধকারে তন্দ্রা ছুটলো পুষ্পিতার, আজ এখনও আলো জ্বালা’নো হয়নি।রাহাদ কি তবে আসেনি?রাত কয়টা বাজে?তড়িঘড়ি মোবাইল খোঁজলো পুষ্প।রাত সাতটা এতো সময় ঘুমিয়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে।
পুষ্পিতা দেরি করলো না কল করলো রাহাদ কে,মোবাইল বন্ধ আসছে,চিন্তা হলো পুষ্পিতার মানুষ টা কোথায় হারিয়ে গেলো।পর পর দশ বার কল করেই থামলো পুষ্পিতা, ছোট করে ম্যাসেজ ও করলো কোথায় আপনি?কখন আসবেন!
খিদেতে পেট চো চো করছে,না পেরে খেতে গেলো পুষ্প,চিন্তায় চিন্তায় ঠিক মতো খেতোও পারলো না।
বাড়িতে কিছু হয়নি তো?রাহাদের মা কে খাবার টেবিলে বসেই ফোন করলো পুষ্পিতা।
প্রথমে ফোন ধরলো না কেউ,আধঘন্টা পর কল করলো কেউ।পুষ্পিতা রিসিভ করেই বলে উঠলো–,,মা রাহাদ কি বাসায় গিয়েছে?
মনিরা বেগম চুপ রইলেন তিনি জানেন মেয়েটা কে চিন্তায় রাখাটা অন্যায় তার পর ও ছেলে মেয়ের ভালোর জন্য বাবা মায়েদের কিছু কিছু সময় কঠোর হতে হয়।
মনিরা বেগম স্বাভাবিক কন্ঠেই বললেন–,,কই না তো।ওর সাথে কথাই হয়নি দু’দিন।কোনো সমস্যা পুষ্প?
পুষ্পিতা স্বল্প স্বরে জবাব দিলো–,,না তেমন কিছু নয়, আজ বাসায় আসেনি তো এখনো আবার দুপুরে ও বাসায় এসে দেখলাম না তাই ভেবেছি জরুরি কাজে বাড়িতে হয়তো গেছে!
–,,চিন্তা করো না চলে আসবে।অসুবিধে হলে জানাবে কেমন?দরজা আটকে সুন্দর মতো থেকো।
পুষ্পিতা কোনো রকম ফোন রাখলো,মনের ভিতর নানান চিন্তা ঘুর পাক খাচ্ছে,বার বার একটা কথাই বলছে রাহাদ যেনো ঠিক থাকে।
নির্ঘুম রাত কাটলো পুষ্পিতার, সকাল থেকেই ছটফ”টিয়ে উঠছে শুধু,শূন্যতারা ঘিরে ধরেছে তাকে মাত্ররো একটা দিনের ব্যাবধানে।একটা মানুষের শূন্যতাও বুঝি এতো গভীর হয়?নাকি ভালোবাসলে মানুষ এতোটা উতলা হয়?
পুষ্পিতা সকালে খেলো না পুরো বাসাটা দেখলো চোখ মেলে তাদের গত কয়েক দিনের স্মৃতি, বিয়ের আগে রাহাদের সব কথা গুলো যেনো এসে মনের কোনে বার বার নাড়া দিচ্ছে।রাহাদ কে আবারও কল করেছে ছেলেটা কেনো ফোন রিসিভ করবে না?কিসের এতো ব্যস্ততা ওর, একটা মানুষ যে চিন্তায় থাকবে সেটা কি সে জানে না?নাকি এতোটাই নির্দ’য় মনে করে রাহাদ তার শশী কে?
মনের কোনে সুক্ষ্ম অভিমান জমলো,এতোটা বেপরোয়া ছেলে কে ভালোবেসে ফেলেছে পুষ্পিতা।বিয়ে হওয়ার পর নিজের অনুভূতি কে চিনতে পেরেছে,সে বুঝেছে সে কি চায় কাকে তার হৃদয় গ্রহন করেছে।কিন্তু এই ছেলেটা শুধরাবার নয়।একবার হাতের কাছে পেয়ে যাক থাপ্পড় মে’রে মে’রে মুখের নকশা পরিবর্তন করে দিবে।
রাগে দুঃখে কেঁদে ফেললো পুষ্পিতা।
——–
রাহাদের আজ টেস্ট ছিলো কাল ফাইনাল খেলা জাতীয় দলে সিলেকশন শুরু হয়েছে আজ থেকেই।তিন জন খেলোয়ার নিবে বলেছে। রাহাদ চোখ বন্ধ করে বসে আছে মায়ের কথায় মেয়েটাকে কিছু না বলে তো চলে এসেছে,এখন তো মনের ভিতর টা ধুমরে মুচড়ে উঠছে।সে তো জানে তার শশী তাকে নিয়ে ভাবে তার জন্য চিন্তা করে তার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে মেয়েটা একা একা কি করে থাকলো রাতে?খেয়েছে তো?কষ্ট হচ্ছে রাহাদের লোকের কথায় ভালোবাসার মানুষের পরীক্ষা নেওয়াটা বোকামি মনে হলো এ মুহুর্তে। মন চাইলো সব ছেড়ে ছুঁড়ে চলে যাক এখনই।তবে তার শশী যদি জানে খেলা ফেলে চলে গেছে তাহলে আরো বেশি রাগ করবে তখন কি করে রাগ ভাঙ্গাবে।
রাহাদ একটা বিষয় নিশ্চিন্ত তার শশীর ক্ষ”তি করার মতো কেউ নেই আপাতত।রুবাইদা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে বিদেশের মাটিতেই থাকতে চায়,তার চাচা চাচী ও মেয়ের কাছে যাবে কিছুদিন পর।
রাহাদ খেলায় মনোযোগী হলো না চাইতেও।
——
মনিরা বেগমের কথা শুনা মাত্ররো পুষ্পিতা রেগে গেলো। ছেলেটা কি পরিমাণ ছা’গল হলে এমন একটা কাজ করতে পারে?পুষ্পিতা কি একবারও বলেছে এক মাস পর ছেড়ে চলে যাবে?সে রাহাদ নামক প্রাণীটাকে ভালোবাসে না।কপাল চাপড়ালো কিছুক্ষণ। দুইদিন এ গা’ধা টার কথা ভেবে এখানে সে শুকিয়ে গেছে আর ওটা নাকি মাঠে বসে কচু করছে।রাগে মাথা ফাটাতে মন চাইলো পুষ্পিতার তাড়াতাড়ি করে ছুটলো স্ট্যাডিয়ামের উদ্দেশ্য। বেয়া’দব ছেলে কোথাকার।
কোনো রকম ফ্রেশ হয়ে মাথায় ওড়না চাপিয়ে ছুটছে পুষ্পিতা।অভুক্ত নেতিয়ে পড়া শরীর তার,তবুও যেনো থামছে না।
রাহাদের খেলার মাঠে এখনো খেলা চলছে,দুই দলের মধ্যেই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি ল’ড়াই। প্রথমে বেটিং করেছে বিপক্ষ দল।এবারের পালা রাহাদদের দলের,দল কে জেতাতে হবে,আবার নিজেকে ও করতে হবে সেঞ্চুরি এতো কিছু কি করে সামলাবে জানে না কেউই।
উৎসুক জনতা ভিতরে পা ফেলার ও জায়গা নেই,খেলায় হার জিত থাকবেই,তার পরও পছন্দের খেলোয়াড় কে জিততে দেখলে সবারই মন আনন্দে ভরে উঠে।
পুষ্পিতা ঘেমে নেয়ে পৌঁছাতে পেরেছে অবশেষে। ততক্ষণে খেলা শেষ প্রায়,মাঠে হৈ-হুল্লোড়!
রাহাদ কে চিনতে ভুল হলো না মাঠের মাঝখানে তাকে নিয়েই যেনো সবাই মেতে উঠেছে।পুষ্পিতা একটা চেয়ারে বসে পড়লো ধপ করে,অনেকটা পথ ছুটে এসেছে।বসেছে একদম সামনে সহজেই হয়তো নজরে পড়বে মাঠের মানুষের।যদি তার খবর থাকে তো!
সিলেকশনের রেজাল্ট দেওয়া হয়নি এখনো,রাহাদদের দল জিতেছে তাতেই খুশি ওরা।রাহাদ এতোক্ষনে নিজের মোবাইলটা খুললো, ম্যাসেজ আর ফোন কলের পরিমাণ দেখে থমকালো।লাস্ট ম্যাসেজ টা এমন ছিলো
–,,আপনি কাজ টা মোটেও ঠিক করলেন না রাহাদ,এর জন্য ভয়া”বহ কিছু অপেক্ষা করছে আপনার জন্য সামলাতে পারবেন তো?
রাহাদ জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজালো কোন দুঃখে যে শশীর সাথে লাগতে গিয়েছিলো কে জানে?এবার ঠেলা সামলাও।
পুষ্পিতা দু হাত বুকে গুঁজে রাহাদের চুপসে যাওয়া মুখ দেখছে,বেশ বুঝতে পারছে এ ছেলের তার মেসেজ দেখেই এমন অবস্থা হয়েছে।
রাহাদ আশেপাশে চোখ বুলালো পুষ্পিতা কে দেখেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো, পুষ্পিতা গম্ভীর মুখে এখনো তাকিয়ে,ভীড় ঠেলে রাহাদ নিজেই এগিয়ে আসলো পুষ্পিতা এখনো ঠায় দাড়িয়ে। খেলোয়াড় কে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখে দর্শকদের মধ্যে অনেকেই হুল্লোড় করে উঠলো।
রাহাদ পুষ্পিতার সামনে এসে যেই না কিছু বলতে যাবে পুষ্পিতা সজোরে এক চ*ড় বসিয়ে দেয় রাহাদের গালে।
রাহাদ হেসে উঠলো জাপ্টে জড়িয়ে ধরলো পুষ্পিতা কে।পুষ্পিতা ঠেলে সরিয়ে দিলো না আজ।
রাহাদ জড়িয়ে ধরেই বললো –,,স্যরি মেরি জান!
–,,সরুন।
–,,আমি আসতে বলেছিলাম?নিজ থেকে এসেছো এবার আর যেতে দিবো না। পুরোপুরি নিজের করার সময় এসে গেছে পাখি।ভাবতে পারছো বিয়ের এতোদিন পর বাসর করার সুযোগ হয়েছে আমার।
পুষ্পিতা এবার এক হাতে রাহাদের পেটে গুঁতো মা”রলো
,কি নির্লজ্জ ছেলে এতো এতো মানুষের সামনে কিভাবে জড়িয়ে ধরে আছে তার উপর এসব কথা বার্তা।
এর মধ্যেই এনাউন্সমেন্ট হলো তিনজন সিলেক্ট হয়েছে তাদের নাম ও বলা হলো পর পর।
রাহাদ পুষ্পিতার হাত টেনে নিয়ে রেস্ট রুমে বসিয়ে দিয়ে গেলো রাহাদ,তাদের দলের ক্যাপ্টেন বাছির,রাসেল তিনজন সিলেক্ট হয়েছে।
পুষ্পিতা বসে আছে এর মধ্যে সেখানে কয়েকজন মেয়ে আসলো এসে নানান প্রশ্ন করছে,পুষ্পিতা চুপচাপ আছে।
বার বার একই প্রশ্ন করছে সবাই রাহাদ সিকদারের গালফ্রেন্ড তুমি?কয়েকজন তো কানাঘুঁষা করছে এরকম একটা সাধারণ মেয়ে রাহাদের গালফ্রেন্ড?কিভাবে সম্ভব!
পুষ্পিতা অতি”ষ্ঠ প্রায় ইচ্ছে করেই কারো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না সে। এরকম অতিরিক্ত পরিচিত মানুষের থেকে দূরে থাকাই ভালো, এখন মনে হচ্ছে এরকম ভাবে না আসাই ভালো ছিলো।
রাহাদ এসে পেছন থেকে বললো–,,কি হচ্ছে কি এখানে?আমার ওয়াইফ কে এভাবে বিরক্ত করছেন কেনো আপনারা।
শশী চলো তো বাসায় যাবো এখন আমরা।
পুষ্পিতা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। কিসের মধ্যে এসে পড়লো এতো মানুষের ভীড়।
সন্ধ্যা নেমেছে ধরনীর বুকে,পিচ ঢালা রাস্তায় হাঁটছে দুজন।রাহাদের হাতের ভাঁজে পুষ্পিতার হাত।
হাঁটতে হাঁটতে রাত নামলো রাহাদ থামলো এক জায়গায়, পুষ্পিতাকে দাঁড়াতে বললো কিছু সময়।
পুষ্পিতা আনমনা হলো কিছুটা, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সব ভাবলো, মুচকি হাসলো।সে কি কখনো ভেবেছিলো রাহাদ নামক গু’ন্ডা ছেলেটাকে সে এতোটা চোখে হারাবে এতোটা ভালোবাসবে!
রাহাদ পেছন থেকে ডাকলো –,,শশী!
পুষ্পিতা ফিরে তাকালো রাহাদ হাঁটু গেড়ে বসলো তার হাতে এক গুচ্ছ বিভিন্ন রঙের গোলাপ।
রাহাদ বলে উঠলো–,,শশী হবে কি আমার জোছনা রাতের চাঁদ? হবে কি আমার অন্ধকার জীবনের আলো?হবে কি আমার কল্পনার সম্রাজ্যের রানী?আমার অভিমানী?আমার প্রণয়ীনি আমার ভালোবাসা!
ভালোবাসবে?কথা দিচ্ছি সারাজীবন এর মান রাখবো আগলে রাখবো!
শুধু লাল গোলাপ দিতে চাইলাম না,ঠিক তেমনই শুধু ভালোবাসতে চাই না তোমার সম্মান,তোমার ভালো থাকা তোমার ভালো লাগা,তোমার আদর তোমার যত্ন তোমার সব কিছু হতে চাই।তাই এক গুচ্ছ রঙিন গোলাপ তোমার জন্য গ্রহণ করবে না?
পুষ্পিতা এগিয়ে এসে ফুলের তোড়া টা নিলো।রাহাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো –,,ভালোবাসবো!
রাহাদ উঠে জড়িয়ে ধরলো পুষ্পিতা কে।পুষ্পিতা রাহাদের বুকে মাথা রেখেই বললো–,,যদি ত্যাড়ামি করো তাহলে ছেড়েও যাবো!!
রাহাদ চোখ বন্ধ করেই বললো–,,যেতে দিলে তো যাবে নাকি?
দুজন হাঁটছে পাশাপাশি, মুক্ত বাতাস বাতাসে মাদক’তা ভালোবাসা আর ভালোবাসা এ যেনো প্রেমের সুভাষ পৃথিবীর প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই নব্য প্রেমিক যুগলের মনে।
তারা দুজনেরই মনে একই সুর চলো না হাঁটি বহুদূর অব্দি, ঘর বানাই তোমার আর আমার এই জোছনায় সেখানে থাকবো তুমি আর আমি করবো আমরা জোছনা বিলাস, হাঁটবো হাতে হাত রেখে আর বলবো এই পথ যদি না শেষ হয়!
সমাপ্ত~