ঝিলমিল রোদ্দুরে পর্ব-০১

0
1293

#ঝিলমিল_রোদ্দুরে🖤 [সূচনা পর্ব]
~আফিয়া আফরিন।

রোদ্দুর বাড়ির প্রাঙ্গণে বা রাখতে না রাখতেই ভেতর থেকে বিকট চেঁচামেচির আওয়াজ ভেসে এলো। অথচ বিয়ের এখনও এক সপ্তাহ বাকি। এত মানুষজনের মধ্যে ভেতরে যেতে ইচ্ছে করছে না, তারচেয়ে ভালো পাড়ার মোড়ে বারেক মামার দোকানে বসে বসে চা খাওয়া। রোদ্দুর লাগেজ নিয়েই উল্টো পথে পা বাড়াতে যাচ্ছিল। হঠাৎ উপর থেকে কেউ একজন চেঁচাল, ‘অ্যাই রোদ্দুর, দাঁড়া।’
রোদ্দুর পেছন ফিরল, উপরে তাকাল। উপর থেকে ছোট চাচ্চু হাত নেড়ে ডাকছে তাকে, থামতে বলছে। উনি ফের বললেন, ‘ওখানেই থাক। আমি আসছি।’

ছোট কাকা চোখের আড়াল হতেই রোদ্দুর চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে শার্টের সাথে ঝুলিয়ে রাখল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চারপাশ দেখে নিল। বাড়িঘর মোটামুটি ভালোই সাজানো হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানের আগে হয়তো পুরোপুরি কমপ্লিট হয়ে যাবে।
রোদ্দুরের ছোট চাচ্চু মনোয়ার সরকার নেমে এলেন। ভাতিজাকে দেখে এক গাল হাসি হেসে বললেন, ‘না বলেই চলে এলি? বেশ করেছিস। এখন আবার যাচ্ছিস কোথায়? তোর মা-চাচীরা এক সপ্তাহ আগে থেকে তোর জন্য বেহুঁশ হয়ে গেছে।’

‘কেনো কি হয়েছে? মায়ের সাথে আমার গতকাল রাতেও কথা হলো।’

‘সিরিয়াস কিছু না। সবার একটাই আফসোস, বাড়ির ছেলে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছে না। বিয়ের কাজকর্মে থাকছে না, কেনাকাটায় থাকছে না।’

রোদ্দুর হেসে বলল, ‘এইতো চলে এলাম তাই।’

‘এখন ওইদিকে কোথায় যাচ্ছিস?’

‘বারেক মামার চায়ের দোকানে। যাবে নাকি? বাড়িতে প্রচুর সমাগম চাচ্চু। বাড়ির ভেতর না ঢুকেই আমার মাথা ঘুরে গেছে। আর ভেতরে গেলে তো কথাই নেই।’

মনোয়ার সরকার তৎক্ষণাৎ বললেন, ‘আরে ব্যাটা তবে দেরি করছিস কেন? চল চল, আমারও মাথা ঘুরে গেছে। এক কাপ চা খেয়ে শরীরটাকে চাঙ্গা করে আসি।’
রোদ্দুর চাচ্চুর সাথে রওনা হলো। সুখানপুর নামক এই শহরটা বেশ ছোটোখাটো, মফস্বল বলা যেতে পারে। রোদ্দুর এখানে থাকে না, পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় নতুন চাকরিতে জয়েন করেছে। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের ছেলে, শুধু বাবা মায়ের বললে ভুল হবে; চাচা চাচী সহ পুরো গোষ্ঠীর আদরের সে। কারণ তাদের বংশে সেই একমাত্র ছেলে। বড় চাচা অর্থাৎ ফজলুল সরকারের চার মেয়ে; তন্বী আপু, তিন্নি আপু, তিথি আপু, তানিশা। তারপর হচ্ছে, রোদ্দুরের বাবা মাহফুজ সরকার; রোদ্দুর বড় ছেলে এবং ছোটো মেয়ে রিমঝিম। সেজো চাচা অর্থাৎ মাহমুদ সরকারের দুই মেয়ে; রোদশী আপু, যার বিয়ের অনুষ্ঠানে সে এসেছে। আর একজন ঝিলমিল—রোদ্দুরের মতে, এ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঢঙ্গী মেয়ে; যে কিনা কথায় কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। আর একজন হচ্ছে ছোটো চাচ্চু মনোয়ার সরকার, সংসার ধর্ম পালন করা থেকে দূরে রয়েছেন। কখনো বিয়েশাদী করবেন বলে মনেও হয় না। বয়সের আকাশ পাতাল তফাৎ থাকা সত্ত্বেও ছোট চাচ্চুর সাথে রোদ্দুরের সম্পর্ক বন্ধুর মত।
.
রোদ্দুর আর ছোট চাচ্চু বাড়ি ফিরল সন্ধ্যার পর। তখন বাড়িতে হৈ-হুল্লোড়ের পরিমাপ কিছুটা কম। বাড়ি এসে সর্বপ্রথম মায়ের সাথে দেখা করল। মা নীলিমা তো কান্নাকাটি করে অস্থির। রোদ্দুর এইটুকু বোঝে না, এত কান্নাকাটির কি হয়েছে? এই কারণে সে সহজে বাড়ি আসতে চায় না। একবার কোনো কারণে বাড়ি এলে মা-চাচীরা সহজে ছাড় দেয় না। এমনকি সে বাহিরে বের হলেও বাবা পেছনে একটা বডিগার্ড দিয়ে দিবে, মনে হয় ছোটো বাচ্চা সে। মা’কে থামিয়ে সে ছুটল দাদীর কাছে, সেখানেও একই অবস্থা। তারপর ধীরে ধীরে সকলের সাথে দেখাসাক্ষাৎ করল।
বড় চাচীর সাথে দেখা হতেই আফসোস করে বললেন, ‘আরে বাবা আমার মেয়েগুলো এখনও একটাও শশুর বাড়ী থেকে আসতে পারল না। এতই সমস্যা তাদের। বলেছে, বিয়ের আগেরদিন নাকি আসবে। তুই বল, ছোটো বোনের বিয়েতে বড় বোনেরা কখনো আগেরদিন এসে উপস্থিত হয়?’
সেজো চাচী আফসোস করে বললেন, ‘কিছু ভালো লাগে না বাপ। মেয়েটা আমার আজ বাদে কাল শশুর বাড়ী চলে যাবে। আরেকজন গিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে বসে আছে। এত করে বলছি, আয় মা ফিরে আয়। না, সে কিছুতেই আসবে না। তার নাকি বিয়ের শাড়ি গয়না পছন্দ হয় নাই। বলেছি, আরো কিনে দিব তবুও আয়। আসবেই না সে। তোর ছোট চাচ্চু আনতে গেছিল, বিদায় করে দিয়েছে। বলতো বাপ, এগুলা সহ্য হয়? মায়ের কষ্ট দুনিয়াতে কেউ বোঝে না রে। মেয়েগুলারে মনে হয় বাতাস খাওয়াতে খাওয়াতে বড় করলাম।’

রোদ্দুর সব চুপচাপ শোনে, আর মনে মনে কপাল চাপড়ায়। বিয়ের কনের সাথে এখনও দেখা হলো না, সে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে। রোদ্দুর নিজের ঘরে এসে ফ্রেস হলো। এই ডিসেম্বর মাসের কনকনে শীতেও ফুল স্পিডে ফ্যান দিয়ে শুয়ে পড়ল। বাড়ির মানুষের এত আফসোস ঠিক ভালো লাগছে না, এই শুভ দিনে। তাই সে ফোন হাতে নিয়ে একে একে সবাইকে ফোন দিতে লাগল। আগামীকাল যদি সকলকে বাড়ি আসার জন্য রাজি করানো যেত, তবে চাচীদের চোখ-মুখের কালো ভাবটা অনায়াসে সরে যেত।
আপুদের বাদ দিল, সে সরাসরি ফোন করল দুলাভাইয়ের। অনুরোধ করে রাজিও করে ফেলল। শুধু বাকি রইল তিন্নি আপু, সে তার হাজবেন্ডের সাথে লন্ডনে থাকে; ওখান থেকে সব গোছগাছ করে আসতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগবে তাদের। তারপর বাকি রইল, দেশে থাকা ঢঙ্গীটা। ওটাকে আনতে যেতে হবে।
রোদ্দুর সরাসরি ফোন করল ওকে। রিসিভ করতেই কোনো সম্বোধন ব্যতীত বলল, ‘অ্যাই ছেমড়ি অ্যাই! কোথায় পলায়ন করেছিস? এদিকে তোর মা-বাপ তোর জন্য কান্নাকাটি করে দুনিয়া উল্টে ফেলল।’

ঝিলমিল মুখ ঝামটে উত্তর দিল, ‘বিরক্ত লাগে আমার ওখানে। আমার পছন্দমত কিছু হচ্ছে না। তবে আমি থাকব কেনো?’

‘তুই থাকবি তোরও বাপ’ও থাকবে। তোর এড্রেসটা বল।’

‘তুই কি করবি?’

‘তোকে বলতে বলেছি, তূই বলবি ব্যস। এত কথা কীসের বেয়াদব?’

‘শোন, উল্টাপাল্টা কথা বলবি না একদম। তোর এসব কথা শোনার জন্য আমি বসে নেই। তুই কি বাড়ি এসেছিস? এসেছিস যখন চুপচাপ বিয়ে খা। আমাকে জ্বালাতে আসিস না। আমার যা ইচ্ছে হয় আমি তাই করব। তোর কী তাতে? তুই তো……’
ঝিলমিলের বকবকানি শোনার ধৈর্য হলো না রোদ্দুরের। সে ভুলেই গিয়েছিল ছোট চাচ্চুর কাছে গেলেই ঝিলমিলের বর্তমান ঠিকানা পাওয়া যাবে।
এখন রাত আটটা। ছোট চাচ্চুর দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দশটা বাজবে প্রায়, তারপর আবার ফিরে আসতে হবে। এত রাতে এত শীতের মধ্যে কোথায় বের হতে ইচ্ছে করল না। থাক, কাল বরং গিয়ে ঘাড়ে পাক দিয়ে ধরে নিয়ে আসবে। মেয়েটা ছোটোবেলা থেকেই চরম ঘাড়ত্যাড়া, কোনো কথা শোনে না, কাউকে মানে না। একমাত্র দাদী রেহানা যা বলেন, সেটাই তার কাছে যথাযজ্ঞ এবং চিরন্তন সত্য বলে মনে হয়।
.
সরকার বাড়ি’টা বহু পুরোনো আমলের। আনোয়ার ইসলাম সরকার মারা যাওয়ার পর অবশ্য দোতলা এই বাড়িতে আরোও একতলা করা হয়েছে। একটাই বাড়ি, বিশাল বড়, সেখানে চার ভাই তাদের বউদের নিয়ে একসাথেই থাকে। মাঝে বাড়ি ভাগ হওয়ার একটা হিড়িক উঠেছিল কিন্তু রেহানা বেঁচে থাকতে তিনি সেটা কখনোই সম্ভব হতে দিতেন না। স্বামী মারার পর ছেলে, বউমা এবং নাতি-নাতনী নিয়ে একত্রেই আছেন।
রোদ্দুর তার ভীষণ আদরের। একমাত্র নাতি, সেই হিসেবে ছোটোবেলা থেকেই বেশ আদরযত্নে রেখেছেন। ভুল করেও কাউকে গায়ে একটা টোকা দিতে দেন নাই। রোদ্দুর যখন পড়াশোনার জন্য প্রথমবার বাড়ি ছাড়ল, তখন বাড়ির সবার কী কান্নাকাটি। ওর বাপ চাচার একটাই চিন্তা—ছেলেটা ওখানে গিয়ে একা একা থাকবে কি করে? কি খাবে? কিভাবে নিজের কাজকর্ম গোছাবে? যদি মশা কামড়ায়? ওখানে যদি থাকা খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা না থাকে? এমনিতেই চারিদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এরমধ্যে রোদ্দুরকে একটা মশা কামড়ালে তো আর পাত্তা পাওয়া যাবে না বাড়ির কারো। বাড়ির বাকিরাও রোদ্দুরের মত এত যত্নআত্তি না পেলেও তারাও ভীষণ আদর যত্নেই বড় হয়েছে। এই হলো সরকার পরিবার; বেশ সুখী সকলে, মিল-মহব্বতের কমতি নেই কারো মধ্যে, সামান্য মনমালিন্য কিংবা চাপা রাগ, ক্ষোভ, অভিমান’ও নেই।
.
সকাল সকাল তিথি আপু, তার হাজবেন্ড এবং বাচ্চাদের নিয়ে চলে এলো। বড় চাচীর সে কী খুশি! বিয়ের আনন্দ তো আগে থেকেই ছিল, তবে বাড়ির মেয়েরা বাড়ি ফিরে আসাতে সে আনন্দ বর্তমানে দ্বিগুণ বেড়ে গেল। রোদ্দুর বেরিয়ে গেল ঝিলমিলকে ফিরিয়ে আনতে। ঠিকঠাক মত ওকে পেয়েও গেল। ফোন করতেই সে নিচে নেমে এলো। ঝিলমিল তার জন্মের শত্রুকে দেখে ভীষণ ক্ষেপে গেল। তেড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কি সমস্যা তোর? তুই কেনো এসেছিস?’

রোদ্দুর বিতৃষ্ণা নিয়ে তাকিয়ে রইল তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অতি মাত্রার ঝগড়াটে মেয়েটার দিকে। ঝিলমিল ফের চেঁচিয়ে উঠল, ‘কি হলো? জীবনে মেয়ে মানুষ দেখিস নি? এভাবে হ্যাংলার মত তাকিয়ে আছিস কোন দুঃখে?’

‘বাড়ি চল।’ রোদ্দুর বেশ শান্ত গলায় বলল।
কিন্তু ঝিলমিলকে মানাবে কে? সে সাপের মত হিসহিসিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এই মুহূর্তে তার বাপের বাড়ির কোনো মানুষজন পছন্দ হচ্ছে না। কাহিনী তেমন কিছুই না। বিয়ের কেনাকাটা চলছিল। ঝিলমিলের পরীক্ষার কারণে সে একদিন’ও সবার সাথে শপিংয়ে যেতে পারে নাই। মাকে বলেছিল, সুন্দর দেখে কয়েকটা শাড়ি নিয়ে আসতে। মা নিয়ে এলো ঠিক, কিন্তু একটাও ঝিলমিলের পছন্দ হলো না। রং পছন্দ হলে, শাড়ির ডিজাইন পছন্দ হচ্ছে না; বহুত ঝামেলা। বাবাকে বলল, ফেরত দিয়ে অন্য শাড়ি নিয়ে আসতে। বাবা বললেন, ‘এসব আমি গিয়ে ফেরত দিতে পারব না। এই শাড়িগুলোই তো ভীষণ সুন্দর। তুমি পড়ে দেখো, সুন্দর মানাবে। শাড়ি কিনে নিয়ে এসে আবার ফেরত দিতে যাওয়া খারাপ দেখায় না!’
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ঝিলমিল বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। মাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সে আর বাড়ি ফিরে যাবে না।
তারপর তাকে ফিরিয়ে নিতে ছোট চাচ্চু এবং পরিশেষে রোদ্দুরের আগমন। কেন সে নিজেও জানে না, এই ছেলেটাকে দেখলে আপনাআপনি মেজাজ গরম হয়ে আসে‌।
রোদ্দুরের কথা শুনে সে আরও একহাত গলা উঁচু করে বলল, ‘তুই কে যে তোর সাথে আমাকে যেতে হবে? তোর কথা শুনতে হবে?’

‘চাচা-চাচী তোকে লাই দিতে দিতে একদম মাথার উপর তুলে ফেলেছে। বড়দের সম্মান করতে জানিস না বেয়াদব। তোকে যে কষ্ট করে নিতে এসেছি, এটা তোর জনম জনমের ভাগ্য। পায়ে ঠেলিস না।’

‘এত ভাগ্যের দরকার নেই আমার। তুই চলে যা। এত দরদ দেখাতে কে বলেছে? ভালো কথা, তুই হঠাৎ আমাকে নিতে এসেছিস কেনো? উদ্দেশ্য কি তোর? কখনো তো বাড়ি থেকে দু’হাতে দূরে কলেজেও এগিয়ে দিতে যাস নাই। এত দূর, তাও আমাকে নিতে এসেছিস। সন্দেহ হচ্ছে। কাহিনী কি তোর?’

‘কোনো কাহিনী নাই। তোর মায়ের মন খারাপ, বড় মেয়ের বিয়েতে ছোটো মেয়ে উপস্থিত নেই। তাই তোকে নিতে এসেছি। এত জল ঘোলা করতে যাস না। তোর মত গিরগিটি প্যঁচপ্যাঁচি মন আমার না।’

‘কিন্তু আমি তো তোর সাথে কিছুতেই বাড়ি যাব না।’
নাহ, এই মেয়েকে ভালো কথা বললে কখনো কাজ হয় না। বিরক্তিকর একটা! রোদ্দুর এতক্ষণ মাথা ঠান্ডা রেখেছে, আর সম্ভব হচ্ছে না। এত তেল মেরে মেরে কাউকে বোঝানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। ঝিলমিল ঠোঁট বাঁকিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে মানুষজন দেখছিল। রোদ্দুর তার হাত ধরল, বেশ শক্ত করে। ঝিলমিলের হুঁশ ফিরল। সে চেঁচিয়ে উঠল, ‘অ্যাই আমার হাত ধরেছিস কেনো? হাত ছাড় বলছি।’

‘একদম বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তোর হাত ছাড়ব।’

ঝিলমিল গলা ছেড়ে দিয়ে চেঁচাতে লাগল, ‘অ্যাই না না, এএএএএএ, হাত ছেড়ে দে আমার। আমাকে কেউ বাঁচাও প্লিজ। কিডন্যাপার! কিডন্যাপার! আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ও মা, ও বাবা, এ কার পাল্লায় পড়লাম আমি।’
.
.
.
চলবে……