#ঝিলমিল_রোদ্দুরে🖤 [পর্ব-৫৯]
~আফিয়া আফরিন
রোদ্দুর থতমতো খেয়ে গেল।
ঝিলমিল রোদ্দুরের কলারে হাত রেখেই বলল, ‘এত নকশা করিস কি জন্য? দোষ তুই করবি, ক্ষমাও এসে চাইবি। মাঝখান থেকে আমি দর্শক। তোর এই নাটক দেখার জন্য আমাকে এনেছিস?’
রোদ্দুর মাথা নাড়িয়ে ইনোসেন্ট ভঙ্গিতে বলল, ‘একদম না।’
‘তাহলে বল, এত কাহিনী করিস কি জন্য? আর করবি?’
রোদ্দুর পুনরায় বলল, ‘একদম না।’
ঝিলমিল ওর শার্টের কলার ছেড়ে দিল। রোদ্দুর হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। শার্ট ঠিকঠাক করতেই ঝিলমিল বলল, ‘আর যদি কোনদিন আমার সাথে এইরকম অচেনা মানুষের মত ব্যবহার করেছিস… তখন দেখিস কী করি আমি!’
রোদ্দুর উপরনিচ মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, ‘আচ্ছা, দেখব।’
‘আমার পরীক্ষা শেষ হবে, তারপর তুই আমাকে বাড়ি নিয়ে যাবি— আপাতত এটাই তোর শাস্তি।’
‘মাথা পেতে নিলাম।’ রোদ্দুর কুর্নিশ করার ভঙ্গিতে বলল।
ঝিলমিল হাসি চেপে বলল, ‘বাধ্যতামূলক… নিতেই হবে।’ তারপর আগের মতই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। আর সেই হাসিতেই রোদ্দুরের ফাঁ’সি! যাইহোক, যেভাবেই হোক; আজকের দিনটা অন্যরকম সুন্দর ছিল। সম্পর্কে এইরকম কিছু সুন্দর সুন্দর মুহূর্তের জন্য রাগ করে থাকার প্রয়োজন আছে।
নাহ, রোদ্দুর একটুও পরিবর্তন হয় নাই। একদম আগের মতই আছে… সেই ভালোবাসা, সেই অসভ্য, একইরকম রাগ ভাঙানোর প্রচেষ্টা! ঝিলমিল অযথাই ভুল বুঝেছিল। ওমন মানুষকে ভুল বোঝা অন্যায়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। রোদ্দুর সারা ঘরে যে সমস্ত নোটগুলো ছড়িয়ে রেখেছিল, ওগুলা ঝিলমিল খুলে যত্ন করেই রেখে দিয়েছে। তবে রোদ্দুর জিজ্ঞেস করলে বলেছে, ‘এসব কাগজপত্র দিয়ে কি করব? ফেলে দিয়েছি। অযথা ঘরবাড়ি নোংরা। আর করবি না এসব।’
রোদ্দুর মন খারাপ করে বলেছে, ‘এত কষ্ট করে সারাদিনব্যাপী লিখলাম, আর তুই আমার আবেগের মূল্য দিলি না? ফেলে দিলি এইভাবে? যত্ন করে রেখে দিলে কি এমন ক্ষতি হতো!’
‘আবার লিখে দিস। ওগুলো রেখে দিয়ে কি করব? সারাক্ষণ তো মুখেই বলতে থাকিস। শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে।’
‘উমমম… আমি কিছু বললেও তা তোর বিরক্ত লাগে? বিশ্বাস করতে পারছি না, কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। এত কষ্ট কোথায় রাখব আমি? আহারে, ভালোবাসার জন্য আফসোস হচ্ছে।’
রোদ্দুরের হেঁয়ালিপূর্ণ কথাবার্তা শুনে ঝিলমিল শুধু হাসে। কল্পনা করে, যেই অনুভূতি ফেলে দেওয়ায় সে এত কষ্ট পাচ্ছে সেই অনুভূতি অনেক অনেক বছর পর যদি কখনো ফিরে আসে; তখন রোদ্দুরের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? ওর কি মনে থাকবে এসব দিনের কথা? মনে থাকবে এত রাগ-অভিমান?
কী জানি? থাকবে হয়তো! আবার নাও থাকতে পারে! সময় এবং সম্পর্কের বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে সেসব। সম্পর্কে একজন আরেকজনের প্রতি বোঝাপড়া থাকলে, জীবনে একসাথে কাটানো প্রথম দিনটাও মনে থাকে। আর যদি সেই বোঝাপড়াটা না থাকে, গত দিনের কথাও ভুলে যেতে হয়।
.
ঝিলমিলের পরীক্ষা শেষ… অফুরন্ত সময় তার হাতে। বেশ কিছুদিন ছুটি পাওয়া যাবে, পড়াশোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ভালো দিনগুলো অজান্তেই কেটে যাচ্ছে কিন্তু এই পরীক্ষার সময় এলে কেনো যেনো দিন যায় না। কচ্ছপের মত ধীর গতিতে এগিয়ে যায়।
অনেকদিন তো বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না, ওইদিকে রোদ্দুরের পাওনা শাস্তিটাও আছে। রোদ্দুর বলেছে, এই সপ্তাহে নিয়ে যাবে। ক্যালেন্ডারের পাতায় দিন গুনতে গুনতে আজ বুধবারে এসে ঠেকেছে।
আজ রোদ্দুর বাড়ি ফেরার পথে একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে এসেছে। ঝিলমিলকে দিতেই সে চোখ কুঁচকে তাকাল। হঠাৎ লাল গোলাপ? বাব্বাহ! রোদ্দুরকে কারণ জিজ্ঞেস করতেই সে অবাক হয়ে তাকাল। গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমাকে কারণ জিজ্ঞেস করছিস?’
‘হুমম… হঠাৎ এতগুলো গোলাপ কি জন্য? এর আগে তো কখনো এইরকম থোকায় থোকায় ফুল দিস নাই। আজ দিলি, তাই কারণ জানতে চাইছি।’
রোদ্দুর গমগমে কণ্ঠে বলল, ‘আজকে কত তারিখ?’
ঝিলমিল এক সেকেন্ড ভেবে জবাব দিল, ‘উমম, ০৮ তারিখ! কেনো কি হয়েছে? আমার জানামতে, আজকের দিনে তো কিছু নেই।’
রোদ্দুর মাথা নেড়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আজকে ০৮ তারিখ?’
‘হ্যাঁ… তাইতো।’
রোদ্দুর আলতো করে ঝিলমিলের মাথায় একটা গাট্টা মেরে বলল, ‘গাধী, আজকে ০৯ তারিখ। আমাদের বিয়ের ছয়মাস পূর্ণ হলো। মন কোনদিকে থাকে তোর? আজকের দিনটার কথা ভুলে গেলি? আশ্চর্য!’
ঝিলমিল তৎক্ষণাৎ জিভ কাটল। সে ভোলে নাই একদম, গতকাল রাতেও মনে পড়েছিল এই মাসের ০৯ তারিখে তাদের বিয়ের ছয়মাস পূর্ণ হচ্ছে। তবে আজ যে ০৯ তারিখ, এটা খেয়াল ছিল না।
করুণ দৃষ্টিতে সে রোদ্দুরের দিকে তাকাল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভীষণ অনুতাপের সুরে বলল, ‘সরি, আমার একদম মনে ছিল না। মানে মনে ছিল কিন্তু আজকের তারিখটা খেয়াল ছিল না।’
‘এখন আমি এটা নিয়ে রাগ করে বসে থাকি?’
‘না একদম না। আমি সরি বলার পরও তুই রাগ করার সাহস দেখাস কোন আক্কেলে?’ ঝিলমিল চেঁচিয়ে উঠল।
রোদ্দুর হেসে বলল, ‘নিজের বেলায় ষোলোআনা আর আমার বেলায় মাত্র চার আনা? পরিপূর্ণ স্যাড লাইফ আমার।’
স্যাড লাইফ হোক আর হ্যাপি লাইফ, আপাতত এই মুহূর্তে সেটা ঝিলমিল দেখতে চায় না। তাকে এখন ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। রোদ্দুর কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বের হলো। বউয়ের জ্বালা, বড় জ্বালা; যদি খাও ধরা!
.
পরদিন সন্ধ্যার পর দু’জন বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলো। পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত। দাদির শরীর আগে থেকে কিছুটা সুস্থ আছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত তো নিজের একার পক্ষে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়েছিল, এখন তিনি বেশ একলাই চলতে পারেন।
দাদিকে সুস্থ দেখে ঝিলমিল আর রোদ্দুর দু’জনেই ব্যাপক খুশি হলো। মা-বাবা এবং সকল আপনজনেরা থাকা সত্ত্বেও এই একটা মানুষ তাদের সবাইকে বট বৃক্ষের ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছেন। উনার হাত সবার মাথায়, উনার দোয়া সবার সাথে।
রোদ্দুরকে দেখলে রেহানা খাতুন বরাবরই খুশি হোন। তখন সমস্ত অসুস্থতা, শরীর খারাপ তার কাছে হার মানে। ঢাকা থেকে ফিরে আসার পর ডাক্তার তাকে এতগুলো ওষুধ দিয়েছিল যে খেতে খেতে বিরক্ত ধরে গিয়েছিল। তারপর যখন ওষুধ খাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিলেন তখন বাড়ির বউয়েরা রোদ্দুরের কাছে নালিশ জানাল।
রোদ্দুর ফোনেই যতটুকু বলেছিল, টনিকের মত ততটুকুই কাজে দিয়েছে। মনে মনে কতবার ভাবেন, আর শুনবেই না এদের কথাবার্তা! কিন্তু ততবার রোদ্দুর সামনে এসে দাঁড়ায়… আর তিনি একমাত্র নাতির জেদের কাছে হেরে বসে থাকেন।
আজও রোদ্দুর আসার পর ওকে কিছুতেই কাছছাড়া করলেন না। খাওয়া-দাওয়া শেষে অনেক রাত পর্যন্ত গল্পগুজব করলেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঝিলমিল দাদিকে ওষুধ খাওয়াতে খাওয়াতে বলল, ‘এই নাও ওষুধগুলো খেয়ে নাও, তারপর আরামসে ঘুম দাও তো। এত রাগ জাগো কেনো? এত রাত জাগা তো তোমার শরীরের জন্য ভালো না।’
‘বাপু, এত ওষুধপত্র ভালো লাগে না। এমনিতেই তো বেঁচে আছি বেশ।’
‘বললেই হলো? এমনিতেই নিজের জন্য বেঁচে আছো, ওষুধপত্র খেয়ে এইবার আমাদের জন্য বাঁচতে হবে। তোমাকে ছাড়া এই সংসারের কি হবে বলো তো? তোমার ছেলের বউয়েরা আজ অবধি তোমাকে ছাড়া ঠিকঠাক মত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে?’
তারপর দাদির কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, ‘একেকজন হচ্ছে বোকা চন্দ্রবিন্দু। বড় চাচি বলেছিল, তুমি যখন ঢাকা থেকেছিলে তখন তাদের যে কোন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হাজারবার ভাবতে হয়েছে। আর একা একা তাদের নাকি ভালোও লাগছিল না। এইতো এতো গুলো মানুষ তোমার উপর ভরসা করে বসে আছে, আর তুমি সবাইকে ডুবিয়ে চলে যাবে?’
দাদি হেসে বললেন, ‘আল্লাহ চাইলে সব সম্ভব রে!’
ঝিলমিল দাদিকে ভালোভাবে শুইয়ে দিয়ে, গায়ে কাঁথা দিয়ে কিছুক্ষণ পাশে বসে রইল। দাদি ঘুমিয়ে গেছে, নিশ্চিত হওয়ার পর নিজের ঘরে এলো। ঘরে এসে দেখল, রোদ্দুর’ও ঘুমিয়ে পড়েছে। একটু আগে মনে হয়, ফ্রেশ হওয়ার জন্য কাপড়চোপড় বের করেছিল। তারপর আর কিচ্ছু গুছিয়ে রাখে নাই, সব এলোমেলো করে রেখে দিয়েছে। ঝিলমিল সব গুছিয়ে রেখে এসে রোদ্দুরের পাশের জায়গাটুকু দখল করে নিল। তারপর রোদ্দুরের বুকের মধ্যে ঢুকে পড়ল। এটা তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা, শান্তির জায়গা, নির্ভরতার জায়গা, শাসনের জায়গা, ভরসার জায়গা, অভিমানের জায়গা, লজ্জায় মুখ লুকানোর জায়গা, ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার জায়গা, ভালোবাসা অনুভব করার জায়গা, দৃঢ় প্রত্যয়ে বেঁচে থাকার জায়গা, মানসিক সংযুক্তি স্থাপনের জায়গা!
.
এই বাড়ির বউয়েরা সূর্য্যি মামার আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এমনটাই হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকে, কিছু মুহূর্তের জন্যও এই নিয়মের হেরফের হয় নাই কখনও।
তারাই ঘুম থেকে উঠে বিভিন্ন রকমের নাস্তা তৈরি করতে করতেই বাকিরা জাগত। তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যে যার কাজে চলে যেত। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না।
ঝিলমিল’ও কিছুক্ষণ পর উঠে এলো। এসে সরাসরি রান্নাঘরেই এসে দাঁড়াল। বড় চাচি ঝিলমিলকে দেখে হেসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীরে, আজকাল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিস? ভালোই উন্নতি হয়েছে তোর। বিয়ের পর দেখি চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছিস।’
ঝিলমিল লজ্জা পেল। বলল, ‘না না, আমি তো আগেও সকালে উঠতাম।’
নীলিমা তখন হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ, উঠে একটু বিছানার সাথে গড়াগড়ি করতি তাই তো? রোদ্দুর উঠেছে রে? কাল রাতে তো খাওয়া-দাওয়া করল না। ওকে গিয়ে ডেকে তোল মা।’
‘আচ্ছা যাচ্ছি।’
ঝিলমিল রোদ্দুরকে ডাকতে যাচ্ছিল। উত্তরের বারান্দা ক্রস করার সময় মায়ের কণ্ঠ ভেসে এলো। তিনি চেঁচিয়ে কারো সাথে কিছু একটা বলছেন। ঝিলমিল ঘরের দিকে দৌড়াল। বেশ কিছুক্ষণ ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে রোদ্দুরকে ডেকে তুলল। বলল, ‘অ্যাই শাশুড়ির ছেলে, ঘুম থেকে উঠে পড়। কাল রাতে তো খাওয়া-দাওয়া করলি না, শাশুড়ি আম্মা পাগল হয়ে গেছে।’
‘একমাত্র তুই ছাড়া সবাই আমার জন্য পাগল!’
‘আমার পাবনা যাওয়ার শখ জাগে নাই। তুই প্লিজ একটু উঠ। তারপর খাওয়া-দাওয়া করে বাইরে যাই চল। ঘরে থাকতে তো ভালো লাগছে না।’
‘অথচ তুই কিন্তু এখানে আসার জন্য বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলি। আর আজ কি বার? এই সময় তোকে নিয়ে ঘুরতে যাব, এর মানে কি?’
ঝিলমিল রোদ্দুরের গায়ের সাথে হেলান দিয়ে বলল, ‘ওহো, আজ তো শুক্রবার। আচ্ছা, বিকালে বের হবো। এখন উঠবি তুই নাকি মাইর খাবি?’
রোদ্দুর সোজা হয়ে বসে বলল, ‘আচ্ছা তুই এইরকম কথায় কথায় হুমকি ধামকি দিয়ে কি পাস?’
ঝিলমিল চোখ টিপে বলল, ‘মানসিক শান্তি!’
তারপর উঠে পড়ল। হঠাৎ মাথা ধরেছে, এককাপ চা খেতে পারল ভালো লাগত। ফের রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াতেই চাপা চেঁচামেচির আওয়াজ ভেসে এলো। ঝিলমিল সেদিকেই এগিয়ে গেল।
মা-চাচীরা সব দাদির ঘরে ভিড় করেছে। যা শুনল, তাতে ঝিলমিল হতভম্ব হয়ে গেল।
রেহানা খাতুন মা’রা গিয়েছেন, হয়ত রাতে ঘুমের মধ্যেই। ঘুমানোর আগে ঝিলমিল যখন তার মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছিল তিনি তখন বলেছিলেন, শান্তিতে ঘুম আসবে আজ তার।
তবে কি এই শান্তির কথা বলেছেন? সব সময় ওদের মাথার উপর ছায়া দেওয়া বটবৃক্ষ আর বিপদে ঢাল হয়ে সামনে এগিয়ে আসা মানুষটা চলে গেলেন! বিশ্বাস হলো না এই খবরটা। বুক কেঁপে উঠল, চোখের কোণে অশ্রু এসে ভিড়ল। এগিয়ে গিয়ে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সাহস নেই। যেখানটায় দাঁড়িয়ে ছিল, পর সেখানেই আটকে গেছে।
এক বিচক্ষণ, বুদ্ধিমতি, শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরা মহীয়সী নারীর এমন বিদায়ে, বাড়ির সকলে চোখে অন্ধকার দেখল।
.
.
.
চলবে….
[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]
শব্দ সংখ্যা— ১৫১৩