ঝিলমিল রোদ্দুরে পর্ব-৬০

0
254

#ঝিলমিল_রোদ্দুরে🖤 [পর্ব-৬০]
~আফিয়া আফরিন

জন্মিলে মরিতে হবে— চিরন্তন সত্য কথা। বোধবুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটা মানুষ বুঝে যায়, একদিন তাকেও মৃ’ত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। জন্ম মৃ’ত্যুর এই খেলা ঘরে মানুষ জড়িয়ে পড়ে মায়ায়, পিছুটানে, দায়িত্বে কর্তব্যে। মৃ’ত্যু যখন দুয়ারে এসে কড়া নাড়ে, তৎক্ষণাৎ সব পিছুটান ছেড়ে এক লহমায় চলে যেতে হয়।
বয়সের কারণে রেহানা খাতুন বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডাক্তার যাই বলুক না কেন, তিনি তো জানতেন তাঁর নিজের ভেতরটা! হয়ত বুঝে গিয়েছিলেন খুব তাড়াতাড়ি তাকে বিদায় নিতে হবে।
এই বাড়ির প্রতিটি মানুষের উপর ছিল তার অপরিসীম ভালোবাসা। কখনো হয়তো প্রকাশ করেন নাই, মনখুলে ভালোবাসার বলেন নাই, সবসময় একটা গম্ভীরভাব করে থেকেছেন; তাই বলে ভালোবাসার কমতি ছিল না। তার প্রাণ সর্বদা আটকে থাকত এই আপনজনের মাঝেই!
জীবনের প্রথম লগ্ন থেকে এই সময় পর্যন্ত তার সব চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে কিনা কে জানে? এতকিছু ভেবে, এত আয়োজন করে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নাই কখনও। যখন জিজ্ঞেস করবে করবে ভাবছিল, ঠিক তখনই এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে এই ক্ষণস্থায়ী জীবন ছেড়ে চলে গেলেন তিনি!
‘শ্বাশুড়ি’— শব্দটা অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা ভয়ঙ্কর আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপক ভালোবাসার। এই বাড়ির বউয়েরা কখনও অভিযোগ করতে পারবে না তাদের শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। সেই যে কতকগুলো বছর আগে সাবরিনা এলেন এই বাড়ির বড় বউ হয়ে, নিজের মা ছিল না আর রেহানা খাতুনের মেয়ে ছিল না বলে তাকেই প্রথম বুকে আগলে নিয়েছিলেন। ছেলেদের প্রতিও অসীম ভালোবাসা, যা ঠিকঠাক মত প্রকাশ করতে পারেন নাই। দিনের পর দিন, তাদের সংসারের পরিধি বেড়েছিল কিন্তু আদরে কোনো তারতম্য ঘটে নাই। কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করে নাই।
নিজের সংসার, সন্তান সবকিছু সামলিয়ে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নিয়েছিলেন নাতি নাতনিদের চমৎকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার। যাইহোক, ওদের প্রতি ভালোবাসায় হেরফের হয়নাই কোনোদিন।
ঝিলমিলের বিশ্বাস হচ্ছে না, গতরাতে যে মানুষটা হেসে কথা বলল; সে মানুষটা আজ আর নেই। সে পুরোপুরি ঘরের ভেতর পা রাখার সাহস পায় নাই, দাদির লা’শটা এক নজর দেখার সাহস সঞ্জয় করে উঠতে পারে নাই; দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। বাকিদের কান্নাকাটির আওয়াজে ক্রমশ বুক ভারি হয়ে উঠছে। আহ, জীবন… এত অনিশ্চিত!
প্রাণবন্ত বাড়িটা হঠাৎ করেই শোকের বাড়িতে পরিপূর্ণ হয়েছে। রোদ্দুর খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারল, তার বুকের গভীরে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। সবকিছু একটা দুঃস্বপ্নের মত, মনে হচ্ছে ঘুম ভাঙ্গলেই সূর্যের আলোর মত সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু সে সত্যি যথার্থই দুঃস্বপ্ন, তা সূর্যের আলো দিয়েও মোছা যায় না।
সবাইকে খবর দেওয়া হলো। রেহানা খাতুনের ছেলেরা সব কেমন শান্ত আর স্থির হয়ে পড়লেন। দু’দিন আগেও যাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল, তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যাওয়ায় মত অবস্থা হয়েছিল, একেকজনের ক্ষমতার জোরে নিজস্ব সত্ত্বাকে ভুলতে বসেছিলেন; আজ তারা নির্জীব, স্তব্ধ। এমন সময়েও মনে হচ্ছে, তাদের পক্ষে এই সংসারটাকে একটা সুতোয় বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। তিনি যেরকম শক্ত হাতে আগলে রেখেছিলেন, আর কেউ তা পারবে না। এতদিন মুখে ভাঙ্গন ভাঙ্গন করছিল সবাই; এইবার না সেটা আবার বাস্তবে রূপ নেয়!

রোদ্দুর বেশ শক্ত মনের হলেও এমন অবস্থায় নিজেকে সামলানো খুব কঠিন। তবুও বাড়ির এতগুলো মানুষের কথা ভেবে তাকে শক্ত থাকতে হলো। এইদিকে মনোয়ার সরকার’ও যে বেশ শক্ত স্বভাবের। এদের স্বভাব’ই সব নিয়ম আর হিসেবের বাহিরে চলা। তিনি মায়ের মৃ’ত্যুতে একফোঁটাও কাঁদলেন না। ঠান্ডা মাথায় রোদ্দুরের সাথে সব কাজেই বন্দোবস্ত করলেন। আর কারো মানসিক শক্তি নেই বর্তমানে এই দু’জনই ভরসা।

দাদির জা’নাজা, দা’ফন-কাফন, যাবতীয় সবকিছু নিয়ম মেনে সঠিকভাবে পালন করা হলো। বাড়ি সবাই ঝিমিয়ে পড়েছে। সেই সকাল থেকে এই রাত পর্যন্ত অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে, চোখের পানি ফেলছে। পাড়া পড়শী আসছে, দুয়েক শান্ত্বনার বাণী শুনিয়ে চলে যাচ্ছে। পরিবার ব্যতীত রেহানা খাতুনের কাছের মানুষ ছিলেন যারা তারা এখনও বিলাপ করে কেঁদে যাচ্ছেন।
ঝিলমিল মা-চাচীদের পাশে বসে আছে, তারা এতিমের মতই দিশেহারা। অনেকক্ষণ যাবত কান্নাকাটি করতে করতে হেঁচকি উঠছিল, এত বিলাপে দমবন্ধ লাগছিল। ঝিলমিল ওই ঘর ছেড়ে বের হলো, ওর হাত পা অনবরত কাঁপছিল।
আজ সারাবাড়িতে পা ফেলার জায়গা নেই। সেই সকালের পর রোদ্দুরের সাথে আর তার দেখা হয় নাই। কোথায় আছে কে জানে? খোঁজ নাতে ইচ্ছে করছে না।
কী করছে সে এখন? দাদির কাছে সারা দুনিয়া একদিকে আর রোদ্দুর একদিকে ছিল। ওর বাবা-মায়ের বকাবকিও তিনি বরদাস্ত করতেন না। সেই রোদ্দুর কোথায় এখন? একটা খোঁজ নেওয়া তো প্রয়োজন। দাদিই তো একবার বড় মুখ করে বলেছিলেন, ‘এইতো আমার আদরের নাতিটাকে তোর হাতে তুলে দিলাম। তুই সবসময় ওর খেয়াল রাখিস, যত্ন করিস।’
ঝিলমিল চোখের পানি মুছে ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। চোয়াল ব্যথা করছে, কপালে চিনচিনে যন্ত্রণার অনুভূতি হচ্ছে। রোদ্দুরকে ঘরে এসে দেখতে পেল না। বসার ঘরে বড় চাচা আর ছোট চাচ্চুকে দেখল। তাদের মত কোনো কান্নাকাটি নেই তবে দুঃখবোধ কিংবা শোক চেহারায় স্পষ্ট।
ঝিলমিলকে দেখে ছোট চাচ্চু হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘আব্বা চলে গেল সেই কবে, মনেও নেই। মা সব দিয়ে জড়িয়ে রেখেছিল, কোনোদিন কোনো দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করতে পারে নাই। মায়ের জীবনের বোধহয় একটাই লক্ষ্য ছিল, নিজে সব বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে তার সন্তানদের রক্ষা করবেন। বেঁচে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত এই ছিল তার জীবন… তিনি আমাদের রক্ষা করেছেন’ও বটে। এরপর কী হবে জানা নেই। তবে এইটুকু বলতে পারি, বেঁচে থাকাকালীন মায়ের কোনো ইচ্ছে আমরা সজ্ঞানে কেউ অপূর্ণ রাখি নাই।’
তিনি উঠে গেলেন। আরও হয়তো কিছু বলার ছিল কিন্তু শেষ কথাগুলো বলার সময় গলা ধরে আসছিল, চোখ ভিজে আসছিল।
ঘরের এমন পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য ঝিলমিল ছাদে উঠেছিল। রোদ্দুর এখানেই ছিল, রেলিংয়ে হেলান দিয়ে মাথা নিচু করে বসেছিল। ঝিলমিল এগিয়ে এলো এদিকেই। মুখে কিছু না বলুক, ওর চেহারার অবস্থা দেখেই বোঝা গেল তীব্র কষ্টে ভেতরটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বুঝ হওয়ার পর নিজের মানুষ হারানোর ব্যথা এত তীব্রভাবে আর কখনও উপলব্ধি করতে পেরেছে কিনা জানা নেই! ঝিলমিলের উপস্থিতি রোদ্দুর টের পেয়েছিল। গম্ভীর এবং শান্ত দৃষ্টিতে ঝিলমিলের দিকে তাকাল। ওর ওমন দৃষ্টি দেখে ঝিলমিলের বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুছরে গেল।
রোদ্দুর প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে বলল, ‘যেই টানে টানে এই বাড়িতে আসতাম, সেই টানটা কেমন মাঝপথে ছিঁড়ে গেল দেখলি?’
ঝিলমিল কিছু বলতে পারল না। দু’ফোঁটা অলক্ষ্যে গড়িয়ে পড়ল। রোদ্দুর পুনরায় বলল, ‘মা-বাবা তো আলাদা হিসেব। ইচ্ছে করলে তো, তাদের সাথে আলাদাভাবে দেখা করতে পারতাম। কি দরকার ছিল, ছুটির দিনগুলোতে এই বাড়িতে ছুটে আসার? শুধুমাত্র একটা মানুষকে দেখার জন্য, তার আদর পাওয়ার জন্য। আমার মনে পড়ে না, দাদিকে ছাড়া এই বাড়িতে কখনো সামান্য সময় কাটিয়েছি কিনা! আর আজ দেখ, ওই মানুষটাকে ছেড়ে আমি… আমরা একটা গোটা দিন পার করে ফেলেছি। ভবিষ্যতেও তাকে ছাড়া আমাদের জীবন কাটাতে হবে। চলে গিয়েছে কিন্তু অস্তিত্বটা রেখে গেছে। এখন কাকে দাদি বলে ডাকব বল তো? মা বকাবকি করলে কার কাছে গিয়ে নালিশ করব? একবার ভাবল না আমাদের কথা!’ শুধু রোদ্দুরের কণ্ঠে নয় তার সারা শরীর জুড়ে তীব্র শোকের বহিঃপ্রকাশ।
ঝিলমিল কিছুই বলল না, মানসিকভাবে সে ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের জীবনের পরিসর তো খুব বেশি বড় নয়। এই সামান্য কয়েকটা মানুষকে ঘিরেই সবকিছু। এই গন্ডি থেকে একজন বিদায় নিল… কিন্তু এই গন্ডি কখনোই শূণ্য হবে না। কেউ না কেউ এসে ঠিকই পূর্ণ করবে তবে এখনকার এই মানুষগুলো কেউ থাকবে না, সবাই হয়ত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় চির শান্তির দেশে পদার্পণ করবেন। কে জানে, কার ভাগ্যে কখন কি লেখা হয়েছে?
.
মানুষের জীবনের মত শোক’টাও ক্ষণস্থায়ী। রেহানা খাতুন মারা যাওয়ার পাঁচদিন পেরিয়ে গেছে ইতোমধ্যে। বাড়ির পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক। সময় তো বড্ড স্বার্থপর। কারো খারাপ সময় দেখে যে থেমে থাকবে, এমন তো নয়। সময় ভালো হোক অথবা খারাপ, কখনোই থেমে থাকবে না। সময়ের নিয়মের সময় এগিয়ে যাবে অথচ জীবন থেমে থাকবে!
রোদ্দুর রয়ে গেছে। ফিরে যাওয়ার মত, কাজে মনোযোগ দেওয়ার মত মানসিকতা তার নেই। এই বাড়িতেও যে খুব মন টিকছে, তা নয়। যেখানে বাড়ির প্রাণটাই নিঃশেষ হয়ে গেছে সেখানে মন থাকবে কীভাবে?
এই কয়েকদিন বাড়ির বিষয়ে আর কেউ কোন কথা বলে নাই। সেদিন অবশ্য মাহফুজ সরকার ছেলের সাথে একটু কথা বলতে চেয়েছিলেন, যেহেতু বংশ পরম্পরায় রোদ্দুর একমাত্র ছেলে; তাই সবকিছুতেই ওর অধিকার রয়েছে। কিন্তু রোদ্দুর এসব শুনতেই চায় না। বাড়ি ভাগাভাগির কথা তো এখনও পুরোপুরি কানে পৌঁছায় নাই। নিজের বাবার কাছ থেকে যতটুকু শুনেছিল তাতেই রেগে এটম বোম! বেশ গম্ভীরভাবে বলেছে, ‘আমাকে এসব বলতে এসো না কেউ। আমি জানি না কার ভাগে কি আছে, জানতেও চাই না। আমি ভাষা ভাষা শুনেছিলাম তোমাদের মধ্যে কী যেন ঝামেলা চলছে, যদিও বিষয়বস্তু জানা নেই। আমি বলি কি, এইবার সকলে থিতু হও। মানুষটা নেই তার স্মৃতিগুলো বেঁচে থাকুক।’
তারপর অবশ্য কেউ আর এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য করার সাহস পায় নাই। সাহস থাকলেও, বিবেকের দিক বিবেচনা করে এই শোকের মুহূর্তে কথাগুলো তুলতে চায় নাই।
এখানে এসবের মাঝে থাকার ইচ্ছেটাই চলে গেছে ঝিলমিলের। বাড়ি এসেছিল কত শখ করে! নিষ্ঠুরতার বেড়াজালে শখ’টা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। ঝিলমিল এতক্ষণ দাদির ঘরেই ছিল। দাদির শাড়ি, যাবতীয় জিনিসপত্র খুব সুন্দর করে গুছিয়ে রেখে দিয়েছে। মানুষটা নেই তবে স্মৃতিগুলোই ভরসা!
ওই ঘর থেকে বের হয়ে সরাসরি রোদ্দুরের কাছে এলো কথা বলতে। এই মুহূর্তে রোদ্দুরের মেজাজ খারাপ না মন খারাপ বুঝতে পারল না। তবুও যথেষ্ট সাহস সঞ্জয় করে বলেই ফেলল, ‘আমরা ফিরব কবে? এখানে আর কোনো কাজ আছে?’
রোদ্দুর’ও মনে মনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করছিল। গতকাল রাতেও ভেবেছে। এই বাড়িটাতে দমবন্ধ লাগছে। দুঃখ পাহাড়ের মত ভারী হয়ে বুকে চেপে বসেছে। তবে সমস্যা নেই, অভ্যাস হয়ে যাবে তো!
রোদ্দুর বলল, ‘হুম, আজ রাতেই তাহলে রওনা দিই।’

‘আচ্ছা আমি মা’কে বলে আসি।’

‘যা।’
ঝিলমিল মায়ের কাছে গিয়ে বলল। তিনি কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালেন না। শুধু একপলক চেয়ে দেখলেন। তারপর বললেন, ‘কখন যাবি?’

‘মনে হয় রাতে যাব।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে।’
ব্যস, মায়ের সাথে এইটুকুই কথা হলো। বাকিদের সাথে আর তেমন কথা হলো না। ঘরে গিয়ে নিজেদের কাপড়চোপড় গুছিয়ে নিল। রোদ্দুর সকালে সবার মাঝে কথায় কথায় বলেছিল, ‘এই বাড়িতে আর হয়ত সহজে আসা হবে না। যদি তোমাদের কারো আমদের কথা মনে হয়, তবে গিয়ে দেখা করে এসো।’

তখন বড় চাচা বলেছিলেন, ‘মা যখন নেই তখন এই বাড়িটা রেখে আমরা কি করব? যার ভাগ তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর, নিজেদের ইচ্ছামত আবার নতুন ফ্ল্যাট করে নিতে পারবে।’
সকালে এই কথায় রোদ্দুর জানতে পারল, ভাগাভাগির বিষয়টা। তৎক্ষণাৎ কোনো কথা বলে নাই তবে রাগে যে মাথা গরম করেছিলেন, তা ওর উঠে চলে যাওয়া দেখেই বুঝতে পেরেছিল। সেই থেকে বিষন্ন মনে বসে আছে। একটা মানুষ মা’রা গেল, একটা মাস এখনও গড়াতে পারল না; আর এরা বাড়ি ভাগাভাগি নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। যা খুশি করুক, রোদ্দুরের দেখার বিষয় না। সে আজ সন্ধ্যায় ঝিলমিলকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।
কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হলো না। তার আগেই আরেকটা বিপদ দূর থেকে আগুনের হ’লকা ছুঁড়ে দিল।
.
.
.
চলবে….
[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]

চেয়েছিলাম গল্পটা ৬০ পর্বেই শেষ করতে পারব হয়ত! কিন্তু সম্ভব হলো না। এই পর্যন্ত আমার লেখা সবগুলো গল্পের মধ্যে এটাই এত দীর্ঘ। যাইহোক, আর তিন পর্বের মধ্যে হয়ত সমাপ্ত করে দিব। এতদিন ধৈর্য সহকারে গল্পটা পড়ার জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা!❤️
শব্দ সংখ্যা— ১৬০০