ঝিলমিল রোদ্দুরে পর্ব-৬২

0
198

#ঝিলমিল_রোদ্দুরে🖤 [পর্ব-৬২]
~আফিয়া আফরিন

সবকিছুর উর্ধ্বে নিয়তি বলে একটা কথা আছে। বলে না, নিয়তির লিখন খন্ডায় কে? আসলেই তো, নিয়তির লিখন খন্ডানোর মত সাধ্যি আছে কারো? এইতো দুদিনের দুনিয়ায়, স্বল্পস্থায়ী জীবনে বেঁচে থাকার জন্য যথাযথ একটা স্থান থেকে আরও উঁচু স্থানে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সময় খুব দ্রুত কেটে যায় এই কথাটা ঠিক তবে পাশাপাশি খারাপ সময় যে তুলনামূলক একটু দেরিতে কাটে, এটাও ঠিক। সেই বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর একমাত্র পেরিয়ে গেছে।
এই ৩০ দিনের পুরো সময়টা পেরিয়েছে নিজেদের ধাতস্থ করতে করতে। ফজলুল সরকার অসুস্থ হয়ে ছিলেন কিছুদিন। ওইদিকে পুলিশ তদন্ত করছিল। উসমান খন্দকারকে পাওয়া যায় নাই, কোথায় গিয়েছেন অজানা। তবে যার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং যেই লোকটা সব পরিকল্পনা কার্যকর করেছে তাকে পুলিশ দু’দিন বাদেই এরেস্ট করেছে। ওই লোকটাই বাড়ির পেছনের তার কেটে একটা গোলযোগ সৃষ্টি করেছিল, তারপর বাড়ির মেইন সুইচে অনেকগুলো তার কেটে রেখেছিল। যেহেতু আগে থেকে কেউ বুঝতে পারে নাই, তাই প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে। বিষয়টা একটু অনুমান করতে পারলেও এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না। তবে আক্ষরিক অর্থে এটা তাদের কাছে যতটা না দুর্ঘটনা ততটাই কর্মের ফল। প্রায় অনেকদিন থেকেই বাড়ি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল, এখন তো কোনো ঝামেলাও নেই, বাড়িও নেই আর না আছে মাথাব্যথা।
তবে এতগুলো মানুষের মাথার নিচের ছাদ চলে যাওয়ায়, সকলেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে, গোছাতে হবে; কিন্তু তারজন্যও তো সময় প্রয়োজন। এখন সবাই ঢাকাতেই আছে, এখানে অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। সবাই মোটামুটি চেষ্টা করছে নিজেদের শক্ত করার, চেষ্টায় আংশিক সফল’ও হয়েছে। লোক দেখানো হলেও ঝিলমিল’ও নিজেকে বুঝ দিয়েছে। এইদিকে রোদ্দুরের কারো সাথে কোনো কথা নেই, মান যে বেশ করেছে তা সকলেই বুঝেছে। কে ভাঙ্গাবে? কার মুখ আছে?
রোজ নিয়ম করে অফিস যাচ্ছে, সময়মত চলে আসছে। মাঝে কিছু সময় আর রাতের কিছু সময় ঝিলমিলের জন্য বরাদ্দ, এভাবেই চলছে। এরইমধ্যে এক রোজার ইদ পার করে ফেলল কোনোরকম আনন্দ ছাড়া।
নিজেদের এমন একটা সময়ের কথা মনে পড়লে ঝিলমিলের দুঃখে-কষ্টে চোখে পানি আসে। তবে দুঃখের চেয়েও বেশি রাগ হয়, সেই রাগের আগুনেই আবার চোখের পানি শুকিয়ে যায়। শান্ত থাকে, তবে শান্ত থেকেই টের পায় দু’চোখ আগুনে জ্বলার অনুভূতি।
মা-বাবা এখানে কিছুদিন ছিলেন। মাহমুদ সরকার কাজ আছে বলে সুখানপুর চলে গিয়েছেন। আজ শিমুও বলছিল, তাদের বাসা থেকে ঘুরে আসবেন। এমনিতেই যাওয়ার সুযোগ মেলে না, এখন যেহেতু সুযোগ আর সময় আছে তবে তা কাজে লাগানোই ভালো। ঝিলমিল অনেকবার ‘না’ করেছিল, কিন্তু তিনি শোনেন নাই। রোদ্দুর গিয়ে পৌঁছে দিয়ে এসেছে।
ওদের ওই বাড়িটা বেশ কিছুদিন ওইভাবেই পড়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে রোদ্দুর গিয়েছিল। লোক লাগিয়ে পরিষ্কার করে একটা ঘেরাও দিয়ে রেখেছে। আর বেশ তপ্ত মেজাজে সকলের উদ্দেশ্যে বলেছে, ‘তোমাদের এখানে থাকার ইচ্ছে ছিল না, এখানে থাকার অর্থাৎ এই বাড়িটাকে নতুন করে গড়ে তোলার কোনো দরকার নাই। আমি পরে কোনো ব্যবস্থা করব।’
বড় চাচা শুনে ভীষণ রাগারাগী করেছেন। রোদ্দুরের বিরুদ্ধে শতশত অভিযোগ রেখেছেন।
ভাইকেও বলেছেন, ‘তোর ছেলে যা শুরু করেছে… সময় থাকতে মানা কর। আমাদের বাড়িঘর আমরা কি করব, সম্পুর্ন আমাদের ব্যাপার। আমাকে তো খুব বলছিল কিন্তু মা যখন বেঁচে ছিল তখন তো টু শব্দ উচ্চারণ করে নাই। সবাই এমন, একইরকম। আমি প্রকাশ করেছি বলে আমি খারাপ। আর এখন যে তোর ছেলে প্রকাশ করছে, তা বেলায় কিছু না? একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে সকলের অজান্তেই। সবকিছুই মানলাম… কিন্তু রোদ্দুর কোন আক্কেলে বলে, বাড়ি ব্যাপারে আমরা যেনো নাক না গলাই? বাড়িতে আমাদের ভাগ নেই? তোর ছেলে একলা উত্তরাধিকারী? বাপের সম্পত্তি আমরা না পেলে পাবে কে? এই বাড়ির প্রতি ওর কেনো এত লোভ থাকবে?’

রোদ্দুর হেসেছে সে কথা শুনে। হাসতে হাসতে বলেছে, ‘আমিও তোমাদের বংশ, একই র’ক্ত তো আমার লোভ থাকবে না কেনো?’
তারপর থেকে বড় চাচার সাথে সম্পর্ক খারাপ। উনি উনার ছোটোভাই কিংবা তাদের সাথে সম্পৃক্ত সকলের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছেন।
এখন বলতে গেলে ঝিলমিলদেল এই ফ্ল্যাটটা ফাঁকা, বড় চাচা ব্যতীত সব ধরণের ঝামেলাও স্থগিত। তবে দাদি মারা যাওয়ার পর থেকে সব মিলিয়ে রোদ্দুরের মধ্যে যেই কাঠখোট্টা ভাবটা এসেছে, তা আজও গেল না। দিনে দিনে কেমন গম্ভীর হয়ে যাচ্ছে! ওমন মানুষের সাথে সাধারণ দু’টো কথা বলতেও তো ভয় লাগে, তো ঝিলমিল মনের কথা বলবে কী?
রোদ্দুরের এই স্বভাবটা তাকে পীড়া দিলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। মনের কথা মনে চেপে রেখে দিয়েছে। অথচ রোদ্দুর বলেছিল, যাইহোক না কেনো আমার সাথে শেয়ার করবি। ভালো খারাপ যেকোনো কিছু!
.
আজ রোদ্দুরের বাড়ি ফিরতে দেরি হলো। ওর ভাবনাচিন্তা আলাদা। ওর ভাবনা অনুযায়ী, পারিবারিকভাবে ইদানিং যেসব ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে তার জন্য ঝিলমিল ডিস্টার্ব! অন্তত কাজেকর্মে, চলাফেরায়, কথাবার্তায় তাই প্রকাশ পায়। তাই ঝিলমিলকে খুব বেশি বিরক্ত করে না। বাড়ি ফিরে আগে ঝিলমিলকে চা বানাতে বলত, এখন নিজেই বানিয়ে খায়। তার মনের মধ্যেও কতরকম অসহ্যকর চিন্তা। উপর উপর যাই বলুক না কেনো, বড় চাচা যে তার উপর রেগে আছে তা সহ্য হয় না। এই মানুষটা এমন ছিল না, রোদ্দুরের তার উপর অগাধ বিশ্বাস ছিল; কিন্তু এই অগাধ বিশ্বাস যে স্বার্থবাদীর কাছে এইভাবে হেরে যাবে তা জানা ছিল না।
নিজের ছায়া, নিজের কথাবার্তা ইদানিং ঘুরেফিরে ওকেই ব্যঙ্গ করে। সর্বপরী একটা হেরে যাওয়া মানুষের মত হতাশ লাগে।
আজ বাড়ি ফিরে দেখল, ঘরবাড়ি সব অন্ধকার। রোদ্দুর দরজায় দাঁড়িয়েই চেঁচিয়ে ঝিলমিলকে ডাকল, ‘ঝিলমিল… ঝিলমিল… কোথায় তুই?’ তারপর ভেতরে ঢুকল। প্রতিটা রুমের আলো জ্বালিয়ে দিল। বেডরুমে গিয়ে দেখল ঝিলমিল ঘুমাচ্ছে। ডাকল না ওকে, নিজে ফ্রেশ হয়ে পাশে বসল। আলতো হাতে ঝিলমিলের কপালের উপরের চুলগুলো সরিয়ে দিতেই ওর ঘুমটা ভেঙে গেল। উঠে বসে জিজ্ঞেস করল, ‘কখন এসেছিস?’

‘দশমিনিট আগে। ঘুমিচ্ছিস? উঠলি কেনো? মনে হয় ডিস্টার্ব করলাম।’

‘আরে না না, অনেক আগেই ঘুমিয়েছিলাম। কখন ঘুমালাম মনেই নেই।’

‘কথা হয়েছিল বাড়িতে?’

‘হুমম হয়েছিল। কিন্তু তেমন কোনো কথা নয়, এমনিই কেমন আছি/কি করছি এগুলা। বাবা নাকি বড় চাচার সাথে কথা বলতে গিয়েছিল, সে তো কথাই বলল না। বলেছে, আমরা নাকি নিজের মত থাকি। তার কোনো ব্যপারে যেন না যাই।’

রোদ্দুর নির্বিকার কণ্ঠে বলল, ‘ঠিক আছে। যাই করুক, বাড়িটার যেনো কিছু না করে বলে দিস।’

ঝিলমিল রোদ্দুরের হাত ধরে অনুরোধের সুরে বলল, ‘আচ্ছা আমাকে বলবি প্লিজ, তুই কেনো ওই বাড়িটা চাচ্ছিস? মানে কি করবি? আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম যখন তুই ওই বাড়িটার কথা বলেছিস! মানে তুই.. তুই? সত্যিই বিশ্বাস হচ্ছে না।’

রোদ্দুর ঝিলমিলের হাত নিজের আরেকটা হাত রেখে বলল, ‘আমি যখন চেয়েছি তখন অবশ্যই কোনো একটা কারণ আছে। একটা কাজ করব, আগেই বলব না। তোকে বলব কিন্তু যখন সেই উদ্যোগ নিতে সফল হব তখন। আর বাড়ির সবাই কে তখন বলব যখন কাজটা পুরোপুরি শেষ হবে।’ রোদ্দুর এইটুকু বলে থামল। পুনরায় ঝিলমিলের চোখে চোখ রেখে বলল, ‘অবিশ্বাস হচ্ছিল?’

ঝিলমিল চোখ সরিয়ে বলল, ‘না না অবিশ্বাস না একটু দ্বিধা হচ্ছিল।’

‘এখন আর রয়েছে দ্বিধা?’

‘না নেই। আগেও যে অনেক ছিল তা ভাবিস না। মানে এতসব কিছুর পরেও সবশেষে একটা প্রশ্নবোধক থাকে না? সেটাই আর কী! আবার কিছু মনে করলি নাকি?’

রোদ্দুর ঠোঁট উল্টে বলল, ‘হুমম, অনেক রাগ করেছি। এখন আমার রাগ ভাঙানোর জন্য কিছু একটা কর।’

‘কী করব?’

‘যা ইচ্ছে।’

‘আমার তো কোনো ইচ্ছে হচ্ছে না।’ ঝিলমিল বলল।

রোদ্দুর আনমনেই হেসে উঠল। ঠিক কতদিন পর আজ ঝিলমিলের সাথে এইভাবে মন খুলে কথা বলছে, ঠিক জানা নেই। সে আশ্চর্য রকমের খুশি হয়ে বলল, ‘কিন্তু আমার তো ইচ্ছে করছে।’

ঝিলমিল ভুরু কুঁচকে বলল, ‘কী?’

রোদ্দুর ঝিলমিলের ঠোঁটে ইশারা করল। ঝিলমিল তৎক্ষণাৎ বুঝতে পেরে মাথা নাড়িয়ে ‘না’ বোঝাল। রোদ্দুরও উপরনিচ মাথা ঝাঁকাল। তারপর ঝিলমিলের দিকে এগিয়ে যেতেই, সে হাত এগিয়ে দিয়ে মাঝখান একটা দেওয়াল বেঁধে দিল। তারপর গভীর শ্বাস নিয়ে বলল, ‘অসভ্য কোথাকার!’
রোদ্দুর এইবার বেশ উচ্চ আওয়াজে হেসে উঠল। পর পর কতকগুলো ঘটনার জন্য তারা একে অপর থেকে অনেকটা দূরে ছিল, সেটা এইবার বুঝতে পারছে। এতদিন যে মনমরা ঝিলমিলকে দেখতে পেয়েছিল, আজ একদম অন্যরকম… আগের ঝিলমিল।
রোদ্দুর ওর কপালে একটা চুমু খেল। রেডি হতে বলে নিজেও রেডি হওয়ার জন্য উঠল। ঝিলমিল বলল, ‘এটা কি আমাকে চুমু খাওয়ার জন্য ঘুষ নাকি? আজকাল তো আমাকে নিয়ে বাইরে বের হতেই পারিস না।’

‘মন মেজাজের একটা বিষয় আছে না? ভালো লাগত না, সবসময় মনের মধ্যে একটা টেনশন কাজ করত। আমি যে কীভাবে এই কয়েকদিন নিজের কাজটুকু ঠিকঠাক করেছি, তা আমিই জানি। জীবনে কোনোদিন এইরকম মানসিক চাপে পড়ি নাই, কোনোদিন ফ্যামিলি প্রবলেমে পড়ি নাই; এই ফার্স্ট। তারপর তো দেখলিই সব।’

ঝিলমিল আহ্লাদী সুরে বলল, ‘ওহো তাই? এখানে আসল বিষয়টা বুঝতে হবে।’

‘সেটা কি?’

‘এতদিন তো ছিলি আমার থেকে চৌদ্দ মাইল দূরে। কথাও বলিস নাই ভালোভাবে। আজ কথা বললি, চুমু খেলি, ঠিক এই কারণে মন চাঙ্গা হয়ে গেছে।’ তারপর হেসে কলার নাচিয়ে বলল, ‘দিস ইজ দ্যা পাওয়ার অব অ্যা ওয়াইফ!’
ঝিলমিলের সাথে সাথে রোদ্দুর’ও হেসে উঠল। ঝটপট তৈরি হয়ে দু’জন চলল। বাড়ির পেছন দিকের এই রাস্তাটায় যানবাহনের ভীড় কমে তবে মানুষজনের ভীড় দেখার‌ মত। রাস্তার চারিপাশ জুড়ে টং। রোদ্দুরের পছন্দের কয়েকটা চায়ের দোকান আছে, সেখানে বিভিন্ন ধরনের চায়না টি পাওয়া যায়। যেটায় তুলনামূলক মানুষজনের শোরগোল কম, রোদ্দুর ঝিলমেলকে নিয়ে সেখানেই এলো।
মেনুতে চায়ের কিম্ভূতকিমাকার নামগুলো দেখেই ঝিলমিল খিলখিল করে হেসে উঠল। রোদ্দুর গালে হাত দিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। কোনো কথা না বলে, নিশ্চুপ হয়ে ঝিলমিলের হাসিটুকু আত্মস্থ করে নিল। ঝিলমিল সেটা লক্ষ্য করে বলল, ‘আমাকে দেখার জন্য এখানে এসেছিস? বাড়িতে বসে দেখলেই হতো।’

‘উহুঁ।’

‘কেনো?’

‘একেকটা মুহূর্ত একেক সময়ের জন্য স্পেশাল! এখন এইভাবে হিহি করছিস, বাড়িতে থাকলে করতি? আর আমি পারতাম তা দেখতে?’

ঝিলমিল আবারও হেসে বলল, ‘অনেকদিন পর এইভাবে হাসলাম। তুই মাঝে মাঝে একটু এইরকম হয়ে থাকিস, কেমন? তাহলেই তো আমার আর কোনোদিন মনখারাপ হয় না। আচ্ছা বল তো, হঠাৎ থেকে থেকে এত গম্ভীর হয়ে যাস কেনো?’

‘সত্যি বলব নাকি মিথ্যা?’

‘আমি সবসময় তোর মুখ থেকে সত্যিটাই শুনতে চাইব।’

রোদ্দুর চমৎকৃত হয়ে বলল, ‘ভালো লাগে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেনো ভালো লাগে তাইতো? উত্তর হচ্ছে, আমার তোর রাগ-অভিমান দেখতে ভালো লাগে। তুই যখন রাগ করে মুখ ঘুরিয়ে রাখিস, চোখ দু’টোকে রাক্ষসের জলন্ত আগ্নেয়গিরির মত তপ্ত করে রাখিস, অভিমানে গাল ফুলিয়ে রাখিস; এটা দেখতেই ভালো লাগে আমার।’

ঝিলমিল কপট রাগ দেখিয়ে বলল, ‘হুহ, প্রশংসা করলি নাকি বদনাম?’

‘কী মনে হয়?’

‘সত্যি বলব নাকি মিথ্যা?’
রোদ্দুর কথা ওকেই ঘুরেফিরে জিজ্ঞেস করার কারণে রোদ্দুর হেসে ফেলল। বেশ কিছুক্ষণ হাসাহাসির পর বলল, ‘সারাজীবন এইরকম থাকিস। তাহলে আমারও আর কখনও মন খারাপ হবে না, বুঝলি। তোকে ভালোবাসার পর জেনেছি, বুঝেছি; তোকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে কখনও ভালোবাসতেই পারি নাই। তুই প্রথম, আমি বেঁচে থাকা অবধি তুই’ই শেষ!’
.
.
.
চলবে….
[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]
শব্দ সংখ্যা— ১৫৮০