(রুমান্টিক এলার্ট,অতিরিক্ত রুমান্টিক গল্প পছন্দ না তারা দূরে থাকুন)
#তুই_আমার_আসক্তি
#পর্ব_১
#লেখিকা_তাসনিম_তালুকদার_বুশরা
কপি করা বিশেষ ভাবে নিষিদ্ধ ❌
দ….দরজা বন্ধ করছেন কেনো নেহার ভাই।
নেহার কিছু না বলে সোজা এসে স্নেহার হাত টা মুচরে ধরলো সাথে সাথে স্নেহা বেথায় কুঁকড়ে উঠে। চোখ মুখ খিঁচকে বন্ধ করে তারপর বলে,
স্নেহা:নেহার ভাই কি করছেন..? ব্যাথা পাচ্ছি তো। এভাবে কেউ ধরে..? ছাড়ুন বলছে।
নেহার:দাঁত কিড়মিড় করে বললো, কেনো সিনিয়র দের সাথে ডলাডলি করতে খুব ভালো লাগে..? এখন আর আমাকে ভালো লাগে না..? আচ্ছা সত্যি করে বলতো আমাকে ভালো লাগে না নাকি আমার ছুঁয়া
স্নেহা:কি বলছেন এসব নেহার ভাই…?! আমি পড়ে যাচ্ছিসলাম আর ওনি শুধু ধরেছেন…!
নেহার:কেনো ধরবে তকে..? তুই পড়ে যেতি তারপর তর হাড্ডি ভেঙে যেতো আমি তকে ঐ অবস্থায় পালতাম কিন্তু তকে ধরবে কেনো বল..? তকে ছোঁয়ার অধিকার শুধু আমার আছে বুঝলি..!
স্নেহা কথার পাঠে আর কথা বলার কিছু খুঁজে পেলো না।
নেহার স্নেহার মামাতো ভাই। স্নেহা দের বাড়ি চট্টগ্রামে, কিন্তু স্নেহার ইচ্ছে ছিলো ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়বে। স্নেহারা এক ভাই এক বোন। স্নেহা আদরের মেয়ে হওয়াই ওর বাবা মা না করতে পারে নি মেয়ে কে, ইচ্ছে মতো ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তি করেছে। আর যেহেতু ওর মামারা ঢাকাই থাকে তাই নিশ্চিত ভাবেই ঢাকা রেখে গেছে ওর মা বাবা।
নেহার ওর মামাতো ভাই ইউনিভার্সিটি তে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবার বাপের সাথে অফিসও সামলায়। একি ইউনিভার্সিটি তে স্নেহা অনার্স ফাস্ট ইয়ারের ছাত্রী। আজকে স্নেহা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পড়ে যাচ্ছিলো,তখনি সিনিয়র এক ছেলে স্নেহা কে ধরে,সে দৃশ্য নেহার দেখে ফেলে আর কি চাই টানতে টানতে গাড়ি তে বসিয়েছে নিজেও বসে সোজা বাড়িতে আসে তারপর টান টানতে রুমে এনে ফেলে দরজা বন্ধ করে ফেলে।
নেহার এবার স্নেহার হাত ছেড়ে ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কোমড় পেঁচিয়ে ধরলো। আর অন্য হাত দিয়ে স্নেহার চুলের ভাঁজে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে স্নেহার ঠোঁটে ঠোঁট ঢুবিয়ে দিলো। যেনো সমস্ত রাগ সব এখানেই ডালতে চাই।
স্নেহা ছোটার জন্য ছটফট করতে থাকে এতে যেনো নেহার ভারি বিরক্ত হয় তাই কোমড়ে থাকা হাত খানা জামার ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। পুরুষলী শক্ত হাতের ঠান্ডা স্পর্শ পেতেই ততক্ষনে স্থির হয়ে যায় স্নেহা। নেহার যেনো এটার অপেক্ষায় ছিলো। রাগ পরিণত হয় উন্মাদে। ঠোঁট জোরা ছেড়ে দিয়ে চুলের ভাঁজ থেকে হাত সরিয়ে ঘাড়ে ধরে আর মুখ গুঁজে গলায়। সাথে সাথে স্নেহার পুরো শরীর বিদ্যুতের মতো কেঁপে উঠে। নেহার অপর হাত দিয়ে বিচরণ করতে থাকে স্নেহার নরম দেহ খানায়। স্নেহা পুরুষালীর স্পর্শ পুরোপুরি নিতে না পেরে মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছে।
নেহার যথেষ্ট ধৈর্য্যশীল লোক কিন্তু আজকে নেহার কে স্নেহা যেনো চিনতেই পারছে না।পুরো উন্মাদ।
নেহার এবার গলা থেকে মুখ তুলে পুনরায় মত্ত হয়ে স্নেহার ঠোঁটে তারপর এক পা দুই পা করে চলে যায় বেডে স্নেহা শুয়ে দিয়ে নেহার নিজের শরীরে সম্পূর্ণ ভর ছেড়ে দেয় স্নেহার। তারপর নেহার আস্তে করে খোলে ফেলে স্নেহার টপস খানা। স্নেহা এবার দুই হাত ধারা খামচে ধরে বিছানার চাদর।নেহার স্নেহার গলায় মুখ গুজে তারপর আস্তে আস্তে সে নেমে যায় বক্ষদেশে তারপর নামে নরম উদর খানায়। স্নেহার বুক ক্রমাগত উঠা নামা করতে থাকে। অস্পষ্ট কন্ঠে,স্নেহা বলে,
স্নেহা: নেহার ভাই প্লিজ থামুন।
নেহার:উহু
স্নেহা:প্লিজ থামুন কেনো এরকম পাগলামি করছেন..?
নেহার:বেবি প্লিজ আর কিছু ক্ষণ।
নেহারের কন্ঠ খানা ছিলো সমুদ্রের চেয়েও গভীর। স্নেহা আর কিছু বলতে পারলো না। নেহারের অধর খানা ছুঁয়ে গেলো স্নেহার নরম শরীর জোরে। স্নেহা তা চোখ বন্ধ করে মেনে নিলো আর মেনে না নিয়েই বা কি করার আছে…! স্নেহার পুরো শরীর জোরে নেহার স্পর্শ দেওয়ার পর ফিরে আসে স্নেহার কাছে ততক্ষনে স্নেহা ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেছে। নেহারের এবার হুঁশ ফিরে বিচলিত কন্ঠে বলে, জান কি হয়েছে তর এভাবে কাঁদছিস কেনো.?
স্নেহা:আপনি খুব খারাপ নেহার ভাই আমার কি এমন দোষ ছিলো আপনি এভাবে আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন..?
নেহার:ঠোঁটে বাকিয়ে হেসে বললো, কেনো ভালো লাগে নি আমার দেওয়া শাস্তি..? নাকি কম হয়ে গেছে..?চাইলে আবার শুরু করবো।
স্নেহা এবার লজ্জায় নেহারের বুকে মুখ লুকিয়ে বলে,
স্নেহা :আপনি অনেক খারাপ নেহার ভাই আপনি একটা বদ লোক।
নেহার:এখনো তর ভার্জিন নষ্ট করিনি তাহলে কিভাবে খারাপ হলাম বল..? বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন মাস হয়ে গেলো।
হ্যাঁ নেহার আর স্নেহার বিয়ে হয়েছে তবে কাউকে জানায় নি। যখনি স্নেহা এই বাড়ি এসেছে তখনি নেহার বিয়ে করেছে কারণ স্নেহা সামনে এভাবে ঘুরঘুর করে ঘুরবে তা দেখে নেহারের মাথা নাও ঠিক থাকতে পারে আর হামার ভাবে স্নেহা কে ছোঁয়ার কোনো ইচ্ছে ছিলো না নেহারের তাই তো কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছে। কারণ স্নেহার বাবা এখনি মেয়ে কে বিয়ে দিবে না নয় তো কবেই বিয়ে করে ফেলতো স্নেহা কে।
তবে এই কথা টা স্নেহার ভাই সাকিব জানে। কিন্তু স্নেহা আবার জানেনা ওর ভাই জানে।
স্নেহা:বদ লোক আমার কাছে আসবেনা আর। নেহার থুরি কেয়ার করলো স্নেহার কথাই।
নেহার আবার হাত দিয়ে বিচরণ করতে থাকে স্নেহার নরম দেহ খানা আর বলল,
নেহার: তুই যতো আমার থেকে দূরে যেতে চাইবি আমি তত তোর কাছে আসবো জান। কারণ তুই ছাড়া যে আমি অস্তিত্ব হীন। কন্ঠে যেনো মাদকতা মিশানো শীলত কন্ঠ।
স্নেহা নেহারের বড় বড় চুলের ভাঁজে হাত ঢুকিয়ে বললো,
স্নেহা:ঠিক আছে আসবেন। কিন্তু এখন ছাড়ুন নেহার ভাই। মামি চলে অসবে। নেহাৎ বাড়ি তে নেই নয়তো কি যে হতো রাগ উঠলে আর তো কোনো হুঁশ জ্ঞান থাকে না আপনার। যা ইচ্ছে করেন। আমি আপনাকে ধৈর্যশীল ভেবেছিলাম।
নেহার:স্নেহার গলায় ছোট্ট ছোট্ট চুমু দিতে দিতে বরফের মতো শীতল কন্ঠে বলে,তুই বৃষ্টি তে ভিজলেও আমার হিংসে হয় কারণ তুই শুধু আমার কেনো বৃষ্টি তকে ছুঁয়ে দিবে…? তকে রুদ ছোঁয়লেও আমার হিংস হয়। আর সেখানে একটা জলজ্যান্ত ছেলে মানুষ আমি কিভাবে ঠিক থাকতাম তাই বল…!
স্নেহা:অবাক হয়ে বলে, আপনি পুরাই টক্স হয়ে যাচ্ছেন নেহার ভাই।
নেহার: বাকা হেসে বলে তর জন্য আমি সব হতে পারি জান।
স্নেহা:বলে আমাকে এবার ছাড়ুন প্লিজ। মামি চলে আসবে।
নেহার: বলে ছাড়বো একটা শর্তে।
স্নেহা:আবার কি শর্ত..?
নেহার:স্নেহার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে আজকে রাতে আমার সাথে থাকতে হবে।
স্নেহা:বলে, রাতের টা তখন দেখা যাবে এবার ছুড়ুন প্লিজ।
নেহার কথা বাড়ায় না জানে ওর চলে আসবে তাই হাতের বাঁধন টা হালকা করে দেয়। ছাড়া পেতেই স্নেহা উঠে টপস খানা পড়ে নেয়। নেহার দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে স্নেহা কে দেখতে থাকে। তারপর বাকা হেসে উঠে বসে।
নেহার:বলে জান রাতে প্লিজ ইনান পড়ে আসিস না আমার অসুবিধা হয় রুমাঞ্চ করতে।
স্নেহা:লজ্জাই মরি মরি অবস্থা তবুও লজ্জা এক সাইটে রাখে কারণ বুঝতে পারে লজ্জা পেলে লোকটা আরো সুযোগ নিবে।
তাই রাগি চোখে নেহারের দিকে তাকিয়ে বলে,
স্নেহা:অসভ্য লোক চুপ থাকুন মুখে কি কিছু আটকে না…?!
নেহার:বাকা হেসে বলে, তর সামনে শুধু অসভ্য না অসভ্য পিএইচডি করা হয়ে যাবো আর তুইও মনের সুখে বলবি প্লিজ নেহার ভাই আরো অসভ্য হও।
স্নেহা:আর বলার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাই না
তাই নিজের জামা কাপড় ঠিক করে খাট থেকে নেমে দাঁড়িয়ে হালতে থাকে কিন্তু স্নেহা যেনো হাটতেই পারছে না কেনো হেলেদোলে যাচ্ছে।
নেহার ঠোঁট কাপড়ে হেসে বলে,
নেহার:কারে জান এভাবে হাটছিস কেনো আমার দেয়া আদর কম হয়ে গেলো..? যেতে যাচ্ছিস না..? আচ্ছা আয় আর একটু আদর করি বিশ্বাস কর পুরো এনার্জি পাবি দৌঁড়া তে পারবি।
স্নেহা:রাগি কন্ঠে বললো, আপনি কি চুপ করবেন..?
নেহার:এবার সিরিয়াল কন্ঠে বললো, শুন এরপর যদি আর কোনো ছেলে কে তর আশেপাশে দেখি তাহলে তর খাবার আছে। লেখাপড়া বন্ধ করে দিবো। আর ফুফা কে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় ঐটা আমি দেখে নিবো। তারপর চার পাঁচ টা বাচ্চা দিয়ে দিবো। তাদেরকে সারাদিন সামলাবি আর রাতে আমাকে।
স্নেহা:বলে আপনি দয়া করে চুপ করুন আমি কি ইচ্ছে করে ছেলেটার কাছে গেছি আজব লোক বলেই দরজা খোলতেই যায় কিন্তু হাত কেমন টালমাটাল করছে ওর।
নেহার:বাকা হেসে আবার বলে, জান দেখ আমার শরীরে লোম কেমন দাঁড়িয়ে গেছে সাথে অন্য কিছুও আমি কিন্তু ফুল মুডে আছি এখন তুই চাইলে আমরা কন্টিনিউ করতে পারি।বলেই খাট থেকে নেহার নামতে নিলে।
স্নেহা:দরজা টা কোনো রকম খোলে ছখ দৌড় দিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে যায়।
নেহার:হাসতে হাসতে বলে আজকে রাতে দেখবো কিভাবে পালাস বারস তো আজকে আমি করবোই।
নেহার আর স্নেহার রুম পাশাপাশি হওয়াই স্নেহা আবার নিজের দরজা টা খোলে বললো,
স্নেহা:কচু করবেন আমার আমি আজকে মামির সাথে থাকবো আর আপনি বেশি বাড়াবাড়ি করলে বলবো আপনি আমাকে ডিসটার্ব করেন।
নেহার:বাকা হেসে বলে তার আমি তকে কিভাবে ডিসটার্ব করেছি বল তো…!?
চলবে…