(রুমান্টিক এলার্ট,অতিরিক্ত রুমান্টিক গল্প পছন্দ না তারা দূরে থাকুন)
#তুই_আমার_আসক্তি
#পর্ব_৩
#লেখিকা_তাসনিম_তালুকদার_বুশরা
কপি করা বিশেষ ভাবে নিষিদ্ধ ❌
এর মাঝেই স্নেহা ফিসফিস করে আবার বলে উঠল,Fucking hurry up… I can’t wait anymore.
নেহারের ঠোঁটে বাকা হাসি ফুটল। চোখে এক অদ্ভুত আগুনের ঝলক।আমিও দেখব, জান তোর ভেতরে কতটা এনার্জি আছে।
নেহার হঠাৎ স্নেহার ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিল। গভীর চুম্বনে ডুবে যেতে যেতে নেহার হাত দিয়ে স্নেহার শরীরজুড়ে ধীরে ধীরে স্লাইড করতে থাকে। স্নেহাও নিঃশব্দে সেই ছন্দে নিজেকে সঁপে দিলো, তাল মেলালো নেহারের প্রতিটি ছোঁয়ায়। কিছুক্ষণ পর নেহার ঠোঁট আলগা করে গলায় মুখ গুঁজে নরম চুমু খেতে থাকে একপর্যায়ে চুমুতে ভিজে যায় স্নেহার গলদেশ।
নিজেকে সামলাতে না পেরে স্নেহা নেহারের চুল শক্ত করে আঁকড়ে ধরে। তীব্র নিশ্বাসে বুক ওঠানামা করছে তার। মুখ তুলে তাকাতেই নেহার দেখে স্নেহার চোখে মাদকতা মেশানো দৃষ্টি যা ওকে আরও উন্মত্ত করে তোলে।
এক ঝটকায় নেহার স্নেহার ঘাড়ের নিচে হাত রেখে তাকে উঁচু করে তোলে, ধীরে ধীরে জামার চেইন নামিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে জামাটা ছুঁড়ে ফেলে দেয় ফ্লোরে। একে একে সমস্ত বাঁধন ছিন্ন হয়ে যায়, স্নেহা হয়ে ওঠে উন্মুক্ত। নেহারও থেমে থাকে না অন্ধকার রুমে দুজনেই নিজেদের আবরণ খুলে ফেলে।
মুহূর্তটা হয়ে ওঠে নিঃশব্দে ঝড়ের মতো শুধু শ্বাসের শব্দ, ছোঁয়ার উষ্ণতা আর দুজনের দেহের মাদকতাময় টানাপোড়েন ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে।
আস্তে আস্তে নেহার আর স্নেহা পুরোপুরি এক হয়ে যায়। তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পাই…!
~~
রাত ৩.২০
নেহার স্নেহার বুকে মুখ গুঁজে শুয়ে আছে আর হাত দিয়ে ওর পুরো শরীর স্লাইড করছে।
নেহার:জান বেশি কি ব্যাথা দিয়ে ফেলেছি..? বেশি খারাপ লাগছে..?
স্নেহা:মুচকি হেসে বললো, উহু
নেহার:এবার বাকা হেসে বললো, তাহলে আর একবার হয়ে যাক জান পাখি..!
স্নেহা:চোখ বড় বড় করে বললো, এই না না আমি আর পারবো না মরে যাবো।
নেহার:বাকা হেসে বললো, কে জানি বলেছি আমার এনার্জি দেখবে এখন কি হলো..? হু।
স্নেহার এবার লজ্জা পেলো। তাই নিজেকে সারানোর জন্য চেষ্টা করে করলো।
স্নেহা:এখন প্লিজ ছাড়ুন আমি গোসল করবো তারপর আবার নিজের রুমে যেতে হবে কেউ দেখে ফেললে প্রবলেম হবে।
নেহার:হতাশার শ্বাস ফেলে বললো, বিয়ে করেছি। অথচ বউ কে আদর করতে হয় লুকিয়ে এর থেকে বড় দুঃখ আর কি হতে পারে…?
স্নেহা:মুচকি মুচকি হেসে বললো, আহারে বেচারা।
নেহার:কপাল কুঁচকে বললো, সব দোষ তর বাবার তকে যদি বিয়ে দিতে রাজি হতো তাহলে কি এসব হতো..? তকে আমি সবার সামনেই বিয়ে করতে পারতাম আর আদর করতে পারতাম।
স্নেহা:বলল, এখন হয়েছে ছাড়ুন আমি গোসল করবো।
নেহার:স্নেহা কে ছেড়ে উঠে বসলো তারপর স্নেহার শরীর থেকে কোম্ফোর্ট টা সরিয়ে কোলে তোলে ওয়াশরুমের দিকে যেতে থাকে, স্নেহার কিছু বলে না চুপচাপ থাকে কারণ ও হাটতে পারবে না এখন তা ভালো করেই জানে যা অবস্থা করেছে ওর।
ওয়াশরুমে যেয়ে ঝর্ণা ছেড়ে দিয়ে স্নেহা কে ভালো করে পরিস্কার করে নেহার। স্নেহার এই ব্যাপার গুলো অনেক ভালো লাগে ওর হাসব্যান্ড ওকে কত্তো কেয়ার করে। স্নেহা করে পরিস্কার করে কোলে তোলে পুনরাই বেডে শুয়ে দেয় তারপর নেহার নিজেও ফ্রেশ হতে যায়।কিছু ক্ষণ পর বেরিয়ে দেখে স্নেহা ঘুমিয়ে গেছে তা দেখে নেহার হাসে তারপর বলে,
নেহার:আমার জান পাখি তোকে খুব তাড়াতাড়ি সবার সামনে দিয়ে আমার করে নিবো। এভাবে একটু আকটু আদর করতে আমার ভালো লাগে না এখন আবার তকে নিজের রুমে দিয়ে আসতে হবে এটা আমার একদম পছন্দ না। এখন তকে জরুরি ধরে ঘুমাতে পারলে ভালো লাগতো।
তারপর নেহারের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্নেহা কে কোলে তুলে ওর রুমে নিয়ে যায় তারপর বেডে শুয়ে দেয়। কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে আসে।
~~
সকাল ৮
সবাই খাবার টেবিল কিন্তু স্নেহা আজকে এখনো উঠে নি।
আফজাল খান:বললো, কি হয়েছে মেয়ে টার কালকে দেখলাম খেলো কম। আজকে আবার দেরি করে উঠছে ওর কি হয়েছে…?
মৌসুমী খান: বললো, কি জানি আমি কয়েক বার জিজ্ঞাসা করলাম কিন্তু কিছু বললোই না। দেখি আজকে উঠলে জিজ্ঞাসা করবো।
নেহার মা বাবা কথা শুনে বাকা হাসে তারপর মনে মনে বলে কি আর হবে তোমার ছেলে কে সারারাত সময় দিয়েছে তাই এখন ঘুমাচ্ছে। আর এটাই স্বাভাবিক অনেক ধকল গেছে বেচারি উপর দিয়ে। যাকে বলে ঘূর্ণি ঝড়। যাই হোক তাও যে নিতে পারছে এটাই অনেক।
তারপর নেহার বলে।
নেহার:বাবা আজকে আর স্নেহার ইউনিভার্সিটি যাওয়ার দরকার নেই,আমি যাই,হয়তো ও অসুস্থ এক দিন রেস্ট নেক।
আফজাল খান আর মৌসুমী খান অবাক হয়ে নেহারের দিক তাকায়।কারণ নেহার সব সময় স্নেহা কে বকে তাই আজকে স্নেহার হয়ে কথা বলছে এটা যেনো মানতে পারছে না ওনারা।
নেহার বাবা মা কে এভাবে তাকাতে দেখে কপাল কুঁচকে বলে।
নেহার:এভাবে তাকানোর কি আছে আমি কি ওকে নিয়ে একটু ভাবতে পারি না।
আফজাল খান:বললো, তা না অবাক হচ্ছি তুই তো ওকে সারাদিন বকিস তাই আর কি। যাই হোক তর বোন তুই তো ভাববি আর তোর দায়িত্ব ওকে নিয়ে ভাবা। আর শুন ও বড় হচ্ছে। তাই ভাবছি ওর বিয়ে নিয়ে ওর বাবার সাথে কথা বলবো। তোর জানা মতে কোনো ভালো ছেলে থাকলে বলিস তো।
নেহার:মনে মনে বললো, কি কপাল আমার নিজের বউয়ের জন্য ভালো ছেলে খুঁজবো এতো ভালো কপাল নিয়ে কে জন্মাই…!?
তবে মুখে বললো,
নেহার:আমি পারবো না তোমারাই দেখো। তারপর চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে বলে আমি ইউনিভার্সিটি যাচ্ছি তারপর অফিস যাবো। পরে কথা হবে বাই।
বলেই আর এক মুহূর্ত দেরি করে না বড় বড় পা ফেলে প্রস্থান করে সেখানে থেকে। কারণ এখানে থাকলেই মাথা গরম হয়ে যাবে আর উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলবে।
চলবে…..