তুমিময় বসন্ত পর্ব-৪৩ এবং শেষ পর্ব

0
980

#তুমিময়_বসন্ত
৪৩.
#writer_Mousumi_Akter

আয়াস আমার ঝগড়া দেখে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।আসলেই আয়াস বুঝতে পারছেনা আমার কি হয়েছে।আমি কেনো এমন করছি।

রেনুকা বেরিয়ে গেলো।আয়াস এবার বেশ বিরক্ত কন্ঠে বললো,

‘এটা কি হলো মুগ্ধতা।তুমি এসব কি বললে আজ।ছি ঃএকটা কাজের মহিলার সামনে এমন আপত্তিকর কথা কিভাবে বললে তাও আবার আমাকে নিয়ে।আমাকে তুমি এমন ভাবলে কি ভাবে।দিন দিন তুমি খুব সন্দেহজনক মেয়ে হয়ে যাচ্ছো।আজ থেকে সিরিয়াল দেখা বন্ধ তোমার।এসব দেখে দেখে এমন হচ্ছো তুমি।’

‘তোমাকে আমি কি বলেছি আমার কষ্ট হচ্ছে গো।একটা কাজের বুয়া এনে দাও।আজকাল যা যুগ পড়েছে পুরুষ মানুষ আর বিশ্বাস করা যাচ্ছেনা।তুমি এই রেনুকার সাথে প্রেম করবা বলে ডেকেছো আমি নিশ্চিত।’

‘এই মেয়ে বলে কি।আমাকে বিশ্বাস করোনা তুমি।’

‘কিভাবে করবো।’

‘আশ্চর্যজনক কথা বললে তুমি।আমি কি বিশ্বাস ভঙ্গের কিছু করেছি।’

‘ওই রেনুকা কুসুম ভাবির বরের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে।আমি অনেক বার দেখেছি।আগামিকাল কুসুম ভাবি আসবে সে জানলে কি হবে বলোতো।রেনুকাকে আমি দু’চোখে দেখতে পারছি না।ওই রেনুকার একটা ব্যবস্থা করো প্লিজ।তোমার তো কত ক্ষমতা রেনুকার একটা ব্যাবস্থা করো প্লিজ।এসব মেয়ে মানুষ আমি দু’চোখে দেখতে পারিনা।’

‘আগে তোমার একটা ব্যবস্থা করি তারপর রেনুকার করবো।আজ রাত হোক,এই ঠান্ডায় গায়ের সমস্ত কাপড় খুলে দাঁড় করিয়ে রাখবো।’

‘অশ্লিল লোক একটা।’

‘রেনুকার কি একটা ব্যবস্থা হবেনা।আমি নিজ চোখে দেখেছি রেনুকা আর ভাইয়া জড়াজড়ি করে।’

‘ওহ মাই গড! উনার মতো মানুষ এমন কিভাবে করতে পারেন।আচ্ছা শান্ত হও তুমি।নামাজ পড়ে আসি।’

‘তাহলে ভাবো।আর তুমি কিনা ওই মহিলাকে আমার বাসায় কাজের বুয়া নিয়ে এসছো।আমি কোনদিন বাসায় কাজের বুয়া রাখবো না।’

‘মানুষ অন্যর বরকে জড়িয়ে ধরে আর তুমি নিজের বর কেও জড়িয়ে ধরতে লজ্জা পাও।’

আয়াস নামাজে গেলো কিন্তু দুইটার বেশী বাজে আর ফিরলো না।আমি ফোন দিয়েছি বললো তার লেট হবে আমি যেনো খেয়ে নেই।অনেক বার জিজ্ঞেস করাতে বললো,কুসুম ভাবির হাজবেন্ড এর সাথে কিছু কথা আছে। যাক নিশ্চিন্ত হলাম আয়াস তাহলে ভাইয়াকে বুঝাবে। আর আয়াসের কথা ভাইয়া রাখবে আমি জানি।বেশ আনন্দে লাফাচ্ছি আমি।কুসুম ভাবিদের রুমে গেলাম আমি।রেনুকা বসে টিভি দেখছে।

‘আমি রেনুকার হাত চেপে ধরলাম আর বললাম অন্যর বেডরুমে কি করিস।এমন ভাবে সুয়ে আছিস যেনো এটা তোর জামাই এর রুম। ফেসবুকে একটা লাইভ শেয়ার করি তোর।তোর ছবি দিয়ে পোষ্টার লাগিয়ে দেই এই মহিলা হতে সাবধান।একটুও কি লজ্জা নেই।এত নিচ কেনো তোরা।কি ভাবছিস কিচ্ছু জানিনা।এ বাসায় সিসি ক্যামেরা আছে।তোর সব কুকির্তীর ভিডিও আছে।এসব পুলিশ কে দেখাবো আর তোর নামে সংসার ভাঙার অভিযোগ দিবো।আচ্ছা তোর অবস্থা দেখ।তোর আর ভাইয়ার কি সম্পর্ক। বিয়ে করবে ভাইয়া তোকে।কখনো না,শুধু শুধু ইউজ করছে।সরকারের কাছে তোদের মতো দেহ ব্যবসায়ী দের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানাতে হবে।পরপুরুষে আসক্ত নারী আর পরনারীতে আসক্ত পুরুষ কে নিষিদ্ধ করা হোক দুনিয়া থেকে।
আয়াস যে অনেক বড় অফিসার তুই জানিস।আয়াস তোর কি করবে ঠিক নেই।জাস্ট রেডি হ শাস্তির জন্য।একটা সংসার ভাঙার জন্য তোদের মতো মহিলা যথেষ্ট।এসব মহিলাদের কোনদিন সংসার হয়না।সারাজীবন এভাবেই মানুষের বিছানা চেঞ্জ করে বেড়াতে হয়।অন্যর স্বামির সাথে পরকিয়া করা কি খুব গর্বের কাজ।’

রেনুকা আমার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইলো।তার ভুল স্বীকার করলো।আয়াস যেনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয় সে জন্য বারবার ক্ষমা চাইলো।ভয়ে কাঁপছে রেনুকা।এইজন্য ই বাসায় কাজের বুয়া না রাখাটায় ভালো।বেশীর ভাগ কাজের মহিলার সাথে বাড়ির পুরুষের একটা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বাপের বাড়ি বা কোথাও দীর্ঘদিনের জন্য গেলে কাজের বুয়ার বাসায় যাতায়াত অফ করে দেওয়াটা বেটার।

‘রেনুকাকে বললাম,আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে কি বিপদ থেকে বাঁচতে চাইছো।আল্লাহ ক্ষমা করবেন না কখনো।সংসার ভাঙার শাস্তি আল্লাহ তোমাকে দিবেন।তোমার মতো অন্তত একজন মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।সেই শাস্তির উদাহরণ দেশ বাসিকে দেখানো উচিত।তাহলে কোনো মহিলা আর এমন সম্পর্কের দিকে আগাবে না।ওই সব পুরুষ যারা নিজের ওয়াইফ থাকতে অন্য মেয়েদের সাথে ঘনিষ্ট হয় তাদের অন্ডকোষ কর্তন করে দেওয়া উচিত তাহলে আর কেউ এসবের দিকে আগাবেনা।’

রেনুকা তখন ই চলে গেলো বাসা ছেড়ে।

পরের দিন কুসুম ভাবি এসছে কোলে ফুটফুটে একটা ছেলে বাবু নিয়ে।কিন্তু এবার বাসায় ফেরার পর সুখের সংসার আর সুখের নেই।অশান্তিতে ভরপুর।ভাবির প্রাণের থেকে প্রিয় স্বামিকে ভাবি আর আগের মতো ভালবাসে না।সব সময় খিটমিট করে।আসলে সত্য কখনো চাপা থাকেনা।কুসুম ভাবি ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছিলো রেনুকার সাথে ভাইয়ার কিছু একটা চলেছে।ভাবি যখন বাপের বাড়ি ছিলো ভাইয়া নাকি খুব একটা ফোন করেনি,খোজ নেয় নি, খিটমিট করেছে।বেশ কতদিন সংসারে অশান্তি হওয়াতে ভাবি ভাইয়াকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।কুসুম ভাবি ফিরে আসার পর ভাইয়া সব সময় অনুতপ্ত,কিন্তু ভাবি আর ভাইয়াকে মেনে নিতে পারছে না।এসব অশান্তি নিয়ে ভাবি আবার ভাইয়াকে ছেড়ে চলে গেলো।ভাইয়া অনেক ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু আর ভাবি আসতে রাজি নয়।আয়াস ভাইয়াকে বুঝানোর পর ভাইয়া খুব লজ্জিত।ভাবিকে হারিয়ে দিশেহারা ভাইয়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে রাস্তায় চলাচল করে এক্সিডেন্ট হয়।প্রায় মৃত্যু সজ্জায় পড়ে যায়। আয়াস আর আমি ভাবিকে বুঝালাম।তখন ভাবি ফিরে আসে আর ভাইয়াকে আরেক বার সুযোগ দিয়ে দেয় সন্তানের জন্য।

ভাবি আমাকে বললো,

‘ভালবাসার মানুষ যদি একবার বিশ্বাসঘাতকতা করে আর কোনদিন তাকে ভালবাসা যায়না।মনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় সেটা কোনো মলমেও মিটে নাহ।’

কথাটার মানে অনেক গভীর।ভালবাসা হওয়া চাই ফ্রেশ সেখানে দাগ পড়লে কলঙ্কিত হয়ে যায়।হারামে সত্যি আরাম নেই।কুসুম ভাবিকে ভাইয়া আগের মতো করে চাইছে কিন্তু আর পাচ্ছেনা।সেই টান আর ভালবাসা কিছুই নেই।এখন সময় বলতে পারবে কুসুম ভাবি আগের মতো আর ভালবাসতে পারবে কিনা।কিছু জিনিস নির্ভর করে সময়ের উপর।যার সমাধান সময় ছাড়া আর কেউ দিতে পারে নাহ।কুসুম ভাবির হাজবেন্ড এর সব থেকে বড় শাস্তি হলো ভালবাসা হারানোর শাস্তি।এক ই ছাদের নিচে আছে অথচ ভাবিকে আর আগের মতো পাচ্ছেনা।

সময়, দিন,মাস এগিয়ে গেলো।আজ আমাদের দ্বীতীয় এনিভার্সারী।শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছি আমরা।বাড়িটা লাল,নীল আলো দিয়ে সাজিয়েছে অয়ন।আয়াস একটা সবুজশাড়ি এনে দিয়ে বললো,এটা পরো।এক গুচ্ছ সবুজ চুড়ি আর সবুজ শাড়ি পরে সাজলাম।আম্মু আমার জন্য দুটো বালা নিয়ে এসছে।খালামনি একটা শাড়ি নিয়ে এসছে।বাড়ির সবাই ভীষণ আনন্দে আছে।আয়াসের আম্মা রান্নাঘরএ রান্না করছে।আম্মু আর খালামনই আয়াসের আম্মার সাথে হেল্প করছে আর গল্প জুড়েছে।শ্রুতি বাটিতে মাংস এনে চেয়ারে বসে খাচ্ছে।অন্যদিকে অয়ন চুপটি মেরে বসে আছে সোফার কোনায়। ভীষণ মন খারাপ অয়নের।আমি বুঝে উঠতে পারছিনা অয়নের কি হয়েছে।

‘অয়নের পাশে গিয়ে বললাম,কি হয়েছে? ‘

‘অয়ন চোখ তুলে তাকিয়ে বললো,বিয়ে করতে চাই।’

‘আমি হাসলাম।’

‘মজা করছি না।বিয়ে করতে চাই।’

‘করো,সমস্যা কি?’

‘মা-বাবা আর ভাইয়াকে রাজি বানানোর দায়িত্ব তোমার।’

‘কাকে বিয়ে করবে?’

‘আরহী?আরহীকে প্রপোজ করেছি।সে বলে প্রেম ভালবাসায় সে বিশ্বাসী নয়।সে আর ঠকতে চায়না।আচ্ছা কে বলেছিলো তোমাদের দু’বোন কে ওই গভেট এর সাথে প্রেম করতে।আরহী প্রেম করতে চাইছে না এর মানে বিয়ে।’

‘আমি অয়ন কে বললাম,তুমিও বিয়ে করবে ভাই।আমার তো বিশ্বাস ই হচ্ছেনা।’

‘ভালবেসে ফেলেছি কি করবো।কিচ্ছু করার নেই ভাবি।প্লিজ ম্যানেজ করো বাড়িতে।’

সন্ধ্যায় অনুষ্টান শেষ হবার পর বাড়ির সবার মাঝে অয়ন আর আরহীর বিয়ের কথাটা তুললাম।আমি আয়াস সবাইকে বুঝিয়ে বিয়েতে রাজি করালাম।

অয়ন আর আরহীর বিয়ের একদিন আগে সারিকা মেসেজ করেছে,’কেমন আছো?’
তেলে বেগুনে জ্বলে আয়াসের ফোন আছাড় মেরে বললাম,এই সারিকা আবার মেসেজ দিয়েছে কেনো।দেখো আমিও কিন্তু প্রেম করবো একটা।আয়াস হেসে বললো,সারিকার বিয়ে সামনে।আর প্রেম আগামি সাত জন্মে তোমার প্রেমিক হয়েই আমি জন্ম নিবো।

অয়ন আর আরোহীর বিয়ে হয়ে গেলো।বেশ ধুমধাম করে বিয়েটা দেওয়া হলো।

অয়ন আর আরহীর বিয়ের রাতেই ছাদে পাটি বিছিয়ে আয়াসের হাতে মাথা রেখে দুজনে সুয়ে আছি।প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বইছে ছাদে।মৃদু মৃদু বাতাসে আয়াসের বুকে মাথা রেখে পূর্ণিমার চাঁদ দেখছি।আয়াস আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।তাকিয়ে থেকে কিছুক্ষণ পরে বললো,

বেবিডল তুমি ও একটা চাঁদ।আকাশের ওই চাঁদ টা সবার।আর তুমি শুধু আমার।আয়াস আমার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে চুপটি মেরে সুয়ে রইলো।আয়াসের বুকে মাথা রেখে ঘুম,ওর ঘামের গন্ধ,ওর উষ্ণতা সব ই আজ আমার কাছে ভয়ংকর এক নেশা।আয়াস মৃদু মৃদু ভাবে ওষ্ট স্পর্শ করছে ঘাড়ে।বার বার কেঁপে উঠছি আমি।ভালবাসার শিহরণে আয়াসের পিঠের শার্ট খামচে ধরলাম দু’হাতে লজ্জায়।আয়াস যতবার আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আমি ততবার ই লজ্জায় মিহিয়ে গিয়েছে।আয়াসের দুষ্টুমি থামবে না জানি।আমি আস্তে করে বললাম,

‘এটা কিন্তু ছাদ।’

আয়াস নেশাক্ত কন্ঠে বললো,

‘বেডরুমে চলো।বলেই আমাকে কোলে তুলে নিলো’।

আমি লজ্জায় ওর বুকে মাথা গুজে বললাম,

‘চাঁদটা সুন্দর না?একদম গোলাকার।’

‘আয়াস আমার গালে চুমু দিয়ে বললো,আমাদের দুজনের চন্দ্রবিলাস হওয়া উচিত তাইনা?’

আমি অকারণেই লজ্জা পাচ্ছি।শাড়ির আঁচলে মুখ ঢেকে বললাম,

‘আমাদের দুজনের নয় তিনজনের।’

‘তিনজন কোথায় পেলে।এটুকু বলেই আয়াস চোখ বড় বড় করে বললো,সত্যি।বাট আমরা তো প্রটেকশন নিয়েছি।’

‘আমি হেসে বললাম,আমি ওইসব কিছুই করিনি।বিকজ আমার বেবির শখ ছিলো।’

‘আমাকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো,আমি সত্যি সারপ্রাইজড মুগ্ধ।আনন্দে আমার কেঁদেই দিতে ইচ্ছা করছে জানো।কিছুদিন আগে আমি একটা ব্যাক্তিগত সমস্যায় ডাক্তার দেখিয়েছি।ডাক্তার বললো আপনি বাবা হতে পারবেন কিনা বলা মুশকিল।সেদিন থেকে রোজ তোমাকে জড়িয়ে ধরতাম আর আর ভাবতাম এই মেয়েটাকে আমি কি বলবো।আমি একজন অক্ষম পুরুষ।এই মেয়েটা মা হতে পারবেনা জানলে আবার ও ভেঙে পড়বে।তোমাকে বুঝতে দিবোনা বলে ফ্যামিলি প্লানিং অকারণ করে গিয়েছি।’

আয়াস কে দুইহাতে জড়িয়ে ধরে বললাম,

‘সন্তান দেওয়ার মালিক আল্লাহ,ডাক্তার নন।সব ইনফরমেশন সব সময় সত্য হয়না।আমি জানতাম আমি মা হতে পারবো।’

আয়াস আমার পেটে হাত রেখে বললো,

‘তোমার মাম্মির খুব খেয়াল রাখবো আর তোমার বেষ্ট পাপ্পা হবো প্রমিজ। ‘

আয়াস আমাকে আবার ও কোলে নিয়ে রুমে নিয়ে আসলো।বিছানায় বসিয়ে আয়াস ফ্লোরে বসলো আমার কোলে মাথা রেখে বললো মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিবে প্লিজ।আমি আয়াসের মাথায় চুমু দিয়ে বললাম,

‘এমন স্বামি ভাগ্য কপাল কজনের হয়।পৃথিবীর সব মেয়ের থেকে আমি বেশী ভাগ্যবতী।আমার স্বামির মানে ভালবাসার অন্য জগত।এত ভালবাসবেন আমাকে সত্যি আইডিয়া ছিলো না।’

আয়াস আমার দিকে তাকালো।মৃদু হেসে বললো,

‘মুগ্ধতা তুমি মানেই সরলতার প্রতিমা, তুমি মানে মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ আমি।বসন্ত উৎসবে দেখেছিলাম তোমাকে।সেখান থেকে প্রতিটা দিন ই আমার জীবনের রঙিন বসন্ত।তুমিময় বসন্তে রঙিন আমার জীবন।শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমার সাথেই থেকো।পরকালে ও আমার সাথেই থেকো।’

সেদিন থেকে আয়াস আমার যত্ন আরো বাড়িয়ে দিলো।আয়াসের মা-বাবা,অয়ন-আরহী,আমার আম্মু-বাবা সবাই শুধু দিন গুনতে শুরু করলো।কবে বেবি পৃথিবীতে আসবে।জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অনেক কিছুর কি প্রয়োজন আয়াস এর মতো কেয়ারিং স্বামি আর এমন পরিবার থাকলেই যথেষ্ট সুখের অভাব হয়না।রোজ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি এমন একটা আয়াস যেনো সব মেয়ের জীবনেই আসে।আর ভালবাসায় পূর্ণ হয় জীবন।

সমাপ্ত।

(অনেক ভুল -ত্রুটি নিয়ে এগিয়েছি আপনাদের ভালবাসা আর সাপোর্ট এ।সবার জন্য অনেক বেশী ভালবাসা রইলো।শেষ খুব তাড়াহুড়োর মাঝে দিয়েছি।)