#তুমি_ছুঁয়ে_দিলে_এ_মন
পর্ব ২৪
#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা
আহনাফদের বাড়িতে আজ উৎসব লেগেছে।
কদিন আগেই স্বপরিবারে উৎখাত হতে ধরেছিলো যে মোকাদ্দমার প্যাঁচে পড়ে, আজ তার রায় এসেছে।
রায় তাদের পক্ষেই এসেছে। জমির মালিকের জেল জরিমানা হয়েছে, এরকম এক জমি দুজনের কাছে বিক্রয় করার অপরাধে। যদিও সে লোক বিদেশে।
তাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনা হবে, এবং তার ভিসাও বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই জমির বর্তমান মালিকানা পেলো আশফিক তালুকদার।
মালেক ব্যাপারিরও শাস্তি হয়েছে, এরকম জোর জবরদস্তি প্রয়োগ ও ভোগান্তি করানোর জন্য।
আর আশফিক ও শায়লা এর পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছে রাহুল চৌধুরীকে। কারন রাহুল চৌধুরীর সুপারিশেই সব সম্ভব হয়েছে। সারা জীবনের সঞ্চয় করা কষ্টের টাকায় বাড়ি করা হয়েছে দেখেই রাহুল চৌধুরীর প্রতি তাদের এত কৃতজ্ঞতা। রাহুল চৌধুরীকে স্বপরিবারে দাওয়াত করেছে আশফিক-শায়লা দম্পতি।
রাহুল চৌধুরী ও তার স্ত্রীর সাথে বিভাও এসেছে। রাহুল চৌধুরীর বড় ছেলে স্বপরিবারে কানাড়া থাকে, তাই তিনজনই এ বাড়িতে এসেছে।
বিভাকে এখন স্বাভাবিক দেখাচ্ছে।
তবে আহনাফের কাছে সে একটা পাগলা কুকুরী। যে কুকুরী যেকোনো সময় কামড়ে দিতে পারে।
এইবার এইচ.এস সি পরীক্ষা সে দিবে না তা জানিয়ে দিয়েছে। সেদিন রাগে পড়ে এডমিট আর রেজিস্ট্রেশন কার্ড যে ছিঁড়ে ফেলেছিলো সে।
তবে আহনাফদের বাড়িতে এসে সে আর আগের মতো ঢং করছে না। সবাইকে বড়াই করে ন্যাকা ন্যাকা করে বলে বেড়ালো সে নাকি রান্না শিখছে। এখন আর নাকি সোশ্যাল মিডিয়াও ডি এক্টিভ করে দিয়েছে।
শায়লা ওকে বাহবা দিচ্ছে।
একটা লক্ষী বধু হওয়ার জন্য যা যা গুণ লাগে তার সবটাই যেনো সে অর্জন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
শায়লাও যেনো তেলবাজ মহিলার মতো ওকে তেল দিতে লাগলো,
” এত পড়েই আর কি হবে? মেয়েদের এতো পড়েই আর কি হলো? নিজে সারাজীবন চাকরি করে শুধু অশান্তিই হয়েছে, এখন তো আর অর্থকষ্ট নেই যে, ছেলের বউকে দিয়ে চাকরি করাতে হবে, তুমি বরং সামনের বছরই পরীক্ষা দিও!”
আহনাফ এসব কিছুই জানলো না, সে কলেজে ক্লাশে ছিলো, তখন অহনা কল করে ভাইকে এসব বলেছে।
তবে আহনাফের এসব শুনে মাটির মধ্যে ঢুকে যেতে মন চাইলো। আপন মানুষগুলো যদি সুবিধাবাদীদের দলে ভীড়ে সুবিধা পেয়ে খোলস পাল্টায় তবে এর থেকে দু:খের আর কি আছে? এমনিতেই রাহুল চৌধুরী পুন:প্রস্তাব দিয়েছে, যেনো ত্রিশার সাথে এংগেইজমেন্ট ভেঙ্গে পুনরায় বিভার সাথে এংগেইজমেন্ট করানো হয়। এ নিয়ে আহনাফের বাবা মায়ের সাথে কয়েক দফা আলাপচারিতা ও তর্কাতর্কিও হয়েছে। আহনাফ বাবা মাকে এটাও বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে যে, যদি আরেকবার ও ধরনের কথাবার্তা বলা হয়, তবে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। আহনাফের এ ধরনের কথাবার্তায়ও ওর বাবা মায়ের মধ্যে কোনো নড়নচড়ন নেই। তারা সুযোগ পেলেই ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে ঐ একই কথাই তুলে। এ নিয়ে অহনাও বাবা মায়ের কড়া কথা ও চোখ রাঙ্গানি খেয়েছে।
আহনাফদের বাড়িতে রাহুল চৌধুরী তার গোটা পরিবার নিয়ে এসেছে জেনে আহনাফ কলেজে ক্লাশ শেষ করেও বাড়ি ফিরলো না। নদীর তীরে যে গাছটির নিচে ত্রিশাকে নিয়ে বসে ম্যাথ করাতো, সেটার নিচে বসে একা একাই অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে লেগে গেলো।
ত্রিশার সাথে তার তেমন কোনো কথোপকথন নেই। তবুও তার গোটা দুনিয়া যেনো ত্রিশাময়।
স্মৃতির জগতে পা ফেললো আহনাফ…প্রথম দিনের পরিচিতি পর্ব…অনেকক্ষণ বসে মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করা…খুঁজে পাওয়া.. ম্যাথ বুঝতে বুঝতে আহনাফের দিকে ঝুঁকে পড়া, বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া..
আর কলেজের ক্লাশগুলো..মেয়েটার শেষ বেঞ্চিতে বসে ভীরু ভীরু, বোকা বোকা বদনে অংক কষা এগুলো সত্যিই অনেক নস্টালজিয়ার সৃষ্টি করে।
মনে করতে না চাইলেও বাবা মায়ের অতিমাত্রায় বিভা আর রাহুল চৌধুরীকে নিয়ে মাতামাতি, মনে পড়ে যেতেই মন চাইলো, ত্রিশাকে নিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে গিয়ে সংসার পাততে!
কিন্তু এসব কিভাবে হয়? সবার আগে মেয়েটার স্বপ্ন! পালিয়ে গেলে ওর সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ। যাকে ভালোবাসা হয়, তার স্বপ্নকেউ ভালোবাসা- ভালোবাসার পবিত্র দায়িত্ব।
কারন প্রেমিক আসার আগে সেই স্বপ্নই ছিলো হয়তো মেয়েটার প্রথম প্রেম!
আহনাফের নিজেকে অন্য আর দশটা প্রেমিকের চেয়ে হীন মনে হলো। অন্য প্রেমিকরা প্রেমিকার মন জয় করার জন্য এটা ওটা করে বেড়ায়৷ ফুল দেয়, শাড়ি কিনে দেয়, চুড়ি কিনে দেয়, সিনেমায় যায়, পার্কে, রেস্টুরেন্টে বসে একে অন্যের দিকে চেয়ে বহু ঘন্টা কাটিয়ে দেয়, পাগলামী করে, মাতলামী করে, গান রচে, কবিতা রচে…পাগল প্রেমিক আরো কত কিছু করে? আহনাফের আরো বেশি কিছু করতেও মন চায়। কিন্তু এসব করাতে বেচারি মেয়েটার যদি মনোযোগ ভঙ্গ হয়, তাই সে কিছুই করে না। পড়ে মেয়েটা পড়া বাদ দিয়ে শুধু তার কথাই ভাববে, এটা সে চায় না।
নিজের মানিব্যাগ খুলে ত্রিশার মাথার সে দু’খানা কেশগুচ্ছে সে হাত বুলিয়ে নিলো। সেগুলো শুঁকে ত্রিশার চুলের ঘ্রান নেওয়ার চেষ্ঠা করলো।
কিন্তু ত্রিশাকে সে যে এরকম উন্মাদের ন্যায় অনুভব করে তা তাকে জানানো যাবে না কখনোই, এমনকি মেয়েটাকে সে এত মিস করে তা ও বলা যাবে না। রাতগুলো যে মেয়েটাকে ভেবেই কাটে তা ও জানানো যাবে না। আহনাফ নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে ডায়ালে গিয়ে আবার ব্যাক করে রেখে দিলো।
ওয়ালপেপারে ত্রিশার ছবিটায় হাত বুলিয়ে দেখতে লাগলো।
আর কথা বলতে লাগলো সে ছবির সাথে,
” দেখছো তুমি? তোমার জন্য বন্য হওয়া এ প্রাণিটা কতটা পোষ্যের ন্যায় আচরন করে? ভিতরে ভিতরে অসভ্য, ইতর প্রেম লুকিয়ে রেখে বাইরে দিয়ে ভদ্র সেজে বসে আছি আমি! হাউ সিলি! সিলি ভদ্র! ”
বলে হা হা করে হেসে দিলো আহনাফ।
তার সে হাসি কেউ শুনতে পেলো না।
চারদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে। গোধূলির হলদেটে রোদের পরিসমাপ্তি ঘটছে গোটা পশ্চিমাকাশ জুড়ে৷
ঠিক সেই সময়ই প্রিয় বন্ধু রাতুলের কল এলো।
” বন্ধুরে, আর পারিনা সইতে আমি, বোকা প্রেমের জ্বালায়…”
প্রথম কথাতেই গান গেয়ে উঠলো আহনাফ।
রাতুল বন্ধুর এহেন কথায় চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
“শা*লা প্রেমিকাকে গান শোনা গিয়ে, আমাকে কেনো? আজব প্রেম দেখলাম! এই যামানায়, নয়া নয়া প্রেম, তাও নাই কোনো ডেইট, নাই কোনো রোমান্টিক ফোনালাপ, নাই কোনো চিপাচাপা, বন্ধুর ফ্ল্যাট…, নাই কোনো কিসমিস, এটা হইলো কিছু? কেমনে মাম্মা?”
আহনাফ বলে উঠলো,
” বন্ধু, ঐসব তো করে পার্সোনালিটি হীন মানুষজন। আর আমি?যদি যায় জান তবুও হারাতে দিবো না প্রেমিকার মান, প্রেমিকার স্বপ্ন, আর আত্মসম্মান অর্জনের জন্য আমি এর চেয়েও বড় ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী”
রাতুল বলে উঠলো, ” স্যালুট ইউর লাভ, দোস্ত”
.
.
.
এইচ এস সি ফাইনাল পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে, মাত্র একটা সপ্তাহই। বাইরের দুনিয়ায় রাত না দিন তার কোনো খবর নেই ত্রিশার৷ সারাদিন মুখ থুবড়ে বইতে পড়ে থাকে বলে কনকচাপাও প্রায়ই বকতে থাকে।
” একটু দম নে রে মা, একটু ঘুমিয়ে নে রে সোনা, একটু বিশ্রাম নে রে আম্মা, পাছে, অসুস্থ্য হয়ে যাবি যে! ”
এসব দিনের মধ্যে বলে যায় সে বহুবার।
ত্রিশা এসব শুনেও শুনে না। রাতে ঘুমিয়ে গিয়েও চিন্তায় আবার এক ঘন্টা পরই উঠে গিয়ে বই নিয়ে বসে।
কনকচাপার নিজের প্রতি নিজেরই অভিযোগ পড়ে,
” ইশ! মেয়েটার পড়াশুনার জন্য যদি আগে থেকেই একটু যত্ন নিতে পারতাম! পড়ার জন্য কত ইচ্ছা, সাধ মেয়েটার! একটা প্রাইভেট যদি আগেই দিতাম? কেনো ঐ ক্রিমিনালটার বাড়ি থেকে আগেই সাহস করে বের হয়ে এলাম না!?”
এসব বলে কনকচাপা নিজেকে নিজেই ভৎসনা করে।
কনকচাপা মেয়ের পরীক্ষার জন্য নিজের চেইলারিং শপেও যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। একবার চা বানিয়ে দিচ্ছে, তো আরেকবার স্যুপ বানিয়ে খাওয়াচ্ছে! এটা ওটা পুষ্টিকর খাবার সামনে বারবার পরিবেশন করলেও নাক সিঁটকানো মেয়েটা ঠিকমতো কিছুই খায় না।
এ নিয়ে কনকচাপার অভিযোগের শেষ নেই।
এটা ওটা রান্না করতেই থাকে সে, যেনো কিছু একটা সে পেটুপুরে খেতে পারে।
কিন্তু স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য যে আরামকে হারাম করা লাগে তা ত্রিশার অবচেতন মনও ওকে বার বার মনে করিয়ে দেয়।
তবে এভাবে আলো বাতাস না দেখলে যে মেয়ে অসুস্থ হয়ে যাবে, এটা ভেবে কনকচাপা আহনাফকে কল দেয়।
ম্যাথের সিলেবাস শেষ করে পরে টপিক ওয়াইজ অনেকগুলো পরীক্ষাও নিয়ে একেবারে ম্যাথ পার্ট ওয়ান আর টু দুটোই ঝালাই দিয়ে আহনাফ তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছে। এখন ত্রিশার সাথে শুধু দিনে একবারই কয়েক মিনিট কথা হয় তার৷ বাসায় আর যাওয়া হয়না। দেখতে মন চাইলেও যায়না, কারন মেয়েটার হয়তো মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এই চিন্তায়।
তবে এবারে কনকচাপাই ডেকে পাঠালো, যাতে ত্রিশাকে নিয়ে বাইরে থেকে একটু আলো বাতাস দেখিয়ে নিয়ে আসে।
ঠিক তখনি কলটা আসলো যখন আহনাফ ত্রিশার ভাবনায় সেই কথিত কুল গাছ নামক বট গাছের নিচে সন্ধার পরে একা একাই বসেছিলো।
কনকচাপা নিজেই বললো,
” বাবা আহনাফ, ত্রিশার কথা আর জিজ্ঞেস করোনা! আমি খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছি, ও তো বাইরের আলো বাতাস মোটেও দেখছে না, আমি ভাবছি পড়তে পড়তে পাগলই না হয়ে যায়, তুমি কি একবার এদিকে আসবে? যদি কোনো সমস্যা না থাকে?”
আহনাফ যেনো এ কথারই অপেক্ষায় ছিলো।
লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো।
বাইকের চাবি ঘুরিয়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে দশ মিনিটেই চলে আসে কনকচাপার ভাড়া বাড়িতে।
” গিয়ে দেখো দরজা বন্ধ করে দুটো লাইট জ্বালিয়ে সারাদিন শুধু পড়ে আর পড়ে.., আমি কত বকি৷ ঘুমায়ও না, মাত্র এক কি দু ঘন্টা, এভাবে কি ও বাঁচবে, তুমিই দেখো”
এসব শত অভি্যোগ গটগট করে বলে কনকচাপা তার মেয়ে ও হবু জামাইকে একান্তে কথা বলতে দিয়ে রান্নাঘরে চলে যায়।
ত্রিশা নিজের রুমে দরজা বন্ধ করেই পড়ছিলো। হঠাৎ দরজায় নক করাতে বই হাতে নিয়েই দরজা খুলে দিতেই আহনাফকে দেখে চমকে উঠলো। তবে চুপ দাঁড়িয়ে বই দিয়ে নাক মুখ ঢেকে শুধু চোখ দুটো বের করে দেখতে লাগলো।
” কি, ভিতরে আসবো? নাকি এখান থেকেই বিদায় করে দিবে? ”
আহনাফ এই বলতেই ত্রিশা কি জানি দ্রুত লুকাতে গিয়েও পড়ে গেলো একটা, কাগজের খন্ডের ন্যায়!
“একি? দেখি, কি এটা কি এটা? ” বলেই আহনাফ হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে স্তস্ত্র হয়ে কাগজটা হাতে নিয়ে উল্টে দেখে ওরই একখানা ছবি।
হাসিমুখে ছবিটা হাতে ধরতেই ত্রিশা লজ্জায় দরজার আড়ালে পালায়।
“আরে! আজব মেয়েতো, দরজার পেছনে লুকানোর কি হলো? আরে! আরে! বেরোও বলছি?”
বলে আহনাফ হাত ধরে ধরে নিয়ে সামনে আসলো ত্রিশাকে।
এদিকে আহনাফের ছবিসহ ধরা খেয়ে ত্রিশার চিবুক লজ্জালাল হয়ে গেলো।
আহনাফ নিজের দুই হাত দিয়ে ত্রিশার দুই কাঁধ ধরে পিছিয়ে দিয়ে দ্রুততার সাথে দেয়ালের সাথে একেবারে ঠেঁকিয়ে দিলো ত্রিশাকে।
শাসনের ভঙ্গিমায় বললো,
“আমার ছবি দেখছিলে তুমি? আর আমি তো ভাবি, তুমি আমার কথা মনেই করোনা, কি ব্যাপার বলোতো? তুমি কি সত্যিই সারাদিন পড়ো নাকি? আমার ছবিই দেখো?”
ত্রিশা যেনো জবাব খুঁজে পাচ্ছিলো না, লজ্জালাল বদনে, শরমকাতুর ওষ্ঠগুলো বাঁকিয়ে উত্তর দিলো,
” পড়িতোওওওও…., আর আপনার ছবিও দেখি….”
আহনাফ হেসে আরো কাছে এসে কানের কাছে একটা নি:স্বাস ফেলে বললো,
” আমার ছবি দেখে দেখে পড়ো? আবার পরীক্ষার সময় আমার ছবিই এঁকে দিয়ে এসোনা বুঝি?”
ত্রিশা মাথা নিচু অবস্থাতেই আহনাফের কানের ভিষণ কাছে মুখটা এনে উত্তর দিলো,
” আপনার ছবিতো আমার মস্তিষ্কের সেই অংশে যেটুকু অংশ সাইন্টিস্টরাও এনালাইজ করতে পারে না, যে অংশ উন্মোচন হয়না কখনো, যে অংশের রহস্য চির অভেদ্য…”
একথা বলতেই আহনাফের গলা ধরে আসে যেনো পরম প্রাপ্তিতে, প্রিয়তমার স্পর্শ পাওয়ার জন্য আকুলি বিকুলি অন্তরকে সোপার্দ করে, পরম যত্নে প্রিয়তামার কপালে এঁকে দেয় একখানি ভাগ্য চুম্বন।
(চলবে)