তুমি ছুঁয়ে দিলে এ মন পর্ব-২৭

0
31

#তুমি_ছুঁয়ে_দিলে_এ_মন

পর্ব ২৭

#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা

মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা যত কঠিন, বিশ্বাস ভাঙ্গা একটা ততটাই মামুলী ব্যাপার। আশফিক তালুকদারের পরিবার গোটা শহরের কাছে একটা আদর্শ পরিবার হিসেবে গণ্য হতো, এক রাতের ব্যবধানেই তাদের আত্মমর্যাদা নিমেষেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
তাদের দু:খ একটাই, দেশের মানুষ এখন বেশির ভাগই গুজবে নাচে, সত্যতা প্রমাণেরও অপেক্ষায় কেউ থাকে না! সত্যিই কি আহনাফ একজন প্রশ্নফাঁস কর্তা নাকি সবই মিথ্যে, তা আর কেউ যাচাই করে দেখে না!

যুদ্ধ শেষে ধ্বংসস্তুপের ন্যায় হয়ে আছে বাড়িটা তাদের। প্রধান ফটক ভাঙ্গা। দরজা, জানালার গ্রীল, কাঁচ, আসবাব পত্র সর্বত্র ভাংচুর আর তান্ডব চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা ও তাদের অভিবাবকরা।

শায়লা আর আশফিক গোটা জীবনে এতটা অপমানিত হয়নি যা তারা এদিন হলো।
চোখ দিয়ে তাদের অশ্রু নাকি র’ক্ত বর্ষণ হচ্ছে তাও জানা নেই।
আহনাফকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে এত বছর ধরে অর্জন করা ইমেজটা পুরোপুরিই নসাৎ করে দিয়েছে। আহনাফের নামের সাথে যুক্ত ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র থেকে ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষক, বাগ্মী নেতৃত্ব, সাহসী রাজনৈতিক নেতা, আত্মত্যাগী সমাজকর্মী ইত্যাদি বিশেষণ এসকল সবই এখন শুধুই অতীত!

সবাই এখন তাকে একজন প্রশ্ন ফাঁসকারী দুষ্কৃতকারী শিক্ষক হিসেবেই জানে।

কোথাও বড়মুখ করে যাওয়ারও জো নেই তার। চাকরি হতেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং যতদিন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যে বলে প্রমাণিত না হচ্ছে সে পর্যন্ত তাকে তার দায়িত্ব হতেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর আহনাফ শহরের বাইরে কোথাও যেতে পারবে না যতদিন তার বিরুদ্ধে করা প্রশ্নফাঁসের মামলা ডিসমিস না হচ্ছে।

দশ দিন গারদবাস করে আহনাফ বাড়ি ফেরে।
মানসিক ভাবে ব্যপক বিপর্যস্ত আহনাফ বাড়ি ফিরেই ত্রিশার সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করে।
দশদিন প্রাণের প্রিয়তমাকে না দেখে আহনাফের অন্তরাত্মা যেনো কাষ্ঠকঙ্কাল হয়ে গিয়েছিলো।

ছাড়া পাবার পর ত্রিশার সব বান্ধবীরাই আহনাফের সাথে দেখা করতে এসেছিলো।
সবাই ওকে সাপোর্ট করেছে, স্বান্তনা দিয়েছে, আর বার বার বুঝিয়েছে, ” স্যার, আপনাকে আমরা বিশ্বাস করি, আপনি যে প্রশ্নফাঁস কস্মিনকালেও করেন নি তাও আমরা জানি, এ সবই আপনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র! ”

তবে আহনাফের বার বার শুধু একই প্রশ্ন মাথায় আসতে শুরু করলো, যেখানে ত্রিশারই আগে যোগাযোগ করে ওর পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিলো, সেখানে ত্রিশাই উধাও! কনকচাপার ফোন নাম্বার বন্ধ দেখাচ্ছিলো হাজার বার চেষ্ঠা করার পরো। পাভেল ও নয়নও ওদের কোনো হদিস দিতে পারলো না, কারন কনকচাপা তার টেইলারিং শপটাও বন্ধ করে রেখেছে।

ত্রিশাদের সেই ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার পর জানা যায় তারা সেই বাসাও পরিবর্তন করে নিয়েছে।
আশেপাশের অন্যান্য ভাড়াটিয়া, বাড়িওয়ালা কিংবা দাঁড়োয়ানকে জিজ্ঞেস করেও কোনো সন্ধান পাওয়া গেলো না ত্রিশার।
আহনাফ সেদিনের ঘটনার পর শারীরিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। আর ত্রিশার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে বুকের মধ্যে থাকা শ্বাসগুলোও যেনো ভিতরে আটকা পড়ে আসফাঁস করছিলো।

এখন শায়লা সর্বক্ষণ আহনাফের পাশেই বসে থাকে। সে ও ত্রিশার খোঁজ লাগাচ্ছে।

ছেলেকে বারবারই অভয় দিচ্ছে যে, ” ত্রিশাকে খুঁজে পাবো রে! অবশ্যই পাবো, ও আর এই শহর ছেড়ে কই যাবে? “।

তবুও ত্রিশার কোনো বিপদ হলো চিন্তা করে আহনাফের হৃদপিন্ড ব্যথা হয়ে যাচ্ছিলো বারংবার। থানায় জিডি করতে গেলেও পুলিশ কোনো হদিস দিতে পারেনি। আহনাফের বন্ধুরা সবাই মিলে এদিক ওদিক ত্রিশার খোঁজ লাগিয়েছে। আহনাফের বন্ধু বিশাল, যে কিনা পিবি আই এর সিনিয়র ইনভেস্টিগেশন অফিসার সে তার ট্রেনিং এর সুবাদে সুইজারল্যান্ড গিয়েছে। তাই তার বন্ধু আহনাফের এ চরম বিপদের দিনে কোনো সাহায্য, সহযোগিতাই করতে পারলো না। ত্রিশার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রাত্রী, ত্রিনা, স্নিগ্ধা ও ঊষা তারা কেউই ত্রিশার কোনো খোঁজ জানে না। তবে ওদের ভাষ্যমতে সবগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরের দিনই ত্রিশা উধাও।

যে কয়দিন তারা ত্রিশাকে দেখেছে, প্রচন্ড বিদ্ধস্ত ও মানসিক অবসাদ গ্রস্থ ছিলো সে। শেষের পরীক্ষাগুলো সে দিতেই চাইছিলো না।
উন্মাদের ন্যায় বান্ধবীদের বারবার চিৎকার করে বলেছে,
” পারবোনা আমি, পারবোনা!..”
পরে সব বান্ধবীরা সবাই মিলে বুঝিয়ে শুনিয়ে জোর করে পরীক্ষাগুলো দিইয়েছিলো তারা। শেষের পরীক্ষাগুলো মোটেও ভালো দেয়নি সে। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরের দিনই কনকচাপা নিজের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেয়।
সে বাড়ি ছেড়ে কোথায় গিয়েছে তা সবারই অজানা।

“এলাকার সবাই আহনাফের সাথে ত্রিশার নামেও এটা সেটা কুৎসা রটাচ্ছে। কেউ কেউ ওকেও আহনাফের সাথে প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত বলে দোষারোপ করছে। তবে সামান্য এ কারনে ত্রিশা আপনার জীবন থেকে সরে যাওয়ার মতো মেয়ে নয়, স্যার!”

রাত্রি কেঁদে কেঁদে আহনাফকে একথা বললো।

অন্যান্য বান্ধবীরাও বলে উঠলো, ” স্যার আমরা ত্রিশাকে খুঁজে বের করবোই করবো, ও আমাদের ছাড়া থাকতে পারবে না স্যার! ত্রিশাকে খুঁজে বের করার এ মিশনে আমরা সবাই আপনার সাথেই আছি স্যার। ”

সবাই আহনাফকে শক্ত হতে পরামর্শ দিলো।
.
.

সারাদিন এখানে ওখানে ত্রিশাকে খোঁজাখোঁজি করে মায়ের পাশে বসে ক্লান্ত, অবসন্ন আহনাফের সেদিন ভোরে ঘটে যাওয়া বিভৎস ঘটনা মনে মনে ভেবে চোখ ভিজে আসলো।
নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীরা সেদিন এই বাড়ির অনু পরমানুতে পর্যন্ত তল্লাসী চালিয়েছিলো। কোথাও একটা প্রশ্নের ছেঁড়া খন্ডও পায়নি তারা। তার পরো তার হাতকড়া পড়িয়ে আহনাফকে নিয়ে গিয়েছিলো পুলিশ ভ্যানে করে।

এত খোঁজাখুঁজির পরো কোনো প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় নি আহনাফের বাড়িতে, তার পরো কেনো তাকে এরেস্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, একথা বলে থামানোর মতো একজন শুভাকাঙ্ক্ষীও ছিলোনা সেখানে। আহনাফ তার বন্ধু চক্রকেউ খবর জানাতে অপারগ ছিলো, যেহেতু তার ফোনটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো। সবার আক্রোশ যেনো ফেটে পড়ছিলো ওর ওপর।

অন্যায় দেখলে যার মাথা ঠিক থাকতো না, সেদিন তাকেই দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে!
আহনাফকে নিরাপত্তা বাহিনীরা যতটা না লাঞ্চিত করেছিলো তার চেয়ে বেশি লাঞ্চিত করেছিলো ছাত্র ছাত্রীরা ও অভিবাবকরা।

পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় একদল ছাত্র ছাত্রীরা স্লোগান দিচ্ছিলো, ” প্রশ্নফাঁসের বিচার চাই….দালালের গলায় জুতা চাই!” এই বলে।

আরেক দল সরাসরি মা’রতে উদ্যত হয়েছিলো।
শায়লা ও আশফিক সবাইকে করজোরে অনুরোধও করেছিলো, যেনো সামান্য দয়া করে। কিন্তু কারো মনে সেদিন ওদের জন্য দয়া হয়নি। পুলিশকে টপকেও জনগন মারতে এসেছিলো আহনাফকে।

আহনাফকে আদালতপাড়ায় অবস্থিত গারদে আটকে রাখা হয়েছিলো।
কোনো আইনজীবিও পাওয়া যাচ্ছিলো না তার পক্ষে লড়বার জন্য।
যদিও তার বিরুদ্ধে প্রমাণ ও তেমন নেই, ফোনে শুধু ছাত্রছাত্রীদের গ্রুপে তার প্রশ্ন বিক্রির বিজ্ঞপ্তি পাওয়া গিয়েছিলো।

আরো বেশি তথ্য বের করার জন্য পুলিশ তাকে থার্ড ডিগ্রীও দিয়েছিলো। উল্টো করে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে সারা শরীরে আঘাতের পর আঘাত করা হয়েছে।

“কিন্তু যে এসব সম্পর্কে কিচ্ছু জানে না সে কি তথ্য দিবে?”

কথাটা বলে ঠিক তখনি সেখানে নাটকীয়ভাবে প্রবেশ ঘটলো রাহুল চৌধুরীর। দাপুটে রাহুল চৌধুরীকে দেখে সালাম ঠুকলো সব অফিসার গণ।

তিনি দ্রুত আহনাফকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন।

জামিনে বের হলো আহনাফ।

একরাশ কৃতজ্ঞতাবোধে আবদ্ধ হওয়ার আশায় তিনি জড়িয়ে ধরলেন আহনাফকে।
কিন্তু আহনাফের বুঝতে বাকি রইলো না, কেনো রাহুল চৌধুরীই সব বিপদের সময় ওকে বাঁচাতে চলে আসে?

এসব স্মৃতিচারন করতে করতেই বিভা এলো আহনাফকে দেখতে।

আহনাফ বিছানায় শুয়ে ছিলো আর শায়লা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো। বিভাকে দেখে আহনাফ তার মুখ ফিরিয়ে নিলো।

বিভা তার স্বভাবসুলভ ন্যাকা কন্ঠে শায়লাকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,

” আন্টি, ও মাই আন্টি! আই মিসড ইউ সো মাচ!”

শায়লা মৃদু হেসে বললো,

” গতকালই তো এসেছিলে আমাদের বাসায়, গতকালই আমাকে দেখেছিলে, একদিনেই এত মিস করলে কিভাবে?”

বিভা বিছানায় শুয়ে থাকা আহনাফের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললো,

” আন্টি যে কি বলো না? তোমাকে তো আমার প্রতিটা মুহূর্তেই দেখতে মন চায়, আর আপনি কেমন আছেন জনাব আহনাফ?”

আহনাফ এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অন্যপাশ হয়ে শুয়ে থাকলো। বিভাকে দেখে তার গা ঘিনঘিন করছে।

বিভা শায়লাকে ছেড়ে আহনাফ যে বিছানায় শুয়ে ছিলো সে বিছানায় পা তুলে আসন গেড়ে বসে পড়লো। বিভা বিছানায় উঠছে দেখে আহনাফ শোয়া থেকে তড়িৎবেগে লাফ দিয়ে উঠে বসে বিছানা ছেড়ে দিলো। ক্রোধ তার চোখ মুখ ছাপিয়ে চিবুক বেয়ে যেনো নিচে পড়ছে।

রাগে গজগজ করতে করতে আহনাফ বললো,

” হাউ ডেয়ার শি…! ”

আহনাফকে রেগে এভাবে উঠে যেতে দেখে বিভা তার কন্ঠ আরো দ্বীগুন ন্যাকা করে বললো,

” ও স্যরি স্যরি, আপনার বিছানায় বসে পড়লাম, তাই বলে এভাবে লাফ দিয়ে উঠে যেতে হবে? আজ বাদে কালই তো আমিই আপনার বেড পার্টনার হবো মিস্টার!”

বিভার মুখে একথা শুনে আহনাফের মেজাজ চলে গেলো আগ্নেয়গিরির চৌরাস্তায়!
বিকট ভাবে চিৎকার করে সে বললো,

” মা, একে এই মুহুর্তে এই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলো, নয়তো আমি এর মুন্ডু ভর্তা বানাবো, সাহস কতো এর? বলে আমার বেড পার্টনার হবে এ, নির্লজ্জ, বেহায়া, রাসকেল, গবেট! এই মেয়ে আর একদিন এ বাড়িতে আসলে আমি এ বাড়িই ছেড়ে যাবো মা”

আহনাফের এ ধরনের আচরনে বিভা কেঁদে কেঁটে একাকার হয়ে গেলো।

” আন্টি দেখেন, আমার সাথে কেমন রুড হচ্ছে সে? আমি কি এতই খারাপ? ”

আহনাফ তার গলা বাঁজখাই করে বললো,

” খারাপ মানে? তুমি একটা বদ! বদের হাড্ডি! এক কথায় বলতে গেলে ইবলিশদের নেত্রী তুমি! আমার বিছানায় যদি আর কোনোদিন দেখি, গো টু হেল!”

একথা বলে আহনাফ হড়হড় করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

রুম থেকে বের হতেই কলিং বেলের শব্দ। বাসা থেকে বের হওয়ার উদ্দ্যেশ্যে গেইট খুললো আহনাফ। আর সামনেই একজন পোস্টম্যান একটা পার্সেল হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেলো আহনাফের।

নাম ঠিকানাহীন কোনো আগন্তক একটা পার্সেল পাঠিয়েছে।

খুলতেই আহনাফের পায়ের তল থেকে মাটি ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগলো।

ত্রিশার বিয়ের ছবি!
.
.

আহনাফকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলো সবাই মিলে।

অন্য এক পুরুষের পাশে বধুবেশে ত্রিশাকে দেখে আহনাফের প্যানিক এটাক করেছে। অত:পর হৃদপিন্ডের গতি স্তিমিত হয়ে জ্ঞান হারিয়েছে সে।

পুলিশের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েও তাকে হসপিটালাইজড হতে হয়নি, সেখানে প্রিয়তমার অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি দেখে সে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। ক্ষনিকের মধ্যেই ছটফট করতে করতে বুকটা ব্যথা ধরে গিয়ে, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়েছিলো ভূপৃষ্ঠে!

আহনাফের বন্ধুরা সবাই এসেছে হসপিটালে। আহনাফ তখনো প্রলাপ বকছে, আর দুচোখ দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত অশ্রু। ত্রিশার শোকে ওষ্ঠাগত প্রাণে সে বদ্ধ উন্মাদ!

কোনো স্বান্তনাবাক্যই আর তাকে থামাতে পারছে না। না পারছে তাকে সামান্য স্বস্তি দিতে।

ছেলের এই হাল দেখে আশফিক আর শায়লা অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে। এসব কি হচ্ছে তাদের সাথে?

খাওয়া দাওয়া সব ছেড়ে দিলো আহনাফ। স্যালাইনও দিচ্ছে না সে।

এমন অবস্থায় ত্রিশার বান্ধবীরাও সবাই প্রিয় স্যার কে দেখতে এসেছে।

তবে কে কি আর বলবে বোঝাবে তাকে? উন্মাদের ন্যায় আহনাফকে দেখে তাদেরো গলা ধরে আসলো কান্নায়।

(চলবে)