তৃষিত তরঙ্গ পর্ব-০৫

0
36

#তৃষিত_তরঙ্গ—০৫
#প্রানেশা_আহসান_শীতল
সতর্কতা —- কপি নিষিদ্ধ

গাড়ি এসে থেমেছে মুসাওয়াদের এপার্টমেন্টের সামনে। মুসাওয়াদ গভীর শ্বাস ফেলে প্রথমে পাশে তাকালো সাবরিহা ঘুমিয়ে গেছে। তারপর পিছনে তাকালো – আমেনা বেগমও ঘুমিয়ে আছি! কাউকেই ডাকতে ইচ্ছে করছে না তবুও প্রথমকে ধীর গলায় মাকে ডাকলো—– ‘ আম্মা? – আম্মু, এসে গেছি আমরা! ওঠো!’

পিটপিট করে ধীরে ধীরে তাকায় আমেনা বেগম তারপর আলতো হেসে বলে—– ‘ কখন এলাম!?’

‘ কেবল!’

‘ আচ্ছা!’
বলে সাবরিহাকে দেখে বলে—– ‘ সাবরিহা তো ঘুমাচ্ছে!’

‘ হ্যাঁ! তাই তোমাকে ডাকলাম!’

‘ আচ্ছা বাবু শোন, ওকে ডাকার দরকার নেই! তুই এক কাজ কর; ওকে কোলে তুলে নে!’

‘ কিইই? আমিই?’

ঘাবড়ে গেলো মুসাওয়াদ। চোখ বড় বড় করে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে; তা দেখে আমেনা বেগম ধীরে হাসলো তারপর বলে—– ‘ তোদের দিদুন ভীষণ শৌখিন মানুষ ছিলো বুঝলি কায়ান; আমার বিয়ে হলো সেই বড় অনুষ্ঠান করে, একদম পালকিতে নিয়ে এলো আমায়; তারপর তোর বাবাকে বললো — বৌকে কোলে তুলে ঘরে তুলতে হবে, এটা নাকি উনাদের বাড়ির রেওয়াজ। আমি তো লজ্জায় মরি মরি অবস্থা! এদিকে তোর দিদুনও বলে দিয়েছে বউকে কোলে করেই ঘরে তুলবে; নৎচেত নয়। কি আর করার, তোর বাবা আবার একটু নির্লজ্জ প্রকৃতির ছিলো – দ্বিতীয়বার বলতেই ধেই ধেই করে আমায় কোলে তুলে নিলো! আমি লজ্জায় রুম থেকে দুই দিন বের হই নি!’

কথাটা বলেই আমেনা বেগম খিলখিলিয়ে হেসে ফেললো। ততক্ষণে সাবরিহাও উঠে গেছে আর আমেনা বেগমের বলা শেষ হতেই ভীষণ আগ্রহী গলায় বলে—– ‘ তারপর? তারপর কি হলো আম্মু?’

দুইজনই সাবরিহার দিকে তাকালো। সাবরিহাও বোকা বোকা মুখে বলে—– ‘ কি হলো আম্মু? বলো কি হয়েছে তারপর?’

আমেনা বেগম হাসি থামিয়ে জিজ্ঞেস করে—– ‘ কখন উঠলি?’

‘ ঘুম ভাঙ্গতেই তো শুনলাম তুমি বাবার আর তোমার বিয়ের গল্প বলছিলে তাই আর কথা বলিনি।’

‘ আচ্ছা উঠেই তো গেছিস। এখন দ্রুত নাম; আর কায়ান গাড়িটা রেখে দ্রুত সাবরিহাকে তুলে নে। রীতি রেওয়াজ না মানলেও এটা বংশ পরম্পরায় তাই এটা মানতেই হবে!’

এইদিকে সাবরিহা মনের মাঝে বোধহয় ঘুঙ্গুর পড়ে নাচছে! মুসাওয়াদ তাকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে যাবে। ইশশ! ভাবতেই দম-বন্ধকর লজ্জা হানা দিচ্ছে শ্যামবর্ণের অঙ্গনার গায়ে! মুসাওয়াদ একবার সাবরিহার রক্তিম মুখে তাকালো মেয়েটা বোধহয় শুধু সুযোগ খুঁজছে মুসাওয়াদের কাছে আসার! দীর্ঘশ্বাস ফেললো সে। আর আমেনা বেগম গাড়ি থেকে নেমে যেতেই সাবরিহা নেমে এলো। তারপর মুসাওয়াদ গাড়ি ঘুরিয়ে পার্কিং লটে এসে জায়গা মতো গাড়িটা রেখে ধীরে হেঁটে এলো। আমেনা বেগম মুসাওয়াদের অপেক্ষা করছিলো। আসতেই উনি বলে—– ‘ সাবরিহাকে কোলে তুলে আনবি কায়ান; যা বলেছি শুনিস আর আমি গেলাম। সাবরিহাকে তো ঘরে মিষ্টি মুখ করিয়ে প্রবেশ করাতে হবে।’

কোনো মতে তাড়াহুড়ো করে কথাটুকু বলে আমেনা বেগম চলে যান। সে চায় না ছেলেটা তার সামনে অস্বস্তিতে পড়ুক। তবে এটা বংশের রীতিতে না থাকলেও আমেনা বেগম এমন টা বলতেন। ছেলোটা জড়তা নিয়ে বসে আছে অথচ ছুটি আছে আর ছ’দিন! এখন যদি একটু কোনো ভাবে সব ঠিকঠাক করতে পাটেন তাহলে সাবরিহাকে মুসাওয়াদের সাথে পাঠাতে আর ঠেকায় কে!!

আমেনা বেগম চলে যেতেই মুসাওয়াদ সাবরিহার দিকে তাকায়। কি এলটা অবস্থা! ঢোক গিললো মুসাওয়াদ তারপর ধীরে বলে—– ‘ আচ্ছা আমরা লিফটি যাই? এপার্টমেন্টের সামনে থামলে না হয় আপনাকে কোলে তুলে নেবো?’

সাবরিহা মাথা নিচু করে খানিকসময় বাদে জবাব করে—– ‘ আম্মু যদি জানতে পারে বকা দেবে!’

মুসাওয়াদ ফুশ করে শ্বাস ফেললো। তাহলে এই মেয়ে যে মায়ের নেওটা হবে বুঝতে আর সময় লাগলো না। পাঞ্জাবির হাতাটা একটু উপরে উঠিয়ে এসে ধুপ করে সাবরিহাকে কোলে তুলে নেয়। প্রথমে বুঝতে না পেরে ভরকে যায় সাবরিহা তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে গলার উপর থেকে হাত রেখে বিপরীত সাইডের কাঁধের কাছে খামচে ধরে আছে! মুসাওয়াদ আলতো চোখে হাতের দিকে তাকিয়ে লিফটের সামনে এসে দাঁড়ালো। সময় ব্যবধানে লিফট থামতেই সেখানে উঠে আট তলার বোতম টিপে দিতেই লিফটটা বন্ধ হয়ে যায়। সাবরিহা এতো সময় এক্সাইটেড থাকলেও এখন বুকের ভেতর ধুকপুকানি যেনো একটু একটু বেড়েই চলছে! আচ্ছা মুসাওয়াদ কি সাবরিহার ধুকপুকানি শুনতে পাচ্ছে? শুনলে লোকটা কি বলবে? আজকে সাবরিহা ঢ়েমন হ্যাংলার মতো কাজ করেছে নিশ্চয়ই তাকে গায়ে পড়া বেহায়া মেয়ে লোক ভেবে বসে আছে মুসাওয়াদ কিন্তু মুসাওয়াদকে এতোটা কাছে দেখে নিজেকে সামলাতে পারে নি। এখন মুসাওয়াদ যা ভাবার ভাবুক। সাবরিহা এতে মন খারাপ করবে না। এর মধ্যে লিফট এসে থামলো গন্তব্যস্থলে! সাবরিহাও নিজের ভাবনা ভঙ্গুর করলো। মুসাওয়াদ ধীর ভঙ্গিতে হেটো এসে ৮. (খ) নম্বর ফ্লাটের দরজার সামনে দাঁড়ালো। সাবরিহা খোলা দরজার দিকে একবার তাকায় তো একবার মুসাওয়াদের দিকে! এতো সাবলীল ভাবে কে কোলে তুলে নিয়ে এতো সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? মুসাওয়াদের কি হাত ব্যাথা করছে না? তাহলে —! এতো স্বাভাবিক কিভাবে? সাবরিহার ওজন পঞ্চাশ কেজি অথচ মুসাওয়াদকে দেখে মনে হচ্ছে সে পাঁচ কেজির একটা তুলোর বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! কতটা সুক্ষ্ম, শান্ত, শক্ত চোয়ালের মুখ সামনের দিকে তাকিয়ে আছে! এই সময়ই আমেনা বেগম এলেন তার হাতে একটা বড় কাঁচের প্লেট, তাতে সাজানো ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের মিষ্টিয় অন্যহাতে এক গ্লাস দুধ। আমেনা বেগম এসেই বলে—– ‘ কায়ান ওকে এখন নামা! এখন খাবে দোয়া করবো তারপর আবারো তুলে তোর ঘরে নিয়ে যাবি!’

নিজেকে যতই স্বাভাবিক করতে চাইছে মুসাওয়াদ হচ্ছে না। এই মেয়েকে ঘরে? কিছু উল্টাপাল্টা করে বসলে? মেয়েটা শুধু সুযোগ খুঁজছে! অদ্ভুত সব নিয়ম! মন যে কি চায়! একটা কবুলে কত কিছু বদলে দিলো সাথে তার মনও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। কখন কি চাইছে কিছুই বুঝতে পারছে না সে; সাথে লাগামও টানতে পারছে না। বিরক্তিতে শ্বাস ফেললো মুসাওয়াদ ততক্ষণে আমেনা বেগম সাবরিহাকে মিষ্টি খাইয়ে দুধ খায়িয়ে দিলো। তারপর মাথায় হাত রেখে দোয়া করে মুসাওয়াদ কে উদ্দেশ করে বলে—– ‘ ওকে তোর ঘরে নিয়ে যা, ভীষণ ক্লান্ত মেয়েটা আর শোন— কিছু প্রয়োজন হলে তাকিস। আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। দ্রুত বাসায় আয়!’

মায়ের মুখে দিকে তাকালো মুসাওয়াদ। এখানে তাকে সমুদ্রের মাঝে ফেলে মা বলছে সে ক্লান্ত! অদ্ভুত সব কিছু! ঢোক গিলে ধীরে কোলে তুলে নিলো। সাবরিহার তো মজাই লাগছে! এতো সুখ তার কপালে ছিলো? এতো সুখ এতো আনন্দ কপালে সইবে তো? তার তো কপালে শান্তি সয় না! ভেবেই মন খারাপ হয়ে এলো মেয়েটার। রুমে এসে নামাতেই সাবরিহার ভাবনা ভাঙ্গলো। চোখ ঘুরিয়ে সারা রুমে চোখ বুলালো। এলটা সাজানো ঘোছানো রুম। সাবরিহার রুমটা পছন্দ হয়েছে। ভীষণ পছন্দ হয়েছে। মুসাওয়াদ সাবরিহাকে কোল থেকে নামিয়েই দ্রুত কাবার্ড থেকে টিশার্ট আর টাউজার নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেছে। একটা লম্বা শাওয়ার নেয়া দরকার। তারপর বাকি সব। সাবরিহা সারা রুমে চোখ বুলিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ালো। তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। এই ঘর এখন তার ঘর! আর এই ঘরের মালিকও এখন তার। তিনবছরের ভালোবাসা পূর্ণ হয়ে এলো তার জীবনে! তার ধৈর্যের ফল মিষ্টি করে দিয়েছে তার সৃষ্টিকর্তা। তার কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করে সাবরিহা। তারপর ধীরে মাথার ঘোমটা খুললো। তবে এতো ক্লিপ লাগানোর কারণে হাত ব্যাথা হয়ে আসছে৷ সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয় নি। খালি পেটে মিষ্টি আর দুধ খাওয়ায় শরীর গুলাচ্ছে। ভাবতে ভাবতেই আসলেই মাথা চক্কর দিয়ে পেটের ভেতর মোচর দিয়ে শরীর গুলিয়ে উঠলো। তখনই মুসাওয়ার কেবল ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়েছে। তাতে পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমে গলগলিয়ে বমি করলো মেয়েটা। প্রথমে থমকালেও মুসাওয়াদ দ্রুত সাবরিহাকে ধরলো। সাবরিহাকে ধরতেই শরীর ছেড়ে দিলো মেয়েটা। নিভু নিভু চোখে তাকিয়ে ধীরে শুধু বলে—– ‘ ভীষণ খারাপ লাগছে কায়ান!’

মায়া এলো মেয়েটার প্রতি ধীরে আরেকটু নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো মুসাওয়াদ। তারপর পানি নিয়ে মুখ ধুয়ে মুখে পানি দিয়ে বললো—– ‘ কুলকুচি করে ফেলে দিন।’

পরপর তিনচার বার করার পর মুসাওয়াদ কিছু না বলেই কোলে তুলে সরাসরি বিছানায় এনে রাখলো সাবরিহাকে। সাবরিহা এখনো নিভু নিভু চোখে তাকিয়ে আছে। মুসাওয়াদ শান্ত চোখে তাকিয়ে বলে—– ‘ খান নি কিছু?’

জবাব এলো না। সাবরিহা মুখ নাড়িয়ে কিছু একটা বললো তবে শোনা গেলো না। মুসাওয়াদ দীর্ঘশ্বাস ফেলল তারপর ধীরে দরজা ঠেলে বেড়িয়ে এসে মায়ের রুমের দিকে তাকালো। রুমের দরজা বন্ধ হয়তো ঘুমিয়ে গেছে তাই আর মাকে ডিস্টার্ব না করে সরাসরি কিচেনে চলে আসে তাটপর ফ্রীজ থেকে খাবার বের করে তা মাইক্রোওয়েভে গরম করে তা প্লেটে তুলে নিয়ে রুমের দিকে যায়। ধীরে রুমে ঢুকে বিছানার দিকে তাকালো। সাবরিহা চোখ বন্ধ করে আছে; ঘুমিয়েছে কিনা ঠিক বোঝা গেলো না তাই এগিয়ে এসে খাবারটা বেড টেবিলে রেখে ধরে পাশে বসে আলতো স্বরে বলে—– ‘ সাবরিহা? এই সাবরিহা, খাবার গরম করেছি উঠুন খেয়ে নেবেন!’

জবাব এলো না। সে ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে সময় লাগলো না। তবে এভাবে রেখে দিলে পরে শরীর আবার খারাপ লাগবে তাই ভেবে ধীরে ওর হাত ঝাঁকিয়ে আবার ডাকে —– ‘ এই সাবরিহা?’

‘ খাবো না আম্মু! ডেকো না!’

থমকালো মুসাওয়াদ তারপর মুখ টিপে হেসে ফেলে তারপর গম্ভীর গলায় বলে—– ‘ আমি আপনার মা নই সাবরিহা! উঠুন, আমি খায়িয়ে দিচ্ছি!’

তড়াক করে চোখ মেলে তাকায়। সাথে সাথে নিজের বোকামি বুঝতে লজ্জা পেয়ে বসে মেয়েটা। মুসাওয়াদ আলতো হেসে সাবরিহাকে আলতো হাতে উঠিয়ে পিঠের পিছনে বালিশ দিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসিয়ে দেয় তারপর ঘুরে বিপরীতে পাশের বেড ড্রয়ার থেকে দুটো ঔষধের পাতা তুলে নিয়ে আসে তারপর পানি এনে প্রথমে একটা ট্যাবলেট খুলে দিতেই সাবরিহা অবাক চোখে তাকায় তা দেখে মুসাওয়াদ সাবলীল ভাবে বলে—–

‘ এটা বমির ঔষধ; খেয়ে নিন! এখন এটা খেলে ত্রিশ মিনিট পর খাবার খেতে আর সমস্যা হবে না।!’

সাবরিহা অবাক মুখেই ঔষধটা তুলে নিয়ে মুখে দিতেই মুসাওয়াদ একটা ওয়াটার বোতল দেয় সেখান থেকে পানি খেয়ে নেয় সাবরিহা। তারপর আবারো মুসাওয়াদের দিকে তাকাতেই মুসাওয়াদ বলে—– ‘ আই থিংক আপনার এখন চেইঞ্জ করা উচিত তাহলে একটু ফ্রেশ লাগবে! আমি হেল্প করবো?’

ঢোক গিললো সাবরিহা তারপর ধীরে মিনমিন করে বলে—– ‘ লাগবে না। আমি পারবো! ‘

কথাটা বলেই বিছানা থেকে উঠতে চাইলো তবে সাথে সাথেই আবারো মাথা চক্কর দিয়ে উঠতেই বিছানায় বসে পড়ে। মুসাওয়াদ দেখলো তারপর ধীরে সাবরিহার সামনে বসে বলে—– ‘ আমি ডিফেন্স অফিসার সাবরিহা। সব চিকিৎসা আমরা আয়ত্তে না আনলেও মিশনে টিকে থাকার জন্য কিছু কিছু চিকিৎসা মেন্ডেটরি শেখা লাগে! তাই একটু হলেও সামনের মানুষটার পরিস্থিতি বুঝতে পারি! আম্মু আর আপনার মা আপনাকে ভীষণ ভরসা করে আমার হাতে তুলে দিয়েছে! সাথে আপনার কথাবার্তা আমার ভালো লেগেছে; যদিও কিছুটা নির্লজ্জের মতো আবদার করেছেন; তবে আমি কিছু মনে করিনি। এখন আমাকে হেল্প করতে দিন!’

কথাটা বলেই শ্বাস ফেলে হাত উঠিয়ে সাবরিহার গলার ভারী নেকলেসটা খুলে দিলো মুসাওয়াদ। সাবরিহা এখনো বোকা ও অবাক বিষ্ময় চোখ মুখ নিয়ে তাকিয়ে আছে মুসাওয়াদের দিকে! সাথে মনের মাঝে কেউ একজন সাবরিহাকে আনন্দিত গলায় বললো —– ‘ এইটা তোর ছোট বেলার স্বপ্নে দেখা ও গল্প শোনা – তথাকথিত রুপকথার গল্পর পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় চড়ে আসা রাজকুমার না হলেও সমুদ্ররাজ্য রাজ করা রাজকুমার!’


চলবে!
রিচেইক দেইনি!