তৃষ্ণার্ত প্রেম পর্ব-০৬

0
6
তৃষ্ণার্ত প্রেম
বাংলা রোমান্টিক গল্প | তৃষ্ণার্ত প্রেম

#তৃষ্ণার্ত_প্রেম |৬|
#শার্লিন_হাসান

তৃতীয় বারের মতো, একহাতে শার্মিলার কোমড় জড়িয়ে ধরে তাইজ্যিন। অন্য হাত দিয়ে নিজের কলার থেকে শার্মিলার হাত সরিয়ে, মাথার পেছনে চুলে হাত ডুবিয়ে দেয় তাইজ্যিন। পুনরায় অধর জোড়ায় নিজের অধরের বিচরণ ঘটায় তাইজ্যিন। শার্মিলা রেগে আগুন! তাইজ্যিন এতেই জেনো মজা পাচ্ছে বেশ।

শার্মিলা তাইজ্যিনের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দূরে সরে দাঁড়ায়। তাইজ্যিন পুনরায় কন্ঠে গম্ভীরতা টেনে বলে, “নেক্সট টাইম থেকে তুই তোকারী হলে তোমার শাস্তি হবে শার্মিলা।”

“ঠিক আছে দেখা যাবে।”

বেশ শান্ত স্বরে কথাটা বলে শার্মিলা। তুই তোকারী একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে ব্যপারটা তার ও পছন্দ না। তাইজ্যিনের সাথে নরমাল বিহেভিয়ার করতে পারছে না সে। বার-বার রুড বিহেভ চলে আসছে। মানুষ যার প্রতি তীব্র ক্ষোভ আর বিরক্ত হয় তার সাথে ভালো কথা কিছুতেই আসে না। মনে হয় আপনাআপনি রুড বিহেভ চলে আসে।

রাত দশটা বেজে পয়তাল্লিশ মিনিট। শার্মিলা রেডি হয়ে তাইজ্যিনের ফোন হাতে নেয়। এটা রুমেই রাখা থাকে বেশী সময়। যার কারণে শার্মিলার বেশ সুবিধা হয়েছে। ফোন হাতে নিয়ে রাহাতকে ম্যাসেজ সেন্ড করে। ম্যাসেজ ডিলিট ফর মি দিয়ে দে শার্মিলা। প্রথমে ওয়াইফাই অফ করে দেয় যাতে সিসিটিভি ফুটেজ বন্ধ হয়ে যায়। ইলেকট্রিসিটির রুমে গিয়ে গার্ডেনের আর লিভিং রুমের মেইন সুইচ অফ করে বেশ সাবধানে। উপর ইলেকট্রিসিটি রয়েছে। তাইজ্যিন তার সিক্রেট রুমে রয়েছে। কখন বের হবে শার্মিলা কিছুই জানে না। বেশ রিস্ক নিয়ে কাজ করছে সে। ইলেক্ট্রিসিটি যাওয়ায় গার্ডেন অন্ধকার হয়ে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শার্মিলা তড়িঘড়ি দেওয়াল টপকে বের হয় বাড়ী থেকে। দেওয়াল টপাকানোর অভ্যাস তার আছে।
এছাড়া গেটের সামনে গার্ড রয়েছে। এছাড়া গেট তালা লাগিয়ে ফেলা হয়েছে।

রাস্তায় এসে তড়িঘড়ি হেঁটে সামনে এসে গাড়ীতে বসে পড়ে। পাশে ড্রাইভিং সীটে সৌরভ বসা। শার্মিলাকে দেখে সৌরভ শুধায়, “শার্মিলা ম্যাম তাইজ্যিন চৌক থাকতে এতো কষ্ট করা লাগে?”

“মুখ খুলবে না সে। এমনিতে যদি জানে আমি সিআইডি তাহলে ওই চার দেওয়ালে মে’রে গুম করে দিবে।”

“হয়ত জানে আপনার পরিচয়!”

শিওর না আমি।”

শার্মিলা ম্যাপ দেখছে। তাইজ্যিনের সেই পুরোনো জায়গাটা থেকে কিছুটা দূরে গাড়ী থামায় সৌরভ। দু’জনে বেশ অবাক হয়। ভীষণ নির্জন একটা জায়গা। শহর থেকে অনেকটা সাইডে, রাতের বেলায় জেনো আরো নির্জন। শার্মিলা ব্রু জোড়া প্রসারিত করে শুধায়, “ওকে এখানে রাখার কী আছে? বাড়ীতেও রাখতে পারত।”

“বেয় চালাক চৌধুরী।”

“এমনিতেও মাফিয়াদের বাড়ীতে নিশ্চয়ই কোন পুলিশ যাবে না। আচ্ছা চলো লোকেশনে চলে এসেছি এবার সামনে এগোই।”

“ম্যাম আমরা এখানের তেমন কিছুই চিনি না। লোকেশনে কী আছে তাও জানি না। যদি সিকিউরিটি বেশ এলার্ট থাকে তাহলে কীভাবে ওই লিটল প্রিন্সের লোক ‘রাহাত’ ওর কাছে পৌছাবো?”

“ওইটা ভাবা আছে আমার। আমি ওই জায়গাটা ভালো করে সার্চ করেছি।”

“দূর থেকে দূরবীক্ষণ দিয়ে দেখা দরকার ছিলো।”

“ওইটাও দেখা শেষ।”

“কীভাবে?”

“ইন্সপেক্টর আরোশ খান উনি এই জায়গাটার খোঁজ নিয়েছে। জায়গাটা কয়েক একর জমির মাঝে চারদিকে উঁচু দেওয়াল ভেতরে প্রবেশ করার জন্য গেট এছাড়া কিছুই নেই। তবে দেওয়ালের উপর পেরেক সাথে ভাঙা কাচ ও দেওয়া আছে। ভেতরে কয়েকটা দালান আছে সেগুলো ভেতর কেমন জানা নেই তবে বাইরে থেকে রং জ্বলে, পুরোন লাগে যাতে সহজে কেউ সন্দেহ না করে। আই হোপ ভেতরে তেমন গার্ড থাকবে না কারণ তারা জানে এখানে তেমন লোক আসবে না।”

“রাহাতকে তুলে আনাটা জরুরি তবে অসম্ভব একটা কাজ।”

“মা’লটা বাইরে পার্টিতে যায় না?”

“এখন নিশ্চয়ই যাবে না কারণ তাকে এলার্ট দেওয়া হয়েছে।”

“হুম!”

শার সৌরভ গাড়ীর সামনে এসে দাঁড়াতে শার্মিলা পেছনে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে নেয়। একটা স্লিভলেস জামা পরিহিত সে। বাইরে এসে নিজের জুতোর দিকে তাকায়। সৌরভ ও তার দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকিয়ে শুধায়, “জুতোয় কী হয়েছে ম্যাম?”

“আরে রিলভারের কিছু অংশ জুতোয় আছে।”

“ওহ্!”

শার্মিলা সৌরভকে বলে, “তুমি এখানে থাকো সৌরভ আমি ভেতরে যাচ্ছি।”

“কিন্তু ম্যাম…

” তুমি চাইলে আমার সাথে দেওয়াল অব্দি আসতে পারো তবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার দরকার নেই। আমি যখন গর্ত দিয়ে দালানের পেছনে ঢুকে যাব তুমি তোমার সুরক্ষার জন্য দূরে চলে আসবে।”

“আচ্ছা।”

“আর কলে এলার্ট থেকো। আমি তোমাকে জানাব সব।”

“ম্যাম রাহাতের রুম অব্দি প্রবেশ করবেন কীভাবে?”

“শোন আমি সুন্দরী এতে সন্দেহ আছে?”

“না।”
অকপটে জবাব দেয় সৌরভ। শার্মিলা তখন মুখ বাকিয়ে বলে, “বাকীটা আমার হাতে ছেড়ে দাও সৌরভ।”

কথাটা শেষ করে শার্মিলা গর্ত দিয়ে দেয়ালের ওপারে যায়। জামা ঝেড়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পা বাড়াতে নিলে পেটে আঘাত লাগে। শার্মিলা ছিটকে কিছুটা দূরে আসে। কেটে গেছে বোধহয় কিন্তু এসব দেখার সময় আপাতত তার নেই। দালানের গেট খোলা। তেমন কাউকে চোখে পরেনি তার। রাহাতের লোকেশন আগে থেকে ট্র্যাক করা আছে সেজন্য তার রুমটা খুঁজতে বেশী বেগ পোহাতে হয়নি শার্মিলার। করিডরে গুটি কয়েক লোকের আসা যাওয়া। শার্মিলা বেশ সাবধানে রুমে প্রবেশ করে।

উদোম গায়ে সোফায় বসা রাহাত। পেশিবহুল হাতের ূিলে শার্মিলার নজর যেতে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে বিড়বিড় করে বলে, “শ্লা জিম করে বোধহয়।”

শার্মিলাকে দেখে ল্যাপটপ ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় রাহাত। পা থেকে মাথা অব্দি স্ক্যান করে শার্মিলাকে। শার্মিলা কিছুটা এগিয়ে এসে রাহাতকে বলে, “রাহাত ডার্লিং ম্যাসেজ পেয়েছ তো?”
“হ্যাঁ! তুমি তাহলে আজকের পার্টনার।”

“হ্যাঁ নিশ্চয়ই! তুমি এসেছ বেশ কয়েকদিন। নিশ্চয়ই পার্টি করতে ইচ্ছে করে?”

“ইয়াহ্! তুমি এতো কিছু জানো কীভাবে?”

“আরে সেসব ছাড়ো! তোমার বস আমায় পাঠিয়েছে। তোমায় নিয়ে একটু ফূর্তি করতে।”
কিছুটা ভঙ্গিমা করে বলে শার্মিলা। তখন রাহাত ইতস্ত বোধ করে বলে,

“এখানে কীভাবে?”

“চলো ক্লাবে যাই।”

“হ্যাঁ তবে….

” শোন ডার্লিং আমি জেসি, এই যে তোমার মতো যত মা’ল বিডি আসে না? মাফিয়াদের হেফাজতে তাঁদের সময় দেওয়া আমার কাজ।”

“গুড।”

“যাওয়া যাক?”

শার্মিলার কথায় রাহাত শার্ট পড়ে নেয়। সে বেশ খুশি। এমনিতে শার্মিলাকে দেখেই চোখে জেনো সরষে ফুল দেখেছে। রাহাত শার্মিলার দিকে পুনরায় লালসার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। এরকম একটা মেয়েকে প্রতিদিন নিজের বেডে দেখলে মন্দ হতো না। মেয়েটার কথাবার্তা,ড্রেসআপ অনুযায়ী এই পেশাটা তার সাথেই যায়। রাহাত নিজের ভাবনা বিচ্ছেদ ঘটিয়ে শার্মিলার কোমড় কিছুটা জড়িয়ে ধরে। শার্মিলা নিজেকে ছাড়িয়ে শুধায়, “এখানে না ডার্লিং যা হবে ক্লাবে।”

রাহাতের জেনো তর সইছে না। শার্মিলার সাথেই বেড়িয়ে পড়ে। এখানে তেমন কেউ থাকেনা ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে শার্মিলা। রাহাতের সাথে বাইরে বেড়িয়ে গেটের কাছে আসে। ভেতর থেকে লাগানো গেট রাহাত নিজে খুলে নেয়। দু’জন মিলে বেড়িয়ে পড়ে। রাহাত কিছুটা সামনে শার্মিলা একটু পেছনে নিজের জুতো থেকে রিলভারের কিছু অংশ বের করে, ূ্যান চুলের ভেতর থেকে কিছু অংশ বের করে। এভাবে হাঁটতে, হাঁটতে রিলভার বানিয়ে নেয়। তাদের গাড়ীর সামনে আসতে শার্মিলা রাহাতকে বলে, “এটা আমাদের গাড়ী তোমার বস পাঠিয়েছে সাথে ড্রাইভার ও দিয়েছে।”

রাহাত খুশি হয়ে পেছনে বসে পড়ে পাশের সীটে শার্মিলা ও বসে পড়ে। সৌরভ গাড়ী স্টার্ট দিতে শার্মিলা কিছুটা ঝুঁকে নিচ থেকে ক্লোরোফোমের বোতলটা নিয়ে সেটা রাহাতের চোখে,মুখে স্প্রে করে। সাথে,সাথে রাহাত সেন্স লেস হয়ে পড়ে যায়।

গাড়ী এসে থামে একটা ছোট্ট বাড়ীর সামনে। ভেতর থেকে দু’জন লোক এসে রাহাতকে ধরে ততক্ষণে তার জ্ঞান ফিরে গেছে। রাহাতের বুঝতে বাকী নেই তাকে যে ফাঁদে ফেলা হয়েছে। মাথায় রিলভার ঠেকিয়ে ভেতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। একটা রুমে তাকে চেয়ারে বসানোর আদেশ দেয় শার্মিলা। শার্মিলার কথায় রাহাত চোখ গরম করে তাকালে শার্মিলা ফ্লায়িং কিস দিয়ে বলে, “ডার্লিং আজকে ফূর্তি হবে তো!”

হাতে অস্ত্র নেই সেজন্য রাহাত নিজের হাতের বড় নখ ূিয়েই শার্মিলার পিঠে আঁচড় কাটে। সাথে,সাথে তার গালে থাপ্পড় পড়ে যায়। সৌরভ রক্তচক্ষু করে তাকিয়ে আছে রাহাতের দিকে। শার্মিলা তাকে চুপ থাকতে বলে।

“রাতে বিশেষ আপ্পায়ন হিসাবে লোহা গরম করে হাতে পায়ে ছেঁকা দিবে। আগামী কালকে আমি এসে বাকীটা দেখব।”

শার্মিলা আরেকটা গাড়ী নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। পেটে,পিঠে জ্বলছে সাথে যন্ত্রণা করছে। চোখমুখ খিঁচে ড্রাইভ করে নির্দিষ্ট জায়গায় এসে গাড়ী থামিয়ে পেছনে চলে যায়। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি ড্রাইভিং সীটে বসে। শার্মিলা পেছনে বসে ড্রেস চেঞ্জ করে নেয়। তাইজ্যিনের বাড়ীর কাছাকাছি আসতে নেমে বিদায় দেয় সে। রাত একটার কাছাকাছি। শার্মিলা দেওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। হাত ঘড়িতে ক্লিক করতে পুনরায় ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়। তড়িঘড়ি ভেতরে প্রবেশ করে সে।

দুই দুইবার ইলেক্ট্রিসিটি গিয়েছে এতে কয়েকজন গার্ডস পুনরায় মেইন সুইচের রুমটায় যায়। সেখানে চেক দিকে একটা সুইচে আওয়ারগ্লাস রাখা আছে। খুব একটা খুঁটিয়ে দেখেনি গার্ডরা। তার ঠিক করতে পুনরায় ইলেক্ট্রিসিটি চলে আসে।

শার্মিলা ড্রেস চেঞ্জ করে একটা শাড়ী হাতে নেয়। তাইজ্যিনের এনে দেওয়া শাড়ী সবগুলো একই রকম শুধু কালার ভিন্ন। মেরুন কালারের জর্জেট পাতলা শাড়ী কায়ায় জড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়ায়। শাড়ী সরিয়ে নিজের উদরে নজর যেতে আঁতকে উঠে সে। কেটে গেছে খানিকটা। আয়নায় পিঠের দিকে তাকাতে সেখানে পাঁচ আঙুলের আঁচড় চোখে আসে।

তাইজ্যিন বেশ ক্লান্তি নিয়ে রুমে প্রবেশ করে। শার্মিলাকে শাড়ী পরিহিতা অবস্থায় দেখে চোখে জেনো মাদকতা ভিড় জমায়। কেমন জেনো নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে সে। শার্মিলার দিকে একনজর তাকায়। নজরে আসে গলাটা খালি লকেটটা এখন অবৃদি পড়ানো হয়নি। তবে হাতে ব্রেসলেট টা রয়েছে। তাইজ্যিনকে দেখে শার্মিলা মুচকি হেঁসে ঘুরে দাঁড়ায়। তাইজ্যিন মুচকি হাসির বিনিময়ে নিজেও মুচকি হেঁসে ড্রয়ার থেকে বক্সটা বের করে। চেইনটা হাতে নিয়ে শার্মিলার দিকে এগিয়ে যায়। আয়নার সামনে দুজন দাঁড়িয়ে। তাইজ্যিন শার্মিলাকে চেইন টা পড়িয়ে দেয়। নজরে আসে পিঠে লাল হয়ে আছে। তাইজ্যিন আঁচড় কাটা জায়গায় হাত রাখতে শার্মিলা কেঁপে উঠে। কিছুটা দূরে সরে গিয়ে বলে, “জ্বলছে।”

“কী হয়েছে?”

“আরে আমার এলার্জি উপদ্রব হয়েছিলো নখ লেগে এমন হয়েছে।”

তাইজ্যিন কিছু বলেনা। শার্মিলাকে খাটে বসার জন্য আদেশ দেয়। শার্মিলা ও চুপচাপ খাটে বসে পড়ে। তাইজ্যিন একটা মলম এনে পিঠে লাগিয়ে দেয় বেশ যন সহকারে। শার্মিলা পুনরায় বলে, “সেবলন আছে?”

“কেন?”

“পেটে কেটে গেছে খানিকটা।”

অলপটে বলে দেয় শার্মিলা। তাইজ্যিন সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকাতে শার্মিলা আমতাআমতা করে বলে, “আরে কীভাবে জেনো কেটে গেছে টের পাইনি।”

“মিথ্যে কথা।”

“তাহলে সত্যিটা তাহলে তুমি বলো?”

“কোথায় ছিলে এতোক্ষণ?”

“নিচে টিভি দেখছিলাম।”

“মিথ্যে কথা।”

“তো তুমি সত্যিটা বলো?”

“বলব সময় হলে। তবে হ্যাঁ তোমার শাস্তি জমা হচ্ছে। সময় মতো পাবা!”

“খিদে পেয়েছে আমার।”

প্রসঙ্গ পাল্টাতে চায় শার্মিলা। তাইজ্যিন চুপচাপ মেঝেতে শার্মিলার হাঁটুর কাছে বসে। অকপটে বলে, “শাড়ী তোলো ঔষধ লাগাব।”

“আমি লাগাতে পারব।”

“আমার ইচ্ছের উপর কারোর মত আমার পছন্দ না।”

শার্মিলা চুপচাপ শাড়ী উঁচু করে। তাইজ্যিন কেটে যাওয়া জায়গায় মলম লাগিয়ে দেয়। উঠে দাঁড়ায় পুনরায়। শার্মিলার দিকে তাকিয়ে বলে, “আমার খেয়াল ছিলো না ডিনারের কথা। তুমি বসো আমি চসছি।”

তাইজ্যিন বাইরে যেতে শার্মিলা হাফ ছেড়ে বাঁচে। বেশী জেরা করেনি তাইজ্যিন এখন যা চাইবে তাই হবে। আজকে যে কাজটা করেছে ধরা খাওয়ার চান্স অনেক বেশী। তাইজ্যিন নিশ্চয়ই জেনে যাবে ঘটনা। এতো চিন্তার মাঝে তাইজ্যিনের কেয়ার গুলো কেনো জানি হৃদয় কোমলতার সৃষ্টি করছে।

“ও খুব খারাপ না। ভীষণ কেয়ারিং তবে এটাও একটা ফাঁদ।”

#চলবে