#তৃষ্ণা_তব_নাহি_মেটে
#পর্ব৩
#রাউফন
জেনা (ব্যভিচার) ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত জঘন্য এবং নিষিদ্ধ কাজ। এটি একটি গুরুতর পাপ এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা, অসততা ও অশান্তি সৃষ্টি করে। কোরআন ও হাদিসে জেনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এবং এর ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোরআনে জেনার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন:
“তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিঃসন্দেহে এটি অশ্লীল কাজ এবং একেবারে খারাপ পথ।”
(সুরা আল-ইসরা, আয়াত: ৩২)
অর্থাৎ এখানে শুধু জেনা করা নয়, এর ধারেকাছে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এর দিকে ধাবিত হওয়ার প্রতিটি মাধ্যমই পাপের পথে নিয়ে যায়।
জুহাইর দীর্ঘদিনের একাকীত্ব কাটানোর এবং সমকালীন প্রলোভন থেকে নিজেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ইচ্ছে প্রথমে চুপ করে থাকে, তার মুখে কোনো কথা ফুটতে চায় না। কিন্তু চোখের চাহনিতে একরকম অসীম আস্থা ও সম্মতি ছিল। দীর্ঘশ্বাস ফেলেই সে মাথা নত করে সম্মতি জানায়।
জুহাইরের জন্য পরিস্থিতি সহজ ছিল না। তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় সাত বছর ধরে ছিন্ন। জুহাইরের চাচা-চাচি তার অভিভাবক ছিলেন, কিন্তু হুট করেই সে তাদের ছেড়ে বেরিয়ে আসে ঐ বাড়ি থেকে। তবুও আজ তাদের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
জুহাইর নিজের মোবাইল হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ইতস্তত করল। মনে মনে ভাবল, “তারা কি এখনো আমাকে মেনে নেবে? সাত বছর তো কম সময় নয়। কিন্তু ইচ্ছের জন্য, আমার জন্য, আমাকে তো চেষ্টা করতেই হবে।”
অবশেষে সে ফোন ঘোরাল। কয়েকবার রিং হওয়ার পর ওপাশ থেকে পরিচিত এক গলা ভেসে এলো। ওপাশ থেকে হ্যালো বলতেই জুহাইর ও কথা বলল।
জুহাইরের চাচি আনন্দমিশ্রিত গলায় বললো,
“জুহাইর! এতদিন পর ফোন করলি! কেমন আছিস বাবা? কোথায় ছিলি এতদিন? সেই যে রাগ করে বাড়ি ছাড়লি আর কোনো খোঁজ নেই। তোর চাচা কত খুঁজেছে। তোর চাচা না হয় একটু রেগে শাসন করেছিলো তা বলে তুই এভাবে বাড়ি ছাড়বি? ছাড়লি তো ছাড়লি একেবারে সাত বছর পর মনে পড়লো?”
জুহাইর হালকা কণ্ঠে বললো,
“ছোটো মা, আমি ঠিক আছি। অনেক কিছু বলতে হবে। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তোমার পরামর্শ নিতে চাই।”
“বল বাবা, কি বলবি? তুই জানিস তোর জন্য আমার এই বাড়ির দরজা সবসময় খোলা।”
জুহাইর সংকোচের সঙ্গে বলে,
“ছোটো মা, আমি বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তোমার অনুমতি ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। তুমি কি এতে সম্মতি দেবে?”
ফোনের ওপাশে কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা। তারপর চাচির উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ ভেসে এলো।
“এতদিন পরে এমন সুখবর দিচ্ছিস! আমি তো ভেবেছিলাম, তুই আর কখনোই এই বাড়িতে ফিরবি না, আমাদের ভুলেই গেছিস। তোর অনুমতি চাইতে হবে না, বাবা। তুই যে ভালো সিদ্ধান্ত নিচ্ছিস, সেটাই আমার কাছে অনেক বড়ো বাবা। বউ নিয়ে এই বাড়িতে ফিরে আয় বাবা। তোদের জন্য সব সময় তোর বাড়ির দরজা খোলা আছে। তুই ফিরে আয়।”
জুহাইরের চোখ ভিজে ওঠে। কোনো মতে নিজেকে সামলে বলে,
“ধন্যবাদ ছোটো মা। আমি ইচ্ছেকে নিয়ে ফিরব মানে তোমাদের পুত্রবধূর নাম ইচ্ছে। কিন্তু তার আগে কিছু সময় দাও আমাকে। কেবল অনুমতি প্রয়োজন ছিলো, অনুমতি পেয়েছি ব্যস এটুকুই।”
“তুই যখন চাইবি, তখনই চলে আসিস। আর শোন, তোর জন্য তোর চাচা খুবই কষ্ট পান। তোর বিয়ের কথা তাকে জানালে সে খুশি হবে।”
জুহাইর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফোন রাখে। ওর ফোনের ম্যাসেজ টা অপেন করলো। পড়লো ম্যাসেজ টা। যেখানে লেখা আছে, জুহাইর সিকান্দার, “জুহাইর সিকান্দার, ইউ হ্যাভ টার্নড টুয়েন্টি-ফাইভ ইয়ার্স ওল্ড টুডে, অ্যান্ড উইথ দ্যাট, ইউ নাউ হোল্ড দ্য রাইটস টু অল দ্য ওয়েলথ। ইউ মে ইউজ ইট অ্যাজ ইউ উইশ, বাট নেভার ফরগেট ইয়োর রুটস অ্যান্ড দ্য ভ্যালুজ ইউ ওয়্যার টট। অলওয়েজ মেইনটেইন ইয়োর হিউমিলিটি।”
ম্যাসেজটা ওর চাচা ওকে পাঠিয়েছিলো। শিপার ঐ রূপ দেখার পর যখন সে বৃষ্টি তে ভিজছিলো ঠিক সে সময় ওর ফোনে ম্যাসেজ এসেছিলো। ও ভীষন সাধারণ সেটা জেনেই যেন ওকে কেউ ভালোবাসে। তাই জুহাইর নিজের আসল সত্তা সবার কাছে প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। ওর বাপ দাদার অঢেল সয় সম্পত্তি রয়েছে৷ ওর মা ওর জন্মের সময় মা-রা যায়, এরপর বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ার পর বাবাও বেশি দিন বাঁচে নি৷ ওর বাবার ধারণা ছিলো অতিরিক্ত স্বাধীনতা আর টাকা পয়সা পেলে বিগড়ে যাবে। মানুষের মতো মানুষ হবে তবেই যখন সে কষ্ট করবে জীবনে। তাই তার বাবা মৃত্যুর পূর্বে এমন ভাবে দলিল করে গেলেন যে সে একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া সে নিজের জন্য রাখা সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো রকম বিলাসিতা ছাড়ায় যে বড়ো হবে। হয়েছেও তাই।
ফোন রাখার পর জুহাইর গভীর নিশ্বাস ফেলে। সে ইচ্ছের দিকে তাকায়।
“তোমার জন্য এখন আমার পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তোলার সুযোগ পেলাম। তোমাকে নিয়ে ওখানে ফিরব, তবে এখনই নয়। আমি যেমন তেমন ভাবে মানতে কি তোমার সমস্যা আছে ইচ্ছে? মনে রেখো আমি খুব সাধারণ একটা ছেলে, একটা ফার্মেসীতে পার্ট টাইম জব করি। খুবই সামান্য আয় আমার। মানিয়ে নিতে পারবে?”
ইচ্ছে একবার তাকায়, আবার মুখ নিচু করে। তার গলায় সামান্য কাঁপন। ও জীবনে অনেক স্ট্রাগল করে বড়ো হয়েছে। এসবে ওর মাথা ব্যথা নেই। ও খুব ভালো ভাবেই পারবে সবটা মানিয়ে নিতে।
“আপনি কি সত্যিই সবকিছু জেনে শুনে আমাকে বিয়ে করতে চাইছেন? আমি তো যোগ্য নয় আপনার। দেখুন, আপনি ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন, পাছে আমাকে হয়তো বোঝা মনে হতে পারে।”
“তুমি কখনো বোঝা হতে পারো না। তুমিই হইতো আমার জীবনের নতুন সূর্যের আলো। যা কিছু হারিয়েছি, তা আবার ফিরে পেতে চাই। তুমি আমায় সেই সাহস দাও।”
ইচ্ছে মৃদু হেসে জবাব দেয়,“আমার সৃষ্টিকর্তার যদি এমনি ইচ্ছে থাকে তবে আমি অবশ্যই পারবো সবটা মানিয়ে নিতে।”
জুহাইর অপলক তাকিয়ে থাকে। ওর প্রিয় দুই বন্ধু প্রান্ত আর মাহিনকে কল করে কাজী অফিসে আসতে বলে। ওরা দুজন রিকশা করে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নিলো। ওর বন্ধুরাও অবাক হয়ে যায়, এতোদিন সম্পর্ক ছিলো শিপার সঙ্গে, হঠাৎই কি এমন হলো যে জুহাইর অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করলো। সঙ্গে ইচ্ছে থাকায় এই মূহুর্তে কিছুই জিজ্ঞেস করার ফুরসত পেলো না দুই বন্ধু। সে যে মুহূর্তে ফেলে আসা অন্ধকারের মধ্যে আটকে ছিলো, এখন তার সামনে এক নতুন পথ খুলে গেলো, যদিও তা সুস্পষ্ট ছিল না। তবে, সে জানতো যে, কিছুটা সাহস আর একটুখানি সহানুভূতি তার জীবনের নতুন দিশা খুলতে পারে। এখন তার চোখে আলোর প্রতিফলন ছিল। একটু একটু করে, সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার সাহস পেয়ে সে জানলো, সে এখন আর একা নয়। ভার্সিটিতে গিয়ে দুজন দুজনের হলে চলে গেলো। যেনো কেউ কাউকে চেনে না সেভাবেই। অথচ ক্ষণকাল পূর্বেই দুজনে আবদ্ধ হয়েছে এক পবিত্র বন্ধণে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো ইচ্ছে আর জুহাইর দুজন দুজনেক ভালোভাবে তাকিয়ে দেখেনি অব্দি। ইচ্ছে হুট করেই দেখলে জুহাইর চিনতে পারবে কি না সন্দেহ।
নিজের স্বামীকে সে চিনতে পারবে না, কথাটা মস্তিষ্কে ধারণ করতেই কেমন অদ্ভুত ভাবে কেঁপে উঠলো। ও এখন বিবাহিত, এই ধ্রুব সত্যিটা কতটা দ্রুত ঘটে গেলো ওর জীবনে।
পরদিন সকাল। জুহাইর ক্লাসে ঢুকতেই চোখে পড়লো শিশির আর শিপা সেখানেই বসে। কিছুক্ষণ আগে যতটা শান্ত ছিলো, এখন সে একটু অস্থির লাগছিলো। শিশিরের উপস্থিতি তাকে অস্বস্তি দিয়েছিল। তবে, সবার সামনে সে একদম শান্ত ছিলো।
শিশির ও শিপা জুহাইরের দিকে এক ধরনের অপমানজনক দৃষ্টি নিয়ে তাকাল। শিশির কিছুটা হাসিমুখে বললো, “ওহ, জুহাইর ভাই, আজকে কি খবর? ক্লাসে এসেছো, আমরা তো ভাবছিলাম আজকে তুমি আসবে না।”
শিপাও হাসিমুখে কেমন কটাক্ষের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে জুহাইরের দিকে। জুহাইর তাকায় না। কালকে রাতের পর থেকে ওর ভীষণ গিল্টি ফিলিং হচ্ছে। ছিঃ সে এমন একটা মেয়ের মায়ায় জড়িয়ে গেছিলো? নিজের ভবিষ্যৎ মানুষ টার হক এভাবে নষ্ট করছিলো ও? পাপের তাড়নায় সে গতকাল রাতে তাহাজ্জুদ নামাজে বসে অনবরত চোখের পানি ফেলেছে। কোনো নারীর দিকে ও আর তাকাবে না। পৃথিবীর সমস্ত নারী ওর জন্য নিষ্পাপ কঠোরভাবে। নিজের ভুল বুঝতে ওর এতো সময় লাগলো? সেজন্যই বুঝি গতকালকের ধাক্কা টা পেয়েছিল। ও এখন বুঝতে পারছে, শিপার দেওয়া ধাক্কাটার প্রয়োজন ছিলো,তা না হলে কি ওর এতো ভালোভাবে অনুধাবন হতো? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা হইতো এভাবেই ওকে হেদায়েত দান করলেন।
জুহাইর কোনো সাড়া দিলো না। সে চুপচাপ সিটে গিয়ে বসলো। তার চোখে কোনো ক্রোধ ছিল না, কেবল এক ধরনের শীতলতা। প্রান্ত, জুহাইরের বন্ধু, তখনই উঠে এসে জুহাইরের পাশে বসলো।
“শিশির, শিপা, তোমরা একটু থামো, আগে বলো তোমরা এমন চিপকাচিপকি কেন করছো?” প্রান্ত বললো, তার কণ্ঠে কিছুটা উত্তেজনা ছিল।
শিপা মুখ খুলে কিছু বলবে তার আগেই শিশির বলে, “আমি ওর গার্লফ্রেন্ডকে কেড়ে নিয়েছি না? বেচারা জুহাইর। ওকে বলেছিলাম না, শিপা কেবল আমারই হবে? হলো তো? ওর মতো চিপ, গরীব ভিখিরি ছেলের সঙ্গে শিপার মতো সুন্দরী মেয়েরা থাকে না। থাকে কেবল আমার মতো হ্যান্ডসাম কোটিপতির সঙ্গে।”
শিপা অবাক দৃষ্টিতে তাকায়! গার্লফ্রেন্ড? বউ বলে পরিচয় কেন করালো না শিশির?
“যা কিছু খারাপ তা তো তোমরা করেছো। জুহাইর কোনো খারাপ কিছু করেনি। এত সহজে কাউকে তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়।”
শিশির মুচকি হাসলো, “প্রান্ত, তুমি চাইলে এখনো আমার দলে আসতে পারো। আমার সঙ্গে থাকলে তোমার লাইফস্টাইল চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমি করে দেবো সবকিছু চেঞ্জ।”
প্রান্ত কঠোরভাবে বললো, “জুহাইর একজন ভালো ছেলে, তোমরা যদি তাকে এমন অপমান করতে থাকো, তবে তা তোমাদের জন্য ভালো হবে না।”
শিশির তার দিকে একটু চ্যালেঞ্জিং দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, “ওহহো, তুমি তো বেশ বড় ভালো-মন্দের কথা বলতে শুরু করেছো। শোনো, এসব নীতি কথায় আমার পোষায় না। তুমি বরং তোমার ঐ সো কল্ড বন্ধুকেই এসব নীতিকথা শুনিও।”
জুহাইর ঠাণ্ডা মাথায় তার পেনটা হাতে ধরে টেবিলের ওপর রাখলো। তারপর শান্তভাবে বললো, “আমি জানি আমি গরীব, শিশির। কিন্তু গরীব বলে কাউকে ছোট করে দেখতে হবে এমন শিক্ষা অন্তত আমি পাইনি। আমি যদি কিছু অর্জন করি, সেটা আমার পরিশ্রমের ফল। তুমি যা বলছো, সেটা আমার সেলফ-রেসপেক্টে কোনো রকম প্রভাব ফেলবে না। মনে রেখো কাউকে হিংসা করে বা অসম্মান করে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।”
শিপা তখনই জুহাইরের দিকে কিছুটা তাচ্ছিল্য করে বললো, “তাহলে কি তুমি ভাবো একটা সামান্য ওষুধের ফার্মেসীতে চাকরগিরি করে কোটিপতি হবে? তুমি এই সামান্য কাজ করে বড়ো কিছু হতে পারবে? তুমি শুধু ভাবো, আমি শিপাকে আমার বউ করবো, কিন্তু এটা শুধু ভাবা অব্দিই থামিয়ে রাখতে পারবে। বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা তোমার কখনোই ছিলো না৷ তোমাকে বিয়ে করলে আমার নিজেকে শুধু ফাঁকা কথায় নিজেকে সান্ত্বনা দিতে হতো। ঠিক তোমার মতোই বাহিরে -ভেতরে পুরো টাই ফাঁকা।”
এবার জুহাইরের চোখে এক ঝলক ক্রোধের ছায়া ফুটে উঠলো, তবে সে চুপচাপ থাকলো। প্রান্ত আবার কথা বলতে চেয়েছিল, কিন্তু জুহাইর তাকে থামিয়ে দিলো। সম্পুর্ন উপেক্ষা করলো শিশির আর শিপাকে। একটিও বাক্য উচ্চারণ করলো না সে। শিপা আর শিশির ভেবেছিলো জুহাইরের তাজা ক্ষ’তটাকে আরও কিছুটা দগদগে করা যাবে। কিন্তু ওদের এক সঙ্গে দেখেও কোনো রকম প্রতিক্রিয়ায় করলো না!
জুহাইরের মনে তখন কেবলই ইচ্ছের কথা ঘুরছিলো। কবুল বলার পর থেকেই সে এই অদৃশ্য টান অনুভব করছে। এই একটা শব্দে বুঝি এতো শক্তি?
#চলবে