তেইশতম বসন্ত পর্ব-৩৩

0
11

#তেইশতম_বসন্ত
পরিসংখ্যা ৩৩
লেখনীতে – Azyah(সূচনা)

-“খুশবু বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছে”

ফাহাদের কথার অর্থ বুঝলো নোমান।কি বিষয়ে কথা বলেছে সেটাও অজানা নয়।তবে ফাহাদ তার বোন জামাই হওয়ার পূর্বে সে তার বন্ধু।একটু না খোঁচালেই নয়।নোমান না বুঝার ভান করে বললো,

-“কি ব্যাপারে?”

-“তুই জানিস না?”

নোমানের চাপা হাসি আড়ালেই রইলো।কন্ঠস্বরে গম্ভীরতা টেনে বললো,

-“নাতো”

কিছুটা ক্ষিপ্ত গলায় ফাহাদ বলে,

-“মজা করিস না বন্ধু।আমার আর নেহার ব্যাপারে কথা বলেছে খুশবু।বাবা মা চায় তোদের বাড়ি আসতে।এখন তোর কাজ তুই তোর বাড়িতে জানাবি।”

নোমান বলে উঠে, -“যদি না জানাই?”

ফাহাদও কম যায় না। কিভাবে বন্ধুকে হাতে আনা যায় তারও জানা আছে।নিজের হাতিয়ার চালাবে এবার।বললো,

-“জিনিয়ার ব্যাপারটা তোর বোনকে বলে দিলে কেমন হয়? বোন জাতি কেমন জানিসতো?বলবো একটা ছড়াবে চারগুণ বেশি”

নোমানের রসিকতা সব উবে যায়।সোজা হয়ে বসে প্রশ্ন ছুঁড়ে,

-“ব্ল্যাকমেইল করছিস?”

-“বন্ধু হিসেবে করাই যায়”

নোমান এর কথা বাড়ানো মানেই বিপদ। বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে চুপ করে গেলো। ঘাঁটাঘাঁটি করলো না বিষয়টা।কিছু সময় নিয়ে বললো,

-“কবে আসছিস?”

-“যেদিন নেহার শ্রদ্ধেয় বড়ভাই মহাশয় অনুমতি দিবেন?সেদিন”

______

নোমান মনে মনে রাজি।তাই আর দেরি করলো না শুভ কাজের শুরুতে।সন্ধ্যায় ফাহাদের সাথে কথা বলে রাতেই খাবার টেবিলে আলোচনা শুরু করেছে।নেহার খাওয়া দাওয়া আগেই শেষ।বেচারি ক্ষুদা সহ্য করতে পারেনা।তাই দ্রুত খেয়ে নিয়েছিল।এখন যেনো এই দ্রুত খাওয়াটা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।কি করে আলোচনা শুনবে?

রাত এগারোটার দিকে ঘরের পুরুষরা একত্রে খেতে বসে নোমান বাবার উদ্দেশ্যে বললো,

-“তোমার মেয়েতো বড় হয়ে গেছে।আজকাল ওর জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে।”

সামসুল সাহেব খাবার থামিয়ে তাকালেন। সাথে ছোট চাচা সোলায়মান সাহেবও। কথাটা খাবার বেড়ে দেওয়া নারীগণও শুনেছেন।জানতে চাইলেন,

-“কে দিয়েছে বিয়ের প্রস্তাব?”

-“আমার বন্ধুকেতো চেনোই ফাহাদ?ওর বাবা মা আসতে চাইছেন নেহাকে দেখতে”

সামসুল সাহেব কিছুটা অবাক সুরে প্রশ্ন করেন,

-“ফাহাদ?ঢাকা থাকে যে?”

-“হ্যাঁ”

নোমানের মা বললেন,

– “ছেলেটাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছিলো জানেন?ওর বোনটাও ভীষণ ভালো মেয়ে।আমাদের সিলেটেইতো বিয়ে হলো ওর।এখন একটা ছেলেও আছে।”

নোমানের চাচা সোলায়মান সাহেব বললেন, -“ভিন্ন শহর তাছাড়াও নেহা আর ফাহাদের বয়সের যথেষ্ট পার্থক্য আছে।”

-“মানুষ ভালো হলে বয়স কোনো ব্যাপার না।” স্বাভাবিক সংক্ষিপ্তভাবেই বললো নোমান।

সোলায়মান সাহেব আবার বললেন,

-“নেহা মাত্র দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে।”

বাধ সাঁধলেন সামসুল সাহেব।বললেন,

-“আহা!এত কথার কি আছে?মেয়ে হয়ে জন্মেছে বিয়ের ঘর আসবেই।ওনারা আসুক। জানবো বুঝবো তারপরই না মেয়ে দিবো?নোমানের বন্ধু বলে রাজি হচ্ছি।”

নোমানের ছোট চাচী নিচু গলায় বললেন,

-“একবার নেহাকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হতো না ভাইজান?”

-“আমার সিদ্ধান্তই মেনে নিবে সে।” বলে উঠে গেলেন সামসুল সাহেব।

নেহা যতটুকু শুনেছে সেটাই তার জন্য যথেষ্ট। বাবার সিদ্ধান্ত যেনো তার পক্ষেই হয়।বাচ্চাদের মত লাফাতে লাফাতে ঘরে চলে গেলো।ধপাস করে বিছানায় শুতে গিয়ে মাথায় ব্যথা পেয়েছে।সে ব্যথা আর তেমন কি?ফোন মেলালো ফাহাদকে।কল রিসিভ করলে বলে উঠলো,

-“আমি অনেক অনেক খুশি জানেন?”

ফাহাদ প্রশ্ন করে, -“কেনো?”

-“বাবা রাজি হয়ে গেছে।বলেছে আপনাদের আসতে।”

-“আমাকে বিয়ে করার জন্য এত এক্সাইটেড?”

হ্যাঁ বলতে গিয়েও বলতে পারলো না নেহা।চুপসে গেলো লাজে।ঠোঁট কামড়ে চুপ হয়ে নিজের মাথায় হাত বোলাচ্ছে।ব্যথা অনুভূত হচ্ছে সেখানে।ফাহাদ সময় নিয়ে বললো,

-“ভিডিও কল দাওতো”

-“কেনো?আপনার কি আমাকে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে?”

-“তুমি কতটা খুশি সেটা দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।তোমাকে দেখতে নয়”

ভিডিও কল করলো নেহা।ফাহাদ খিঁচে চোখ বুজে পুনরায় খুলে লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে।এক দৃষ্টিতে কিছু সময় চেয়ে রয় নেহার নিষ্পাপ কিশোরী মুখপানে।ধীরেধীরে সেও ডুবছে মোহে।স্বীকার করলেও জালে ফেঁসে যাবে।এলোমেলো দৃষ্টিতে নেহাকে আবদ্ধ করে বললো,

-“রাখি…আসছি শীগ্রই”

_______

-“শর্ত নাম্বার এক. আমার সাথে ঘাড়ত্যাড়ামো নট এলাউড।শর্ত নাম্বার দুই. আমার রাজনীতি আর কাজ দুটোকেই সম্মান করতে হবে।শর্ত নাম্বার তিন. বেয়াদবি করা যাবে না।আদব কি সেটা তোমার শেখার প্রয়োজন আছে।শর্ত নাম্বার চার. আমরা এই মুহূর্তে কোনো প্রকার সম্পর্কে জড়াবো না।বুঝতে পেরেছো?না মানে না।”

জিনিয়া মনোযোগ দিয়ে শুনলো। গালে হাত রেখে। দৃষ্টির নড়চড় হয়নি কোনো।মেয়েটা হাজির হয়েছে নোমানের ফুডকার্টে।বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিন বলে বলে পাগল করে ফেলেছে।অবশেষে নোমান এক শান্তি চুক্তিতে এলো।নিজেকে বুঝিয়েছে এতদিন অনেকটা।

-“মেনে নিলেন আমাকে?”

-“তুমি মেনে নেওয়ার পাত্রী হয়ে দেখাও।”

-“এতো সময় তো নেই।বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে।”

-“এখন কি করতে হবে আমার?”

-“বিয়ে করতে হবে আমাকে।”

-“লাইফের রিস্ক নিতে বলছো?”

জিনিয়াকে খুব স্বাভাবিক দেখালো। নিশ্চিন্ত হয়ে হাত নেড়ে বলে উঠলো,

-“আরেহ প্যারা নেই আমরা এডজাস্ট করে নিবো।আমি কোনো ভোটকা টাকলা লোককে বিয়ে করতে চাইনা।”

নোমান না চাইতেও হেসে উঠে।বলে,

-“আমি এখনো সেটেল না”

-“আমি বেশি খাই না।বিয়ের পর বউকে কি খাওয়াবেন সেটা নিয়ে ভাবতে হবেনা।”

-“আমার শর্তগুলো মানছো তাহলে?

-“আমি কোনো আজাইরা প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চাইনা।একসাথে থাকতে থাকতে ঠিক হয়ে যাবে ব্যাপার না।আমার চাচাতো ভাইয়ের বউ ওর চির শত্রু ছিলো।এখন দুজন দুজনকে চোখে হারায়।…..আর আমারও একটা শর্ত আছে।”

-“কি?”

-“সেটা বিয়ের পর বলবো।আসি”

উঠে চলে গেলো জিনিয়া।আর কোনো কথা বলার সুযোগ দিলো না।খাবার অর্ডার করে বিলটা অব্দি দেয়নি অসভ্য মেয়ে। কার্টার স্টাফ এসে সেটা জানালে ধমক খায় নোমানের।ধরেই নেয় বিশেষ কেউ।তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে বিল নেওয়া যাবেনা।

________

আকাশ যখন নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছে নীলচে কালো চাদরে তখন এই পাহাড় আবৃত শান্তির নগরীতে এক জোড়া নেত্র সজাগ।আজ যেনো কোনো পবনের ঘ্রাণ ছুঁয়ে দিচ্ছে না তাদের।প্রকৃতির রাতের এই অংশটাকে ভালোবাসা এক প্রেমিক চাইছে যেনো রাত কেটে যায়। হঁসফাঁস করছে।আর কিছু সময় ছেলের কান্না না থামলে রাতের সৌন্দর্যকে ঘৃণার তালিকায় ফেলে দিবে। ভালোবাসবে না আর কখনও।

ঢাকা থেকে ফিরে নাজেহাল অবস্থা আফওয়ানের।জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে সমস্ত শরীর। আবহাওয়া পরিবর্তন এর সাথে নিজেকে দায়ী করছে আফতাব।কেনো ঢাকা গেলো?

পায়চারি করতে করতে কল মেলাচ্ছে হাসপাতালে।যদি কোনো ডাক্তার পায়?পেলো না।এত রাতে কেই বা থাকবে।আর থাকলেও কি আসবে?আফতাব ছটফট করে এগিয়ে এলো। খুশবুকে বললো,

-“তৈরি হন আমরা যাবো হাসপাতালে”

খুশবু আফওয়ানকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ভাসাচ্ছে।ছলছল চোখে তুলে ঘড়ির দিকে চাইলো।রাত তিনটে বাজে।বললো,

-“এখন ডাক্তার পাবো?”

আফতাব গম্ভীর স্বরে মুখ শক্ত করে বললো,

– “খুঁজবো! খুঁজে নিবো।তারপরও ওর কান্না আমি সহ্য করতে পারবো না।উঠে আসুন।আর কোনো কথা বলবেন না প্লীজ।”

তখনই রফিকুজ্জামান মির্জা এবং রুমানা মির্জা আসেন।ছেলেকে দেখছেন হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই ছোট ব্যাগে নিচ্ছে।বোঝাতে চাইলেন সিজনাল জ্বর।তবে তাদের কথা কিছুটা রুক্ষ মুখেই অবজ্ঞা করে খুশবু আর আফওয়ানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।কাছের দুটো হাসপাতাল দেখলো।কোনো ডাক্তার নেই।আফতাব দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগলো,

-“দুটো বড় বড় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার নেই।নাইট ডিউটিতে কোনো ডাক্তার নেই!তাহলে হাসপাতাল কার মুখ দেখাতে খুলে রেখেছে।দায়িত্ববোধ এর জিম্মা শুধু আমরাই নিয়ে রেখেছি।”

আফতাব এর দিকে চাইলো খুশবু।রাগে কপালের রগ ফুটে উঠেছে তার।গলার আওয়াজ মাত্রাতিরিক্ত তেজি।আফওয়ানের কান্না কমলেও জ্বর কমেনি।বাড়ি থেকে মেপে এসেছে।খুশবু কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না।গাড়ি চালিয়ে অন্য হাসপাতালে পৌঁছে সৌভাগ্যক্রমে ডাক্তার পেয়ে যায়।এখনও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেনি আফতাব।হাত কচলে যাচ্ছে বারবার। ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিলো।বললো,

-“এখানে আমরা এক ঘন্টা বসবো।সামলাতে পারবেন আফওয়ানকে?…..থাক আমি সামলে নিবো।আপনার কিছু লাগবে?”

খুশবু এবার মুখ খুলে।বলে,

-“না কিছু লাগবে না।কিন্তু এক ঘন্টা কেনো বসবো?”

-“বাড়ি নিয়ে গেলে যদি জ্বর বাড়ে?কোনো সমস্যা হয়?ওর অবস্থা বুঝে যাবো। আনকমফোর্টেবল ফিল করছেন?”

আফতাবকে যত দেখছে খুশবু তত অবাক হচ্ছে।এতটা বিরক্ত আগে কখনও দেখেনি। কন্ঠস্বরের ভারে খুশবু তার অজান্তেই ভয় পাচ্ছে কথা বাড়াতে।মাথা নেড়ে বললো,

-“না ঠিক আছি।”

ছেলেকে কোলে তুলে নিলো।অনেকটা কোলাহলবিহীন করিডোর।দুয়েকটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসছে দুর হতে। আফতাব এর চোখ লাল দেখালো। তারপরও আফওয়ানকে কোলে নিয়ে রূঢ় মানবের মতো এদিক ওদিক হাঁটছে।

ইতিমধ্যে রুমানা মির্জা কয়েকবার কল করেছেন। শেষবারে কল রিসিভ করলো খুশবু। স্বভাবতঃই রুমানা মির্জা প্রশ্ন করলেন,

-“তোমরা এখনও ফিরছো না কেনো?”

-“মা জানেন আপনার ছেলে পাগল হয়ে গেছে। সে বলছে বাড়ি ফিরলে যদি জ্বর বাড়ে?তাই আপনার নাতি কিছুটা স্ট্যাবল না হওয়া অব্দি এখানেই থাকবে।”

এমন পরিস্থিতিতেও না হেসে পারলেন না রুমানা মির্জা।বললেন,

-“ছেলের ভালোবাসায় আধ পাগল হয়েছে।পুরো পাগল হওয়ার আগে ফিরিয়ে আনো।”

-“না না মা।আমি কিছু বলবো না ওনাকে মাথা গরম আছে।”

-“আচ্ছা তাহলে বলো আমার দাদুভাই এর কি খবর?”

-“এখন ঠিক আছে। ঘামছে আশা করি জ্বর ছেড়ে দিবে।”

ফোন রেখেছেন রুমানা মির্জা।জিতু মামা এত রাতে গাড়ির আওয়াজে জেগে উঠেছিলেন।তিনিও একদফা কল করে জেনে নিলেন।কিন্তু খুশবুর মনোযোগ আপাতত আফতাব এর নতুন রগচটা মুখের দিকে।মুখে সারা জাহানের বিরক্তি। পা জোড়া এক মুহূর্তের জন্য থেমে নেই।দুয়েকজন নার্স এসে দেখে গেলেন। তৃতীয়জন এসে বললেন,

-“বাবুর জ্বর ছেড়ে দিচ্ছে আস্তে আস্তে।আপনারা বাড়ি ফিরে গেলেই পারেন”

আফতাব হিমশীতল কণ্ঠে প্রশ্ন করলো,

– “আপনাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে আমরা এখানে থাকাতে?”

-“না সেটা হবে কেনো?আপনারা এভাবে বসে আছেন তাই বলছিলাম”

আফতাব ছেলের দিকে চেয়ে একই সুরে বললো,

-“আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না”

নার্স ক্লান্ত মুখে চলে গেলেন।কি লাভ বুঝিয়ে?এই লোক শুনবার পাত্র নয়।আফতাব এর পরিচয় জানার পর আরো কিছু বললেন না।চুপচাপ স্থান ত্যাগ করাই শ্রেয়।খুশবু এতক্ষণ যাবত তার কান্ড দেখে উঠে দাঁড়ায়।এগিয়ে যায় তাদের দিকে। আফওয়ানের কপালে হাত ছুঁয়ে দেখলো জ্বর অনেকটা কমে গেছে ইনজেকশন এর প্রভাবে। স্বস্তি পায় মায়ের অন্তর।এবার প্রাণপ্রিয় স্বামীর দিকে চেয়ে বললো,

-“বাড়ি গিয়ে এক বালতি পানি ঢালবো মাথায়।”

আফতাব কপাল কুঁচকে বললো,

-“এতটুকু বাচ্চার মাথায় পানি ঢালবেন?এমনেতেই জ্বর কমেছে।নরমাল পানি দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিলেই হবে।”

খুশবু পা উচু করে আফতাব এর মাথায় দুহাত রেখে বলে,

-“ব্যাঙ এর মাথায় ঢালবো না।ব্যাঙের বাবার মাথায় ঢালবো।অনেক গরম হয়ে আছে।”

আফতাব মৃদু হেসে উঠলো। বললো,

-“যতদিন কাছে আছি ততদিন আপনার আর আমার ব্যাঙের প্রতি নো কম্প্রোমাইজ। যথাসাধ্য চেষ্টা করবো একবারে যেনো অনেক যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দিয়ে যাই।আজ আর কাল আপনাদের নামে।এরপর আমার সব সময় দেশের নামে”

চলবে…..