#তোতাপাখি_আমার
০৩.
ও বাড়ি থেকে এসে সরাসরি স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে নিল ঘুঙুর। মায়ের ফোন থেকে বৃষ্টির বাড়িতে ফোন করে বৃষ্টিকেও আসতে বলে দিয়েছে। রাস্তার মাথা থেকে দু’জনে একত্র হবে। এমনিতে তাদের দু’জনের কারো কাছেই ফোন নেই। ঘুঙুরকে আমির সাহেব বলেছেন ফোন পেতে হলে আগে ভালো রেজাল্ট করে কলেজে উঠুক তারপর দেখা যাবে। আপাততঃ সে মায়ের ফোন থেকেই টুকটাক কাজ চালায়৷ কাজ বলতে তার শুধু বৃষ্টিকে মাঝেমধ্যে দরকার হয়। এছাড়া বিশেষ কোনো কারণ নেই এই যন্ত্রের। তবে মাঝেমধ্যে কল্প যখন খুব করে ধমক দিয়ে বলে, ‘তোর বাপের এতই টাকার অভাব যে একটা ফোন কিনে দিতে পারে না।’ তখন একটা ফোনের প্রয়োজনীয়তা সে উপলব্ধি করে। একটা ফোনের জন্য লোকটা তার বাবাকে অপমান করছে এটা তার মানতে বড্ড কষ্ট হয়।
নলিনা বেগম দুই মেয়ের জন্যই টিফিন গুছিয়ে নিয়ে এলেন। ঘুঙুর ব্যস্ত হাতে সেটা নিয়ে নিল। নুপুরেরটা দিতেই সে চোখে মুখ কুঁচকে ফেলল,
“মা কতবার বলেছি তোমায় আমি এখন আর ছোট নেই। এসব টিফিন আমার লাগবে না। ক্যান্টিনে খেয়ে নেব।”
নলিনা বেগম ধমকে উঠলেন,
“চুপ কর। কত বড় হয়েছিস যে মায়ের ভালবাসা অগ্রাহ্য করে দিস? ক্যান্টিনের খাবার কতটা অস্বাস্থ্যকর জানা আছে? চুপচাপ এটা ধর আর বাকি খালি নিয়ে তবেই ফিরবি।”
অগত্যা মুখ কালো করে হলেও টিফিনটা নিতে হল তাকে। এটা এই দু’জনের রোজকার দৃশ্য। যাওয়ার আগে আরও কতক্ষণ বকবক করলো তিনি। এই যেমন, সাবধানে যাস, ভালো ভাবে দেখে রাস্তা চলিস, চোখ কান খোলা রেখে চলবি বাইরে, আ হ্যাঁ টিফিনটা কিন্তু খাবি’ই, বাইরের খাবার একদম খাবি না, ইত্যাদি ইত্যাদি। দুই মেয়ে’ই মায়ের এসব ডায়লগে ভীষণ বিরক্ত থাকে। তার-ওপর আবার সদর দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়া এটা তো আরও বিরক্তির কারণ। যতক্ষণ না ওদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় ততক্ষণ চেয়ে থাকা আরও একগোছা বিরক্তি। সে যত’ই হোক নলিনা এসব করবেনই। মায়ের ভালবাসা ওরা কী বুঝবে? ওরা ছেলেমানুষ। যখন মা হবে তখন ঠিক বুঝবে মায়ের এই উদ্বিগ্নতার কারণ।
–
রাস্তার মাথা থেকে বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের আঁকাবাকা পথ ধরে এগিয়ে চলেছে ঘুঙুর। মনটা আজ বিষন্ন তার। কল্পের কাজ-কারবার ভীষণ ভাবাচ্ছে তাকে। বাবা এবং ওই মানুষটার মধ্যে এমন সম্মুখ যুদ্ধ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সে। আর না পারছে কিছু করতে। অপ্রীতিকর ভাবনাগুলো খনেখনে জেঁকে ধরছে তাকে। বেশ অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টি লক্ষ্য করছে পাশাপাশি হেঁটেও তাদের দু’জনের মধ্যে শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। এমনটা সচরাচর হয় না। যদি না ঘুঙুরের মন খারাপ হয়। বৃষ্টি আর ওকে ঘাঁটাল না৷ ভাবল ক্লাসে গিয়ে শুনে নেবে। তন্মধ্যে ঘটে গেল আরেক বিপত্তি। আনমনা ঘুঙুরকে ভাবতে ভাবতে বৃষ্টিও যখন আনমনে হয়ে পরল তখনই তাদের এট্যাক্ট করে বসল একটি বাইসাইকেল। বৃষ্টির কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঘুঙুরের ওপর এসে পরল বাইসাইকেলটি। ফলে ঘুঙুরের হাতের কনুই থেকে বেশ কিছু অংশ কেটে গেল। বৃষ্টি আঁতকে উঠে ঘুঙুরের হাত চেপে ধরল। ঘুঙুর গোঙাচ্ছে মৃদু আওয়াজে। বৃষ্টি একপল রেগে তাকালো সেই সাইকেল-চালকের দিকে। কারণ ছেলেটির চালানোতেও ফল্ট ছিল। এই ছেলেটি তাদের গ্রামেরই একজন। এর নামে আগেও এমন এক্সিডেন্টাল কেইস আছে। সামান্য সাইকেল যে এভাবে চালায় না জানি সে বাইক চালাতে গেলে ক’জনকে দিনে যখম করে? ছেলেটা এতটাই ধূর্ত এবং বদ ছিল যে একটাবার সরি বলার প্রয়োজন মনে করল না বরং বৃষ্টি ঘুঙুরকে সামলাচ্ছে সেই ফাঁকে পালিয়ে গেল। বৃষ্টির ভীষণ রাগ হল ছেলেটার ওপর। মনে মনে ভাবল আসল জায়গায় নালিশটা ঠুকে দেবে। অতঃপর ব্যাগ থেকে একটা রুমাল বের করে ঘুঙুরের হাতে পেঁচিয়ে দিতে দিতে ধমকের সহিত বলল,
“মন কোথাও থাকে তোর? পাশ দিয়ে ওই অসভ্যটা যাচ্ছে চোখে দেখতে পাসনি? দেখে চললে এই দূর্ঘটনাটা ঘটত? এজন্যই কল্প ভাই তোকে উঠতে বসতে ঝাড়েন।”
ঘুঙুর ব্যথা কামড়ে ফোঁস করে উঠল। তেজ দেখিয়ে বলল,
“ওই বেটার জন্যই তো হল এসব। আমি তো তাকে ভেবেই…..”
অসম্পূর্ণ বাক্য রেখে মুখ বন্ধ করে নিল ঘুঙুর। আলগোছে জিভে কামড় কাটতে ভুলল না। বৃষ্টির সামনে এসব বলা মানে চরম বোকামি। এই মেয়ে তিলকে তাল বানিয়ে ছাড়বে। তারপর সেটা তুলে দেবে কল্পের কানে। কিন্তু শেষ রক্ষা কী? সেই তো বৃষ্টি ধরে ফেলল তার কথাটি। সন্দিহান কন্ঠে বলল,
“তাকে ভেবে মানে? তুই আবার কবে থেকে তাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলি? বললি না তো?”
ঘুঙুর থতমত খেয়ে বলল,
“যেমনটা ভাবছিস তেমনটা নয়। এখন চল তো দেরি হয়ে যাচ্ছে।”
বৃষ্টি নাছোড়বান্দা,
“তো কেমনটা আগে বল তারপর যাবো।”
ঘুঙুর মুখ দিয়ে ‘চ’ বর্গীয় ধ্বনি বের করে কপালে হাত চাপড়ালো। সে হতাশ এই মেয়েটাকে নিয়ে। অতঃপর বিস্তারিত ব্যাখ্যা সংক্ষেপে বলল বৃষ্টিকে। সব শুনে বৃষ্টি বিজ্ঞদের মতো মাথা নেড়ে বলল,
“হুমমমম। খুউউববব ক্রিটিকাল সিচ্যুয়েশন। বাট ব্যাপার না, কল্প ভাই আছেন না এভরিথিং ইজ ফেয়ার এন্ড লাভ ইন অয়ার।”
ঘুঙুর বিরক্ত বদনে চেয়ে বলল,
“নে হয়েছে। এবার তোর কল্প ভাইয়ের গুণকীর্তন শেষ হলে চল আগাই।”
কল্পকে নিয়ে ব্যঙ্গ করায় বৃষ্টি মুখ ভেঙচে দিল ঘুঙুরকে। পরপর ওর হাতের আঘাতের কথা মনে হতেই ব্যগ্র কন্ঠে বলল,
“হ্যাঁ হ্যাঁ চল। সামনের ফার্মেসী থেকে তোর জন্য মেডিসিন নিতে হবে। আঘাতটা বেশ ভালোই গভীর। সময় মতো ট্রিটমেন্ট না নিলে পরে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।”
ঘুঙুর বলল,
“অতটাও হবে না।”
অতঃপর দু’জনে পুনর্বার চলা শুরু করল।
–
কপাল খারাপ হলে যা হয়। ফার্মেসী এখনও খোলেনি। এদিকে ঘুঙুরের হাতের ব্যথা ক্রমশ বাড়ছে। ক্লাস করতে পারবে কিনা জানা নেই। বৃষ্টি দিশেহারা হয়ে পরল মেয়েটার অবস্থা দেখে। পরক্ষণেই তাদের সামনে ম্যাজিকম্যানের মতো উদয় হল কল্প। তাদের স্কুল থেকে কিছুটা দূরে দলবল নিয়ে ছাতিম গাছের নিয়ে আড্ডায় বসে আছেন তিনি। ঘুঙুর তাকে দেখেই মুখ বাঁকাল। মনে মনে ভাবল,’উহহ বাটপার একটা। তখন বাড়ি থেকে ডায়লগ মেরে এলো, তার নাকি দিনদুনিয়ার হাজারটা কাজ। অথচ দেখো কীভাবে এখানে বসে দলবল নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।’ তার ভাবনার মাঝেই জিহানের কন্ঠ শোনা যায়,
“ওই ঘুঙরু এদিক আয়।”
ঘুঙুরের ইচ্ছে করল যে মুখ দিয়ে ওর নামটার ফালুদা করেছে সেই মুখটা নোড়া দিয়ে ছেঁচে দিতে। বিধিবাম এটা তার মনের ইচ্ছে। ওদের চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিহান ফের বলল,
“জোরসে আয়। ভাই ডাকে।”
ঘুঙুরের ভীষণ রাগ আপাততঃ মাটি চাপা দিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে পিলপিল পায়ে হেঁটে গেল সে সেখানে। জিহানকে ফিসফিসিয়ে বলল,
“মে’রে মুখ ভেঙে দেবো, আর উল্টোপাল্টা নামে ডাকলে।”
জিহান একগাল হেসে বলল,
“তোর মতো পুচকি পারবি আমার সঙ্গে? সেটা আদৌও সম্ভব?”
ঘুঙুর কিছু বলতে নিচ্ছিল তন্মধ্যে তার হাতে টান অনুভূত হয়। তাকিয়ে দেখে কল্প তার যখমকৃত হাতটা ধরে উল্টে পাল্টে দেখছে। রক্তে জবজবে রুমালটা একটানে খুলে ফেলল সে। ঘুঙুর ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠল ততক্ষণাৎ। ক্ষত স্থান থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছে এখনও। কল্পের দৃষ্টি স্থির হয়ে আছে সেই ক্ষতের ওপর। বাকি সবার দৃষ্টি ওদের দু’জনের ওপর। ঘুঙুরের অস্বস্তি লাগল এভাবে সবার এটেনশন পেয়ে। সে হাত ছাড়াতে মোচড়ামুচড়ি শুরু করে দিল। কিন্তু কল্পের জোরের সাথে পেরে উঠল না। কল্প সেভাবেই শক্ত কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ল,
“কীভাবে হল এসব?”
কন্ঠটা এতটাই প্রগাঢ় ছিল যে ঘুঙুর না চাইতেও আঁতকে উঠল। সে মুখ দিয়ে কিছুই বের করতে পারল না। শুধু নত বদনে দাঁড়িয়ে রইল। তার হয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল বৃষ্টি। সুযোগ পেয়ে বলে দিল বদ ছেলেটির কথা।
“মোল্লা বাড়ির ছোট ছেলেটা, বখাটে যে? ও করেছে এসব৷ ইচ্ছে মতো সাইকেল টানে। কারো তোয়াক্কা করে না। মনে হয় রাস্তা ওর বাপের কেনা, এভাবেই চলে।”
কল্প হাত উঁচিয়ে থেমে যেতে বলল বৃষ্টিকে। পরপর জিহানকে ডেকে বলল,
“ফার্মেসী থেকে মেডিসিন, ব্যান্ডেজ আনা। যত দ্রুত সম্ভব।”
বৃষ্টি বলল,
“আমরা সেখান থেকেই আসছি। ফার্মেসী বন্ধ এখনও।”
কল্প ফের জিহানকে বলল,
“তাহলে মকবুলের বাড়ি যা। ওকে তুলে নিয়ে ফার্মেসী খোলা। শা-লা এখনও ম’রার ঘুম ঘুমায়।”
জিহান আরও দুটো ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ছুটল সে পথে। ভাইয়ের আদেশ শিরোধার্য। বৃষ্টির মনে ব্যাপক শান্তি লাগছে। ছেলেটাকে তখন কিছু বলতে না পারলেও এখন এমন জায়গায় সব ফাঁস করেছে যে ঠিক কাজ হয়ে যাবে। কল্প ভাই ওই বদমাশকে কখনোই ছেড়ে দেবেন না।
ওদের দলের আরেকটা ছেলেকে পাঠিয়ে পাশের চায়ের দোকান থেকে একটা বেঞ্চ আনালো কল্প। ঘুঙুরের কাঁধ চেপে বসিয়ে দিল সেখানে। বৃষ্টি গিয়ে বসল ঘুঙুরের পাশে। কল্প দাঁড়িয়ে অস্থির চিত্তে। বারবার ফোন করছে কাউকে। হয়তো জিহানকে। ফোনে বলছে, ‘কী রে হল? আর কতক্ষণ? আসবি তো নাকি?’ এসবই। ঘুঙুর কল্পের কান্ডে অবাক না হয়ে পারছে না। এতটুকু আঘাতের জন্য এতটা উতলা হওয়ার কী আছে? আশ্চর্য! বৃষ্টি তো ঘুঙুরের কানে ফিসফিসিয়ে বলেই ফেলল,
“বাব্বাহ কত দরদ। এক্কেবারে ফিল্মি। যেন হিরোইন ইঞ্জুরড হিরো দিশেহারা।”
ঘুঙুর ফিসফিসিয়ে ধমকালো ওকে,
“চুপ করবি তুই। সবসময় বাজে বকিস।”
বৃষ্টি মুখ ভেঙচি কেটে উঠে গেল। তন্মধ্যে সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে উপস্থিত জিহান। সবকিছু কল্পকে বুঝিয়ে দিয়ে সে ও গিয়ে দাঁড়াল ঘুঙুরের পাশে। বলল,
“ধ্যান কই রাখস? রাস্তায় বের হোস কী চোখ কপালে তুলে রাখতে? প্রতিবন্ধী একটা।”
ঘুঙুর চেঁতে উঠল,
“তুমি প্রতিবন্ধী।”
“আমি কী তোর মতো যেখানে সেখানে মরি নাকি?”
“নাহহহ আপনি তো সাধুপুরুষ। শালার খবিশ একটা।”
দু’জনের বাকবিতন্ডার মধ্যে ধমকে উঠল কল্প। মেডিসিন গুলো হাতে নিয়ে ঘুঙুরের পাশে বসতে বসতে বলল,
“এখনই থেমে যা। নয়তো দু’টোকেই সেই কেলাবো?”
জিহান স্যারেন্ডার করার মতো করে হাত উঁচিয়ে বলল,
“আমার কেলানি খাওয়ার শখ নেই। সো গেলাম।”
ওরা পুনরায় গিয়ে গাছের নিচে বাকি সবার সঙ্গে জয়েন করল। এখানে রয়ে গেছে কেবল কল্প, ঘুঙুর ও বৃষ্টি। বৃষ্টি খুবই বুঝদার মেয়ে। সে কিছু একটা ভেবে হাঁটার বাহানায় কিছুটা দূরে সরে গেল। ফাঁকা পরিবেশে কল্প একটা লম্বা শ্বাস ফেলল। ঘুঙুর তাকিয়ে কল্পের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে। কল্প শুরুতে ঘুঙুরের ক্ষতস্থানটি পানি দিয়ে পরিস্কার করে নিল। পানি লাগতেই ছ্যাত করে উঠল সেখানে। ঘুঙুর একটু উহ শব্দ করল। পরপর কল্প তুলায় মেডিসিন লাগিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে ধরল। ততক্ষণাৎ সশব্দে আর্তনাদ করে উঠল ঘুঙুর। চোখ বন্ধ করে, ঠোঁট চেপে রেখে জ্বলন সহ্য করার ট্রাই করল সে। কল্পের দৃষ্টি তখন সব ভুলে ঘুঙুরের হাতের দিকে। যেটা খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছে কল্পের হাতের কব্জি। মেয়েটা যন্ত্রণা সহ্য করার প্রচেষ্টায় আনমনে কল্পের হাতে নিজের ধারালো নখের যখম তৈরি করে দিচ্ছে। অথচ কল্প নিশ্চুপ। সে একটিবার সরানোর জন্যও বলছে না। বেশ অনেকটা সময় পর। ঘুঙুর নিজেকে সামলে নিল। চোখে খুলে কল্পকে খুব কাছ থেকে দেখে চমকে গেল সে। এতক্ষণ ব্যথা-বেদনায় কিছুই খেয়াল করা হয়নি। এখন দেখছে মানুষটা খুব কাছে। একেবারে যেন হৃৎস্পন্দন শোনা যাচ্ছে। আচ্ছা লোকটা কী সত্যিই শুনতে পাচ্ছে সেই ধ্বনি? ধুক পুক, ধুক পুক, ধুক পুক……..!
চলবে,
® নামিহা মেহরূজ নিশি